চিত্র-লেখা ১

দময়ন্তী এর ছবি
লিখেছেন দময়ন্তী (তারিখ: রবি, ২৪/০১/২০১০ - ১১:২১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সারাদিন রেললাইনটা পড়ে পড়ে ভোঁস ভোঁস করে ঘুমোয় আর মাঝরাত্তিরের পর গা মোড়ামুড়ি দিয়ে জেগে ওঠে৷ তখন ওতে কান পাতলে শোনা যায় শোঁ শোঁ, সাঁই সাঁই, ঠুকঠাক, ঢকাং ঢকাং শব্দ৷ তারপর ঝমঝম ঝমাঝম করে একটা বড়সড় জোয়ানমত ট্রেনগাড়ী দৌড়ে যায়৷ আবার চুঁইচুঁই, ঘটাংঘটাং এরপরে ছ:-ঘিসস, ছ:-ঘিসস করে হাঁপের টান টেনে টেনে একটা বুড়োমত মালগাড়ী যায়৷তারপরও রেললাইনটা জেগেই থাকে, যদিও আর গাড়ীটাড়ি আসবে না সেই কাল রাত্তিরের আগে; তবু ও জেগে জেগে অপেক্ষা করে সকালের পাখীগুলোর৷

ছবি - মঙ্পঙ :: সৌজন্য: দ্বৈপায়ন বসু

আকাশে চালধোয়া জলের রং ধরলেই কিচিমিচি করে নেমে আসে ছোটবড় পঞ্ছিগুলো, লাইনের ফাঁক থেকে খুঁটে খুঁটে কিসব খায়, থেকেথেকে উড়ে যায় ঐ নীলচেমত পাহাড়টার দিকে৷ ওরা দৌড়ে উড়ে ছোটবড় গাছগুলোতে লুকোচুরি খেলতে খেলতেই সুজ্জিমামা এসে পড়ে৷ সুজ্জিমামা যত পাহাড়ের দিকে এগোতে থাকে পাখীগুলো কোথায় কোথায় যেন চলে যায়৷ দলবেঁধে আসতে থাকে বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়ের দল৷ কারো পিঠে ব্যাগ, কারো কাঁখে ছোট ঘড়া, কারো হাতে বালতি, কারো হাতে মলাটছাড়া একলাফোকলা কটা বইখাতা৷ আরও আসে কজন শক্তপোক্ত মেয়েমদ্দ৷ কেউ যায় ঐইইইই সামনে পাহাড়গুলোর দিকে, কেউ নামে নীচে নদীর দিকে৷ এইবারে রেললাইনের চোখ জুড়ে আসে ঘুমে৷ পাহাড় টপকে সুজ্জিমামা যখন ঐপারে চলে যায়, তখন সব একেএকে ফিরতে থাকে৷ যে গেছিল বাঁয়ে, সে ফেরে ডাইনে, যে ওপরে গেছিল, নেমে আসে, যে নীচে গেছিল উঠে আসে৷ রেললাইনটা চুপটি করে ঘুমায় আর রোদ পোয়ায় --- বৃষ্টি মাখে ----- কুয়াশা জড়ায়৷ তারপর পাখীপক্ষীগুলো সব গাছে গাছে ওড়াউড়ি ক'রে এরতার সারাদিনের খবর নেয় ---- আকাশটা আস্তে আস্তে অন্ধকার হয়ে আসে৷ সুজ্জিমামা অন্যমনস্কভাবে কখন যেন একেবারে দিনের কার্নিশে চলে গেছিল --- পা বাড়াতেই টুপ্পুস করে পেছনের খাদে গড়িয়ে গেল৷ আর অমনি দেখো কতরকমের পোকামাকড় জেগে উঠতে থাকে৷

ওর সৌন্দর্য্য আর বুদ্ধি যতটা কম, স্বাস্থ্য ঠিক ততটাই বেশী৷ এই নিয়ে তো ঘরে বাইরে গঞ্জনার আর শেষ নেই৷ রোজই হয় কয়েকচোট৷ কখনও সখনও চড়থাপ্পড়ও বাদ যায় না৷ এসবে ওর কিছু হয় না৷ অন্তত কেউ কখনও ওকে মনখারাপ করতে দেখেনি৷আজ রাতে যখন ওর ঘুমটা ভাঙল, তখন ও বুঝতেই পারল না কেন ভেঙেছে ঘুম৷ বাপ মা বলে ওর নাকি মড়ার মত ঘুম, একবার পড়ল তো একেবারে সকাল হলে উঠবে৷ তা ঘুম তো একরকম মরেই যাওয়া, অল্প ক'ঘন্টার মরণ --- সেরকমই মনে হয় ওর৷ ও অবাক হয়েই আস্তে আস্তে উঠে বসে, পা বাড়িয়ে নামে খাট থেকে৷ খালিপা মেঝেতে রাখতেই ঠান্ডা মেঝে যেন ছ্যাঁক করে লাগে পায়ের পাতায়৷ পায়ের তলায় ঐ ছ্যাঁকছ্যাঁকানি পাড়িয়ে পাড়িয়ে দরজা খুলে খালিপায়ে বেরিয়ে আসে সামনের উঠোনে৷ কিরকম রুপোলী সাদা চারিদিক --- জ্যোসনায় ভেসে যাচ্ছে উঠোন, গাছপালা, সামনের সরু রাস্তাটা৷ খুব আস্তে প্রায় ফিসফিস করে গাছের ডালপাতাগুলো কিসব পরামর্শ করে চলেছে, ওকে দেখেই সামনেরগুলো চুপ করে গেল৷ একটু ভাল করে শোনার জন্য ও এগিয়ে গেল, ডালপালাগুলোও চুপ হয়ে গেল৷ ও এগোতে লাগল --- পায়ে পায়ে গেট পেরিয়ে রাস্তায ---- দুদিকের বড় গাছের ডাল বেঁকেচুরে রাস্তার ওপরে কেমন আর্চ বানিয়েছে --- ফাঁকেফাঁকে জালিকাটা রুপোলী জোসনা ---- রাস্তা বেয়ে এগিয়ে যায় --- ও-ও এগোয় পায়ে পায়ে আর অমনি গাছেদের ফিসফিসানি থেমে যায় --- বুনোলতা পা টেনে ধরে --- ও কেমন ঘোরের মধ্যে লতা ছিঁড়ে ফেলে এগোয় --- ঝোপঝাড়েরা ফিসফিস করে বলে "শোনো একটু --- শুনে যাও এদিকে' --- ও পা চালায় ----- রেললাইনটা আড়মোড়া ভাঙে ---- ঘুম ভাঙছে ------ গাছপালা ঝোপঝাড় শেষ হয়ে এবড়ো খেবড়ো পাথরে পা পড়ে --- অল্প শিউরে ওঠে কি? চাঁদ আরও মায়াবী হয়ে জোসনা ঢেলে দেয় ---- ও উঠে আসে রেললাইনের ওপরে ----- চাঁদের দিকে মুখ তুলে তাকায় ------- স্নিগ্ধচোখে তাকায় চাঁদ ----- ঝমাঝম ঝমাঝম দৌড়ে আসছে জোয়ান রেলগাড়ীটা ---- তীক্ষ্ণ হুইসিল একবার বেজে ওঠে --- ও শোনে কিনা বোঝা যায় না ---- নড়ে না, চাঁদের চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে থাকে৷

রেলগাড়ী চলে গেলে রেললাইনটা চেটেপুটে খায়, অনেকদিন বাদে ভরপেট খাবার পেয়েছে লাইনটা --- আকাশ পরম আদরে কুয়াশা ঝরায় ------- ঢেকে দেয় ওর টুটাফুটা টুকরোগুলো ---- একটা প্যাঁচা কাকে যেন খবর দিতে, সামনের পাহাড়টার দিকে ডাকতে ডাকতে উড়ে যায় -- ক্র্যাঙঙঙঙ


মন্তব্য

তিথীডোর এর ছবি

অদ্ভুত সুন্দর!!
পড়তে গিয়ে বুড়ো মালগাড়ি, চালধোয়া জলের রং আকাশ, আর এবড়ো খেবড়ো পাথর বিছিয়ে থাকা একটা পাহাড়ী রাস্তা চোখের সামনে ভেসে উঠলো যেন...

--------------------------------------------------
"আমি তো থাকবোই, শুধু মাঝে মাঝে পাতা থাকবে সাদা/
এই ইচ্ছেমৃত্যু আমি জেনেছি তিথির মতো..."
*সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

দময়ন্তী এর ছবি

ধন্যবাদ তিথীডোর (তিথিডোর না?)৷ ছবিটা দেখে আমার মাথায় ঐগুলোই এলো৷ হাসি
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

তিথীডোর এর ছবি

হ্যাঁগো দিদি, সে তো বুদ্ধদেব বসুর উপন্যাস...
নিজের নামটা 'তিথী' বানানেই লিখি যে!

-------------------------------------------------
"আমি তো থাকবোই, শুধু মাঝে মাঝে পাতা থাকবে সাদা/
এই ইচ্ছেমৃত্যু আমি জেনেছি তিথির মতো..."
*সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

দময়ন্তী এর ছবি

হাসি শুধু উপন্যাস বলে না, ওটাই ঠিক বানান তো৷
তবে নামে বোধহয় সব চলে৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

তিথীর সাথে একমত। চমৎকার এক স্বপ্নকল্প পড়লাম মনে হল।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

দময়ন্তী এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

ইবরাহিম যুন [অতিথি] এর ছবি

শব্দকে নিয়ে এ এক অন্যরকম খেলা। যখন রেল যায় এখোনো আমি এ আওয়াজ টাকে কান পেতে শুনি..
শোঁ শোঁ, সাঁই সাঁই, ঠুকঠাক, ঢকাং ঢকাং শব্দ৷ তারপর ঝমঝম ঝমাঝম করে একটা বড়সড় জোয়ানমত ট্রেনগাড়ী দৌড়ে যায়৷ আবার চুঁইচুঁই, ঘটাংঘটাং এরপরে ছ:-ঘিসস, ছ:-ঘিসস ..
এখনো শুনি ভালো লাগে, খুব ভালো লাগে।
আপনার সুন্দর লেখাটা আমার স্মৃতি’কে ঝাঁকুনি দিয়ে গেল। এখনো যখন চোখ বন্ধ করে কান পেতেছি ঠিক শুনেছি, শোঁ শোঁ, সাঁই সাঁই, ঠুকঠাক, ঢকাং ঢকাং শব্দ৷
এ এক অন্যরকম খেলা।

দময়ন্তী এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

নৈষাদ এর ছবি

ভাল লাগল। শীতকাল এবং ট্রেন-ভ্রমনকে ঘিরে শৈশব এবং কৈশোরের অনেক সুখ-স্মৃতি জড়িয়ে আছে। যেন ফিরে গেলাম সেই সব দিন গুলোতে...।

দময়ন্তী এর ছবি

আমারও ভাল লাগল৷ লিখে ফেলুন না সেইসব স্মৃতি৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

আমি ভয় পাচ্ছিলাম যেটার সেটাই হলো! মন খারাপ

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

দময়ন্তী এর ছবি

হাসি প্রায় অবধারিতই ছিল তো৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

সুমন চৌধুরী এর ছবি
দময়ন্তী এর ছবি

হাসি
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

শেখ নজরুল এর ছবি

চমতকার!

শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

দময়ন্তী এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

অসাধারণ ছবি ছবি লেখা-খেলা....

দময়ন্তী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আনন্দী
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

তাসনীম এর ছবি

দারুন লাগল।

--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

দময়ন্তী এর ছবি

ধন্যবাদ. হাসি
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

রেললাইন, রেলগাড়ি- সব আমি ব্যাপক ভালু পাই। লেখা খুব ভাল্লাগছে।

দময়ন্তী এর ছবি

আমিও ভালু পাই৷ রেললাইনের প্রায় ধারেই বড় হইসি তো৷ ধইন্যবাদ৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

স্নিগ্ধা এর ছবি

আপনিও!!!!! কী খিট্‌কেল, কী খিট্‌কেল মন খারাপ

কল্যাণীয়েষু মা খেঁদি ('পদিপিসী' তার ভাইঝিদের এ'নামেই ডেকে থাকেন দেঁতো হাসি ) - লেখাটা ভালো অনেক, কিন্তু ......... আপনার কলম থেকে দুস্কু দুস্কু কাহিনী ...... হুমমমম.......

দময়ন্তী এর ছবি

অম্মা! দুস্কু কই?? হাসি

ভ্যাট্! পদিপিসি হাঁক দেবেন 'অ্যাই খেঁদি'
তবে না ....... দেঁতো হাসি
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার! কি করে এত সুন্দর লিখেন?
মধুবন্তী মেঘ

দময়ন্তী এর ছবি

লইজ্জা লাগে কি যে বলেন!
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

কেমন মায়ামায়া লেখা! রেললাইন, রেলগাড়ি আমার-ও প্রিয়।

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

দময়ন্তী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

রানা মেহের এর ছবি

শব্দকল্পদ্রুম
অনেক ভালো লাগলো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

দময়ন্তী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ রানা৷
আশা করি আপনার মা এতদিনে সুস্থ হয়ে গেছেন৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

তানবীরা এর ছবি

দমুদি, অসাধারন চমৎকার। তুমি কি শব্দগুলোকে নিয়ে খেলা করছিলে নাকি?
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

দময়ন্তী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ৷
না: বরং বলা যায় শব্দগুলো আমাকে নিয়ে খেলতে চাইছিল তানবীরা৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

মূলত পাঠক এর ছবি

সুন্দর লাগলো!

দময়ন্তী এর ছবি

ধন্যবাদ৷
আপনার মূলোছাপ লেখারা কই?
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।