Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গ্রীক মিথলজি

গ্রীক মিথলজি ২৯ (এপোলোর গল্পকথাঃ ক্যাসান্ড্রা- গ্রীক পুরাণের এক বিয়োগান্তক চরিত্র)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৯/০৩/২০১৪ - ১:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ক্যাসান্ড্রা- গ্রীক মিথলজির এক বিয়োগান্তক চরিত্র। তিনি ছিলেন ট্রয়ের রাজা প্রায়াম এবং রানী হেকুবার কন্যা। ছিলেন অসম্ভব সুন্দরী আর বলতে পারতেন ভবিষ্যতের কথাও। কিন্তু দুর্ভাগ্যটা ছিলো- তার ভবিষ্যতবাণী কেউ বিশ্বাস করতেন না! কিভাবে তিনি ভবিষ্যৎ বলার ক্ষমতা পেয়েছিলেন আর কেনোইবা তার কথা কেউ বিশ্বাস করতেন না- সেটার পিছনের কারণ ছিলেন দেবতা এপোলো।


গ্রীক মিথলজি ২৮ (এপোলোর গল্পকথা- ডাফনি এবং মারপেসসার ভালোবাসা)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৬/০৩/২০১৪ - ২:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“দেবতার এই কথার পরে আমি আর কি চাইতে পারি? আর কিইবা দেবার জন্য তোমাকে প্রতিশ্রুতি দিতে পারি? তবুও এটি যেহেতু প্রবল ভালোবাসার নারীর ব্যাপার, একেবারে চুপ থাকার চেয়ে কিছু কথা বলাই যেতে পারে। আমি তোমাকে ভালোবাসি- শুধুমাত্র তোমার শরীরে পৃথিবীর সব মিষ্ট গন্ধের ঘ্রাণ পাই বলে নয়, যাতে মনে হয় রক্তবসনা ঘড়া থেকে গ্লাসে শরাব নিয়ে উদ্বেলভাবে পান করছি। কিংবা এই জন্য নয় যে, তোমাকে দেবতা প্রেমিক তন্দ্রাচ্ছন্নের মতো ঘিরে আছে, অথবা তোমার মোহনীয় কেশরাজির জন্যও নয়। আমি তোমাকে ভালোবাসি- তোমার সেই চন্দ্রমুখের জন্য নয়, যে চন্দ্রমুখের জন্য আমি কোনো শহরও আক্রমণ করে বসতে পারি, কিংবা যা দেখে আমি এক অদ্ভুত তন্দ্রায় আবিষ্ট হয়ে পড়ি। আমি তোমাকে ভালোবাসি- তোমার সেই অসাধারণ সুমিষ্ট কন্ঠের জন্য নয়, যেটা শুনে আমি মাতাল হাওয়ায় উদ্বেলিত হয়ে পড়ি, গভীর সাগরের অতলে তলিয়ে যেতে পারি। কারণ আমি জানি –তোমার এই মিষ্ট গন্ধের শরীর, মোহনীয় কেশরাজি, চন্দ্রমুখ কিংবা সুমিষ্ট কন্ঠ- কিছুই আজীবন থাকবে না, এক সময় তা ক্ষয়ে যাবে, নষ্ট হয়ে যাবে এই নশ্বর পৃথিবীর মতোই। তবুও আমি তোমাকে ভালোবাসি- সেই দিনের জন্য, যেদিন তোমার পাশে তোমার হাত ধরে চুপ করে বসে থেকে নিজেকে আর তোমাকে অনুভব করতে পারবো, বুঝতে পারবো ভালোবাসা মানে শুধু শরীর নয়, ভালোবাসা মানে শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্য্য নয়, ভালোবাসা মানে দুটি মনের, দুটি আত্মার আত্মিক মিলন!”


গ্রীক মিথলজি ২৭ (এপোলোর গল্পকথাঃ আমাদের রাজার গাধার কানের সোনালী স্পর্শ)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৭/১১/২০১৩ - ৭:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মারসায়াসের সাথে সুরের প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে এপোলো তাকে কঠোর শাস্তি দিয়েছিলেন। কিন্তু দেবতা প্যানের সাথে ভিন্ন আচরণ করলেন। হয়তো দেবতা বলেই প্যানকে মারসায়াসের ভাগ্য বরণ করতে হয়নি!


গ্রীক মিথলজি ২৬ (এপোলোর গল্পকথাঃ মোর বীণা বাজে.........)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২১/১১/২০১৩ - ১০:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এপোলো প্রথম দিকে সুরস্রষ্টা হিসেবে পরিচিত ছিলেন না। ছিলো না তার কাছে লায়ার বা বীণা। সঙ্গীতের দেবতা হিসেবে এপোলোর গল্পের আগে ঘুরে আসতে হবে অলিম্পিয়ান দেবতাদের মধ্যে সবচেয়ে চতুর হার্মিসের এক কাহিনীতে।

হার্মিস ছিলেন জিউস এবং মাইয়ার (সবচেয়ে বড় প্লেয়াডেস) সন্তান। হার্মিস মায়ের সাথেই পাহাড়ের গুহায় বাস করতেন। একদিন, হার্মিস সবে হাঁটতে শিখেছেন, সূর্যের আলোয় গুহার সামনে খেলা করছিলেন, হঠাৎ করেই দেখতে পেলেন ঘাসের উপর পড়ে আছে একটি কচ্ছপের শক্ত খোলস। তিনি জিনিসটি দেখে খুব মজা পেলেন এবং গুহায় নিয়ে আসলেন। এরপর খোলসটির প্রান্ত ধরে ফুটো করতে লাগলেন, ভিতরের দিকে ফাঁপা নলখাগড়ার মতো বানিয়ে ফেললেন, চামড়া ও রজ্জু দিয়ে তৈরী করলেন লায়ার, এক বীণা। এভাবেই তৈরী হলো বিশ্বের প্রথম বীণা, যার ভিতর লুকিয়ে আছে অসাধারণ এক সুর।


গ্রীক মিথলজি ২৫ (এপোলোর গল্পকথাঃ এক মহান সুরস্রষ্টার ডেলফির মন্দির)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১২/১১/২০১৩ - ৫:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“দেবতাদের মধ্যে সবচেয়ে গ্রীক”- বলা হয়ে থাকে যে দেবতাকে, গ্রীকরা সম্ভবত সবচেয়ে বেশি এবং অকৃত্রিমভাবে ভক্তি শ্রদ্ধা করতো সেই দেবতাকেই- ফিবাস এপোলো, যিনি এক সুদর্শন দেবতা, মহান সুরস্রষ্টা – সোনালী বীণা বাজিয়ে মাতিয়ে তুলতেন অলিম্পাস পর্বত। তিনি ছিলেন রূপালী ধনুকের প্রভু, ধনুর্বিদ্যার দেবতা, সুনিপুণ তীরন্দাজ, নিরাময়ের দেবতা – মানুষকে যিনি শিখিয়েছিলেন নিরাময়বিদ্যা। এইসব চমৎকার বিদ্যার অধিকারী হওয়া ছাড়াও তিনি ছিলেন আলোর দেবতা, সত্যের দেবতা।


গ্রীক মিথলজি ২৪ (আর্টেমিসের গল্পকথাঃ অরিয়ন)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ০৯/১১/২০১৩ - ১:৪৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মানব, শক্তিশালী শিকারী ছিলেন অরিয়ন। অরিয়নকে নারীরা যেমন ভালোবাসতো, ঠিক তেমনি তার সুন্দর ব্যবহার এবং মনের জন্য পুরুষরাও ভালোবাসতো। অরিয়নকে নারীরা ভালোবাসতো, যেমন তারা ভালোবাসে তাদের ভাইকে। পুরুষরা ভালোবাসতো, যেমন ভালোবাসে তাদের প্রেমিকাকে। এমনকি দেব-দেবীরাও তাকে লক্ষ্য করেছিলেন, এবং তার সাহচর্য উপভোগ করতেন। কিন্তু এই সৌভাগ্যই তাকে দ্রুত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়, ঠেলে দেয় কিংবদন্তীতুল্য নিয়তির দিকে, ঠিক যেভাবে বীরদের পরিণতি ঘটে।


গ্রীক মিথলজি ২৩ (আর্টেমিসের গল্পকথা- এলোয়াডি, আলফিউস ও আরেথুসা এবং ক্যালিষ্টোর কাহিনী)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ৩১/১০/২০১৩ - ৪:৩২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

.......... আর্টেমিস শুনলেন তার প্রার্থনা। আরেথুসাকে রুপান্তরিত করলেন এক জলের ঝর্নায়। জায়গাটা ছিলো সিসিলির সবচেয়ে বড় শহর সিরাকুজের একটি অংশ, অর্টিজিয়া দ্বীপ সেটা। সেই ঝর্না ধরনীর বুকে প্রবাহিত হলো টানেল হিসেবে। কিন্তু এতেও শেষ রক্ষা হলো না আরেথুসার। মিথে আছে দেবতা আলফিউসও একটি নদীতে রুপান্তরিত হয়ে ঐ টানেলে প্রবেশ করেন। নদীর জলের সাথে মিলে মিশে থাকলো ঝর্নার জল! ..........


গ্রীক মিথলজি ২২ (আর্টেমিসের গল্পকথাঃ একটাওনের মন্দভাগ্য)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৩/১০/২০১৩ - ২:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"যে কেউ আত্মার দিক দিয়ে পবিত্র পুরোপুরি
সেই তুলতে পারে পত্রালি, পুষ্প এবং ফলের সম্ভার।
অসতী যে, সে কখনও নয়"।
-দেবী আর্টেমিসের ক্ষেত্রে কতটুকু সঠিক এটি?


গ্রীক মিথলজি ২১ (লেটোঃ এপোলো এবং আর্টেমিসের মায়ের কাহিনী)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৫/১০/২০১৩ - ৬:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা রইলো। ঈদ হয়ে উঠুক ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। আর ঈদের অবসরে সময় কাটাতে আপনাদের জন্য রইলো গ্রীক মিথলজির ২১তম পর্ব। এপোলো এবং আর্টেমিসের জন্মকাহিনী নিয়ে এই পর্ব।)


গ্রীক মিথলজি ২০ (আফ্রোদিতির গল্পকথা- লেমনসের নারী এবং অন্যান্য)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৬/১০/২০১৩ - ৬:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দেব-দেবীদের কাছ থেকে মানবেরা যেমন অনেক সাহায্য পেয়েছেন, আবার ঠিক তেমনি কোনো কোনো কারণে তাদের ক্রোধেরও শিকার হয়েছেন। দেবী আফ্রোদিতি প্রেমের আর ভালোবাসার দেবী হলেও, সবসময় মানুষকে ভালোবাসা বিলোতে পারেন নি। কখনো কখনো কেউ কেউ তার প্রতিহিংসা বা ক্রোধের শিকার হয়েছেন। যেমন হয়েছিলেন সাইপ্রাস দ্বীপের প্রোপেওটাসের সুন্দরী কন্যারা। তারা দেবী আফ্রোদিতির পুজা – অর্চনা বন্ধ করে দিলে দেবী তাদেরকে চকমকি পাথরে পরিণত করেছিলেন। কিন্তু একই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত লেমনস দ্বীপের নারীদের দিয়েছিলেন অন্যরকম এক অদ্ভুত শাস্তি।