আহারের বাহার : শোয়াইনস হাক্সে

সুমন চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন সুমন চৌধুরী (তারিখ: বুধ, ১১/০৩/২০০৯ - ৩:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেকদিন গেলো গুমোট দিনকাল। আগের মতো কইরা আবারো বুঝলাম যে জৈবিক নিয়মে যতকাল জীবিত আছি তাতে আমার ইচ্ছায় এই গুমোটকাল কাটার সম্ভাবনা মোটামুটি জ্যাকপট পাওয়ার মতোই। তাই আবারো সচলের চুলায় ডেগচি উঠলো।

নাম তার শোয়াইনস হাক্সে। অর্থাৎ শুয়োরের গিরা। অতি অল্প মসল্লায় তৈরী হয় এই ভয়ংকর সুস্বাদু খাদ্যবস্তু। শুয়োরের গোস্ত বিষয়ে যাদের সীমাবদ্ধতা আছে তারা ন...

অনেকদিন গেলো গুমোট দিনকাল। আগের মতো কইরা আবারো বুঝলাম যে জৈবিক নিয়মে যতকাল জীবিত আছি তাতে আমার ইচ্ছায় এই গুমোটকাল কাটার সম্ভাবনা মোটামুটি জ্যাকপট পাওয়ার মতোই। তাই আবারো সচলের চুলায় ডেগচি উঠলো।

নাম তার শোয়াইনস হাক্সে। অর্থাৎ শুয়োরের গিরা। অতি অল্প মসল্লায় তৈরী হয় এই ভয়ংকর সুস্বাদু খাদ্যবস্তু। শুয়োরের গোস্ত বিষয়ে যাদের সীমাবদ্ধতা আছে তারা নির্দিধায় এখানে শুয়োরের বদলে বাছুরের বা ছাগুর বা ভেড়ার গিরার কথা ভাবতে পারেন। তবে জার্মানীর দক্ষিণে বাভারিয়া প্রদেশে, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালের অতিপ্রিয় মেন্যু এই শোয়াইনস হাক্সে। এবং শুয়োরের ঠ্যাং সংক্ষিপ্ত হওয়ায় গিরাতে একলগে অনেকখানি গোস্ত আর চর্বির মিথস্ক্রিয়া তৈরী হয়। এই রকম সাস্থ্যবান গরু আ ভেড়া বা ছাগু সহসা চোখে পড়ে না।

প্রথমে এই একপিস গিরা ভালো কইরা লবণ আর গোলমরিচের গুড়া মাখাইয়া পানিতে দিয়া একচতুর্থাংশ জ্বালে মিনিট তিরিশেক বা চল্লিশেক বা এক ঘন্টা ( নিহত শুয়োরের বয়সের উপর নির্ভর করে) সিদ্ধ করেন। পাশাপাশি অল্প পানি দিয়া বাঁধাকপি ভাজি আরো কম জ্বালে আরো বেশী সময় ধইরা লগে টেবিল চামুচের দেড় চামুচ সিরকা দিয়া সিদ্ধ করেন। লগে লবন তো অবশ্যই দিবেন।

গিরা সিদ্ধ হইলে, যদি আপনার বাসায় ওভেন থাকে তাইলে ১৭৫‍‍‍°সে. থিকা ২০০° সেন্টিগ্রেডে ১৫ মিনিট রাখেন। ওভেন না থাকলে আপনার বাসার সব থিকা বড় কড়াইতে বা তাওয়াতে অল্প তেলে অল্প জ্বালে ১৫ থিকা ২০ মিনিট উল্টাইয়া পাল্টাইয়া ভাজেন। তেল অল্প হওয়াটা জরুরি। শুয়োরের তেলে শুয়োর ভাজা হৈবো। তারপর নামান বড় একটা প্লেটে। একপাশে সেই সিরকা দিয়া ভাজা টক বাঁধাকপি ভাজি।

এইখানে ইচ্ছা করলে বাঁধাকপির বদলে গোল গোল কইরা আলু কাইটা সেইটা সিদ্ধ কইরা অল্প জ্বালে ভাইজা নিতারেন।

সাথে ভাইস বীয়ার এবং সেটা অবশ্যই কোন না কোন ঐতিহ্যবাহী বাভারীয় ব্র্যান্ডের।

কিংবা

এইবার একটা মোটামুটি ধারওয়ালা ছুরি আর কাঁটা চামুচ নিয়া এক কামুড় গোস্ত আর এক এক ঢোঁক পবীত্র বীয়ার ....

প্রোস্ট উন্ড গুটেন আপেটিট!!

বি:দ্র: ১৫ থিকা ২০ মিনিট পরের দৃশ্য


মন্তব্য

হাসিব এর ছবি

সতর্কীকরণ - চৌধুরী যেই ভাব নিয়া এই লেখা লিখলো আসলে ঘটনা বাস্তবে সেইরকম না । বাস্তবে এইটা অতি অখাদ্য বস্তু । এইটা হলো এমন একটা খাদ্য যেইটা বিদেশিগো সামনে বয়া অতি কষ্টে মুখে হাসি নিয়ে বিয়ার দিয়া গিলা গিলা খাইতে হয় । চাবানি যায় না । বমির সম্ভাবনা তাতে । ডয়েশে মানরা গরম মশলা আদা রসুন চিনে না বৈলা এইরকম রান্নায় অভ্যস্ত । আর বাধাকপির প্রিপারেশনটা হেরা চায়নিজগো কাছ থিকা শিখছে । তয় রান্না অখাদ্য হৈলেও নিচের বিয়ারগুলানের সুনাম আছে পিথিমির তাবত সুরাভক্তদের কাছে । উতসাহী জনগণেরা ট্রাই মারতে পারেন ।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ভাজা বা গ্রীল ঠিক মোত হৈলে তো এইটা অখাদ্য হওয়ার কথা না!!!! আমি জীবনে প্রথমবার খাইয়াই কাইৎ...তারপর চলতাছে.....



অজ্ঞাতবাস

অমিত এর ছবি

তয় দেখতে কিন্তু সিরাম

হাসিব এর ছবি

হ, ইউরুপিয়ান খাওন খায়া শান্তি না পাইলেও দেইখা শান্তি । এই দিগ্দিয়া ফ্রেঞ্চরা আগায় থাকপো । ভয়ঙ্কর জঘন্য স্বাদের খাবার । কিন্তু দেখলে মনে হৈবো বেহেশতি খানা ।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ফরাসীদের ব্যাপারে একমত।

কিন্তু জার্মানদের ভাজাপোড়ার ব্যপারে না। তবে সেগুলা বেশিরভাগই শুয়োরখোর দের জন্য.....



অজ্ঞাতবাস

হযবরল এর ছবি

ল্যাম্ব শ্যাংক বল্লে এইটারে এইখানে চিনবো। আমি এইটারে একটু ভিন্ন প্রিপারেশনে রান্না করবো। আগের রাত্তিরে একটু দই, শান মসলা আর আদা পেস্ট দিয়া ম্যারিনেড করবো ছয় ঘন্টা। এরপর এইটারে ৪৫০ ডিগ্রিতে বেকিং করবো যতক্ষন না, তুলার লাহান হবে। এরপর তুইলে বড় বড় করে কাটা পেঁয়াজ, গোল মরিচ দিয়া একটু ভাজবো চমৎকার একটা কালার আনবার জন্য। এরপর পরিবেশনা করবো, ক্যাবারনেট সভিনিয়ন (রেড ওয়াইন) , কিম্বা গ্রেপ জুস দিয়া। বলেন আলহামদুলিল্লাহ।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

শুকুরালহামদুলিল্লাহ্ !!!!

তবে আদাবাটার ম্যারিনেশান ভেড়া বা ছাগুরাম যেমন খায় শুয়োর সেইভাবে খায় না। শুয়োরের মাংসটা মনে হয় আগে বাইরের চর্বির পরৎ ভাজা হইতে হইতে সেই তাপ মাংসে আইসা পৌছাইতে পৌছাইতে উত্তেজক হৈতে থাকে।

পুনশ্চ: ল্যাম্ব শ্যাঙ্ক এখনো খাই নাই। শীঘ্রই খাইতে হবে।



অজ্ঞাতবাস

হাসিব এর ছবি

সেরাম রেসিপি ! ভালো না হয়া যায় না ! শানের কোন মসলা ?

অমিত এর ছবি

হযু ভাই আয়া পড়লাম কিন্তুক

সুমন চৌধুরী এর ছবি

কাবাব মনে হয়...



অজ্ঞাতবাস

হযবরল এর ছবি

শানের চিকেন টিক্কা মাসালা।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হযুদা যেই রেসিপি দিলো সেইটা টিপিক্যাল আমাগো দেশীয় প্রণালী। এই প্রণালীতে কথিত আছে যে গু রানলেও সেইটা সুস্বাদু হইবো।
মাগার শুয়োর এমনে খাওন যায় না, ক্যান যায় না সেইটা হাসিব ভাইয়ের মন্তব্যে কিঞ্চিৎ প্রমাণ পাওন যায়। ইউরোপীয়ান বা ওয়েস্টার্ণরা আমাগো গরম মশলা, কিংবা আদা বাটা-রসুন বাটা, পাঁচ ফোড়ন- এই বেহেশতী জিনিষের স্বাদই জানে না। জানলে ওরাও আস্তা শুয়োররে কড়াইয়ে ফেলাইয়া তাবৎ দুনিয়ার মশলা ছাইড়া দিতো। আর নাইলে মশলা দিয়া মাখাইয়া, মতান্তরে ম্যারিনেট কইরা আগাপাছা শিক ঢুকাইয়া আগুনের উপরে ঝুলাইয়া দিতো। খা ব্যাটা এইবার শুয়োরের শিক কাবাব!

গুটেন অ্যাপেটিট হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

দেইখাই তো লোভ ধইরা গেল!
সাথে আবার বিয়ার!

শুয়োরামার্ব্যাপক পছন্দের্মাংস হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

সুজন চৌধুরী এর ছবি
ধুসর গোধূলি এর ছবি

- না, শুয়োরের ঠ্যাঙ খাউ।
তয় এই লেখা ভাবী না দেখলেউ চলে। দেখলে অবশ্য বদ্দার কণ্ঠে "বাহিরে রহিয়া বন্ধু চাহিয়া থাকি মুই ঘরের পানে" গানখানা শোভা পাইলেও পাইতে পারে। চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

কারুবাসনা এর ছবি

জোস। ৫।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।

গোপাল ভাঁড় এর ছবি

আমার গরুর মাংস হ্যাব্বি প্রিয়। গরুর যদি বন্জাই ভার্রশন থাকত তাইলে টেরাই করতাম।
বদ্দা খেওয়ার একটা ভিডু দিলে কইলজাডা একটু ফ্রস্ট হইত।
--------------------------------------------
<ঘ্যাচাত, ঘ্যাচাত, ঘ্যাচাত> - আমার সিগনেচার

--------------------------------------------
বানান ভুল হইতেই পারে........

সাজেদ এর ছবি

খান, খান, তয় ঘুমের মধ্যি ঘোঁত ঘোঁত কইরেন না; পাশে কিন্তু বউ।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এই টাইপের জিনিস একবার খাইছিলাম, তবে শুয়োর না, ভেঁড়া। অনেক কষ্টে বমি আটকাইছিলাম, মশলাপাতি ছাড়া রান্নার ফলে এইটা চরম অখাদ্য।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ভেড়ার মাংসে বোধ হয় আদারসুনপেঁয়াজ ফরজ।



অজ্ঞাতবাস

গৌতম এর ছবি

খাউতে মন চাউ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সুমন চৌধুরী এর ছবি

শুয়োর প্রসঙ্গে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হৈল এইটা মসলা দিয়া খাইতে আরো বাজে লাগে। এই কয় বছরে বহু নীরিক্ষার পরে এই থিসিসে পৌছাইসি। শুয়োরের মাংস এমনিতে তেমন সুস্বাদু না। স্বাদের দিক থিকা নি:সন্দেহে এক নম্বরে গরু, দুই নম্বরে ছাগু আর তিন নম্বরে ভেড়া। শুয়োর শুধুমাত্র সরাসরি ভাইজা বা বেক কইরা অথবা সসেজ হিসাবে খাইতে মজা। আমি গরু মডেলে শুয়োর রান্না কইরা দেখছি, তাতে শুধু ঝোলে মসলার স্বাদ পাওয়া যায় আর মাংসটা ঘাস ঘাস লাগে। সুতরাং হযবরল'র ফর্মুলায় গরু-ভেড়া যে গুল্লি লাগবে তাতে সন্দেহ নাই। কিন্তু ঘোঁৎ ঘোঁৎ এর ব্যাপারে মনে হয় ম্লেচ্ছদের কায়দাই সঠিক।

পুনশ্চ: পার্বত্য চট্টগ্রামে একবার বুনো শুয়োর খাইছিলাম। সেইটার স্বাদ এইখানকার শুয়োর থিকা একেবারেই আলাদা।



অজ্ঞাতবাস

হাসিব এর ছবি

- ছাগু না, খাসি । ছাগুর মাংসে গন্ধ ।
- আর দেশীয় উপায়ে শুয়োরের মাংস রন্ধন প্রণালী সংক্রান্ত থিসিস ঠিকাছে । দেশী স্টাইলে শুয়োররে জুইত করা যায় না ।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ছাগু না, খাসি । ছাগুর মাংসে গন্ধ ।

ঠিকাছে



অজ্ঞাতবাস

হযবরল এর ছবি

শুয়োর পিজাতে ভালোই লাগে, আর একবার শুয়োরের সিনা (রিব) গ্রিল করা খাইছিলাম ভালোই লাগছে, তবে দিওয়ানা হবার মত কিছু না। বান্দরবানে বাসী শুয়োর খাইছি, অতি জঘন্য। সেরা হইলো গিয়া গরুর চাপ, আর খাসীর পায়া এর উপরে আকাশ, নীচে মাটি।

ফারুক হাসান এর ছবি

সেরা হইলো গিয়া গরুর চাপ, আর খাসীর পায়া এর উপরে আকাশ, নীচে মাটি।
চলুক
*********************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

সুমন চৌধুরী এর ছবি

খাসীর পায়া খাম মন খারাপ

স্নিগ্ধা এর ছবি

আমি গরু মডেলে শুয়োর রান্না কইরা দেখছি, তাতে শুধু ঝোলে মসলার স্বাদ পাওয়া যায় আর মাংসটা ঘাস ঘাস লাগে।

আমিও করে দেখসিলাম, একমত মন খারাপ

আচ্ছা বীয়ার ছাড়া অন্য কোন পানীয় দিয়ে এটা খাওয়া যাবে না? বীয়ার ভাল্লাগে না, তিতা !

দময়ন্তী এর ছবি

কেন ভিন্ডালু ভাল লাগে না? প্রচুর মশলা দেয়, কিন্তু তাও খুব ভাললাগে তো ৷
অবশ্য আসল পর্তুগীজ টাইপের রান্না হতে হবে, নাহলে জুত্ হয় না৷
-------------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

স্নিগ্ধা এর ছবি

তার মানে আমি ঠিকঠাক ভিন্ডালু খাই নি! ইয়ে, পূণেতে কী 'ভালু ভিন্ডালু' পাওয়া যায়? দেঁতো হাসি

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ভিন্দালু আমিও খাই নাই মন খারাপ



অজ্ঞাতবাস

দময়ন্তী এর ছবি

ঠিক পুণেতে নয় ৷ একটু সরে গিয়ে গোয়া যেতে হবে৷ তারপর কোন বনেদী পর্তুগীজ বাড়িতে আতিথ্য নিলেই ওরা খাওয়ায়৷
চলে আসুন এক্কেবারে অথেন্টিক ভিন্ডালু খাওয়াব৷ হাসি
---------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

স্নিগ্ধা এর ছবি

হায় গোয়া! একবার আমরা গোয়া যাবো বলে ট্রেনে চেপে, তারপর সেটা বদলে, তারপর আরেকখানে গিয়ে - মোটকথা ঘটনার ঘনঘটা যাকে বলে হাসি

তবে কিনা, বনেদী পর্তূগীজ বাড়িই বা কোথায় খূঁজবো, আতিথ্যই বা কী করে জোগাড় করবো, তার চাইতে আপনিই সে সবের ভার নিন না - প্রতিদানে আমি নাহয় আমার 'স্নিগ্ধ' (!?) সঙ্গদানে আপনাকে ধন্য করে দিলাম ... দেঁতো হাসি

দময়ন্তী এর ছবি

আরে তাই তো বললাম রে ভাই ৷ ওসব আমিই খুঁজে দেবো, সঙ্গে করে নিয়েও যাবো৷ আপনি আসুন না৷
ঐ সিনেমায় দেখা প্রচন্ড কমার্শিয়াল বীচের পেছনে ভারী সুন্দর নরমসরম একটা রাজ্য আছে গোয়া নামে৷ তাতে অনেক ৩০০ - ৪০০ বছরের পুরানো বাড়ী আছে, যেখানে গিয়ে পুরো পর্তুগীজ জীবনযাত্রার স্বাদ নেওয়া যায় ৷ সেসব বাড়ীতে গম্ভীরধরণের আসবাবপত্রগুলো দেখলেই কিরকম একটা অনুভুতি হয় যেন ৷

তবে আপনার গল্পটা শুনতে চাই৷
-----------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

স্নিগ্ধা এর ছবি

২০১০ টার্গেট হাসি

সুমন চৌধুরী এর ছবি

তা তো যাবেই। তবে বীয়ারটা টিপিক্যাল। আর আমি যে বীয়ারের কথা বলছি সেইটা তিতা না..দেঁতো হাসি



অজ্ঞাতবাস

স্নিগ্ধা এর ছবি

তাও বিশ্বাস হয় না, "তিতা না"ও দেখা যাবে একটু না একটু তিতাই মন খারাপ

আচ্ছা, স্পাইসী স্প্যানিশ ওয়াইন চলবে? না হলে অন্য আর কী সাজেশন আছে? জানতে চাচ্ছি কারণ রেসিপিটা খুবই সোজা, সামনের দুই এক সপ্তাহের মধ্যে একবার রেন্ধেও ফেলতে পারি হাসি

ও আরেকটা কথা, হিমু বলসে আপনার নাকি বিরিয়ানীরও খুব সোজা একটা রেসিপি আছে? ইট্টু পোস্ট করেন না, দেখতাম আমার রেসিপিগুলার চাইতে সোজা কিনা, হলে ইট্টু উব্‌গার হতো !!

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

@ সুমন চৌধুরী

আমি গরু মডেলে শুয়োর রান্না কইরা দেখছি, তাতে শুধু ঝোলে মসলার স্বাদ পাওয়া যায় আর মাংসটা ঘাস ঘাস লাগে।

ঝোল রাখলেই শুয়োরের মাংস শ্যাষ! সময় নিয়া কম আগুনে ব্যাপকভাবে কষায়া রাইন্দা তারপর ফলাফল জানায়েন।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

শুয়োর রাইন্ধা খাইনাই কোনোদিন। হোটেল রেস্তরাতেই খাইছি। ট্রাই করুম কি না ভাবতেছি... দেইখা তো মন্দলাগে নাই।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুমন চৌধুরী এর ছবি

টেরাই দেন। ফলাফল জানাইয়েন।

লগে বীয়ার কিন্তু ফরজ দেঁতো হাসি

পুনশ্চ : ঢাকায় কি হোয়াইট বীয়ার পাওয়া যায়?



অজ্ঞাতবাস

কীর্তিনাশা এর ছবি

নজু ভাই, খাইলে আমারে লইয়া খাইয়েন। রান্না-বান্নায় তো হেল্পিং হ্যান্ড লাগবে। আমারে রাইখেন সেই হিসাবে। আপনার হাঁড়ি-পাতিল আর চুলার আগুন সব আমি সামলামুনে দেঁতো হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

ঝরাপাতা এর ছবি

দেইখা তো খাইবার মন চায়।


নিজের ফুলদানীতে যারা পৃথিবীর সব ফুলকে আঁটাতে চায় তারা মুদি; কবি নয়। কবির কাজ ফুল ফুটিয়ে যাওয়া তার চলার পথে পথে। সে ফুল কাকে গন্ধ দিলো, কার খোঁপায় বা ফুলদানীতে উঠলো তা দেখা তার কাজ নয়।
___________________________ [বুদ্ধদেব গুহ]


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

রণদীপম বসু এর ছবি

শুয়োর যে কোনো জুইতের জিনিস না এইটা বুঝছি। অনেক কাঠ-খড় পোড়াইয়াই শুয়োররে মানুষ করতে হয়....

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।