শিরোনাম: মুহম্মদ জুবায়েরের অপ্রকাশিত রচনা: বালকবেলা / ‘আহা কী যে বালখিল্য’ - ০২

সন্দেশ এর ছবি
লিখেছেন সন্দেশ (তারিখ: শনি, ২৭/১২/২০০৮ - ৩:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জুবায়ের ভাইয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে পাঠকদের কাছে অনুরোধ রইলো, রেটিং পদ্ধতির ব্যবহার না করার। ধন্যবাদ।



পর্ব - ০১

বালকবেলা /‘আহা কী যে বালখিল্য’ - ০২


(প্রাপ্তবয়স্ক আর সব মানুষের মতো আমিও বরাবর ভেবে এসেছি, কী ক্ষতি হতো শৈশব-কৈশোরের কালটি আরো একটু দীর্ঘ হলে! সময়টি খুবই হ্রস্ব ছিলো বলে মনে হয়। অথচ এখন লিখতে বসে আশ্চর্য হয়ে দেখছি, আমার ছেলেবেলা এতো দীর্ঘ ছিলো! বুঝিনি। গল্প ফুরায় না। অন্য কারো কাছে এইসব গল্পের কোনো মূল্য আছে কি না জানি না, আমার নিজের কাছে বাল্যকালের প্রতিটি ঘটনা, প্রতিটি মানুষ কী ভীষণ প্রিয়। লিখছি আর ভাবছি কতো কিছু বাদ পড়ে গেলো। হয়তো স্মৃতি সবটা ধরে রাখতেও সক্ষম হয়নি। সব কি আর বলা হয়! নাকি তা সম্ভব? হয় না, অসম্পূর্ণ থেকেই যায়। তবু মন্দ কী, শুরু তো হলো।)


৩. লালমাটির ছোল

বগুড়া শহর ছাড়িয়ে উত্তরে কিছুদূর গেলে চোখে পড়বে লালচে রঙের কঠিন মাটি। লাল রঙের মাটির ওপরে সবুজ ঘাস, গাছপালা – অদ্ভুত লাগে দেখতে। জন্ম রাজশাহীতে হলেও আমি বগুড়ার ছেলে। স্থানীয় ভাষায় লালমাটির ছোল।

বগুড়া শহরে আমার প্রথম স্মৃতি লাল ইটের অথবা ইটের ওপরে লাল রং করা একটি একতলা বাড়ি। আয়েশা ভিলা। এই শহরে আমাদের প্রথম বাসস্থান। ভাড়া বাড়িটির সবগুলো ঘরের কথা মনে নেই। অল্প আসবাবের বসার ঘরটি মনে আছে। শোয়ার ঘর আবছা মনে পড়ে। ভেতরের দিকে একটি লম্বাটে বারান্দা। রান্নাঘর ছিলো মূল বাড়ি থেকে আলাদা, ছোটো একটি উঠান পার হয়ে যেতে হয়। বর্ষার দিনে কাদা এড়ানোর জন্যে সারি দিয়ে পেতে রাখা ইটের ওপর পা ফেলে আম্মা রান্নাঘরে যাচ্ছেন, এখনো চোখ বুঁজলে দেখতে পাই।

আমার পিতা গোমাংস খেতেন না, কিন্তু জীবনের শেষদিন পর্যন্ত গোদুগ্ধের অনুরাগী ছিলেন এবং সে দুধ যাতে খাঁটি হয় সে বিষয়ে যত্নবান ছিলেন। অনেক পরে একসময় বাড়িতে গরুও পোষা হয়েছিলো স্বল্পকালের জন্যে। সেই আয়েশা ভিলায় বসবাসের কালে বগুড়ার মতো ছোটো শহরে, কিছু শাহরিক সুবিধাসহ একটু বড়ো আকারের গ্রামই বলা যায়, খাঁটি দুধ দুষ্প্রাপ্য ছিলো না। তাঁর ছেলেমেয়েরা প্রত্যেকেই অতি বাল্যকাল থেকে খাঁটি গোদুগ্ধে আসক্ত। মনে আছে, আয়েশা ভিলায় রাতে, এমনকি দ্বিপ্রাহরিক ঘুমের সময়ও, ঝর্ণার বা আমার ঘুম ভেঙে গেলে আম্মা ঘরের এক কোণে কাগজ জ্বালিয়ে দুধ গরম করে বোতলটি ধরিয়ে দিতেন। আমরা বিছানায় বসে চোখ বুঁজেই কোনোক্রমে চোঁ চোঁ টানে দুধ শেষ করে আবার ধপাস। সেই দুধ গরম করার কাগজপোড়া গন্ধটি আজও আমার খুব প্রিয়, হয়তো শৈশবস্মৃতির কারণেই।

আয়েশা ভিলার দক্ষিণমুখী দরজাটি খুললে সামনে একটি কাঁচা রাস্তা, ওপারে একটি টিনের চালওয়ালা মাটির বাড়ি, একপাশে খড়ের গাদা – গ্রামের বাড়িতে যেমন দেখা যায়। তার পেছনের কোনো একটি বাড়ি থেকে দুইবেলা আমাদের বাড়িতে কাজ করতে আসে ফুলমালার মা। ফুলমালা নামের আর কাউকে জীবনে চিনিনি, শুনিওনি। কী সুন্দর কবিতার মতো নাম মেয়ের। তাকে কোনোদিন দেখেছি কি না মনে নেই। তখন এতোসব বোঝার বয়স আমার হয়নি, কিন্তু পরে বোঝার বয়সে মনে হতো এমন সুন্দর নামের কোনো মেয়ের মা-কে পরের বাড়িতে কাজ করে খেতে হবে – ঠিক মানায় না। এর মধ্যে যে একটা ভয়ানক বৈপরীত্য আছে, তা হয়তো আমাদের সমাজের বাস্তবতা।

আমাদের বাড়ির সঙ্গে লাগানো পশ্চিমদিকের বাড়িটিতে এক বিশাল পরিবারের বাস। গৃহকর্তাকে আমরা নানা ডাকি। সেই সুবাদে অনেকগুলো মামা-খালাম্মা। কী আশ্চর্য, ওই বাড়িতেও একজন মুকুল এবং ঝর্ণা আছে। ঝর্ণা খালাম্মা তখন বগুড়া আযিযুল হক কলেজে পড়েন, তিনি সেখানে আব্বার ছাত্রী। কলেজে স্যার হলেও বাড়িতে তিনি আব্বাকে দুলাভাই ডাকেন। ওই বাড়ির সব ছেলেমেয়ের কাছে আম্মা হলেন আপা আর আব্বা দুলাভাই। মুকুল মামা তখন জেলা স্কুলে পড়েন। তাঁর বড়ো বাদশা মামাও সম্ভবত তাই। ঝর্ণা খালাম্মার পরের বোনগুলির নাম মান্না, নিণ্টু, বেবী ও ছবি।

বেবী আমাদের চেয়ে বয়সে সামান্য বড়ো হলেও বেবী-ছবি আমাদের দুই ভাইবোনের খেলার সঙ্গী। তিন ক্ষুদে গিন্নির সঙ্গে আমি এক প্রায়-অনিচ্ছুক বালক ক্রীড়াসঙ্গী। আমি তাদের মিছেমিছি রান্নাবান্নায় সহযোগী হই এবং রান্না চেখে বিশেষজ্ঞের মতামত দিই। আমাদের বাড়ির ছাদে ওঠার ব্যবস্থা ছিলো না। ওদের বাড়ির ছাদে উঠে বেবী-ছবি সুর করে ছড়া কাটার মতো করে বলতো – ওই বাড়ির এক মুকুল এই বাড়ির এক মুকুল, এই বাড়ির এক ঝন্না ওই বাড়ির এক ঝন্না – মিতাই মিতাই তলতি তিতাই। শেষ অংশটির অর্থ আমি আজও উদ্ধার করতে পারিনি। শুনতে মজা লাগতো। ঝর্ণাকে বাদ দিলে এই বেবী-ছবি আমার জীবনের প্রথম খেলার সঙ্গী এবং বন্ধু।

ওদের বাড়িতে দেখা আরো দু’জন মানুষকে মনে আছে। ফজলু নামে ঝর্ণা খালাম্মাদের সম্পর্কে ভাইটির সর্বদা হাসি-হাসি মুখ এখনো স্পষ্ট মনে পড়ে। এক ধরনের মানুষের চোখেমুখে সবসময় সকৌতুক হাসি লেগে থাকে, আমাদের এই ফজলু মামা সেরকম একজন। আরেকজন ছিলেন হাফিজার মামা। পেশায় দর্জি। যতোদূর মনে পড়ে, ওই বাড়ির বাইরের দিকের খোলা বারান্দায় একটি সেলাই মেশিন নিয়ে বসতেন প্রথম। পরে পার্ক রোডে এডওয়ার্ড পার্কের গায়ে লাগানো বড়ো দোকান নিয়েছিলেন। সাইনবোর্ডে কালোর ওপরে সাদা হরফে লেখা – ড্রেসকো। তখন ড্রেসকো-তে শার্ট-প্যান্ট সেলাই করানো একটা আলাদা মর্যাদার ব্যাপার ছিলো।

পুবদিকের বাড়িতেও অনেকগুলি ছেলেমেয়ে। টুকু, মায়া, পল্টু, জিন্নাহ, আরব, ইরান। এঁরা সবাই আমাদের দুই ভাইবোনের চেয়ে বয়সে অনেক বড়ো এবং যথারীতি মামা বা খালাম্মা। গৃহকর্তা মহসীন নানা হাজী মানুষ। কিন্তু বিচিত্র কোনো কারণে শহরে সবার কাছে তিনি তিব্বত হাজী নামে পরিচিত।

পরবর্তীকালে আমাদের আয়েশা ভিলার দুই পাশের দুই বাড়ির মধ্যে খুবই মজবুত ধরনের আত্ময়ীতা প্রতিষ্ঠিত হয়। ঝর্ণা খালাম্মার সঙ্গে বিয়ে হয় বাচ্চু মামার। সে এক তুলকালাম ঘটনা শহরে, সে কথায় পরে আসি। বগুড়া শহরে সিঙ্গার সেলাই মেশিনের এজেন্ট পল্টু মামার সঙ্গে অনেক পরে ছবির বিয়ে হলো, বয়সের বিস্তর ফারাক সত্ত্বেও।

জিন্নাহ মামা পরে আশরাফুল ইসলাম নামে সাংবাদিক হিসেবে খ্যাত হয়েছিলেন। বাসসের প্রতিনিধি হিসেবে নিউ ইয়র্কে স্থিত হয়েছিলেন, ৮৯-৯০ সালের দিকে ডালাসে ফোবানা সম্মেলনে দেখা হয় আমার সঙ্গে। সেবার বাচ্চু মামার সঙ্গেও দেখা হয়। অনেক অনেক বছর পর। শুনেছি তাঁর পারিবারিক এক বিপর্যয়ের পর বছর কয়েক আগে বগুড়ায় ফিরে গেছেন।

বাচ্চু মামা এবং ঝর্ণা খালাম্মাও দীর্ঘদিন নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা। ৯৫ সালে আমেরিকা বেড়াতে এসে আব্বা-আম্মা ঝর্ণা খালাম্মাদের ওখানে দিন দুয়েকের আতিথ্য নিয়েছিলেন। পরের বছর আমি সপরিবারে নিউ ইয়র্কে গেলে বাচ্চু মামা খবর পেয়ে আমাদের নিয়ে যান তাঁদের বাসায়। ঝর্ণা খালাম্মার সঙ্গে আমার দেখা হলো কম করেও পঁচিশ বছরের ব্যবধানে। অথচ দেখা হতে মনে হলো যেন ব্যবধানটা অতো দীর্ঘ মোটেই ছিলো না!

আমাদের আয়েশা ভিলার পশ্চিমে তিন-চারটি বাড়ি পরেই বড়ো রাস্তা। শেরপুর রোড। শহরের প্রধান রাস্তা। উত্তর-দক্ষিণ বিস্তৃত এই রাস্তা উত্তরে মহাস্থানগড়, গোবিন্দগঞ্জ (আমাদের বাল্যকালে এই নামই ছিলো, পরবর্তীকালে গোলাপবাগ নামে মুসলমানিত্ব পায়) হয়ে রংপুর-দিনাজপুর চলে গেছে। দক্ষিণে ঢাকামুখী নগরবাড়ি ঘাটে লেগেছে শেরপুর-চান্দাইকোনা-উল্লাপাড়া-শাহজাদপুর-বাঘাবাড়ির ওপর দিয়ে। নগরবাড়ি থেকে যমুনা পেরোলে ঢাকার পথ।

আয়েশা ভিলা থেকে বেরিয়ে শেরপুর রোড পেরিয়ে ছোটো কাঁচা রাস্তাটি ধরে কয়েক পা গেলে হাতের বাঁ দিকের এক বাড়িতে একটি বালিকা শিশু আমার অজান্তে তখন বড়ো হয়ে উঠছিলো, যাকে চিনবো কয়েক বছর পর এবং আরো পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে সে খানিকটা আকস্মিকভাবেই আমার হৃদয়-যাতনার কারণ হয়ে উঠবে। অনেকটা যেন তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে। অতি অল্পকাল ছিলো সে আমার জীবনে, অথবা আমি তার জীবনে। জন লেননের সেই গানের মতো – আই ওয়ান্স হ্যাড আ গার্ল, অর শ্যুড আই সে শি ওয়ান্স হ্যাড মি । তা অন্য প্রসঙ্গ, ছেলেবেলার গল্পের সঙ্গে যায় না। তবে ওই গোকুলে বাড়ার কথা ভাবলে এখন বেশ মজাই লাগে।

বগুড়া শহরে আমাদের আসা ৫৭ সালের শেষের দিকে। আয়েশা ভিলায় আমাদের বাস খুব দীর্ঘ হয়নি। আমার সংসারবুদ্ধিসম্পন্ন পিতা বাড়ি কিনে ফেলেন, সেখানে উঠে যাই আমরা ৫৯-র আগস্ট মাসে। এই জায়গায় এসে একটা খুব অদ্ভুত কথা মনে এলো। আগস্ট মাসে আমার পিতামাতার বিবাহবার্ষিকী, সেই মাসেই তাঁরা নিজস্ব বাড়িতে উঠলেন। সাংসারিক বুদ্ধি-বিবেচনায় পিতার ধারে-কাছে না হওয়ার ফলে অনেক বিলম্বে, চল্লিশ বছর পর তাঁদের জ্যেষ্ঠ পুত্রের নিজস্ব বাড়িতে গৃহপ্রবেশ ঘটে এপ্রিলে, তাদের বিবাহবার্ষিকীর মাসে। কাকতালীয়? নাকি পারম্পর্য রক্ষা?

আম্মার জবানিতে জানা যাচ্ছে, আয়েশা ভিলা ত্যাগ করার সময় আমার পরের ভাই ফিরোজ তেরো দিনের শিশু। এর বছরখানেক আগে আমার পিতামাতা একটি একটি বড়ো শোকের সময় অতিক্রান্ত করেছেন। ফিরোজের আগে আমাদের আরেকটি ভাই জন্মেছিলো – ফারুক। আট মাস বয়সে সে মারা গেলো সামান্য কয়েক দিনের জ্বরে, তখন আমরা নানাবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। ফারুকের কথা আবছা মনে আছে, খুব ফুটফুটে দেখতে ছিলো সে। আম্মার ভাষ্যমতে আমাদের ভাইবোনদের মধ্যে সবচেয়ে সুদর্শন। তার মৃত্যুর সময় আব্বা ছিলেন না। খবর পেয়ে এলেন, অথবা এসে জানলেন। আব্বা-আম্মার সেই শোকগ্রস্ত চেহারা মনে পড়ে প্রায় স্পষ্ট। নানাবাড়ির গ্রামের শেষ মাথায় ঈদগা মাঠের পাশে ফারুকের কবরটি বাঁধিয়ে দেওয়া হয়েছিলো।

এই আয়েশা ভিলায় আমরা আবার ফিরে আসবো প্রায় পঁয়ত্রিশ বছর পর। তখন বাড়িটির আগের চেহারা আর নেই, ভেঙে নতুন করে তিনতলা বানানো হয়েছে। নামও আর আয়েশা ভিলা নেই, এখন হয়েছে ডক্টরস ক্লিনিক। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আব্বাকে কয়েকদিনের জন্যে সেখানকার বাসিন্দা হতে হয়। তাঁর পুরনো ছাত্ররা প্রতিষ্ঠানটি গড়েছেন। পরে তাঁকে ঢাকায় চিকিৎসা করানো হয় এবং সে যাত্রা তিনি সুস্থ হয়ে ফিরেছিলেন।

(চলবে)


মন্তব্য

রানা মেহের এর ছবি

এতো ভালো লাগছে পড়তে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

...

নির্জর প্রজ্ঞা এর ছবি

পড়তে পড়তে একটা কথা মনে হচ্ছিল যেমন সুন্দর করে গুছিয়ে শৈশবস্মৃতি লিখেছেন আপনার কাছ থেকে শুনলে সেটা কেমন হতো? জানিনা কেমন হতো তবে লিখেছেন আপনি সুন্দর। সময়টা যেহেতু ৫৭ সালের এদিক ওদিকে তাই বেশ আগ্রহ পেয়েছি।
"ছোল" এটাকি বগুড়ার আঞ্চলিক শব্দ?

ব্যক্ত হোক তোমা-মাঝে অনন্তের অক্লান্ত বিস্ময়
(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর )

ব্যক্ত হোক তোমা-মাঝে অনন্তের অক্লান্ত বিস্ময়
(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর )

তানভীর এর ছবি

এ পর্বের ঘটনাগুলো মনে হল একদম চোখের সামনে ভেসে উঠল। আমার কর্মজীবনের শুরু বগুড়ায়। ছিলাম মাত্র তিন মাস। থাকতাম চার মাথার কাছে, সম্ভবত 'নামাজগড়' জায়গার নাম। বগুড়ায় গোদুগ্ধ চেখে দেখেছি কিনা মনে পড়ছে না, কিন্তু যেসব খাদ্যের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছিলাম তা হচ্ছে- 'বগুড়ার দই' আর 'আকবরিয়ার খাবার'।

যাঁরা এ রচনাটি প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁদের আন্তরিক ধন্যবাদ। মন্তব্য লিখতে লিখতে মনে হল জুবায়ের ভাইয়ের একটা গুণ ছিল ধৈর্যসহকারে তিনি ছোট-বড় সবার প্রতিটি মন্তব্যের জবাব দিতেন (যে গুণটি আমার নেই মন খারাপ )। তিনি আর কখনো পোস্টে মন্তব্যের জবাব দেবেন না বিষয়টা ভাবতেই খারাপ লাগছে।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

একেবারে জীবন্ত বর্ণনা

নজমুল আলবাব এর ছবি

কাছে বসে জুবায়ের ভাই এতক্ষণ গল্প করে গেলেন। আমি শুনলাম...

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া..

---------------------------------------------------------

আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

কই গেলো মানুষটা। কত আশ্চর্য লেখাই না বাকি ছিল আমাদের জন্যে। আফসোস আর কখনোই পাবো না।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

রণদীপম বসু এর ছবি

লেখা তো নয়, চলমান ছবি...! (আহা, জুবায়ের ভাই !)

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

পড়ার সময় ঘটনাগুলো যেন চোখের সামনে দেখতে পারছিলাম, এতই জীবন্ত !

--------------------------------------------------------

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

গোছানো নিকোনো।
চাক্ষুস যেন।
ছবি হয়ে চোখে আসে।
ঝাপসায় ভাসে।

-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

কি অদ্ভুত সাবলীল ভাষা ! চোখের সামনে সবকিছু যেন স্পষ্ট দেখতে পেলাম।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।