অনামিকা ও সূর্য রাঙা নখ (ছেলেবেলা)

স্পর্শ এর ছবি
লিখেছেন স্পর্শ (তারিখ: শুক্র, ২৩/০৫/২০০৮ - ৪:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

‘ধুরো আম্মু! দিলে তো কনসেন্ট্রেশন টা নষ্ট করে। সমাধান টা মাথায় চলেই এসেছিল প্রায়। আবারো ভাবতে হবে শুরু থেকে!’ কন্ঠে একরাশ বিরক্তি নিয়ে তাড়িয়ে দেই মা কে। আমার রুম থেকে। ‘ঐ যে, আবার দরজা খুলে রেখে যাচ্ছ!! বন্ধ কর’। রাত বাজে দুইটা। মফস্বল এলাকার জন্য এটার রীতিমত গহীন-গভীর রাত। চারিদিকে শুনশান নিরবতা। ঝি ঝি পোকারাও একটানা ঝি ঝি করতে করতে হাফিয়ে গেছে সেই অনেক আগেই। শুধু ফ্রীজের কম্প্রেশরের একটা মিহি গুঞ্জন। মাঝে মাঝে সেটার থার্মোস্ট্যাট কট করে লক হয়। তখন গভীর রাত আর গাঢ় নিরবতা একটা ভারী চাদরের মত পেচিয়ে ফেলতে চায় চারদিক থেকে।

একটু আগে নাইট গার্ড মিজান যখন তার ঘন্টায় দুইটা বাড়ি দিল। ঢং ঢং!! তখন ঘোর কেটে প্রথম সেই চাদরটা খেয়াল করলাম। একটু ভয়ও পেয়ে গেলাম যেন। আর তখনই দরজায় উকি দিল মা! মনটা একেবারে নেচে উঠলো! খুশিতে। তার পরও, ‘ধুর, মুর!...’ এসব বলে তাড়িয়ে দিলাম মাকে। শুধু শুধু রাত জেগে কষ্ট করছে, আর আমাকে ডিস্টার্ব করছে! আমার মা টা খুব বোকা।

মেন্দী দেওয়ার প্রতিযোগিতা চলছে। আমার পিচ্চি বোন হল গিনিপিগ। আমি আর আমার ছোটবোন দুই জন মিলে গিনিপিগের দুই হাতে মেন্দী দিয়ে দেব। এর পর বিচার হবে কার ডিজাইন সেরা। বিচারক আমার মা। যদিও জানি সে কোন ডিসিশনই দিতে পারবে না। তারপরও কন্টেস্ট চলছে। আমার পালা শেষ। এখন ছোট বোনটা মেন্দী দিচ্ছে। বসে বসে দেখছি তার কারুকাজ। কোন ফাকে যেন মা টুক করে আমার বাম হাতটা নিয়ে অনামিকায় একটূ মেন্দী দিয়ে দিলো। আমি রে রে করে উঠি। বলি, ‘ধুর এইটা কি করলে!! এখনি তো লাল হয়ে যাবে’। মা বলে, ‘হোক’। আমি একরাশ বিরক্তি নিয়ে ফিরি আবার পিচ্চি বোনটার হাতের দিকে। মেন্দীর কারুকাজ দেখতে দেখতে ভাবতে থাকি দোস্তরা কে কি বলবে। যেমন সজীব বলবে, ‘কিরে শালা বিয়ে করলি নাকি’ সুমন বলবে, ‘মেয়েদের মত নখে...’। ধুরো, মা যে কি! সব সব সময় বোকামী করে। বিরক্ত হই।

তারপর যখন মেন্দী শুকায়, আমরা সবাই হাত পেতে বসি বিচারকের সামনে। তখন অবাক হয়ে খেয়াল করি- আমার অনামিকার নখে অসাধারণ একটা উজ্জ্বল লালচে কমলা রঙ ফুটেছে। পিচ্চি বোনটা বলে, ‘একেবারে সূর্যের মত!’ ওদের হাতের রঙ ঠিক এতটা সুন্দর হয়নি কেন জানি!

তার কিছুদিন পর বাড়ি ছেড়ে চলে আসি। আসলে আসতে হয়। বিদায়ের সময় যখন মাকে সালাম করি। মা কাঁদে না। কেমন যেন রাগী রাগী চোখে তাকিয়ে থাকে। যেন আমিই সেই দুর্বৃত্ত যে তার ‘খোকন’ কে কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে দূরে। হাটতে হাটতে প্রায় বড় রাস্তার কাছে চলে আসে মা। আর তার দুই হাত ধরে ছোট দুই বোন। রিক্সাটা বেশ কিছু দূর এগিয়ে যাবার পর পিছন ফিরি আমি। আমার সেই সূর্য রাঙা নখ, নখ ধারী অনামিকা, আর অনামিকা ধারী হাতটা নেড়ে বিদায় জানাই তাদের। দুর্বৃত্তের উপর রাগটা তখন আর ধরে রাখতে পারেনা মা। এবার কেঁদে ফেলে। আর কি অবাক কান্ড! তার সাথে যোগ দেয় আমার ছোট দুই বোনও। যারা কিনা বলতো, ‘তুমি গেলে খুব খুশি হব। একটা ঝগড়াটে কমবে!’ আসলে তখন ওরাও বোকা হয়ে যায় বোধ হয়। তিনটি বোকা মানুষকে পিছনে ফেলে অনেক দূরে চলে আসি আমি।


নতুন যায়গায় একটা ঘুপচি ঘরে বসে রাতের পর রাত পড়াশুনা করি। একদিন অনেক রাতে নখ কাটতে গিয়ে আটকে যাই অনামিকায় এসে। সূর্য রংটা সে হারাতে বসেছে প্রায়! বুকটা হু হু করে ওঠে। এসময় একটা তেলাপোকা উড়ে যায় দরজার দিকে। খুট করে একটু শব্দ হয় যেন। বেখেয়ালে বলে উঠি, ‘ধুরো আম্মু...’!!

সেবার আমিও বোকা হই। ঘড়িতে তখন রাত, ঠিক দুইটা...





===
স্পর্শঃ21
dbabble@ইয়াহু.com


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

অন্তর নিংড়ানো লেখা.......

কল্পনা আক্তার

................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

স্পর্শ এর ছবি

পড়ার আর কমেন্টে করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে! হাসি
-----------------------------
এখনো নজরবন্দী!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মুশফিকা মুমু এর ছবি

আমার আব্বুও এমন আমি রাত জেগে পড়াশোনা করলে আব্বুও জেগে থাকে, খোঁজ নেয় কখন ঘুমাবো, আমি পরে আব্বুকে ঘুমানোর জন্য বাধ্য হয়ে ভাব করি এখন ঘুমাচ্ছি খাইছে তুমি ঘুমাতে যাওতো
আর আম্মু যত বার আমার রুমে আসে ততবার দরজা লাগায়ে যাওয়ার কথা বলতে হয় ঠিক আপনার মতই খাইছে । কখনও বাবা মা ছারা থাকিনি, থাকলে হয়ত আপনার মত মিস করব ইয়ে, মানে... । খুব ভালো লাগল আপনার লেখা পড়ে। আরো লিখতে থাকেন
--------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

স্পর্শ এর ছবি

কি বাবা মা ছাড়া থাকেন নাই!! হায়রে পুরা লাইফ টাই তো মিস করছেন!! বিয়ে সাদি করলে কি হবে? !! তখন তো একা থাকতে হবে। মরবেন?? খাইছে

কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ! হাসি
-----------------------------
এখনো নজরবন্দী!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

আলমগীর এর ছবি

স্পর্শ
এখন আর নাম ঠিকানা লেখার কী দরকার, আপনাকে তো দেখি চাক্কা লাগাইয়া দিছে (মানে সচল করে দিছে)। অভিনন্দন। লেখা পড়ে পরে মন্তব্য করছি।

স্পর্শ এর ছবি

হা হা হা!! হয়েছে কি, আজ সকালে লিখছি লেখাটা। তখনো এই অ্যাকাউন্ট আপ্রোভ হওয়ার মেইল টা চেক করা হয়নি। এরপর এখন দেখলাম। পোস্ট করার সময় পুরোটাই কপিপেস্ট হয়ে গেছে।

আপনার কমেন্টের জন্য ধনব্যাদ!! হাসি
-----------------------------
এখনো নজরবন্দী!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

আলমগীর এর ছবি

নজরবন্দী দশা দেখবেন হুট করে একদিন কেটে গেছে। টেরই পাবেন না। লেখা আবার পড়লাম, ভালো লাগলো। ৪ তারা দিলাম (৫টা দিমু পরেরটাতে)।

স্পর্শ এর ছবি

তাইলে আমার আর আশা নাই!! আমিতো 'আব্‌জাব' লিখি একটা 'ভাবের' লেখা লেখার পর সেই লজ্জা তে প্রায় চার পাঁচ টা আব্‌জাব লিখে ফেলি। সেগুলোয় ৫ তারা পাওয়ার কোন আশা নাই !! মন খারাপ
রেটিং দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ !! হাসি
-----------------------------
এখনো নজরবন্দী!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ইফতেখার নূর এর ছবি

কমন অভিজ্ঞতা, রাত জেগে পড়াশোনা করলে বাবা মা রা কেন যে এতো খোজ করেন বুঝিনা। এখনো বিদেশ থেকে যখন রাতে ফোন করি, বলেন তোমার ওখানে তো রাত অনেক হল, ঘুমাতে যাও...

স্পর্শ এর ছবি

আসলেই। কিছু কিছু বিরক্তিকর ব্যপার আছে যেগুলো না ঘটলেও মিস করি!!!
কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ। হাসি
-----------------------------
এখনো নজরবন্দী!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

তীরন্দাজ এর ছবি

সুন্দর স্মৃতিচারণ! কেমন যেন নিজের সাথে মিলে যায় বারবার। খুব সমর্মে লিখেছেন!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

স্পর্শ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ বস।
যারা হুঠ করে ভর্তি কোচিং করতে চলে আসে ঢাকায়। তাদের এরকম হয়। হাসি
-----------------------------
এখনো নজরবন্দী!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

নুশেরা তাজরীন এর ছবি

অভিনন্দন!!!
আমাকে তিনদিন রেটিং দেবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল, ওই ফাঁকে আপনার লেখায় প্রাণভরে পাঁচতারা দিয়েছিলাম। আজ আবার সীজ করে দিল ক্ষমতাটা মন খারাপ
নইলে দেখতেন তারা পাঁচটাই।
কী সুন্দর লেখা রে ভাই!

স্পর্শ এর ছবি

তাইতো বলি পাঁচ তারা দেয় কে!! অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার পাঁচ তারা মিস করছি। ক্যান যে সিজ করে নিলো। আমিও তো ভাবলাম কশে পাচ তারা মারব অনেক কেই।
এই ব্যপার টা 'নজরবন্দী' না রাখলেও হত।
ব্যপার না।
"মডুরা যা করেন ভালোর জন্যই করেন"। খাইছে
-----------------------------
এখনো নজরবন্দী!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

রায়হান আবীর এর ছবি

তাইতো বলি পাঁচ তারা দেয় কে!! অনেক অনেক ধন্যবাদ।

কি এত্তো বড় কথা...আমার নাম কইলেন না ক্যান?? জান আপনার লগে আড়ি।

---------------------------------

স্পর্শ এর ছবি

ইয়ে, মানে... হায় হায়!! তুমি আড়ি নিলে আমি যামু কই!!! মন খারাপ
তোমার টা তো আসলে জানতাম। হাসি
কিন্তু আর গুলো কোথা থেকে আসে সেটা জানতাম না।
ধুরো মিয়া! মাইন্ড করলে মাইর দিমু কইলাম!!
-----------------------------
এখনো নজরবন্দী!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- প্রকৌশলীরা ইট,কাঠ, পরিবর্গার সঠিক ও নির্ভুল বুনিয়াদে পারদর্শীতা ছাড়াও শব্দের বুননেও যথেষ্ট মুন্সিয়ানার ছাপ ফেলার ক্ষমতা রাখে তাহলে!

নিজের নামে (অবশ্যই ছদ্মনাম জিন্দাবাদ) লেখার খুশিতে শরীক হলাম। হাসি

___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

স্পর্শ এর ছবি

বেশ কয়েকদিন পর আপনার কমেন্ট পেলাম! হাসি ভাল লেগেছে।
-----------------------------
এখনো নজরবন্দী!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

স্পর্শ ভাই আধা সচল হইলেন কবে?? যাই হোক এর জন্য স্বাগতম আপনাকে।আর লেখার বিষয়ে মন্তব্য করতে গেলে হয়ত ছোট মুখে বড় কথা বলে হয়ে যাবে।লেখাটি অত্যন্ত ভাল হয়েছে। কিন্তু অনেক সচলদের একনো এখানে চোখ পড়েনাই কেন। আপনি নতুন লেখক বলে !!??!!

~~~টক্স~~~

-------------
বল বীর, চির উন্নত মম শির।

স্পর্শ এর ছবি

হতে পারে। আমিতো নতুন লেখকই। লেখা ভাল লেগেছে যজেনে খুব ভাল লাগছে হাসি কমেন্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আশাকরি আপনিও তাড়াতাড়ি 'আধা সচল' এবং 'সচল' হয়ে যাবেন। হাসি
-----------------------------
এখনো নজরবন্দী!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

রায়হান আবীর এর ছবি

তানভীর বাই, আসেন বুকে আসেন...সকালে বাসায় গেছিলাম...এখন হলে ঢুকেই দেখি বিরাট সু-সংবাদ...আপনি সচল...

লেখাটা খুব সুন্দর। আমি যদি ছেলেবেলা এমন লিখতে পারতাম... মন খারাপ

---------------------------------

স্পর্শ এর ছবি

পারবা পারবা। লিখে ফেল্ল্লেই হয়। স্ম্রৃতিচারণ কিন্তু সব সময়ই একটু বিষাদ ময় হয়। লিখে ফেল। তোমার লেখা তো জোস হয়। হাসি অই যে নিশি আপুরটা!!
-----------------------------
এখনো নজরবন্দী!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল লাগলো আপনার লেখা। আমি জানি মা বাবা ভাই বোন ছাড়া থাকতে কেন লাগে...ক্যাডেট কলেজ তো...তারপর বিএমএ...তারপর ক্যান্টনমেন্ট...এখন ক্যাম্প এ...তারপর.........

আশরাফ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- তারমানে আশরাফ ভাই পুরা আশযুক্ত বাঁশের আগায় আছেন! চোখ টিপি
নেভার মাইন্ড, আমরা সকলেই আছি।

জয়বাবা বাঁশুনাথ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

স্পর্শ এর ছবি

আসলেই আশরাফ ভাই এর দেখি লাইফ হেল!! তবে ভাই (আশরাফ ভাই) নিজের ছেলেমেয়েকে কাছে রেখেন। হাসি তাহলেই হবে।
-----------------------------
এখনো নজরবন্দী!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

নিঝুম এর ছবি

নতুন যায়গায় একটা ঘুপচি ঘরে বসে রাতের পর রাত পড়াশুনা করি। একদিন অনেক রাতে নখ কাটতে গিয়ে আটকে যাই অনামিকায় এসে। সূর্য রংটা সে হারাতে বসেছে প্রায়! বুকটা হু হু করে ওঠে। এসময় একটা তেলাপোকা উড়ে যায় দরজার দিকে। খুট করে একটু শব্দ হয় যেন। বেখেয়ালে বলে উঠি, ‘ধুরো আম্মু...’!!

ছেলেবেলার স্মৃতি গুলো মনে করা যায়, মনে করে হেসে ফেলা যায়, দু'এক্টার কথা মনে করে একটু আধটু বিষন্ন হওয়া যায়, কিন্তু এইভাবে কি লিখে ফেলা যায়??? এত সুন্দর করে?? লেখা পড়ে কেউ যদি তার একটা বাস্তব ছবি হুট করে সামনা সামনি দেখে ফেলে, আমার ধারনা সে লেখার স্বার্থকতা লেখক কে ছুঁয়ে যায়। ছুঁয়ে যেতেই হয়...

আমি আপনার লেখা পড়লাম আর সামনা সামনি কিছু দৃশ্যও দেখে নিলাম। ( হোক না তা মিথ্যা!!!)

কি আসে যায়?

---------------------------------------------------------
পৃথিবীর সব সীমান্ত আমায় বিরক্ত করে। আমার বিশ্রী লাগে যে, আমি কিছুই জানিনা...

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

স্পর্শ এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যাদ! হাসি লেখাটা আপনাকে নাড়া দিয়েছে দেখে নিজেকে কিছুটা হলেও স্বার্থক মনে হচ্চে। হাসি
আসলে "লিখে ফেলা" খুব একটা কঠিন কিন্তু না। একটু সময় নিয়ে বসলেই হয়। আর নিজের আবেগ কে ছেড়েদিতে হয় স্বাধীন ভাবে।
আপনার নিজের কথাও লিখে ফেলুন না!!

শুভেচ্ছা।

-----------------------------
এখনো নজরবন্দী!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

সচল দেখে ভালো লাগছে। আপনার লেখাগুলো আসলেও প্রাণবন্ত...অনেক ভালো লাগে পড়তে। এখন তো দেখছি আপনার স্মৃতিচারণও অনেক সুন্দর।

-নিরিবিলি

স্পর্শ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। না পুরো পুরি সচল হইনি এখনো। একসময় হয়ে যাব আশাকরি। আপনি আমার লেখা গুলো পছন্দ করেন দেখে খুব ভাল লাগাছে!! হাসি
-----------------------------
এখনো নজরবন্দী!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

রেনেট এর ছবি

আপনার লেখার হাত খুব ভালো।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

স্পর্শ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ! হাসি
-----------------------------
এখনো নজরবন্দী!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

স্বপ্নাহত এর ছবি

তিনটি বোকা মানুষকে পিছনে ফেলে অনেক দূরে চলে আসি আমি।

এই লাইনটা পড়ে ক্যানো যেন বুকে ধাক্কা খেলাম। একটানে কলেজ টাইম এর কথা মনে করিয়ে দিলেন। ছুটি শেষে আবার কলেজে যাবার জন্য বাসা থেকে বের হচ্ছি। গেটে মা দাঁড়িয়ে।তবে তখন একবারো পিছনে তাকাতাম না। মা ও আমার সামনে কিছু করতোনা। কিন্তু জানি আমি চলে যাবার পরেই অনেকক্ষণ কাঁদবেন। এটা আমার আপু পরে আমাকে বলেছিল।

লেখাটা যে মন স্পর্শ করে গেল সেটা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে?

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

স্পর্শ এর ছবি

অনেক ধনব্যাদ ভাই !
মজার ব্যপার হল লেখার সময় আমার নিজের চোখেও পানি চলে এসেছিল। মন খারাপ
আপনার মনকে স্পর্শ করতে পেরেছি জেনে ভাল লাগছে।

-----------------------------
এখনো নজরবন্দী!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মুজিব মেহদী এর ছবি

লেখাটা ভালো হয়েছে, উত্তম হয় নি কিন্তু। পরের লেখাগুলো উত্তম হোক।
................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

স্পর্শ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ !! হাসি
চেষ্টা রইবে। তবে সফল হবার সম্ভবনা কম!
-----------------------------
এখনো নজরবন্দী!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ইরতেজা এর ছবি

তানভীর খুব ভালো হচ্ছে। সচল হওয়ায় অনেক অভিন্দন। "এখনো নজরবন্দী!" বিষয়টা কি ?
____________________
ওয়েব সাইট | ফেইসবুক | অরকুট |

_____________________________
টুইটার

স্পর্শ এর ছবি

না মানে পুরাপুরি সচল হইনি এখনো।:-s
কিছুটা 'নজরবন্দী' আছি। দেঁতো হাসি
-----------------------------
এখনো নজরবন্দী!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

swashotoshuvro এর ছবি

আমার কমেন্টগুলি পোস্ট হয় না।
অবশ্য যা কমেন্ট, পোস্ট না হওয়াই ভালো।

স্পর্শ এর ছবি

পোস্ট হইসে তো !! হাসি
-----------------------------
এখনো নজরবন্দী!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

তিথীডোর এর ছবি

সুন্দর! হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।