উকুন বাছা দিন। ০৫। নখর

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৬/০৩/২০০৮ - ৫:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নখর

নখই ধরে রাখে হিংসার ঘ্রাণ
নখই মানুষের পশুত্ব প্রমাণ

শীলংয়ের শীত সহ্য হয়নি তার গত শীতে। ঠান্ডার তাড়া খেয়ে নেমে এসেছিল নিচে। বনে বনে নিঃশব্দে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের সিলেটে। নিরাপদ ঠাঁই আর খাবারের টান তাকে শেষ পর্যন্ত প্রলুব্ধ করল চা-বাগানে ঢুকে পড়তে; জাতিতে হিংস্র। নাগেশ্বরী চিতা

ধরুন ওর নাম আদম

গত শেষ শীতের এক বিকেলে চরতে চরতে একটা গরু আর ফিরল না; পরে আধ-খাওয়া ধড় পাওয়া গেলো এক ঝোপের পাশে। আশেপাশে বড়ো বড়ো বিড়ালী পায়ের ছাপ

সারীঘাটের লোকেরাই প্রথম গলা-খাকারি দিলো- বাঘ নেমেছে। তারপর বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা। দু’একটা গরু মারা পড়ল বেকায়দায়। কিছু ছাগল নিখোঁজ হলো। কিছু নিঃসঙ্গ এবং নিশাচর রাতে-ভোরে-সন্ধ্যায় জ্বলজ্বলে চোখের সামনে ভয় পেল মাঝেমধ্যে। এছাড়া তার আর কোনো খোঁজ নেই। শুধু চিকনাগুলের দুটো চা-বাগানের লোকেরাই সচেতন হয়ে রইল তার অস্তিত্ব সম্পর্কে। অনেকেই দেখল তার চলাচল। টের পেল কেউ। আর কারো ক্ষতি হলো গবাদির

পুরো গরম কালটা প্রায় নীরবে কাটিয়ে দিলো আদম। তেমন উৎপাত নেই। মনে হয় বনেই সে ভালো খাইদাই জুটিয়ে নিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ। পরের শীত শুরুর আগেই অক্টোবরের মাঝামাঝি বিকেলে আদম ঘাড় মটকাল এক গরুর। ...কল্পনা- আলোচনা চলল আবার

আট-দশদিন কাটল ঢিমেতালে। একদিন ভোরে চা বাগানের আউট গার্ডেন থেকে পিয়ন খাতাপত্র নিয়ে আসছিল মেইন গার্ডেনে। হাঁটতে হাঁটতে মোড়ের কাছে আসতেই দেখে রাতে উদোম-চরা তিন-চারটি গরু ছুটছে ঊর্ধ্বশ্বাসে। কিছু না বুঝেই মোড় ঘুরল সে। এবং হতভম্ব। ...একটা ষাঁড়ের ঘাড়ে থাবা গেড়ে বসেছে আদম

এবার সরব হলো আশপাশের গ্রাম- ধরতে হবে। ধরতে হবে একে
গোষ্ঠীবান্ধা গ্রাম হেমু থেকে এলো ডাক- প্রত্যেক গ্রামের সবাই নিয়ে এসো বাঘধরা জাল

জাল বেরোলো মাত্র দু-একটি। কতকাল আগে পূর্বপুরুষেরা লড়েছে বাঘের সাথে। তারপর বাঘেদের ফেরারি করে ঝোপে-ঝাড়ে বনে-বাদাড়ে উঠে গেছে নকশি কাঁথার গৃহস্থালি। ...মাঝে মধ্যে শীতের অতিথির মতো দু-একজন আসে। দু’-একটি উৎপাত করে আবার ফিরে যায় আসাম আর মেঘালয়ের বনে

হেমুর বুড়ো মুরব্বি হুংকার দিয়ে উঠে- প্রত্যেক গ্রামেই থাকতে হবে বাঘধরা জাল; এ নিয়ম ঠিক করা বহু পুরুষ আগে। জাল নেই কেন তোমাদের গ্রামে?

জালহীন গ্রামের তরুণেরা হাত জোড় করে দাঁড়ায়- আমরাতো এসব নিয়ম জানি না জনাব। কিন্তু কী করতে হবে আমাদের দেখিয়ে দিন। আমাদের সাহস আর শক্তি কি পারে না জালের অভাব পূরণ করে দিতে?

এর মধ্যে খবর পাওয়া গেলো আদমকে দেখা গেছে লিচু বাগানে। ব্যাস। কয়টা জাল আর অসংখ্য তরুণ। এই নিয়ে ঘেরা হলো তাকে। যে অংশে জাল নেই সেই অংশে থাকল শতশত তরুণের সশস্ত্র পাহারা। কিন্তু আদম সেদিকেই পালাল। ...যখন হুংকার দিয়ে লাফ দিলো তখন তরুণেরা ছত্রভঙ্গ; কেউ পড়ে গেছে সটান- কেউ দিয়েছে ঝেড়ে দৌড়। আর কারোবা পেচ্ছাব-পায়খানা একাকার

আগের দিন থাকলে খুন হতো এইসব তরুণেরা। নিজের অংশ দিয়ে বাঘ পালানো মানে সাত খুন করা। কিন্তু সেই দিন এখন আর নেই। ছেলেরা শিখবেইবা কী?’ এই যুক্তিতে আবারও ক্ষমা পেল এইসব বেহদ্দ বেকুবের দল। ...আবার চলল আয়োজন। তোড়জোড়। জোগাড় হলো আরো জাল। এবং একদিন শোনা গেলো শিকারখা গ্রামে আছে আদম

এবার ঘের হলো পাকাপাকি। জালের বাইরে সশস্ত্র মানববন্ধনী করল সবক’টি গ্রাম। জালের একেকটি অংশ একেকটি গ্রামের নিয়ন্ত্রণে। দা-বল্লম-সড়কি-বর্শা-ট্যাঁটা-ঝাঁটা এমনকি মাছধরা কোচ পর্যন্ত। যারা তাও পারেনি তারা নিয়ে এসেছে বাঁশের মাথা চোখা করে; যেই জালে ঝাঁপ দেবে বাঘ; ওরা ঘাই দেবে সাধ্যমতো

ঘেরাও আর জালের ভেতরে পড়েছিল বেশ কিছু ঘর। সংক্ষিপ্ত নোটিশে উঠানো হলো সব। হান্ডি-বাসন ছেলেপুলে নিয়ে ওরা এসে দাঁড়াল জালের বাইরে। এটাও পূর্বপুরুষের শিখিয়ে দেয়া নিয়ম। ...শুরু হলো জালের আয়তন কমানো। সাথে সাথে কিছু সাহসী তরুণ হাতে দা-কুড়াল আর আগুন নিয়ে ঢুকল জালের ভেতরে। ঝোপঝাড় কমাতে হবে। খোলা মাঠে আনতে হবে তাকে। তারপর উপুস রেখে হবে খেলা; লোহার শিক আগুনে তেতে দেয়া হবে ছ্যাঁকা

ঘরবাড়ি যেগুলো পড়েছিল জালের ভেতরে; ভেঙে পোড়ানো হলো সব। কারো আপত্তি করার কিছু নেই। যুগ যুগ ধরে বাঘ-গড় আইনে চলে এসেছে এই নিয়ম। ...বনের একপাশে আগুন জ্বলে উঠলে আদমকে দেখা গেলো অন্য ঝোপে ঢুকতে। সাথে সাথেই- ঐযে... ঐতো... চিৎকারে চাপা পড়ে গেলো আগুনের দাউ দাউ

ঝোপঝাড় কমানো হলো আরো। ছোট হলো আয়তন। সবাই অপলক দাঁড়িয়ে অপেক্ষায়। যে দিকেই যেতে চাক না কেন ঠেকাবে ওরা। যদি বেরিয়ে যায় কারো দিকে তবে ঝাঁকঝাঁক চকচকে অস্ত্র এফোঁড়-ওফোঁড় করে দেবে এই অংশের সবগুলো মানুষকে। বাঘ-গড়ের এই পুরনো নিয়ম মানতে রাজি হয়েছে এবার সবগুলো গ্রাম। তাই এবার আরো বেশি সতর্ক সবাই

তিন দিন কেটে গেছে। পালা করে সারাদিন সারারাত চলছে পাহারা। মশালের আগুন- ঢোলের আওয়াজে গ্রামটাই হয়ে উঠেছে একটা জাহাজের ঘাট। ...খিদায় অবসন্ন আদম কয়েকবার চেয়েছে বাইরে যেতে। কিন্তু আগুনে তাতানো লোহার ছোবলে ফিরতে হয়েছে তাকে আবার। ফোঁটা ফোঁটা রক্ত ঝরেছে মাঠে। আদম আবার নিজেকে আড়াল করেছে যেটুকু ঝোপ বাকি রয়েছে তার ভেতর...

জালের আয়তন আরো ছোট হয়। আরো অনেকদূর পুড়ে যায় বন। আরো রক্ত ঝরে আদমের শরীর থেকে। সব শেষে মাত্র বিঘা খানেকে নেমে আসে জাল। মাত্র একটা ঝোপই অবশিষ্ট থাকে একটা আম গাছকে ঘিরে আদমের আশ্রয় হয়ে

জালের বাইরে এখন তাণ্ডব তছনছ ধুলোময় ভূমি। ঝোপঝাড় কেটে- আগুনে পুড়িয়ে- পায়ে দলে পুরো বনের প্রান্তর- গৃহস্থালির আঙিনা এখন মাঠ। খেলার মাঠ। পায়ে দলা রাস্তার মতো একটু ঘাসের সবুজ চিহ্নও নেই কোথাও। শুধু ঘাস ওই জালের ভেতরে সামান্য। বাকি সব কেয়ামত কারবালা

ভেতরের ঝোপ কাটতে যায়নি কেউ। অতটুকু সাহস হয়নি কারো। মশাল ছুঁড়েছে কেউ কেউ ভেতরে। কিন্তু সবুজ প্রকৃতি তার নিজস্ব নিয়মে নিভিয়ে দিয়েছে সেই আগুন। ...ওইটুকু ঝোপ আর আম গাছ। শেষমেশ আশ্রয় হয়ে আগলে রেখেছে তাকে

সব মিলে কেটে যায় পুরো সাত দিন। অনাহার ও আঘাতে নুয়ে আসে আদমের দেহ। আদম তাকায় আশেপাশে। আম গাছের গোড়ায় মুখ গুঁজে আদম ভাবে এখন আর কেউ দেখছে না তাকে। কিন্তু উড়ে আসা অব্যর্থ ঢিল বারবার জানিয়ে দেয় সে এখন দাঁড়িয়ে আছে খোলা এক মাঠে। সে এখন আটকে আছে মানুষের ভেতর

আদম তার দেহ চাটে... ক্ষত চাটে... থাবা চাটে...কী যেন কী ভাবে আদম। সাত দিনের উপুস... সাত দিনের ঢিল... সাত দিনের আঘাত। ...হঠাৎ ক্ষত বিক্ষত দেহ টানটান করে ঝেড়ে দেয় দৌড়। ঝাঁপিয়ে পড়ে পশ্চিমের জালে। গোলপোস্টের জালের মতো জাল তাকে নিয়ে অনেক দূর যায়। আর তাকে ফিরিয়ে আনে বর্শা- বল্লম- কোচ- ট্যাঁটা- ঝাঁটা

দেহ টেনে তুলে ঘোরে আদম। এবার উল্টো দিকে। তারপর ডানে। এবং বামে। বারবার ফিরে আসে। বারবার ঝরে নতুন কিছু রক্ত। আদম পিঠ স্পর্শ করে মাটি। ...পিঠ মাটিতে লাগিয়ে পড়ে যায় বিড়ালের বংশধর

ঘন লাল হয়ে ওঠে ঘাস। আদমের ঠোঁট-চোখ-নাক-মুখ। কাৎ হয়ে বসে হাতের থাবা চাটে বাঘ। হাতের থাবা চাটে আদম। রক্ত ঝরে মাঠে। মাটি ভিজে ওঠে লাল-কালো জলে। দাঁতে- নখে- ক্ষিপ্রতায় অনন্য চিতা। হিংস্র চিতা। চিতা বাঘ; খোলা মাঠে বসে মানুষের দিকে তাকায়। করুণ কণ্ঠে আকাশে তাকিয়ে ডাকে বাঘ। শরীর কাঁপিয়ে কোঁকায় বাঘ। ব্যথায় গোঙায় বাঘ। বাঘ কাঁদে। মানুষের দিকে তাকিয়ে কাঁদে নাগেশ্বরী চিতা

জাল আরো ছোট হয়। ঝোপ আর আম গাছ চলে যায় জালের বাইরে। লুকাবার আড়াল চায় আদম। পালাবার পথ খোঁজে আদম। দেহ টেনে হিঁচড়ে হাঁটে আদম। হাঁটে বাঘ। এমন সময় হঠাৎ কার যেন ধারালো বর্শা বুকের একপাশে গেঁথে যায় তার। মাটিতে পড়ে ছটফট করে বাঘ। আর তখনি ভেসে আসে হুংকার- কে মেরেছে এই মোক্ষম আঘাত? কার এমন পাটা বুকে? ধরে আনো তাকে
- কেন কেন কেন?

হট্টগোল ও কোলাহল থেকে আবিষ্কৃত হয় আদিপুরুষের আরেকটি আইন- এক আঘাতে বাঘ মারার অধিকার নেই কারো। বাঘ মারতে হয় খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে। আস্তে আস্তে

কিছু লোক ব্যস্ত হয়ে ওঠে বাঘের শুশ্রুষায়। বাঁশের চোঙ দিয়ে পানি ঢালা হয় মুখে। সময় যায়। ঘণ্টা যায়। প্রাণ আবার ফিরে আসে দেহে। একটু নড়েচড়ে আদম। হয়তোবা একটু মাথা তোলে আদম। আর সাথে সাথেই খুশি হয়ে উঠে মানুষের মুখ। সক্রিয় হয়ে উঠে প্রতিটি অস্ত্র আবার। প্রতিটি অস্ত্র আবার ঝলকানি দিয়ে ওঠে বিকেলের রোদে

এরপর আর কোনো তারপর নেই। আদম দাঁড়াতে পারেনি আর। সমস্ত জাল সরিয়ে নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়ানো মানুষ তার ফুসফুসের একেকটি শ্বাস-প্রশ্বাসকে একেকটি আক্রমণ ভেবে প্রতি-আক্রমণ করেছে পছন্দ মতো স্থানে। আধহাত জিব বের হয়ে আসা আদমের দেহ শক্ত না হয়ে উঠা পর্যন্ত তাকে মৃত বলে স্বীকার করে না কেউ। আর মৃত বলে স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত তাকে গ্রহণ করতে হয় প্রতিটি মানুষের উল্লাস আর বিচিত্র আঘাত

জনতা যখন মৃত আদমের টিকা টিকা চামড়ায় নিজেদের আঘাতের দাগ আবিষ্কার করতে ব্যস্ত তখন জংলি আদম তার মৃত চোখ দুটো বড়ো বড়ো করে জীবনে প্রথমবারের মতো একেবারে কাছে দেখছে সুসভ্য মানুষ
১৯৯২.১১.০১ রোববার

উকুন বাছা দিন

প্রকাশক- শুদ্ধস্বর। প্রচ্ছদ- শিশির ভট্টাচার্য্য। ২০০৫

............................................

উকুন বাছা দিন। ০১। ফসিল
উকুন বাছা দিন। ০২। মাকড়া
উকুন বাছা দিন। ০৩। টিকটিকি
উকুন বাছা দিন। ০৪। ঘুণপোকা
উকুন বাছা দিন। ০৫। নখর
উকুন বাছা দিন। ০৬। সমাবর্তন
উকুন বাছা দিন। ০৭। বংশ
উকুন বাছা দিন। ০৮। নির্বাণ
উকুন বাছা দিন। ০৯। অশোক বন
উকুন বাছা দিন। ১০। রাজসাক্ষী
উকুন বাছা দিন। ১১। অতল
উকুন বাছা দিন। ১২। উদ্বাস্তু
উকুন বাছা দিন। ১৩। অনির্ধারিত
উকুন বাছা দিন। ১৪। অপারেশন ক্লিন হার্ট
উকুন বাছা দিন। ১৫। ফিনিক্স
উকুন বাছা দিন। ১৬। জন্মান্তর


মন্তব্য

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

এবারে কান্না পেল সত্যিই।

এটা কি লেখার গুণে, নাকি বিষয়ের গুণে বুঝলাম না। কারণ ২টাই অসাধারণ!

জয় মানব সভ্যতার! জয়! কোটি মানুষের জয়!

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

মাহবুব লীলেন এর ছবি

জয় মানব সভ্যতার! জয়! কোটি মানুষের জয়!

জয় এমন পাঠকের

অতিথি লেখক এর ছবি

নখই ধরে রাখে হিংসার ঘ্রাণ
নখই মানুষের পশুত্ব প্রমাণ

একমাত্র মানুষই শিল্পিতভাবে হিংস্রতা করতে জানে

- ক্যামেলিয়া আলম

শেখ জলিল এর ছবি

এবারে পড়লাম টিকটিকি, ঘূণপোকা আর নখর।
..আমার যাচ্ছে বেশ ভালোলাগা গল্প পাঠের দিন। আর তার লেখক মাহবুব লীলেন।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

গল্পটা ভালো লাগলো। 'উকুন বাছা দিন'-এর আগে পোস্ট করা গল্পগুলিও পড়েছি। মন্তব্য করা হয়নি। ওই গল্পগুলির পরিবেশ বা চরিত্র আমার খুবই অপরিচিত লেগেছে, ঠিক রিলেট করে উঠতে পারিনি। তার দায় লেখক হিসেবে আপনার ওপর বর্তায় না। পাঠক হিসেবে আমার ঘাটতি স্বীকার করতে লজ্জা নেই।

আপনার গদ্য পেশীবহুল ও সাবলীল। দুটি গুণ একত্রে খুব বেশি দেখি না।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

জাহিদ হোসেন এর ছবি

ব্রাভো! মারহাবা! দুর্দান্ত!
যেমন থীম, তেমনি বর্ণনা! চিতাটির মত রীতিমত খেলিয়ে খেলিয়ে আমাদেরকেও আপনার লেখার জালে আটকালেন।
আবারো বলছি, অনেকদিন এত ভাল গল্প পড়িনি।
নিজের লেখাগুলোকে এখন জন্জাল বলে মনে হচ্ছে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভয়াবহ! দুর্দান্ত! লীলেনদা, লাল সালাম!

- খেকশিয়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

ভিন্নধর্মী অসাধারণ সব গল্প তৈরী করার আশ্চর্য শক্তি আপনার! আমি মুগ্ধ পাঠক।

- শামীম হক

মাহবুব লীলেন এর ছবি

কেউ গল্পের প্রসংশা করলে আমার কষ্ট বেড়ে যায়
কবিতার জন্য মনটা কান্দে
আহারে আমার সেই অচল মাল
কেউ পাতে তোলে না

তবে সবাইকে ধন্যবাদ

অনিন্দিতা এর ছবি

পারেন ও আপনি। কোথাকার কোন চিতার জন্য মনটা খারাপ করিয়ে দিলেন?অথচ আমরা ই সময়ে সময়ে এত হিংস্র !
মানুষের মাঝে ভালবাসা/মমতা আর হিংস্রতার কি অদ্ভুত সহাবস্থান !

মাহবুব লীলেন এর ছবি

যার মন আছে তারই মন খারাপ হয়
যার নেই তার ওসব নিয়ে ভাবনাও নেই
আমার কাজ ফেরিওয়ালাগিরি
যেখানে যা পাই তুলে এনে বলি- দেখেন তো চলে কি না?

অনিন্দিতা এর ছবি

তা গল্পের ফেরিওয়ালার মন নেই বুঝি?
সব দোষ আমার মতপাঠকের?
আপনি কি হিংসুক মশাই!আপনার মত লেখকরা মন খারাপ করার মত কিছু ঘটলেই নির্দ্বিধায় লেখার সম্মোহনী শক্তি দিযে পাঠকের কাছে মন খারাপের বিষযটা চালান করে দেন। আর আমার মত অসহায় পাঠকরা লেখার জালে আটকে পড়ে পড়তে বাধ্য হয় আর মন খারাপ করে।
আসল সমস্যা তো আপনাদের। আপনাদের মন খারাপ না হলে আমরা পাঠকরাও বেচেঁ যাই।
তবে লেখা যথারীতি দুর্দান্ত!

মাহবুব লীলেন এর ছবি

অত প্রসংশা করলে তো বিপদ
ফুলে ফেপে কোনদিন না বলে বসি মুই কী হনুরে........

অনিন্দিতা এর ছবি

ইহা প্রশংসা নহে, সমালোচনা।
আপনি প্রশংসা কি উল্টো করে লিখেন (প্রসংশা)?

তাপস শর্মা এর ছবি

স্তব্ধ হয়ে গেলাম। চলুক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।