জাকার্তায় কয়েকদিন - পর্ব ১

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ আখতারুজ্জামান (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৭/০৪/২০১৪ - ২:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইন্দোনেশিয়ার নাম শুনতেই হাজার দ্বীপের দৃশ্য চোখে ভেসে ওঠে। মনে ভেসে ওঠে দারুচিনি দ্বীপের কথা, হালভাঙা জাহাজের দিশেহারা নাবিকের মুখ। ফিলিপাইন, মালদ্বীপ, আন্দামান নিকোবর এই স্থানগুলোও দ্বীপ প্রধান। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ায় আর একটি অতিরিক্ত মাত্রা যোগ করেছে এর আগ্নেয়গিরি। ইন্দোনেশিয়ার প্রায় সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ঘুমন্ত, জ্যান্ত, মৃত, তন্দ্রাচ্ছন্ন শত শত আগ্নেয়গিরি। জ্যান্ত আগ্নেয়গিরির সংখ্যাই দেড়শ। এই আগ্নেয়গিরি দেখার লোভ সামলাই কী করে?

এক অদ্ভুত ঘটনায় ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণের সূত্রপাত। ঘটনাটা সবার শেষে বলব। অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহের এক রাতে আমি আর ভ্রমণসঙ্গী মুন্না উড়াল দিলাম ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার উদ্দেশ্যে। কানেক্টিং ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর হয়ে পরদিন সকালে স্থানীয় সময় সকাল আটটা চল্লিশে আমাদের বহনকারী সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের বিশাল বিমানটি জাকার্তার সুকর্ণ-হাত্তা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামলো। দারুণ ল্যান্ডিং। কোন টালমাটাল অবস্থা নয়। প্লেন যতই মাটির কাছাকাছি আসছিলো আমার উত্তেজনা ততই বাড়ছিলো। শেষ পর্যন্ত আসা হলো ইন্দোনেশিয়ায়। জাকার্তা শহরের আবহাওয়া অনেকটা ঢাকার মতোই মনে হলো। আকাশে ঝলমলে রোদ। শরতের সাদা মেঘ। এয়ারপোর্টটি বেশ গোছানো। আকারেও বেশ বড়। অত্যাধুনিক প্যাসেঞ্জার লাউঞ্জ। ডিউটি ফ্রি শপিং এলাকায় বাহারি দোকানের সজ্জা দেখে চোখ ঝলসাচ্ছে। এয়ারপোর্টের বাইরে বেরিয়ে এলাম। শেষ পর্যন্ত লম্বা যাত্রা শেষ করে ঝামেলা ছাড়াই জাকার্তার মাটিতে পা রাখতে পেরেছি। বাংলাদেশের সবুজ পাসপোর্ট নিয়ে নানা বন্দরে কত ঝামেলাইনা হয়! আমরা অন্তত এই যাত্রা সেসব বাজে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হইনি।

জাকার্তায় চার-পাঁচটা ট্যাক্সি কোম্পানি আছে, তার মধ্যে ব্লু-বার্ড সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য। অন্যগুলোয় নাকি মাঝে মধ্যে ঝামেলা হয়। মিটার অনুযায়ি ভাড়া নেয় না, দর কষাকষি করে, পর্যটকদের ভুল পথে ঘুরিয়ে মিটারে পয়সা বাড়নো হয়, এইসব নানা অভিযোগ। ঢাকার ইন্দোনেশিয়া দূতাবাস থেকেই আমাদেরকে বলা হয়েছিলো আমরা যেন ব্লু বার্ড ট্যাক্সি নেই। সুতরাং আমরা ব্লু-বার্ড ট্যাক্সিতে হোটেলের দিকে রওয়ানা হলাম।

জাকার্তা ভ্রমণ আরো অর্থবহ করে তুলতে আমরা বেশ কিছু ট্যুর অপারেটর আর ট্রাভেল এজেন্সীর দ্বারস্থ হয়েছিলাম। সংগ্রহ করেছিলাম অনেক তথ্য। বিনিময়ে দেশ থেকে নিয়ে যাওয়া পোস্টার উপহার দিয়েছিলাম। রয়াল বেঙ্গল টাইগারের পোস্টারটা দেখে তো অনেকেই অবাক!

দুইদায়া বিশাল মাপের ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান। পুরো ভবনজুড়েই তাদের অফিস। কত শত কর্মী যে কাজ করছে কে জানে! বেশিরভাগ বুকিংই হচ্ছে ইউরোপ, কোরিয়া, চীন, জাপান, আর আমেরিকায়। ইউরোপই বেশি। আমাদের প্রয়োজন জানাতেই কিছু গাইড আর ম্যাপ দিয়ে সাহায্য করলেন। আমরাতো মহাখুশি। বিদায় জানিয়ে পরবর্তী গন্তব্যে রওয়ানা হলাম এবং একটু পরে বুঝতে পারলাম আমাদের পুরো পরিশ্রমটাই মাঠে মারা গেলো। ম্যাপ আর গাইডের প্রতিটি বর্ণ ইন্দোনেশিয়ার ভাষায় লেখা – একটা বর্ণও বুঝতে পারছি না।

সংস্কৃত শব্দ ‘জয়কর্তা’ থেকে জাকার্তা শব্দটির আগমন। জাকার্তার আয়তন ঢাকা শহরের প্রায় দ্বিগুন। ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে বড় শহর। ৭৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে এই শহর। কিন্তু জনসংখ্যায় ঢাকাকে হারাতে পারে নাই। ঢাকার দুই-তৃতীয়াংশ মাত্র। এক কোটির মতো। পরিসংখ্যান অনুযায়ী পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এই শহরটি মালয়শিয়া, বেইজিং বা ব্যাংককের চেয়েও দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে। এই তথ্যের সাথে একমাত্র আঙুল ফুলে কলাগাছের সাথে তুলনা করা যায়। শহরের মূল যানবাহন ট্যাক্সি, প্রাইভেট গাড়ি আর মোটর সাইকেল। সব ঝকঝকে, চকচকে। সবচেয়ে বেশি মটরসাইকেল। জাকার্তাকে ‘সিটি অফ মটরসাইকেল’ বললেও বাড়িয়ে বলা হবে না। ভিয়েতনামের মতো অবস্থা আর কি। পাবলিক বাস খুব কম। ট্রাক নজরে পড়েছে বলে মনে পড়ে না। একটিও না। কিছু কিছু পিকআপ আর কাভার্ড ভ্যান দেখেছি। কিন্তু ঢাকার সাথে তার তুলনা চলে না। সংখ্যায় খুবই কম।

আমাদের হোটেল জালান জাকসা রোডে। ‘জালান’ মানে রোড। সব রাস্তার নামের আগে এই ‘জালান’ শব্দটি আছে। হোটেলে চেক ইন করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। তারপর দ্রুত তৈরি হয়ে নিলাম বেরিয়ে পড়ার জন্য। ইতিমধ্যে শহর ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। নাস্তা করার জন্য আমাদের হোটেলের উল্টোদিকের একটা রেস্তোরায় গিয়ে দেখি এ কী কান্ড! কেউ ইংরেজী বোঝে না। গেলাম পাশের রেস্টুরেন্টে। একই অবস্থা! অবশেষে রুটি, জ্যাম, কলা, চা ইত্যাদি ইশারা ইঙ্গিতে কোন রকম বুঝিয়ে নাস্তা শেষ করালাম। এই ভাষা সমস্যা আমরা সমগ্র জাকার্তা ভ্রমণেই তীব্রভাবে অনুভব করেছি। যে কোন দেশ ভ্রমণেই সেখানকার কিছু সাধারণ কথাবার্তা শিখে নেয়া খুব ভালো। আমরা অবশ্য পথে আসতে আসতে কিছু শব্দ শিখে নিয়েছিলাম কিন্তু সেটা শুভেচ্ছা বিনিময় ছাড়া কোন কাজেই আসলো না।

আমরা প্রথমেই ট্যাক্সি নিয়ে বাণিজ্য মেলার দিকে রওয়ানা হলাম। সিরাজ ভাইসহ ইন্দোনেশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের আরো অনেকেই সেখানে আমাদের জন্য অপক্ষো করছে।

যাওয়ার পথে এই দৃশ্যটি দেখে ভুপেন হাজারিকার যাযাবর গানটি অমর সেই লাইনদুটি মনেপড়ে গেল....আমি দেখেছি অনেক গগনচুম্বী অট্টালিকার সারি...তারই ছায়াতেই...বাকিটাতো আপনারা জানেনই।

মেলার আয়োজন বেশ বড়। কাঠখোদাইয়ের কাজ, নানা রকমের ফার্নিচার, টেক্সটাইল, প্লাস্টিক পন্য এসবই নজরে এলো বেশি। আমরা মেলায় এক চক্কর দিয়ে সিরাজভাইদের সাথে আড্ডা দিয়ে শহর দেখতে বেড়িয়ে পড়লাম। আজকে আমাদের পরিকল্পনা আঞ্চল সী বীচ, মিউজিয়াম গাজাহ, মোনাস মনুমেন্ট আর রাগুনান চিড়িয়াখানা। তবে এ যাত্রা মনেহচ্ছে সমুদ্রবন্দর সান্দু কেপালা এলাকা দেখা হবে না।

ইন্দোনেশিয়া সতের হাজারেরও বেশি দ্বীপ নিয়ে একটি দেশ। ফলে প্রত্যেক অঞ্চলেরই বা শহরেরই চারপাশে প্রচুর সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের ভ্রমণের অন্যতম আকর্ষণ। ফলে সৈকত, সৈকতকে ঘিয়ে নানা ধরণের বিনোদন কর্মকান্ড, ওয়াটার রাইড, শপিংমল, বিলাসবহুল হোটেল আর রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে আনচল সী বীচ সবচেয়ে বিখ্যাত। দেখুন আনচল সী বিচ এলাকার আয়োজন নিয়ে কিছু ছবি:

আনচল সী বিচ এলাকায় ঢোকার মূল গেট।

প্রাণবন্ত কিন্তু পুরোপুরি নিয়ন্ত্রিত এলাকা।


বীচ কতৃপক্ষের নিজস্ব গাড়িতে দলে দলে শিশু কিশোর আসে এই দারুণ জায়গায় সময় কাটাতে।

ভারত মহাসাগরের তীর ঘেঁষে এই বীচ। পাড় বাঁধাই করা। বাচ্চাদের জন্য আছে নানা রকম রাইড। কেবল কার তারমধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়ই মনেহলো।


ওয়াটার স্পীড মোটরবাইক রেস।


অনেকটা মহাসাগরের উচ্ছ্বলতাকে পোষ মানিয়ে এই বীচকে বিনোদন উপযোগী করা হয়েছে। মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে গড়ে তোলা হয়েছে রাস্তা ঘাট, শপিংমল, হোটেল, রেস্তোরাসহ বিনোদনের কত শত আয়োজন। আয় হচ্ছে কোটি কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা।


আনচল সী বীচ সপরিবারে বেড়ানোর জন্য খুব ভালো জায়গা। আমরা ঘুরে ঘুরে নানা কিছুর অসংখ্য ছবি তুললাম।

এই সী বিচ এলাকায় আসলে বিচ বলে তেমন কিছু নেই। সিমেন্টের ব্লক দিয়ে ভারত মহাসাগরের পাড় আটকে কিছু বিনোদনের ব্যবস্থা। আর তাতেই কত কত পর্যটক! আমাদের কক্সবাজারের বিচ এর চেয়ে হাজার গুণ ভালো।


নৌকা ঘাটে বাধা, চলুন ঘুরে আসি ভারত মহাসাগর।

কিন্তু কোন এক অদ্ভুত কারণে আমার মন টিকলো না। জাকার্তায় এসে এই ফ্যান্টাসি কিংডম কে দেখতে চায়? তবে যারা উদযাপন করতে চায় তাদের জন্য খুবই উপযুক্ত জায়গা।


হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত! বসুন, তেষ্টা মেটানোর যাবতীয় আয়োজন আছে হাতের কাছেই।


তিন হাত লম্বা বিচের আয়োজনের অংশ হিসেবে এই তিনশ হাত লম্বা শপিং মল।


শান্ত নিরিবলি পরিবেশ। শুধু সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জনগলো থেকে থেকে মনটাকে উদাস করে তোলে। মনে হয় পথের ধারে চুপচাপ বসে থাকি। পৃথিবীতে আর কোন তাড়া নেই।


যায়া আনচল মনুমেন্ট।


ভারত মহাসাগরের দিকে আর একবার চোখ রেখে ফিরে চললাম, নগরের আরো কত আয়োজন, সেই সব দেখতে।

তারপর চললাম বাকি আকর্ষণগুলোর উদ্দেশ্যে। রাস্তায় যানজটের কোন বালাই নেই। শা শা করে গাড়ি ছুটছে। মাঝে মাঝেই টোল দেয়ার জন্য দাঁড়াচ্ছে। আবার ছুট্।

তবে গত কয়েক বছরে জাকার্তায় এসব কিছুর পাশাপাশি দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে গড়ে উঠেছে প্রচুর দর্শনীয় স্থান। জাকার্তায় যে জায়গাগুলো দেখার মতো তার মধ্যে আছে জাকার্তার উত্তরে সিলিওয়াং নদীমুখের সবচেয়ে পুরানো বন্দর এলাকা সান্দু কেপালা, মারদুকা স্কায়ারের পশ্চিম পাশে অবস্থিত জাতীয় জাদুঘর - মিউজিয়াম গাজাহ। সমগ্র ইন্দোনেশিয়া থেকে সংগ্রহকৃত ১ লক্ষ ৪০ হাজারেরও বেশি শৈল্পিক নিদর্শন প্রদর্শন করা হয়েছে এ জাদুঘরে। এছাড়া যারা ভ্রমনস্থানের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে উৎসাহী তারা ম্যারিটাইম মিউজিয়াম, টেক্সটাইল মিউজিয়াম, ফাতাহিল্লাহ মিউজিয়াম এবং দ্য ওয়াইয়াং মিউজিয়াম ঘুরে দেখতে পারেন। আমরা অবশ্য এর কোনটাই দেখলাম না। সময়ের অভাবে। পথে পথে ঘুরি আর বিল্ডিং দেখি, রাস্তার খাবার খাই, ছবি তুলি, দোকানে ঢুকি, ম্যাগাজিন কিনি আবার নতুন পথ ধরি।


দৃষ্টিনন্দন পুলিশবক্স। সারা শহরে যদিও পুলিশ খুব কমই দেখলাম। সব কিছুতো ঠিকঠাই চলছে বলে মনেহলো।


বহুতল আবাসিক ভবন শহরের স্থানসংকুলানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

অনেকটা সময় পায়ে হেঁটে ঘোরা ফেরা করার পর মনে হলো কোথাও বসি। রাস্তার পাশেই পরিচ্ছন্ন হাজারো রেস্তোঁরা। গন্তব্যহীন এই ঘোরাফেরাতেও একটা শহরের কত রূপ চোখে পড়ে। একটা সভ্যতার ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র এই রূপ হৃদয় ষ্পর্শ করে। মুন্নার সাথে মনের ভাবনাগুলো শেয়ার করি। ওকে দেখে ক্লান্ত মনে হলো। সন্ধ্যা নামতে এখনো কিছুটা বাকি। আমরা বিখ্যাত তামানমিনি দেখতে চাই। আগেই পরিকল্পনা করা আছে। তামানমিনি এক মিনিয়েচার ইন্দোনেশিয়া যেন। অন্তত পুরো একটা দিন লেগে যায় তামানমিনি দেখতে। আজকে আর সেটা হবে না। তবে ডিনারের আগ পর্যন্ত সময়টা আমরা ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় মনুমেন্ট মনাস এর সামনে বসে কাটানোর সিন্ধান্ত নিলাম। সেই মতো ট্যাক্সি নিয়ে এগিয়ে চলেছি। মুন্না ঝাপসা আলোয় ম্যাপে লেখা ইন্দোনেশিয়া ভাষা বোঝার নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে পল্টন ফুটপাত থেকে কেনা‌‌ ‘৩০ দিনে ভাষা শিক্ষা’র বইটা বের করে ‘পা সুপির’ মানে ড্রাইভারের সাথে কিচির মিচির করছে। আমি গাড়ির জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকি। অস্তগামী সূ্র্যের সোনালি আলোয় জাকার্তা শহরটাকে ভীষণ মায়াবি মনেহয়।

আমাদের এর পরের গন্তব্য ‘তামানমিনি’। সেই গল্প নিয়ে আসছি শিঘ্রই।

ছবি: 
06/04/2008 - 9:06অপরাহ্ন

মন্তব্য

মেঘলা মানুষ এর ছবি

ভালো লাগলো একঝটকায় অনেকখানি জাকার্তা দেখে ফেললাম।

বাংলাদেশ থেকে অনেকেই বেড়াতে 'বালি' যায়, তাদের ছবি ফেসবুকের কল্যাণে দেখা হয়েছে; তবে জাকার্তার সাথে পরিচয় কম ছিল।

‘তামানমিনি’র অপেক্ষায় থাকলাম আমরা পাঠককূল।

শুভেচ্ছা হাসি

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, মেঘলা মানুষ। তামানমিনি দুএক দিনের মধ্যেই পাবেন।

তারেক অণু এর ছবি

ইন্দোনেশিয়া যামু ওঁয়া ওঁয়া !

লেখা একটু ঝুলে গেছে ব্রাদার, পরের পর্বের অপেক্ষায়

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

কনকি! দাঁড়ান পরের পর্বে টানটান করার ব্যবস্থা করছি।

দীনহিন এর ছবি

ভাল লেগেছে। পরের পর্বের অপেক্ষায়।

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

জাকার্তায় তেমন একটা ঘুরিনি। তবে ভালো লেগেছে জাকার্তা ওল্ড টাউন, বেশ রাত করে এক লিমোজন নিয়ে বেরিয়েছিলাম এক রাতে। সেই আদ্যিকালের দোতলা লাল ইটের দালানগুলোর ফাঁক থেকে বটগাছ গজিয়েছে এবং তার নিচের তলাগুলোতে এখনও মানুষ বসবাস করে এবং দোকানপাটও আছে। আপনার লেখা থেকে জাকার্তার কিছু ছবি দেখে ভালো লাগলো। আমার যা ঘোরাঘুরি সব উত্তর সুমাত্রা জুড়ে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।