অতীতের সাথে পত্রালাপ (তিন) – পথ আর ঘর

তীরন্দাজ এর ছবি
লিখেছেন তীরন্দাজ (তারিখ: সোম, ১০/১২/২০১২ - ৪:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রিয় বন্ধু রতিকান্ত,
তুমি তো জান, নিজের স্বতঃস্ফূর্ততার প্রতি অগাধ বিশ্বাস আমার। এই বিশ্বাসের উপর ভরসা রেখেই দবির মিয়ার পেছনে পেছনে চলি। বাইরে বেশ রোদ হলেও আমার চোখে সে রোদ কেমন যেন হলদেটে রঙে মেশানো। তুমি আর আমি মিলে একবার সূর্যগ্রহণ দেখেছিলাম। আজ এ রোদের অনেকটা সেরকমই অবয়ব। মনে হয় কোনো এক স্বপ্নের ঘোরে পাড়ি দিচ্ছি কোনো এক শান্ত নদী। কিন্তু সে শান্ত নদীর ঘাট অনেক মানুষ আর নৌযানে আর মাত্র কিছুক্ষণের জন্যে সরগরম। তারপরই কোনো সময়ের এক শিথিল সমাপ্তি। অনেক লোকেরই সামনাসামনি হলাম। সবাই অবাক চোখে তাকালেও দবির মিয়া সাথে থাকায় হয়তো কারও কিছু বলার সাহস হল না। মাটিতে নিজের ছায়া মেপে মনে হয়, দিনের অর্ধেক পার হয়েছে।

অবশেষে এক রাস্তায় আসি, যার দুপাশে অসংখ্য বাড়িঘর। কোনো কোনো বাড়ি নতুন, কোনো কোনো বাড়ি পুরনো,ধ্বংসের মুখোমুখি। নিজেকে এই পুরনো বাড়ির চাইতে আলাদা লাগল না। মাথার ক্ষতস্থানে তীক্ষ্ণ যন্ত্রণা, শরীর জুড়ে ক্লান্তি আর অবসাদ, পা দুটো চলতে চায় না। প্রতিটি বাড়ির সামনে দিয়ে যাবার সময় প্রতিবারই মনে হয়, এখানেই ঢুকবে দবির মিয়া। কিন্তু আমাকে প্রতিবারই হতাশ করে হেঁটেই চলে সে। আমিও তার পেছনে পেছনে অবসন্ন পা চালাই। তারপরও আমার চোখের সামনে যে নতুন দৃশ্যপট, তাতে চোখ রাখতে ভুলি না।

একটি কথা তোমাকে বলি রতিকান্ত। নিশ্চয়ই খুব হতাশ হবে শুনে। আমি নিজেও হয়েছি, তবে এই কদিনের নানা অভিজ্ঞতার জটাজালে সে হতাশা লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করি। এখনকার পৃথিবীতে মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব, সেকথা বলা যায় না আর। স্পষ্টতই এরা এদের আধিপত্য হারিয়েছে। আগের চিঠিগুলোতে তোমাকে যে সব নানা ধরণের ছোটোবড়ো জন্তুর কথা লিখেছিলাম, এখনকার সময়ে তাদের একচ্ছত্র আধিপত্যের নিদারুণ ধার। এদের চলার গতি মানুষদের চাইতে অনেক বেশী ও এরা কাউকে তোয়াক্কা করে বলে মনে হল না। এদের আগ্রাসী আক্রমণ শুধুমাত্র আমার বিরুদ্ধেও নয়, অন্য মানুষদের প্রতিও তাদের একই আচরণ। মানুষদেরই নিজদের জান বাঁচিয়ে অপরিসীম দক্ষতায় রাস্তাঘাটে চলাফেরা করতে হয়। দবির মিয়াও আমার হাত ধরে একবার পথের ওপাশে নিয়ে গেল। খুব ভয় পেলেও তার সাহায্যে সহজেই জন্তুদের পাশ কাটিয়ে যেতে পারলাম।

তারপরও মানুষ এতটা আনন্দে কিভাবে থাকে, বুঝতে পারি না। প্রায় প্রতিটি বাড়ির সামনেই দোকান পাঠ। হাজারো দ্রব্যের পশরার মাঝে হাজারো লোকের ভীড়। হৈচৈ আর চীৎকারে কার পাতা দায়। এরই মাঝে বাড়ি ও দোকানপাট থেকে প্রায় সবখানেই জোর গানবাজনার আওয়াজ শুনতে পাই। এসব এর আগে কখনও না শুনলেও সঙ্গীত হিসেবে ঠিকই চিনেছি। আনন্দে না থাকলে এত গানবাজনা করে কেউ? মাঝে মাঝে জোর গলায় কথাও শুনতে পাই। এ সব মিলিয়ে বাইরের লোকদের কানে খুব সুখপ্রদ না হলেও, ভেতরে সবাই নিশ্চয়ই খুব উপভোগ করে।

মনে আছে তোমার, একবার কোনো একে মেলায় হারিয়ে গিয়েছিলাম আমরা? একসাথেই ছিলাম দুজনে। অনেক মানুষের ভীড় আর ধাক্কাধাক্কির মাঝে হঠাৎ দেখি, তুমি নেই। মেলা তখন শেষ প্রায়। সবার ভেতরেই বাড়ি ফেরার তাড়না। ভীড় কমবে একসময়, এই অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রইলাম একই জায়গায় অনেকক্ষণ। একসময় কমলও ভীড়, দেখি তুমিও দাঁড়িয়ে আছ সামান্য দূরে। ঘটনাটি কেন বলছি জান? অনেক মানুষের ভীড়ে আমরা যেমন একা হয়ে গিয়েছিলাম, এখনকার হাজারো মানুষের ভীড়ে একেকটি সত্বা একই ধরনের একাকীত্বের কবলে বন্দী। এর পাশাপাশি বিশাল এই সমষ্টির চাপে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য কোনো না কোনো ভাবে তার সুস্থতা হারিয়েছে। নইলে অনেককেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে একা একা নিজের সাথেই কথা বলতে দেখতাম না। মানুষজাতির এ ধরণের অবমমন দেখে খুব আঘাত পেয়েছি রতিকান্ত।

দবির মিয়ার সাথে অবশেষে এমন একটি এলাকায় ঢুকি, যেখানে দুর্গন্ধে নিজের নাক চেপে ধরতে বাধ্য হই। একটার সাথে একটা লাগানো, পাশাপাশি ছোট ছোট ঘর, সামনে নোংরা নর্দমা। নর্দমার জলে হাজারো ধরণের যে সব বস্তু ভাসছে, সেসব আগে কোনোদিনই দেখিনি। এরই পাশে খেলাধুলা করে, দৌড়ায় আর গড়াগড়ি খায় শিশুরা। আমাদেরকে দেখে নিজেদের খেলা ফেলে হৈচৈ করতে করতে পেছনে পেছনে ছোটে। আবারও ঢিল ছোড়ে কি না, সেটি ভেবে পেছনে তা্কালেও তেমন কিছুই হল না। হয়তো দবির মিয়াকে দেখে কিছু করার সাহস হয়না ওদের। সামনের নর্দমা লাফিয়ে পেরিয়ে এমনি এক ছোটো ঘরে ঢোকে দবির মিয়া। আমিও তার পেছনে পেছনে ঢুকি। বাচ্চারা দাড়িয়ে থাকে নর্দমার ওপারে। একটু পরই দবির মিয়ার ধমকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

খুব ছোট একটি ঘর। খোলা দরজা ও বেড়ার ফাঁকফোকর ছাড়া ভেতরে আলো ঢোকার কোনো পথ নেই। এক পাশের এক কোনে পাতা একটি বিছানা আর অন্যপাশে রান্নার একটি উনোন ছাড়া তেমন কোনো আসবাবপত্রও নেই ঘরে। বিছানার উপরে একটি টানা দড়িতে কিছু আধময়লা জামা কাপড় ঝোলান। ইশারা করে বিছানায় আমাকে বসতে বলে দবির মিয়া। নিজের গায়ের পোশাকটি খুলে দড়িতে ঝুলিয়ে নিজেও আমার পাশে বসে।

কী, ডাইল-ভাত খাইবেন?

পুরোটা না বুঝলেও, খাওয়ার কথা বলছে দবির মিয়া, তা বুঝতে পারি। প্রশ্নবোধক দৃষ্টি নিয়ে তার দিকে তাকাই।

গরীবের খাওন! ডাল আর ভাত, খাইবেন? তাইলে করিমনরে ঘরে যাইয়া দেখি।

মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলি। এই হ্যাঁ বলার মাঝে নিজের নিরুপায় অবস্থা আর দবির মিয়ার প্রতি অগাধ বিশ্বাস, দুটোই মিলেমিশে এক।

ইশারায় আমাকে বসতে বলে বাইরে বেরিয়ে যায় দবির মিয়া। ছয়শ বছর সময় পাড়ি দিয়ে পৃথিবীর ছোট্ট একটি ঘরের ময়লা একটি বিছানায় একা বসে আমি। একমাত্র দবির মিয়া বাদে এখানকার প্রতিটি মানুষ, প্রতিটি কোন আমার অচেনা। মায়ের নাড়ি ছিঁড়ে এখানে আগমন নয় আমার। এখানকার কোনো মায়ের বুকের দুধ পান করি নি, এখানকার আলো বাতাসে কোনো পদচারণার সুযোগ হয়নি আমার। একেবারেই উড়ে এসে জুড়ে বসেছি এখানে। আমাকে সেভাবেই চিনেছে পথিকের দলটি, একই ভাবে চিনেছে পথের ছেলেপিলের দলটিও। এদের প্রতি কোনো ক্ষোভ থাকে না আমার আর, বরং আমার সৌভাগ্য, আমার একমাত্র পথপ্রদর্শক দবির মিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতায় ভরে উঠে বুক।

একটু পরই দুই হাতে দুটো পাত্র নিয়ে ফিরে আসে দবির মিয়া। ঘরের কোন থেকে এনে মাটিতে একটি বিছানা পাতে। উনোনের পাশ থেকে দুটো পাত্র সাজায় বিছানার উপর। মাটির আরেকটি পাত্র থেকে জল ভরে দুটো ছোট ছোট পাত্রে। তারপর নিজে সে বিছানায় বসে আমাকেও বসতে বলে পাশে।

খাবারের স্বাদ, গন্ধ অপরিচিত হলেও খুব তৃপ্তি করে খাই। মনে হয়, এর চাইতে ভালো কিছু আগে কখনোই খাইনি। খেতে খেতে সারাক্ষণই কথা বলে যায় দবির মিয়া। সব কথা বুঝতে না পারলেও, অনেকটাই বুঝতে পারলাম। এসব কথার বেশীরভাগই আমার এখানকার ভবিষ্যৎ জীবনকে ঘিরে। যতটুকু বুঝতে পরলাম, ততটুকুর সারসংক্ষেপ তোমাকে জানাচ্ছি।

আমি যেন আপাততঃ কয়েক দিন একা বাইরে না যাই। আমার এই পোষাকে পাল্টান খুবই জরুরী। না হলে বাইরে আবারও আক্রান্ত হবার ভয় রয়েছে। আরেকটু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়া দরকার। দবির মিয়ার ধারণা, কোনোভাবে কোথাও কারো হাতে আক্রান্ত হয়ে স্মৃতিশক্তি হারিয়েছি আমি। সেই স্মৃতি ফরে পাওয়া অবধি যে ভাবেই হোক, আমাকে আশ্রয় দেবে সে।

খাওয়ার পর তার আধময়লা দুটো পোশাক বের করে আমাকে পরতে দেয় দবির মিয়া। পোশাকটির নামও বলে দিল আমাকে। নীচের অংশটির নাম পায়জামা ও অন্যটির নাম পাঞ্জাবি। কিন্তু দুটোই আমার শরীরের তুলনায় এতই বেঢপ রকমের বড় যে, দবির মিয়া নিজেই হাসতে শুরু করে। বলে,

এইডা পইরা বাইর অইল পোলাপাইনে আর বেশি ঢিলাইব। নতুন কিনন লাগব। দেহি, রাইতে বাইর অইয়া কিছু আনন যায় নাকি।

বুঝতে পারলাম, রাতে চুরি করতে বের হবে সে। হয়তো কারো বাড়ি থেকে পোশাকই নিয়ে আসবে। ঠিক সেই মুহূর্তে কোমরে বাঁধা মোহরগুলোর কথা মনে পড়ে গেল আমার। থলিটি খুলে তুলে দিলাম দবির মিয়ার হাতে।

থলেটি খুলে সোনার মোহরগুলো দেখে বিস্ময়ে থ হয়ে যায় দবির মিয়া। একবার আমার দিকে, আরেকবার মোহরগুলোর দিকে তাকায়। চোখ বেয়ে জল বেরিয়ে তাসে তার। তারপর থলেটি আমার হাতে ফিরিয়ে দিয়ে বলে,

আগেই কইছিলাম, বড় মাইনসের পোলা আপনে। আল্লার লীলায় আমার লগে দেহা অইয়া গেছে। কিন্তু খুব আজিব এই আল্লা। লীলা করে, লীলার জবাব দেয়না। এহন আপনেরে আমি কই রাখি, কী খাওয়াই? হেইডা আল্লায় কয়না কেন।

বুঝতে পারলাম আমাকে নিয়ে খুব ভাবনায় পড়েছে সে। থলে থেকে একটি মোহর নিয়ে দবির মিয়ার হাতে দিলাম। সে নিতে না চাইলেও জোর করেই তার হাতে তুলে দিলাম সেটি। ইশারা করলাম, সেটি নিয়ে বাইরে যাবার জন্যে। কাপড়গুলোর দিকে দেখিয়ে বোঝাতে চাইলাম, যাতে কাপড় কিনে আনে সে। আমার ইশারা বুঝতে পেরে মোহরটি তার পেশাকে খুঁটে বেঁধে বেরিয়ে যায় দবির মিয়া। আমি তার বিছানায় শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ি।

অনেক উলট পালট স্বপ্নের পৃথিবীতে ঘুরে বেড়ালাম ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে। একবার ফিরে গেলাম অতীতের সে সময়ে। তোমাদের আর আমাদের বাড়ির মাঝামাঝি যে বিশাল প্রান্তর, সেখানে দৌড়ে বেড়ালাম পাগলের মতো। সেখানে হঠাৎ দেখা হল দবির মিয়ার সাথে। আমাকে দেখে একগাল হাসল সে। সে হাসির সৌন্দর্যে স্বপ্নের মাঝেই ভরে উঠলো বুক। আমার মনে হয় স্বপ্নের মাঝে অতীত, ভবিষ্যৎ আর বর্তমানে ভ্রমণ সবচাইতে সহজ। সবচাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে, সে স্বপ্নকে নিয়ন্ত্রণে আনা। আমরা তো পারিনি, এখনকার মানুষ পেরেছে কি না, সেটি জানতে হবে।

ঘুম ভেঙে দেখি দবির মিয়া দাঁড়িয়ে আছে সামনে। তার হাতে আনকোরা নতুন পায়জামা আর পাঞ্জাবি। আর মুখে স্বপ্নের মাঝে দেখা নেই সুন্দর হাসি। কাপড়গুলো আমার হাতে দিয়ে একগুচ্ছ কাগজের বান্ডিল তুলে দিল সে আমার হাতে। কাগজগুলো দিয়ে কী হবে, জানা নেই আমার। কিন্তু দবির মিয়ার প্রতি আমার অগাধ বিশ্বাস। একটু হেসে কাগজগুলো ফিরিয়ে দিলাম তার হাতে।

সে রাতেই ঘরে কোনো মাটিতে গর্ত খুঁজল দবির মিয়া। হাত নিয়ে নড়াচড়া করলেই খসখসে শব্দ করে, এমনি একটি কাগজ জাতীয় বস্তু দিয়ে মোহর আর কাগজগুলোকে সে গর্তে রেখে মাটি চাপা দেয়। আমাকে বারবার অনুরোধ করে, কাউকে না বলার জন্যে।

আজ আপাততঃ এখানেই শেষ করছি রতিকান্ত। নানা জোগাড়যন্ত্র করে দবির মিয়া এবার রাতের রান্না করতে বসেছে। কিন্তু চুলোতে আগুন ঠিকমতো না জ্বালাতে পেরে আগুনকেই গালাগালি করছে বারবার। আমি যতবারই সাহায্য করতে যাই, ততবারই তাড়িয়ে দেয়। আমি হাল ছেড়ে দিয়ে বিছানায় বসে তার কর্ম দেখছি। কিন্তু ধোঁয়ার প্রকোপে বন্ধ হয়ে আসছে চোখ।

তোমার কুশল কামনা করি।
ইতি
তোমার বন্ধু রামকুমার

চলবে ...

অতীতের সাথে পত্রালাপ (এক) - অবতরণ
অতীতের সাথে পত্রালাপ (দুই) – দবির মিয়া


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক মানুষের ভীড়ে আমরা যেমন একা হয়ে গিয়েছিলাম, এখনকার হাজারো মানুষের ভীড়ে একেকটি সত্বা একই ধরনের একাকীত্বের কবলে বন্দী। এর পাশাপাশি বিশাল এই সমষ্টির চাপে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য কোনো না কোনো ভাবে তার সুন্থতা হারিয়েছে।

চলুক

কিছু টাইপো আছে, ঠিক করে নেবেন। যেমন, সুন্থতা = সুস্থতা। দুধ পাণ = পান

চলুক।

ফারাসাত

তীরন্দাজ এর ছবি

ঠিক করে নিলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকেঅ

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ঠিকই বলেছে রামকুমার। তা না হলে একা একা নিজের সাথেই অতো কথা বলে নাকি মানুষ!‍ চোখ টিপি
মোবাইল? হাসি

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

তীরন্দাজ এর ছবি

ঠিক ধরেছেন। ধন্যবাদ জানাই।

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

হাত নিয়ে নড়াচড়া করলেই খসখসে শব্দ করে,

পলিথিন!

তীরন্দাজ এর ছবি

এটাও ঠিক ধরেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।