আদর

s-s এর ছবি
লিখেছেন s-s (তারিখ: শনি, ২২/১২/২০০৭ - ৬:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঘাড়ের পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে
দু'টো হাতের ফ্রেমে আরও দু'টো নরম হাত
কানের লতিতে কুটুস করে একটা ছোট্ট কামড়।
ট্রেন স্টেশনে পনেরো মিনিট দেরী ট্রেনের,ল - ম্বা সময়
অতএব আঙুলে আঙুল,করতলে নখের আঁকিবুকিতে
সোয়ালো পখির পালক----শিরশিরানি।

রিয়ালটো টাওয়ার,আবছায়া ঘনায় সিঁদুরে মেঘ
বিকেল পার হওয়া সন্ধ্যায়
শ্যাম্পেন ফ্লুটের সুচিক্কণ উন্মুক্তে প্রিয় মুখমদের ছিটে
দুষ্টুমি করেই দু'টো স্ট্র
একটান দিয়েই খিলখিল হাসি,কৌতুকে ডগমগ
চোখের মণি।

বাথটাবের শয্যায় দুগ্ধফেননিভতা,সুগন্ধী মোম আর
মোলায়েম সঙ্গীত
চোখে হঠাৎ সাবান জ্বালা,ধুয়ে ফেলা জলের কলরোলে
তারপর চোখের পাতায় টুকটুকে জিভ দিয়ে আদর বুলনো,পুরোটা - - - - - - - - -

ঘুম আসছেনা,চিরুনীর আদরে পরিপাটি করে চুল
আঁচড়ে দেয়া
সারাদিন হেঁটে পা ব্যথা চোখ ফেটে পানি
আর মুখ গোমড়া হবার আগেই
ডিভানের ওপর দু'জনের কোলে দু'জনের পা
সুজন তো দু'জনেই - তেঁতুলপাতা হলে ন'জনও আঁটতো!

ঠোঁটের সাথে ঠোঁট,অধরোষ্ঠ আর ওষ্ঠপুটের সহাবস্থান
নিভিয়ে দেয়া টেবল ল্যাম্পটা শীত রাতের নরম ওম
আর লেপের তলায় পায়ের পাতা দু'টোর জড়াজড়ি।
করৌঞ্জের নির্যাস তেল উরুতে
পিঠের ব্যথায় কঁকিয়ে ওঠা পেশীতেও - উহ্ ।।

হাতের তালু এতো নরম,এতো উষ্ঞ,এ-তো !
নিষ্পেষণে নয়,নিঃসরণে চোখের জল ঠোঁট দিয়ে শুষে নেয়া
গালের ওপর থেকে হীরের কুঁচি জলকণা
জলকন্যা হলে জলপুত্র আগল দেয়
আঁকড়ে ধরে মেদহীন সুঠাম পেশীতে
আপ্লুত আদরে জলপাই ত্বক ফারের কোটের মতো
রেশমী স্পর্শ,হঠাৎ জিভের আলিঙ্গনে জিভ
আশ্লেষে চুম্বন,আচম্বিতে তীব্রভাবে আঁকড়ে ধরা

পিঠের উঁচুনীচু উপত্যকায় লবণদানার মতো দু'ফোঁটা ঘাম
নুনজল আর শরীরের ঘনশ্বাস
কাঁধের সংযোগ থিরথিরে কাঁপনে জানান দিলো
শরীরকে তার না পাওয়ার আক্ষেপ
আর তখনই সুতির নরম কাপড় পুরনো দিনের জামাটা সরে
ত্বক বললো অন্য ত্বকের সাথে কথা- খাঁটি শরীরী ভাষায়।
জিভ তাকে লেহন করলো, সমস্ত সৌন্দর্যকে এবং অসৌন্দর্যকেও
গালের রক্তচ্ছটা শক্ত নিষ্পেষণে রক্তাভ হলো
আদুরে ভাষা আদুরে গোঙানি হলো
শ্বাসবায়ুতে শ্বাসবায়ু মেশানো হলো,
স্তনবৃন্তের সাথে ওষ্ঠাগ্র কথা বললো
কথা বললো যোনির সাথে শিশ্ন
কথা বললো হাতের উল্টো পিঠের সাথে শরীরের সবচেয়ে গহীন অন্দর।।

শরীরের এই আদুরে ভাষায় ভালোবাসা ভীষণ
ভালোবেসে যেতে চাই - আজীবন।
আবেশী সুবাস উবে যাবার আগেই তাই
আঙুলের জ্যামিতিতে আবারও বন্দী আঙুল
মুক্তোর দানা ঠোঁটের ফাঁকে
আর ফিসফিস করে জানান দেয়া
হাঁসের ছানার বুকের ওম মেখে শরীরে শরীর
"চল না আকন্ঠ ডুবি আবার তোতে আমাতে"।।

ss ২২শে ডিসেম্বর ,২০০৭। রাত ১১টা ১৯মি।

(ছবি: http://artfiles.art.com/images/-/Alfred-Gockel/Endless-Love-Print-C10080101.jpeg)


মন্তব্য

শেখ জলিল এর ছবি

আদর- শরীর ও মনের ভাষায়। বেশ ভাল্লাগছে।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

s-s এর ছবি

ধন্যবাদ, শুভাশীষ

কনফুসিয়াস এর ছবি

বিপ্লব না দিয়ে পারলাম না। খুব ভাল লাগলো। একদম ছবির মতন।
-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

s-s এর ছবি

শ্রদ্ধেয় কনফুসিয়াস, বিপ্লব ব্যাপারটা কি?
ধরে নিচ্ছি ভালো কিছুই হবে। আপনার অনুভূতির জন্য কৃতজ্ঞতা ও সন্তোষ হাসি

স্নিগ্ধা এর ছবি

সেঁজুতি - অপূর্ব। আপনার সব কবিতাই যে আমার ভাল লাগে তার কারণ ভাবছিলাম আপনি মেয়ে বলে আমি biased কিনা, পরে দেখলাম তা না আসলে কবিতাগুলোই খুব ভাল ঃ)

s-s এর ছবি

হা হা হা হা হা হা হা !!!!
স্নিগ্ধা,বলতে নেই,আপনার এই মন্তব্য পড়ে আমি খুব একচোট হেসেছি। you are s-o sweet, হাসি!নীললোহিতের লেখার মত একটা অপরিসীম সারল্য আছে আপনার বলায়, হাসাটা সেটা মনে করেই!
আমি "মেয়ে" এই হিসেবে আমার কবিতা অনেকেই পড়েছেন দেখলাম,অন্তত:আপনি সেটা স্বীকার করেছন, এই স্যলুট অবশ্যই আপনার প্রাপ্য। তবে কি'না কবিতা লিঙ্গ পরিচয়ের বায়াস বা স্টিগমাকে তোয়াক্কা করেনা, আর মেয়েদের লেখা ২০০৭ এ বসেও শুধুই "মেয়েদের" এই আত্মোপলব্ধি বেশ অস্বস্তিকরও,কি বলেন? নবনীতা দেবসেন এর চমৎকার হিউমারাস একটা লেখা পড়ছিলাম এ নিয়ে,একদিন আলাপ করা যাবে খ'ন। বাণী বসুও বলেছেন "দিদিমাসির জিন" এ, আবার "মেয়েদের আড্ডার হালচাল" এও, পড়েছেন? মজার , মুচমুচে লেখা। তসলিমা নাসরীন তো সেই কবে থেকেই বলছেন।

আপনি আমার লেখা পড়েন, এটাই খুব চমৎকার অনুপ্রেরণা, সেটাকে কবিতার পাঠক হিসেবে দেখেন, সমালোচনার দ্বার তো উন্মুক্তই রইলো।

আনন্দে আর ভালো থাকুন।

কৃতজ্ঞতা আর শুভ কামনা মজার মন্তব্যের জন্য।

স্নিগ্ধা এর ছবি

সেঁজুতি - আপনাকে হাসাতে পেরে আমিও আনন্দিত হাসি কিন্তু সুলিখিয়ে না হলে যা হয় - আমার বক্তব্য ঠিক মতো বোঝাতে পারি নি আর কি। আপনি মেয়ে বলে (অন্তত আপনার নাম আর আপনার সাথে আমার অল্প কিছু email বিনিময়ে আমার যে ধারনা হয়েছে) আমি ‘স্বভাবতই’ biased হয়ে যাচ্ছিলাম কিনা নাকি নান্দনিক বিচারে কবিতাগুলো আমার আগ্রহ জাগাতে পেরেছে, আমার নিজের কাছে প্রশ্ন ছিলো সেটাই। যদিও লেখকের লৈঙ্গিক পরিচয় কোনভাবেই তার লেখার মান বা ভঙ্গি বা কোন কিছুই নির্ধারন করে না - কিছুদিল আগে নারী পুরুষ সংক্রান্ত এক মন্তব্য পাল্টা মন্তব্য ইত্যাদিতে আপনার অবস্থান ছিলো যে নারী শুধুমাত্র তার নারীত্বের কারণেই কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হয়। অর্থাৎ এই পরিচয়টি থাকেই , থেকে যায়। আপনার লেখক হিসেবে’নারী লিখিয়ে’ বা ‘লেখিকা’ পরিচয় না হোক আমি ব্যক্তি হিসেবে আপনাকে একজন নারী বলে জানি বলেই এই কথাটি বলা। কবিতা - নারী পুরুষ কবি নির্বিশেষে - আমি যখন ইচ্ছা হয় পড়ি কবির নাম দেখে তা কখনই ঠিক করি না , যদি না সে আমার পূর্ব পরিচিত/জানা কোন পছন্দের কবি হয়।

আমার সবচাইতে প্রিয় লিখিয়ে/কবি একজন পুরুষ - তাঁর নাম বুদ্ধদেব বসু।

শুভেচ্ছা রইলো।

কেমিকেল আলী এর ছবি

শুধু ছবিটা দেখেই পড়া শুরু করেছিলাম। কারন এই ছবিটা অলৌকিক হাসান ইউজ করে। পড়া শেষ করে ভাল করে দেখি আপনি হাসি
-----------------
ভাল লেগেছে তাই জাঝা

s-s এর ছবি

উত্তম জাঝা বস্তুটি কি?

কেমিকেল আলী এর ছবি

অনেক অনেক কাল আগে যখন সচলায়তনের জন্ম হয়নি তখন সামহোয়ারইনে জারীর নামে এক তরুন প্রতিভাবান কবি একটা কবিতা লিখেছিল।

এই কবিতায় জাঝা শব্দটি সেই তরুন প্রতিভাবান কবি আমাদের সামনে প্রথম পরিচয় করিয়ে দেয়। বাকীটা ইতিহাস যা আমরা এখনও দেখছি।
বিস্তারিত বলতে গেলে অনেক সময়ের দরকার। আশা করছি মোটামুটি একটা ধারনা পেয়েছেন।

থার্ড আই এর ছবি

কেমিকেল ভাই আমিও একই ভুল করেছি!! আর যা হবার তাই হয়েছে। অলৌকিক ভেবে মন্তব্য করেছি, আর ম্যাডাম রাগ করে আমার কমেন্ট ডিলিট করে দিয়েছেন।
যাই হোক বিপ্লব দিয়েছিলাম , বিপ্লবই থাকুক।
-------------------------------------
জল ভরো সুন্দরী কইন্যা, জলে দিছ ঢেউ।
হাসি মুখে কওনা কথা সঙ্গে নাই মোর কেউ।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

অতিথি লেখক এর ছবি

শরীরের এই আদুরে ভাষায় ভালোবাসা ভীষণ
ভালোবেসে যেতে চাই - আজীবন।
................আমিও॥

..............চমৎকার, অসাধারন।

....................................................
প্রীয়ক

s-s এর ছবি

হাসি

s-s এর ছবি

হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা
"দেখ তার সৃষ্টি
মানো তার কথা
তবেই দিবেন তিনি
উত্তম জাঝা* !"

ভেবেছিলাম আজ আমার হাসার পালা শেষ স্নিগ্ধার মন্তব্যের পরই,
কিন্তু মনে হচ্ছে সবে তো কলির সন্ধ্যে।। যাক্, আমার কবিতার এই মাল্টিডিসিপ্লিনারি এ্যপ্রোচ দেখে এবং এই শব্দাবলী পড়ে আমি আপাততঃ অ - বাক হয়েই থাকছি।
(উত্তম জাঝা - হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা)

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

সচল হবার পর অল্প সময়ে জাঝা কী তা বুঝে ফেললেও প্রথমে ভড়কে গিয়েছিলাম 'বিপ্লব', 'জটিল ' জাতীয় শব্দাবলির ভিন্নার্থে ব্যবহার দেখে। আর উদ্ভট বানানরীতি তো আছেই: ঠিকাছে, ভাল্লাগ্লো...।

আমি নিজেই এখন এসব যথেচ্ছ ব্যবহার করি। একটু আগেই আরেক লেখায় কমেন্টে লিখলাম'খুব্ভাল্লাগ্লো' আর 'খারাপ্না'।

সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হো হো হো

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

s-s এর ছবি

এই লেখাটা সম্পর্কে তাহলে আপনার মন্তব্য নেই বলছেন হাসি?

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

সত্যি বলতে, কবিতার ব্যাপারে আমি বেশ সেকেলে। তার ওপরে, কবিতা খুব বেশি বুঝিও না। বেশি ভালো লাগে অন্ত্যমিলের ছন্দময় কবিতা। যদিও গদ্য কবিতাও অনেক সময় ছুঁয়ে যায় মনের গহীন। যদ্দূর মনে পড়ছে, অতিথি লেখক হিসেবে লেখা আপনার আগের কবিতায় আমি মন্তব্য করেছিলাম। সাহসী উচ্চারণের সেই কবিতাটি আমাকে রীতিমতো নাড়া দিয়েছিল।

আমাকে কাঠখোট্টা এমনকি পাষাণহৃদয়ও ভেবে বসতে পারেন, তবু একটা অকপট স্বীকারোক্তি করি: নারী-পুরুষের সম্পর্কের রোমান্টিকতা আমাকে আর আগের মতো স্পর্শ করে না (সাধেই কি সন্ন্যাসী? চোখ টিপি ) না, ব্রহ্মচারী আমি নই। তবে ওই যে বললাম, ওই রোমান্টিকতা আমার নিঃশেষিত হয়ে গেছে। তবে তাই বলে পৃথিবী থেকে তো তা উধাও হয়ে যায়নি, তার উপর্যুপরি প্রমাণ আপনার প্রেমাবেগপ্রসূত সুলিখিত এই কবিতাটি আর তার পাঠকদের উচ্ছ্বসিত মন্তব্যের জোয়ার।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

হিমু এর ছবি

ঠিক বলেছেন, কর্মী মোরা
নই তো ভালো বক্তা
না, ক্রীড়া নয়, পেরেক মারার
জন্যে খুঁজি তক্তা!
ক্রীড়ার সময় হায় হলো শেষ
তাই নিয়ে নাই দুঃখ বিশেষ
ভাল্লাগে তা-ও যখন দেখি
ক্রীড়ার অনুরক্তা।

ইয়ে, s-s বা সন্ন্যাসী, বা অন্য কেউ এই ছড়ার জন্য পেতিবাদ করলে বলি, এটা নিতান্তই ছড়া। এর সাথে এই কবিতার যোগ একেবারেই কাকতালমাত্র। জীবিত বা বিবাহিত কোন প্রকারের মানুষের সাথেই এর কোন বিরোধ নাই!


হাঁটুপানির জলদস্যু

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

কী দুর্দান্ত এক ছড়া লিখে ফেললেন হেসে-খেলে!
আমি তো বলেই চলেছি - মাঠে নামুন।

জীবিত বা বিবাহিত কোন প্রকারের মানুষের...

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ক'দিন আগে রুশ এক লেখকের এক রঙ্গ-রচনার নাম দেখে খুব চমৎকৃত হলাম। নামটির বাংলা অনুবাদ হতে পারে: প্রায়গিক রোমান্টিকতা (Applied Romanticism)। এই রোমান্টিকতা কি "কর্মীদের" ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

হিমু এর ছবি

একেবারে লাগসই শব্দ!

আরে আমিও তো বলছি আপনাকে, মাঠে নামুন সন্ন্যাসী! আলসেমি আর উঁইপোকা ঝেড়ে ফেলুন গা থেকে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

s-s এর ছবি

তক্তা পেরেক কাজ দেবেনা
মনটা হলে শক্ত
শেষ অব্দি হতেই হবে
অনুরাগের ভক্ত
নিজের চোখে পরিয়ে ঠুলি
আপন মনে যতই চলি
কেউ কি পারে থাকতে
প্রেমের প্রতি অনাসক্ত?

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

কেউ কি পারে থাকতে
প্রেমের প্রতি অনাসক্ত?

খুব পারে। আমিই এর জলজ্যান্ত উদাহরণ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

এরকম একটি কবিতা পড়ে দিন শুরু করা যায় কফিতে চুমুক না দিয়েও।
বিপ্লব।
জাঝা
এবং গুল্লি

নজমুল আলবাব এর ছবি

ভাল লাগলো কবিতা পাঠে।

ভাল লাগা বলতে পাঠে আরামবোধ। আমরা সাধারণ শ্রেণীভুক্ত পাঠক এইটা দিয়াই বিচার করি ভাল খারাপ। পড়ে আরাম হল কিনা। সেইদিক দিয়া আপনে বিশাল কবিতা লিখেও কস্টের কারণ হননাই। মুবাম্বা খোশ হোয়া শয়তানী হাসি শয়তানী হাসি

সচলের রিতি অনুযায়ী আপনাকে বিপ্লব, জাঝা এবঙ গুল্লি দেয়া হল।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

কঠিন! অসম্ভব ভালো লেগেছে! আমি কিছু কিছু কবিতা আবৃত্তি করার ব্যর্থ একটি প্রচেষ্টা চালাই। উদাহরন ১, উদাহরন ২, উদাহরন ৩। আপনার এটা আবৃত্তি করতে পারলে ভাল লাগবে। শেষ পর্যন্ত হয়ত করা হয়ে উঠবে না সময়ের অভাবে। তবু অনুমতির অপেক্ষায় থাকলাম।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

s-s এর ছবি

সানন্দে। ইচ্ছে হলেই করতে পারেন।
(সুমন রহমানের কবিতাটি সুন্দর লেগেছে, কবিতা ও আবৃত্তি দুই ই)

s-s এর ছবি

কবিতাটি ছবিই আছে,ফোটোগ্রাফ হয়নি,তবে কি'না বেশ কাঁচা শিল্পীর হাতে আঁকা ছবি,তাই শিল্পীর দক্ষতার অভাবে ফোটো বলে ভ্রম হয়,সেটা আদতে শিল্পীরই সীমাবদ্ধতা। প্রাণপন মোটেই চেষ্টা করিনি, তবে ভালো বলেছেন, বসে বসে দু'টো মানুষের ভালোবাসা দেখা- ঠিক এটাই চেয়েছিলাম বোধ করি। অনুভবের নয় কতকটা।
ধন্যবাদ, আন্তরিক।

s-s এর ছবি

বিপ্লব।= এটা এখনও বুঝতে বাকি আছে
জাঝা= এটার ইতিহাস তো মাত্র আত্মস্থ করলাম
এবং
তৃতীয়টার মানে কিছুই বুঝলাম না।

কবিতা টা পড়ে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
এইসব ছবি টবি দেখে মনে হলো হয়তো একটু বেশী লেগেছে, সুতরাং একটু বেশী খুশি?

নিঘাত তিথি এর ছবি

ব্লগার বিপ্লব রহমানকে তো জানেন। তিনি হৃদয়বান ব্যক্তি। অধিকাংশ পোস্ট পড়ে আপ্লুত হয়ে তিনি পাঁচ রেটিং দেন, বলে "পাঁচ দিলাম"। এটা এমন হয়ে গেলো একটা সময় যে কেউ কাউকে পাঁচ দিতে চাইলে সেটা হয়ে গেলো বিপ্লব দেয়া। সম্ভবত প্রথম হিমু ভাই পাঁচ দেয়াকে বিপ্লব দেয়া বলেছিলেন। অনেক সময় দেখবেন অনেকে বলে যে, "আপনাকে আস্ত বিপ্লব রহমান দিলাম, গোঁফসুদ্ধা"! দেঁতো হাসি

জানিয়ে রাখি, কবিতাটা ভীষণ ভালো লেগেছে, গতকালই বলতে চেয়েছিলাম, লগ ইনের আলসেমীতে বলা হয় নি। শভকামণা ভবিষ্যতের জন্য। লিখতে থাকুন।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

মুজিব মেহদী এর ছবি

s-s যে সেঁজুতি নাম্নী একজন নারী সেটা প্রকাশিত না হওয়াই ভালো ছিল। জানবার পরে আবার পড়লাম, তখন কবিতাটার স্বাদ বদলে গেল।
বৈপ্লবিক!
...................................................................
অসংখ্য 'নেই'-এর ভিড় ঠেলে
জ্বলজ্যান্ত 'আছে' খুঁজে পাওয়া হলো আসল ফকিরি

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

ss এর ছবি

নারী জেনেই লেখার স্বাদ বদলে যাওয়া খুব বিপজ্জনক, বেশ কিছুটা রেসিস্টও। ss খুব স্বচ্ছন্দেই পুরুষ হতে পারেন, নারী নাম এত বিড়ম্বনার জানলে।
এবং নারী নাম, শেষ পর্যন্ত নামই , লেখার লিঙ্গ পরিচয় নির্ধারক নয়, এটি আমাকে "নারী" ভেবে যতজন লিখেছেন (এখানে এবং ব্যক্তিগত মেসেজ বক্সে) তাদের প্রতি সামান্য সতর্কবাণী।
বিনীত
ss

ঝরাপাতা এর ছবি

শুধু কবিতার জন্য এ জন্ম, শুধু কবিতার
জন্য কিছু খেলা, শুধু কবিতার জন্য একা হিম সন্ধ্যাবেলা
ভুবন পেরিয়ে আসা........

কবিতার কাছেই ফিরে আসি বার বার কবির হাত ধরে। আবারো ভালো লাগা অবর্ণন।


রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।