গ্রীক মিথলজি৫ (প্রমিথিউসের শাস্তি এবং আইও)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০২/০৮/২০১৩ - ১০:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পৃথিবীর সব স্বৈরাচারী শাসকেরা যুগে যুগে তাদের রক্ষাকারীর বিরুদ্ধেই সবসময় খড়্গহস্ত হয়েছে। বোধহয় ব্যাপারটি এসেছে দেবতাদের কাছ থেকেই। যে জিউসকে টাইটান যুদ্ধে জয়ের জন্য টাইটান হয়েও প্রমিথিউস সাহায্য করেছিলেন, আরেকবার দেবী এথেনার জন্মের সময়ও জিউসকে সাহায্য করেছিলেন (এই ঘটনা পরবর্তীতে বলা হবে), সেই জিউসের নিকট হতেই প্রমিথিউস পেলেন অদ্ভুত এবং কঠোর শাস্তি, তাও সেটা মানবজাতিকে সাহায্য করার অপরাধে। হেসিয়ড বোধহয় ধর্মভীরু ছিলেন, তাই প্রমিথিউসকে চিত্রিত করেছেন ছল চাতুরীপূর্ণ চরিত্র হিসেবে। কিন্তু হেসিয়ডের অনতিকাল পরের গ্রীক ট্রাজিক লেখক ইস্কাইলাস ছিলেন প্রমিথিউসের প্রতি সহানুভূতিশীল।

ইস্কাইলাস আমাদের জানিয়েছেন, পান্ডোরার জারের মাধ্যমে মানবজাতিকে শাস্তি দেওয়ার পর জিউস দৃষ্টি নিবন্ধ করেন প্রমিথিউসের উপর। ক্রাটোস এবং বিয়া নামে জিউসের দুই ভৃত্য প্রমিথিউসকে ধরে নিয়ে আসেন সাইথিয়ার রুক্ষ পাথুরে পর্বতমালার সুউচ্চ শিখরে। এদের সাথে সাথে এলেন দেবতাদের কামার হেফাস্টাস, তার কাজ ছিলো প্রমিথিউসকে পাথরখন্ডের সাথে শৃংখলবদ্ধ করা। কিন্তু পুরানো বন্ধু প্রমিথিউসকে শৃংখলবদ্ধ করতে হেফাস্টাস ইতস্তত করছিলেন। ক্রাটোস তখন মনে করিয়ে দিলেন, এই বিশ্ব-ব্রক্ষ্মান্ডে জিউস-ই এখন সর্বসেবা এবং তার আদেশ অবশ্যই পালনীয়। ব্যথাতুর মন নিয়ে হেফাস্টাস প্রমিথিউসকে এক বিশাল পাথরের সাথে শক্ত ভাবে শিকল দিয়ে বাঁধলেন। হেফাস্টাসের কাজ শেষ হলে, হেফাস্টাস ক্রাটোস এবং বিয়ার সাথে সেই নির্জন পর্বতে একাকী প্রমিথিউসকে রেখে চলে যান।


হেফাস্টাস প্রমিথিউসকে শিকল দিয়ে বাধছেন (শিল্পী- ড্রিক ভেন বাবুরেন, ১৬২৩ সাল)

সবাই চলে যাবার পর প্রমিথিউস প্রকৃতিকে ডাকেন এবং স্বাক্ষী হতে বলেন এক দেবতার হাতে অন্য দেবতার এই শাস্তির। তিনি হঠাৎ করেই কিছু কোলাহল শুনতে পেলেন। দেখলেন টাইটান ওসেনাস এবং টেথিসের কন্যারা ক্যারিস নামের দেবীদের ডানায় ভর করে তাঁকে দেখতে এসেছেন। তারা প্রমিথিউসকে সহানুভূতি জানালেন। তারা বললেন, বিশ্বের নতুন শাসক নিজের নিয়মেই চলেন। কাষ্ঠ হেসে প্রমিথিউস তাদেরকে জানালেন, একদিন জিউস চরম বিপদের সম্মুখীন হবেন এবং সেদিন জিউসকে রক্ষা পাবার জন্য প্রমিথিউসের কাছেই আসতে হবে।

প্রমিথিউস ওসেনিডদের বলতে লাগলেন, টাইটান যুদ্ধে তিনি কিভাবে জিউসকে সাহায্য করেছেন। তিনি আরো বলতে লাগলেন, মানুষের কথা, তাদের অসহায়ত্বের কথা, তাদের জন্য তাঁর মায়া-মমতার কথা। প্রমিথিউস তাঁর এই অবস্থার জন্য জিউসের স্বৈরাচারী মনোভাবকেই বার বার দায়ী করতে লাগলেন।

এমন সময় টাইটান ওসেনাস এক ডানাওয়ালা জীবের উপর সওয়ার হয়ে প্রমিথিউসের সামনে এলেন। তিনি প্রমিথিউসকে জিউসের বিরুদ্ধে বলতে বারণ করলেন। তিনি আরো জানালেন, তিনি এখন জিউসের কাছে যাবেন প্রমিথিউসের মুক্তির জন্য সুপারিশ করতে। প্রমিথিউস ওসেনাসকে জিউসের কাছে যেতে নিষেধ করলেন। প্রমিথিউসের বাধার মুখে একসময় ওসেনাসও চলে গেলেন তার আপন আলয়ে- সমুদ্রে। ওসেনাসের কন্যা ওসেনিডরা তখনো সেখানে ছিলেন। তারা জিউসের প্রতি তাদের আনুগত্য প্রকাশ করে প্রমিথিউসকে তিরস্কার করলেন মানবজাতিকে সাহায্য করার জন্য, কিন্তু একই সাথে তাদের বোনের সাথে প্রমিথিউসের সুখী বিয়েরও স্মৃতি রোমন্থন করতে লাগলেন।

এভাবে অনেক বছর পেরিয়ে গেলো। একাকী নির্জনে অসহনীয় যন্ত্রনায় সময় কাটতে লাগলো প্রমিথিউসের। তারপর একদিন সাদা রংয়ের এক বকনা বাছুর তাঁর সামনে এলো, প্রাণীটি ছিলো বিক্ষিপ্ত-বিহবল পলায়নপর। প্রাণীটি বন্ধুর এবং উঁচু খাড়া পাহাড় বেয়ে উঠে এলো সেখানে, প্রমিথিউসের দৃষ্টি তাকে থামিয়ে দিলো ক্ষণিকের জন্য। প্রমিথিউস বাছুরটিকে চিনতে পারলেন, তিনি আদ্র কন্ঠে বললেন, “আমি তোমাকে চিনি, তুমি ইনাকাসের কন্যা আইও। তুমি ভালোবাসায় উষ্ণ করেছিলে দেবতার মন, কিন্তু বিনিময়ে পেলে হেরার ঘৃণা। হেরাই তোমাকে তাড়িত করে বেড়াচ্ছে এতোটাকাল!”

বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে গেলো আইও। হত-বিহবল হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি কার সাথে কথা বলছি? কে তুমি, যে সব জানো, আবার নিজেও লাঞ্ছনা ভোগ করছো?”

“আমি প্রমিথিউস, যে মরণশীলদেরকে দিয়েছিলো আগুন”, প্রমিথিউস জবাব দিল। আইও-ও তাঁকে চিনতে পেরেছিলেন। বলে উঠলেন, “তুমি সেই জন, যিনি পরিত্রাণ দিলেন সমগ্র মানবজাতিকে? তুমি সেই দুঃসাহসী, অমর প্রমিথিউস?”

দুইজনে অনেক কথা বললেন। আইও শোনালেন তার প্রতি জিউসের অন্যায় আচরণের কথা। এক সময় তিনি ছিলেন এক রাজকন্যা এবং সুখী বালিকা। তার বাবা ছিলেন নদী দেবতা ইনাকাস। ভালোই সময় যাচ্ছিলো তার। এরপর একদিন জিউস তাকে দেখলেন, প্রেমে পড়লেন। প্রতি রাতে স্বপ্নে দেখা দিতে লাগলেন আইও-কে। জিউস প্ররোচিত করতে লাগলেন আইও-কে। কিন্তু সমস্যা হয়ে দেখা দিলো হেরার ঈর্ষাকাতরতা। হেরার ভয়ে জিউস পুরু কালো মেঘে পৃথিবীকে আচ্ছাদিত করে নিজেকে ও আইও-কে হেরার কাছ থেকে লুকাতে চাইলেন, যেনো মনে হয় হঠাৎ করেই রাত এসে গ্রাস করেছে দিনের আলোকে। কিন্তু হেরাও ছিলেন বুদ্ধিমতী। তিনি বুঝতে পারছিলেন প্রকৃতির এই হঠাৎ পরিবর্তন স্বাভাবিক নয়, তিনি সন্দেহ করলেন তার স্বামী জিউসকে। স্বর্গের কোথাও জিউসকে খুঁজে না পেয়ে হেরা নেমে এলেন পৃথিবীতে এবং মেঘমালাকে সরে যেতে বললেন। জিউসও কম যান না! হেরা যখন তাঁকে দেখতে পেলেন, তখন দেখলেন জিউস দাঁড়িয়ে আছেন একটি চমৎকার শ্বেতশুভ্র বকনা বাছুরের কাছে। বকনা বাছুরটি ছিলো আইও। তিনি হেরাকে প্রতিজ্ঞা করে বললেন, এই বকনা বাছুরটিকে আগে কখনো তিনি দেখেন নি। হেরা জিউসের কোনো কথাই বিশ্বাস করলেন না। তিনি বললেন, “এই বকনা বাছুরটি খুবই সুন্দর। তুমি কি এর থেকে কোনো অংশ আমাকে উপহার দিবে?”

জিউস নিজের ফাঁদে নিজেই পড়লেন। অনিচ্ছা সত্ত্বেও তিনি এই বাছুরটিকে হেরার হাতে তুলে দিলেন। হেরা বাছুরটিকে পাঠিয়ে দিলেন আর্গাস পানোপটেসের কাছে। আর্গাসের ছিলো একশত চোখ, এবং তার সবগুলো চোখ কখনই একসাথে ঘুমাতো না। কিছু চোখ ঘুমাতো, কিছু চোখ পাহারা দিতো।

জিউস আইও-এর দুর্দশা অনুধাবন করতে পারলেন। যে ছিলো এক রাজকন্যা, আজ জিউসের কারণেই সে পরিণত হলো এক জন্তুতে। অথচ জিউস কিছুই করতে পারলেন না!

শেষ পর্যন্ত জিউস শরণাপন্ন হলেন দেবতাদের বার্তা বাহক, সবচেয়ে সুচতুর দেবতা হার্মিসের। হার্মিসকে বললেন, যেভাবেই হোক আর্গাসকে হত্যা করে আইও-কে মুক্ত করতে। সুচতুর হার্মিস স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে এসে গ্রাম্য রাখালের বেশে বাঁশিতে সুমধুর সুর তুলে আর্গাসের দিকে এগিয়ে গেলেন। সেই সুর শুনে খুশি হয়ে আর্গাস হার্মিসকে আরো কাছে এসে বসতে বললেন। হার্মিস কাছে বসে একের পর এক সুর তুললেন, অনেক কথা বললেন। কিন্তু কিছুতেই আর্গাসের সবগুলো চোখ নিদ্রায় বন্ধ হলো না! অবশেষে হার্মিস যখন দেবতা প্যানের একটি কাহিনী বলা শুরু করলেন, যেটা আসলে খুব বিরক্তিকর নয়, কিন্তু সেটাই আর্গাসের কাছে বিরক্তিকর লাগলো। তার সবগুলো চোখ ঘুমিয়ে গেলো। এই সুযোগে হার্মিস তাকে হত্যা করলেন। হেরা আর্গাসের সবগুলো চোখ নিয়ে নিলেন এবং তার প্রিয় পাখি ময়ূরের লেজে বসিয়ে দিলেন। সেই থেকে ময়ূরের লেজ এতো চোখময়!


শিল্পী রুবেনসের তুলিতে হার্মিস, আর্গাস এবং আইও

এতো কিছুর পরেও আইও হেরার হাত থেকে নিস্তার পেলেন না। হেরা এবার ডাঁশ পোকা লেলিয়ে দিলেন আইও-এর পিছনে। ডাঁশ পোকাগুলো হুল ফুটিয়ে আইও-কে উন্মাদ করে দিতে লাগলো। তাকে তাড়িয়ে বেড়াতে লাগলো সমুদ্রের দীর্ঘ বেলাভূমি জুড়ে, পানাহার করা হয়ে গেলো সাধ্যের অতীত, এমনকি ঘুমানোও পর্যন্ত সম্ভব ছিলো না। প্রমিথিউস তাকে সান্তনা দিতে চাইলেন। তিনি বললেন, “তোমার এই ভয়ংকর পথ-পরিক্রমা এখনই শেষ হবে না! তবে নিশ্চিতভাবেই তোমার জন্য অপেক্ষা করছে সোনালী ভবিষ্যত। তুমি প্রথমে সমুদ্রের যে অংশ পাড়ি দিয়েছিলে তা তোমার নামানুসারে ডাকা হবে আয়োনিয় এবং বসফরাস (ষাড়ের দূর্গ), যা তোমার চলে যাওয়ার স্মৃতি ধারণ করবে। এরপর তুমি একদিন পৌঁছাবে নীল নদের তীরে, যেখানে জিউস তোমাকে তোমার মানবীয় আকৃতি ফিরিয়ে দিবেন। তুমি তার ঔরসে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিবে, যার নাম হবে ইপাফাস, যে হবে এক বিশাল সাম্রাজ্যের রাজা। আর এটি জেনে রাখো, তোমার বংশ থেকে জন্ম নেবে এক মহিমাময় এবং সাহসী তীরন্দাজ, যে এসে আমাকে মুক্ত করবে!”

আইও ডাঁশ পোকার হুল খেয়ে সেখান থেকে দৌড়াতে লাগলেন (আইও-এর বিস্তারিত কাহিনী আরো পরে আসবে)। আইও-এর কষ্ট দেখে প্রমিথিউস চিৎকার করে বলে উঠলেন, “জিউসেরও একদিন পতন হবে, আর সেটা হবে তাঁর সন্তানের হাতেই। একমাত্র আমিই জানি সে হবে জিউসের কোন স্ত্রীর সন্তান!”

হার্মিস চলে এলেন প্রমিথিউসের কাছে। জানতে চাইলেন সেই গোপন তথ্যটি। কিন্তু প্রমিথিউস জানাতে অস্বীকৃতি জানালেন। ক্ষুদ্ধ জিউস বজ্রপাত নিক্ষেপ করে শৃংখলাবদ্ধ অবস্থায় প্রমিথিউসকে পাঠিয়ে দিলেন পাতালপুরী, টারটারাসে। (অন্য এক মিথে আছে, প্রমিথিউস জানিয়েছিলেন, নেরেইড থেটিসকে যিনি বিয়ে করবেন, তার যে সন্তান হবে, সে তার বাবার চেয়েও অনেক বড় হবেন। সেই সময়ে থেটিসকে বিয়ে করার জন্য জিউস এবং সমুদ্র দেব পসাইডন উভয়েই খুব আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু প্রমিথিউসের ভবিষ্যতবানী শোনার পর তাঁরা কেউ-ই থেটিসকে বিয়ে করেননি। থেটিসের বিয়ে হয় মরনশীল পেলেয়াসের সাথে, পেলায়াস এবং থেটিসের সন্তান হলেন ট্রোজান বীর একিলিস, যিনি তার বাবার চেয়েও বড় বীর। থেটিসের গর্ভে যদি জিউসের সন্তান হতো, সে হতো জিউসের চেয়েও বড়, এবং একদিন জিউসকে সিংহাসনচ্যুত করতো। প্রমিথিউস বন্দী অবস্থাতেও আরো একবার জিউসকে বাঁচিয়ে দিলেন। তাই জিউস তখন নিজে প্রমিথিউসকে মুক্তি দেন।)

বহু বহু বছর পর প্রমিথিউস আবার উপরের জগতে এলেন, কীভাবে সেটা আর জানা যায় নি। এবার তাঁকে শৃংখলাবদ্ধ করা হলো ককেশাসের পাহাড়ে। শুরু হলো নতুন শাস্তি। এক রক্তে রঞ্জিত ঈগল এসে প্রতিদিন প্রমিথিউসের শরীরটিকে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে, যকৃতটাকে খেতো। আবার রাতের ভিতরেই সেই যকৃত নতুন করে তৈরী হতো। এভাবে চললো আরো অনেক বছর।


ঈগল বন্দী প্রমিথিউসের যকৃত খাচ্ছে (শিল্পী- পিটার পল রুবেনস)

প্রমিথিউসকে বলা হয়েছিলো, যদি কোনো অমর দেবতা প্রমিথিউসের জন্য আত্মোৎসর্গ করে এবং কোনো মরণশীল বীর এসে ঈগলটিকে হত্যা করে, তাহলে সে মুক্তি পাবে। সেন্ট্যুর চীরণের কথা মনে আছে? ক্রোনাস আর ফিলাইরার মিলনে জন্ম নেওয়া অর্ধেক মানব, আর অর্ধেক ঘোড়া। সেই চীরণ অমর হওয়া সত্ত্বেও প্রমিথিউসের জন্য নিজেকে আত্মোৎসর্গ করতে চাইলেন। (সে আরেক কাহিনী, সময়মতো এই কাহিনীও বলা হবে।)

তারপর একদিন সেই ককেশাসের পাহাড়ে এক মরণশীল বীর এলেন। সেটা প্রায় প্রমিথিউসের শৃংখলাবদ্ধ জীবনের ত্রিশ হাজার বছর হয়ে যাবার পরের কাহিনী। সেই মরণশীল বীর এসে ঈগলটিকে হত্যা করে প্রমিথিউসকে বন্দীদশা থেকে মুক্ত করলেন।

মুক্ত হয়ে প্রমিথিউস সেই বীরকে বলেন, “আমি জানতাম তুমি আসবে! তোমার তের প্রজন্ম আগে আমি আইও-কে বলেছিলাম, একদিন তুমি আসবে আমাকে মুক্ত করতে!”
সেই বীর প্রতুত্তরে বললেন, “এবং আইও হচ্ছেন সেই মানবী, যার বংশধর আমি, হারকিউলিস!”


হারকিউলিস প্রমিথিউসকে মুক্ত করছেন (শিল্পী- ক্রিষ্টিয়ান গ্রীপেনকেরল)

আগের পর্বগুলোঃ

প্রথম পর্বঃ বিশ্ব- ব্রক্ষ্মান্ডের সৃষ্টি, ইউরেনাসের পতন
দ্বিতীয় পর্বঃ টাইটান যুগের সূচনা এবং অলিম্পিয়ানদের জন্ম
তৃতীয় পর্বঃ প্রথম টাইটান যুদ্ধ এবং জিউসের উত্থান
চতুর্থ পর্বঃ মানবজাতির সৃষ্টি, প্রমিথিউস এবং পান্ডোরা উপাখ্যান

লেখকঃ

এস এম নিয়াজ মাওলা


মন্তব্য

বেচারাথেরিয়াম এর ছবি

হাততালি পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ ভাইয়া।

-নিয়াজ

তারেক অণু এর ছবি

আইও নামে বৃহস্পতির একটা চাঁদের নামকরণও করা হয়েছে, সৌরজগতের সবচেয়ে ভয়ংকর জায়গা বলা হয় যাকে, জীবন্ত আগ্নেয়গিরিময়!

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখা যায়, অণু ভাইয়া গুরু গুরু

-নিয়াজ

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হুমম... পুরা সৌরজগতটাই গ্রীক পুরাণে ভরা

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

ঠিক তাই। কিন্তু লেখা সম্পর্কে যে কিছু বললেন না ভাইয়া!

-নিয়াজ

মালাকাইেটর ঝাপী এর ছবি

পড়লাম হাসি
পরের পর্বের অপেক্ষায় পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

অতিথি লেখক এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পরের পর্বও শিঘ্রই আসিতেছে---

-নিয়াজ

মাহবুব লীলেন এর ছবি

পড়ছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার পড়া আমার জন্য অনেক কিছু----

-নিয়াজ

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক চমৎকার চলছে নিয়াজ-ভাই হাসি
- একলহমা

অতিথি লেখক এর ছবি

সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ একলহমা ভাইয়া।

-নিয়াজ

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

পড়ছি, বেশ আগাচ্ছে। চলুক।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অতিথি লেখক এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ ত্রিমাত্রিক কবি ভাই।
ভালো থাকুন, খুব।

-নিয়াজ

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

প্রতিটি পর্ব আগ্রহ নিয়ে পড়ছি। জিউসের লাম্পট্যের কাহিনী তবে শুরু হলো----

অতিথি লেখক এর ছবি

ধীরে ভাইয়া, ধীরে! জিউসের লাম্পট্যের কাহিনীর আগে আরো কিছু কাহিনী আসবে, এরপর শুধু হবে জিউস-----

ভালো থাকুন ভাইয়া, খুব।

-নিয়াজ

সাকিন উল আলম ইভান  এর ছবি

এ পর্বটা শেষ করে মনে হয়েছে ,মনে হয় ভাইয়া আজকে কম লিখে ফেলেছেন ।

পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ সাকিন, পরের পর্ব তো দিয়ে ফেললাম, কিন্তু তোমার দেখা তো এখনো পেলাম না!

-নিয়াজ

স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট এর ছবি

ভালই চলছে, আমি যদিও একটু পিছিয়ে আছি; মাত্র এই পর্ব পড়লাম। পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

-------------------------------------------------
ভালবাসা কেবল নিজেকে দেয় এবং নিজ থেকে নেয়-
ভালবাসার যেমন নিজেরও কিছু নেই, তেমনি সেও কারো নয়;
কেননা, ভালবাসার জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনাদের উৎসাহেই এই বিশাল এবং জটিল লেখার সাহস পাচ্ছি।

-নিয়াজ

রাত-প্রহরী এর ছবি

৫ম শেষ। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
আর কই। খুঁজতে বের হই।
প্রমিথিউস এর প্রতি আমার দূর্বার ভালোবাসা।

---------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

আমারো প্রমিথিউসের প্রতি দুর্বার ভালোবাসা। চিমটি আপনাকে!

-নিয়াজ

অয়ন এর ছবি

অপূর্ব লিখেছেন ভাই

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ।

-নিয়াজ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।