কোপেনহেগেনের খবর-৩

সচল জাহিদ এর ছবি
লিখেছেন সচল জাহিদ (তারিখ: শুক্র, ১৮/১২/২০০৯ - ২:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সমগ্র বিশ্ব তাকিয়ে আছে COP 15 সম্মেলনের শেষ দিনের দিকে, সারা বিশ্বের নেতারা একত্র হয়ে আসলেই কি মানবজাতিকে রক্ষার জন্য একটি ঐক্যমতে পৌঁছবে নাকি ভেঙ্গে যাবে আলোচনা?

কোপেনহেগেন সম্মেলন নিয়ে সিরিজ আলোচনার আজকের পর্বে থাকবে সম্মেলনের অষ্টম, নবম, দশম ও একাদশ দিনে ঘটে যাওয়া ঘটনার সারসংক্ষেপ। দ্বাদশ অর্থ্যাৎ শেষ দিনে সম্মেলনের ফলাফল জানার পর এর সফলতা ও ব্যার্থতা নিয়ে পরবর্তীতে থাকবে বিশ্লেষনধর্মী পোষ্ট।

পর্ব ১ পর্ব ২

অষ্টম দিন (১৪ ডিসেম্বর ২০০৯)

ভারতের পরিবেশ মন্ত্রী জয়রাম রমেশ ডিসেম্বর ১৫ তারিখ রাতের মধ্যেই একটি সম্ভাব্য চুক্তির বিষয়ে একমত হবার দাবী জানান কারন ১৬ তারিখ থেকে সরকার প্রধানরা সম্মেলনে আসতে শুরু করবেন এবং তার মতে সরকার প্রধানেরা আপস আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারবেননা বরং ব্যস্ত থাকবেন তাদের রাজনৈতিক বক্তৃতা তৈরী করতে। সুতরাং যা করার তারা আসার আগেই করতে হবে।

ফ্রান্স কার্বন নিঃসারণ কমাতে বনায়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করে।মেক্সিকো ও নরওয়ে গ্রীণ ফান্ডের প্রস্তাব করে যেখানে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বছরে ১০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করা হবে এবং ২০২০
সালের মধ্যে তা বর্ধিত করে ৩০ থেকে ৪০ বিলিয়ন ডলারে করা হবে।এই অর্থ আসবে জনগণের বাজেট থেকে ও কিছুটা কার্বন নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রা অকশনের মাধ্যমে ( অর্থ্যাৎ যদি কেউ বেশী নিঃসরণ করে তাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে)

যদিও মালয়শিয়া উন্নতদেশ গুলোর তুলনায় অনেক কম কার্বন নিঃসরণ করে তবুও তারা ঘোষণা দেয় যে তারা তাদের কার্বন নিঃসরণ কমাতে প্রস্তুত।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট মত প্রকাশ করেন যে কোপেনহেগেনে একটি সফল চুক্তি সম্ভব যদি বিশ্বের প্রধান কার্বন নিঃসরণকারী চারটি দেশ চীন, ভারত, ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্র নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রার ক্ষেত্রে একটি ঐক্যমতে আসে।

যদিও দরিদ্র দেশগুলোর প্রতিনিধিরা সম্মেলন সাময়িক ভাবে বয়কট করেছিল ধনী দেশগুলোর কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে কোন অঙ্গীকার না পেয়ে তবে তারা আবার আলোচনায় ফিরে আসে।

নবম দিন (১৫ ডিসেম্বর ২০০৯)

ব্রাজিল, দক্ষিন আফ্রিকা, ভারত ও চীন কে নিয়ে একটি অলিখিত জোট আছে যাকে বলা হয় BASIC ( B=Brazil, AS= South Africa, I=India, C=China) । এদের সাথে আফ্রিকান ইউনিয়নের ৫০ টি দেশ মিলিত হয়ে অলিখিত ABASIC জোট গঠন করে এবং কোপেনহেগেন চুক্তির একটি খসড়া দাঁড় করায়।

অষ্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী কোপেনহেগেন চুক্তির ব্যাপারে সবাইকে আরো নমনীয় হবার আহবান জানান এবং তা না হলে এটি একটি ব্যার্থ সম্মেলনে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

জাপানের পরিবেশমন্ত্রী বায়োডাইভার্সিটি রক্ষায় আগামী তিন বছরের জন্য ১০ বিলিয়ন ডলার অনুদান দেবার আশ্বাস দেন।

দক্ষিন কোরিয়া ২০২০ সালের মধ্যে ২০০৫ সালের মাত্রার ৪ শতাংশ হারে কার্বন নিঃসরণ কমানোর ঘোষণা দেয়।

দশম দিন (১৬ ডিসেম্বর ২০০৯)

বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন প্রথম সরকার প্রধান হিসেবে সম্মেলনে আসেন এবং এসেই তিনি ঘোষনা দেন যে কোপেনহেগেন সম্মেলনের বিফলতার দায়ভায় সারা বিশ্বের মানুষকে নিতে হবে। তবে অগ্রগতির গন্ধ পাওয়া যায় যখন আফ্রিকান গ্রুপের প্রধান আপসকারী মেলেস জেনাবির সাথে গর্ডন ব্রাউনের বৈঠকে একটি নতুন প্রস্তাবের আশ্বাস আসে যাতে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ একসাথে কাজ করতে পারে।

কিয়োটে প্রটোকলের নবায়ন হবে, না এটি বর্ধিত হবে, না এর পরিবর্তে নতুন চুক্তি হবে তা নিয়েই মূলত বিভিন্ন জোট নেতারা বিভক্ত কারন উন্নয়নশীন দেশগুলোর নেতারা মনে করেন কিয়োটো প্রটোকল আরো শক্তিশালী করে ও উন্নত দেশগুলোর জন্য বাধ্যতামূলক অঙ্গীকার যুক্ত করে নবায়ন করা উচিৎ। এক্ষেত্রে ভারতের পরিবেশমন্ত্রী উল্লেখ করেন উন্নত দেশগুলো এই প্রটোকল মেনে চলছেনা এবং আপাতত এই প্রটোকল মৃত না হলেও আই সি ইউ তে আছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট প্রতিনিধি জন কেরি ঘোষনা দেন যে জাতিসংঘ যদি কোপেনহেগেনে একটি ঐক্যমতে উপনত হয় তাহলে মার্কিন সিনেট তা ২০১০ এ পাশ করবে।

আফ্রিকান গ্রুপের প্রধান আপসকারী মেলেস জেনাবি তার নতুন প্রস্তাব উত্থাপন করেনঃ

  • জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যবস্থাপনা ও ক্ষতিপূরনের জন্য অর্থসংগ্রহ ২০১৩ সালের মধ্যে শুরু হবে।
  • ২০১৫ সালের মধ্যে বাৎসরিক ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহ করা হবে।
  • ২০২০ সালের মধ্যে বাৎসরিক ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহ করা হবে।
  • দরিদ্র দেশগুলোর জন্য এই অর্থের ন্যুনতম ৫০% ব্যবহার করা হবে।
  • এই অর্থ জনগনের কাছ থেকে না এসে বরং কার্বন কর ও কার্বন নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রা বিক্রয়ের মাধ্যমে আসা উচিৎ।

সম্মেলনের মাত্র দুই দিন আগেও বিশ্বনেতারা কোন সফল ঐক্যমতে পৌছতে না পারায় সম্মেলনের বাইরে অপেক্ষমান হাজার হাজার পরিবেশ আন্দোলনকারীরা তাদের স্লোগান অব্যহত রাখে।

তবে সবাইকে হতাশ করে দিয়ে সম্মেলনে জাতিসংঘের প্রতিনিধি ইভো দা বুর সম্মেলনের আপস প্রক্রিয়ার অপ্রত্যাশিত ইতি টানেন। তিনি বলেন যে আপসকারীদের কিছুটা সময় দরকার পরবর্তী আলোচনার জন্য তাদের কর্মপন্থা ঠিক করতে।তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এখনো সম্মেলনের সফলতা সম্ভব কারন কিছু অমিমাংসীত বিষয় আছে যা সম্মেলনের শেষ দুই দিনে বিশ্বনেতাদের বৈঠকে মিমাংসীত হবার আশা রয়েছে।

একাদশ দিন (১৭ ডিসেম্বর ২০০৯)

যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়। একথা অনস্বীকার্য যে ওবামা ও অন্যান্ন বিশ্বনেতাদের কাছে আশাব্যাঞ্জক কিছু প্রত্যাশা করার পূর্বে একথা জানা উচিৎ যে এরা আসলে এদের দেশের অভ্যন্তরীন রাজনীতির শিকার। ওবামা সম্মেলনে যোগদান করবেন ১৮ ডিসেম্বর অর্থাৎ শেষ দিনে কিন্তু তার আসলে ওয়াশিংটনের বাইরে বলার কিছু নেই। সিনেটের সিদ্ধান্তমতে যুক্তরাষ্ট্র ২০২০ সালের মধ্যে ২০০৫ সালের মাত্রার শতকরা ১৭ ভাগ কার্বন নিঃসরণ কমাবে আর উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য প্রস্তাবিত ১০ বিলিয়ন ডলার অর্থের একটি ন্যায্য অংশ দিবে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটনও সম্মেলনে ঘোষনা দেন যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্ন উন্নত দেশগুলোর সাথে আলোচনা করে ২০২০ সালের মধ্যে বাৎসরিক ১০০ বিলিয়ন ডলারের অনুদান সংগ্রহ করার প্রক্রিয়াকে গতিশীল করবে।তবে এক্ষেত্রে তিনি উন্নয়নশীল দেশগুলোকে তাদের কার্বন নিঃসরণের তথ্যের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ হবার আহবান করেন।

হিলারী ক্লিনটনের উপরোক্ত বক্তব্যের প্রেক্ষিতে চীনা উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হি ইয়েফি চীনের কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে গৃহীত পদক্ষেপের তথ্য প্রদানের আশ্বাস দেন।

একটি সফল চুক্তির জন্য জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা অবশেষে তাদের আলোচনার দুটি ভিন্ন পথ বের করে। এক, কিয়োটো প্রটোকল নিয়ে আলোচনা আর দু্‌ই, নতুন জলবায়ু পরিবর্তনের চুক্তি নিয়ে আলোচনা। এই দুটি ভিন্ন পথে আলোচনা কিয়োটো প্রটোকলের অখন্ডতাকে রক্ষা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর ধারণা উন্নত দেশগুলো সুযোগ পেলেই কিয়োটো প্রটোকলের ইতি টানার চেষ্টা করবে। সুতরাং জাতিসংঘের এই পদক্ষেপকে অনেকেই উন্নয়নশীল দেশগুলোর বিজয় বলে ধারণা করছে।

(সম্মেলনের ধারাবাহিক খবর সমাপ্ত)

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
কোপ ১৫ (COP 15) খ্যাত জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলনের প্রতিদিনের ঘটে যাওয়া গুরুত্ত্বপূর্ন খবর দিয়ে সাজানো হয়েছে এই সিরিজ।মূলত কোপ ১৫ এর নিউজ ওয়েবসাইট থেকে সংবাদগুলো সংগৃহীত ও অনূদিত।পাঠককে বিস্তারিত খবরের জন্য উল্লেখিত ওয়েবপেইজে যাবার অনুরোধ রইল।

কোপ ১৫ এর তথ্যের জন্য নিচের নিবন্ধ পড়তে পারেনঃ

বিশ্ব তাকিয়ে আছে কোপেনহেগেনের পানে


মন্তব্য

শান্ত [অতিথি] এর ছবি

শেষ পর্যন্ত কোন ভাল সিদ্ধান্ত হবে বলে আমি মনে করছি না। বড় বড় দেশগুলো শুধু টাকাই বরাদ্দ দেবে আর ছোট ছোট দেশগুলো সেই টাকা পেয়ে মুখ বুজে বসে থাকবে।

সচল জাহিদ এর ছবি

আমি আশা করছি অন্তত কিয়োটো প্রটোকলের মেয়াদ বর্ধিত হবে। দেখা যাক কি হয়।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

ফারুক হাসান এর ছবি

জাহিদ ভাই চলুক

সিরিজ শেষ পর্বে একটা অখন্ড পিডিএফ আশা করছি এমবেড করে দেবেন। খুব কাজে লাগবে।

এই ভিডিওটা সবার জন্য

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ ফারুক। পিডিএফ করে দেব নিশ্চয়ই। সম্মেলন কিছুটা হলেও সফল হোক সেই আশা করি।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অনিকেত এর ছবি

জাহিদ বস,
অসামান্য একটা কাজ করছ। গুরু গুরু

আজকেই পড়ছিলাম যে আজকের দিনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ----কোন একটা ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য। পৃথিবীর সারা বিপন্ন মানুষের মত একদিকে, আর আরেকদিকে চার অর্থগৃধ্নু দেশ। ২০২০ সালের মধ্যে ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমানোর জন্য কার্বন নিঃসরন নিয়ন্ত্রনে তাঁদের অনীহা দেখার মত।

আশায় বুক বেঁধে আছি।
দেখা যাক কী হয়---
আবারো অনেক ধন্যবাদ এই কস্টসাধ্য কিন্তু অতীব জরুরী কাজটা করার জন্যে।
শুভেচ্ছা নিরন্তর

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ অনিকেত ভাই।আমিও বসে আছি কি হয় দেখার জন্য।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক
লেখাটা আর আপনার কষ্টটাই মনে হচ্ছে জলে যাবে।
বিশ্বনেতারা আমাদের আশার গুড়ে বালিই ছিটিয়ে যাবেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সচল জাহিদ এর ছবি

দেখা যাক, সম্মেলনের খবরে দেখলাম জাতিসংঘ বিশ্বনেতাদের রাত পর্যন্ত আলোচনা চালিয়ে যাবার কথা বলেছে।

অফটপিকঃ 'আপনি' আসলো কোত্থেকে ??

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

স্যরি, মিসটেক হই গেছে... মাফ করি দেও
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

দুর্দান্ত এর ছবি

ওবামা বললেনঃ
"So America is going to continue on this course of action no matter what happens in Copenhagen."

আর তো আশা দেখি না।

সচল জাহিদ এর ছবি

পুরো বক্তব্য পড়ে আমার কিন্তু মনে হয়েছে ওবামা বলতে চেয়েছে যে কোপেনহেগেনে চুক্তি হোক বা না হোক যুক্তরাষ্ট্র কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য তাদের গবেষণা ও কার্য্যক্রমব্যহত রাখবে তবে সবাই মিলে কাজ করলে তা সহজ হবে। এই সব নেতারা কাজে যাই করুক বক্তব্যে এরা কিন্তু বেশ পটু।

"So America is going to continue on this course of action no matter what happens in Copenhagen." এই উক্তিটির আগের দু'টি প্যারা লক্ষ্য করুনঃ

"As the world’s largest economy and the world’s second largest emitter, America bears our share of responsibility in addressing climate change, and we intend to meet that responsibility. That is why we have renewed our leadership within international climate negotiations, and worked with other nations to phase out fossil fuel subsidies. And that is why we have taken bold action at home - by making historic investments in renewable energy; by putting our people to work increasing efficiency in our homes and buildings; and by pursuing comprehensive legislation to transform to a clean energy economy.

These actions are ambitious, and we are taking them not simply to meet our global responsibilities. We are convinced that changing the way that we produce and use energy is essential to America’s economic future - that it will create millions of new jobs, power new industry, keep us competitive, and spark new innovation. And we are convinced that changing the way we use energy is essential to America’s national security, because it will reduce our dependence on foreign oil, and help us deal with some of the dangers posed by climate change".

তবে আমি আগেও বলেছি ওবামার সাধ্য নাই কংগ্রেসের বাইরে কোন আশ্বাস দেবার। সিনেট যে সিদ্ধান্ত নেবে ওবামাকে তাই এখানে বলতে হবে।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

দুর্দান্ত এর ছবি

ঠিক আছে। তবে খেয়াল করুন, আমার উদ্ধৃত বাক্যটির আগে যে কথাগুলো বলা হয়েছে, তার সবগুলোই আমেরিকা আভ্যন্তরীন কর্মকান্ডের কথা, বাইরের দুনিয়াতে আমেরিকার দায়িত্ব বা কর্তব্যের কথাটা খুব সতর্কতার সাথে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
তবে আপনার এক কথাও ঠিক যে ওবামার সাধ্য নাই কংগ্রেসের বাইরে কোন আশ্বাস দেবার। সিনেট যে সিদ্ধান্ত নেবে ওবামাকে তাই এখানে বলতে হবে। আর সেই সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত সব কথাই ফাঁকা।

রণদীপম বসু এর ছবি

'কী আশায় বাঁধি খেলাঘর, বেদনার বালুচরে...!'

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সচল জাহিদ এর ছবি

সংসার সাগরে সুখ দুঃখ তরঙ্গের খেলা
আশা তার একমাত্র ভেলা।

ছোটবেলায় ভাবসম্প্রসারণ এই লাইনদুটি নিয়ে অনেকবার পরীক্ষার খাতায় অনেক কিছু লিখেছি, বাস্তবে কি হয় তাই এবার দেখি।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

সাহায্যের আপডেট বিষয়ে নিশ্চিত না ...
কার্বন নিঃসরণের হার দেখলাম খবরে বলসে, ২০৩০ সালের মাঝে ৫০ ভাগ আর ২০৫০ সালের মাঝে ৮০ ভাগ কমাবে...

_________________________________________

সেরিওজা

সচল জাহিদ এর ছবি

সুহান এখন পর্যন্ত সবই আসলে প্রস্তাব বিভিন্ন জোটের ও বিভিন্ন নেতাদের। সিদ্ধান্ত আজকের পর জানা যাবে।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

সচল জাহিদ এর ছবি

একটি ফাইল সংযুক্ত করার সময় লেখাটা উধাও হয়ে গিয়েছিল বলে আবার নতুন করে পোষ্ট দিয়েছিলাম। এখন আগের লেখাটা ফিরে পেয়ে ভাল লাগছে। নতুন পোষ্টটা তাই মুছে দিলাম।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

চলুক চলুক চলুক

দুর্বাশা তাপস এর ছবি

'মতানৈক্য' শব্দটা একাধিকবার ব্যবহৃত হয়েছে। আমি জানতাম শব্দটার অর্থ মতের অনৈক্য, কিন্তু এখানে ঐক্যমত অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। আমিই কি ভুল জানতাম?

==============================
আমিও যদি মরে যেতে পারতাম
তাহলে আমাকে প্রতি মুহূর্তে মরে যেতে হত না।

সচল জাহিদ এর ছবি

দূর্বাশা তাপস, অনেক ধন্যবাদ ভুলটি ধরিয়ে দেবার জন্য। ঠিক করে দিলাম।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।