নিজস্ব ধাঁচের গণতন্ত্র এবং জনপ্রতিনিধি/ সংসদ নির্বাচনের নতুন মডেল

তানভীর এর ছবি
লিখেছেন তানভীর (তারিখ: বুধ, ১৮/০৬/২০০৮ - ১:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(এ লেখার খসড়া বেশ কিছুদিন আগেই করেছিলাম। কিন্তু পোস্টাবো কি না বুঝতে পারছিলাম না। সম্প্রতি ইশতিয়াক রউফের সিরিজ ‘নিজস্ব ধাঁচের গণতন্ত্র’ পড়ে এ মাল ঝাড়ার উৎসাহ পেলাম। আহ, কী শান্তি! চোখ টিপি )

বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিকাশের অন্তরায় হিসেবে অনেকে অনেক কিছুকে দায়ী করেন। আমার দৃষ্টিতে ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতিতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন (সংসদে ও মন্ত্রীসভায়)- গণতন্ত্র বিকাশের প্রাথমিক এবং প্রধান অন্তরায় বলে মনে হয়। ত্রুটিপূর্ণ কেন- নীচে তার ব্যাখা দিচ্ছি-

সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সদস্যরা একটি নির্দিষ্ট এলাকার প্রতিনিধিত্ব করেন। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট এলাকার লোকজন তাদের দাবী-দাওয়াগুলো তুলে ধরতে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে একজন সদস্যকে সংসদে পাঠায়। এ পর্যন্ত সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু আমার আপত্তি হলো- দল জয়লাভ করলে এই নির্দিষ্ট এলাকার প্রতিনিধি যখন প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রী হিসেবে পুরো দেশের দায়িত্বভার নেন তখন। কারণ-

১। তিনি তখন শুধু আর একটি নির্দিষ্ট এলাকার প্রতিনিধিত্ব করেন না- সারা দেশের সব মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন- যা নির্বাচনে তিনি যে ম্যান্ডেট নিয়ে এসেছিলেন (অর্থাৎ তাঁর এলাকার মানুষদের) তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

২। প্রধানমন্ত্রী- রাষ্ট্র এবং সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ। সারা দেশের মানুষের ইচ্ছার/ ভোটের ভিত্তিতেই এই পদের প্রার্থীটি নির্বাচিত হওয়া উচিত। অথচ কার্যত আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন শুধু একটি নির্দিষ্ট এলাকার মানুষের ভোটের ভিত্তিতে। প্রথমে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন, পরবর্তীতে তাঁর দল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেলে তিনি হন প্রধানমন্ত্রী। অর্থাৎ তিনি দলীয় পছন্দে প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু দল যাকে চাইছে, সারা দেশের মানুষ তো তাকে নাও চাইতে পারে!

৩। আমার সবচাইতে বেশী আপত্তি সাংসদদের মন্ত্রীসভার সদস্য হবার ব্যাপারে। একজন সাংসদ তথা রাজনীতিকের প্রধান কাজ তো তাঁর এলাকার দাবী-দাওয়াগুলো সংসদে তুলে ধরা, দেশের আইন-কানুন তৈরীতে সাহায্য করা ইত্যাদি। কিন্তু এখন সংসদে কারা আসছেন? আসছেন ব্যবসায়ীরা, শিল্পপতিরা, কালো টাকার মালিকরা। এরা কি তাদের এলাকার মানুষের দাবী-দাওয়াগুলো সংসদে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে সাংসদ হচ্ছেন? নাকি তাদের ব্যবসা ও সাম্রাজ্য প্রসারের উদ্দেশ্যে, তাদের কালো টাকা সাদা করতে, তাদের ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি দেখাতে সাংসদ হচ্ছেন? এদের অর্থের দাপটে সৎ ও যোগ্য রাজনীতিবদরা আজ আর সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পান না। ক্ষেত্রবিশেষে মনোনয়ন পেলেও নির্বাচিত হতে পারেন না কিংবা কোনক্রমে হলেও দলে কোনঠাসা থাকেন। এই ব্যবসায়ী শ্রেণীর হঠাৎ এই সংসদীয় রাজনীতিতে আগমণ কোন আলাদিনের চেরাগ পেয়ে নয়, টাকার জোরে সংসদ নির্বাচনে জিতে মন্ত্রীসভার টিকেট পাওয়ার লোভেই এরা দলে দলে রাজনীতিতে ভীড় করছে। এদের লোভের খাই মেটাতেই মন্ত্রীসভার লটবহর প্রতিম ন্ত্রী-উপমন্ত্রী ইতাদি বিভাজন করে অশ্লীলভাবে বাড়াতে হয়। যাদের জায়গা দেয়া যায় না, তাদের আবার বিশেষ ক্ষমতা, বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়। সাংসদ থেকে মন্ত্রীসভায় ঢোকার এই সহজ রাস্তাটা বন্ধ করে দিলেই দেখা যাবে এই বিশেষ গোষ্ঠী রাজনীতিতে আসার উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে। তখন আবার সৎ এবং দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদদেরই সংসদে দেখা যাবে।

কাজেই, আমাদের দেশে প্রচলিত জনপ্রতিনিধি নির্বাচন পদ্ধতি অর্থাৎ সংসদ নির্বাচন এবং তার মাধ্যমে সরকার গঠন পদ্ধতি যে ত্রুটিপূর্ণ এর চেয়ে বেশী ব্যাখা করার বোধহয় প্রয়োজন নেই।

কিন্তু এর সমাধান কি? অনেকে বলবেন যুক্তরাষ্ট্রের মত প্রেসিডেনশিয়াল পদ্ধতিই তাহলে সহজ সমাধান। কিন্তু অতীত অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি আমাদের দেশে প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির চাইতে সংসদীয় পদ্ধতি বেশী কাযর্কর। প্রেসিডেন্ট পদ্ধতিতে একনায়ক হবার এবং দুর্নীতি করার সুযোগ বেশী থাকে; সংসদে আসতে হয় না বলে সরাসরি জবাবদিহিতা থেকেও রেহাই পাওয়া যায়। সুতরাং আমাদের নিজস্ব ধাঁচের সংসদীয় পদ্ধতি প্রয়োজন, যেখানে সৎ লোকেরা সাংসদ হবেন এবং সংসদে মন্ত্রীসভার জবাবদিহিতা থাকবে। আমার প্রস্তাবগুলো নিম্নরূপ-

ক। আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী যেহেতু সবকিছুর সর্বেসর্বা, কাজেই সংসদ নির্বাচন ও মন্ত্রীসভা গঠন এটাকে কেন্দ্র করেই হতে হবে এবং এতে সারা দেশের মানুষের ইচ্ছার/ভোটের প্রতিফলন থাকতে হবে। এর জন্য সংসদ নির্বাচনে প্রচলিত এলাকাভিত্তিক আসনে নির্বাচনের পাশাপাশি বাড়তি একটি দেশব্যাপী আসনে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য নির্বাচন হবে। যিনি ঐ আসনে নির্বাচিত হবেন, তিনি হবেন সংসদের নেতা এবং তার দল সংসদে কম আসন পেলেও সরকার গঠন করবে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে জনগণ প্রধানমন্ত্রী পছন্দ করবে এবং তিনি বাকী মন্ত্রীসভা পছন্দ করবেন।

খ। প্রধানমন্ত্রীর দল সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন না পেলে এটা তার জন্যেই ক্ষতি; তাকে শক্তিশালী বিরোধী দলের মোকাবিলা করতে হবে। কাজেই, দলকে প্রধানমন্ত্রী আসনে জয়লাভের পাশাপাশি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন অর্জনে সচেষ্ট হতে হবে।

গ। প্রধানমন্ত্রী পদে যিনি নির্বাচন করবেন, তিনি এলাকাভিত্তিক একটি আসনেও নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন (যদি দেশব্যাপী আসনে হেরে যান, এলাকাভিত্তিক আসনে জিতে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ থাকবে)। তবে প্রধানমন্ত্রী পদে জিতে গেলে, এলাকাভিত্তিক আসনে উপনির্বাচন হবে। অন্য প্রার্থীরা একটির বেশী আসনে নির্বাচন করার সুযোগ পাবে না। প্রধানমন্ত্রী পদে কেউ দুইবারের বেশী প্রার্থী হতে পারবে না (প্রথমবার হারলেও- তবে দ্বিতীয়বার জিতলে আরেকবার ডিফেন্ড করতে পারবে)।

ঘ। প্রধানমন্ত্রী পদ ছাড়া এলাকাভিত্তিক পদে সকল প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় একই হারে রাষ্ট্র বহন করবে। নির্বাচনী ব্যয়ে কোন অসংগতি দেখা গেলে প্রার্থীতা/ সংসদ সদস্য পদ বাতিল হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী পদের জন্যও নির্বাচনী ব্যয়ের একটি সর্বোচচ সীমারেখা ও কিছু নিয়ম-নীতি নির্ধারণ করা থাকবে। কোন অসংগতি দেখা দিলে এ ক্ষেত্রেও প্রার্থীতা/পদ বাতিল হয়ে যাবে।

ঙ। প্রধানমন্ত্রী পদটিতে দলীয় চূড়ান্ত মনোনয়নের জন্য দলীয়ভাবে প্রাথমিক নির্বাচন করা যেতে পারে (অনেকটা যুক্তরাষ্ট্র প্রাইমারী নির্বাচনের আদলে)। তবে তা বাধ্যতামূলক নয়। যে দল তা করবে জনগণ বুঝবে যে সেই দলের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চা বেশী। আর প্রধান সব দলই যদি তা করে, তবে তো সেটা দেশের জন্যই ভালো। একইভাবে এলাকাভিত্তিক পদে প্রার্থী মনোনয়নের জন্য দলীয়ভাবে প্রাথমিক যাচাই/নির্বাচন করা যেতে পারে।

চ। এবার আসি মন্ত্রীসভা গঠনের ব্যাপারে। প্রধানমন্ত্রী ছাড়া মন্ত্রীসভার বাকী সব সদস্য হবে সংসদের বাইরে থেকে। অর্থাৎ সাংসদরা মন্ত্রী হতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীসভার সদস্য পছন্দ করবেন- এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের প্রাধান্য দেবেন এবং কোন যোগ্যতার ভিত্তিতে কোন বিভাগের জন্য কোন মন্ত্রী নেয়া হলো তা সংসদে জবাবদিহি করবেন। মরহুম শাহ এস এম কিবরিয়া বা আব্দুল মইন খানের মত দলীয় লোক বিশেষজ্ঞ মন্ত্রী হতে পারেন আবার নির্দলীয় লোকও হতে পারেন- কোন অসুবিধা নেই। তবে সরকারের সেই বিভাগ/দেশের সেই খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাবার মত যথেষ্ট যোগ্যতাসম্পন্ন তাকে হতে হবে।

ছ। প্রধানমন্ত্রী সংসদে মন্ত্রীসভার প্রতিনিধিত্ব করবেন এবং সংসদে মন্ত্রীসভার কাজের জবাবদিহি করবেন। জবাবদিহির প্রয়োজনে সংশিষ্ট মন্ত্রীও প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করার জন্য সংসদে উপস্থিত থাকতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীসভাকে সংসদের অনুমোদনসাপেক্ষে কাজ করতে হবে।

(বনের মোষ অনেক তাড়ানো হইল। এইবার ইস্তফা দিলাম। আপ নাদের মতামত জানার আগ্রহবোধ করছি)


মন্তব্য

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

গ এবং চ খুব ভালো সমাধান হতে পারে। কিন্তু সমস্যা হলো ক্ষমতায় যারা আছে, তারা কোনোদিকে তাকায় বলে তো মনে হয় না। তবুও আপনার ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোটা সমাজ সেবার পর্যায়ে পড়ে হে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

তানভীর এর ছবি

জুলিয়ান সিদ্দিকী, কষ্ট করে আবোল-তাবোল পড়ার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

= = = = = = = = = = =
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙ্গা প্রভাত
আমরা ঘুচাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অনেক বিষয়ই বাস্তবানুগ না... দ্বিমত আছে বহু ক্ষেত্রে... একদিন সময় করে লেখতে হবে...
তবে আপনার ২. নম্বর পয়েন্টটাতে ঝামেলা আছে। প্রধানমন্ত্রি একটি এলাকার ভোটারদের ভোটে নির্বাচিত হন না। ৩০০ জন সংসদ সদস্য নির্বাচন করে জনগন... দল প্রধানমন্ত্রি বানায় না... সংখ্যাগরিষ্ঠ জনপ্রতিনিধির ভোটেই প্রধানমন্ত্রি নির্বাচিত হন। এখানে জনপ্রতিনিধিরাই তো সারাদেশের জনগনের প্রতিনিধিত্ব করতেছেন।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তানভীর এর ছবি

ভাইসাব, প্রধানমন্ত্রী তো প্রাথমিকভাবে এলাকার ভোটারের মাধ্যমেই নির্বাচিত হন (৩০০ জনের একজন হিসেবে)। জনগণের খেলা তো ওইখানেই শেষ। তারপর দলই সিদ্ধান্ত নেয় সংসদ নেতা আর প্রধানমন্ত্রী কে হবে। আমাদের দলগুলোতে যেহেতু গণতন্ত্রের চর্চা নেই, তাই দল জিতলে কে প্রধানমন্ত্রী হবে সেটা হয় অবধারিত। আমি বলছি এটা উল্টো হোক। জনগণই সরাসরি আগে ঠিক করুক কে প্রধানমন্ত্রী হবে। দলগুলোতেও তাহলে একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ হয়তো গড়ে উঠবে। চোখ বন্ধ করে প্রতি বছর একই মুখকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করাবে না।

= = = = = = = = = = =
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙ্গা প্রভাত
আমরা ঘুচাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

নেত্রীদ্বয় যতদিন বাঁচিয়া আছে ততদিন যে তরিকাতেই যান সে তরিকাতেই একই কাণ্ড হইবে। অন্য উপায় নাই। তাহাদের পরে হবে তাহাদের পুত্রেরা।
গণতন্ত্রের আড়ালে যে তন্ত্র সেইটা দূর না করতে পারলে গণতন্ত্র মিছাই হবে।
উভয় লেখাতেই শিক্ষিত এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কথা উঠছে। আমার মনে হয় শিক্ষিত আর গরীবের সাথে সচেতনতার সম্পর্ক খুব বেশি নাই। সচেতনতাই এর একমাত্র সমাধান বলে মনে করি।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তানভীর এর ছবি

তা বস ঠিকই বলছেন। জানি সব বৃথাই অরণ্যে রোদন, তবু মন তো মানে না!

= = = = = = = = = = =
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙ্গা প্রভাত
আমরা ঘুচাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

'' আমারো পছন্দের। এটা নিয়ে পরে লিখবো। 'গ' নিয়ে চিন্তা একটাই। সবাইই 'চামে দিয়ে' প্রধানমন্ত্রী হবার আশায় দুই জায়গায়ই দাঁড়াবে। প্রার্থীদের ভায়াবিলিটি নিশ্চিত করার কোন মেকানিজম দরকার।

তানভীর এর ছবি

আরেকটা জিনিষ উল্লেখ করতে ভুলে গেছি- প্রধানমন্ত্রী পদে কেউ দুইবারের বেশী প্রার্থী হতে পারবে না (প্রথমবার হারলেও- তবে দ্বিতীয়বার জিতলে আরেকবার ডিফেন্ড করতে পারবে)। এটা হয়তো ভায়াবিলিটি কিছুটা নিশ্চিত করবে।

= = = = = = = = = = =
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙ্গা প্রভাত
আমরা ঘুচাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।

হিমু এর ছবি

নির্বাচন পদ্ধতিতে "না" ভোট পদ্ধতি এমবেড করার জন্যে সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক) অনেক ক্যাম্পেইন করেছিলো। এই "না" ভোট কি আসন্ন (?) নির্বাচনে অনুসৃত হবে?


হাঁটুপানির জলদস্যু

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

''না'' সমৃদ্ধ নির্বাচন হওনের কোনও সম্ভাবনা দেখা যাইতেছে না আপাতত। না অর্থাৎ ভেটো দেওয়ার মতো এলেমদার আমজনতার অভাব প্রবল...
তবে নির্বাচন বানচাল হইলে পরে যদি গণভোট হয় তাইলে হ্যাঁ না ভোটের চান্স আছে। যদিও ইতিহাসে না কখনও জয়যুক্ত হয় না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

পুতুল এর ছবি

ইরুন্নায় কয়: ভোট আইলে গরীবের ধন লেবেনচোস অইয়া যায়।

অনেক সময় আ.লীগ বেশী ভোট পেয়েও সংসদসদস্য কম হওয়ায় সরকার গঠন করতে পারে না।
মানে, গড়ে ভোট বেশী পেলেও সংসদে বিএনপির তুলনায় আসন সংখ্যা কম থাকায় বিরোধী দলেই থাকতে হয়েছে।
সে কারনে আমার প্রস্তাব:
৬০০ আসনের পার্লামেন্টে প্রচলিত পদ্ধতিতে ৩০০ সদস্য নির্বচিত হবে। বাকী ৩০০ দলের ভোটের পার্সেন্টের ভিত্তিতে ভাগ হবে।
যেমন ধরা যাক আলীগ ৩০ পার্সেন্ট ভোট পেল, তাহলে তারা ৩০০ আসনের ৩০ পার্সেন্ট ৯০ জন সংসদ সদস্য পাবে। দলের সদস্যরা ঠিক করবে দলের কে কে সে পদগুলো পাবে।
**********************
কাঁশ বনের বাঘ

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

তানভীর এর ছবি

এলাকাভিত্তিক আসনের প্রতিনিধি এলাকার মানুষের ভোটেই নির্বাচিত হওয়া মনে হয় যুক্তিসংগত। এছাড়া দেশের সব জায়গায় ঘনবসতিও একরকম নয়। ঢাকায় যে প্রতিনিধির নির্বাচিত হতে দু’লাখ ভোট লাগে, পার্বত্য এলাকায় হয়ত বিশ হাজার ভোটেই তা হয়ে যায়। কাজেই এটা দেশের সব এলাকায় কোন একটি দলের প্রতিনিধিদের জনপ্রিয়তা বেশি তা প্রমাণ করে না। অপরদিকে, প্রধানমন্ত্রী পদে যদি দেশব্যাপী একটি আসনে নির্বাচন হয়, তখন এই এলাকাভিত্তিক ভোটের বদলে আপনি যেটা বলছেন সেই পপুলার ভোটই ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। তবে তখন সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনের বদলে এই একটি আসনই সরকারী/ বিরোধী দল নির্ধারণ করবে। কিন্তু যেহেতু সাংসদদের মন্ত্রী হবার সুযোগ নেই, তাই হয়ত কোন সাংসদের বিরোধী দলে যেতে আপত্তি থাকার কথা নয়। বরং শক্তিশালী বিরোধী দল সংসদকে আরো প্রাণবন্ত করে তুলবে।

আপনার উত্থাপিত প্রস্তাবটা জার্মানীতে চালু আছে এরকম কী একটা পড়েছিলাম মনে পড়ছে। ধন্যবাদ।

= = = = = = = = = = =
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙ্গা প্রভাত
আমরা ঘুচাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।

দ্রোহী এর ছবি

মানলাম সবকিছুই। কিন্তু ভোটটা দিবো কাকে? এখন যারা আছেন তাদের ভোট দিলে যে বোকাচোদা ছিলাম, তাই থেকে যাবো।

আগে সারা বাংলাদেশ থেকে ৩০০ জন যোগ্য প্রার্থী তো খুঁজে বের করতে হবে। চোখ বন্ধ করে ভেবে দ্যাখেন তো সত্যিই সারাদেশে ৩০০ জন সৎ রাজনীতিবিদ পাওয়া সম্ভব কিনা এই মুহুর্তে।


কি মাঝি? ডরাইলা?

তানভীর এর ছবি

আহা রে, পনের কোটির দ্যাশে তিনশ' লোকও পাওয়া যায় না...
কোলরিজের সেই নাবিকের দশা হইছে আমাগো--
Water, water, everywhere,
Nor any drop to drink.

= = = = = = = = = = =
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙ্গা প্রভাত
আমরা ঘুচাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

আমগো কথা কি কেউ শুনবো? মন খারাপ

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

তানভীর এর ছবি

মন খারাপ

= = = = = = = = = = =
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙ্গা প্রভাত
আমরা ঘুচাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।

জি.এম.তানিম এর ছবি

স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও সাংসদদের পদ গুলো অনেক কম লাভজনক করা যায়। সেক্ষেত্রে এক আসনে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রয়োজনটাও থাকবে না। প্রতি লেভেলেই ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণটা মনে হয় জরুরিই।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

তানভীর এর ছবি

ঠিক বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও সাংসদদের পদগুলো অনেক কম লাভজনক করা গেলে অসৎ লোকেরা রাজনীতিতে আসতে আর উৎসাহ পাবে না। কিন্তু যে তরিকাই হোক বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে?

= = = = = = = = = = =
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙ্গা প্রভাত
আমরা ঘুচাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।