দুষ্ট কোষ

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৭/০৭/২০১৬ - ১০:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বদরুল ভাইয়ের অনেকদিন ধরেই মাজায় ব্যথা, ঠ্যাঙে ব্যথা। বসা থেকে উঠতে গেলে মাথা ঘুরান দেয়। বর্ণনা শুনে রনি জিজ্ঞেস করে, বমিও কি হয় বদরুল ভাই?
বদরুল ভাই দাঁত মুখ খিচিয়ে বলেন, আমি কি পোয়াতি?
মাস খানেক অপেক্ষার পর বদরুল ভাই দোনা মোনা করে বন্ধু কামরুল ডাক্তারের চেম্বারে হাজির হল। কথাবার্তার কোন ধার না ধেরেই কামরুল ডাক্তার একগাদা সুঁই টুই ফুটিয়ে একাকার করে ফেললো। বদরুল ভাই উৎকণ্ঠিত গলায় বলেন, যেই হারে রক্ত নিতেছস নিজে খাবি নাকি বাজারে নিয়ে বেচবি?
কামরুল ডাক্তার কথা না বলে শুধু এইখানে সেইখানে টেপাটেপি করে।
বদরুল ভাই আবারও উৎকণ্ঠিত গলায় বলে, তুই না ক্যাডেট না মাদ্রাসা। কিন্তু ছেলেমানুষকে এইভাবে টেপাটেপি করা কই থেকে শিখলি রে?
কামরুল ডাক্তার আবারও কিছু না বলে শুধু হুমহাম করে।
এক সপ্তাহ পর একগাদা কাগজপত্র নিয়ে বদরুল ভাইয়ের বাসায় হাজির হয় কামরুল ডাক্তার ।
বদরুল ভাই আমাদের সাথে বসেই গুলতানি মারছিলেন। কামরুল ডাক্তার কি সব কঠিন কঠিন বাক্য বলে শেষ লাইনে এসে বলেন, বদ্রুইলা তোর ক্যান্সার হইছে।
বদরুল ভাই বিরক্ত মুখে বলেন, মানে কি?
- মানে, দুষ্ট কোষ। তোর শরীরে দুষ্ট কোষ গজিয়েছে। যেগুলো আস্তে আস্তে তোর ভালো কোষগুলাকেও দুষ্ট বানিয়ে দিচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে একদিন তোর শরীরের সমস্ত কোষ নষ্ট হয়ে যাবে।
- অ্যাঁ
- ভয়ের কিছু নেই। প্রাথমিক স্টেজ। একটু কাটাকুটি করা লাগবে। ঠিক হয়ে যাবার সম্ভাবনাই বেশী।

বদরুল ভাই হতভম্ব মুখে অ্যাঁ অ্যাঁ করতে থাকেন।

বদরুল ভাইয়ের চিৎকার শুনে ভেতর ঘর থেকে তার মাতা জয়নুল আন্টি বের হয়ে আসেন। ঘটনা শুনে উল্টা কামরুল ডাক্তারকে সে কি ঝাড়ি।
- কামরুল আমি সেই তোমাদের ছোটবেলা থেকেই দেখে আসতেছি তুমি খালি বদরুলের পিছনে লাগ।
- আরে, পিছনে কই লাগলাম আন্টি?
- অসুখ কি আর মানুষের হয় না? আমার ছেলের অসুখই খালি খুটায়ে বের করতে তোমাদের? এই যে তুমি সারাজীবন পেটের রোগী। ভালোমন্দ কিছু পেটে পড়লেই দৌড় দাও পায়খানায়। সেই নিয়ে কি আমি কিছু বলছি?
- আরে, কি কাণ্ড। কিসের মধ্যে কি?

আমরা কামরুল ডাক্তারের অবস্থা দেখে মিটিমিটি হাসছিলাম। জয়নুল আন্টি আমাদের দিকে বিষ দৃষ্টিতে তাকিয়ে প্রথমে মতিনকে ধরলেন।
- এই যে মতিন। হাসছ যে বড়? তোমার যে গতবছর পাইলসের অপারেশন হয়েছিল জানে সবাই?
জীবন পোদ্দার মতিনের দিকে তাকিয়ে দাঁত বের করায় আন্টি এবার জীবনকে ধরে বসেন।
- এই যে জীবন। খুব হাসা হচ্ছে। বলবো নাকি তোমার দাদ খুঁজলি চর্মরোগের কাহিনী?
মতিন আর জীবনের অবস্থা দেখে আমরা বাকি সবাই মুখ সিল গালা করে ফেলি। আন্টি আরও কিছুক্ষণ কামরুল ডাক্তারকে ঝাড়াঝাড়ি করেন।

কামরুল ডাক্তার পরের সপ্তাহে আবার এসে হাজির হয়। বলে, বদরুল অবস্থা যা ভেবেছিলাম তার চেয়ে কিঞ্চিৎ বেশী খারাপ। সামান্য বেশী কাটাকুটি করতে হবে।
বদরুল ভাই আবারও হতভম্ব মুখে অ্যাঁ অ্যাঁ করতে থাকেন। চিৎকার শুনে এইবার বদরুল ভাইয়ের বাপ আমিরুল আঙ্কেল এসে হাজির। আমিরুল আঙ্কেল জাঁদরেল উকিল। কামরুল ডাক্তারকে জেরা শুরু করেন।
- কোথায় কাটাকুটি করতে হবে?
- ওই পায়ের উপরের দিকে একটা অংশে।
- কাটাকুটি করে কি করবা?
- হাড়ের কিছু অংশে যেখানে দুষ্ট কোষ যা আছে তা ফেলে দিব।
- এরা যে দুষ্ট তার প্রমাণ আছে তোমার কাছে?
- আঙ্কেল ব্লাড রিপোর্ট
- ব্লাড তো শরীরের সবখানেই থাকে। সেই দেখে তুমি কিভাবে বল শুধু ওইখানেই সমস্যা।
- আঙ্কেল এক্সরে।
- আরে রাখ তোমার এইসব। তুমি দুই তিনটা ব্লাড আর এক্সরে রিপোর্ট দেখে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললা?
- না মানে
- কথা নাই বার্তা নাই শরীরের একটা অংশ ফেলে দিবা?
- না মানে রিপোর্ট অনুসারে তো
- রিপোর্টের ব্যাপারে তুমি এত কনফিডেন্ট হও কিভাবে? তুমি তোমার রক্ত দিয়ে যাও, আমি কয়েক জায়গায় টেস্ট করায়ে রিপোর্ট দিতে পারবো তুমি প্রেগন্যান্ট।

কামরুল ডাক্তার আমিরুল আঙ্কেলের সাথে তর্ক করতে করতে ঘেমে নেয়ে বিদায় হয়।

দুই সপ্তাহ পর ভয়ে ভয়ে আবার কামরুল ডাক্তার হাজির হয়। আগেরবার যাবার সময় বদরুল ভাইয়ের আরও ব্লাড আর কি কি জানি স্যাম্পল নিয়ে গিয়েছিল। বিমর্ষ মুখে বলেন,
- অবস্থা বেশ খারাপ। এখনই কিছু না করলে এক পা কেটে ফেলতে হবে। আমি মেডিক্যাল টীম বসিয়েছিলাম। সবাই দেখে একই কথা বলল।

বদরুল ভাইকে সান্ত্বনা দিতে বন্ধু খায়রুল ভাই হাজির হয়েছিলেন। খায়রুল ভাই হালের বিরাট জ্ঞানী লোক। জানেনা এমন কিছু নেই। তিনি সব শুনে হাসিমুখে বদরুল ভাইকে বলেন, কাটাকুটি কোন সমাধান হতে পারে না।
- তবে কি সমাধান?
- সমাধান সহজ। প্রবলেমটা ভালবাসার, এদেরকে জড়িয়ে ধরে বল ভালোবাসি।
- কারে জড়ায়ে ধরবো?
- তোর দেহের দুষ্ট কোষদেরকে। ভালবাসার অভাবে এরা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
- ক্যামনে ধরবো?
- তোর দুই হাত পা দিয়ে তোর বডি চেপে ধরলেই হবে।
- ন্যাংটো হয়ে?
- সেটা তোর ব্যাপার। ভালোবাসা প্লেটোনিকও হতে পারে আবার লেজেহোমোনিকও হতে পারে।

বদরুল ভাই দিগম্বর হয়ে ঘর অন্ধকার করে নিজেকে নিজে চেপে ধরলেন। নিজেকে নিজে চেপে ধরাটা নিশ্চয়ই বিচিত্র একটা ব্যাপার হবে। কিন্তু ঘর অন্ধকার থাকায় আমরা সেটা দেখতে পেলাম না। শুধু ভেতর থেকে বদরুল ভাইয়ের ফিসফিসে গলার শব্দ শোনা গেল, ভালোবাসি, ভালোবাসি।
রনি ফিচেল হাসি দিয়ে বলে, হাত থাকলে যদি হস্ত মৈথুন হয় তবে সারা দেহ থাকলে এইটাকে কি দেহ মৈথুন বলা যায়?

কামরুল ডাক্তার কাণ্ড দেখে ধুরবাল বলতে বলতে বিদায় হলেন। সারারাত ন্যাংটো হয়ে বসে থাকার বদরুল ভাইয়ের নিউমোনিয়া হয়ে গেল, ক্যান্সার ভালো হল না।

আরও একমাস পর কামরুল ডাক্তার এসে জানালো, এক পা আর এক নিতম্বের কিছু অংশ ফেলে দিতে হবে। বদরুল ভাই শুনে আবারও অ্যাঁ অ্যাঁ করে চিৎকার করেন। মনিরুল ভাই হাজির এবার। মনিরুল ভাই খায়রুল ভাইয়ের মতো অত বিরাট জ্ঞানী না হলেও মাঝারি জ্ঞানী। তবে বদরুল ভাইয়ের এখন যা অবস্থা কাটাকুটি ছাড়া যে যা বলে তাই শুনেন। মনিরুল ভাই নিদান দেন,
- শত্রুকে দুর্বল করার সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হচ্ছে শত্রুকে অস্বীকার করা। এই দুষ্ট কোষ তোমার শরীরের অংশ না এই কথাটা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
- কিভাবে করবো?
- বারবার নিজেকে বল, এই দুষ্টু কোষ আমার দেহের না, এই দুষ্টু কোষ আমার মনের না।
- চেপে ধরে বলবো?
- আরে নাহ, চাপাচাপির দরকার নেই। বারবার জপ করলেই হবে।
বদরুল ভাই দিনরাত জপ করে যান,
- এই দুষ্টু কোষ আমার দেহের না, এই দুষ্টু কোষ আমার মনের না।

মাঝে কামরুল ভাই এসে বিমর্ষ মুখে বলে যান, পা দুটোই ফেলে দিতে হবে। তবে বাঁচার বেশ চান্স আছে এখনও। বদরুল ভাই শুনে আবারও অ্যাঁ অ্যাঁ করেন।

এর মাঝে আমার দেশের বাইরে চলে যাবার সময় চলে আসে। বড় ভাই অনেকদিন ধরেই লন্ডনে তার ওখানে যাবার কথা বলছিলেন। পড়া আর ফাঁকে তার দোকানে পার্ট টাইম কাজ করা। বদরুল ভাইকে অ্যাঁ অ্যাঁ অবস্থায় রেখেই একদিন বিদায় হলাম। প্রথমদিকে টুকটাক সবার সাথে যোগাযোগ হলেও কাজের চাপে একসময় বাবা মা ছাড়া দেশে আর কারো সাথে যোগাযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে গেল। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ক্লাস আর সন্ধ্যা থেকে প্রায় মাঝরাত পর্যন্ত ভাইয়ের গ্যাস ষ্টেশনে কাজ। দিন কিভাবে চলে গেল হুঁশ পেলাম না। প্রায় একবছর পর দেশে যাবার সুযোগ হল। বদরুল ভাই এর খোঁজ নেয়া হয়নি এর মাঝে। ঢাকায় ফিরেই রনির বাসায় গেলাম। ইচ্ছা ওকে নিয়ে বদরুল ভাইকে দেখতে যাবো। রনিও বাসা থেকে বেরই হচ্ছিল। আমি অন্য কোন আলাপে না গিয়ে বদরুল ভাইয়ের খবর জিজ্ঞেস করি।

রনি বলে,
- ওইখানেই তো যাচ্ছি। চল, নিজেই দেখবি।
- কি অবস্থা এখন বদরুল ভাইয়ের।
- মনিরুল ভাইয়ের পদ্ধতি অবশেষে কাজে লেগেছে। তিনি দিন রাত জপ করে গেছেন, এই দুষ্টু কোষ আমার দেহের না, এই দুষ্টু কোষ আমার মনের না।
- তারপর?
- তারপর আর কি আস্তে আস্তে তার ক্যান্সার ভালো হয়ে যেতে থাকে? একদিন তিনি পুরাপুরি সুস্থ হয়ে যান।
- সত্যি?
- আরে ধুর বলদ। তাই কখনও হয় নাকি। বদরুল ভাই মরে গেছে এক মাস আগে। তার কূলখানি খেতেই না যাচ্ছি।
- অ্যাঁ
- কূলখানিতে ফখরুল বাবুর্চি নাকি কাচ্চি রাঁধবে। ফখরুল বাবুর্চি দেশ ছেড়ে মালয়েশিয়াতে গিয়ে রেস্টুরেন্ট খুলেছে দশ বছর আগে। রমরমা অবস্থা। আমিরুল চাচা বিশাল টাকা খরচ করে তাকে দেশে এনেছে শুধু কূলখানিতে কাচ্চি রান্নার জন্য। শুনে মনে কর আমি কি আর থাকতে পারি। তাই দৌড় দিচ্ছি কূলখানি খেতে।
- অ্যাঁ
- অ্যাঁ অ্যাঁ পরে করিস। চল বরং কাচ্চি খেয়ে আসি। আঙ্কেলকেও একটু সান্ত্বনা দিয়ে আসি।
- আচ্ছা চল।


মন্তব্য

চৈতী ‍আহমেদ এর ছবি

আমি ‍এই গল্পের সাথে কিন্তু কোনো কিছুর মিল খুঁজে পাই নাই। স্বেদেশের কুলখানি যেন ‍আমার খেতে না নয়।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

অত দামি কুলখানির বিধান দিলেন কীসের জন্য? আপনি কি বলতে চান মরার আগে সব্বা উচ্চবিত্ত হয়ে মরা উচিৎ যাতে বৈদেশি বাবুর্চি এনে কুলখানির কাচ্চি বানানো যায়?

০২
গপ্পের লগে লেখকের বৈদেশ গিয়া গ্যাস বিতরণ ও উচ্চশিক্ষা গ্রহণের কী সম্পর্ক?

চরম উদাস এর ছবি

১। মরেই যখন গেছে অন্তত একটু ফুর্তি আমোদ করে সেটার উদযাপন তো করা দরকার।
২। এখানে কবি দেশের তেল গ্যাস মেধা বিদেশে পাচারের ষড়যন্ত্র নিয়া তেল, গাস,পানি, বিদ্যুৎ রক্ষা কমিটির হয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন বোধহয় ইয়ে, মানে...

অতিথি লেখক এর ছবি

কাচ্চি পাগল রনি দেখলাম আমিরুল সাহেবকে একবার চাচা অন্যবার আঙ্কেল ডাকছে।
________________
সৌমিত্র পালিত

চরম উদাস এর ছবি

সমস্যা কি? একবার বাংলা আরেকবার ইঞ্জিরিতে কইচ্চে দেঁতো হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

শত্রুকে দুর্বল করার সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হচ্ছে শত্রুকে অস্বীকার করা।

বাক্যের শুরুতে একটা 'প্রকৃত' মিসিং, প্রকৃত শত্রুকে অস্বীকার করতে সবাই ব্যাস্ত।
শত্রুদের জন্য তো ডাক্তারের ছুরি ছাড়াই দেশীয় প্রযুক্তিতে অপারেশন চলছে। মন খারাপ

[ পুনশ্চঃ বদরুল ভাই না বায়তুল মোকাররমের সামনে একবার মারা গেল?
আপনি কি অদূর ভবিষ্যতে আইজিপি পদে ভোটে দাঁড়ানোর কথা ভাবছেন? ]

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

চরম উদাস এর ছবি

এই বদরুল সেই বদরুল না। দুনিয়াতে কি একটাই বদরুল ভাই আছে? গুরু গুরু

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

বদরুল ভাইয়ের সাথে থাকা আকাশ-বিকাশরাও একই আছে কিনা, তাই এট্টু...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

চরম উদাস এর ছবি

আর জন স্নো বাইচা উঠলে আপ্নেরা দেন তালি, আর বদরুল বাইচা উঠলে গালি, এইডা কেমন বিচার? ইয়ে, মানে...

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হুমম, তা ঠিক! ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অনুসন্ধিৎসু এর ছবি

বস, তুসি গ্রেট হো!
তওফা কবুল করো!!
(থ্রি ইডিয়টস সিনেমার মতো পশ্চাদ্দেশ দেখাইতে পারলাম না বলে দুঃখিত!
কেননা ওটাও ক্যান্সারাক্রান্ত!!)

সুকান্ত রক্ষিত এর ছবি

কামরুল ডাক্তার কেমন আছে?

নিওফাইট নিটোল এর ছবি

হুম, ক্যান্সার নিরাময়ে লাইকখোর সেলিব্রিটিদের "ভালবাসাবাসি থিওরি" কিংবা "অামার না অামার না জিকির" অনুসরণ করতে থাকলে---
# কোষের দুষ্টামি কমুক অার না-ই কমুক, সেলিব্রিটি পীরের মুরিদ বাড়তেই থাকবে
# বদরুলরা সারুক বা না-ই সারুক, দুষ্ট কোষেরা বিবর্তন পর্যন্ত ঘটিয়ে ফেলবে!!

অার "বিশ্বাসী বংশধররা" কুলখানি করতে শুধু বৈদেশের বাবুর্চিই না, ভেন্যুটাও বৈদেশে নিয়ে যাইতে পারে খাইছে

----- নিওফাইট নিটোল

kamrul Nazim  এর ছবি

শেষটা অন্যভাবেও হতে পারতো। কূলখানী খাওয়ার ব্যাপারটা গল্পের ভাবগত বিষয়বস্তুর সাথে মিলে না। তথাপি দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে গল্পটা মানানসই। হাসি

তারিক এর ছবি

এই প্রথম আপনার লেখায় আপনাকে খুঁজে পেলাম না!

সোহেল ইমাম এর ছবি

ক্যান্সারের যন্ত্রনার মধ্যেও এই হাসিটা আপনি ছাড়া আর কে দিতে পারতো !! গুরু গুরু

---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।

আইলসা পাঠক এর ছবি

অঙ্গছেদন হইতে দেহমৈথুনে সক্কলের আগ্রহ বেশি।
শত্রু 'কুতায়'? ইহা মনের ভুল। শত্রু নাই। পেট ঠান্ডা করুন। পেট ঠিক তো দুনিয়া ঠিক। খেয়েদেয়ে নিদ্রা যান।
----আইলসা পাঠক

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

চরম!

দেবদ্যুতি এর ছবি

গুরু গুরু

...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”

এক লহমা এর ছবি

চলুক
"অ্যাঁ অ্যাঁ পরে করিস। চল বরং কাচ্চি খেয়ে আসি।" - হ্যাঁ, এখন কাচ্চি খাওয়ার ঋতু চলছে।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

Seam এর ছবি

কাচাতে না নোয়ালে বাঁশ, পাকলে করে ঠাস ঠাস।
দেশে মৌলবাদ এখনি ঠেকানো না গেলে আর কবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

"কাচ্চি" এক আদি ইতিহাস
পড়ন্ত দিনের নিষ্ঠুর সুবাস ।
-Delruba Mahmud Khan

Walid Hassan এর ছবি

এসো নিজে করি ৯ কোথায়??চরম উদাস ভাই??

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।