পুরুষ (এইখানে শব্দটা মানুষ হইবো না?) নাকি দুই প্রকার, জীবিত বা বিবাহিত ..

শ্যাজা এর ছবি
লিখেছেন শ্যাজা (তারিখ: শুক্র, ২৫/০৯/২০০৯ - ১২:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পুরুষ (এইখানে শব্দটা মানুষ হইবো না?) নাকি দুই প্রকার, জীবিত বা বিবাহিত! এই লাইনটা সচলায়তনে প্রায়শই দেখি আর হাসি। কথাটা প্রথম ঠিক কে বলেছিলেন, মনে পড়ছে না (যার লাইন এটা, তিনি প্লিজ এই অজ্ঞানতাকে ক্ষমা করিবেন) তবে মাঝে মাঝেই এই লাইনটা এখানে অনেকেই ব্যবহার করেন। যাই হোক, এইসব ভ্যনতারা না করি আসল কথায় যাই।

আমি এর আগের পোষ্টে সারা বছরে আমার কোনো ফোন আসে না বলে অনেক ঘ্যানঘ্যান করসিলাম, যেটা বলা হয় নাই, সেটা হইল, ফোনটা বাজুক বা না বাজুক মাঝে মাঝে আমিও দুই-চারজনেরে ফোন দেই। যদিও খুব কম, হাতে গোনা যায়, তবুও দেই। কাইলও দিসিলাম আর এমন এক ঘটনা আমার কানে ঢুকল যে আমি এখনও পর্যন্ত সেই নিয়াই আছি, আর হাসতেই আছি। অরিজিত, প্লিজ মাফ করে দিও, তোমার দু:খের (নাকী কষ্টের) কথা আমি বর্ণনও করিতেছি আর হাসিয়া হাসিয়া এখনও পাট পাট (এই পাট পাট শব্দটা তোমার বর্ণনা থেকে ধার নিলাম) হইতেছি। দেখসেন, আবারও ভ্যানতারা করতেসি!! এইবার ঘটনায় ঢুকেই পড়ি হাসি

আমার বন্ধু অরিজিত (নামটা পাল্টাইয়া দিলাম সঙ্গত কারণে) এক সময় কবিতা লিখত। একটা কলেজে কম্পিউটার পড়ায় সাথে নিজেও আরো একটু পড়াশোনা করে। দেখতে সে (তার মতে) হ্যান্ডসাম বা অ্যাট্রাকটিভ নয় খুব একটা তাই মেয়েদের থেকে নিজে থেকেই একটু দূরে দূরে থাকে (এইটা আমার মত)। অর্কুটে সময় কাটায়, কবিতা'র ফোরামে প্রচুর কবিতা লেখে (দিব্য কবিতা লেখে অরিজিত, এইটাও আমার মত), আর খুব স্বাভাবিক কারণেই অন্তর্জালে মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব করে। আমার সাথেও তার বন্ধুত্ব ও‌ই পাতাতেই। লেখা-লেখি লইয়া কথা হয়, সে আমারে তাগো ফোরামে ইনভাইট করে, যেখানে সে স্বনামে-বেনামে কবিতা লেখে আর মাইয়ারা পঞ্চমুখে তার কবিতার প্রশংসা করে। আমি যেহেতু জীব্বনে এক লাইনও কবিতা লিখি নাই তাই শুধু তাদের লেখা কবিতা-অকবিতা পড়ি আর মাইয়াগো কমেন্ট দেখি হাসি

তো এইভাবে চলতে চলতে অরিজিত এক মাইয়ার প্রেমে পড়ে, আর ভালমতনই পড়ে। মাইয়াও পড়ে। জাল থেইকা বাইর হইয়া তারা সামনা সামনি আসে, আর[ততটা হ্যান্ডসাম-অ্যট্রাকটিভ(অরিজিতের মতে)] না হওয়া সত্বেও মেয়েটি তার সাথে ইতি-উতি ঘুরে বেড়ায়, ইন্টু-মিন্টু করে (মাফ কইরা দিও অরিজিত পিলিজ, আমি কিন্তু বইলাই দিসিলাম, যে আগি এইটা না লেইখ্যা থাকতেই পারুম না)। তাগো ইন্টু-মিন্টু বেশ কিছুদিন চলার পরে তারা দুইজনেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার ইচ্ছা পপরষ্পরের নিকট প্রকাশ করে এবং উভয়েরই মৌনমুখর সম্মতিতে তারা একদিন নিরজনে, বন্ধু-বান্ধব, গুরুজন পরিবেষ্ঠিত না হইয়া শুধুমাত্র উকিল সাহেবের উপস্থিতিতে বিবাহ বন্ধণে আবদ্ধ হয় এবং সংসার যাত্রা শুরু করে।

এই পর্যন্ত গল্প ঠিকঠাক ছিল, মানে ঠিকঠাকই ছিল আর কী! বন্ধনে আবদ্ধ হইবার পূর্বেই কনে তার হবু পতিগৃহ দেখিয়া আসিয়াছিলেন এবং জানাইয়া দিয়াছিলেন, যে তিনি এই গৃহে বাস করিতে সম্মত নন। অরিজিতের তখন পাগলা প্রেম, কনে যাহা বলেন সে তাহাতেই সম্মত হয়। নিজের বাড়ি হইতে কিঞ্চিত দূরে তাহার মায়ের কেনা ফ্ল্যাটে (যাহা খালি পড়িয়াছিল) সে সংসার যাত্রা শুরু করে। মা-বাবা ছেলের সুখ-শান্তির জন্যে এই ব্যবস্থা মানিয়া লন। হায়। তাঁহারা জানিতেন না, পুত্র তাঁহাদের জীবিত (আবারও সেলাম, এই লাইনের উদ্ভাবককে) ছিল, বিবাহিত হইল!

এই পর্যন্ত আমার জানা ছিল প্রায় প্রাত্যহিক যোগাযোগের মাধ্যমে। তারপর সে তার বিবাহিত জীবনে ব্যস্ত হইয়া পড়িলে যোগাযোগ কমিয়া আসে,মাঝে মাঝে একখান-দুইখান স্ক্র্যাপ, বা ফেসবুকে দেওয়াল লিখন। কেমন আছ, বউ কেমন, ভালো আছি, তুমি কেমন ইত্যাদি ইত্যাদি। হঠাৎ একদিন দেখি তার অর্কুটের প্রোফাইল গায়েব, আমি খানিক দু:খিত হইলাম, আমার একখান ফ্যান কমিল বলিয়া মন খারাপ কিন্তু কীই বা করতে পারতাম, তাই চুপ করিয়াই থাকিলাম। যোগাযোগ প্রায় নাই বলিলেই চলে। বছর যায়, আর তারপর আরও বছর যায়। ইত্যবসরে আমার কম্প্যু বিগড়োয় আর ভালমতন বিগড়োয়। মাস দেড়েক আমি কম্প্যুহীন অবস্থায় থাকিয়া (কাউকে খুঁজিয়া পাইতেছিলাম না, যে কিনা নদীর এইপারে আসিয়া সারাই করিয়া দিবে) একদিন অরিজিতকে ফোনে ধরিয়া আমার দু:খের কথা জানাইবার পূর্বেই জানিতে পারিলাম, সে নতুন চাকুরী লইয়া কানপুর চলিয়া যাইতেছে আগামী পরশুদিন! শুনিয়া কম্প্যুর কী হইবে ভাবিয়া আমার মনের দু:খে বনে যাইবার সদিচ্ছা জাগিলেও, কেন যাচ্ছ, কী চাকরী, বউ কী সঙ্গেই যাচ্ছে না পরে যাবে ইত্যাদি প্রশ্নোত্তর পর্বে ঢুকিয়া পড়িলাম। তো অরিজিত চলিয়া গেল।

বছরখানেক ইতিমধ্যে আরও গেল। আমি তখন জাপানে, মেঘবালিকার পাহাড়চুড়ার ছোট্ট আবাসে জানালার ধারে বসিয়া বসিয়া জাপানী বুড়োদেরকে দেখি, নিরানন্দ আকাশ দেখি, মেঘ দেখি, কালিদাসকেও দেখার চেষ্টা করি, তাঁহার লগে বাক্যালাপ করিবার বাসনা জাগিলে ইন্টারনেটে প্রবেশ করি ও কালিদাসকে না পাইয়া এ'পাতা ও'পাতা ঘুরে বেড়াই, সস্তার নেট ফোন হইতে দেশে ফোন করি, ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলি, কাকে কাকে কী পরিমান মিস করি, সেগুলো বলি (সত্যি সত্যিই মিস করছিলাম কিন্তু) হাসি

গুগলটকে অরিজিত। তাকে দেখা যায়, সে সারাদিনই অনলাইন। কী ব্যাপার, কী করো, জানিতে চাহিলে সে এড়াইয়া এড়াইয়া যায়, আমিও বেশি মাথা ঘামাই না, কখনো মনিটর, কখনো মেঘ তো কখনো জাপানী বুড়ো দেখি (জানলার ওপাশের পাহাড়চুড়ার মাঠে শুধু বুড়োরাই দৌড়াতে আসত তো মন খারাপ ) এভাবেই এক মাস কাটিয়া যায়, আমি ভারতবর্ষে ফিরিয়া আসি।

(এবার মশকরা শেষ)

একদিন অরিজিতের ফোন আসে, আমি কোনো উকিলকে চিনি কিনা, তার ডিভোর্স চাই। সত্যি সত্যিই চমকাই এবং দু:খ পাই। ইতিমধ্যেই তারা দুজনেই উকিলের সাথেও কথা বলার চেষ্টা করেছিল কিন্তু চেনা-শুনোর অভাবে, বা নিজেদেরও খানিকটা সংকোচের কারণে পেরে ওঠেনি। ঘটনাবলী খানিক জেনে নিয়ে কিচু পরামর্শ আর অনেকখানি সান্তনা দিয়া ফোন রাখি। মাথা থেকে যায় না অরিজিতের কথা। ইতিমধ্যে সে কলকাতা আসে বউকে বাপের বাড়ি রেখে যাওয়ার জন্যে, ডিভোর্সের আগে দুজনে একবাড়িতে একসাথে থাকলে ডিভোর্স পাওয়া সম্ভব নয় বলে দুজনেরই এই সিদ্ধান্ত, একসঙ্গে আর থাকতেও পারছিল না। কিছুদিন দুরে দূরে থাকলে কী হয় সেটা দেখার পরামর্শটুকু অবশ্য আমিই দিয়েছিলাম। অরিজিত ফিরে যায় কানপুর।

একলা থাকা পর্ব
-----------------

(এবার আর সিরিয়াস নয়)

এবার আবার আমি ফেরত আসি আমার ফোনের কথায়। তো আমি মাঝে মাঝে ফোন দেই লোকজনেরে, যদিও সেই লোকজনের সংখ্যা খুব কম কিন্তু এই কম সংখ্যক লোকেরেও আমি মাঝে-সাঝে ফোন দেই। কখন দেই? মাইঝ রাতে যখন এই অন্তর্জাল আর ভাল্লাগে না, চোখ ব্যথা করতে থাকে কিন্তু ঘুম আসে না তখন ফোন দেই। কারণ এই রকম নিশাচরের তো অভাব নাই দুনিয়াতে খাইছে জি-টকে অরিজিত, সে চিরকালীন নিশাচর, কিন্তু আমার চোখব্যথা পর্ব শুরু হয়ে যাওয়াতে বললাম, খাড়ও, ফোন দেই। ফোনে দিতে দেওয়ায় সে নিজেই ফোন করে আর কথা শুরু হয় হাসি

ফিরে যাওয়ার পরে যেটা হয়, কিছুদিন চুপচাপ থাকার পরেই গিন্নি কত্তাকে ফোন করে বলেন, কোথাও কোনো হোম বা লেডিজ হস্টেলের ব্যবস্থা করে দিতে হবে, বাপের বাড়িতে থাকা পোষাচ্ছে না, মায়ের সঙ্গে খিটিমিটি লেগেই আছে। মায়ের সাথে খিটিমিটি শুনে একটু অবাকই হই, কারন হিসেবে যা শুনি সেটাও বেশ মজার। মেয়েটি বেলা ১২-১টা অবদি নিয়মিত ঘুমোয়, তারপর উঠেই হুকুম চালানো শুরু করে, চা দাও, খেতে দাও, জামা-কাপড় কাচা হয়নি এখনও ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার আগেই শোনা ছিল, বাসায় রান্না-টান্না অরিজিতই করে, বউয়ের জামা-কাপড়ও কেচে দেয় আর বউয়ের ফাই-ফরমাইশও খাটে ( কি ভালো বর!!)। বউ রান্না করে না কেন, পারে না নাকি প্রশ্নের জবাবে জানা যায়, একটা ডাল-ভাত করতে গিয়ে যে পরিমাণ বাসন-পত্র সে ছড়ায় সেগুলো পরিষ্কার করতে গিয়ে অরিজিতের কালঘাম ছুটে যায়, আর নিজের রান্না নিজেই খেতে পারে না বলে প্রচুর চেঁচামেচিও হয়, কাজেই মাছ-ভাত-ঝোল-শুক্তো-ভাজা অরিজিত নিজেই করে, নিজে খায়, বউকে খাওয়ায় হাসি

এখন বাপের বাড়িতে এই জিনিসগুলো তার মা বরদাস্ত করতে রাজী নন, বিয়ের আগে করেছিলেন, আর নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন! বউ অরিজিতকে নিয়মিত ফোন করে জানায় এখন, সে কী ভীষণ মিস করছে বরকে। সে নাকি ভেবেছিল, একলা থাকতে পারবে কিন্তু এখন পারছে না, সে ফিরে যেতে চায় অরিজিতের কাছে। শুনে বেশ ভালো লাগলো, তাহলে তো সমস্যা মিটেই গেল, নিয়ে এসো.. আরে না, সমস্যা মিটলো কোথায়? ফিরে আসার পর তো আবার আমার মার খাওয়া শুরু হবে মন খারাপ

মানে? মার খাবে তুমি?? আমি রিতিমতো চীৎকার করে উঠি ঢাকের শব্দ সদ্য থামা নিস্তব্ধ রাতে। ও তোমাকে মারে নাকি?? হ্যাঁ, ও মারে তো প্রচন্ড! মেরে পাট পাট করে দেয় তো! আমি এত অবাক জীবনে কোনোদিন হইনি কাল রাতে অরিজিতের মার খাওয়ার কথা শুনে যতটা হয়েছি। এরপর যা শুনলাম, আমার দু:খ হবে কী, হাসতে হাসতে চোখে জল আসে, পেটে ব্যথা হয়ে যায়, আর এরপর থেকে যতবার মনে পড়ছে, হেসেই যাচ্ছি, এই দেখেন, এখনো হাসছি হাসি

বউয়ের হাতে মার খাওয়ার গল্প আমি আর শিনিনি বলে, খুঁটিয়ে জানতে চাইলাম, কেন মারে, কী দিয়ে মারে। শুনলাম, মেজাজ খারাপ হওয়া মাত্রই সে হাত চালায়, পা চালায়, মুখ চালায় মানে কামড়ায় আরকি, আর তারপর জিনিসপত্র ছুঁড়ে ছুঁড়ে মারে। জিনিসপত্র বলতে রুটি বেলার বেলনা-পিঁড়ি, বাটি-থালা-চামচ-গেলাস ইত্যাদি হাসি মাথায়-মুখে লাগলে তো তোমাকে হসপিটালে যেতে হবে অরিজিত! না না, মাথা আর মুখে ও মারে না, বেছে বেছেই মারে হাসি তবে মার খেতে আমার মাঝে মাঝে মন্দ লাগে না, গা-হাত ম্যাজম্যাজ করলে ও‌ই মার খেয়ে আমার সেটা চলে যায় হাসি

তুমি মারো না? না না, আমি ওকে এক হাত দিলে ওকে তক্ষুণি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে, আর এমন জায়গায় থাকি, যেখানে দিনের বেলায়ও গাড়ি-ঘোড়া পাওয়া যায় না! ওকে দেখোনি তো তুমি, ভীষণই রুগ্ন, ও যে আমাকে মারতে আসে আমি যদি সেটাও আটকানোর চেষ্টা করি তো ওর হাত ভেঙে যাবে, এমনই রুগ্ন! বলতে বলতে বিষন্ন হয়ে আসে অরিজিতের গলা.. আমি তখন হাসতে হাসতে একবার অলরেডি বিষম খেয়ে ফেলেছি, অরিজিতের বিষন্ন গলা শুনেও থামতে পারি না, চেষ্টা করে সিরিয়াস হই, কী ভাবছ এখন? ভাবার কিচু নেই আসলে, টিকিট কেটে দিয়েছি, পুজো শেষ হলে ও চলে আসবে, ও তো কোনো চাকরী-বাকরিও করে না, আর ও কষ্ট করবে, হোমে থাকবে, সেটাই বা আমি মেনে নেব কী করে..

আমি অরিজিতকে তক্ষুণি বলি, কাল সকালে আমার ব্লগটা একটু দেখো, আমি কিন্তু লিখছি এটা হাসি


মন্তব্য

হাসিব এর ছবি

লেখার টোনটা হাসির হৈলেও আমার খারাপই লাগছে শেষপন্ত ।

শ্যাজা এর ছবি
আলমগীর এর ছবি

নচিকেতা চক্রবর্তীর গান থেকে এসছে কথাটা:
জনতা জনার্দন শুনে হবেন বড় প্রীত
পুরুষ মানুষ দু'প্রকার, জীবিত বিবাহিত।
পুরুষ মানুষ বেঁচে থাকে, বিয়ে করার আগে গো
বিবাহিত মানে প্রকারন্তরেতে মৃত
পুরুষ মানুষ দু'প্রকার, জীবিত বিবাহিত।
--
কাহিনীটা তো মন খারাপ করার মন খারাপ

হাসিব এর ছবি

নচিকেতার গানের বহুত আগে থেকেই কথাটা প্রচলিত ।

অতিথি লেখক এর ছবি

নচিকেতার গানের বহুত আগে থেকেই কথাটা প্রচলিত

বস, মাইন্ড খাইয়েন না। একটু খোলাসা করে বলবেন প্লিজ।
আসলে বলতে চাচ্ছিলাম, সম্ভবত আমার মতো বেশি সঙ্খক মানুষই নচিকেতার গানের আগে কোথাও এই কথাটা শুনেনি।

অতিথি লেখক এর ছবি

চিনি মিঠা গুড় মিঠা মিঠা দুধের সর
তারচাইতে অধিক মিঠা বউয়ের নরম হাতের চড়।

এরকম অনেক অরিজিত আছে চারপাশে ! লিখে যান।

অতিথি লেখক এর ছবি

শ্যাজাপু, দিলেনতো সব কিছু ফাঁশ কর !
আহারে বেচারা অরিজিত...
তারপরও সবাই একটা সময়ে এসে জীবিত থাকবার চাইনা, বিবাহিত হইবার চাই। কেনু? ... ...
-----------------
শিকড়ের টান

শ্যাজা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আলমগীর

কাহিনী অবশ্যই মন খারাপ করার কিন্তু এত ভ্যানতারা-ধানাই-পানাই কইরা লেখনের পরেও যদি মন খারাপ হয় তো আমি লিখতেই পারি নাই মন খারাপ

ইশশ..

লেখা ছাড়ি দিতে হইব লাগে মন খারাপ

------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...

হাসিব এর ছবি

শেষ বিচারে মানুষ-পৃথিবীর বেশীরভাগ কাহিনীই মন খারাপের । একারনে মানুষ-পৃথিবী নিয়ে লিখতে গেলে সেটাতে মন খারাপের উপাদান এড়ানো যাবে না । এড়ানোর চিন্তা করলে সেটা হবে খন্ডিত চিন্তা ।

রণদীপম বসু এর ছবি

মানুষ আসলে বিষণ্নতায়ই বেঁচে থাকে............

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এইটা কিছুটা একপক্ষীয় হয়ে গেলো মনে হইলো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তানবীরা এর ছবি

শ্যাজাদি, লা নুই বেংগলীর মতো মৈত্রীয় দেবীর ভার্সনটা আসুক, এর পরের পর্বে।

**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

শ্যাজা এর ছবি

হ।

একপক্ষীয়ই ত। আরেকপক্ষের কথা শুনতে গেলে আমার খবর আছে খাইছে

------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...

নীল মানব [অতিথি] এর ছবি

চলুক ....

megh এর ছবি

হাসি পাইসে লেখার ইস্টাইলে, কিন্তু কথাটা একবার ভাবো শ্যাজা, এইভাবে মাইর খাওয়া..ঈশশশসসসইইই.......রে....ভাবন যায়!

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

জীবিত আছি ভাল আছি!!

------------------------
আমার ফ্লিকার

---------------------
আমার ফ্লিকার

দময়ন্তী এর ছবি

আমি কেন যেন এটায় হাসির কিছু খুঁজে পেলাম না৷ মন খারাপ
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

হাসিবের সাথে একমত, জীবিত না বিবাহিত কথাটা অনেক আগে থাকেই প্রচলিত। আমি নচিকেতার প্রথম গানের ক্যাসেট বেরোনোর আগ থেকে কথাটা শুনছি ও ব্যবহার করেছি।

শ্যাজার কাছে বোধহয় হাসির লেগেছে এতো রুগ্ন একটা মেয়ে এইভাবে তার বরকে মারে একথা শোনে। এবং এত কান্ডকারখানার পরও তার বর আরো মার খাওয়ার আশংকা থাকা সত্ত্বেও টিকিট পাঠিয়েছে শুনলে হাসি আটকাতে পারার কথা না।

বরটা কেন এইরকম সিদ্ধান্ত নিচ্ছে - এর কতটা স্নেহ (দেখাই যাচ্ছে স্নেহটা মা-এর চেয়ে বরেরই বেশি) - তা নিয়ে সন্দেহ করা যায়। তবে সম্পর্কের রসায়ন জুটিতে জুটিতে ভীষণ আলাদা।

খারাপ একটা সামাজিক দিক আছে। আমার ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর ডিভোর্সের সূত্রে জানতে পেরেছিলাম। সেটা হলো 'ওই ব্যাটা বউ রাখতে পারে না' - বাঙালি পুরুষদের জন্য এক বিরাট অপবাদ। এই অপবাদ মাথায় নিয়ে একটা দিনও বাঁচতে পারে না। ফলে চলে যাওয়া বউ যদি তিন সংসার ঘুরে আবারও ফিরে আসতে চায় দেখা যাবে অনেক বাঙালি পুরুষই সাগ্রহে রাজি হবে। আমার মনে হয় নিজের যোগ্যতা/চরিত্র প্রমাণের একটা সুযোগ পাওয়ার কারণেই তারা এই আত্মবলি দেয়।

মার খেয়ে যে আপনার বন্ধু আরাম পায় তা খুব একটা নতুন নয়। কিছু লোক পয়সা দিয়ে মুখোশ আঁটা চামড়ার পোষাক পড়া নারীদের হাতে চাবুকের বাড়ি খেয়ে আসে - তাতে নাকি তারা সুখ পায়। অরিজিততো ঘরে বিনা পয়সাতেই সেই সুখ পাচ্ছে। হাসি

(বি:দ্র: আগেই বলে রাখি আপনার লেখা পড়ে অরিজিত কিছু মাইন্ড করবে না। পুরুষকূলও না। তবে নারীকূলের অনেকেই গোস্বা করবেন। কারণ তারা ধরে নেবেন আপনি স্ত্রীটির (পরোক্ষে স্ত্রীকূলের) বদনাম করছেন। আক্রান্ত হওয়ার আগে ঘোষণা দিন যে এটা একটা ব্যতিক্রমী ঘটনা, অথবা অবাস্তব ও কাল্পনিক।)
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

নজমুল আলবাব এর ছবি

শোহেইল ভাই এর কমেন্টে একটা উত্তম জাঝা!

আমরাও এমন কমেন্ট প্রায়শই আশা করি আপনার কাছে। কিন্তু সেই সময়টা আপনার হয়ে উঠে না। পুড়া কপাল আমাদের। মন খারাপ

আচ্ছা শ্যাজাদি কি এখন থেকে ঘরের শত্রু বিভিষনের মতো নারীর শত্রু শ্যাজা হয়ে যাবেন? আশা করি একটামাত্র লেখায় সেটা হবে না। হাসি

------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

শ্রদ্ধেয় শোহেইল মতাহির চৌধুরী্র মন্তব্যে উত্তম জাঝা!

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

জি.এম.তানিম এর ছবি

কেউ মার খায় স্বামীর হাতে, কেউ স্ত্রীর... কিন্তু পার্থক্য হল স্ত্রীর প্রহারে মৃত্যু ঘটে না কোন ছেলের... আর এর উল্টোটা দেখছি হরহামেশাই।
সমকালীন কিছু ঘটনায় মনটা বিষিয়ে আছে... লেখা ভালো লেগেছে।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

নাজনীন খলিল এর ছবি

আহারে বেচারা!

বেশ মজাই পেলাম পড়ে।

শুভেচ্ছা।

কারুবাসনা এর ছবি

অনতিক্রম্য।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।

অতিথি লেখক এর ছবি

কাহিনীটা গল্পের জন্য যতেষ্ঠ ভালো মনে হলেও কেন জানি বাস্তবতা এর চেয়ে আরেকটু সহজই মনে হয়।
/
ভণ্ড_মানব

অতিথি লেখক এর ছবি

হাহ হাহ হা.... মজা পাইসি!

অন্যের দুঃখ নিয়ে হাসি তামাশা করা ঠিক না :-B

-কাঠপেন্সিল

---------------------------------------------------------

কেমন করে বলো ঐখানে যাই....যেখানে তুমি আর তোমরা আছো সবাই।

সচেতনা এর ছবি

বহুদিন পরে এখানে এসে এই লেখাটা পড়ে খুব খারাপ লাগছে। বাজে লেখা ভেবে অন্য লেখায় ঝট করে চলে গেলেই ভাল হতো হয়তো, কিন্তু এই ঘটনার মধ্যে মজা কোথায় বোঝার চেষ্টা করতে চাই, কোথায় মজাটা আসলে? একজন মেয়ের হাতে কোন পুরুষ মার খাচ্ছে সেটা না কি এত মার খেয়েও ছেলেটি সহানুভূতির সাথে তাকে নিজের কাছে ফিরিয়ে আনছে সেটা? কোনটা মজার? একজন মেয়ে পড়ে পড়ে মার খেলে যেমন সেটা মজার হয় না, তেমনি কোন পুরুষ মার খেলেও তা মজার নয়। মেয়েরা মার খেয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে মার দিতে না পারলে (পরিস্থিতির শিকার হয়েও পাল্টা মার দেওয়া যায়, সমাজ এক জায়গায় বসে নেই) সেই মেয়ে যেমন সহানুভূতির যোগ্য নয় পুরুষটির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

এই সম্পর্কের মধ্যে আর যাই থাকুক স্নেহ/ভালবাসার ছিঁটেফোঁটাও আছে বলে মনে হয়না। ছেলেটির আত্মসম্মান জ্ঞান আসলে খুব কম বা নিজের মূল্য বোঝার ক্ষমতা কম মানুষ হিসেবে, মেয়েটি হয় অতি আদুরে বাঁদর নয় রীতিমত অসুস্থ শারীরিক ও মানসিকভাবে। আমাদের সমাজে কেন সব সমাজেই অস্বাভাবিক সম্পর্কের অভাব নেই, তবে অস্বাভাবিকতাকে মজা হিসেবে নেওয়ার মধ্যে আর যাই হোক না কেন মজা কিছু খুঁজে পাচ্ছিনা।

ধ্যুস, মনটাই খারাপ হয়ে গেল --- বেকার বেকার অন্যের জন্য।

ধূসর জলছবি এর ছবি

চলুক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।