একটি অসমাপ্ত লেখক কমিউনিটি নির্বাচনের বিবরণ এবং একটি অসমাপ্ত আড্ডার স্মৃতি

নৈষাদ এর ছবি
লিখেছেন নৈষাদ (তারিখ: মঙ্গল, ২৫/০১/২০১১ - ৮:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

.........
জ্বলন্ত-পাবক-শিখা-লোভে পতঙ্গ যে রঙ্গে ধায়,
ধাইতে চাইলি, অবোধ, হায়
জিজ্ঞাসিলি না
কী ফল লভিল, নিগড় গড়ি পরিল যারা চরণে সাধে
উড়িয়া পড়িল ফাঁদে ...

... বিবাহ সম্বন্ধে খ্রীস্ট-পরবর্তী একবিংশ শতকের বিখ্যাত এক কবির অমর চারটি লাইন।

২০০৮ সালের কোন এক সময়...

আমি স্যারের কাঁধের উপর মাথা নিয়ে ফিসফিস করে বলি, ‘স্যার, কইলেন লেখক কমিউনিটি না কী যেন তার ইলেকশান, ভাবলাম কবি-লেখকরা থাকবে, কিন্তু এইখানের মানুষজনরে তো সুবিধার মনে হইতাসে না। দেখেন দাড়িওয়ালা যে পোলা দূইটারে কম্পিউটার সিস্টেমের দায়িত্ব দেয়া হইছে, একটার ভাব-গতিক কেমুন যেন, জানলা দিয়া উদাস চায়া থাকে। হ্যায় বোলে কবি। আর চুলের পিছনে ঝুটি বান্ধারে দেখেন, ডাকাইতের মত চায়, ডর লাগে। নিজেরে ইস্টিফেন সিগ্যাল ভাবে মনে হয়’।

স্যার তাঁর চকচকে টাকে হাত বুলিয়ে বললেন, ‘আহহা, থামো তো’। আমি আবারও বলি, ‘স্যার ড্রেস-কোড বলে তো একটা ব্যাপার আছে না। ঝুটি বান্ধারে দেখেন, হাফ-পেন্ট, কেডস আর কলার ছাড়া বেসিক টি-শার্ট পইরা চইলা আইসে। এইটা কি ফুটবল খেলার মাঠ’? স্যারের দেখাদেখি আমিও টাইয়ের নটে হাত বুলাই।

লোকজন বেশ খোস-মেজাজে আড্ডা মারছে। ইলেকশানের মত একটা সিরিয়্যাস ব্যাপারকে মনে হয় যেন পাত্তাই দিচ্ছে না। আমি প্রচন্ড বিরক্ত হই। সামনে বড় বড় বেশ কয়টা কম্পিউটার স্ক্রিনে ভিডিওর মত আরও কয়টা আড্ডার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। একেকটা স্ক্রিনের উপর দিকের ফ্রেমে সাদা কাগজে একেকটা দেশের নাম লেখা – ইউএস, জার্মানী, ইউকে, কানাডা...। আমি উদাসের কাছে জানতা চাই, ‘এগুলির বিষয়টা কী’? উদাস কবি ততোধিক উদাস হয়ে উত্তর দেয়, ‘বিভিন্ন দেশের ...দের স্কাইপের মাধ্যমে কানেক্ট করা হয়েছে’। কী বলতে চায় ব্যাপারটা পরিস্কার হয়না।

আমি লোকজনের দিকে ফিরে তাকাই। ভীষণ বিরক্ত হই। সদ্য কৈশোর পেরুনো যুবক কিংবা বয়স্করা, মেয়েরা একই তালে আড্ডা মারছে। কোন মানে হয়? দেশ কী উচ্ছন্নে গেল। একেকজন এসে ঢোকে আর হৈ হৈ করে উঠে লোকজন। এই যেমন এই মাত্র একজন যুবক এল। কালচে-মেটে-সবুজ রঙের একটা বেসিক টি-শার্টের উপর সাদা রঙের মাত্র কয়টা আচড়ে চমৎকার রবীন্দ্রনাথের অবয়ব ফোটিয়ে তোলা হয়েছে। পাশে লেখা, ‘আমি হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল...’। যুবকের মুখে দাত না বের করে চমৎকার একটা হাসি লেগে রয়েছে। মেয়েদের সাথে দাঁড়িয়ে পটাপট ছবি তুলে পোট্রেট হয়ে যাচ্ছে। একসময় মনে হল এটা হাসি না বোধহয়, তার মুখটাই এমন। কিন্তু আমার দিকে তাকিয়ে যখন হাসিটা চলে গেল, বুঝলাম এটা আসলে হাসিই। নামটা মার্ক করতে চেষ্টা করি, বুঝিনা। আধাসামরিক বাহিনীর একটা নামে ডাকতে শুনলাম যেন একবার।

বিশাল রান্না-বান্নার আয়োজন বোঝা যাচ্ছে। লোকজনের চুলদাড়ির প্রতি একধরণের আকর্ষণ দেখা যাচ্ছে। এই মাত্র দাড়িওয়ালা টুপি পরা একজন কে দেখলাম...... আরে, চুপচাপ একটা মেয়ে মোবাইল ফোনে কী যে করেছে। হাসি মুখে আমি আস্তে করে চান্স নিতে যাব, ঠিক তখনই পাকানো-মোচ দাড়ি সমেত পাঞ্জাবি কুর্তা পরা বিশাল বপু এক লোক ঢুকলো। আমার হাসি মাঝ পথে আটকে গেল। ফিরে আসলাম।

আমি ফিসফিস করি স্যারকে জিজ্ঞেস করি, ‘স্যার আপনি আইনের মানুষ এদের পাল্লায় পরলেন ক্যামনে’। স্যার আকর্ণ বিস্তৃত হাসি দ্যান। ‘যৌবনে আমিও তো সাহিত্য চর্চা করতাম। তাই একরকম জোর করেই এদের ইলেকশানে কমিশনার হিসাবে আসতে চাইলাম’। আমি বলি, ‘টেলিভিশনে তো স্যার একবার ফণীমনষা না কী যেক একটা কবিতা বলছিলেন...’। স্যার বিরক্ত হলেন, ‘যা জানো না তা নিয়ে কথা বলবা না, বুজচ্ছ’।

কিছু কিছু ঘটনা খুবই কনফিউসিং। ছোটখাট এক কিশোরকে দেখলাম তিন মেয়ে প্রায় দৈহিক আক্রমন করল একবার ঘরের কোনায়। কেয়ামত আসন্ন। আরেকবার দেখলাম পাশের রুম থেকে চারজন লম্বা চুলের মানুষ বের হয়ে এলেন, তাদের দূজনের আবার দাড়ি আছে। নাউজুবিল্লাহ।

স্যারের দোয়া নিয়া আমি হাঁক দেই, ‘ব্যালোট, সিল, বাক্স এগুলা কই’। ঝুটি বান্ধা আবল-তাবল কী যেন বুঝায়। বলে, ‘যেহেতু এটা ক্রস-বর্ডার ইলেকশান, ইনফ্যাক্ট প্রায় পাচটা মহাদেশ মিলিয়ে ইলেকশান, আমরা একটা ফুল-প্রুফ মডালিটি ঠিক করেছি। প্রত্যেক লিস্টেড মেম্বারের জন্য ইউনিক লগ-ইন এবং পাস-ওয়ার্ড জেনারেট করা হয়েছে, তাদের কনফার্ম করা ইমেইল আইডিতে চলে যাবে...’ হেনতেন, আবোল-তাবোল। স্যার ধন্দে পরে, আমি বুঝাই, ‘স্যার ব্যালোট, সিল, পোলিং এজেন্ট ছাড়া নো ইলেকশান’।

ইউএস লেখা মনিটর থেকে সৌম্য দর্শণ এক যুবক এই কম্পিউটারইজাড সিস্টেমটা কতটা অ্যাডভান্স সেই বিষয়ে আরও কঠিন কি সব আবোল-তাবোল বলে। স্যারকে কনভিন্স মনে হয়, আমি প্রতিবাদ করি, পৃথিবীর কোন দেশে ব্যালট, সিল, এজেন্ট ছাড়া ইল্যাকশন হয়না। যত ফালতু। পুরা কারচুপি।

আড্ডা ফেলে লোকজন এদিকে চায় হাসিমুখে। আমি ডায়লগ জারি রাখি, ‘ব্যালট, সিল, পোলিং বুথ, পোলিং এজেন্ট ছাড়া ইল্যাকশন বন’।

কম্পিউটারের স্ক্রিনে লোকজনের কাছ থেকে বিভিন্ন আসহিস্নু কথাবার্তা শুনলাম। ইউএস বা জার্মানীর স্ক্রিন থেকে ভরাট গলার এক ব্যাক্তির কথা পুরাই অপমানিত হওয়ার মত। পরিস্কার বলতে শুনলাম, এই ছাগলডারে কেটা ধৈরা আনছে বাড়া, কান্টা ধৈরা বাইর কইরা দেও’। যদিও চিকন চাকন এক যুবক হা হা করে দৌড়ে এসে থামালো – কী করেন বস। কী করেন, গুণী ব্যাক্তি। তিনি ঝাড়ি দেন, ‘রাখ বাড়া তোমার গুণী ব্যাক্তি’। সেই স্ক্রিনে পাশে বসা আরেক চুল-দাড়ি বিড়বিড় করে কী জানি বলে। তারপর পরিস্কার ভাবেই বলে। আমার মাথা গরম হয়। আমি অপ্রাসঙ্গিক ভাবে সবাইকে শুনিয়ে স্যারকে বলি, ‘স্যার আমার খালু, ঐ যে ড়্যাবের ডিজি, তার বাসায় কাল কিন্তু আমাদের দাওয়াত’। ঝাকড়া চুলের এক যুবক আমার কথায় আকর্ণ বিস্তৃত হাসি দেয়, প্রায় মুখের উপর। আমি মনে মনে বলি, শালা।

শেষে অবশ্য ইল্যাকশন হয়না। আদর-যত্ন করে খাইয়ে দাইয়ে বিদায় করা হয় আমাদের। আকর্ণ হাসি দিয়ে আমাদের পিত্ত জ্বালিয়ে যে কয়জন আগিয়ে দেয় তাদের চেহারা চিনে রাখি। শালার ড়্যাবের ডিজি যদিই সত্যিই খালু হত তবে বেটা তোদের...।

২০১০ সালের কোন এক সময়...

ইন্ডির জানে-জিগরে দোস্ত বরিশালের দুষ্টু তানিম বলল, ‘বস, চলেন। উনার বাড়িতে যাই, আজ ম্যারাথন আড্ডা আছে’। গেলাম উনার বাসায়। গিয়ে দেখি সেই নির্বাচনের মত একটা হৈ হৈ ব্যাপার। উনি রান্না ঘর থেকে বেড়িয়ে আকর্ণ হাসি নিয়ে অভ্যর্থনা জানালেন। কী যেন মনে পরতে চাইছে...? উনি গেরুয়া রঙের পাঞ্জাবী পরা, সারা পাঞ্জাবীতে লেখা ‘হরে-কৃষ্ণ-হরে-রাম’ আবার মুখে আকর্ণ বিস্তৃত হাসি। আমি সাবধান হই, ফিসফিস করে তানিমের কাছে জানতে চাই ব্রাক্ষণ্যবাদের সাথে উনার কোন কানেকশন আছে কিনা? তানিম হাসে – হ্যা বা না বলে না। আমি কিছুই বুঝতে পারিনা।

কী যেন মনে পরতে চাইছে, মনে পরছে না, মনে পরছে না।

বিভিন্ন জায়গায় বসে বিভিন্ন বয়সের ছেলে মেয়ে আড্ডা মারছে। কী খিল-খিল হাসি। দেশ কোথায় যাচ্ছে? টপিক বুঝি না। আড়জে থেকে ফেসবুক, ভ্রমন যতসব। তবে একটা টপিক ভাল লাগল। বেশ কিছু কিশোর-তরূণ বিয়ের একটা আকুতি দেখতে পেলাম। এক আহ্লাদি মেয়ে এক ব্যাক্তিকে মহাভারতের নামে ডেকে বলল কিছু বলতে।

সেই স্লিম, হাসি হাসি সৌম্য দর্শন এক ভদ্রলোক ভরাট কন্ঠে বিবাহ বিষয়ক খ্রীস্ট-পরবর্তী একবিংশ শতকের বিখ্যাত এক কবির চারটি লাইন আবৃতি করলেন। কবি তাঁর এই অমর কবিতা বিবাহের জন্য আকুল কিশোর/যুবকদের জন্য লিখে গেছেন।

.........
জ্বলন্ত-পাবক-শিখা-লোভে পতঙ্গ যে রঙ্গে ধায়,
ধাইতে চাইলি, অবোধ, হায়
জিজ্ঞাসিলি না
কী ফল লভিল, নিগড় গড়ি পরিল যারা চরণে সাধে
উড়িয়া পড়িল ফাঁদে
কী মরীচিকা মরুদেশে, নাশে প্রাণ তৃষাক্লেশে...

শালার আবৃতিকারের নামও দেখি মহাভারতের... কোথাও কোন প্রব্লেম আছে...।

...কী যেন মনে পরতে চাইছে, মনে পরতে চাইছে। এর মধ্যেই রান্না ঘর থেকে তিনি এলেন হরে-কৃষ্ণ-হরে-রাম পাঞ্জাবী আর আকর্ণ বিস্তৃত হাসি নিয়ে। এবং বিদ্যুৎ চমকের মত তখনই মনে পরে গেল। এই লোকের লম্বা ঝাকড়া চুল ছিল তখন, তাই মনে পরেও পরছিল না। সেই অসমাপ্ত নির্বাচন থেকে যখন বের হয়ে আসি তখন এই লোক আগে আগে ছিল, ড়্যাবের ডিজির কথা বলায় মুখের উপর হেসেছিল, আর ছিল আমার টার্গেটে।

আর থাকা যায় না এই আড্ডায়। আমি দুই বছর আগের দেখা তরুণের মত মুখে ‘রমণীমোহন’ একটা হাসি লাগিয়ে বের হয়ে এলাম।

(কবিতা বিষয়ক স্বীকারোক্তিঃ মাইকেল মধুসূধন দত্তের ‘আত্মবিলাপের’ শব্দ গুলি তুলিয়া নিলে সাদা কাগজ শুধু পাওয়া যাইবে...)


মন্তব্য

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

কী যেন মনে পরতে চাইছে, মনে পরছে না, মনে পরছে না।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

মুস্তাফিজ এর ছবি

শুভ জন্মদিন

লেখাটা ভালো লেগেছে।

...........................
Every Picture Tells a Story

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

শুভ জন্মদিন। মজা লাগলো লেখাটা পড়ে।

'হরে-কৃষ্ণ-হরে-রাম পাঞ্জাবীওয়ালারে' তো চেনা-জানা বইলা মনে হইতাছে ... ... চোখ টিপি

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

হাসি
আপনি অ্যামন করে সব দ্যাখেন!!!

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

শুভ জন্মদিন দেঁতো হাসি
লেখার তাৎপর্য মাথার উপর দিয়ে গেল বলে মনে হচ্ছে মন খারাপ

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ভুলটা আমারই হয়েছে! প্রথমবার পড়ার সময় বোধহয় একটু অন্যমনস্ক ছিলাম। পাণ্ডব'দার মন্তব্য পড়ে আরেকবার ভাবলাম। আর তার পরেই গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

শুভ জন্মদিন দাদা!

নিজস্ব আড্ডার জন্য এমন রম্য ঠিক আছে। এই আড্ডার সাথে অপরিচিতদের একটু মাথার উপর দিয়ে যাবে হয়তো, তবে সচলের নিয়মিত পাঠকের কাছে লোকজনগুলো আর তাদের স্বভাব-চরিত্র অচেনা নয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

শুভ জন্মদিন হাসি

লেখা কিছু কিছু বুঝছি মনে হচ্ছে চিন্তিত

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আমি আধাসামরিক বাহিনীর কথা শুনেই এই ভোর বেলায় খ্যাল না করে খিলখিল করে খালি ঘরে খা খা বিছানায় হাসতে হাসতে খাবি খাইয়া গেছিলাম আরেট্টু হৈলে... হো হো হো

দ্রোহী এর ছবি

আরেকবার দেখলাম পাশের রুম থেকে চারজন লম্বা চুলের মানুষ বের হয়ে এলেন, তাদের দূজনের আবার দাড়ি আছে।

একজন লীলেনদা আরেকজন আনিস ভাই মনে হয়। দেঁতো হাসি

এর মধ্যেই রান্না ঘর থেকে তিনি এলেন হরে-কৃষ্ণ-হরে-রাম পাঞ্জাবী আর আকর্ণ বিস্তৃত হাসি নিয়ে।

এইটা নজুভাই না হয়েই যায় না। হো হো হো

আবারো জন্মদিনের শুভেচ্ছা নৈষাদ ভাই।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

একজন লীলেনদা আরেকজন আনিস ভাই মনে হয়।

মুস্তাফিজ ভাই আর আনিস মামা? চিন্তিত

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

শুভ জন্মদিন নৈষাদদা।
সবাইকে ঠিক ঠিক চিনতে পারিনি। কিন্তু

একসময় মনে হল এটা হাসি না বোধহয়, তার মুখটাই এমন। কিন্তু আমার দিকে তাকিয়ে যখন হাসিটা চলে গেল, বুঝলাম এটা আসলে হাসিই। নামটা মার্ক করতে চেষ্টা করি, বুঝিনা। আধাসামরিক বাহিনীর একটা নামে ডাকতে শুনলাম যেন একবার।

দেঁতো হাসি

পড়তে মজা লাগলো।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

দময়ন্তী এর ছবি

আমি মনে হয় চিনলাম দু একজনকে৷ দেঁতো হাসি
জন্মদিনের বিলম্বিত শুভেচ্ছা

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হা হা হ া... মজা লাগলো...
বাকীতে শুভ জন্মদিন

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।