পশুখামার (এক), মূল: জর্জ অরওয়েল, অনুবাদ: তীরন্দাজ

তীরন্দাজ এর ছবি
লিখেছেন তীরন্দাজ (তারিখ: বুধ, ০৫/০৯/২০১২ - ১:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অতিরিক্ত মদ টেনে বেশ মাতাল খামার মালিক জোনস। মুরগীর খোঁয়াড়ের দরজাটি বন্ধ করলেও হুড়কোটি আটকাতে ভুলে যায়। কাজ শেষ করে আলোর বৃত্ত নাচাতে নাচাতে হারিকেন হাতে উঠোন পার হয়ে পেছনের দরজার সামনে জুতোটি খুলে ঘরে ঢোকে। ভাড়ার ঘর থেকে বিয়ার গ্লাসটি শেষবারের মতো পূর্ণ করে সিঁড়ি বেয়ে উঠে শোবার ঘরে। ততক্ষণে বিছানায় গভীর শান্তিতে নাক ডাকায় তার বৌ।

শোবার ঘরের বাতিটি নিভতেই নানা গুঞ্জন ও পাখা ঝাপটানোর শব্দে মুখর হয়ে উঠে পুরো খামার এলাকার প্রতিটি ঘর। গতরাতে এক অদ্ভুত স্বপ্ন দেখেছে পুরস্কার প্রাপ্ত শুয়োর বুঢঢা মেজর। সেই স্বপ্নের কাহিনী সে বাকী পশুদেরকে জানাতে চায়। জোনস ঘুমলেই খামার বাড়ীর সবচাইতে বড় আস্তাবলে মিলিত হবে সবাই, সে খবরটিও পৌঁছে গেছে সবার কাছে। একসময় অন্য নাম থাকলেও সবার কাছে বুঢঢা মেজর হিসেবেই পরিচিত সে। পুরো খামার বাড়ীতে তার এতটাই সম্মান যে, একটি ঘণ্টা ঘুম নষ্ট করেও প্রত্যেকেই তার কথা শুনতে প্রস্তুত।

বিশাল আস্তাবলের শেষ প্রান্তে কড়িকাঠে ঝুলানো একটি বাতির নিচে একটু উঁচু একটি জায়গায় খড় বিছিয়ে আরামদায়ক একটি জায়গা করে বুঢঢা মেজর। বারো বছর বয়েসের অভিজ্ঞতার ছাপে পরিপূর্ণ ও শান্ত চেহারা তার। গত কয়েকদিনে বেশ নাদুস নুদুস হয়ে উঠলেও চলন চালন অনেকটাই রাজকীয়। ধীরে ধীরে বাকী পশুরাও হাজির হয় ও তাদের নিজস্ব স্বভাব মতো জায়গা করে নেয় আস্তাবলে। সবার আগে আসে তিনটি কুকুর, জবা-কুসুম, জেসি ও খাবলা। তদের পরই বাকী শুয়োরগুলো এসে জায়গা নেয় বুঢঢা মেজরের সামনের ঘড়ের গাদায়। মুরগিরা বসে জানলার সামনের আড়াআড়ি কাঠে, কড়িকাঠের উপরে শোনা যায় কবুতরদের পাখা ঝাপটানোর শব্দ। গরু আর ভেড়ারা শুয়োরদের পেছনে বসে জাবর কাটা শুরু করে। গাড়ি টানার দুই ঘোড়া, বক্সার ও ক্লোভার আসে একসাথে আস্তে আস্তে খুব সাবধানে পা ফেলে, যাতে খুরের ঘায়ে ঘড়ের গাদায় বসা ছোটো কোনো জন্তু আঘাত না পায়। মাঝারি বয়েসের মাদি ঘোড়া ক্লোভার এই খামারের আজও অপরিহার্য, যদিও চারটি বাচ্চার ধারণ ও প্রসবের পর তার চেহারার জৌলুস আগের চাইতে অনেকটাই কম। প্রায় দুটো সাধারণ ঘোড়ার সমান আকারের খুবই শক্তিশালী বক্সার তার সঙ্গী। নাকে একটি হালকা দাগ থাকায় বেশ মজার চেহারা বক্সারের। বুদ্ধিবৃত্তির দিক থেকে উঁচু স্তরের বলা না গেলেও চরিত্র ও কর্মক্ষমতার গুনে সবার কাছেই আলাদা আসন তার। ঘোড়াদের পেছনে পেছনে এলো সাদা ছাগল মুরিয়েল ও গাধা বেনজামিন। বেনজামিন এই খামারের সবচেয়ে বয়েসী পশু ও বয়েসের সাথে মিলিয়েই তার মেজাজ। তির্যক কোনো মন্তব্যের বাইরে বেশী কিছু বলা একেবারেই পছন্দ নয় তার। তার কথার নমুনা হিসেবে বলা যায়, “ঈশ্বর আমায় লেজ দিয়েছেন মাছি তাড়ানোর অস্ত্র হিসেবে, তবে সবচেয়ে ভালো হতো, যদি মাছি আর আমার লেজ, দুটোর একটিও না থাকতো।“ এই খামারে মাঝে সেই একমাত্র জন্তু, যার মুখে কখনো হাসি দেখা যায়নি। এই প্রশ্নে তার উত্তর, “এমন কিছু এযাবৎ দেখিনি, যাতে হাসি পায়।“ বক্সারকে তার খুবই পছন্দ, যদিও সে সেটি কক্ষনো স্বীকার করতে চায় না। ফলের বাগানের পেছনের উঁচু জায়গাটিতে দুজনকে অন্তরঙ্গভাবে পাশাপাশি ঘাস খেতে দেখা যায় প্রতি রোববারেই। তবে ক্বচিৎ কোনো কথা তাদের মাঝে বিনিময় হতে দেখা যায়নি কখনোই।

ঘোড়ারা বসতে না বসতেই হেলতে দুলতে আসে ছোটো ছোটো হাসের একটি দল। কদিন আগেই নিজেদের মাকে হারিয়েছে এরা। একটি নিরাপদ বসার জায়গার সন্ধানে প্যাক প্যাক করতে করতে এদিক সেদিক তাকায় ওরা, যাতে কারো পায়ের নীচে পিষ্ট না হতে হয়। সামনের দুটো পা বাড়িয়ে একটি দেয়ালের মতো করে দিল ক্লোভার। হাসের দলটি সেখানে বসে সাথে সাথেই ঘুমিয়ে পড়ে। তারপর চিনি চিবোতে চিবোতে আসে মলি, মিসেস জোনসএর গাড়ি টানার মাদী ঘোড়া। চরিত্রে অনেকটা অস্বাভাবিকত্ব থাকলেও দেখতে খুবই সুন্দর সে। লাল ফিতে বাঁধা সাদা কেশর ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে একেবারে সামনে একটি জায়গা খুঁজে বসে মলি। সবশেষে আসে বিড়ালটি ও স্বাভাবিকভাবেই সবচেয়ে উষ্ণ স্থানের সন্ধানে বক্সার আর ক্লোভারের মাঝের জায়গাটিতে গড়াগড়ি শুরু করে। বুঢঢা মেজরের বক্তৃতার সময় তার ডাকে আরামে।

“বন্ধুরা, তোমরা আমার গতরাতের অদ্ভুত স্বপ্নের কথা শুনেছ। কিন্তু এই স্বপ্নের কথা বলার আগে আরও কিছু কথা জানাতে চাই তোমাদের। মনে হয় না, আমি আর বেশিদিন তোমাদের মাঝে থাকব। তাই মৃত্যুর আগে অভিজ্ঞতা ও শিক্ষায় যে সব অর্জন আমার, তার সব তোমাদেরকে দিয়ে যাওয়া নিজের দায়িত্ব মনে করি। জীবনের অনেকটা বছর পেছনে ফেলে ও নিজের খোঁয়াড়ে বসে অনেক ভাবার সময় হয়েছে আমার। এই পৃথিবীতে জীবনের গুড় অর্থ যে কোনো পশুর যতোটা বোঝে, আমার নিজের বোধও তার চাইতে কম নয়। তোমাদেরকে বলার বিষয়বস্তু আজা আমার এটিই।

আমাদের জীবনের অর্থ কি বন্ধুরা? এসো, সেটি কোনো সহজভাবে আমাদের চোখের সামনে তুলে ধরি। জীবন খুবই ছোট আমাদের। এর মাঝে দু:খ কষ্ট আর বিরামহীন খাটুনি ছাড়া আর কিছুই নেই। আমরা জন্ম নিই, আমাদের শরীর ও নিশ্বাস প্রশ্বাসকে টিকিয়ে রাখার জন্যে যতোটা জরুরী, ঠিক ততটুকু খাবারই আমরা পাই। আমাদের মাঝে যারা শারীরিক পরিশ্রমের যোগ্য, তাদেরকে জীবনের শেষ নি:শ্বাস অবধি কাজ করে যেতে হয়। প্রয়োজন ফুরলেই নির্মম ভাবে হত্যা করা হয় আমাদের। এখানকার পশুদের বয়েস এক বছর হলেও জীবনের অর্থ ও সুখ সম্পর্কে সামান্য কোনো ধারণা থাকে না। ইংল্যান্ডের কোনো পশুই মুক্ত নয়। প্রতিটি পশুর জীবন যে দুঃখ ও দাসত্বের, এটিই নির্মম বাস্তব।

এটাই কি প্রকৃতির নিয়ম? নাকি যে মাটির উপর বেঁচে আছি আমরা, সে এত দরিদ্র যে, আমাদেরকে ভালভাবে বাঁচার উপকরণ দিতে পারছে না। না, বন্ধুরা না, হাজারবার না! ইংল্যান্ডের মাটি উর্বর, তার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য আমাদের ভালভাবে বেঁচে থাকার যথাযথ। আমদের মতো হাজারো মাটির বাসিন্দার প্রয়োজনীয় খাবার দেবার তার যথেষ্ট ক্ষমতা। এই একটি মাত্র খামারেই এক ডজন ঘোড়া, বারোটা গরু, হাজার খানিক ভেড়াকে ভালোভাবে বেঁচে থাকতে পারে ও সেটি এতোটা সম্মান ও প্রাচুর্যের সাথে,যা আমাদের কল্পনারও বাইরে। তাহলে এতটা করুণ অবস্থার কেন বেঁচে আমরা? কারণ একটিই। আমাদের সব পরিশ্রমে উৎপাদিত যাবতীয় সব ফসল চুরি করে মনুষ্যজাতি ও আমাদের সবরকম দুরবস্থার এরাই একমাত্র কারণ । একটিই মাত্র শব্দ –মানুষ আমাদের একমাত্র শত্রু! একমাত্র এদেরকে তাড়ানো হলেই ক্ষুধা আর হাড়ভাঙ্গা খাটুনীর থেকে চিরদিনের জন্যে মুক্তি পাবো সবাই।

মানুষই একমাত্র প্রাণী, যারা অন্যের উৎপাদিত বস্তু আহার করে। তারা দুধ দেয় না, ডিমও পাড়ে না, লাঙ্গল টানার শক্তিও এদের নেই। একটি খরগোস ধরার জন্যে দ্রুত দৌড়ানোর ক্ষমতাও নেই এদের। অথচ এরাই বাকী সব পশুদের প্রভু! এই মানুষরাই সবাইকে পরিশ্রম করতে বাধ্য করে, তারপর তাদের জন্যে শুধুমাত্র বেঁচে থাকার নুন্যতম খাবার রেখে বাকী সব নিজেরা ভোগ করে। আমাদের শক্তিতে মাটি চাষ করে ওরা, আমাদের বর্জ্যে সে মাটিকে উর্বর করে অথচ আমাদের কারোরই নিজেদের শরীরের চামড়াটুকু ছাড়া আর আর কোনো সম্বল নেই। এই যে গরুর পাল আমার সামনে বসে আছ, কত হাজার গ্যালন দুধ তোমরা গত বছর দিয়েছ! তোমাদের বাছুরদের ভাগ্যে তার কতোটা পড়েছে? কোথায় গেলো এই দুধ? উত্তর একটিই, তার প্রতিটি বিন্দু গলা-ধরণঃ করেছে আমাদের শত্রুরা। এই যে মুরগির পাল, কত হাজার ডিম পেড়েছ গত বছর, কত ছানা জন্ম নিয়েছে তাতে? সব বাজারে বিক্রি করা হয়েছে, জোনস ও তার লোকদের সম্পদ বাড়ানোর জন্যে। আর ক্লোভার, তুমি যে চারটি সন্তানের জন্ম দিলে, তাদের কি হল? তোমার বুড়ো বয়েসের অবলম্বন হতে পারত তারা। অথচ এক বছর বয়েস হবার সাথে সাথেই একজন একজন করে বিক্রি হল সবাই। তাদের কাউকেই কোনোদিন আর দেখতে পাবে না তুমি। এই চারটি শিশুর জন্ম দিয়ে আর মাঠে খাটা খাটুনির পর তোমার প্রাপ্য কি শুধুমাত্র খাবার আর এই খোঁয়াড়? তারপরও আমাদের এই নিদারুণ কষ্টের জীবন শেষে স্বাভাবিক মৃত্যু বলতে কিছু নেই। নিজের কথা বলতে গেলে বলতে হয়, আমি গুটিকয়েক সুবিধাভোগীদের একজন। বয়েস বারো পেরিয়েছি ও জন্ম দিয়েছি প্রায় চারশো শিশুর। একটি শুয়োরের স্বাভাবিক জীবন এটিই। তারপরও এই ক্ষুরধার ছুরির হাত থেকে রেহাই নেই কারোরই। এই যে আমার সামনে যে সব শুয়োরের বাচ্চারা বসে আছে, একটি বছরে পেরুলেই কসাইয়ের টেবিলে জায়গা হবে সবার। আমাদের সবার সামনে এই একই বিভীষিকাময় সমাপ্তি । গরু, শুয়োর, মোরগ-মুরগি, ভেড়া, সবার- সবার বেলাতেই এই একই পরিণতি। এমনকি কুকুর ও ঘোড়াদের এর চাইতে ভালো কোনো পরিণতি নেই। বক্সার, একদিন যখন পেশীর জোর কমবে তোমার, কেটে কুটে কুকুরের বাচ্চাদের খাবার হিসেবে রান্না করা হবে। আর কুকুরগুলো-, যখন দাঁত পড়বে তাদের, বুড়ো হবে, গলায় পাথর বেঁধে পুকুরে ডুবিয়ে মারবে জোনস।
********** চলবে ...

জর্জ অরওয়েল (Georhe Orwell) বইটি আগে পড়া হয়নি। ছেলে জার্মান অনুবাদ পড়ে বলল বাংলায় অনুবাদের জন্যে। আমি পড়লাম, জার্মান ও ইংরেজি দুটো ভার্সনই হাতে নিয়ে অনুবাদে বসে গেলাম। আপনাদের অনেকের নিশ্চয়ই পড়া বইটি, তবে প্রিয় সচলায়তনে আবার ফিরে আসার লক্ষে এই অনুবাদ আমার নিজেরও এক পদক্ষেপ ।


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি

মন্তব্য পরে, আগে কোচ্চেন জিগায়া লই। এতোদিন কোথায় ছিলেন? (আবার ভাইবেন না আনিসুল হকের উপন্যাসের পাবলিসিটি করতাছি, কিংবা জীবনানন্দের বনলতা সেন পড়তেছি!)

তীরন্দাজ এর ছবি

বেঁচে ছিলাম, ভালো ছিলাম, ঝামেলায় ছিলাম। সামনের হপ্তায় কোলন আসছি, সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার অবধি। তোমার কি সময় হবে, সন্ধ্যায় একসাথে খেতে যাবার?

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

ধুসর গোধূলি এর ছবি

মঙ্গলবারে সন্ধ্যায় আইতেছি। রেডি হয়া আইসেন, হাসিব্বাইয়ের নামে বিচিং করুম। অনেক বিচিং জমে গেছে! দেঁতো হাসি

তীরন্দাজ এর ছবি

হাসিব আসরে আর ভালো। তোমার মোবাইল নাম্বার হারাইছি। ইমেইল করে পাঠিও একবার। আমারটাও পাল্টাইছে। পাঠাব তোমাকে।

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

হিমু এর ছবি

আনিস ভাই নতুন নাম্বার ইদিকে দিয়েন

তিথীডোর এর ছবি

'এতোদিন কোথায় ছিলেন?

ঠিক এটাই লিখতে এসেছিলাম। দেরি কইর্যা ফালাইসি। চোখ টিপি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

মন্তব্য পরে, আগে বলেন আপনি কি সত্যি সত্যি আনিস ভাই? আপনি সত্যি সত্যি তীরু'দা? আপনিই সেই জাহাজী যাযাবর?

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তীরন্দাজ এর ছবি

হ্যা ভাই। সত্যি বলছি, আমিই সেই ....!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

মিউনিখ থেকে কোলন দূরে, ইয়েনা কাছে দেঁতো হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তীরন্দাজ এর ছবি

কোলন অফিসের কাজে যাচ্ছি। Jena হয়ে মাঝে মাঝে কোথাও বেড়াতে যাই। তখন যোগাযোগ হবে। মিউনিখে চলে এসেো একবার!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ইয়েনা আসলেই নক করবেন। আপনার চুল আরো সাদা হইছে কিনা দেখতে চাই! হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তুলিরেখা এর ছবি

আহ, আপনার জাহাজী কাহিনিগুলো কী যে ভালো লাগতো !!!
লেখা নিয়ে ফিরে আসায় খুব ভালো লাগছে। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তীরন্দাজ এর ছবি

এখনও বেড়াতে বেরোই, দেশে দেশে..। তবে জাহাজী যাযাবর অন্য কাহিনী, অন্য সময়, এক অন্য ধননের যুদ্ধ, সে রকম আর হবে না। শুভকানায়..

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

খেকশিয়াল এর ছবি

তীরুদা সেন!!
এতোদিন কোথায় ছিলেন??

মনে হচ্ছে এই প্রশ্ন আপনাকে আরো কয়েকশবার শুনতে হবে এইখানে হাহাহা!
ভাল আছেন তীরুদা?

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

তীরন্দাজ এর ছবি

ভ্রালো ছ্রিলাম, ব্রাস্ত চ্রিলাম, -- ‌ঝ্রামেলা ‌ছ্রিল.. তবে এখন ভালো। চেষ্টা করছি ফেরার।

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

শিশিরকণা এর ছবি

অ্যানিমাল ফার্মের তো একাধিক বাংলা অনুবাদ রয়েছে, আবার এতে হাত দিলেন কেন? বানান শিকারীদের হাত ঘুরে এলে কিছু কটকট করে তাকিয়ে থাকা বানান ভুল গুলো যন্ত্রণা দিত না।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

আইলসা এর ছবি

চলুক
আমি সেবা প্রকাশনীরটা পড়ছিলাম। ভালো ছিল।

তীরন্দাজ এর ছবি

সেবা তো অনুবাদে ওস্তাদ! ওদের কাজ আমারও ভালো লাগে

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

তীরন্দাজ এর ছবি

জানতাম না, বাংলা অনুবাদ আছে। তবে অনুমান করেছি কিছুটা। এখন কী আর করা!
দু:খিত, বানানে আমি দুর্বল, কিন্তু অভ্রর স্পেল চেক ও কি আমার মতো? আরো সাবধান হবো!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

অর্ক রায় চৌধুরী এর ছবি

গল্পটা পড়বো পড়বো করেও পড়া হয়ে ওঠেনি। ভালো লাগলো অনুবাদটা পেয়ে।
পরের পর্বগুলো তাড়াতাড়ি পাবো আশাকরি।

তীরন্দাজ এর ছবি

চেষ্টা করবো!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

উজানগাঁ এর ছবি

তীরুদা ! ছিলেন কই এতদিন?

সচলে আপনারে মিস করি। আপনার লেখাগুলো সচলকে অন্য এক মাত্রা দেয়। হাসি এইরকম হাওয়া হয়ে যাওয়ার আগে সচলে একটা নোটিশ টাঙিয়ে যাইয়েন। চোখ টিপি

তীরন্দাজ এর ছবি

ভীষন ব্যাস্ত ‌ছিলাম, লেখাও আসতো না.. সে জন‌্যেই অনুবাদ ধরে পদার্পণ ...

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

সুমন চৌধুরী এর ছবি

২০১০ সালের অক্টোবরের পরে এই এলেন।

তবে ভালো একটা অনাবাদ নিয়ে এসেছেন এটাই বড় কথা দেঁতো হাসি

তীরন্দাজ এর ছবি

অনুবাদ কতটা ভালো হচ্ছে, জানা নেই। তবে লেখার জগতে আবার ফিরে আসার প্রচেষ্টা তো বটেই! কোলনে চলে এসো সামনের মঙ্গল বার সন্ধ্যায়!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

স্যাম এর ছবি

চলুক চলুক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অনেকদিন পর তীরুদার লেখা!

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তীরন্দাজ এর ছবি

হ্যা, তাই... অনেক অনেক দিন পর। ভালো ‌আছেন নজরুল?

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

দুর্দান্ত এর ছবি

সালাম, অনেকদিন পরে আপনার লেখা পড়লাম। চালু থাকুক।
***
ব্লুবেল এর নাম জবাকুসুম খুবই যুতসই মনে হয়েছে।
***
আমি আর আমার বাচ্চারা একটা স্টপ-মোশন সিরিজ দেখি, ওটার নাম "শন দ্য় শিপ" । সময় পেলে দেখতে পারেন। অরওয়েলিয়ান গাম্ভীর্য নেই, কিন্তু সমান্তরালগুলো চোখে পড়ার মত।

তীরন্দাজ এর ছবি

সালাম। "শন দ্য় শিপ" দেখব। আমি নিজেও গম্ভীর নই, সুতরাং ভালোই লাগবে। আপনারা ভালো আ্যেন তো?

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

পথিক পরাণ এর ছবি

অনুবাদ ভালো লেগেছে।

চলুক---

তীরন্দাজ এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে।

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

কড়িকাঠুরে এর ছবি

ভাল লেগেছে । পরের পর্ব দ্রুত আসুক- আবার ফিরে খুশিতে...

"শন দ্য শিপ" তো আমিও মাঝে মাঝে দেখতাম ।

তীরন্দাজ এর ছবি

ধন‌্যবাদ। পরের পর্বও আসবে।

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

অনিকেত এর ছবি

তীরু দা-আ-আ-আ-আ-আ-আ-আ-আ-আ-আ-
এমন ডুব কি মাইনষে মারে??
আপনি একেবারেই অমানুষের মত একটা কাজ করেছেন!
যাই হোক ওরওয়েলের 'না-মানুষিদের ফার্ম' এর অনুবাদ ভাল হচ্ছে। কুকুর গুলোর নাম পড়ে খুব মজা পেয়েছি---

আর এমন ডুব দিয়েন না বস

আপনারে আসলেই খুব মিস করেছি

শুভেচ্ছা নিরন্তর!!!

তীরন্দাজ এর ছবি

অরেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকেও আর এতেটা উষ্ণতার জন্যে নিজের ভালো লাগছে খুব।

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

পুতুল এর ছবি

১ গত কয়েকদিনে বেশ নাদুস নুদুস হয়ে উঠলেও চলন চালন অনেকটাই রাজকীয়।
২ বুঢঢা মেজরের বক্তৃতার সময় তার ডাকে আরামে।
৩ এসো, সেটি কোনো সহজভাবে আমাদের চোখের সামনে তুলে ধরি।
৪ এই পৃথিবীতে জীবনের গুড় অর্থ যে কোনো পশুর যতোটা বোঝে,
৫ ইংল্যান্ডের মাটি উর্বর, তার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য আমাদের ভালভাবে বেঁচে থাকার যথাযথ।
৬ এই একটি মাত্র খামারেই এক ডজন ঘোড়া, বারোটা গরু, হাজার খানিক ভেড়াকে ভালোভাবে বেঁচে থাকতে পারে ও সেটি এতোটা সম্মান ও প্রাচুর্যের সাথে,
৭ আমাদের সব পরিশ্রমে উৎপাদিত যাবতীয় সব ফসল চুরি করে মনুষ্যজাতি ও আমাদের সবরকম দুরবস্থার এরাই একমাত্র কারণ ।
৮ আমাদের বর্জ্যে সে মাটিকে উর্বর করে অথচ আমাদের কারোরই নিজেদের শরীরের চামড়াটুকু ছাড়া আর আর কোনো সম্বল নেই।

এই বাক্য গুলো আর একবার পড়ে যদি কোন অসংগি আছে বলে মনে হয়, তা হলে ঠিক করে দিন তীরুদা। বাকী কথা শেষ পর্বে জানাব।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।