ভ্রমনে বিভ্রাট ১

ঈয়াসীন এর ছবি
লিখেছেন ঈয়াসীন [অতিথি] (তারিখ: শনি, ০৬/০৭/২০১৩ - ৮:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভাষা সংক্রান্ত

much-luggage-cartoon-2

দুর্ভাগ্যক্রমে এ জীবনে ভ্রমনবিলাসী হতে পারলাম না, এত চমৎকার একটা বিষয়কে শখে পরিনত করতে পারলাম না। বাংলাদেশের দু’চারটি উল্লেখযোগ্য পর্যটন এলাকা আর পৃথিবীর দু’চার পাঁচখানে যে যাইনি, তা নয়; তবু তাতেও নিজেকে ঠিক অধ্বগ দাবী করা যায় না। অটোগ্রাফ এর চাইতে ফোটোগ্রাফ যেমন আধুনিকতর এবং কার্যকরী, তেমনি তাজমহল সম্পর্কে বই পড়ে যতটা না মুগ্ধ হওয়া যাবে তার চাইতে ঢের বেশী পুলকিত হওয়া যায় ছিপছিপে যমুনার পারে বসে সূর্যাস্তকালে মোঘল কীর্তিটিকে স্বচক্ষে দেখে। ভ্রমনবিষয়ে তাই কৌতূহল আমার জন্মাবধি। এ বিষয়ে মানসিক উদ্যম যে পর্যায়ের, উদ্যোগটা ঠিক সেই মাত্রা ছুঁতে পারেনা বিধায় হয়ে হয়ে করেও এ জীবনে আমার পর্যটক হয়ে ওঠা হলোনা। ভ্রমনের ক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহ আর অভিজ্ঞদের কাছ থেকে টিপস নেয়া অতীব জরুরী। সেই প্রয়োজন মেটাতে ভ্রমন ও তৎসম্পর্কিত রচনাতে বেশ আগ্রহ রয়েছে আমাতে। কদিন আগেই এই সচলেই পড়লাম কয়েকখানা। এর মাঝে চরমের পরম রচনা 'কিভাবে ভ্রমন করবেন', ধেই ধেই করে ঘুরে বেড়ানো তারেক অণুর 'চাপ নম্বর ওয়ান' আর জিপসি দাদার সেই চাপ নিয়ে চাপাচাপি পড়ে বেশ নস্টালজিক বনে গেলাম। আর তারই ফলশ্রুতিতে আঙ্গুলে কলম উঠে এলো; ধুর ছাই সেই দিন কি আর আছে? তার চে বরং বলা ভাল- কিবোর্ডে আঙ্গুল ঢলে পড়লো।

এই রচনায় ভ্রমনের স্বল্প অভিজ্ঞতা থেকে বেছে বেছে বিভ্রাট আর বিড়ম্বনাগুলোই তুলে ধরবো। লেখা লম্বায় যেন জিরাফের গ্রীবা ছাড়িয়ে না যায় সেহেতু পর্বে পর্বে এগুনোর ইচ্ছে পোষণ করছি। তাতে লেখকের আঙ্গুল, মস্তিষ্ক আর পাঠকের চোখ- সবই পর্যাপ্ত বিশ্রামের সুযোগ পাবে।

চরমের পরম উপদেশ গুলোর প্রতি পূর্ণ সহমত, সংহতি ও একাত্মতা জানিয়ে শুধুমাত্র একটি বাড়তি বিষয় সংযোজন করতে চাই। বাধ্যগত না হলেও বিশেষ কয়েকটি দেশের ক্ষেত্রে ভ্রমনের পূর্বে সেই দেশের ভাষার খানিকটা ধারণা থাকা স্বাস্থ্য, মেজাজ এবং ইজ্জত- তিনের ক্ষেত্রেই উপকারী। যেমন ধরুন, সিলেটের কোনো আবাসিক হোটেলে বিকেলের নাস্তা অর্ডার করবার সময় আপনার চায়ের সঙ্গে ডাল কিংবা আলুপুরী খাবার বাসনা হলেও খবরদার, রুমবয়কে যেন বলে বসবেন না- ‘ধারে কাছে পুরীর দোকান আছে?’; এতে দু ধরনের ফল পেতে পারেন। হোটেলটি যদি দুষ্টু প্রজাতির হয়, তবে রুমবয় চোখ টিপে ময়লা দাঁতকপাটি বের করে বলে বসবে- ”কিতা মাতলায়? ধারো কাছে দরকার কিতা, অনই আছে ”; এরপর আপনার ঘর আলোকিত করতে সল্পবসনা, উৎকট প্রসাধনীর প্রলেপে ঢাকা, কলেজে পড়ার প্রমান স্বরূপ আইডি কার্ড হাতে কোনো পুরী, থুক্কু পরী এসে ঢুকে পড়তে পারে। আর হোটেলের চরিত্র ভিন্ন হলে আপনার ভাগ্যে গালাগালি এমনকি অর্ধচন্দ্রও জুটতে পারে। তাই ভাষার ব্যাপারটিকে মোটেও তাচ্ছিল্যের চোখে দেখবেন না। না পাঠক, লেখকের কখনো সিলেটে যাওয়া হয়ে ওঠেনি, এটা একটা কমন জোক। প্লিজ, আর সন্দেহ করবেন না, নইলে কিন্তু ‘হয়রানি মামলা’ ঠুকে দেবো। তবে ভাষা সংক্রান্ত অজ্ঞতা আমাকে বহু জায়গায় হয়রান করেছে; এবার সেই গল্পে আসি।

সাল-২০০৬
মাস- জানুয়ারি
স্থান- মক্কা
দেশ- সৌদি আরব

এই পুণ্যভূমিতে যাবার আগেই আমার স্বচ্ছ ধারণা ছিল পথে, ঘাটে, আদারে, বাদারে, বাসে, হোটেলে যেখানেই ঢুকি না কেন আমার জ্ঞাত সামান্য ইংরেজীটুকু সেথা প্রযোজ্য নয়। বিত্ত এবং শিক্ষা এই দেশে চুম্বকের বিপরীত দুই প্রান্তে অবস্থান করে। তাই ‘কেমন আছেন’, ‘ভাল আছি’, ‘দাম কত’- টাইপের গোটা পঁচিশেক প্রয়োজনীয় বাক্য আর ‘এক’ থেকে ‘দশ’ ইত্যাদি আরবীতে শিখে নিলাম। খুব একটা কঠিন নয়। মক্কা অবস্থানকালে একদিন রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে দেড় ফিট বাই এক ফুট সাইজের কিছু জায়নামাজ চোখে পড়লো। যে বয়েসীদের জন্যে এগুলো তৈরী সেই বয়েসী কেউ আমার বাড়ীতে নেই, তবে জিনিষটি বেশ চিত্তাকর্ষক। সৌদিরা যতই পয়সাওয়ালা হোক, ওরাও আমাদের মত দামাদামি না করে কিছু কেনে না। দামাদামি না করলে ক্রেতার আবার মান ইজ্জত থাকে? বিক্রেতা যদি সুলভ মুল্যও দাবী করে, তবু তার থেকে দু’চার দশ টাকা কম বলাটা বিক্রেতার ক্ষেত্রে একটা চাতুরতার আর্ট। দাম শুধোলাম- ক্যাম? অর্থাৎ ‘দাম কত’; দোকানী উত্তর দিল- ‘খামসা’; অর্থাৎ পাঁচ। বাহ, বেশতো। ভেবেছিলাম ১০ রিয়াল চাইবে। এ যে প্রায় জলের দাম। তৎক্ষণাৎ কিনে ফেলা উচিৎ ছিল। কিন্তু আমার ক্রেতাসুলভ ব্যক্তিত্বে ঘা লাগলো। মনে মনে ভাবলাম ৩ রিয়ালে চাইবো, একান্ত না দিলে চারে গিয়ে ঠেকবো। মূলত তিন, চার, পাঁচ কোনো মূল বিষয় নয়। আমার সেখানে কোনো কিছুতেই তাড়া নেই। হাতে অঢেল সময়। পুণ্যার্থে যাবতীয় কর্ম সেরেও হাতে অনেকটা সময় থেকে যায়। সে সময়টা কাটানো খুব মুশকিল। আমার কোনো ইয়ার দোস্তও সেখানে নেই। পরিকল্পনামাফিক বললাম- ‘থামানিয়া’; সে কী! দোকানীর চোখে রাজ্যের বিস্ময়! যেন এমনধারা দাম সে কখনো শোনেনি। আরে বাবা, পাঁচের এগেন্সটে তিন বলা ক্রেতা কি আমিই প্রথম? ওর বিস্ময় দেখে আমি তাই দ্বিগুণ বিস্মিত হলাম। বিনয় ও সম্ভ্রম মিশ্রিত কণ্ঠে সে আবার বললো- হাবিবি খাম-সা। ‘খামসা’ টি এইবার বোধগম্য করবার জন্যে একটু ভেঙ্গে ভেঙ্গে উচ্চারণ করলো। এইবার আমার পুরুষালি প্রেস্টিজের বেলুনে সুই-এর খোঁচা খেলাম। আরে ব্যাটা, খামসা মানে যে পাঁচ তা কি আমি জানি না। চোয়াল শক্ত করে ফের বললাম- থামানিয়া । এইবার দোকানী বিস্ময় টিস্ময় ঝেড়ে ফেলে বসা উঠে আমাকে বেদম এক ধমকের সুরে বললো- খামসা। কি আশ্চর্য, দামে না পোষালে বিক্রি করিস না। আমারতো দামাদামি করবার অধিকার আছেই। আমি ‘ওয়াহেদ’, অর্থাৎ এক রিয়ালও বলতে পারতাম। এ আমার ক্রেতাগত অধিকার। তুই ব্যাটা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলি কেন? আমিও পন করলাম, এই জায়নামাজ কেনা আমার জন্যে একটুও দরকারি না, তবে ব্যাটার অহংকারের শেষ আমি দেখে ছাড়বো। তাই আমি পুনরায় বললাম- থামানিয়া । এবার সে আরো রেগে গিয়ে অনেক কিছু এলোমেলো বাক্য (বোধহয় গালি) শেষে আবারো বললো- খামসা। আমিও বাঙ্গালী। ফকিরাপুল বাজারে প্রতি সকালে ঝগড়াঝাটি করে মাছ কিনবার অভিজ্ঞতা আছে, দশ টাকার ফুচকা খেয়ে ঝুলোঝুলি করে দুটি ফুচকা বাড়তি পাওয়ার গর্বিত অভিজ্ঞতাও আছে। আমি অটল রইলাম, বললাম- থামানিয়া। সে কখনো রাগে, কখনো বিস্মিত হয়, কখন বিকট চিৎকারে বলে- খামসা, খামসা। আমি এতে বেশ কৌতূহল বোধ করছিলাম আর প্রতিবারই প্রত্যুত্তরে আমার অবস্থানে ধ্রুব ছিলাম, অর্থাৎ থামানিয়া । এক পর্যায়ে আশেপাশে লোক জমে যাচ্ছিল। দোকানী অবশেষে চেহারা করুন করে প্রায় কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে, বাম হাতে নিজের মাথার চুল টানতে টানতে আর ডান হাতের পাঁচটি আঙ্গুল প্রসারিত করে বললো- হাবিবিইইইইই খামসাআআআআআ। আমি ভাবলাম, না ঢের হয়েছে, আর না। রাখ তোর দেড় ফুটি জায়নামাজ তোর কাছেই, আমার বেশ খানিকটা সময় কিছু একটা ব্যাতিক্রম বিষয়ে অন্যরকম ভাবে কাটলো। তাছাড়া ব্যাটাকে কাঁদিয়ে ছেড়েছি। জয়তো আমারই। পকেট থেকে একটা শুকনা খেজুর মুখে পুরে সে স্থান ত্যাগ করলাম।

রাতে হোটেলে ঘুমনোর আগে ‘বেসিক এরাবিক’-টি উল্টে পাল্টে দেখছিলাম। না, যেহেতু আরো সপ্তা দুয়েক এই দেশে থাকতে হবে, তাই ভাষাটিকে আরেকটু রপ্ত করা দরকার। আরেকটু জানা থাকলে আজ ঐ দোকানী ব্যাটার গালির জবাবে আমিও হয়তো দুটো গালি ঝারতে পারতাম। ভয় নেই, পুণ্যার্জনে আসা হাজীদের গায়ে এরা হাত তুলে না। এ পাতা ও পাতা উল্টে কোথাও গালি জাতীয় কিছু না পেয়ে আরেকবার ঝালিয়ে নেবার জন্যে সংখ্যাগুলোর দিকে চোখ পড়তেই আমার চক্ষু ছানাবড়া। থামানিয়া–তে আমার চোখ আটকে রইল। যাকে আমি ৩ ভেবেছিলাম তার অর্থ আসলে ৮, আর আসলেই যেটি ৩ সেটি হচ্ছে থালাথা। দুটোর অদ্যাক্ষরই ‘ত’ কিংবা ‘থ’ কিংবা হালকা একটু ‘স’-এর মত (উচ্চারণটি মূলত ত, থ এবং স এর এক জটিল দ্রবন, বাংলায় সেই বর্ণ উল্লেখ করা আমার কম্ম নয়) হওয়াতে গুলিয়ে ফেলেছিলাম। বুঝুন ঠ্যালা। দোকানী চাইলো পাঁচ আর আমি বললাম আট। ব্যাপারটি কি দাঁড়ালো? ব্যাপারটি অনেকটা এমন- ফকিরাপুল বাজারে গিয়েছি পুই শাক কিনতে। দোকানী শাকের আটির দাম হাঁকালো ৫ টাকা আর আমি বললাম ৮ টাকা। সে আবার বললো, আরে ভাই দাম পাঁচ পাঁচ। ওদিকে আমি বারবারই বলে যাচ্ছি ৮ টাকা কি নেহাত কম নাকি, দিন না ৮ টাকায়। কি ভজঘট, ভেবে দেখুন একবার। বেচারী দোকানী! আহারে আরবী ভাষার যে পাণ্ডিত্য আমি ফলিয়ে এসেছি তাতে বেচারীর বিস্মিত হওয়া, রাগান্বিত হওয়া, গালাগালি করা, সর্বোপরি অসহায়ের মত কেঁদে ফেলার সম্পূর্ণ অধিকার আছে। সাধে কি বলে অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী?

বি দ্র : সৌদি ভ্রমনের পূর্বে অবশ্যই ৩ ও ৮ এর পার্থক্য নিরূপণপূর্বক যাবতীয় সংখ্যাদি শিখে যাবেন (অবশ্যই আরবীতে)।

চলবে...


মন্তব্য

তারেক অণু এর ছবি

হে হে, ঝোলার বাকী গুলোও বের করুন, কোলকাতারগুলো সহ চলুক

ঈয়াসীন এর ছবি

কলিকাতা? চোখ টিপি

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

কৌস্তুভ এর ছবি

শয়তানী হাসি

ঈয়াসীন এর ছবি

বাহ, কি হাসি!

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

আলতাইর এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

ঈয়াসীন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

নিরীহ মানুষ  এর ছবি

কোলকাতায় আবার কি হয়ছিল…তারাতারি কইয়া ফেলান

ঈয়াসীন এর ছবি

আসিতেছে যে কোনো _____ বারে।

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হো হো হো
চলুক

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ঈয়াসীন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

মেঘা এর ছবি

এটা আমার আম্মু কাছে শোনা ছোট খালার কুলা দাম করার মত হয়েছে। এক লোক বাড়ির উপর এসেছে ফেরি করে কুলা বিক্রি করতে। আমার নানী দাম করছে। ফেরিওয়ালা চায় ১ টাকা আর আমার নানী বলে ১২ আনা। আমার ছোট খালা দূরে খেলছিলো। সে এতো দামাদামী দেখে এসে বিজ্ঞের মত বলে ১২ আনা টানা বুঝি না ১ টাকা হলে দাও! সে মনে করেছিল ১২ থেকে ১ আসলে বেশি খাইছে

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

ঈয়াসীন এর ছবি

বেশ মজার তো।

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

অতিথি লেখক এর ছবি

কি থাংঘাতিক কান্ড!
পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি। চলুক
- একলহমা

ঈয়াসীন এর ছবি

চোখ রাখুন নীড়পাতায়। শিঘ্রি আসছে

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

বাহ - ভ্রমন রসে ভরপুর লেখাগুলো আসুক না এইভাবে একটার পর একটা।

ঈয়াসীন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

সাকিন উল আলম ইভান  এর ছবি

হো হো হো শয়তানী হাসি শয়তানী হাসি

ঈয়াসীন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমার মেয়ের সাথে আমি মাঝে মধ্যে দোকান দোকান খেলি। মানে সে ক্রেতা আমি দোকানদার। জিনিসপাতি বেচাকেনা হয়। যখনো সে গণনাবিদ্যায় পারদর্শী হয়ে উঠে নাই তখন সে এরকম করতো। সে পুতুল কিনতে চাইলে আমি বলতাম ১০ টাকা, সে বলতো ১০০ টাকা।
দিনে দিনে বড় হচ্ছে আর শিখে যাচ্ছে সব

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ঈয়াসীন এর ছবি

হো হো হো , আপনার মেয়ে আর আমার বুদ্ধির লেভেল অল্মস্ট সেম

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

ফয়সাল ইজা এর ছবি

সিলেট বাইড়াইছে দ্যান সৌদি এরপর কি স দিয়া অন্য অভিজ্ঞতা কইবেন না অণু দার কথা মতো এট্টু কলিকাত্তা ছাড়বেন গো দাদা?

ঈয়াসীন এর ছবি

নাগো ভাই, 'স' এর প্রতি অত দুর্বলতা নাই

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

ঈয়াসীন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

চলুক, চলুক।

ঈয়াসীন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

আলম সাব্বির এর ছবি

ভালো লাগলো

ঈয়াসীন এর ছবি

ধন্যবাদ সাব্বির ভাই। আপনার নতুন লেখা কৈ?

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

ছাইপাঁশ  এর ছবি

মজারু হয়েছে। চলুক।

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

খুব মজা পেলাম।

মনি শামিম এর ছবি

আপনার লেখা আমার চমৎকার লাগে ইয়াসিন ভাই। আপনি আরও লিখবেন আর দ্রুত ছাড়বেন। আমি শুনেছি আপনি নাকি আমারই মতন সুনীলের কবিতা ভক্ত মানুষ। লিখবেন নাকি তা নিয়ে? ইটালির এদিক এলে জানান দিয়েন।

ঈয়াসীন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক বাহ্... ভালো লাগলো আপনার লেখার স্টাইল.... সিরিজ চলুক ....

....জিপসি

ঈয়াসীন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

স্যাম এর ছবি

হাহাহহাহ - পড়তে খুব মজার হয়েছে - চলুক!

চরম উদাস এর ছবি

দেঁতো হাসি , দারুণ। পরের পর্ব আসুক জলদি জলদি।

ঈয়াসীন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

দিগন্ত এর ছবি

সুন্দর লেখা। পরেরর পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

কিষান এর ছবি

তিন নম্বরটা পড়ে দুই , তারপর এক নম্বরে আসলাম। দারুণ হচ্ছে। দয়া করে চালিয়ে যান হাসি

আয়নামতি এর ছবি

খুব মজারু করে লিখেছেন হো হো হো

guest_writer এর ছবি

ঢের দেরী হলো বটে, তারপরও আজ ঢুকেই পড়লাম আপনার ভ্রমণ রাজ্যে।
একনাগারে পড়বো আজ।
শুরুটা চমৎকার।

---------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।