উকুন বাছা দিন। ০৩। টিকটিকি

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: মঙ্গল, ০৪/০৩/২০০৮ - ১১:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দুজনেরই একান্ত আশ্রয় মন্দিরটি। একমাত্র যেখানে পা ছড়িয়ে বসতে পারি। মেয়েটিও দেখলাম নিশ্চিন্ত। ওখানেই তার সাথে পরিচয়। কথা। এবং মগজের কোথাও যেন বাঁশি শোনার একটানা ব্যথা

একদিন। দু’দিন। তারপর আরো দিন। আরো বহুদিন
হঠাৎ বেজে উঠল কোথাও হুইসেল। তড়াক করে লাফিয়ে উঠলাম। আমাকে যেতে হবে। গন্তব্যে যাত্রার সুবর্ণ সময়। আমি বললাম- দেবী নমস্কার

মেয়েটিও উঠল দ্রুত। সেও যাবে। দেবীকে নমস্কার জানাল সেও। তাকে উদ্দেশ্য করে দেবী বলল- যা। তোর কোনো চিন্তা নেই। ও আছে সাথে। সে খুব নির্ভরশীল মানুষ। দেবী আমার কাঁধে হাত রাখল- দেখিস তাকে

মেয়েটি নিশ্চুপ বেরিয়ে গেল মন্দির ছেড়ে আমার আগেই। গেটের বাইরে এসে দেখলাম সে দ্রুত হাঁটছে আমার পথে। আমি দাঁড়ালাম রিকশার অপেক্ষায়

আমার রিকশা তাকে অতিক্রম করে যাবার মুহূর্তে সে আমাকে থামাল- আমার কাছে কোনো পয়সা নেই রিকশা ভাড়ার। আমি বললাম- আমার কাছে অনেক টাকা। কিছু নিয়ে চলে যাও এই রিকশায়। আমি যাব পরে

মেয়েটি উঠে এল রিকশায়- একা যেতে হলে হেঁটেই যেতাম। কিন্তু আমি এখন তোমার জায়গায় যাব। সে পথ আমি চিনি না। তুমি চেনো সেই পথ। সেখানে সবাই তোমাকে চেনে। দেবী বলেছেন তোমাকে ভরসা করতে

মেয়েটি বসেছে বাঁয়ে। আমাদের শরীর ছুঁয়ে যাচ্ছে পরস্পর। আমি অনুভব করলাম আমার হৃৎপিণ্ডও যেন কী ছুঁয়ে দিচ্ছে বারবার। কে যেন দূর থেকে ডেকে বলছে-
পয়স্তি। পয়স্তি। চর জেগেছে। আয় দেখে যা

মেয়েটি তার মাথা নামিয়ে দিলো আমার কাঁধে। তার চোখ বন্ধ। আমার হাত জায়গা করে নিলো সুবিধামতো। আমরা মিশে গেলাম

এভাবে যাচ্ছি। হঠাৎ হার্ড ব্রেক করে থেমে গেল আমাদের রিকশা। আশপাশ থেকে বেরিয়ে এল ক’জন যুবক। আমার পরিচিত তারা। দেখা হলে সালাম ঠুকে সিগ্রেট লুকায়।
একজন তাদের নেতা। আমাকে উদ্দেশ্য করে বলল- মগের মুল্লুক পেয়েছ? নাকি চলে গেছ বেহেস্তে। হুরির কোমর ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছ? নেমে আয় শুয়োরের বাচ্চা

লাফিয়ে নামলাম আমি। সে বসে আছে। আমি ওদের দিকে জোড় হাত করলাম- ক্ষমা করেন মহাজন। আমি আসোলে ভুলে গিয়েছিলাম এটা আপনাদের দেশ এবং আমার কোনো দেশ নেই। আপনারা যা ইচ্ছে করেন- শুধু আমাকে ছেড়ে দেন। পৈত্রিক প্রাণ নিয়ে ফেরত যেতে হবে পিতার ভিটায়

তাদের একজন আমার মাথায় চাটি মারল- সাবাশ বেটা বাহাদুর শাহ্। যা তোকে ছেড়ে দিলাম। যা দৌড় লাগা। পেছনে তাকাবি না। ওয়ান- টু- থ্রি...

পেছনে একই কণ্ঠ থেকে বারবার আমার ডাকনাম ধরে ডাক শুনতে পাচ্ছিলাম। একবার মাত্র সাহস করে তাকালাম পেছনে। তারা তাকে নামাচ্ছে রিকশা থেকে। তখনও তার কণ্ঠে আমার নাম

এখন আর দৌড়াচ্ছি না। হাঁটছি। অনেক দূর চলে এসেছি। হয়তবা গন্তব্যের কাছাকাছি। কিন্তু কোথায় যাব আমি? ভুলে গেছি। ভুলে গেছি কোথায় যাবার ডাক পেয়েছিলাম। ভুলে গেছি আমি

বসে পড়লাম। অনেক্ষণ পর। একটা রিকশা নিলাম ফিরতি পথের। রিকশাওয়ালাকে বললাম ঘুরপথে যেতে। কিন্তু রিকশা ঘুরপথে ঢুকবার আগেই দূরে দেখলাম তাকে। সে আসছে সেই রিকশায়। আমাকে খুঁজছে চারপাশে। যখন কাছাকাছি এসে গেল তখন আমি বৃষ্টিরোধক পলিথিন দিয়ে নিজেকে আড়াল করলাম

পাশ কেটে চলে গেল সে। তার ঠোঁটে রক্ত। শরীরে ঘাম। চোখে পানি। যে রিকশায় চড়ে সে আমাকে খুঁজছে সে রিকশার ভাড়া দেবার কথা আমার
১৯৯৪.০৯.০৪ সোমবার

উকুন বাছা দিন

প্রকাশক- শুদ্ধস্বর। প্রচ্ছদ- শিশির ভট্টাচার্য্য। ২০০৫

............................................

উকুন বাছা দিন। ০১। ফসিল
উকুন বাছা দিন। ০২। মাকড়া
উকুন বাছা দিন। ০৩। টিকটিকি
উকুন বাছা দিন। ০৪। ঘুণপোকা
উকুন বাছা দিন। ০৫। নখর
উকুন বাছা দিন। ০৬। সমাবর্তন
উকুন বাছা দিন। ০৭। বংশ
উকুন বাছা দিন। ০৮। নির্বাণ
উকুন বাছা দিন। ০৯। অশোক বন
উকুন বাছা দিন। ১০। রাজসাক্ষী
উকুন বাছা দিন। ১১। অতল
উকুন বাছা দিন। ১২। উদ্বাস্তু
উকুন বাছা দিন। ১৩। অনির্ধারিত
উকুন বাছা দিন। ১৪। অপারেশন ক্লিন হার্ট
উকুন বাছা দিন। ১৫। ফিনিক্স
উকুন বাছা দিন। ১৬। জন্মান্তর


মন্তব্য

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

লীলেনের কবিতা গল্পের মতো
আর গল্পের কাব্যময়তা কবিতার চেয়ে বেশী
এবং শেষ পর্যন্ত লীলেনের গল্প গল্পই
গল্পহীনতার কারুকাজের ভেতরে ফাঁকা কিছু নয়

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এটাই তো ঝামেলা স্যার
কবিতাওয়ালারা আমাকে বলে তুমি গল্পটল্প লিখছিলে; তাই লিখতে
খামাখা কবিতা নিয়ে টানাটানি কেন?
গল্পওয়ালারা বলে কবিতা-ছবিতা তো ভালোই লেখো
তাহলে আবার গল্প কেন?

আর পুরো সাহিত্য এক জায়গায় এলে বলে নাটক ফাটক করছিলে। করো
সাহিত্যের না এলেও চলতো তোমার
নাটক ওয়ালাদের কাছে গেলে বলে সাহিত্য ফাহিত্য ভালোই তো করছিলে
এদিকে না এলেও পারতে

তারপরও ঠ্যাটার মতো দাঁড়িয়ে থাকলে তারাও দুই ভাগ হয়ে একদল বলে ডকুফকু করতে পারো। ফিকশন তোমাকে দিয়ে হবে না
আর ডকু ওয়ালাদের কাছে গেলে বলে ফিকশন টিকশন করো। ডকু আলাদা জিনিস। ওটায় তোমার ঝামেলা আছে

আহারে
কেউ আমারে দলে নিতে চায় না....। ঠেলে ঠেলে অন্যের জমিতে নিয়ে ফেলতে চায়

০২

অনেক বড়ো হয়ে পর্যন্ত আমি বই পড়ে বুঝতাম না ওটা কবিতা না গল্প না উপন্যাস না প্রবন্ধের বই। ক্লাস ৬-৭ এ আমি পুরো শরৎ রচনাবলী শেষ করেও বুঝিনি ওগুলো কিসের বই। পরে ইন্টারমিডিয়েটের দিকে যখন শুনলাম শরৎ উপন্যাস লিখেন তখন নিজেই অবাক হয়েছিলাম- শরৎচন্দ্র উপন্যাস লিখেন? কই তার রচনাবলীতে তো একটাও পেলাম না
(বইয়ের ভূমিকায় কবিতার বই- উপন্যাস এগুলো লেখা না থাকলে আমি ধরতে পারতাম না। কিন্তু শরৎচন্দ্রের কোনো বইয়েই কোনো ভূমিকা থাকে না। তাই এই ঝামেলা)

সেই একই কারণে ছোট বেলায় পড়া আমার দস্যু বনহুর- মাসুদ রানা- কুয়াশা এগুলো কিসের বই আমি এখনও ঠিক করতে পারি না

০৩
এক সরকারি পাবলিকা একবার বইমেলা থেকে আমার বাজারিবাটু (আমার হিসেবে কবিতা) বইটা কিনে নিয়ে গিয়ে দুদিন পরে ফোন করলেন- আপনার প্রবন্ধের বইটা পড়লাম। ভালোই তো

আমি তাকে ধন্যবাদ দিয়ে মনে মনে বললাম- হা গণেশ। আমি তাহলে কবিতার নামে প্রবন্ধ লিখেছি?

০৪

এবার বইমেলা থেকে আমাদের এক বন্ধুর একটা বই নিয়েছি আমি। পুরো বইটা পড়েও এখনও ঠিক করতে পারিনি বইটা কবিতা নাকি গল্প নাকি জার্নাল
তাকে জিজ্ঞেস করতেও পারছি না ভয়ে। যদি জ্ঞান দেয়?

০৫

হয়তো এখনও সেই আগের জায়গাতেই রয়ে গেছি
আগে বুঝতাম না কী গোত্রের বই পড়লাম
এখন লিখেও বুঝি না কী গোত্রের রচনা লিখলাম

০৬

কোথাও না কোথাও নিশ্চয়ই কোনো বেকার বিশেষজ্ঞ আছেন
তিনিই ঠিক করে আমাকে বুঝিয়ে বলবেন- তুমি মূলত ইহা রচনা করিয়াছ
তার আগ পর্যন্ত আমার সব লেখার নামই লেখা
আর সংজ্ঞার দিক থেকে হাবিজাবি

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

হাবিজাবি নয় তোমার লেখা।
তোমার লেখার স্টাইলটাই এরকম।এই স্টাইল তোমার সচেতন কিংবা অবচেতন থেকে আসে।গল্পের মধ্যে কবিত্ব বেশী ফলে বলে তোমার কবিতা কবিতা নয় এটা আমি কখনো বলি না।কারণ সব কিছু ছাপিয়ে মাহবুব লীলেন একজন কবি মাহবুব লীলেন ।

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

মাহবুব লীলেন এর ছবি

শুনিয়া প্রীত হইলাম
কথাখান লিখিয়া দাসখত দিয়া দিও
বাধাইয়া রাখিব চারিত্রিক সাট্টিফিকেটের মতো

রাতুল এর ছবি

কাহিনীটা খুব সত্যি সত্যি লেগেছে।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

হয়তো কোথাও কোথাও এরকম কিছু ঘটেছে কোনোদিন
অথবা ঘটে যাবে কোনোদিন

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

কিছু লিখতে পারলাম না।
অব্যাবহৃত শব্দ ভান্ডারে চোখ বুলিয়ে হতাশা বোধ হলো!

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

মাহবুব লীলেন এর ছবি

খাইছি তরে; আমি নিশ্চিত এই শব্দটি আপনি কোনোদিন ব্যবহার করেননি
করতে পারেন

অনিন্দিতা এর ছবি

আপনার বিনয়ী লেখা তো মশাই বিভ্রান্ত করে ফেলছে। আপনার গল্পকে গল্প , কবিতাকে কবিতা হিসেবেই পছন্দ করি। তবে গল্পে কাব্যময়তা আলাদা মাত্রা যোগ করে।

কেউ আমারে দলে নিতে চায় না....। ঠেলে ঠেলে অন্যের জমিতে নিয়ে ফেলতে চায়।

বাদ দেন দলাদলি। পাঠকের ভাল লাগাই আসল কথা।
নাকি আমাদের মত সাধারণ পাঠকের মূল্য নাই?
আপনি নিজেকে কবি, গল্পকার, নাটকের লোক কোন পরিচয়ে দেখতে চান?

মাহবুব লীলেন এর ছবি

সাধারণ পাঠক দুয়েকজন পড়ে বলেই তো এখনও ঠ্যাটার মতো দাঁড়িয়ে আছি
না হলে আঁতেলরা তো বইয়ের মলাট পড়েই বলে দেয়- দুর মিয়া কী সব লেখেন
নতুন কিছু লিখতে পারেন না

সেজন্য ওদিকে জীবনেও মাড়াই না আমি

(তা আপনি আবার সেই দলের কেউ না তো?)

জাহিদ হোসেন এর ছবি

আপনার ক্ল্যাসিফিকেশন পরে হবে। বা হবে না।
যা জিনিস একখানা লিখেছেন এখানে। সুপার! দুঃখ একটাই, যে আকারে ছোট। কিন্তু কে জানে সেজন্যেই হয়তো বেশী ভাল লেগেছে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

দুঃখ একটাই, যে আকারে ছোট

বড়ো লেখা পড়তে চান?
নিন পড়েন
নিম নাখারা বইয়ের দেড়শো পাতা জুড়ে মাত্র ৭টা গল্প
(পড়িয়া নিজ দায়িত্বে বিরক্ত হইবেন)

দ্রোহী এর ছবি

বস আপনে কি খান? ক্যামনে ল্যাখেন?


কি মাঝি? ডরাইলা?

মাহবুব লীলেন এর ছবি

খাই মোট ছয়টা জিনিস
আলু- ডিম- ডাইল
আর
ডাইল- ডিম আলু

এই ছয়টা বস্তু খেয়েই ২০০২ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত বেঁচে ছিলাম
তারপর আমার ছোট বোন এসে আমাকে উদ্ধার করে এই ষড়বস্তুর হাত থেকে

আর লিখি এমনে এমনে
বকবক করে করে লিখি
বকবক করার মতো করে লিখি
বেশি কথা বলার বদনাম বহু আগে থেকেই ছিল
এখন যোগ হয়েছে বেশি লেখার বদনাম

অতিথি লেখক এর ছবি

পড়তে পড়তে ভাবছিলাম গল্প না কবিতা। পড়া শেষ করে মনে হলো, কী আসে যায়। সংজ্ঞার দিক থেকে হাবিজাবি এই লেখা নামের লেখা পড়ে খুব ভালো লাগলো।

- শামীম হক

মাহবুব লীলেন এর ছবি

ধন্যবাদ

অতিথি লেখক এর ছবি

লীলেনদা ভাল লাগলো, আর কিছু ছোট গল্প লেখেন ।

- খেকশিয়াল

মাহবুব লীলেন এর ছবি

প্রতিদিন একটা করে উকুন বাছা দিন এর ১৪টি গল্পই দিয়ে দেবো
আজ দেবো ৪ নম্বরটা
ঘুণ পোকা

অনিন্দিতা এর ছবি

(তা আপনি আবার সেই দলের কেউ না তো?)

আমি আসলে সেই দলের যাদের লেখার মুরোদ নেই কিন্তু পরের লেখার উপর দিব্যি যা খুশি মন্তব্য করে ফেলে।
তাই বলে আতেঁল ? এত বড় বদনাম না হয় নাই দিলেন। আপনার লেখার উপর দুয়েকটা মন্তব্য করে ফেলি বলে তো শত্রুতা করিনি।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

স্বাগত স্বাগত স্বাগত
আমি হচ্ছি সেই দলের লোক যাকে লোকজন মিসকল দিয়ে বলে_ একটু কলব্যাক করেন তো। কিছু আলাপ আছে
তারপর আমার টাকায় আমাকে আমার লেখা নিয়ে গালাগালি করে
আর সব শেষে আমি বলি ধন্যবাদ
(গালাগালি যারা করে তারা সাধারণত লেখাগুলো পড়ে। আর যারা প্রসংশা করে তারা পড়ে কি না আমার সন্দেহ আছে)

অনিন্দিতা এর ছবি

আপনার শেষের কথা বুঝলাম না।
যারা প্রশংসা করি তারা কি কারণে করি বলে মনে হয়?আপনার সন্দেহের কারনটা বুঝিয়ে বলা যায়?

তাপস শর্মা এর ছবি

লীলেন ভাই আমি গালাগালি করিনা ( মন্তব্য থেকে ) তবে পড়ি। এবং পড়ছি। দেঁতো হাসি

যাই হোক গল্প নিয়ে আর বিশেষ কি বলব, বাস্তবতাকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছেন এবং থেকে গেছে একটা শুকনো কাঠ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।