সাবধান, খুব সাবধান...

সবজান্তা এর ছবি
লিখেছেন সবজান্তা (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৭/১১/২০০৮ - ২:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

০১


গত পরশু রাতে এক বন্ধু মেসেঞ্জারে নক করে একটা লিঙ্ক দিয়ে বললো, “মামা জটিল জিনিশ। মিস করিস না......”। লিঙ্কের দিকে তাকিয়ে দেখলাম একটা বিখ্যাত ইন্ডিয়ান পর্ন এবং “মাসালা” ফোরামের একটি পোস্টের লিঙ্ক। বহুকাল আগে এই ফোরামের একজন মডারেটরের সাথে এক টেকি ফোরামে বেশ সখ্যতা হয়েছিলো, ওর অনুরোধেই কয়েকবার গিয়েছিলাম এই ফোরামে। যাই হোক, বন্ধু মানুষ যখন এতবার বলছে মিস না করার জন্য, আমিও খুবই আগ্রহ ভরে লিঙ্কে ক্লিক করলাম। থ্রেডটা মূলত হচ্ছে বাংলাদেশী টিভি অভিনেত্রীদের নিয়ে। তাদের বিভিন্ন ওয়ালপেপার কিংবা ক্যাপচার করা ছবি নিয়ে। আমি তখনো বুঝতে পারছি না, টিভি নায়িকাদের এরকম “নিরামিষ” ছবি দেখার লিঙ্ক কেন আমাকে দিলো। অলসভাবে কয়েক পাতা দেখার পর যখন অধৈর্য্য হয়ে বের হয়ে যাওয়ার মনস্থির করেছি, তখনই একটা পাতায় যা দেখলাম তাতে আমার চোখ কপালে উঠে গেল।

০২


গোটা পাতা জুড়েই আমার পরিচিত সব মুখ। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার ব্যাচমেট কিছু মেয়ের ছবি পাতার পর পাতা জুড়ে। ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে ওদের বন্ধুদের মধ্যে কোন ঘরোয়া আড্ডার ছবি। সবাই ক্যাজুয়াল ভঙ্গিমায় আড্ডা মারছে, খাওয়া দাওয়া করছে এসবই। বিস্ময়ের ঘোর তখনি কাটে নি, এর মধ্যে শেষের দিকে একটা পাতায় দেখি আমার খুবই পরিচিত এবং প্রিয় এক আপুর ছবি। চারপাশ দেখেই বোঝা যাচ্ছে কোন এক বিয়ে বাড়িতে তোলা ছবি। শুধু ছবিগুলো দেখলেও হয়তো অতোটা ভয়াবহ লাগতো না, যদি না এর সাথে মানুষের নোংরা মন্তব্যগুলি দেখতাম। যিনি পোস্ট করেছেন এবং দর্শকদের অনেকেই কুৎসিত সব মন্তব্য ছুড়ে দিচ্ছেন ছবির মেয়েগুলির দিকে। আমার পরিচিত এইসব মানুষের উদ্দেশ্যে করা এইসব নোংরা মন্তব্যে হঠাৎ করে আমার প্রচন্ড কষ্ট হতে লাগলো। এই মানুষগুলি হয়তো জানেনও না, তাঁদের অজান্তে তারা কতটা তীব্রভাবে লাঞ্ছিত, অপমানিত হচ্ছেন।

০৩


প্রশ্ন উঠতে পারে যদি ছবি থাকেও তাতে কী সমস্যা হতে পারে ? ছবি পাওয়া তো আজকাল কঠিণ কিছু না।

একমত। আজকাল ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে যে কারো ছবি পাওয়াই কোন কঠিন কাজ না। কিন্তু এ ধরণের পর্ন কিংবা মাসালা ফোরামে মূলত অনেক ধরণের লোক ঘোরাঘুরি করে। এদের মধ্যে অনেকেরই মানসিকতা বিকৃত। তারা অনেকেই যে কাজ করেন, অচেনা চেহারার মেয়েগুলির ছবি থেকে গলা আলাদা করে, কোন নগ্ন নারীদেহের ছবির সাথে জোড়া লাগিয়ে দেয়। একটা সময় ছিলো যখন গলাকাটা ছবি দেখলেই আলাদা করা যেত। কিন্তু ফটোশপের উত্তরোত্তর উন্নতির কারণে ব্যাপারটা এখন ভয়াবহ পর্যায়ে চলে গিয়েছে। মাত্র কিছুদিন আগেই আমার এক বন্ধু যে অত্যন্ত চৌকশ গ্রাফিক ডিজাইনার, আমাকে দেখিয়েছে, কী সহজেই গলাকাটা ছবি নিঁখুতভাবে বানানো যায় ফটোশপ দিয়ে। এ ধরণের কাজ করে মূলত তারা বিভিন্ন ফোরামে দিয়ে দেয়, যাতে “রেয়ার ফটো শেয়ারিং” এর কারণে প্রচুর প্রশংসিত হন, পুরো ব্যাপারটাই ভার্চুয়াল। এতটুকুও হয়তো ভয়ঙ্করতম না, কিন্তু ভাবুন একবার, এই মেয়েগুলিকে বাস্তবের পৃথিবীতে চেনে এমন কেউ কোন ফোরামে দেখলো, সে কী ভাবতে পারে ? কিংবা কেউ যদি শত্রুতাবশত এ ছবিগুলোকে ব্যবহার করে, তার পরিনতি কি হতে পারে ভেবে দেখেছেন ? শুধু এটুকু ভাবতেই আমার গায়ের লোম ভয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলো।

০৪


এ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কী করা যেতে পারে, এটা চিন্তা করলে আসলে কিছুটা হতাশই হতে হয়। প্রযুক্তি ব্যাপারটাই এমন জ্যামিতিকহারে সহজলভ্য ও উন্নত হওয়া শুরু করেছে, যে আমাদের অসহায় হয়ে বসে থাকতে হয়। রাস্তাঘাটে প্রচুর দেখি মোবাইল ক্যামেরা নিয়ে ছেলেরা লুকিয়ে মেয়েদের ছবি তুলছে, বিশেষত মেয়েদের কোন অসতর্ক মূহুর্তে যদি তার পোশাক খানিকটা সরে যায়, তাহলে তো আর কথাই নাই। বেশ কয়েকবার রাস্তাঘাটে এগুলো নিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করেছি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর লাভ হয় না। কয়জনকে আর এভাবে ঠেকানো সম্ভব।

তবু কিছুই কী করার নেই ? আছে। অনেক কিছুই করার আছে। মেয়েদের সবচেয়ে সাবধান হতে হবে ফেসবুকে ছবি আপলোড করার সময়। যে ঘটণার উল্লেখ করলাম, সে ছবিগুলোর ফাইল নেম প্যাটার্ন লক্ষ্য করলাম এসব ছবিই ফেসবুক থেকে নেওয়া। কাজেই প্রতিটা মেয়েরই উচিত এলবাম দেখার পারমিশন যতটা সম্ভব শক্ত করে নির্ধারণ করা। সবচেয়ে ভালো হয় যদি অচেনা কিংবা অল্প পরিচিত এবং যাকে বিশ্বাস করা যায় না এমন মানুষদের লিমিটেড প্রোফাইলে রাখা যায়, এবং ছবি দেখার অনুমতি না দেওয়া হয়। ফেসবুকে এখনো কোন না কোন উপায়ে ছবি ঠিকই দেখে ফেলা যায়, তাই এই পদ্ধতিতে কাজ হবেই তা নিশ্চিত না করা গেলেও এটা নিশ্চিত যে, ছবি চুরির হার অনেক অনেক কমে যাবে।

আরো একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে অপরিচিত কারো পেনড্রাইভ ব্যবহারের সময় সামনে থাকা। মেয়েদের অবশ্যই উচিত যতটা সম্ভব খেয়াল রাখা অচেনা/অল্পপরিচিত কিংবা বিশ্বাস করা যায় না এমন কেউ যখন তার পিসি বা ল্যাপটপ থেকে পেন ড্রাইভ দিয়ে কোন ডাটা নিবেন, তখন যেন কোন ছবিও কৌশলে পেনড্রাইভে ভরে না ফেলেন। সেই সাথে যারা ল্যানের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তাঁদের সাবধান থাকতে হবে তাঁদের কম্পিউটারের শেয়ারিং সেটিংস এবং ল্যানের নিরাপত্তা সম্পর্কে। ল্যান হ্যাক করেও প্রচুর ছবি বেহাত হতে আমি নিজেই দেখেছি। সামান্য একটু মনযোগই এ ঘটনা ঠেকাতে পারে।

এ সব বুদ্ধি দিয়ে হয়তো পুরোপুরি রোধ করা যাবে না, ছবি চুরি তবে এর মাত্রা এবং তীব্রতা যে অনেক অনেকাংশে কমে যাবে এতে নিঃসন্দেহ হতে পারি।

০৫


গতকাল রাতে শুয়ে শুয়ে চিন্তা করছিলাম পুরো ব্যাপারটা নিয়ে। নিজেকেই নিজের এত ছোট মনে হচ্ছিলো একজন ছেলে হিসেবে... মেয়েদের জন্য বেঁচে থাকার ব্যাপারটাই আমরা ক্রমশ কঠিন করে ফেলছি। আমরা কেউই আসলে নিজেদের ঘাড়ে এসে না পড়া পর্যন্ত ঘটনার তীব্রতা টের পাই না। আজ যদি আমার পরিচিত কারো ছবি না হত, হয়তো আমিও এত চিন্তিত হতাম না।

যারা এসব করেন তাদের প্রেমিকা, স্ত্রী কিংবা বোনও এর শিকার হতে পারেন এটা হয়ত তারাও জানেন না, কিংবা হয়তো জানেন কিন্তু তাদের কিছু আসে যায় না ......


মন্তব্য

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

বাংলাদেশ নেটোয়ার্কে ঢুকে দেইখেন, অন্তত অর্ধেক মেয়ের প্রোফাইল ওপেন অবস্থায় আছে, চাইলেই ঢুকে সব ছবি দেখে আসা যায় ... ফেসবুক বাই ডিফল্ট একই নেটোয়ার্কের সবাইকে ছবি এবং প্রোফাইল দেখার পার্মিশন দিয়ে রাখে, বেশিরভাগ মেয়েই সেটা বন্ধ করতে জানে না অথবা ঝামেলা মনে করে গা করে না ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ইন্টারনেট প্রাইভেসী এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং্যের নতুন মাত্রা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। ক'দিন আগে আমার এক পোস্টে খানিক আলাপ হয়েছিলো এ ব্যাপারে।

আমার ধারণা সব কিছু একটা বিবর্তনধারা পার করে। এই যে অধুনা সময়ে ক্যামেরাওলা মোবাইলের সহজলভ্যতা, ইন্টারনেট প্রসারের ব্যপ্তি ; এসব মিলিয়ে অন্যের তথ্য ছবি নিয়ে ব্ল্যাকমেলিং খুব স্বাভাবিক ঘটনা। এটাকে ঠেকানো যাবে না। তবে একসময় এসে এরকম ব্যাপারগুলো চমক হারাবে।
তাই বলে এখন সম্ভাব্য ভিক্টিমের উপর মূল দায়িত্ব চাপানো বা বোরখায় ঢাকা ঠিক সমর্থন করতে পারলাম না। সচেতনতার দরকার আছে, কিন্তু আরো বেশি প্রয়োজন আমাদের মননের পরিবর্তন। একটা উটকো ছবি দেখে যেনো কাউকে বিচার না করি। কথাটা বললাম, আপনার এই অংশের সুত্র ধরে - 'মেয়েদের সবচেয়ে সাবধান হতে হবে'
আর শুধু মেয়ে কেনো, ছেলেরাও হতে পারে এমন বিকৃতির শিকার।

ধন্যবাদ, সবজান্তা।

সবজান্তা এর ছবি

কোন অজুহাত হিসেবে বলতে চাচ্ছি না, তবুও বলি, আসলে লেখাটার অর্ধেক লেখার পর একটা জরুরী কাজের কারণে, বাকি অর্ধেক তাড়াহুড়োয় শেষ করতে হয়েছে। তাই খুব সম্ভবত আমি মূল জায়গায় এসে আমার চিন্তাটা ঠিক মত বোঝাতে পারি নি। আমি একদমই মনে করছি না যে, সব দায়িত্ব মেয়েদের বা এরকম কিছু। আমি শুধু বলতে চেয়েছি, মানসিকতার পরিবর্তন অবশ্যই মূল সমাধান, কিন্তু সেটা একদিনে আসবে না। আর আমার পোস্ট আসলে ওই অংশটুকুকে কাভার করে নয়। বিবর্তনের ধারা পার হয়ে আসতে আসতে কিংবা মানসিকতার পরিবর্তন হতে হতে হয়তো অনেক মেয়েই ক্ষতির শিকার হয়ে যাবেন। শুধু মাত্র এ সময়টুকুতে তারা কিছু পদ্ধতেই অবলম্বন করলেই বিপদ অনেক কমে যাবে। আমি শুধু এটুকুই বলতে চেয়েছি। আমার পোস্টের উদ্দেশ্য কোন মতেই এ তত্ব প্রচার নয় যে মেয়েদের "উচিত" সাবধান হওয়া কিংবা তাদেরই দোষ। এ শুধুই আপদকালীন কিছু বুদ্ধি।

তবুও লেখা দিয়ে কারো মনে আঘাত দিয়ে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। সন্ধ্যায় বাসায় এসে, লেখার মূলভাব টুকু প্রয়োজন বোধে নতুন করে লেখার কথা ভেবে দেখবো।

ধন্যবাদ শিমুল ভাই।


অলমিতি বিস্তারেণ

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আঘাত বা ক্ষমাপ্রার্থনার কিছু নেই, একেবারেই নেই -সবজান্তা।

আমাদের প্রচলিত ব্যবস্থায় মেয়েদের উপরে দোষ চাপানো হয় বলেই অমনটা বলেছি। আর কিছু না।

পথে হারানো মেয়ে এর ছবি

ফেইসবুকে নিউজ ফিড এর কল্যাণে অ্যালবামের প্রাইভেসি সেটিং সর্বোচ্চ হলেও, কারো কমেন্টের লিংক ধরে পুরো অ্যালবাম দেখে ফেলা যায়। তাই শুধু সতর্কতার সাথে সচেতনতাই বেশি জরুরি।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আসলে ফেসবুক কিংবা অন্যান্য সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ব্যবহারের আমরা অতটা পারদর্শী নই। সাধারণ ব্যবহারগুলোই মাত্র জানি। কাজেই প্রাইভেসি সেটিং-এর মতো বিষয়গুলো উটকো জটিল ঝামেলাই মনে হয়। আবার এইসব সমস্যা যে হতে পারে তা কখনো উপলদ্ধি করতে পারি না। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি এই দাঁড়িয়েছে। কাজেই মন মানসিকতার উন্নতি ও সচেতনতাই শেষ ভরসা বলেই আমার মনে হয়।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আঞ্চলিকতার কারণে সমস্যাটা অনেক বড়। যতোই সাবধানী হওয়া যাক, এইসব ঘটনা একেবারেই নিশ্চিহ্ণ হয়ে যাবে না। এইসব ঘটনাকে ট্যাকল করতে হলে যারা ছবি গুলো দেখবে তারা ঠিক থাকলেই হবে। কেউ যদি সবজান্তাকে একটা লিংক দিয়ে বলে দেখো, সবজান্তা দেখলো, এবং মুহূর্তেই বুঝে গেলো এটা প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ফাইজলামী। পরবর্তীতে উক্তজনের কাছ থেকে আসা যেকোনো লিংককেই সবজান্তা আস্তে করে সাইড লাইনের বাইরে পাঠিয়ে দিবে। এবং সবজান্তা লিংকদানকারীকে এটাও বলতে পারবে, "তুমি আমাকে আর এসব লিংক টিংক দিবা না ভাই, তুমি দুষ্টু!"

আজকে সবজান্তা, কালকে ধুসর গোধূলি- এভাবে যখন একে একে সবাই কেবল মেয়েদের ছবি দেখার ফ্যান্টাসী থেকে বেরিয়ে আসবে, তখনই এই জিনিষটা চার্ম হারাবে। ফেসবুকে ছবি লকাপে পুরেও লাভ হবে না কোনো।

বিবর্তনটা যে জেনারেশনের উপর দিয়ে যায়, বোধকরি স্যাক্রিফাইসটা সে জেনারেশনেরই বেশি করতে হয়। আমাদের এক্ষেত্রে স্যাক্রিফাইসটাই করা লাগবে। অন্যথা নেই। তবে একটা কথা মনে রাখা জরূরী, কারো কোনো উদ্ভট ছবি দেখেই যেনো আমরা চট করে কোনো কিছু ভেবে না বসি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

খুব সুচিন্তিত এবং সময়োপযোগী পোস্ট দিয়েছ। এসব ব্যাপারে মেয়েদের সতর্ক যেমন হতে হবে তেমন ছেলেদেকেও নীচু মনমানসিকতার বাইরে আসতে হবে।

--------------------------------------------------------

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ভালো লেখার জন্য ধন্যবাদ। বিষয়টা বেশ চিন্তার। আমাদের দেশের নব-নেট-ব্যবহারকারিদের এ-বিষয়ক জ্ঞান প্রদান জরুরী।

রানা মেহের এর ছবি

এই ব্যাপারটা আসলেই সমস্যা।

ধুসর গোধুলীর মন্তব্যে সহমত
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

যুধিষ্ঠির এর ছবি

শংকিত হই। আপনারা যারা বাংলাদেশে, বিশেষ করে কোন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে জড়িত আছেন, অথবা যাদের পরিচিতের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীরা আছে, তারা "সচেতনভাবে ফেসবুক ব্যবহার" জাতীয় সেমিনার-টেমিনার আয়োজন করার কথা ভেবে দেখতে পারেন। মিডিয়ার লোকজনরাও এক্ষেত্রে অনেক কিছু করতে পারেন। যত বিবর্তন আর পরিবর্তনই হোক, একটা বিকৃত মানসিকতার অংশ সবসময়ই থেকে যাবে প্রযুক্তির অপব্যবহারের জন্য, সবচাইতে নোংরা ভাবে। সচেতন হতে হবে ব্যবহারকারীকেই। পশ্চিমা মিডিয়াতে একটা কথা নানা প্রসঙ্গে প্রায়শ:ই শুনি, Buyer be aware - আইন এবং সরকার যত শক্তিশালীই হোক না কেন, কখনোই ক্রেতাকে পুরোপুরি রক্ষা করতে পারবে না। অতএব, সাধু সাবধান!

নিবিড় এর ছবি

এই ব্যাপারে সচেতনেতা বাড়ান উচিত , খালি মেয়েদের নয় ছেলেদের ।

তানবীরা এর ছবি

সচেতনতার দরকার আছে, কিন্তু আরো বেশি প্রয়োজন আমাদের মননের পরিবর্তন। একটা উটকো ছবি দেখে যেনো কাউকে বিচার না করি।

সহমত। একটা ছবি একটা মানুষের পরিচয় না। ছবির বাইরেও অনেক কথা থাকে। সেটা যেকোন ধরনের ছবিই হোক না কেনো।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

স্বপ্নাহত এর ছবি

কি বলবো। এমন কিছু দেখলে চরম মেজাজ খারাপ হয়। সত্যিই মেজাজ খারাপ হয়।
অনেকেই অনেক কিছু গুছায় লিখছে। কি করা উচিত । কি করা উচিত না।
আমি এত গুছায় কিছু ভাবতে পারিনা। শুধু ঐসব পশুরুপী মানুষের প্রতি নিজের ঘৃণাটুকু প্রকাশ করে গেলাম।

---------------------------------

বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

কল্পনা আক্তার [অতিথি] এর ছবি

উপকারী লেখা, সাবধানতার জন্য আজকে চেষ্টা করেছি "প্রাইভেসি সেটিং" টা একটু ঠিক করে নিতে কিন্তু কতটা সাবধান থাকতে পারবো বুঝতে পারছিনা।

............................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

সবজান্তা এর ছবি

সবাইকে ধন্যবাদ তাঁদের মন্তব্যের জন্য।

আমার এই লেখার মূল উদ্দেশ্য কিন্তু এর কোন সমাধান বের করা নয়। এর উদ্দেশ্য অনেকটা প্রকাশিত হয়েছে জেষ্ঠতম পান্ডব যুধিষ্ঠির এর মন্তব্যে। মন-মানসিকতার পরিবর্তন একটা লম্বা সময়ের ব্যাপার, কিংবা ছবি দেখে ভুল শুদ্ধ বিচার না করা - এ মানসিকতা আসাও সময়ের ব্যাপার। টেকনিক্যাল লোকজনের মাঝে হয়ত এ বোধ ছড়ানো সহজ হবে, কিন্তু নন টেকনিক্যাল পূর্ব প্রজন্মের কাছে এই বোধ সহজে যাবে না।

এ লেখার মাধ্যমে আমি শুধু এটাই বলতে চেয়েছি, সামান্য কিছু ব্যাপারে লক্ষ্য করলেই ঘটনার তীব্রতা অনেকাংশে কমে যায়। পুরো রোধ না করতে পারি,এটুকু নিশ্চয়ই আমরা করতেই পারি।


অলমিতি বিস্তারেণ

রণদীপম বসু এর ছবি

সময়োপযোগী ভালো পোস্ট। সবজান্তাকে ধন্যবাদ।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

তিথীডোর এর ছবি

কিচ্ছু বলার নেই...
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে!

--------------------------------------------------
"সুন্দরের হাত থেকে ভিক্ষা নিতে বসেছে হৃদয়/
নদীতীরে, বৃক্ষমূলে, হেমন্তের পাতাঝরা ঘাসে..."

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।