বেশ ঘটা করে শুরু হওয়া বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর প্রায় ফুরিয়ে এলো। পিতিমির কোণা ঘুপচি থেকে নানান দেশের খেলোয়াড় সকল এসে বাতাস ভর্তি একটা নিরীহ গোলাকার বস্তুতে ঠেসে লাথি কষালো। মনের ভেতর ঘাপটি দিয়ে থাকা রাগ ঝারবার এই মোক্ষম ব্যাপার, ফাইন্যাল এবং তৃতীয় চতুর্থস্হান নির্ধারণী পর্যন্ত চলবে। ঝি কে মেরে বউ কে শিক্ষা দেবার কুমন্ত্রণাটি এখান থেকেই আগত কিনা তাহা আমার জ্ঞানী মনের প্রশ্ন। লাথালাথির এই হিংসুটে কর্মপদ
সময়টা হবে গত বিশ্বকাপের আগে আগে, হয়ত ২০০৮ কি ০৯। তখনই প্রথম জানতে পারি যে দক্ষিণ আফ্রিকার পরেরবার বিশ্বকাপ হবে ব্রাজিলে। ১৯৫০ এর পর এই প্রথম !
বঞ্চনা বড় কঠিন শাস্তি, কিন্তু হতাশা তার চেয়েও বড়। কোনো একদিন মুক্ত আকাশ দেখার আশায় অর্ধেক জীবন অন্ধকার কুঠুরিতে কাটিয়ে দেওয়া যায়; কিন্তু বন্দিত্ব অবসানের কোনো আশা বা সম্ভাবনা না থাকলে কয়েক মাসেও মন ভেঙে যায়, বেঁচে থাকা নিরর্থক হয়ে যায়। আশা নিয়েই তাই জীবন। অন্ধকারে থাকলেও আশা চাই, বেদনায় থাকলেও আশা চাই, গহীন অরণ্যে হারিয়ে গেলেও আশা চাই, উত্তাল সমুদ্রে ভেসে গেলেও আশা চাই, একলা বিকেলে বিক্ষিপ্ত মনেও আশা চাই, বায়ুশূন্য অন্তরীক্ষে নিক্ষিপ্ত হলেও আশা থাকা চাই, জগতের বিশালতায় কুঁকড়ে গেলেও আশা থাকা চাই।
সেই আশাবাজি থেকেই জেগে জেগে ভাবি, এই তো আর কিছুদিন পরেই বাংলাদেশও খেলবে ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে, এই তো কিছুদিন বাদেই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ হবে সবার প্রিয় আন্ডার-ডগ দল, এই তো কিছুদিন পরই দুনিয়ার বিভিন্ন দেশ লাল-সবুজ জার্সি পরবে বিশ্বকাপ এলে।
রায়হান খুব মনোযোগ দিয়ে ফেসবুকে তার বন্ধু মাসুদের স্ট্যাটাস আর কমেন্টগুলো পড়ছিল। রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস বদলেছে মাসুদ, সেটা নিয়ে তুমুল পঁচানি চলছে মাসুদের ফেসবুক ওয়ালে। পাশের ঘর থেকে মা আর কাজের বুয়ার আলাপ কানে আসছে; বুয়ার জামাই নাকি রিক্সা চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েছে গতকাল সন্ধ্যায়।