অণুগল্প :: বাড়ির ভাত খেয়ে

সুমন চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন সুমন চৌধুরী (তারিখ: বিষ্যুদ, ১০/০৭/২০০৮ - ১০:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কলিং বেলে টিপ দেবার জন্য হাত তুলতেই চোখে পড়লো দরজার উপর নোটিশ।

জরুরি কাজে বাইরে যাচ্ছি। আজ ক্লাস হবে না। সামনের শনিবার বিকালে রিকাভারি ক্লাস।

সকাল থেকে কলেজের পর এই দুপুর রোদে ঘামে চুপচুপ হয়ে কেমিস্ট্রি পড়তে এসে পড়া না হলে ভালোই লাগে। কিন্তু যাবো কোথায়? বাইরে বাঙ্গীফাটা রোদ। রাস্তায় নেমে হাঁটতে হাঁটতে পুরনো এলিফ্যান্ট রোডের কোনায় এসে দেখি গরম গরম পাকোড়া ভাজা চলছে। ডিমসহ পাঁচ টাকা ডিম ছাড়া তিন টাকা। তিন টাকার এক প্লেট নিয়ে খুব তৃপ্তি করে খাওয়া গেল। খেতে খেতে বুদ্ধি খুলল। একবার মল্লিকা থেকে ঘুরে আসা যেতে পারে। কুড়ি টাকার মধ্যে টিকেট পাওয়া গেলেই ঢুকে পড়বো। অনেকদিন ভালোমন্দ দেখা হয় না।

ব্যাগ পিঠে নিয়ে স্যান্ডেল ঘষতে ঘষতে গানের ডালি, সোনালী ব্যাঙ্ক, এরোপ্লেন মসজিদ পেরিয়ে একসময় পৌঁছলাম মল্লিকার সামনে। দুটো চল্লিশ বাজে। ছবি শুরু হতে আরো কুড়ি মিনিট। এক টিকেটে দুইটি ছবি। Fatal desire আর Those who care. কিন্তু ব্ল্যাকারদের দেখা নেই। কাউন্টারের সামনে একটা লাইনমতো দেখা যাচ্ছে। এই জাতীয় ছবির টিকেট তো কাউন্টারে বিক্রি হবার কথা না। যারা জানেনা তারা লাইনে দাঁড়ায়। বাকিরা হয়তো রোদ থেকে বাঁচতে শেডের নিচে ঢুকেছে।

লাইনের সামনে কে যেন কাঁদছে আর তাঁকে ঘিরে একটা জটলা। সামনে এগিয়ে দেখি বছর কুড়ির এক ছেলে হাঁপুস নয়নে কাঁদছে। ওর নাকি ভিড়ের মধ্যে পকেটমার হয়েছে। এখন ছবি দেখবে কিভাবে? হাতে একটা দুটাকার নোট আর একটা একটাকার কয়েন। কিছু উদ্যোগী জনসেবক পাওয়া গেল। দ্যান ভাই দ্যান যা পারেন। পোলা এত শখ কইরা ইংলিশ বই দ্যাখতে আইছে। একজন আবার প্রতিবাদ করে বলে, টেকা নাই কইয়া হলে আইয়া কানলেই হেরে টেকা তুইলা বই দেহান লাগবো! এইটা কী কন? উদ্যোগী ভদ্রলোক বললেন, আরে ভাই রাগ করেন ক্যা? পোলা পাগল দ্যাহেন না? এইবার ছেলেটি গলা চড়ালো। কান্না থামিয়ে জোর গলায় বললো, আমি পাগল না, আমার নাম শাহীন, আমি বাসার থিকা ভাত খাইয়া আইছি!


মন্তব্য

দ্রোহী এর ছবি

হা হা হা .....এইটা সেই গল্প না?

বদ্দা পর্বতের কথা মনে আছে? আপনেরা গেছিলেন আর আমগো পোলাপাইন হলের ভেতর তুমুল গ্যাঞ্জাম লাগাইছিল "সিনের" জন্য।


কি মাঝি? ডরাইলা?

সুমন চৌধুরী এর ছবি

সে কি আর যায় রে ভোলা?

একবার সামার ভ্যাকেশনের পরে হলে ফিরা দেখি আমাগো গ্রুপের কয়েকজনে দল বাইন্ধা পার্বত্য চট্টগ্রামে বেড়াইতে গেছে। আমরা কয়জন মন খারাপ কইরা ঠিক করলাম ঠিকাছে, অরা পাহাড়ে গেছে আমরা যামু পর্বতে। বাইশ টাকা দিয়া টিকেট কাইটা ঢুকছিলাম। পরে দেখি মারামারি। একজনরে জিগাইলাম কাহিনি কী? কয়, যেই পোস্টার দিছে হেই ছবি দ্যায় নাই। যেইটা চলতাছে ঐটাতে কিছু নাই....

ছবির নাম ছিল স্যামসন অ্যান্ড ডিলায়লা দেঁতো হাসি



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

সবজান্তা এর ছবি

আমার ইশকুলের সামনে আছিলো ছন্দ সিনেমা হল। এক পোলায় রোজ ক্লাস বাংক মাইরা যাইতো এক টিকিটে দুই ছবি দেখতে। ম্যালাদিন ওরে আমরা ইশকুলে দেখি না।

হঠাৎ একদিন দেখি, চুলে তেল দিয়া, মাঝে দিয়া সিঁথি কাইটা উনি ক্লাশ করেন। আমি জিগাইলাম কী রে, তুই ক্লাশে কেন ? ঘটনা কী ?

বিরস মুখে কইলো, দোস্ত পুলিশে গ্যাঞ্জাম করতেছে, তাই আপাতত কয়দিন বন্ধ আছে। ভাবলাম অনেক দিন ক্লাশ করি না , তাই ... ...


অলমিতি বিস্তারেণ

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

মজারু হইলো। হাসি

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

সুমন চৌধুরী এর ছবি

মনের মধ্যে পইড়া পইড়া ফাল পাড়ে....তাই ঘলফে ঢুকাই...



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

আমি ইংরেজিতে কাঁচা ছিলাম....তোমার ইংরেজি কেমন?

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

সুমন চৌধুরী এর ছবি
আহসান হাবিব এর ছবি

সেই ৯২ সালের কথা, ক্লাশ সেভেনে'র ছাত্র তখন।আমাদের ক্লাশের একব্যাচ গেছে শহরের পাশে হাঁটুদের সিনেমা হলে এক টিকিটে দুই-ছবি দেখতে;হাটুদের জন্য সিনেমা,সুতরাং বুঝতেই পারছেন,বেটার কোয়ালিটি! আমার ইচ্ছা যে ছিলোনা এমনটা নয় কিন্তু সাহসে কুলোয় নি।যাইহোক ঔ গ্রুপের ছিলো একেবারে পিচ্চি একজন।তো গেট্ম্যান ওকে বলে" এই তোর গজাইছে;তুই এখানে কেন"?পিচ্চিটা ছিলো মহাত্যান্দর;সে সরাসরি প্যান্টের চেন ধরেই টান দিতেই, গেট্ম্যান আর কিছু জিজ্ঞেস না করে ওকে প্রবেশাধিকার দিয়ে দিলো।

সুমন চৌধুরী এর ছবি
রণদীপম বসু এর ছবি

কান্না থামিয়ে জোর গলায় বললো, আমি পাগল না, আমার নাম শাহীন, আমি বাসার থিকা ভাত খাইয়া আইছি!

সত্যি কইরা কন, পোলার নাম শাহীন না সুমন আছিলো ?

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সুমন চৌধুরী এর ছবি

নারে ভাই...সুমন নিউমার্কেট ব্রীজের নিচে পাকোড়া খাইয়া ব্ল্যাকে টিকিট কাইটা বই দ্যাহে....দেঁতো হাসি



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

রায়হান আবীর এর ছবি

হায়রে সেই মল্লিকা সিনেমা হলটা এখন আর নাই। পর্বতও না থাকার মতোন। গল্পটা সেই রকম লাগলো।

---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল

সুমন চৌধুরী এর ছবি

মল্লিকা উঠছে বেশ আগেই...মনে হয় ১৯৯৮ এর দিকে..ভালো হল ছিল...পর্বতের বিল্ডিংটা ছিল রহস্যময়...



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

অমিত আহমেদ এর ছবি

স্মৃতি টোকা দেয় রে সুমন ভাই। কি করি কন?


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

সুমন চৌধুরী এর ছবি

স্মৃতি তুমি বদনা



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

অমিত আহমেদ এর ছবি

সত্য, স্মৃতি মোটেই বদ না


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

ধুসর গোধূলি এর ছবি
সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

পর্বত ছিলো বাড়ির কাছে... শুক্কুরবার ম্যাটিনি শো ছিলো সবচেয়ে ইম্পর্টেন্ট। ঐটাতেই সবচেয়ে বেশি সিন দেখাইতো। লোকে যখন জুম্মায় যাইতো আমরা তখন ফিরতাম।
আর মল্লিকা ছিলো কলেজের কাছে... ঢাকা কলেজ থেকা হাঁইটাই আইসা হাজির।
এছাড়া গ্যারিসন তখন ছিলো সবচেয়ে হট... চান্দা উঠায়া দল বাইন্ধা আসতাম...

নাহ্... আমি তো দিনদিন ভালো হয়া যাইতেছি দেখি... দেঁতো হাসি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এই যুগের পোলাপান কম্পিউটার হাতে পাইয়া এক টিকেটে দুইটি ছবির মর্ম আর বোঝে না......



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বিনা টিকিটে হাজারটা দেখলেও মজা নাই... ইশকুল ফাঁকি দিয়া গুফনে ১ টিকিটে ২ ছবি মারার যে মজা...
এখনকার পোলাপানে খালি যৌনতা খোঁজে... কিন্তু আমাদের যৌনতার চেয়ে এডভেঞ্চারটাই বেশি ছিলো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অমিত আহমেদ এর ছবি

কথাটা তো জব্বর বলেছেন।
আসলেই!


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

সুমন চৌধুরী এর ছবি

দ্যাটস দ্য পয়েন্ট।



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

দ্রোহী এর ছবি

হা হা হা

কতদিন জুম্মার নামাযের বদলে পর্বতে ঢু মারছি ইয়ত্তাই নেই !!


কি মাঝি? ডরাইলা?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- মইরা লন, টের পাইবেন।

যখন ময়ূরীর রূপ ধইরা ফেরশতা আইয়া ইয়া বড় মুগুর দিয়া পিডাইবো তখন কইবেন, "কইছিলো, ধুগো কইছিলো!"
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তানবীরা এর ছবি

সমস্ত নারী কূলের তরফ থেকে আমি অতীব দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা কেউ এই ধরনের মজার স্বাদ নেয়ার সুযোগ পাই নাই।
সুযোগের অভাবে ভালো ছিলাম।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

মাহবুব লীলেন এর ছবি

সমস্ত নারী কূলের তরফ থেকে আমি অতীব দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা কেউ এই ধরনের মজার স্বাদ নেয়ার সুযোগ পাই নাই।

সমস্ত নারী কূলের এক বৃহৎ অংশের তরফ থেকে তীব্র বিরোধীতা করছি আপনার এই উদ্দেশ্যপ্রণোদীত বক্তব্যের
কারণ আপনার এই বক্তব্য দ্বারা আমাদের মতো উদার- পরোপকারী-ত্যাগী ও শহীদ সমাজসেবীদের অবদানকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার ও অবজ্ঞা করা হয়
যা ইতিহাস বিকৃতির সামিল

শুধু তাই না আপনার বক্তব্যকে মেনে নিলে আমাদের নিজেদের চোখকে অবিশ্বাসও অস্বীকার করতে হয়

জানিয়া রাখিবেন পৃথিবীর কিছু কিছু নারী সুযোগ বঞ্চিত হইলেও সব নারীকে সুযোগ বঞ্চিত ভাবা অন্যায় ও নারী স্বাধীনতা বিরোধী একটি চক্রান্ত...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হৈ লীলেন ভাই, আপনে শহীদ হইলেন কেমনে? টেকনিক্যালী তো আপনে গাজী!

ভোটার লিস্টির মতো ভুয়া তথ্য দেন ক্যান?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আচ্ছা সিনেমা কী?
এক টিকিটে দুই ছবি মানে কী?
সবাই পর্বতে গিয়ে কী দেখত?

(ইহা মুমুয়িত প্রশ্ন। সুতরাং বিজ্ঞজনদের উত্তর দেয়া জাতীয় কর্তব্য)

মুশফিকা মুমু এর ছবি

এইটা কি বললেন লীলেন ভাই মন খারাপ যান আপনাকে আর কোনও দিনও কোনও প্রশ্ন করব না এই লাস্ট কয়েকটা প্রশ্নের পর ...

১. মুমুয়িত প্রশ্ন মানে কি?

২. আপনি ছবিতে লাল সার্ট পরে আছেন কেন?

৩. আপনার চোখে সূর্য-চশমা কেন?
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

মাহবুব লীলেন এর ছবি

০১ মুমুয়িত প্রশ্ন= যে প্রশ্ন শুনে উত্তরদাতা প্রথমে কান্নাকাটি করে। পরে ভুল উত্তর দেয়

০২ লাল শার্ট= পাশে যে মেয়েটা দাঁড়িয়ে আছে (খালি চুল দেখা যাচ্ছে) সে লাল পছন্দ করে তাই

০৩ সূর্য চশমা= এক মেয়ের পাশে দাঁড়িয়ে আশপাশের মেয়েদের দেখার জন্য সুর্য চশমা খুবই উপকারী তাই

মুশফিকা মুমু এর ছবি

হুমম ঠিক আছে, তবে মাইন্ড চেইনজ করলাম, এখন থেকে আপনাকে "মুমুয়িত" প্রশ্ন করে বন্যা করে ফেলব, এখানেও ফেসবুকেও, দাঁড়ান আসতেসি, মজা টের পাইবেন দেঁতো হাসি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

মাহবুব লীলেন এর ছবি

০১. 'হুমম' এটা কোন দেশের ভাষা? এর অর্থ কী?

০২. মাইন্ড চেঞ্চ করে কোন কনভার্টার দিয়ে? এটা কারা বানায়? এটা ব্যাটারিতে চলে না কারেন্টে চলে?

০৩. প্রশ্নের বন্যা কোন সিজনে হয়? বৃষ্টিতে হয় না খরায় হয়?

০৪. ফেসবুক কী? ওখানে কি শুধু ফেস থাকে না ঠ্যাংও থাকে? যদি থাকে তাহলে ওটার নাম লেগবুক না হয়ে ফেসবুক হলো কেন?

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

আমি ‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍ফেসবুকের বাংলা করেছি "খোমা-খাতা" হো হো হো

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

সুমন চৌধুরী এর ছবি
মনজুরাউল এর ছবি

মনজুরাউল
হ্যাঁ এটা জানবে, ওরা নেচে গেয়ে কুদেটুদে পাহাড় ডিঙ্গোবে......
তুমি গাইবার কালে কেউই নাচবে না ।
................................................................................
কোন গাছটা কাটা বারণ
কোন ফুলটা ছেঁড়া বারণ

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

সুমন চৌধুরী এর ছবি
এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হাসি
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍এলিফ্যান্ট রোডের কোনায় এসে দেখি গরম গরম পাকোড়া ভাজা চলছে

কতোবার যে খাইসি ওখানে! দিলেন তো মনটা উদাস কইরা

পুনশ্চ. গতকাল রাতে লেখা এই মন্তব্যটি আজ আবার পড়তে গিয়ে লক্ষ্য করলাম, "দিলেন" লিখতে চেয়ে টাইপ করেছিলাম "দিলে"। ভুলটি শুদ্ধ করে দিলাম। অনিচ্ছাকৃত এই টাইপোর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

সুমন চৌধুরী এর ছবি

টাইপো না গো দাদা...উহাই সঠিক। শেষের ন বিলুপ্ত হউক! আমরা পাকোড়া দিয়া ভদকা খাই!!!



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

মুশফিকা মুমু এর ছবি

মজার হাসি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

সৌরভ এর ছবি

আমি দ্যাখতাম, স্মৃতি তে। রাজশাহীতে।
স্মৃতি পরে ভালো হইয়া গেসিলো।



আমি খারাপ পুলা


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এখন তো মনে হয় ছন্দ, গ্যারিসন এগুলাও ভালো হইয়া গেছে



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

সবুজ বাঘ এর ছবি

তখন কিলাশ সিক্সে পড়ি। ভুরু ছাড়া শিপলু কইল, তর কাছে ট্যাকা আছে। কইলাম, আছে। কয়, কয় ট্যাকা। কই, এক ট্যাকা। কয়, এক ট্যাকায় তো অবো না। কই, তাইলে ক্যামনে অবো? উইদাউট ভুরু কয়, খাড়া দেহি কী করা যায়। কইয়া কাছিমরে (নাছিম) ধইরা আনলো। কাছিম কয়, বন্দু তুমিউ নাকি যাইবা? ক্ইলাম, কনে?
কাছিম কয়, নও যাই তাইলে।
গেলাম। দেহি রুফুবাণী(রূপবাণী) সিনেমা হল। পকেটের ভিতর থিক্যা এক ট্যাকা বাইর কইরা দিলাম। কাছিম টিকেট কিনলো। সব মিলিয়া টিকেটের দাম পড়ল ৮-৯ ট্যাকা। ঢুকলাম ফ্রন্ট স্টলে। কানাউলার মতো এনে অনে বাড়ি খাইলাম। তারপর বহার সিট না পাইয়া দেহি কাছিম আর ভুরু ছাড়া পর্দার সামনে ন্যাটা দিয়া বইয়া পড়ল। অগত্যা আর কী করা? বইয়া পড়লাম। আর তহনই দেহি পর্দা জুইড়া এট্টা ন্যান্টা ম্যায়া!

সুমন চৌধুরী এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।