বিশ্ব তাকিয়ে আছে কোপেনহেগেনের পানে

সচল জাহিদ এর ছবি
লিখেছেন সচল জাহিদ (তারিখ: শনি, ০৫/১২/২০০৯ - ১:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


১.
জলবায়ু পরিবর্তন আজ পৃথিবীর সামনে মূল সমস্যা। আমরা সাধারণ মানুষ অজান্তেই প্রকৃতিকে দোষারূপ করি, আরো ভাল করে বললে বিধাতাকেই এক হাত নিয়ে নেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়লে কিন্তু আমরা জানতে বা বুঝতে পারিনা বা বুঝলেও মাননে চেষ্টা করিনা যে প্রকৃতিকে আমরাই অবাধ্য করে তুলেছি। এখন এই অবাধ্য প্রকৃতিকে আবার বশে আনতে ফি বছর আমরা বিশ্বের নেতারা বৈঠকে বসছি, নিজেদের মধ্যে দর কষাকষি করছি কে কতটুকু দ্বায়িত্ত্ব নেব। COP 15 (15th Conferences of the Parties) খ্যাত এবারের বৈঠকটি হতে যাচ্ছে কোপেনহেগেনে ডিসেম্বরের ৭ থেকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত । ২০১২ তে কিয়োটো প্রটোকল এর মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে সুতরাং এই সম্মেলনের প্রধান উদ্দেশ্য তার আগেই জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক নতুন একটি আন্তর্জাতিক চুক্তির পথে এগিয়ে যাওয়া। কতটা গুরুত্ত্বপূর্ন এই সম্মেলন তার ধারণা দেবার জন্য COP 15 এর প্রেসিডেন্ট কনি হেডগার্ড (Connie Hedegaard) এর একটি উক্তিও যথেষ্ট, ‘Failure in Copenhagen is not an option’

২.
জলবায়ু পরিবর্তন কি তা খুব সহজ করে বলতে বা বুঝতে গেলে আমাদেরকে একটু বিজ্ঞান কপচাতে হবে। সূর্য্যই পৃথিবীর একমাত্র শক্তির উৎস এবং এই শক্তির যে অংশটুকু পৃথিবীতে এসে পৌছে তার কিছু অংশ আবার ফিয়ে যায়। যতটুকু থেকে যায় তা দিয়েই পৃথিবীর তাপমাত্রা নির্ণীত হয়, অঙ্ক কষলে যার পরিমান দাঁড়ায় -১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু মেপে দেখলে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা অনেক বেশী যার পরিমান ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে তাপমাত্রা বেড়ে গেল কিভাবে ? সূর্য্যের আলো পৃথিবীতে আসার সময় তার শক্তি থাকে অনেক কিন্তু পৃথিবীতে প্রতিফলিত বা বিচ্ছুরিত হবার পরে তার শক্তি যায় কমে। পৃথিবীটাকে বেষ্টন করে রেখেছে বায়ুমন্ডল যা অসংখ্য গ্যাসের সমন্বয়ে গড়া একটি মিশ্রণ। এর মধ্যে কিছু গ্যাস আছে যাদের ভেতর দিয়ে অধিক শক্তিশালী সূর্যের আলো বা খুদ্র তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশিষ্ট বিকিরণ প্রবেশ করতে পারে কিন্তু কম শক্তি সম্পন্ন প্রতিফলিত ও বিচ্ছুরিত আলো বা বৃহৎ তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশিষ্ট বিকিরণ বের হয়ে যেতে পারেনা, ফলে তারা বায়ুমন্ডলে আটকা পড়ে থাকে এবং পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়িয়ে -১৮ ডিগ্রি থেকে ১৪ ডিগ্রিতে নিয়ে আসে। এই বর্ধিত তাপমাত্রার ফলে পৃথিবীতে মানুষ বাস করতে পারে। এই গ্যাসগুলিই আমাদের কাছে গ্রীন হাউস গ্যাস বলে পরিচিত। মোটামুটি ভাবে বলতে গেলে এই গ্যাসের তালিকায় সর্বাগ্রে আছে জলীয়বাষ্প, তার পরে কার্বন-ডাই অক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড, ওজোন ও ক্লোরো ফ্লোরো কার্বন (সিএফসি)।

প্রকৃতির শুরুতে যখন থেকে পৃথিবী মানুষের বাসের উপযোগী হল তখন থেকেই এই গ্রীন হাউস গ্যাসগুলোর পরিমান এমন ছিল যে তা একটি সাম্যাবস্থা বজায় রাখত এবং পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা মোটামুটি একই রকম থাকত। অবস্থার উন্নয়ন মানুষের মজ্জাগত, সেই বোধ থেকেই মানুষ নিজের উন্নয়নের জন্য যন্ত্র বানালো যাকে শক্তি প্রদান করা হয় কার্বন পুড়িয়ে। বিপরীতভাবে গাছ কেটে নিজেদের কাজে লাগালো ফলে যারা এই কার্বন পোড়া গ্যাস অর্থ্যাৎ কার্বন ডাই অক্সাইড শুষে নিত তাদের সংখ্যা কমে যেতে লাগল। সুতরাং ধীরে ধীরে বায়ুমন্ডলে এই কার্বন ডাই অক্সাইড বেড়ে যেতে লাগল, যার ফলাফল গিয়ে দাঁড়ালো পৃথিবীর গড় তাপমাত্রার বৃদ্ধি।বিশেষ করে শিল্পায়ন বৃদ্ধির সাথে সাথে এই তাপমাত্রা বৃদ্ধিও সমহারে চলতে লাগল। এক হিসেব মতে, গত শতাব্দীতে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বেড়েছে .৭৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইপিসিসি (IPCC)এর গবেষণা মতে আমারা আমাদের উন্নয়ন কার্য্যক্রম অব্যহত রাখলে এই শতাব্দীতে পৃথিবীর তাপমাত্রা ১.১ ডিগ্রি থেকে ৬.৪ ডিগ্রি বৃদ্ধি পাবে।

৩.
প্রশ্ন আসতে পারে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়লে কি সমস্যা হবে? নাহয় একটু গরমইবা লাগল হাতপাখা দিয়ে বাতাস করে নেব, কিন্তু সমস্যা অন্যখানে। ছোটবেলায় বিজ্ঞান যা পড়েছি তাতে আমরা জানি যে তাপমাত্রা, চাপ একে অপরের সাথে সম্পর্ক যুক্ত। আর এই তাপ ও চাপই নিয়ন্ত্রন করে সার্বিক জলবায়ুর। সুতরাং পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির সাথে সাথে জলবায়ুর উপর এর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। খুব সহজ করে বলতে গেলে জলবায়ু পরিবর্তনের এখন পর্যন্ত গবেষণালব্ধ প্রভাব নিম্নরূপঃ [১]

অধিক খড়া ও অধিক বন্যাঃ

তাপমাত্রা বেড়ে গেলে মাটি ও সমুদ্রসমতল থেকে স্বতঃবাষ্পীভবন বেড়ে যাবে ফলে যেখান থেকে পানি উড়ে যাবে সেখানে খড়া হবে।আবার এই অতিরিক্ত উড়ে যাওয়া পানি বৃষ্টি আকারে অন্যস্থানে পড়বে ফলে সেই স্থানে বন্যা বেড়ে যাবে।

কম বরফ ও তুষারঃ

পেরেনিয়াল নদীগুলোর প্রবাহের একটি অংশ সারাবছর ধরে থাকে কারন এই নদীগুলোর উৎস হচ্ছে হিমবাহ (যেমন গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র) আর বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাতের ফলে এর প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে হিমবাহের বরফ বেশি গলে গেলে হিমবাহের আকার কমে যাবে ফলে আস্তে আস্তে নদীর মূল প্রবাহ কমে আসবে এবং এই নদীনির্ভর অঞ্চলগুলিতে খাবার পানির অভাব দেখা দিবে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের আধিক্যঃ

তাপপমাত্রা বৃদ্ধি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন ঝড়, সাইক্লোন, তাপদাহ এর মাত্রা ও সংঘটনের হার বাড়াবে।

সমুদ্রসমতলের উচ্চতা বৃদ্ধিঃ

মূলত দুই কারনে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে এটি জড়িত। প্রথমত, মেরু এলাকার গলিত বরফের কারনে সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে। দ্বিতীয়ত, তাপমাত্রা বাড়লে পদার্থের সে প্রসারণ হয় সে কারনে সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে।

৪.
এখন প্রশ্ন আসতে পারে এই জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে প্রভাব পড়বে কাদের উপর? নিঃসন্দেহে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলো এই কোপানলে সবার আগে পড়বে মূলত দু’টি কারনেঃ

প্রথমতঃ প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে উঠার মত যথেষ্ট পরিমান সুযোগ ও সাধ্য এই দেশগুলোর নেই ফলে এইসব দুর্যোগ দেশগুলোর অর্থনীতির কাঠামো ভেঙ্গে দিতে যথেষ্ট।

দ্বিতীয়তঃজলবায়ুর পরিবর্তন ঠেকাতে বিশ্বের সবাই গ্রীন হাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর উদ্যোগ নেবে। যেহেতু উন্নয়নশীল দেশগুলো মূলত কৃষি ও শিল্পায়ন এর উপর নির্ভরশীল তাই শিল্পায়ন কমানোর তাগিদে তাদের উন্নয়ন কার্য্যক্রম ব্যাহত হবে যার প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে।

৫.
কোপেনহেগেনে আমাদের প্রত্যাশা কি? এই সম্মেলনের প্রায় এক সপ্তাহ আগে ২০৫০ সালের মধ্যে গ্রীনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ ১৯৯০ সালের মাত্রার ৫০% এ নিয়ে আসার আহবান জানিয়েছে ডেনমার্ক, যদিও এই লক্ষ্যমাত্রা যথেষ্ট উচ্চাশার দাবী রাখে।

জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংস্থা United Nations Framework Convention on Climate Change (UNFCCC) এর নির্বাহী সচিব ইভো দা বুর (Yvo de Boer) এনভায়রনমেন্ট এন্ড এনার্জি পাবলিশিং এর সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন তিনি এই সম্মেলন থেকে মূলত চারটি আবশ্যিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রত্যাশা করছেন, [২]

একঃ শিল্পোন্নত দেশগুলি কি পরিমান গ্রীনহাউস গ্যাস নিঃসরণ বন্ধ করবে


দুইঃ প্রধান উন্নয়নশীল দেশ যেমন চীন ও ভারত তাদের গ্রীন হাউস গ্যাস নিঃসরণ কতটুকু নিয়ন্ত্রন করবে?


তিনঃ উন্নয়নশীল দেশগুলোর গ্রীনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর জন্য ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সাথে খাপ খাইয়ে উঠার জন্য কি পরিমান আর্থিক সহায়তা লাগবে


চারঃ প্রয়োজনীয় অর্থ কিভাবে যোগাড় ও ব্যবস্থাপনা করা হবে

আমরা তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র দেশের মানুষেরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছি এই সম্মেলনের দিকে কারন আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এখানে নেয়া সিদ্ধান্তের উপর। বিশেষ করে আসন্ন বৈরী প্রকৃতির সাথে নিজেদের খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য যে বিপুল পরিমান আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন তারও বরাদ্ধ হয়ত এই সম্মেলন থেকেই হবে। কোপেনহেগেন সফল হোক সেই সাথে বাঁচুক পরিবেশ বাঁচুক বিশ্ব সেই কামনা করি।

তথ্যসুত্রঃ

[১] ‘What consequences can we expect, and what can we do?’, Ministry of Climate and Energy of Denmark.

[২] ‘The essentials in Copenhagen’ Michael von Bülow

ছবিসুত্রঃ

‘Climate Change and Travel’, Telegraph (UK)


মন্তব্য

দুর্দান্ত এর ছবি

আপনার সাথে আমিও কোপেনহেগেন সফল হোক সেই সাথে বাঁচুক পরিবেশ বাঁচুক বিশ্ব সেই কামনা করি।

Yvo de Boer = ইভো দা বুর

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ দূর্দান্ত আপনার সহমতের জন্য। উচ্চারণ ঠিক করে দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ, সম্পাদনা করে দিলাম।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

স্বাধীন এর ছবি

বাঁচুক পরিবেশ বাঁচুক বিশ্ব ........

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ স্বাধীন ভাই।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

হাসিব এর ছবি

ইমেইল কেলেঙ্কারির বিষয়টা কি ?

সচল জাহিদ এর ছবি


যতটুকু তথ্য পাওয়া গেল তার আঙ্গিকে বললে ঘটনা কিছুটা এরকমঃ

ইংল্যান্ডের নরউইচ এর ইউনিভার্সিটি অফ ইষ্ট এঙ্গিলার ক্লাইমেট রিসার্চ ইউনিটের (CRU) সার্ভার থেকে এই বছরের নভেম্বরে বেশ কিছু গোপন ইমেইল ও নথিপত্র হ্যাক হয়। ইমেইলগুলি ছিল মূলত জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা বিশ্বের প্রথমসারীর কিছু গবেষকদের মধ্যে আলোচনা ও পর্যালোচনা। হ্যাক হওয়া এমেইলগুলি প্রথমে রিয়াল ক্লাইমেট এর ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয় তবে তার আগে রিয়াল ক্লাইমেট এর ওয়েবসাইটও হ্যাক করা হয়।পরে তা একটি রাশিয়ান সার্ভারে আপলোড করা হয়।

হ্যাক করা ইমেইলগুলির মধ্যে কিছু বিতর্কিত গবেষনার খবর প্রকাশ পায় যাতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে ম্যানিপুলেট করার বিষয় চলে আসে। বিশেষ করে CRU এর প্রধান অধ্যাপক ফিল জোন্সের একটি হ্যাক হওয়া ইমেইল এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য [১]

"I've just completed Mike's Nature trick of adding in the real temps to each series for the last 20 years (ie from 1981 onwards) and from 1961 for Keith's to hide the decline. Mike's series got the annual land and marine values while the other two got April-Sept for NH land N of 20N. The latter two are real for 1999, while the estimate for 1999 for NH combined is +0.44C wrt 61-90. The Global estimate for 1999 with data through Oct +is 0.35C cf. 0.57 for 1998."

তবে প্রফেসর জোন্স এর জবাব দিয়েছেন এইভাবে [১],

The email, which I can confirm is genuine, has caused a great deal of ill-informed comment, but has been taken completely out of context and I want to put the record straight.

The first thing to point out is that this refers to one diagram - not a scientific paper - which was used in the World Meteorological Organisation's statement on the status of the global climate in 1999 (WMO-no.913).

The diagram consisted of three curves showing 50-year average temperature variations for the last 1000 years. Each curve referred to a scientific paper and a key gives their details.

Climate records consist of actual temperature records from the mid-19th century and proxy data (tree rings, coral, ice cores, etc) which go back much further. The green curve on the diagram included proxy data up to 1960 but only actual temperatures from 1961 onwards. This is what is being discussed in the email.

The word 'trick' was used here colloquially as in a clever thing to do. It is ludicrous to suggest that it refers to anything untoward.

অনেকে ধারনা করছেন আসন্ন কোপেনহেগেন সম্মেলনের আগে এটা এক ধরনের সাবোটাজ।

তথ্যসুত্রঃ ক্লাইমেট রিসার্চ ইউনিট , ইউনিভার্সিটি অফ ইষ্ট এঙ্গিলা আপডেট


----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

দুর্দান্ত এর ছবি

গতকাল সৌদি প্রতিনিধির বলা কিছু কথা থেকে কিছুটা আভাষ পাওয়া যায় এই কেলেঙ্কারি কাদের কাজে আসবেঃ

It appears from the details of the scandal that there is no relationship whatsoever between human activities and climate change

হাসিব এর ছবি

সৌদি গর্দভগুলো যা মনে থাকে বলে ফেলে । আমি নিশ্চিত সৌদি ছাড়াও অনেক কাকুরা বগল বাজাচ্ছে এটা নিয়ে ।

হাসিব এর ছবি

হমম, গবেষণায় এই ইমেইলটার কোন তাৎপর্য না থাকলেও এর রাজনৈতিক প্রভাব অনেক । অন্তত গত কিছুদিনের মিডিয়া সেরকমটাই বলে ।

ফয়সাল কবীর শুভ এর ছবি

জাহিদ ভাই, সুন্দর একটি পোষ্ট। আমাদের অনেকেই শুধু হট টপিক হিসেবে শুধু 'জলবায়ু পরিবর্তন' 'উষনায়ন' এসব শুধু শুনেই যায় ব্যাপারটা যে আসলে কোথা থেকে আসলো বা কেনই বা বিপজ্জনক অনেকেই জানিনা। ব্যাপারটা সহজ করে তুলে ধরার জন্যে ধন্যবাদ।

সচল জাহিদ এর ছবি

অনুপ্রেরণার জন্য ধন্যবাদ শুভ। আসলে বিষয়টি খুবই গুরুত্ত্বপূর্ণ তাই এমন ভাবে লেখার চেষ্ট করেছি যেন সাধারণ পাঠকরাও বুঝতে পারেন।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

নৈষাদ এর ছবি

চমৎকার ভাবে তুলে ধরা হয়েছে ব্যাপারটা। সবার সাথে সাথে আমিও কোপেনহেগেন বৈঠক সফল হোক সেই সাথে বাঁচুক পরিবেশ এবং এই বিশ্ব সেই কামনা করি।

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ নৈষাদ।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

স্বপ্নহারা এর ছবি

খুউব ভাল লাগল! এত্ত সহজ করে লিখেছেন...সবই জানা কথা কিন্তু লিঙ্কটা পরিষ্কার বুঝতাম না! কয়দিন আগে একজন জিজ্ঞেস করেছিল, এই সম্মেলন কী খায় না গায়ে মাখার জিনিস? তবে আমি খুব একটা আশাবাদী হতে পারছিনা...হয়ত কিছু গালভরা বুলিই শুনব...মন খারাপ

-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ স্বপ্নহারা। আসলে এই সম্মেলন আমাদের মত দেশগুলির জন্য আশা নিয়ে এসেছে। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির প্রতিনিধিদের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ভালমত তুলে ধরতে হবে।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

নাশতারান এর ছবি

এত সাবলীলভাবে ব্যাপারটা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
আশাবাদী হতে চাচ্ছি কিন্তু ভয়ও পাচ্ছি।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ বুনোহাঁস। আশাবাদী হবার কোন বিকল্প নেই।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

তানভীর এর ছবি

কাজের পোস্ট চলুক

সূর্য্যই পৃথিবীর একমাত্র শক্তির উৎস এবং এই শক্তির যে অংশটুকু পৃথিবীতে এসে পৌছে তার কিছু অংশ আবার ফিয়ে যায়। যতটুকু থেকে যায় তা দিয়েই পৃথিবীর তাপমাত্রা নির্ণীত হয়, অঙ্ক কষলে যার পরিমান দাঁড়ায় -১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু মেপে দেখলে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা অনেক বেশী যার পরিমান ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।...ফলে তারা বায়ুমন্ডলে আটকা পড়ে থাকে এবং পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়িয়ে -১৮ ডিগ্রি থেকে ১৪ ডিগ্রিতে নিয়ে আসে। এই বর্ধিত তাপমাত্রার ফলে পৃথিবীতে মানুষ বাস করতে পারে।

এ তথ্যগুলো পুরোপুরি সঠিক নয়। সূর্য পৃথিবীর তাপশক্তির একটা উৎস, অন্য উৎসটি হলো পৃথিবী নিজেই। আমরা জানি সৃষ্টির শুরুতে পৃথিবী ভীষণ উত্তপ্ত অবস্থায় ছিল। ধীরে ধীরে এর বহির্ভাগ ঠাণ্ডা হয়ে আমাদের বাসযোগ্য হয়েছে। কিন্তু ভেতরে এখনো প্রচণ্ড উত্তপ্ত রয়ে গেছে। পৃথিবীর তাপমাত্রা নির্ধারণে এই অন্তগর্ত তাপশক্তিরও একটি বিশাল ভূমিকা রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন তথা গ্লোবাল ওয়ার্মিং অথবা শীতলীকরণ এগুলো নতুন কোন ঘটনা নয়। নিকট অতীতে যদি তাকাই মাত্র এক হাজার বছর আগেই ছিল উষ্ণ মধ্যযুগ যখন সমুদ্রের গড় তাপমাত্রা এখনকার চেয়ে এক ডিগ্রি বেশি ছিল। এর পরপর ছিল ক্ষুদ্র বরফ যুগ যখন ইউরোপ ছিল অনেক শীতল। আরো অতীতে যদি দেখি মেরুঅঞ্চলে বরফের পরিবর্তে ছিল ট্রপিকাল আবহাওয়া এবং তখন গ্রীন হাউস গ্যাসের নিঃসরণ এখনকার চেয়ে অনেক বেশি ছিল, সেখানে হয়তো ডাইনোসর এবং আরো উষ্ণ সব প্রাণী ঘুরে বেড়াত।

তবে এগুলো কোন ঘটনা না। আসল কথা হলো গত প্রায় এক দেড় হাজার বছর পৃথিবীর তাপমাত্রা মোটামুটি স্টেবল পর্যায়ে ছিল এবং আমরা প্রায় দশ-বারো হাজার বছরের একটি আন্ত-গ্লেসিয়ার যুগ শেষ করে (যেগুলো সাধারণত উষ্ণ হয় এবং হিসেব করলে দেখা যাবে মানব সভ্যতার সমৃদ্ধির ইতিহাসও মাত্র এই গত দশ-বারো হাজার বছরের) স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আরেকটি গ্লেসিয়ার যুগের দিকে হাঁটি হাঁটি পা বাড়াচ্ছিলাম; কিন্তু মানুষের কার্বন নিঃসরণ পৃথিবীর যে স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকার কথা তাকে বাড়িয়ে চলেছে। এতে আসলে পৃথিবীর কোন সমস্যা নেই। কারণ পৃথিবী আগে এর চেয়েও অনেক বেশি তাপমাত্রা ও কার্বন নিঃসরণ মোকাবেলা করেছে এবং আমরা জানি বিভিন্ন সময়ে নানা প্রাকৃতিক কারণে পৃথিবীর মানচিত্র বা ভূগোলও বদল হয়েছে। কিন্তু এখন সমস্যা হচ্ছে আসলে মানুষের কারণ এখনকার মতো অতীতে তো এতো মানুষ ছিল না বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো গরীব ও ছোট দেশগুলো ভীষণ সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে যেখানে সমুদ্র সমতলের কাছাকাছি অনেক লোক বাস করে এবং ধনী দেশগুলো যেভাবে অর্থ, প্রযুক্তি ও আরো নানাভাবে এ সমস্যার সাথে খাপ খাইয়ে নেবে ছোট ও গরীব দেশগুলো তা পারবে না। বাংলাদেশের নীতি-নির্ধারকদের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আসল সমস্যা সমাধানে কোন চিন্তা বা সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নেই; শুধু জলবায়ু পরিবর্তনে গরীব মানুষের দুর্দশা দেখিয়ে কিছু খয়রাতি টাকা এনে লুটপাট করা যাবে সে খুশিতে তারা বগল বাজাতে শুরু করেছেন।

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ তানভীর আপনার চমৎকার বিশ্লেষণধর্মী আলোচনার জন্য।আমার কিছু মন্তব্যঃ

কিন্তু ভেতরে এখনো প্রচণ্ড উত্তপ্ত রয়ে গেছে। পৃথিবীর তাপমাত্রা নির্ধারণে এই অন্তগর্ত তাপশক্তিরও একটি বিশাল ভূমিকা রয়েছে।

আসলে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা হিসেব করার সময় এনার্জি বাজেট বিবেচনা করা হয় অর্থাৎ কত টুকু শক্তি এলো আর কতটুকু গেল সেই সাথে কতটুকু থাকল। যে বস্তুরই তাপমাত্রা -২৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে ( ০ ডিগ্রি কেলভিন) সেই বস্তুই বিকিরণ করে। ভরপেট খাবার খেয়ে কোন কাজ না করেও আমাদের ক্ষুধা লাগে কারন দেহের জৈবিক ক্রিয়া ছাড়াও আমাদের শরীর প্রতি মুহুর্তে শক্তি বিকিরণ করছি প্রতি সেকেন্ডে ৮৯০ জুল হারে। সেই বিচারে পৃথিবীর পৃষ্ঠতলের তাপমাত্রা ধরেই কিন্তু পৃথিবী কতটুকু বিকিরণ করছে তা বের করে এই এনার্জি বাজেট হিসেব করা হয়েছে। সুতরাং পৃথিবীর পৃষ্ঠতাপমাত্রা এক্ষেতে বিবেচনায় আনা হয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তন প্রাকৃতিক নাকি মানবতৈরী সেটা নিয়ে দ্বিমত আছে তবে সবচাইতে গ্রহণযোগ্য তত্ত্ব হচ্ছে এটা মিশ্রপ্রক্রিয়া। মূলত গতশতাব্দি থেকে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রার তথ্যভান্ডার মানুষের কাছে আছে। সেই তথ্য আর পৃথিবীর জলবায়ুর ভৌতপ্রক্রিয়া বিবেচনায় এনে জলবায়ু পরিবর্তনের এই প্রভাব বের করা হয়েছে।

পৃথিবী একটি তাপইঞ্জিন এই কনসেপ্টকে বিবেচনা করে পুরো ফিজিক্সকে বিবেচনা করে পৃথিবীর বিখ্যাত কম্পিউটার গ্লোবাল সারকুলেশন মডেল বা জিসিএম গুলোর কোড লেখা হয়েছে। ১৮৮০ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত শুধু প্রাকৃতিক কারন, শুধু মানব তৈরী কারন ও উভয় কারন এই তিন প্রকার উপাত্তের ভিতিতে এই জিসিএম গুলো চালিয়ে দেখা গিয়েছে যে একমাত্র উভয় কারণই পারে ১৮৮০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত পৃথিবীর গড় তাপমাত্রাকে সিমুলেট করতে। তাই আপনার মন্তব্যের উত্তরে শুধু এইটুকুই বলতে পারি যে জলবায়ু পরিবর্তন এর মত একটি জটিল বিষয়ে এত তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্তে চলে আসাটা ঠিক নয় বিশেষত যখন তা আইপিসিসির মত একটি বৈশ্বিক সংস্থার রিপোর্টে বিশদ ভাবে উঠে আসে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

---------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

তানভীর এর ছবি

জাহিদ, আপনার মূল বক্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করছি এমন ভাবার কোন কারণ নেই। তবে প্যালিওক্লাইমেটোলজি বিজ্ঞানের একটি স্বীকৃত শাখা। এর মাধ্যমে পৃথিবীর অতীত জলবায়ু পরিবর্তনগুলো কেমন ছিল তার খুব সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া না গেলেও আমরা মোটামুটি একটি ধারণা পাই; বর্তমান জলবায়ু পরিবর্তনের আলোচনায় যা খুব প্রাসঙ্গিক। তবে সাম্প্রতিক যে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, তাতে মানুষের ভূমিকাই যে বেশি তাতে আমারো কোন সন্দেহ নেই।

পৃথিবী একটি তাপইঞ্জিন এই কনসেপ্টকে বিবেচনা করে পুরো ফিজিক্সকে বিবেচনা করে পৃথিবীর বিখ্যাত কম্পিউটার গ্লোবাল সারকুলেশন মডেল বা জিসিএম গুলোর কোড লেখা হয়েছে।

তাই কি? আমি যতদূর জানি পৃথিবীর জটিল সিস্টেমগুলোকে সমন্বিতভাবে ধারণ করার মতো কোন কম্পিউটার বা গাণিতিক মডেল এখনো আবিষ্কৃত হয় নি যার ভিত্তিতে সঠিকভাবে পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা যায়। বর্তমানে যে সব মডেল রয়েছে তা হয়তো একটা দু’টো সিস্টেমের জন্য বা কোন একটা পর্যায় পর্যন্ত সঠিক। উইকি নিবন্ধ থেকেই উদ্ধৃতি দেই- Forecasts of climate change are inevitably uncertain...a problem that stems from the fact that these climate models do not necessarily span the full range of known climate system behavior.

সচল জাহিদ এর ছবি

জিসিএম গুলো যা করে তা হচ্ছে ক্ষুদ্র টার্মগুলিকে নগন্য করা। একটা উদাহরন দেই, ধরুন আপনার মাসিক খরচের মধ্যে বাসাভাড়া ৭০০ ডলার আর আপনি মাসে বডিস্প্রে কেনার জন্য খরচ করেন ৪ ডলার তাহলে এই ৭০০ ডলারের তুলনায় ৪ ডলার নগন্য। এটা প্রয়োজন কারন পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের বিশ্লেষন করা হয় নেভিয়ার স্টোকস সমীকরণ ও তাপবিদ্যার সমীকরণগুলোর সম্মিলন ঘটিয়ে। দেখা যায় অজানা চলকের সংখ্যা প্রাপ্ত শর্তের চেয়ে বেশী। সুতরাং এই নগন্য করা ছাড়া কোন উপায় নেই। সেই বিচারে পুরো ফিজিক্স বিশ্লেষণ করা কখনই সম্ভব নয়। সেই সাথে ভবিষ্যতের ফলাফল বের করা হয় পরিসংখ্যানগতভাবে বিভিন্ন চলকের মানের উপর ভিত্তি করে। তবে একথাও ঠিক যে কম্পিউটার মডেলিং ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্লেষণ করা অসম্ভব। তাই বিশেষজ্ঞদের গবেষণা লব্ধ ফলের উপর আমাদের আশ্বাষ আনারও কোন বিকল্প নেই।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

জুম্ম [অতিথি] এর ছবি

জাহিদ ভাই, খুব ভাল লাগল! চমত্কার ভাবে তুলে এনেছেন ব্যাপারটা। এখন মূল সমস্যাটা হচ্ছে Annex 1 দেশ এবং গ্রুপ ৭৭ + চীন, একে অপরকে ছাড় দেওয়ার কুনো মানসিকতা দেখি না। কিয়াটো প্রটোকল থাকবে কিনা, একটি International Legally Binding Instrument হবে কিনা, তাতো আরো বেশী অনিশ্চয়তায়।

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ জুম্ম। আপনার আশঙ্কা ঠিক। দেখা যাক সম্মেলনে কি হয়।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অনিকেত এর ছবি

বস জাহিদ,
সব সময়ের মত আমি আশা করছিলাম কপ নিয়ে তুমি নিশ্চয়ি কোন লেখা দেবে।

সব সময়ের মতই---তুমি নিরাশ করো নি।

অনেক কিছু জানা ছিল না, জানলাম।
তোমাকে ধন্যবাদ।
ভবিষ্যতেও তোমার কাছ থেকে এই রকম চমৎকার লেখা পাব---
এইটা আমার আশা নয়--স্থির বিশ্বাস!

ভাল থেকো, বস
সব সময়।

সচল জাহিদ এর ছবি

অনিকেতদা আপনার কাছ থেকে এই অনুপ্রেরণা আমার লেখনীকে আরো শক্তিশালী করবে সেই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। আপনাদের এই ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াই আমাকে সবসময় এই ইস্যুগুলিকে নিয়ে লেখার অনুপ্রেরণা যোগায়। অনেক ধন্যবাদ।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

দ্রোহী এর ছবি

ভালো পোস্ট চলুক

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ দ্রোহীদা।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

ঐশী এর ছবি

ভালো পোস্ট। গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমানোর সবচে সহজ পথগুলো কি কি?

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ ঐশী। বর্তমান গবেষণার আলোকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমানোর আপাতত পথ মূলত একটাই 'গ্রীন হাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানো'।বিস্তৃত আলোচনা ভবিষ্যতে করার আশা রাখি অন্য কোন পোষ্টে।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অতিথি লেখক এর ছবি

দুদিন আগে ঘুমের ঘোরে ইমেইল কেলেংকারীর খবরটা দেখছিলাম, তখন ঠিক মত বুঝি নি।ধন্যবাদ, আপনার কাছে থেকে পুরোটা জানা গেল।

স্বপ্নদ্রোহ

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ সপ্নদ্রোহ।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

রাফি এর ছবি

সময়োপযোগী লেখার জন্য ধন্যবাদ স্যার।

Global Warming বা Climate Change এর ফলে বাংলাদেশ কী পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা নিয়ে তথ্য উপাত্ত সমেত একটা বিস্তৃত লেখার আবদার জানিয়ে গেলাম।।
আর তার সাথে কোপেনহেগেন সম্মেলন নিয়ে এ লেখাটার ফলোআপও..

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ রাফি। কোপেন হেগেন সম্মেলনের ফলো আপ লেখা অবশ্যই দিব। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বেশ কিছু কাজ হচ্ছে। ভাবছি এগুলো নিয়ে একটা সিরিজ লিখব।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

বন্যরানা [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ। কারো কাছ থেকে এ বিষয়ে লেখা আশা করছিলাম। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সাম্প্রতিক কিছু তথ্য হাতের কাছে এলো, নিচে শেয়ার করছি:

১) ২০০৮ সালে ফসিল ফুয়েল থেকে উৎপন্ন CO2 এর পরিমান ১৯৯০ সালের চেয়ে ৪০% বেশি।

২) IPCC AR4 যে হারে সাগরে বরফ গলার ভবিষ্যতদ্বানী করেছিলো, ২০০৭-২০০৯ এ তার চেয়েও ৪০% বেশি বরফ গলেছে আর্কটিক সাগরে।

৩) IPCC এর ভবিষ্যতদ্বানীর চেয়েও ৮০% বেশি হারে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছ, এবং তা বছরে ৩.৪ মিমি হারে।

৪) ২১০০ সালে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা ২ মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে এবং তাপমাত্রা স্থিতিশীল হওয়ার পরও আরো একশত বছর ধরে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেতে থাকবে আরো কয়েক মিটার পর্যন্ত।

সূত্র: http://www.copenhagendiagnosis.org/

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ বন্যরানা তথ্যগুলো শেয়ার করার জন্য।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

নীল ভ্রমর [অতিথি] এর ছবি

ভীষন দরকারি পোষ্ট। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ নীল ভ্রমর

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ধন্যবাদ জাহিদ ভাই, অনেক দারুণ লেখছেন। যথারীতি।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ নজু ভাই।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অতিথি লেখক এর ছবি

এই ভিডিওটা উপযোগী মনে হলো, কেউ আগে না দেখে না থাকলে দেখতে পারেন।

http://video.pbs.org/video/1305543836/

অন্য ওনেকের মতো আমরাও একেবারে প্রান্তে আছি।

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ প্রয়োজনীয় ভিডিও।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।