উকুন বাছা দিন। ০৯। অশোক বন

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: বুধ, ১২/০৩/২০০৮ - ১১:৪৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অশোক বন

সংকীর্ণ হৃদয় খানি
এত ভালবাসা
মিটে নাই মিটিল না
মিটিবে না আশা

পুরো বাড়ির একমাত্র অলংকার। মুক্তির সিথানের ওপরে বাঁশের বেড়ায় ঝোলানো ফ্রেমটি। পুরনো এক টুকরো সাদা কাপড়ে পুরনো শাড়ির পাড় থেকে খুলে নেয়া লাল সুতায় পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়া হাতে খুব যতেœ শব্দগুলো লিখেছে মুক্তি এবড়ো-থেবড়ো করে। কোনো কবির নাম নেই। নিচের দিকে ডান কোণায় নীল সুতায় ছোট্ট করে লেখা- মুক্তি। হয়ত মুক্তিরই নিজের লেখা পংক্তি। বিষণœতায় সব মানুষ কবি হয়ে যায়। কিংবা কবিতা ছাড়া বিষণœতা প্রকাশের বিকল্প ভাষা নেই। প্রত্যেক মানুষ যখনই নিজের নাম নীল অক্ষরে কল্পনা করে তখন সে কবি হয়ে যায়। মুক্তিও হয়ত তাই। জীবনে প্রথম ও শেষবার নীল অক্ষরে নিজের নাম লিখে ফ্রেম করে ঝুলিয়ে রেখেছে নিঃসঙ্গ সিথানের উপরে প্রহরী দেয়ালের গায়। অনন্তকাল থেকে। অনন্ত কালের জন্য

এ ঘরে ঝোলার মতো অন্য কোনো অলংকার নেই। বেড়া থেকে বেড়ায় কাপড় রাখার দড়ি ঝোলে। মশারির খুঁট ঝোলে। বুররাক- কাবাঘর- গণেশের ছবি- দেবী দুর্গা- যিশু- গৌতম বুদ্ধ- তাজমহল কোনো কিছু ঝোলে না এ ঘরে। শুধু একটি ফ্রেম ঝোলে। পুরনো। এবড়ো-থেবড়ো। বিশ্রী

মুক্তির বিছানাটা দুজন মানুষের। ঘুমায় সে একা। অথচ বিছানায় সব সময় দু’জোড়া বালিশ। বাম পাশেরটা নির্দিষ্ট মুক্তির জন্য। ডান পাশের বালিশ দুটো সে সরিয়ে রাখে না কোথাও। ওখানে কাউকে শুতেও দেখেনি কেউ। তার নিজস্ব বালিশে কোনো তোয়ালে নেই। ডান পাশের বালিশে সব সময় ফুল তোলা ঝকঝকে তোয়ালে। ওগুলোর অব্যবহৃত কভার বদলানো হয় প্রতি বছর। কিন্তু তার নিজেরটা ব্যবহারে মলিন

ডান পাশের বালিশজোড়া এভাবেই থাকে প্রতিদিন। খুব যতেœ। মাঝে মাঝে শুধু হঠাৎ মাঝরাতে মুক্তির আলিঙ্গনে তার বুকের ভেতরে পিষ্ট হতে হতে অনর্গল অশ্র“তে ভিজে যায় বালিশজোড়া। বালিশজোড়া বেঁচে থাকে মুক্তির অশ্র“র রুমাল হয়ে। রাতে মুক্তির চোখ বন্ধ হলেই দরজা খুলে যায়। বিজয় এসে ঢোকে। সম্পূর্ণ শরীর তার আলোর তৈরি। মুক্তির ঘর হয়ে ওঠে রুপালি প্লাবন। মুক্তি শুয়ে থাকে ভেসে যেতে যেতে আলোর বন্যায়। মশারি সরিয়ে উঠে আসে বিজয়। মুক্তির কাপড়গুলো উড়তে থাকে কবুতর হয়ে। উড়তে উড়তে উঠে যায় আকাশে। জমে জমে মেঘ হয়ে ঢেকে রাখে বিজয়-মুক্তিকে। মুক্তি বিস্তৃত হতে হতে বিশাল ধানক্ষেত হয়ে যায়। লাঙল কাঁধে নেমে আসে বিজয়। জমির আলে দাঁড়িয়ে প্রার্থনা করে। সেজদা করে মাঠের বিশালত্বকে। তারপর চুমু খায়। সমস্ত শরীরে। ঘামঝরা পরিশ্রমে লাঙল চালায়। সারা মাঠে। বীজ বুনে দেয়। ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে তাকায় মুক্তির দিকে। মুক্তির তলপেট সোনালি শস্যের ভারে স্বর্ণাভ হয়। আরো হয়। আরো। মুক্তির গর্ভ থেকে দুই যমজ ছেলেমেয়ে বের হয়ে আসে রুপালি আলোয়
এবং হঠাৎ মুক্তি দেখে বিজয় নেই
রুপালি আলোহীন অন্ধকার ঘর। ছেলেমেয়েরা বিজয়কে খোঁজে সারা ঘর। খুঁজতে খুঁজতে তারা বুঝে যায় আলোকিত মানুষ অন্ধকার ঘরে নিখোঁজ থাকতে পারে না। তারা হাত ধরাধরি করে উড়ে উড়ে বেরিয়ে যায় ঘরের বাইরে। তারা আর ফেরে না সে রাতে। ফেরে না কোনোদিন

মুক্তির ঘুম ভাঙে। পাশের বালিশজোড়া জড়িয়ে ঘুমিয়ে আছে সে। তার ব্লাউজের বোতাম খোলা। দুটো স্তন থেকে দুধ গড়িয়ে পড়ার দাগ স্পষ্ট। মুক্তি মনে করতে পারে না ব্লাউজের বোতাম বিজয় খুলেছিল নাকি সেই খুলে দিয়েছিল শিশু দুটোকে। এভাবে প্রতিদিন। বিজয় আসে। মুক্তি গর্ভবতী হয়। যমজ দুই শিশু স্তন্যপান করে। বিজয়ের নিখোঁজ সংবাদ। এবং বিজয়কে খুঁজতে শিশু দুটি বের হয়ে যায়। মুক্তি ঘুম ভেঙে দেখে ওর ব্লাউজের বোতাম খোলা

পঁয়তাল্লিশ বছরের মুক্তি পারেনি যুদ্ধের আগে গর্ভবতী হতে। সে চেয়েছিল তার আগে বিজয় সামলে নেবে সংসার। মুক্তি গুছিয়ে নেবে ঘর। তারপর তারা নেবে সন্তান। কিন্তু বিজয় সামলাতে পারেনি। মুক্তি গোছাতে পারেনি। মাঝখানে ঝড় এলোমেলো করে গেছে সব। মুক্তির গর্ভবতী হবার সুযোগ হয়নি আর

সুযোগ ছিল। মুক্তি নেয়নি সে সুযোগ। প্রতি রাতে বিজয় এসে স্মরণ করিয়ে দেয় সে কথা। সে ঘটনা। প্রতিদিন একবার সে স্মৃতিতে হাত বোলায় মুক্তি। বিজয় কি বুঝতে পেরেছিল কিছু? নইলে বাসর রাতে ওরকম কথা বলবে কেন সে? তিন বছরের প্রেমে সে ওরকম উচ্চারণ করেনি একবারও। সে বলত যারা মৃত্যুর কথা বলে তারা আত্মবিশ্বাসহীন। তবে কি বিজয় আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিল? নাকি সত্যিই জেনেছিল কিছু? নইলে ওমন কথা বলবে কেন?

চিৎ হয়ে শুয়ে বুকে টেনে জড়িয়ে ধরেছিল মুক্তিকে বিজয়। একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে উচ্ছল বিজয় গম্ভীর হয়েছিল প্রথম ও শেষবার। মুক্তি চমকে উঠেছিল ভেতরে। তবে কি বিয়েতে অসুখী বিজয়? দুহাতে মুক্তির মুখ তুলে কপালে চুমু খায় বিজয়। নাম ধরে ডাকে। মুক্তি শোনে কোন গভীর সমুদ্র থেকে যেন তরঙ্গ হয়ে ভেসে আসে ওর নাম। অবাক বিস্ময়ে মুক্তি গেঁথে রাখে তার চোখে বিজয়ের চোখ। বিজয় অন্ধের লাঠির মতো তাকে বুকে পিষে উচ্চারণ করে- মুক্তি একটা কথা দেবে? একটা প্রতিজ্ঞা করবে আমার সাথে?
মুক্তি বুঝতে পারে না কিসের প্রতিজ্ঞা। অপলক তাকিয়ে থাকে। সম্মোহিত বিজয় দূরাগত স্বরে উচ্চারণ করে- যদি আমরা হঠাৎ কেউ হারিয়ে যাই তবে আমরা আজীবন অন্যজনকে খুঁজে যাব। মুক্তি কথা দাও
এ কী কথা। কী কথা এসব। পৃথিবীতে এখনতো আর নিখোঁজ হবার মতো জায়গা নেই। হারিয়ে যাবার মতো নির্বাসন নেই। তবে কেন এমন বলছে বিজয়। বিজয়কে ভয় হয় মুক্তির। হয়ত আরো ভয়ংকর কোনো কথা বলবে বিজয়। মুক্তি এ রকম আর কিছু শুনতে চায় না আজ। মুক্তি তার মুখ বিজয়ের মুখের কাছে নিতে নিতে বলে- আমি আমাকে জানি বিজয়। আমি তোমাকে চিনি

বিজয় নির্বাক। নিজের বুকের সাথে আপ্রাণ চেপে ধরে মুক্তিকে। মুক্তি দুলছে চিন্তা-শূন্যতায়। স্তব্ধ বিজয়। কিন্তু মুক্তি চায় না এমন দ্বীপান্তরি নীরবতা। সে চায় মুক্তি। চায় বিজয়কে। যাকে সে চেনে

মুক্তি নেমে যায় বিজয়ের বুক থেকে পাশে। গলা জড়িয়ে ঝাঁকি দেয়- কী ভাবছ এসব। ওঠো। ...বিজয় জেগে ওঠে। মুক্তি তাকে জাগিয়ে তোলে কালাপানির বিষণœ ঘুম থেকে। বিজয় আবার হয়ে ওঠে পরিচিত মানুষ। উচ্ছল। উৎসব। মুক্তির সমস্ত লজ্জা একে একে সরে যায় বিজয়ের উল্লাসে। মুক্তি হয়ে ওঠে আদিম মুক্তি। অকৃত্রিম

এর পরদিন... তারপর... কিংবা অন্য কোনোদিন বিজয়ের কণ্ঠে পুনরাবৃত্তি হয়নি সেই কথা। হয়ত সে ভুলে গেছে। অথবা নিজের প্রতিজ্ঞা নিজের ভেতর রেখে মুক্তির কথা থাকতে দিয়েছে মুক্তির ভেতরে। এমনকি শেষ যে দিন শেষবারের মতো চলে গেল সে। সেদিনও বলেনি কিছু। শুধু মুক্তিকে বুকে জড়িয়ে বলেছিল মুক্তি আমি আসছি

তার মুখে কোনো বিষণœতা ছিল না সেদিন। যেন সে মুক্তির তৈজস আনতে শহরে যাচ্ছে। বিজয়ের সে সদাই মুক্তি কোনখানে কী সাজাবে তাই যেন ভাবতে ভাবতে যাচ্ছে বিজয়। মুক্তি কাঁদে। মুক্তি ধরে থাকে বিজয়ের হাত। নিজের হাত ছাড়াতে ছাড়াতে বিজয় বলে- তুমি কি চাও তোমার প্রথম সন্তান ক্রীতদাস হোক?

মুক্তির চোখে নির্বাক জল। তৃতীয় বিশ্বের অন্ধকার গ্রামের সহজাত উদ্ভিদ সে। তার পায়ের শেকল খুলে বন্ধ খাঁচায় ফেলে দিলে নিজেকে সে ভেবেছে মুক্ত। পায়ে শেকল পরালে কাঁদে। নির্বাক। তার জন্য শেকল আঁচড়ে সুন্দর নখ রক্তাক্ত করার কথা জানে না সে। শেখেনি সে। বিজয় তাকে উপহার দিয়েছে কিছু নতুন শব্দ। স্বাধীনতা। কিন্তু সে জানেনি তার কাছে তার সংসার বড়ো না স্বাধীনতা বড়ো। মুক্তি জড়িয়ে ধরে থাকে বিজয়ের শরীর। বিজয় আবার ধীরে ধীরে সরিয়ে দেয় মুক্তির আলিঙ্গন। তারপর দুহাতে মুক্তির মুখ তুলে মুক্তির জীবনে দ্বিতীয়বার ও শেষবার তার কপালে চুমু খায় বিজয়। মুক্তির ঠোঁট তখন চোখে পড়ে না বিজয়ের...

তারপর বিজয়ের চিঠি আসত খামবন্দী ভালবাসা নিয়ে মুক্তির জন্য

যুদ্ধফের্তা মানুষ কেউ অক্ষত- কেউ আহত- কেউ লাশ হয়ে ফিরে ঘরে। বিজয় নেই তাদের মাঝে। কেউ কেউ ফিরে সংবাদ হয়ে। তাদের ভিড়ের এক কোণে বিজয়ের নাম। কিন্তু বিজয় নিহত নয়। বিজয়কে বন্দী করে নিয়ে যাবার খবর। তাদের টিমের বাকিরা পালায়। বিজয় পারে না

বিজয়কে ওরা গুলি করে মারে না। তার কাছে তারা তথ্য চায়। জোড়া জোড়া বুট- রাইফেলের বাট নেমে আসে তার ওপর। বিজয় হুমড়ি খেয়ে পড়ে। চিৎ করে তার কণ্ঠনালীতে একজন চেপে ধরে বুট। বিজয়ের জিহ্বা বেরিয়ে আসে দু’ঠোঁটের ফাঁকে। আরেকজন খড়ের গাদায় আগুন জ্বালিয়ে বেয়নেট লাল করে চেপে ধরে বেরিয়ে থাকা মুমূর্ষু জিহ্বায়। ছ্যাৎ ছ্যাৎ শব্দে লাল ধাতুর ফলা ঠান্ডা হতে থাকে বিজয়ের ভেজা জিহবায়। জান্তব যন্ত্রণায় ছটফট করে বিজয়। কিন্তু শব্দহীন। আবার। বারবার চলতে থাকে প্রক্রিয়া। বিজয় বলে না। বলতে চায় না। তারা বিজয়কে হত্যা করে না। করতে চায় না। আধমরা বিজয়কে ওরা ট্রাকে তুলে নিয়ে যায় অন্য কোথাও

খবর এ পর্যন্তই শেষ

আর কোনো খবর আসে না মুক্তির কাছে। বিজয়ের মৃত্যুর কোনো খবর নেই কোথাও। মুক্তি জানে বিজয় যাবার বেলায় বলে গেছে- আসছি। বিজয় যাচ্ছি বলে যায়নি। বিজয় ফিরে আসবে। বিজয় বেঁচে থাকবে। সে মরতে পারে না। সে আছে। শুধু ফিরে আসার পথ খুঁজে ফিরিয়ে আনতে হবে তাকে। মুক্তি প্রতিদিন যমজ সন্তান জন্ম দিয়ে পাঠায় বিজয়কে খুঁজতে। হয়ত একদিন হঠাৎ তার সন্তানরা পেয়ে যাবে তার সন্ধান
১৯৯৩.০৩.১৪ সোমবার


উকুন বাছা দিন

প্রকাশক- শুদ্ধস্বর। প্রচ্ছদ- শিশির ভট্টাচার্য্য। ২০০৫

............................................
উকুন বাছা দিন। ০১। ফসিল
উকুন বাছা দিন। ০২। মাকড়া
উকুন বাছা দিন। ০৩। টিকটিকি
উকুন বাছা দিন। ০৪। ঘুণপোকা
উকুন বাছা দিন। ০৫। নখর
উকুন বাছা দিন। ০৬। সমাবর্তন
উকুন বাছা দিন। ০৭। বংশ
উকুন বাছা দিন। ০৮। নির্বাণ
উকুন বাছা দিন। ০৯। অশোক বন
উকুন বাছা দিন। ১০। রাজসাক্ষী
উকুন বাছা দিন। ১১। অতল
উকুন বাছা দিন। ১২। উদ্বাস্তু
উকুন বাছা দিন। ১৩। অনির্ধারিত
উকুন বাছা দিন। ১৪। অপারেশন ক্লিন হার্ট
উকুন বাছা দিন। ১৫। ফিনিক্স
উকুন বাছা দিন। ১৬। জন্মান্তর


মন্তব্য

রাকিব হাসনাত সুমন এর ছবি

পৃথিবীতে এখনতো আর নিখোঁজ হবার মতো জায়গা নেই। হারিয়ে যাবার মতো নির্বাসন নেই। ----------- সরি স্যার..এই একটা বিষয়ে আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

পৃথিবীতে এখনতো আর নিখোঁজ হবার মতো জায়গা নেই। হারিয়ে যাবার মতো নির্বাসন নেই।

কিন্তু স্যার ৭৫ এর পরে আমাদের দেশের অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে কিন্তু এখনও আমরা নিখোঁজ হিসেবে জানি

০২
আমাদের দেশে কল্পনা চাকমা কিন্তু নিখোঁজ?

০৩
যতগুলো দেশে সামরিক শাসন চলছিল কিংবা চলছে সেসব দেশে এখনও প্রতি বছর নিখোঁজ এর পরিমাণ কী বলে?

০৪
পৃথিবীর কত জায়গায় মিনি গোয়ান্তামো কারাগার আছে? আর তার ভেতরে কাদেরকে রাখা হয়েছে? তারা কি সকলের কাছে নিখোঁজ নয়?

০০০০

আজকের যুগে কারো নিজের পক্ষে নিখোঁজ হবার সুযোগ হয়তো নেই
কিন্তু আজকের যুগে মানুষকে নিখোঁজ করে দেয়া সম্ভব
এবং সেটা হচ্ছে স্যার

অনিন্দিতা এর ছবি

একদম একমত।
ভাল লাগল বরাবরের মতো।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

ধন্যবাদ স্যার

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

গল্প পুরোনো। অন্যগুলোর মতোন নাটকও কম।
তবে লেখনী সেই ধারালোই। ভালো লাগলো, বিশেষ করে সূচনা।

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এখনতো ভয় পাচ্ছি
ভালো লাগনোর কৌশল যে শেষ হয়ে যাচ্ছে আমার
সীমিত স্টক তো?

অনিন্দিতা এর ছবি

এই স্যার কে?
আপনার মেজাজ খারাপ নাকি মশাই?
ভয় পেলাম। এখন থেকে সাবধানে মন্তব্য করার চেষ্টা করব।
বেক্কল মানুষ তো। যা মনে হয় ঝেড়ে দেই। ঘুরিয়ে পেচিঁয়ে বলতে পারি না।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমার জানা মতে আপনাকেই তো আমি এই স্যার বললাম
সেটা অন্য কারো ঘরে চলে গেলো নাকি?

শেখ জলিল এর ছবি

রচনার স্টাইল যথারীতি চমৎকার। বিজয়, মুক্তি, স্বাধীনতার চমৎকার সমন্বয়।
..তবে আর নিখোঁজ নয় সাক্ষাৎ দেবদূত হাজির হোক পরবর্তী গল্পে।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

মাহবুব লীলেন এর ছবি

তবে আর নিখোঁজ নয় সাক্ষাৎ দেবদূত হাজির হোক পরবর্তী গল্পে।

বাচ্চাদের জন্য একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে লেখা একটা গল্প ছিল
যেখানে সম্ভবত এরকম দেবদূত হয়ে এসছিল সাত ভাষা শহীদ
কিন্তু যতদূর মনে পড়ে ওদের চেহারাগুলো সুন্দর ছিল না
ভাষা এবং বাংলাদেশ দেখে তাদের শরীরে ক্রমাগত ফোসকা পড়তে পড়তে এক সময় শরীর থেকে মাংস খসে পড়তে পড়তে পড়তে কংকাল হয়ে যায় সবাই
তারপর আবার চলে যায় কোথাও

গল্পটা আছে
উকুন বাছা দিন শেষ হলে এক সময় হয়তো দিয়ে দেবো এখানে

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

বাহ্!
গল্প পাঠকে কেন্দ্র করে গল্প তৈরী হচ্ছে।

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

মাহবুব লীলেন এর ছবি

হইবে স্যার হইবে
তুমি খালি বাংলাদেশের ৬৪টা জেলায় বই পাঠানোর পদ্ধতিটা আবিষ্কার করো
তা হলেই পাঠকের প্যাদানি খেয়ে একেবারে সিধা হয়ে গল্প লিখতে পারবো

জাহিদ হোসেন এর ছবি

বরাবরের মতোই ভাল লাগলো।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

ধন্যবাদ

তাপস শর্মা এর ছবি

এভাবেই স্বাধীনতা আসে। আর সেই বিজয়ে সবাই মুক্তির গান গায়। কিন্তু মুক্তি বিজয়ী হতে পারেনা......

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।