হেফাজতে রাজাকার- ফিনল্যান্ড শাখা

ঈয়াসীন এর ছবি
লিখেছেন ঈয়াসীন [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০১/০৭/২০১৩ - ৭:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ফিনল্যান্ড- শুধু সৌন্দর্যেই নয়; শিক্ষাব্যবস্থায়, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায়, দুর্নীতিহীনতায়, ধর্মনিরপেক্ষতায়, এমনি আরো ডজন খানেক ইতিবাচক বিষয়ে বর্তমান বিশ্বে প্রথম সারির একটি দেশ। আর ফিনল্যান্ডে আমরা যারা বাঙ্গালীরা আছি, তারাও কমবেশি সুখেই আছি। কর্মক্ষেত্রের সুব্যবস্থা, সাথে মানসম্মত পারিশ্রমিক, বেকার ভাতা, বিনি পয়সার চিকিৎসা ও শিক্ষা, সর্বোপরি বৈষম্যহীন এক সামাজিক কাঠামো বাঙ্গালীদের এখানে উন্নততর জীবন যাপনের পথ সুগম করে দিয়েছে। এখানে নোকিয়ার বড়বাবু যে গাড়ী হাকায়, পিজ্জার দোকানে কাজ করে আমরা বাঙ্গালীরাও সেই গাড়ীই হাকাতে পারি; সপ্তাহে তার আর আমাদের কাজের ঘণ্টার পরিমান প্রায় সমান, পারিশ্রমিকে খানিক তারতম্য যদিও আছে তবে তা আকাশপাতাল নয়। এখানে একটি ঘর দশ বারো জনকে ভাগাভাগি করতে হয় না। দেশের খরচ চালিয়ে এখানে ভালটা খেয়েপরে আমরা বেশ সুখেই আছি।

ভুত এমন একটা জাত যা অতীতেও দায়িত্বপরায়ণ ছিল, এখনও আছে আর ভবিষ্যতেও থাকবে। আমরা এত সুখে থাকবো, আর ভুতেরা তাদের হাত দুখানা পকেটে পুরে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়াবে, তেমনটা ভাবা অমূলক। ঈদানিং তাদের ধুন্দুমার কিলের জ্বালায় পিঠ বাঁচানো দায়। ‘সুখ’ ও ‘ভুতের কিল’ সমানুপাতিক ধারায় সামঞ্জস্য বজায় রেখেই সমান্তরালে ধাবিত। আরে বাবা, ভুতই যদি না কিলাবে তবে আমরা এখানে আওয়ামীলীগ আর বিএনপি করবো কোন দুঃখে? শুধু কি তাই? ফিনল্যান্ডে বিএনপি আছে গোটা তিনেক, আওয়ামীলীগ দুটি; এইসব গরুর আবার বাছুরও আছে, অর্থাৎ যুবলীগ, যুবদল, ইত্যাদি ইত্যাদি। মসজিদ কে কেন্দ্র করে আছে জামাত-শিবিরের ব্যাপক এক নেটওয়ার্ক। আছে জেলাভিত্তিক সমিতি, যেমন বিক্রমপুর সমিতি, বরিশাল সমিতি, নওয়াবগঞ্জ সমিতি, ইত্যাদি ইত্যাদি। বেশ কয়েকটি ছাত্র সংগঠনও আছে। তারা জাতীয় দিবসগুলোতে নিয়মিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে এবং বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই অছাত্রদের সেথায় প্রবেশাধিকার নেই। বারো মাসে তেরো পুজা, বারো হাত কদুর তেরো হাত বিচি প্রবাদগুলো ফিনল্যান্ডের বাঙ্গালীদের কার্যকলাপের সঙ্গে বেশ যুতসই। কেননা পুরো ফিনল্যান্ডে বাঙ্গালীর সংখ্যা এখনও পাঁচ হাজারের নীচে। অথচ এত বৈষম্য! তবে জরিপে, না জরিপে নয়, বরং বাস্তবিক অভিজ্ঞতায় দেখা যাচ্ছে, ‘যত দল তত মত’ যতই থাকুক না কেন; একটি বিষয়ে মতৈক্য এদের প্রায় সবাইকে এক পতাকাতলে আনতে সক্ষম হয়েছে। সেই তৌহিদি ঝাণ্ডার নাম- ‘হেফাজতে রাজাকার’; দলীয় কিংবা এককভাবে ফিনল্যান্ডে বসবাসরত বাঙ্গালীদের শতকরা ৯০ ভাগের মাঝে রাজাকার প্রীতি বিদ্যমান। কেন? তার করণ খুঁজতে গিয়ে আমার চোখ ঝাপসা হয়ে উঠে, আমার বুকে চিনচিন ব্যথা করতে থাকে, আমার সমস্ত শরীরটা অনবরত কাঁপতে থাকে। এদের সবাই যে সরাসরি জামাত কিংবা বিএনপির সমর্থক, তা নয়। এরা অনেকেই ‘কিন্তু’ ‘তবে’ আর ‘স্বচ্ছ বিচার’-এর দলে। রাজাকার কিংবা রাজাকারের বাই প্রডাক্ট অর্থাৎ জামাত কিংবা শিবির যতটা না ক্ষতিকর তার চাইতে অধিকতর ক্ষতিকর তারা যারা কথায় কথায় রাজাকার বিচারের স্বচ্ছতা দাবী করে, যারা সাইদি কে রাজাকার মনে করে না, যাদের কাছে ধৃত রাজাকারদের বিচারের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আওয়ামীলীগের ভেতরের রাজাকারদের বিচার, যারা মনে করে দেশে হাজারো সমস্যা দূরে রেখে রাজাকারের বিচার সত্যিই অপ্রয়োজনীয়।
রাজাকারের কোনো দল নেই। সব রাজাকারের বিচার হোক। এতে কোনো 'কিন্তু', 'তবে' থাকতে পারে না। যাদের ধরা হয়নি তাদের না ধরা অবধি ধৃতদের বিচার না হওয়া কখনই যৌক্তিক নয়। একটি শহরে ১০ জন খুনী থাকলে যদি চারজন ধৃত হয়, সেক্ষেত্রে বাকী ৬ জন ধরা না পড়া পর্যন্ত ঐ ৪ জনের বিচার হবে না কেন? কোন যুক্তিতে? আর স্বচ্ছতা এতই জরুরী! যারা আমার ৩০ লক্ষ ভাইবোনের হত্যার সাথে জড়িত, যারা আমার ২ লক্ষ মাবোনের সম্ভ্রমহানির সঙ্গে জড়িত; তাদের বিচারের স্বচ্ছতার দাবী তুলে মুখে যারা ফেনা তুলে তারা কোন ধাতুতে গড়া? তারা বাংলাদেশের সন্তান? রাজাকার তাদের এতটাই আপন, নিজ দেশের চাইতেও আপন? স্বার্থে মানুষ এতটাই অন্ধ? ধিক।

ঐ ৯০ ভাগ নপুংসকের পাশে যে বাকী ১০, তার মাঝে আছে আবার আওয়ামী সমর্থক গোষ্ঠী, যাদের উপর আস্থা রাখা বেশ কষ্টকর, কেননা যেকোনো স্বার্থে আওয়ামীলীগ যদি জামাতের সঙ্গে আপোষ করে তবে রাজাকারের বিচারের দাবী তখন আর তাদের মুখে আসবে না। কাটছাঁট করে বাকী থাকে শতকরা মাত্র ২, যারা কিনা আকাশ থেকে টুপটাপ চন্দ্র সূর্য ছিড়ে এনে গলায় পরতে পারে, যারা কিনা পাথরের পাষাণ বুকে করাঘাতে ঝর্ণার উৎস তৈরি করতে পারে, যারা কিনা স্রোতের অনুকূলাপেক্ষা প্রতিকূলে সন্তরণে অধিক পারদর্শী, যারা কিনা যে কোনো কিছুর বিনিময়ে সর্বাগ্রে রাজাকারের শাস্তি চায়। ফিনল্যান্ডের বাঙ্গালী সমাজে তারা সংখ্যালঘু, তারা সংখ্যায় পাঁচ কি দশ, তবে তারা নির্ভীক, তারা অসীম সাহসী, তারা মহাশক্তিধর।

এই সংখ্যালঘুদের এই সমাজে বদনামের কমতি নেই, বিপদেরও কমতি নেই; আবার সেসব তোয়াক্কা করবার সময়, সেটাও এই সংখ্যালঘুদের কাছে এক ফোটাও নেই। ৯০ ভাগ কাঁঠালপাতাভোজীরা যখন বিভিন্ন আড্ডায়, নেমন্তন্নে, খেলার মাঠে, ফেসবুকে ঐ সংখ্যালঘুদের অবর্তমানে সমবেত গীবত সঙ্গীত গায়; ঠিক তখন ঐ অল্প সংখ্যক স্বপ্নাতুর ছেলেমেয়েরা রাজাকার বিচারের তাগিদে বিভিন্ন কর্মে লিপ্ত থাকে; তার সবই যে গঠনমূলক কিংবা সুদূরপ্রসারী, তা নয়। তবু এই ক্ষেত্রে তাদের উৎসর্জন মোটেও হেয় করে দেখবার নয়। এই যেমন একটি ছেলে সাইকেলে চড়ে গায়ে টি শার্ট জড়িয়ে ফিনল্যান্ডের এ শহর ও শহর ঘুরা শেষ করে এখন সাইকেল নিয়ে বালটিক (এস্তোনিয়া, লিথুয়ানিয়া, লাতভিয়া) ভ্রমনে বেরুচ্ছে। পাঠক ভাবছেন, এর সঙ্গে রাজাকারের মূলোৎপাটনের সম্পর্ক কি? আছে, আছে; ছেলেটির টি শার্টে লেখা আছে ‘রাজাকারের বিচার চাই’, ‘রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ চাই’; তা দেখে উৎসুক কোনো শ্বেতাঙ্গ যখন তাকে কারণ শুধোয়, সে রাজাকারের রাজাকারির ইতিহাস উপস্থাপন করে শ্রোতার কাছে। ও স্বপ্ন দেখে এভাবে হয়তো একদিন বিশ্বজুড়ে রাজাকারদের বিরুদ্ধে একটি জনমত তৈরী হবে। যুদ্ধাপরাধী দেইলা রাজাকারের রায়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে একপাল বাঁদরের যে দাপাদাপি শুরু হয়েছিল তার রেশ এখানেও পড়েছে। এখানকার মসজিদ থেকে লিফলেট তৈরী করে শহরের প্রতিটি মসজিদে মসজিদে গিয়ে তারা প্রচার করেছে- ‘শুধু মাত্র ইসলাম ও কোরআনের সেবা করবার কারণে সাইদী নাস্তিক-সরকারের কোপানলে পড়েছে’; সাইদীকে মূলত কোন দোষে বিচার করা হচ্ছে, সেই বিষয়ে লিফলেটে কিছুই উল্লেখ নেই। সেটাইতো স্বাভাবিক, সত্য বলতে তাদের বয়েই গেছে! কদিন আগে বিশ-একুশ বছরের এক যুবক হেলসিঙ্কির এক মসজিদ (যা সোমালিয়ানদের দ্বারা পরিচালিত) থেকে জুম্মার নামাজ পড়ে বেরুতেই দেখতে পায় কয়েকজন ‘গোবর মগজী’ ছেলে দরজার প’রে দাঁড়িয়ে পূর্বোল্লিখিত লিফলেট বিলোচ্ছে। আমাদের সেই বিশ-একুশের টগবগে যুবকটি তৎক্ষণাৎ মসজিদ কর্তৃপক্ষকে ব্যাপারটি অবগত করে এবং তাদের বোঝাতে সমর্থ হয়। মসজিদ কর্তৃপক্ষ সেই লিফলেটধারীদের সেখান থেকে বের করে দেয় আর ভবিষ্যতে লিফলেট হাতে এ পথ মাড়াতে নিষেধ করে দেয়। ব্যাপারটি হয়তোবা তেমন বৃহৎ কিছু নয়, আবার অতি ক্ষুদ্রওতো নয়। এই আকালের বাজারে দু’চারজন শুদ্ধ বিবেকের মানুষের পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে, এতেও কি দারুণ এক আনন্দ নেই? প্রতিরোধ হচ্ছে, প্রতিবাদ হচ্ছে, সত্যের প্রচার হচ্ছে; দেশের সীমানা ডিঙ্গিয়ে হাজার হাজার মাইল দূরেও হচ্ছে। ফেসবুকে, ব্লগে লিখালিখি করেও এখানাকার কয়েকজন ছেলেমেয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে জনমত তৈরির চেষ্টা করছে।

ফিনল্যান্ডে এক শ্রেণীর বাঙ্গালী আছে, যারা সরাসরি কোনো দলের সমর্থন করে না, ধর্ম পরায়ন, এবং অতিমাত্রায় উচ্চ শিক্ষিত; দোষের মধ্যে ঐ একটু আধটু ‘বাঁশেরকেল্লায়’ ঢুঁ মারে, ‘আমার দেশ’-কে আসমানি কিতাব জ্ঞাণ করে আর রিমান্ডে থাকা মাহমুদুর রহমানের পায়ুদ্বারের যন্ত্রণার শোকে চোখ ভাসায়। ছাগুরা কাঁঠাল পাতা খায় আর দানা দানা বিষ্ঠা ছড়ায়। ছাগুদের বিষ্ঠায় ইদানীং ইন্টারনেট (বাঁশের কেল্লা, ব্রেকিং, আমার দেশ) পরিপূর্ণ প্রায়। ঐ শ্রেণীর বাঙ্গালী যারা হয়তোবা কেবল আওয়ামি বিদ্বেষের কারণেই ছাগুদের দানা আকৃতির সেই বিষ্ঠাকে 'বুন্দিয়া' জ্ঞান করে দিব্যি গিলে যাচ্ছে। আওয়ামী বিদ্বেষ থাকলেই কেন রাজাকার প্রীতি গড়ে তুলতে হবে, কেন ছাগলের বিষ্ঠাকে বুন্দিয়া ভাবতে হবে? দেখতে কালো কিন্তু বুন্দিয়ার মত লাগলেও খাবার আগে দয়া করে একটু গন্ধ শুকে খেতে হয় না কি? আজব ব্যাপার, এসব বিষ্ঠা-মুত্র দিব্যি হজমও হচ্ছে; কি পেট রে বাবা!
এ কথা মানতেই হবে, ফিনল্যান্ডে তরুণ প্রজন্মের একটি বিরাট অংশকে খুব কাছ থেকে নিভৃতে পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে তারা রাজাকারদের আর জামাত-শিবিরকে মনে প্রানে ঘৃণা করে। সমস্যা হচ্ছে তারা বড্ড ভীতু অথবা উদাসীন অথবা অলস অথবা দায়িত্বজ্ঞানহীন; কেননা তাদের মনমানসিকতার রুপায়নে তাদের কোনো উদ্যোগ নেই। তারা জেগেও ঘুমোতে চায়, ঘুমাক; তারা না জাগলেও সকাল একদিন হবেই।
ঐ ৯০ ভাগ নিন্দুকের এখন নাকি পোয়া বারো! তাদের ধারণা, ২ ভাগ ইঁচড়ে পাকা ছোকরা-ছুকরি এখন মারাত্মক ভাবে ব্যাকফুটেড; কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনী ফলকে, মখার ইসলামী ব্যাংকের শাখা উদ্বোধনকে, সাকার পক্ষে সা এফ রহমানের সাক্ষপ্রদানকে, গাজীপুর নির্বাচনে হেফাজতের এক অংশকে আওয়ামীলীগের নিজের বলে দাবী করাকে। বাহ, ভালতো, ভাল না? হ শুনলাম, মমতা ব্যানার্জীর পেট খারাপ হইছে, কারণ মেগান ফক্সের বাম উরুতে তিনটা তিল। মানে কি? মানে হইল, সোহেল রানার হিট ছবির নাম গীতাঞ্জলী।
তারা যখন ব্যাটের দিকে না তাকিয়ে পায়ের দিকে তাকিয়ে ফিল্ডিং করে আর ব্যাকফুট ফ্রন্টফুট পরীক্ষা করতে ব্যস্ত, ইঁচড়েপাকাগুলোর ব্যাটে তখন চার ছক্কার বন্যা বয়ে যায়।

এই রচনার একটা মোক্ষম সমাপ্তি টানা যাচ্ছে না; যাবে কি করে? হেফাজতে রাজাকার দের কার্যকলাপ যেমন থামছে না, আর তার প্রতিবাদে সত্য সৈনিকদের প্রতিরোধও শিথিল হচ্ছে না। এ লড়াই চলছে, চলবে।


মন্তব্য

guest_writer এর ছবি

একেবারে দেশে ফিরে যেতে চাই।কিন্তু এখন দুঃস্বপ্নে ঘুম হয়না।ছাগুরা ক্ষমতায় এল বলে। খেয়াল করে দেখবেন সিটি নির্বাচনের পর থেকে দেশের সকল মিডিয়া এখন হেফাজতে রাজাকার জোটের বাতাসে পাল তুলে দিয়েছে।
ভিন্নমতালম্বিদের গুম নির্যাতনের যে সংস্কৃতি আওয়ামিরা চালু করে গেল, হেফাজতি আমলে যে সেটা মহামারি হবে তা ভাবার জন্য ভবিষ্যৎদ্রষ্টা হতে হয়না।নির্ঘাত মুক্তমনাদের জন্য বাংলাদেশ বধ্যভূমি হতে চলেছে।

---মদন----

ঈয়াসীন এর ছবি

তাতে কি আর মুক্তচর্চা থামবে? না। লড়াই চলছে, চলবে।

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাবতেই অবাক লাগে, এই দেশে এত ছাগু আর ছাগবান্ধব লোক, এরপরও আমরা মাত্র ৯মাসে স্বাধীন হয়েছি।

----------------
মিলন

ঈয়াসীন এর ছবি

ভাল বলছেন।

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হেফাজতে রাজাকার সারা দুইন্যা জুড়া। হাসি

ঈয়াসীন এর ছবি

চান্দেও আছে।

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

রিয়াজ এর ছবি

ঈয়াসীন ভাই,হেলসিঙ্কির মসজিদের যে ঘটনাটা বললেন,তা ঢাকার লক্ষ্মীবাজারের একটি মসজিদে-ও হয়েছিলো।সেখানে-ও মসজিদ কমিটি রাজনৈতিক লিফলেট বিতরণ করতে সবাইকে নিষেধ করেছিলেন আর 'মহান প্রচারক' দের সতর্ক করে দিয়েছিলেন।
কিন্তু,বিপরীতটির উদাহরণ-ও জানি। চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার একটি মসজিদের কমিটি ছিলো জামাত নিয়ন্ত্রিত,ইমাম-ও তাই।সেখানে, উল্টো অভিযোগ তোলা লোকটিকে-ই বকাঝকা দেয়া হয়েছিলো 'ভালো কাজ' এ বাধা দেয়ায়।
তবে,সত্য হচ্ছে আপনার শেষ কথাটি-ই।লড়াই চলছে,চলবে।

ঈয়াসীন এর ছবি

সাদা আর কালো দুটি রঙ পাশাপাশি না থাকলে কোনোটির বৈশিষ্ট ফুটে উঠে না।

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

guest_writer এর ছবি

আমাদের দেশের জাতীয় প্রতিক কাঁঠাল পাতা, জাতীয় বৃক্ষ কাঁঠাল গাছ এবং সবশেষে জাতীয় প্রাণী ছাগল ঘোষণা দেয়া হোক।

ঈয়াসীন এর ছবি

আর জাতীয় বুদ্ধিজীবী লুঙ্গি মযহার

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আওয়ামী বিরোধীতার নামে যে বাংলাদেশের বিরোধীতা করা অন্যায়, এই বোধটা নাই অধিকাংশ নির্বোধের

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ঈয়াসীন এর ছবি

খালি কাঁঠালপাতা খাইলে কটটুকই আর বুদ্ধি হইবো?

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

কয়েকটা পয়েন্ট খেয়াল করেন। তাইলে আর আপনার অভিজ্ঞতায় অবাক হওয়ার মতো কিছু থাকবে না।

১। জামায়াতের মূল চরিত্র সুবিধাবাদিতা। সব মানুষই সুবিধাবাদী বলে লোকমুখে য়ে থিওরি চালু আছে, তা সত্য না। অনেক মানুষই আছে যারা নিজের সুবিধার চেয়ে অন্যের সুবিধাটা আগে চিন্তা করে। আর সুবিধাবাদী শ্রেণীর যারা অন্যকে বাঁশ না দিয়ে নিজের সুবিধার ধান্দা করে, তাদের কাজেও সমস্যা নাই। কিন্তু জামায়াত হলো সেই শ্রেণীর সুবিধাবাদী যারা নিজের সুবিধার জন্য লাখ লাখ মানুষকে হত্যা ও ধর্ষণে বিন্দুমাত্র বিচলিত হয় না।

২। প্রবাসে যারা আসে, কিছু ব্যতিক্রম বাদে তারা বাই ডিফল্ট ক্যারিয়ারিস্ট। নিজের ক্যারিয়ার তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের মানুষের সুবিধাবাদী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এদিক দিয়ে জামায়াতের সাথে এদের চরিত্র মিল খায়।

৩। তবে পার্থক্য হলো, জামায়াত দৃঢ়ভাবে তাদের রাজনৈতিক অবস্থানে অনড় থাকে। আর এই প্রবাসি সুবিধাবাদীদের স্ট্রং কোনো রাজনৈতিক অবস্থান থাকে না। তারা ঝাঁকের কই হিসেবে যেদিকে গেলে রিস্ক কম, সেদিকে যায়। জামায়াত ইত্যাদি চিপায় পড়লে দেখবেন এরা হয় চুপ, না হয় ৭১এর পক্ষেই কথা বলা শুরু করেছে। উদাহরণ, এদের মধ্যে গণজাগরণের পক্ষে ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করা লোকের সংখ্যাও অনেক।

৪। জামায়াতের ডেডিকেটেড প্রোপাগান্ডার বিপক্ষে আওয়ামী মিডিয়া একেবারেই ব্যর্থ। নির্দোষ স্কাইপি সংলাপ ফাঁস হওয়ার খবর লোকের মুখে মুখে; কিন্তু সাঈদির মেশিন চালানো কিংবা বাবুর বাবার পরকীয়ার খবর লোকজনে পায় না। এ অবস্থায় ৭১ এর বিপক্ষের মালমসলা একদম হাতের কাছে প্রস্তুত। কিন্তু ৭১ এর পক্ষে কথা বলতে গেলে একটু নিজে খাটতে হয়। ক্যারিয়ারিস্ট সুবিধাবাদীদের সাধারণত এই খাটনিকে ঘোড়ার ঘাস কাটা মনে হয়।

৫। যারা আর্থিক ও সামাজিক অবস্থানগতভাবে একটু সুবিধাজনক অবস্থায় থাকে, তারা সবসময়ই রাজনৈতিক অস্থিরতার বিপক্ষে থাকে। ৭১ এ স্বাধীনতা যুদ্ধে এই বিবেচনায় অনেক পরিবারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সামরিক শাসন সাধারণত এদের প্রিয় বস্তু। তখন মিছিল মিটিং হরতাল নাই। পিছনে বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক খালি হলে এদের কিছু যায় আসে না। এদের ইনকাম সোর্সে টান না পড়লেই হয়। যুদ্ধাপরাধীর বিচার এদিক দিয়ে একটা রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টিকারী বিষয়। এটা কে সমর্থন করা এদের জন্য কঠিন। ন্যায় বিচার-টিচার নিয়ে এদের মাথাব্যথা নেই।

তবে এদেরকে গদামের উপরে রাখা ফরজ হলেও এদের চরিত্র দিয়া দেশকে বিচার করার কিছু নাই। মুক্তিযুদ্ধ করেছে সাধারণ জনগণ। জনগণের পক্ষে লড়াইটা চলবেই। আওয়ামী লীগ খাওন-দাওন কমাইয়া মিডিয়ার দিকে নজর দিলে কাজটা সহজ হতো। কিন্তু তারা যা-ই করুক, আমাদের কাজ করে যেতেই হবে। কথা হলো একটা স্নোবল, কথা শুরু করলে বাংলাদেশের পক্ষে কণ্ঠ যোগ হতেই থাকবে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

স্যাম এর ছবি

৭১ এর বিপক্ষের মালমসলা একদম হাতের কাছে প্রস্তুত। কিন্তু ৭১ এর পক্ষে কথা বলতে গেলে একটু নিজে খাটতে হয়।

চলুক চলুক

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

ঈয়াসীন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

চরম উদাস এর ছবি

ছেলেটির টি শার্টে লেখা আছে ‘রাজাকারের বিচার চাই’, ‘রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ চাই’; তা দেখে উৎসুক কোনো শ্বেতাঙ্গ যখন তাকে কারণ শুধোয়, সে রাজাকারের রাজাকারির ইতিহাস উপস্থাপন করে শ্রোতার কাছে। ও স্বপ্ন দেখে এভাবে হয়তো একদিন বিশ্বজুড়ে রাজাকারদের বিরুদ্ধে একটি জনমত তৈরী হবে।

-স্যালুট এই ছেলেকে। একাত্তরে এইরকম ছেলেগুলাই ঝাপিয়ে পড়েছিল।

মমতা ব্যানার্জীর পেট খারাপ হইছে, কারণ মেগান ফক্সের বাম উরুতে তিনটা তিল

- এটাই ঘটনা। এইসব বাঙ্গালী সমাবেশে এই ধরণের যুক্তি অহরহ শুনতে পাবেন। তর্কে জড়ালে সেই তর্ক ইহজনমে শেষ হবেনা।

ঈয়াসীন এর ছবি

তর্কে হেরে তর্কটা একসময় ওরা শেষ হয়তো করে, কিন্তু গোঁয়ার্তুমি শেষ হয়না। মানে যুক্তির ভাণ্ডার ফুরিয়ে গেলে ফিনিশিং-এ বলে বসে- 'ভাই আপনে একটা নাস্তিক'

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

ঈয়াসীন এর ছবি

চমৎকার বিশ্লেষণ। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- @ অচ্ছুৎ বলাই

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

রণদীপম বসু এর ছবি

আমাদের সমস্যাটাই তো শিক্ষিত সুবিধাবাদ ! আর বাঙালির জেনেটিক্সেই মনে হয় সুবিধাবাদিতা রয়েছে। শিক্ষিত হয়ে ঊঠলেই ওটা সক্রিয় হয়ে ওঠে। সেক্ষেত্রে তৃণমূল সাধারণ জনগোষ্ঠিতে এটা কম। তবে এরা আমাদের শিক্ষিত ছাগুদের দ্বারা সহজেই প্রভাবিত হতে পারে, আসল সমস্যাটাই ওখানে।
আর আমাদের আওয়ামীলীগ দলটা একাধারে সেকুলার ও ধার্মিক। সমস্যা হলো সেকুলার জিনিসটা কী এটা সাধারণ মানুষকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা। কারণ মানুষ এখনো সেকুলার বলতে বুঝে ধর্মহীনতা। ফলে ধার্মিক ও ধর্মহীনতা এই পরস্পর বিপরীত দুটো ধারণা গ্রহণযোগ্য হয় কী করে ! ছাগুরা যা বোঝানোর তাই বুঝাচ্ছে তাদেরকে। সব মিলিয়ে ভজঘট অবস্থা আর কী !
যেটুকু ডিজিটাল সুবিধা আওয়ামীলীগ তৈরি করেছে তার সুবিধাটা নিচ্ছে ছাগুরা, আর আওয়ামীলীগ বসে বসে বুড়ো আঙুল চুষেছে ! বেশি বেশি চুষলে যেকোন কিছুরই ছালবাকল উঠে যায়। এখন সেই জ্বলাটা টের পেতে শুরু করেছে আর কী ! এখন দেখা যাক কোন্ মলম খুঁজেন তারা !!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

ঈয়াসীন এর ছবি

সত্যিই ভজঘট।

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

আয়নামতি এর ছবি

ইসলাম বলছে শুনতে পাচ্ছেন না, "ভাগ্যি খোকা(হেফাজত(বদের হাড্ডি)ছিল সাথে!" চোখ টিপি
হেফাজতকে নিয়ে এতসব কুকথা বলার জন্য আপনাকে কষে মাইনাস। পারার মধ্যে একটাই পারি, বুন্দিয়া/বুন্দে
সেটাকে ছাগুর হাগুর সাথে তুলনা না দিলে চলছিল না রেগে টং এখন তো ও জিনিস মুখেই তুলতে পারবো না, ইয়াক!

ঈয়াসীন এর ছবি

বুন্দিয়া ওয়ালাগো ব্যবসার পেটে লাত্থি মারবার চাই না। কষ্ট হইলেও খাওয়া চালু রাইখেন।

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

ঈয়াসীন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

কুদ্দুস পাগলা এর ছবি

ভাই সুন্দর লেখাটির জন্য ধন্যবাদ। রেজাকার আসলেই রেজাকার, এরা যে খানে খায় ওখানেই সারায়। আসলেই ওরা হারামজাদা। অনেক কিছু লেখার আছে লিখবনা। কারন পাগল হয়ে জাব। ধন্যবাদ আবারো।

ঈয়াসীন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

পামাআলে এর ছবি

নাস্তিক বললেও কোন দুঃখ থাকা উচিৎ নয়। একজন খুনী আস্তিকের চেয়ে একজন মানবিক নাস্তিক কোটী গুণ ভাল।

- পামাআলে

ঈয়াসীন এর ছবি

সঠিক

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক দেরিতে পড়লাম, চমৎকার লেখা। ঘরে-বাইরে সর্বত্র হেফাজাতে রাজাকারদের যন্ত্রণাতে অস্থির, সব কথার শেষ কথা হছে আপনি নাস্তিক তাই এইসব বলেন। শিক্ষিতরা যে কত মূর্খ হতে পারে এদের না দেখলে বোঝা যায় না। লেখার জন্য হাততালি
ইসরাত

ঈয়াসীন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

কল্যাণ এর ছবি

চলুক চলুক চলুক

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

ঈয়াসীন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।