গ্রীক মিথলজি ২৬ (এপোলোর গল্পকথাঃ মোর বীণা বাজে.........)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২১/১১/২০১৩ - ১০:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এপোলো প্রথম দিকে সুরস্রষ্টা হিসেবে পরিচিত ছিলেন না। ছিলো না তার কাছে লায়ার বা বীণা। সঙ্গীতের দেবতা হিসেবে এপোলোর গল্পের আগে ঘুরে আসতে হবে অলিম্পিয়ান দেবতাদের মধ্যে সবচেয়ে চতুর হার্মিসের এক কাহিনীতে।

হার্মিস ছিলেন জিউস এবং মাইয়ার (সবচেয়ে বড় প্লেয়াডেস) সন্তান। হার্মিস মায়ের সাথেই পাহাড়ের গুহায় বাস করতেন। একদিন, হার্মিস সবে হাঁটতে শিখেছেন, সূর্যের আলোয় গুহার সামনে খেলা করছিলেন, হঠাৎ করেই দেখতে পেলেন ঘাসের উপর পড়ে আছে একটি কচ্ছপের শক্ত খোলস। তিনি জিনিসটি দেখে খুব মজা পেলেন এবং গুহায় নিয়ে আসলেন। এরপর খোলসটির প্রান্ত ধরে ফুটো করতে লাগলেন, ভিতরের দিকে ফাঁপা নলখাগড়ার মতো বানিয়ে ফেললেন, চামড়া ও রজ্জু দিয়ে তৈরী করলেন লায়ার, এক বীণা। এভাবেই তৈরী হলো বিশ্বের প্রথম বীণা, যার ভিতর লুকিয়ে আছে অসাধারণ এক সুর।


কচ্ছপের খোলস থেকে তৈরী করা বীণার রেপ্লিকা

একরাতে যখন মাইয়া ঘুমিয়ে ছিলেন, হার্মিস চুপিসারে তার দোলনা থেকে নেমে চাঁদের আলোয় বেরিয়ে এলেন। তিনি দৌড়ে গেলেন এপোলোর চারণভূমির দিকে, যেখানে এপোলোর এক পাল সাদা গরু তখনো ঘুমাচ্ছিলো, সেখান থেকে সবচেয়ে সুন্দর পঞ্চাশটি বকনা বাছুর চুরি করলেন। এরপর তিনি তার স্যান্ডেলটি সাগরে ছুঁড়ে মারলেন, ঝাউগাছের শাখা দিয়ে পা ঢেকে ঘুর পথে হাঁটলেন, যাতে কেউ তাকে খুঁজে পেতে না পারেন, বুঝতে না পারেন যে, চোর হচ্ছে নরম স্যান্ডেলের অধিকারী হার্মিস! বাছুরগুলোকেও প্রথমে উল্টা পথে নিয়ে, শেষে এক গুহার কাছে নিয়ে যান। এভাবেই যাতে কারো কাছে ধরা না পড়েন, সে ব্যবস্থা করেন।

এতো কিছুর পরেও পথিমধ্যে এক বৃদ্ধ পশুপালক তাকে দেখে ফেলেন। সেই পশুপালক কাজ করছিলেন এক আঙ্গুর ক্ষেতে। তার মুখ বন্ধ রাখার জন্য হার্মিস বলে উঠেন, “তুমি যখন শস্য বোনার জন্য মাটি খুড়বে, তখন সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে মদ পাবে। অতএব, তুমি এখন যা দেখেছ, সেটা কিছুই দেখো নি! যদি কিছু দেখে না থাকো এবং মুখ না খোলো, তোমার কোনো ক্ষতিও হবে না”।


হার্মিস এপোলোর গরুর পাল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে

হার্মিস বকনা বাছুরগুলোকে গুহার পাশে নিয়ে রেখে, একটি পরিখা তৈরী করেন। পরিখাটি কাঠ দিয়ে পূর্ণ করে প্রথমেই দুটি বাছুরকে হত্যা করেন। বাছুর দুটির চামড়া ছালিয়ে পরিখার কাঠে আগুন জ্বালিয়ে পৃথিবীর প্রথম বারবিকিউ করে, খাওয়া শেষ করে, ভদ্র সুবোধ বালকের মতো নিজের দোলনায় গিয়ে শুয়ে পড়েন। এমনভাবে হার্মিস ঘুমিয়ে পড়েন, দেখে যেন মনে হয় সারারাত এভাবেই ঘুমিয়েছেন!

সকালবেলা এপোলো তার গরুর পালের মধ্যে পঞ্চাশটি বাছুর দেখতে না পেয়ে খুঁজতে বেরিয়ে পড়েন। পথে দেখা হয়, সেই পশুপালকের সাথে। প্রথমে পশুপালক কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানালেও, এপোলোর চাপে পড়ে চোরের বর্ণনা দেন। বর্ণনা শুনে এপোলো সহজেই বুঝতে পারলেন, চোর আর কেউ নয়, অতি পরিচিত একজন, তারই সৎ ভাই হার্মিস!

ক্ষুদ্ধ এপোলো সরাসরি মাইয়ার গুহায় গেলেন। সেখানে দেখলেন হার্মিস দোলনায় ঘুমিয়ে আছেন। হার্মিসকে জাগিয়ে তুলে বাছুরগুলোর কথা জিজ্ঞেস করলেন। হার্মিস এমনভাবে তাকালেন যেনো বাছুরের কথা এই প্রথম শুনলেন! তিনি দাবী করলেন, সারারাত তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন, বাছুর চুরির প্রশ্নই আসে না। এপোলো হার্মিসের কথা মোটেও বিশ্বাস করলেন না। তিনি হার্মিসকে টেনে হেঁচড়ে জিউসের সামনে হাজির করে বিচার দিলেন। হার্মিস নিজেকে নির্দোষ দাবী করলেও জিউস বুঝতে পারলেন, চুরিটা করেছেন হার্মিসই। তিনি হার্মিসকে নির্দেশ দিলেন বাছুরগুলো ফিরিয়ে দিতে। হঠাৎ করে হার্মিস তার তৈরী করা বীণাটি বাজানো শুরু করলেন। জিউস, এপোলোসহ উপস্থিত সব দেবতারা নির্বাক, নিশ্চুপ হয়ে শুনলেন বীণার অসাধারণ সুর। বীণা বাজানো শেষ করে হার্মিস এপোলোকে নিয়ে গুহার কাছে গেলে এপোলো আবিষ্কার করেন, দুটি বাছুর ইতোমধ্যে খাওয়া হয়ে গেছে। তাই তিনি পশুর পালটি হার্মিসকে দিয়ে দিলেন, কিন্তু বিনিময়ে হার্মিসের নিকট থেকে কচ্ছপের খোলস থেকে বানানো বীণাটি নিয়ে নিলেন। দুটি গরু খেয়ে ফেলার শাস্তি যেনো কম হয়, সেজন্যই বোধহয় হার্মিস বিচারের মাঝে হঠাৎ করেই বীণা বাজিয়েছিলেন!

হার্মিস এখন এক পাল গরুর রাখাল। গরুগুলোকে শৃংখলার মধ্যে রাখার জন্য এবার তৈরী করলেন রাখালের বাঁশি। এটিও এপোলোর খুব পছন্দ হলো। তিনি হার্মিসকে বললেন, “তুমি যে আমাকে দেওয়া বীণাটি আমার ধনুকসহ আবার চুরি করবে না, তার প্রমাণ কি? আমাকে তোমার রাখালের বাঁশিটিও দিতে হবে”। বড় ভাইয়ের অযৌক্তিক দাবীর কাছে অসহায় হার্মিস তার রাখালের বাঁশিটিও এপোলোকে দিয়ে দিলেন। এবার এপোলো খুব খুশি হলেন। তিনি নিজেও হার্মিসের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিলেন। তার সোনালী দন্ডটি, ক্যাডুসিয়াস যার নাম, দিয়ে দিলেন হার্মিসকে। আর এভাবেই স্থাপিত হলো দুই অলিম্পিয়ানের মধ্যে বন্ধুত্ব।


ক্যাডুসিয়াস (ক্যাডুসিয়াস নিয়ে অ্যাসক্লেপিয়াসের কাহিনীতে বিস্তারিত বলা হবে, এই প্রতীকের সাথে অনেকেই ডাক্তারদের প্রতীককে মিলিয়ে ফেলেন)

এবার একটু দেবী এথেনার এক আবিষ্কারের কাহিনীতে ঘুরে আসি, ভয় নেই, এর সাথে এপোলোর সম্পর্ক আছে!

জ্ঞানের দেবী এথেনা একবার আবিষ্কার করলেন দুই চোঙ্গাওয়ালা বাঁশি, যেটা তিনি তৈরী করেছিলেন পুরুষ হরিণের অস্থি দিয়ে। নিজের আবিষ্কারে মুগ্ধ এথেনা ঠিক করলেন, কোনো দেবতার ভোজসভায় তিনি এই বাঁশি বাজিয়ে সবাইকে শোনাবেন। যেই ভাবা, সেই কাজ। এক দেবতার দেওয়া ভোজসভায় এথেনা নিজের বাঁশি বাজিয়ে সুরে সবাইকে মোহিত করে ফেললেন। কিন্তু বাঁশি বাজানোর সময়, এথেনা লক্ষ্য করলেন, হেরা এবং আফ্রোদিতি তার দিকে তাকিয়ে হাসছিলেন। ক্ষুদ্ধ হয়ে তিনি চলে এলেন ফ্রিজিয়াতে, এক পুকুরের পাড়ে বসে বিরস মনে বাঁশি বাজাচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই পুকুরের পানিতে তিনি তার প্রতিবিম্ব দেখলেন, দেখলেন বাঁশিটি বাজানোর সময় তার গাল ফুলে যেতে থাকে। হেরা এবং আফ্রোদিতির উপহাসের কারণ বুঝতে পারলেন এথেনা। বিরক্ত হয়ে বাঁশিটি ছুঁড়ে ফেলে দিলেন, অবহেলায় পড়ে রইলো ফ্রিজিয়ার বনে।

মারসায়াস ছিলেন এক ফ্রিজিয়ান সাটায়্যার (যারা দেবতা প্যান এবং ডায়োনিসাসের অনুসারী এবং দেখতে অনেকটা ছাগলের মতো, যেমন- ছাগলের মতো লেজ এবং কান আছে)। মারসায়াস দেবী এথেনার ছুঁড়ে দেওয়া সেই বাঁশি বনে কুড়িয়ে পেয়ে বাজাতে লাগলেন। তিনি বাঁশিতে বিভিন্ন সুর তুলতে লাগলেন, নিজেকে একজন অভিজ্ঞ বংশীবাদক হিসেবে গড়ে তুললেন। বাঁশিতে তিনি এতো সুন্দর সুর তুলতেন, অন্যরা তন্ময় হয়ে শুনতেন। এক সময়ে মারসায়াসের সাথীরা বলাবলি করতে লাগলো, স্বয়ং এপোলোও এতো সুন্দর করে সুর বাজাতে পারবেন না। মারসায়াস এই গুঞ্জনে খুব একটা অখুশী হলেন না, বরঞ্চ তিনিও ভাবতে লাগলেন সেটাই। স্বভাবতই খবরটি এপোলো পর্যন্ত পৌছাল এবং নিজের সম্মান রক্ষার্থে এপোলো মারসায়াসকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আহবান জানালেন (কেউ কেউ বলেন, মারসায়াসই এপোলোকে সুরের প্রতিযোগিতার আহবান জানিয়েছিলেন)।


মারসায়াসের সাথে এপোলোর সুরের প্রতিযোগিতা (শিল্পী- কিমা দ্য কোনেগলিয়ানো, ১৫০৭-১৫০৯ সাল)

এই সঙ্গীত প্রতিযোগিতার শর্ত ঠিক হলো, যিনি পরাজিত হবেন, তাকে ইচ্ছেমতো শাস্তি দিতে পারবেন জয়ী। বিচারক হলেন মিউজগণ। (মিউজগন হচ্ছেন জিউস এবং স্মরণশক্তির দেবী নিমোসিনির কন্যা। তারা সংখ্যায় ছিলেন নয়জন। হেসিয়ড মিউজদের সম্পর্কে বলেছেন, “তারা সকলেই একই চিত্তের অধিকারী। তাদের হৃদয় বাঁধা সঙ্গীতে এবং আত্মা বন্ধনমুক্ত। যে কেউ যতই দুঃখের সাগরে থাকুক, মিউজদের গান শুনলেই তৎক্ষনাত ভুলে যেতো সকল কষ্ট আর যন্ত্রনা”।) প্রথমে মারসায়াস বাঁশিতে সুর তুললেন। শুধু তার সঙ্গী সাথীরাই নয়, প্রতিযোগিতা দেখতে আসা বিভিন্ন দেবতাও মুগ্ধ হলেন মারসায়াসের সুরের মায়াজালে। তুমুল করতালির মধ্য দিয়ে বাঁশি বাজানো শেষ হলে এগিয়ে এলেন এপোলো, হাতে বীণা। এপোলোতো সুরেরই দেবতা, বাজালেনও সেই রকম! বিচারক মিউজগণ সিদ্ধান্ত নিলেন, প্রথম রাউন্ডে কেউ কারে নাহি হারে, সমানে সমান (কেউ কেউ বলেছেন, প্রথম রাউন্ডের ফলাফলে মারসায়াস এগিয়ে ছিলেন)।


এপোলো এবং মারসায়াসের মধ্যে সঙ্গীত প্রতিযোগিতা

দ্বিতীয় রাউন্ডের শুরুতেই এপোলো বললেন বাদ্যযন্ত্রটিকে উল্টিয়ে বাজাতে হবে, সেই সাথে গানও গাওয়া যাবে। কোনো কিছু চিন্তা না করেই মারসায়াস রাজী হয়ে গেলেন। এপোলো তার বীণাটিকে উল্টিয়ে বাজাতে শুরু করলেন, গানও গাইলেন। সেই সুর আর সেই গান শুনে মিউজগণ স্তম্ভিত হয়ে রইলেন কিছুক্ষণ। দেবতারা ফিসফিস করতে লাগলেন, এপোলোরই জয় হবে। মারসায়াস যখন বাঁশিটিকে উল্টিয়ে বাজাতে চাইলেন, দেখলেন বাঁশির গঠন প্রক্রিয়ার কারণেই সেটা সম্ভব নয়। আরো লক্ষ্য করলেন, স্বাভাবিকভাবে বাঁশি বাজাতে গেলেও তিনি একইসাথে গান গাইতে পারবেন না। মারসায়াস এপোলোর চাতুরী বুঝতে পারলেন, কিন্তু তখন আর কিছুই করার ছিলো না। মিউজগণ এপোলোকে বিজয়ী ঘোষনা করলেন।


শিল্পী কর্নেলিয়াস ভান পোয়েলেনবার্গ এর ১৬৩০ সালে আঁকা চিত্র- এপোলো এবং মারসায়াস

প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েই এপোলো শাস্তি দিলেন মারসায়াসকে। সে এক কঠোর এবং ভয়ংকর শাস্তি! গাছে ঝুলিয়ে জীবিত মারসায়াসের শরীরের চামড়া ছালিয়ে নেওয়ার আদেশ দিলেন এপোলো।


বারতোলোমেও মানফ্রেডির আঁকা এপোলো এবং মারসায়াস (১৬১৬ থেকে ১৬২০ সাল)

কেউ জানলো না, কেউ বুঝতে পারলো না- এই বীভৎস শাস্তি কেনো দিলেন এপোলো! জনশ্রুতি আছে, চামড়া ছালানোর সময় মারসায়াসের শরীর থেকে গড়িয়ে পড়া রক্ত এবং তার ভক্তদের কান্নায় চোখের অশ্রু মিলে ফ্রিজিয়াতে একটি নদীরই প্রবাহ শুরু হয়, যার নামও দেওয়া হয়েছে মারসায়াসের নামানুসারে।


মারসায়াসের শাস্তি (শিল্পী- কারপিওনি গিওলিও, ষোড়শ শতকের প্রথম দিকে)

মারসায়াসের সাথে সুরের প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে এপোলো তাকে কঠোর শাস্তি দিয়েছিলেন। কিন্তু দেবতা প্যানের সাথে ভিন্ন আচরণ করলেন। হয়তো দেবতা বলেই প্যানকে মারসায়াসের ভাগ্য বরণ করতে হয়নি! দেবতা প্যানের সাথে সুরের প্রতিযোগিতায় কী হয়েছিলো, আসছে সে কাহিনী পরের পর্বে।

এই সিরিজের আগের লেখাগুলোঃ

সৃষ্টিতত্ত্বঃ
পর্ব-১: বিশ্ব-ব্রক্ষ্মান্ডের সৃষ্টি এবং ইউরেনাসের পতন
পর্ব-২: টাইটান যুগের সূচনা এবং অলিম্পিয়ানদের জন্ম
পর্ব-৩: প্রথম টাইটান যুদ্ধ এবং জিউসের উত্থান
পর্ব-৪: মানবজাতির সৃষ্টি, প্রমিথিউস এবং পান্ডোরা উপাখ্যান
পর্ব-৫: প্রমিথিউসের শাস্তি এবং আইও
পর্ব-৬: আবার যুদ্ধ- জায়ান্ট এবং টাইফোয়িয়াস
পর্ব-৭: ডিওক্যালিয়নের প্লাবন

দেবতাদের গল্পঃ
পর্ব-৮: জিউস, মেটিস এবং এথেনার জন্ম
পর্ব-৯: এথেনার গল্পকথা-প্রথম পর্ব
পর্ব-১০: এথেনার গল্পকথা- দ্বিতীয় (শেষ) পর্ব
পর্ব-১১: আফ্রোদিতির গল্পকথাঃ আফ্রোদিতি, হেফাস্টাস এবং অ্যারিসের ত্রিমুখী প্রেমকাহিনি
পর্ব-১২: আফ্রোদিতির গল্পকথাঃ অ্যাডোনিসের সাথে অমর প্রেমকাহিনী
পর্ব-১৩: আফ্রোদিতির গল্পকথাঃ এনকেসিসের সাথে দূরন্ত প্রেম
পর্ব-২০: আফ্রোদিতির গল্পকথাঃ লেমনসের নারী এবং অন্যান্য
পর্ব-২১: লেটোঃ এপোলো এবং আর্টেমিসের মায়ের কাহিনী
পর্ব-২২: আর্টেমিসের গল্পকথাঃ একটাওনের মন্দভাগ্য
পর্ব-২৩: আর্টেমিসের গল্পকথাঃ এলোয়াডি, আলফিউস ও আরেথুসা এবং ক্যালিষ্টোর কাহিনী
পর্ব-২৪: আর্টেমিসের গল্পকথাঃ অরিয়ন
পর্ব-২৫: এপোলোর গল্পকথাঃ ডেলফির মন্দির

ভালোবাসার গল্পঃ
পর্ব-১৪: পিগম্যালিয়ন এবং গ্যালাতিয়া
পর্ব-১৫: পিরামাস এবং থিসবি
পর্ব-১৬: হিরো এবং লিয়েন্ডার
পর্ব-১৭: বোসিস এবং ফিলোমোন
পর্ব-১৮: কিউপিড এবং সাইকী- প্রথম পর্ব
পর্ব-১৯: কিউপিড এবং সাইকী- শেষ পর্ব

লেখকঃ

এস এম নিয়াজ মাওলা

ছবি সূত্রঃ ইন্টারনেট


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

গ্রীক মিথোলজি নিয়ে সম্পতি কেন জানি আগ্রহী হয়ে উঠেছি।অনেকদিন ধরেই গ্রিক মিথলোজীর এমন কোন সংগ্রহই খুজছিলাম।আজ পেয়ে গেলাম।লেখককে অনেক ধন্যবাদ।

-সাদরিল

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সাদরিল ভাইয়া।
ভালো থাকুন খুব।

-নিয়াজ

এক লহমা এর ছবি

অন্তহীন বীভৎসতার কাহিনী দেখি!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

ঠিক তাই একলহমা ভাইয়া। ভালো থাকুন খুব।

-নিয়াজ

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

স‌্যাটায়ারকে এতোদিন তো আমি স্যাটির জেনে এসেছিলাম!

সব কাহিনিই এতো বিয়োগান্তক কেন - শেষে এসে মন খারাপ হয়ে যায়, আর (তথাকথিত) দেবতাদের উপরে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়!

____________________________

অতিথি লেখক এর ছবি

অয়ন ভাইয়া, আপনার জানা ভুল নাও হতে পারে। আসলে গ্রীক মিথলজির অধিকাংশ জিনিস উচ্চারন করা খুব কঠিন ব্যাপার। নাম উচ্চারনের ক্ষেত্রে আমি থিও ওয়েবসাইটের উচ্চারনটি ফলো করছি।

ঠিক বলেছেন, গ্রীক মিথলজির অধিকাংশ কাহিনী বিয়োগান্তক এবং এর জন্য দায়ী দেবতারাই।

-নিয়াজ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।