নাই

গল্পকার শহীদুল জহির আর নেই আজ সকাল থেকে
গল্পের গোলক ধাঁধা রেখে নিজেই এখন কোনো এক গোলকধাঁধার আড়ালে চলে গেলেন হার্টের অসুখকে উপলক্ষ করে

মানুষ মানুষকে পুড়িয়ে মারে স্বার্থের জন্য। কিন্তু সমাজের অচ্ছ...

অপারেশন ক্লিন হার্ট

ঢুকেই সিঁড়ির বামপাশের দ্বিতীয় ঘরে আমাকে থাকার জায়গা দেখিয়ে দেয়া হলো। ঘরটা একটু অন্ধকার। স্যাঁত স্যাঁতে। কিন্তু আমার তেমন খারাপ মনে হলো না। এর চেয়ে বেশি ভালো জায়গায় থাকার অভ্যাস আমার নেই। এগুলোকেই আমি ভাল...

অনির্ধারিত

আমার চেহারাটা কোন মতেই অন্য কোন বাঙালি থেকে আলাদা করার উপায় নেই। বাংলাদেশে যারা চোর ছ্যাঁচড়া ডাকাত অথবা পুলিশ অথবা বাংলাদেশের যে কোন অঞ্চলে জন্মগ্রহণকারী টাউট ও সুবিধাবাদী। আমাকে দেখলে তাদের থেকে আলাদা করার কোন উ...

উদ্বাস্তু

এই বংশের নামের সাথে খুন জড়িত। এরা নাম বলার আগে বলে বংশের নাম। আর বংশের আগে স্মরণ করে- খুনী’ শব্দটি। এদের সবার হাতে বর্শা। বর্শ ওদের বংশের হাতিয়ার। এরা বর্শাবংশ

বর্শাবংশ এপারে। নদীটি খরস্রোতা। এপারে নদীর ঢালটি নেমে ...

অতল

তুই কি আমার প্রেমে পড়েছিস?
দেড় দিনে প্রসঙ্গের বাইরে এই প্রথম কিছু একটা জিজ্ঞেস করল সে। সমুদ্রের খোলা বাতাসে তার চুল আলতো উড়ছে। পায়ে ভেঙে পড়ছে ঢেউ। মাথাটা একদিকে কাৎ করে চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে আছে নীলা আপা। পাথরের মূর্তির মত...

রাজসাক্ষী

বাড়িটার ছবি অনেকবার দেখেছি পত্রিকায়। এই বাড়ি নিয়ে প্রায়ই খবর ছাপা হয়। সঙ্গে ছবি। দুয়েকবার চোখ বুলিয়ে জেনেছি একজন আমলার বাড়ি ওটা। যার হাত-পা অনেক লম্বা ও শক্ত

রাজধানীতে মাঝে মাঝে এলে ওই বাড়িটার কাছেই একটা আস্তানায় ...

অশোক বন

পুরো বাড়ির একমাত্র অলংকার। মুক্তির সিথানের ওপরে বাঁশের বেড়ায় ঝোলানো ফ্রেমটি। পুরনো এক টুকরো সাদা কাপড়ে পুরনো শাড়ির পাড় থেকে খুলে নেয়া লাল সুতায় পঞ্...

নির্বাণ

পেন্টের ভেতরে ভেজা এবং আঠালো স্পর্শ। পরিণতির এক পূর্বলক্ষ্মণ। তরল বন্যায় আগেই পা ভেসে গেছে। এখন ঊরুর পেছনে গরম হিমবাহ। আঠালো। চিটচিটে
সামান্য সময় আর। সঞ্চিত অক্সিজেন এখন দাঁত কামড়ে চালাচ্ছে মেশিন। কিন্তু জ্বালানি ...

বিষয়ের দিক থেকে এখন পর্যন্ত সচলায়তনে সবচে বেশি লেখা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা প্রসঙ্গে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে বিশ্লেষণ তেমনি রয়েছে নতুন নতুন অনেক তথ্য। পাশাপাশি পোস্টগুলোর কমেন্ট থেকেও বেরিয়ে এসেছে প্রাসঙ্গিক অনেক নতুন...

বংশ

সকালে এসেছিল ক্রান্তি। মাকে দিয়ে চক্ষু হাসপাতালের বড়ো ডাক্তারের কাছে একটা ফোন করিয়েছে। বড়ো ডাক্তার আমার চাচা। ক্রান্তির চোখ ট্যারা। চিকিৎসকরা নাকি আজকাল ট্যারা চোখ সোজা করতে পারেন। মাকে দিয়ে সে বড়ো চাচাকে অনুরোধ করিয়েছ...