দু:সময়ের ফুটুস

সুমন চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন সুমন চৌধুরী (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৭/১০/২০১০ - ৭:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কম্পুতে লেখালেখির একটু বড়ো সুবিধা হচ্ছে, হাতে লেখা বা পুরনো টাইপ রাইটারের মতো এখানে খসড়া বাতিল করতে কাগজ নষ্ট হয় না। সিলেক্ট করে ডিলিট মারুন। ফুটুস। গত কয়েক মাসে বা বছরে আমার ব্লগীয় জীবনে এরকম ফুটুসরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। যা কিছু প্রকাশিত হয়েছে তার সবটাই এইসব ফুটুসের ফাটাফুটো গলে। সেগুলির অবস্থা ফুটুসরাজির থেকে ভালো ছিলো এরকম বলার তেমন কোন সুযোগ নাই। অনেকটাই নির্ভর করেছে প্রকাশ বোতাম টিপে দেওয়া না দেওয়ার সিদ্ধান্তের উপর। সিদ্ধান্ত নেওয়া না নেওয়ার দ্বন্দ্বে ক্রমশ আশরাফুলে পরিণত হয়েছি। সম্প্রতি আশরাফুল বাদ পড়ায় মোটের উপর ব্লগিং ক্যারিয়ার নিয়ে আতঙ্কে আছি। মাঝে মাঝে রীতিমতো নার্ভাস ব্রেক ডাউনের মতো হচ্ছে। "ব্লগ লিখে কী হবে" জাতীয় ফালতু কথাবার্তা পর্যন্ত খুলিতে বারকয়েক এসে ঘুরে গেছে আর কখনো আসবে না এরকম কোন গ্যারান্টি ছাড়া। এরকম সংশয় অতীতে যারা দেখিয়েছে তাঁদেরকে গণহারে "ছাগু-ট্যাগিং" করে "লেখক যশোপ্রার্থীদের হেজিমনি" তৈরীর কলঙ্ক খানিকটা আমার গায়েও থাকায় আতঙ্কটা তেমন অমূলক না। সুতরাং আবারো ফিরতে হলো চাবি-পাটা'র কাছে, কী লিখবো সেই প্রশ্নকে আপাতত অপেক্ষা তালিকায় গেঁথে। কারণ লিখতে থাকা ছাড়া তথাকথিত রাইটার্স ব্লক কাটিয়ে উঠবার অন্যকোন রাস্তা নাই।

 

ব্লগে কী লেখা যায় বা কী লেখা উচিতের মতো প্রশ্নগুলি বাংলাব্লগের চারবছর পার করে এখন পৌরাণিক। অধুনা আলোচ্য হতে পারে "ব্লগে কী লেখা হয়"। ব্লগে লেখা হয় না এমন কোন প্রকার আপাতত চোখে পড়ছে না। গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, রম্য, নাটক, গান, উপন্যাস, কার্টুন, পাটানাটানি, কাঠিবাজি সব কিছুই দেখতে পাচ্ছি। "ব্লগ" বলতে যে ধরণের লেখাকে অনেকে ট্যাগিং করেন সেগুলি আমার চোখে আন্তর্জালে প্রকাশিত লিংক সমৃদ্ধ প্রবন্ধ। ছাপামাধ্যমে লিংক দেওয়ার সুবিধা নেই। সেখানে শুধুই বইপত্রে ছাপা রেফারেন্সে কাজ সারতে হয়। লিংক জুড়ে দেওয়া অন্য যেকোন প্রকার লেখাও সেই লেখার আন্তর্জালিক প্রকরণ ছাড়া কিছু নয়। সুতরাং "ইহা সাহিত্য" এবং "ইহা ব্লগ" জাতীয় সীল ছাপ্পড়ের তেমন কোন সুযোগ এই মুহুর্তে দেখতে পাচ্ছি না। পার্থক্য যারা টানেন তাঁরা আলো ফেলেন প্রকাশযোগ্যতার উপর। প্রকাশযোগ্যতার প্রশ্নটির সমাধান হয় আলাদা আলাদা পাটাতনের আলাদা আলাদা কিছু সাধারণ সিদ্ধান্তের উপর যেই সিদ্ধান্তগুলি সংশ্লিষ্ট পাটাতনে দার্শনিক আধিপত্য (হেজিমনি:)) তৈরী করে।এই সাধারণ সিদ্ধান্ত বা নীতিমালামুক্ত পাটাতনের অস্তিত্ব যতদূর জানি অন্তত আমাদের বর্তমান সৌরজগতে নাই, সে নেটপাটাতনই হোক আর তথাকথিত প্রতিষ্ঠিত ছাপাপাটাতনই হোক। সুতরাং ব্লগগুলিও একেকটা মিডিয়া। 

 

এসব কথা সবাই জানেন। এগুলি নতুন কিছু না। ব্লগ লেখালেখি শুরু হওয়ার পর থেকে এই কথাগুলি সহস্রাধিকবার আলোচিত হয়েছে। আরো হবে। কেন্দ্রমুক্ত কাঠামো বা কাঠামোমুক্ত অবস্থিতির নির্মাণ কীভাবে হতে পারে বা আদৌ পারে কিনা সেই প্রশ্নগুলিও উত্থাপিত হতেই থাকবে। তবে এখনও পযর্ন্ত যা দেখা যাচ্ছে কোন না কোন কাঠামোর বাইরে থেকে এসব উত্থাপিত হচ্ছে না। সেইক্ষেত্রে প্রশ্ন হতে পারে কাঠামোসমূহের দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষ এড়াবার পথ আছে কি? নাই। থাকা সম্ভব না। লেখা তো চেতনেরই বস্তুরূপ। আর চেতনাও তো বস্তুজগতের বাইরের কিছু না। আর ফিজিক্সের সীমানা পেরিয়ে মিঠাফিজিক্সও আজ পর্যন্ত বস্তুনিরপেক্ষ চেতন প্রমাণ করতে পারে নাই।

 

তাহলে লিলিপুট-ব্রবডিঙনাগ সঙ্কটের কী হবে? কে হবে বা কে তবে গালিভার? কেই বা ইয়াঙ্কি বা হুইনহুম? কে কারে দেখায়ে দেবে? আবার জবাব হচ্ছে চাবিপাটা টিপতে থাকুন ইচ্ছা মতো। একটা না একটা জবাব ঠিক পেয়ে যাবেন। না পেলে আরো টিপুন।

 

যা লিখলাম এটা কি কোন সময়োপযোগী লেখা? অবশ্যই না। এটা নিতান্তই আশরাফুলপনা থেকে মুক্তির ডেসপারেডো প্রয়াস চোখ টিপি

 

 


মন্তব্য

সবুজ বাঘ এর ছবি

তারপরো আছ্রাফুল মাত্র সাতারো বছর বয়সে মুরালিধরমরে মাতার উফুর দিয়া আছড়াইয়া ফালাইয়া শতক মারল। মারছিল তো? না মারে নাই?

তাই ফলিত ঘুড়া কিম্বা পালিত ঘুড়া যাই হোইক, তারে কুলে নিয়াই পিথিবি চপ্পর দিতে হইব। বিজ্ঞানকে ভালোবাসি না বইলা বিজ্ঞানও ভালোবাসে না। আমার কথা ভালোবাসার দরকারই বা কি?

লেকলেই কি না লেকলেই কি? আর মুনে রাকলেই কি? আমরা কি মইরা যাওয়ার পর ডিমভাজা দিয়া ভাত খাইয়া হারুম। না রবীন্দ্রনাথ পারে?

তাই খালি অক্ষর ঘাপাউ...ঘাপাইতেই থাকো্ তাইলেই বহুৎ কিছু লেহা হইয়া যাইব গা। না হইলেও ক্ষেতি নাই।

মোটকতা চিন্তার পুটকন মারা যাবে না, তাইলেই উইতিই আমাগো মাইরা দিব।
আর একবার মাইরা দিলে লাইপ ক্রমশ আছ্রাফুল হইয়া যাবে, যেপুলার শচীন হওয়ার কথা আছাল, উ হইল আছ্রাফাল।

দ্রোহী এর ছবি

"ব্লগও একটা মিডিয়া" কথাটা সারা বিশ্ব স্বীকার করে কিন্তু বাংলাদেশে ব্লগকে কি মিডিয়া হিসাবে গন্য করা হয়? আমার জানামতে আমাদের মিডিয়াপ্রভুরা বাংলা ব্লগকে মিডিয়া হিসাবে গ্রহণ করতে রাজি নন।

এ কথা সর্বজনবিদিত যে আমরা সবকিছুতেই যোগ দিতে দশ বছর দেরি করে ফেলি। যখন অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ নেবার কথা ছিল তখন সংযোগ নিইনি। একই কারণে আমাদের দেশে ব্লগকে একটি স্বতন্ত্র মিডিয়া হিসাবে গন্য করে ব্লগে প্রকাশিত লেখাগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে গ্রহণ করার সংস্কৃতি গড়ে উঠতে দশ বছর লাগবে।

লেখালেখি বিষয়ে আমার বক্তব্য হচ্ছে, লেখালেখিতে জোরাজুরি করার কিছু নাই। লেখা বেরুতে শুরু করলে বানভাসির মত লেখার তোড়ে ভেসে যাবেন। আবার যখন বেরুবে না তখন ড্রামের পর ড্রাম ইসুবগুলের ভুষি খেয়েও লাভ হবে না। গুরু সত্যজিৎ লেখালেখি শুরু করেছিলেন চল্লিশের পর। সে হিসাবে আপনার হাতে আরো কিছু বছর আছে। হো হো হো


কাকস্য পরিবেদনা

নাজনীন খলিল এর ছবি

যা লিখলাম এটা কি কোন সময়োপযোগী লেখা?

অবশ্যই সময়োপযোগী।কারন উপরে উল্লেখ্য প্রশ্নগুলো আমার মতো আরো অনেককেই নিশ্চয়ই তাড়িত করে।

রণদীপম বসু এর ছবি

প্রাচীন গ্রিক কবি ইউরিপিডিসের উদ্ধৃতাংশটি আমি প্রিয়তম স্বাক্ষর হিসেবে ব্যবহার করি, কারণ, চিন্তারাজিকে লুকিয়ে না-রাখাটাই হচ্ছে প্রকাশিত লেখা। এতে কেউ সহমত জানাক বা ভিন্নমত পোষণ করুক, সেটাও তাঁদের চিন্তারাজিকে লুকিয়ে না-রাখা।
আর এই মিথষ্ক্রিয়াটাই ব্লগ। এটাই সভ্যতার আধুনিক মিডিয়া। নিজস্ব অচলায়তন ভেঙে যাবে বলে যারা স্বীকার করে না, মাটিচাপা পড়ার আগ পর্যন্ত তারা তাদের কূয়ায় সাঁতরাক ! আমরা নাহয় তাঁদের মঙ্গল কামনা করি।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অতিথি লেখক এর ছবি

রণদা,
আপনার ইউরিপিডিসিয় স্বাক্ষরটি আমারও প্রিয়, তবু বোধের মজ্জায় কিছু কিছু চিন্তাকে লুকিয়ে রাখি, বস্তুতঃ আমি মহৎ হতে ভয় পাই!
রোমেল চৌধুরী

নীড় সন্ধানী এর ছবি

চার বছর বয়সী বাংলাব্লগ বিবর্তনের পর্যায়ে আছে। এখনো কিছু হয়ে ওঠে নাই। এটি বিকল্প মিডিয়া হিসেবে গড়ে উঠতে পারে, কিন্তু আরো সময় যেতে দিতে হবে। তবে মিডিয়া কর্মীদের বিরাট একটা অংশ ব্লগের সাথে জড়িত হলেও বেশীরভাগ মিডিয়া মোগল এই রাস্তার অনেক বাইরে।

একেবারে কোন মোগল বুঝেনি তা অবশ্য না। বুঝে এই খাতেও বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু বিকল্প মিডিয়া তৈরীতে কোন উদ্যোগ নেই তাতে। বরং পোষা স্তাবক তৈরীর প্রবণতাই বেশী। ফলে ওখানে দুচারটে গদ্য পদ্য প্রকাশের বিনিময়ে পোষ্য হতে ইচ্ছুক বালকবালিকা এবং ছাগুকূলের ভীড় লক্ষ্যনীয়। প্রথমআলোব্লগ তার উৎকৃষ্ট উদাহরন।

মোদ্দাকথা কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া বাংলা ব্লগ এখনো 'আমার যা ইচ্ছে লেখার কবিতার খাতা' রয়ে গেছে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

দুর্দান্ত এর ছবি

'প্রকাশযোগ্যতা' বিবেচনার একচেটিয়া এজেন্সী বাতিল করা হয়েছে অনেক আগেই। কিছুদিন বাদে এই শব্দটা থাকবে কিনা জানিনা। টেলিভিশানে কিছুটা আভাস পাই। খবর বলতে ছিল বিবিসি, রয়টার, প্রাভদা আর জিংহুয়ার যেটা বলে। এখন খবর হল বিগ-ব্রাদার এর ঘরে বীনা মালিক যেটা বলে। আছে কোন আলালের ঘরের দুলাল যে বলবে বিগ ব্রাদার ঘরের খবর আর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পুইশাকের ভুমিকা - এই দুই এ মধ্যে প্রকাশযোগ্যতার পরিমাপ করে?

আগে প্রকাশমাধ্যমের পাইপ ওয়াসার পানির পাইপের মত দেড় ইঞ্চির হওয়ায় টুপটাপ শুধু বিশুদ্ধ (কি আন্দাজে কে জানে?) শরবতে তাহুরা আসতো। এখন প্রকাশমাধ্যম যদি ব্রডব্যান্ড পাইপলাইন হইয়া গিয়া থাকে, তাহলে সেখানে ঝমাঝম পানির সাথে সাথে দুই একটা ভাসমান মরিচের বিচি যে দেখা যায়না তা না। ভাবনার যদি কারো কিছু থাকে তাহলে সেটা হল পাঠকের। পরমহংস দেবের মত তাকে এই অজারিত মরিচের বিচি আর ভাসমান টমেটোখোসার টুকরা ভাসা বাদামী তরল থেইকাই চুমুকে চুমুকে বিশুদ্ধ আবে হায়াত আলাদা করতে পারতে হবে।

এর বাদেও শেখ পিয়ার ভাইয়ের কথাটা কি মনে নাই?

' What's in a name? that which we call a rose
By any other name would smell as sweet;
So Romeo would, were he not Romeo call'd,
Retain that dear perfection which he owes
Without that title. Romeo, doff thy name,
And for that name which is no part of thee
Take all myself."

সুতরাং নামে কিছু আসে যায়না। মনে কথা আসবে, মানুষে সেটা জানবে। নাম আর মাধ্যমে কিছু আটকাবে না।

কৌস্তুভ এর ছবি

এই দুনিয়ায় সবই মায়া। বদ্দা এত চিন্তাভাবনা না করে আবার মেগাব্লগার হইয়া যান।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

গুরু, অনেকদিন জেনেসিস লিখেন না দেইখা সব কিছুতে গিয়ান্জাম আর কষা কষা ভাব, ২-১টা জেনেসিস ছাড়েন, তাইলেই দেখবেন গ্যাদাকালের স্লিপারের লাহান ন্যাখা বাইর হইপো
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

টেনশনের আছেডা কী, ব্লগ আছে- থাকপোও...

_________________________________________

সেরিওজা

অদ্রোহ এর ছবি

আমার কথাই বলি, লেখালেখি কম করার কারণ হিসেবে স্বভাবসুলভ আলসেমি, সিদ্ধান্তহীনতা এবং আরো কিছু আনুষাঙ্গিক কারণ পরিপূরক। তবে বলতেই হবে, একটা মোক্ষম ফায়দা আছে, রাইটার্স ব্লক নামক উত্তরাধুনিক ইন্টেলেকচুয়াল ব্যধিতে আক্রান্ত বলে বেশ একটু ভাব নেওয়া যায় দেঁতো হাসি

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ব্লগের লেখা কেমন হওয়া চাই, কী হওয়া চাই; এ নিয়ে আপনার একটা সিরিজ ছিল, ওটা চালু করেন -বদ্দা।

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

চিন্তা করে কুনো লাভ লাই
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।