Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

ইতিহাস পুনর্পাঠ

বিক্রমপুরের ভূঁইয়া

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: মঙ্গল, ২৭/০২/২০১৮ - ৪:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]ইতিহাস গবেষণায় যে সব বড় বাধা আছে তার মধ্যে তথ্যের অপ্রতুলতা ও বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের অসঙ্গতি অন্যতম। এই দুটোর কারণে চাইলেও একটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে গুছানো রচনা কঠিন হয়ে পড়ে। এর বাইরে সম্ভাব্য আকরের নাগাল না পাওয়া মনোবেদনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবু একটি প্রচেষ্টা থেকে যা কিছু পাওয়া যায় তা একত্রে প্রকাশ করে রাখলে ভবিষ্যতে কোন গবেষক একই বিষয়ে আগ্রহী হলে তার জন্য পরিশ্রম কিছুটা লাঘব হয়।


সুলতানা নন্‌, সুলতান!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: শনি, ০৫/০৭/২০১৪ - ১১:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ থেকে প্রায় আটশ’ বছর আগে কথা ভাবা যাক। তখন ইউরোপ-এশিয়া একের পর এক ক্রুসেডে লিপ্ত, আব্বাসীয় খিলাফাত আর খাওয়ারিজমশাহীর সূর্য অস্তাচলে যাচ্ছে, মঙ্গোলরা প্রবল বিক্রমে এশিয়া আর পূর্ব ইউরোপ তছনছ করছে, ব্রিটেনে সবে ম্যাগনা কার্টা স্বাক্ষরিত হয়েছে, আজটেক আর ইন্‌কারা দোর্দণ্ড প্রতাপে রাজত্ব চালাচ্ছে, কলম্বাসের আমেরিকায় পদার্পণ করতে আরো আড়াইশ’ বছর বাকি, উইলিয়াম ইয়ানযুনেরও অস্ট্রেলিয়ায় পদার্পণ করতে আরো চারশ’ বছর বাকি, এশিয়া-আফ্রিকা-আমেরিকায় ইউরোপিয় দেশগুলোর উপনিবেশ স্থাপন, রেনেসাঁ, শিল্প বিপ্লবের মতো বিষয়গুলো চিন্তার বাইরে, তখন ত্রয়োদশ শতকের প্রথম ভাগে দক্ষিণ ভারতে যখন চেরা সাম্রাজ্যের অবসান হয়ে চোলা, চালুক্য আর পাণ্ডেদের মধ্যে সাম্রাজ্য বিস্তারের লড়াই চলছে। আর উত্তর ও পূর্ব ভারতে মুয়িজ উদ্‌ দৌলাহ্‌ আদ্‌ দীন মুহাম্মাদ ওরফে মুহাম্মাদ ঘোরীর রাজত্ব চলছে।


ইতিহাস পুনর্পাঠ (১৪)

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: রবি, ০৯/১২/২০১২ - ৩:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৪.

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত ও ভারতের জনগণ ছাড়াও অন্য আরো অনেক দেশের অনেক মহৎহৃদয় মানুষ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। এই বৎসর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অমন অন্তত ৫৬৮ বিদেশী বন্ধুকে চিহ্নিত করতে পেরেছে। ঐসব বিদেশী বন্ধুদের মধ্যে ৩৯ জন ব্রিটিশ নাগরিক। যাদের মধ্যে আমাদের পরিচিত জন স্টোনহাউজ, পিটার ডেভিড শো’র, জর্জ হ্যারিসন বা সায়মন ড্রিং আছেন। আজকে এমন একজন ব্রিটিশ নাগরিকের কথা জানবো যার ভূমিকা ১৯৭১ সালে ঐসব মহৎহৃদয় ব্রিটিশদের উল্টো রকমের ছিল।


তুলু রানি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: সোম, ১৯/১১/২০১২ - ৩:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাম্প্রতিককালের ভারতীয় চলচ্চিত্র ‘সিংঘম’-এর হিন্দী ভারসান যারা দেখেছেন তারা হয়তো লক্ষ করে থাকবেন সেখানে একবার পুলিশের হাতে অপরাধীচক্রের এক সদস্য ধরা পরে। ইন্টারোগেশনে ঐ অপরাধী তার মাতৃভাষায় যা কিছু বলে তার কিছুই পুলিশ অফিসাররা বুঝতে পারেন না। তখন এক কনস্টেবল এগিয়ে এসে বলেন যে, ভাষাটা ‘তুলু’ এবং তিনি এই ভাষাটা জানেন। এই ভাষাটার নাম আগে কখনো শুনিনি। ভারত বহু ভাষার দেশ, সেখানে ‘তুলু’ নামে একটা ভাষা থাকতেই পারে। কিন্তু কোন জায়গার মানুষ এই ভাষায় কথা বলে? এই ব্যাপারে একটু আগ্রহী হয়ে খোঁজ নিতে দেখি সে এক বিরাট কারবার!


ইতিহাস পুনর্পাঠ (১৩)

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: শনি, ২৪/১২/২০১১ - ৫:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৩.

ভারতের ইতিহাসে মুঘল আমলকে সাধারণত নিরবচ্ছিন্নভাবে ১৫২৬ খ্রীষ্টাব্দ থেকে ১৭৬৪ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত দেখানো হলেও বাস্তবে সেটা নিরবচ্ছিন্ন ছিল না। ১৫৪০ খ্রীষ্টাব্দে শের শাহ্‌ সূরীর কাছে হুমায়ুনের পরাজয়ের পর থেকে ভারতের উত্তর আর পূর্বে আফগানদের শাসন বিস্তৃত ও সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। শের শাহ সূরীর প্রতিষ্ঠিত সূরী রাজবংশ স্পষ্টতই ১৫৪৫ খ্রীষ্টাব্দ থেকে ১৫৫৪ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা শাসন করেছে। ১৫৫৫ খ্রীষ্টাব্দে হুমায়ুন সূরীদের কাছ থেকে সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধার করলেও ১৫৫৬ খ্রীষ্টাব্দে দ্বিতীয় পানিপথের যুদ্ধে আকবর ও বৈরাম খাঁর কাছে আদিল শাহ্‌ সূরী ও সম্রাট হেমচন্দ্র বিক্রমাদিত্যের পরাজয়ের আগ পর্যন্ত দিল্লী মুঘলদের কব্জার বাইরে ছিল। এমনকি আকবরের শাসনামলের শুরুর দিকেও পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা মুঘলদের কব্জার বাইরে ছিল। পূর্ব ভারতের অনেক শাসক মুঘলদের কাছ থেকে নামে মাত্র দেওয়ানী নিয়ে বস্তুত স্বাধীনভাবে রাজ্য শাসন করেছেন। তাদের কেউ কেউ এমনকি মুঘল আধিপত্যের বিরুদ্ধে রুখেও দাঁড়িয়েছেন; এবং গোটা দক্ষিণ ভারতের খুব কম অংশ কখনো মুঘলদের সরাসরি আওতাধীন ছিল।


ইতিহাস পুনর্পাঠ (১১ - ১২)

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: শুক্র, ০৪/১১/২০১১ - ১১:০৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]১১.
আমাদের ইতিহাসের বই বলে, পাল রাজ বংশ ৭৫০ খ্রীষ্টাব্দ (গোপাল) থেকে ১১৬১ খ্রীষ্টাব্দ (মদনপাল) পর্যন্ত চারশ’ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা শাসন করেছে। আবার একই বই বলছে, সেন রাজ বংশ ১০৭০ খ্রীষ্টাব্দ (হেমন্তসেন) থেকে ১২৩০ খ্রীষ্টাব্দ (কেশবসেন) পর্যন্ত বাংলা শাসন করেছে। তার মানে, পাল রাজত্বের শেষ ৯২ বছরে তাদের সাথে সেন রাজাদের রাজত্বও বাংলায় ছিলো। একটু গোলমাল হয়ে গেলো না? আসুন, আরেকটু গোলমাল বাঁধানো যাক।


ইতিহাস পুনর্পাঠ (৯ - ১০)

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৭/১০/২০১১ - ৫:৩৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]৯.


ইতিহাস পুনর্পাঠ (১ - ৮)

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: মঙ্গল, ১৪/০৬/২০১১ - ২:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.

নাজাফি বংশের প্রতিষ্ঠাতা গাদ্দার-ই-আবরার নওয়াব মীর জাফর আলী খানকে বাংলার মানুষ “মীরজাফর” নামে চেনেন। এ’দেশে কাউকে “মীরজাফর” বলা হলে তাকে আসলে কী বলা হলো তার আর কোনো ব্যাখ্যা দেবার দরকার হয় না। নাজাফি বংশের শেষ নওয়াবের নাম মনসুর আলী খান। মনসুর আলী খানের ছেলে সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ ফতেহ্‌ আলী মির্জা’র বড় ছেলের নাম ইস্কান্দার আলী মির্জা - সংক্ষেপে ইস্কান্দার মির্জা। মুর্শিদাবাদে জন্মানো এই নবাবপুত্তুর ছিলেন পাকিস্তানের সর্বশেষ বড়লাট (গভর্নর জেনারেল) আর প্রথম প্রেসিডেন্ট। পাকিস্তানে প্রথম সামরিক শাসন জারীর কৃতিত্বও এই হুজুরের। সামরিক শাসন জারীর বিশ দিনের মাথায় উনাকে ক্ষমতা আর দেশ দুইটাই ছাড়তে হয়। গাদ্দারদের প্রথম পুরুষ যেমন চতুর্দশ পুরুষও তেমনই তার নিজের দেশ-জাতির বারোটা বাজিয়ে গেছে, কিন্তু বেশি দিন ক্ষমতা ভোগ করতে পারেনি।