ডেঙ্গুচর্চার দিনগুলি

??? এর ছবি
লিখেছেন ??? (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৯/০৭/২০০৭ - ১০:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

auto
এই বর্ষাবিধৌত সন্ধ্যাগুলোতে আমার টবচর্চা, আমার উদার পানিসিঞ্চন, বারান্দায় টবের ফুলগাছগুলো হাঁসফাঁস করে ওঠে। তাদের দিকে না তাকিয়ে আমি অবিরাম পানি ঢেলে যাই। এভাবে বদনার নল ও ফুলগাছের শেকড়ের মধ্যে এক পানীয় রাস্তা স্থাপিত হয়, অব্যাহত পানির স্রোত প্রথমে তাদের বিস্ময়, পরে বিরক্তি, তারোপরে বিবমিষা, তস্যপরে খিস্তিখেউড়সমেত ডুবিয়ে একটা ছোট্ট কিন্তু তীব্র জলাবদ্ধতা তৈরি করে। সেখানে খেলতে আসে বর্ষাশেষের বাতাস, তাদের শিস খুব হালকা আর নরম উস্কানিতে ভরা, যেন সামনে, গাছপালা কেটেছেঁটে ঐ যে নাকবরাবর দূরে একটা নকল বনানীমত বানানো হয়েছে, তার আড়াল দিয়ে আমার মুক্তিদশার নদী কলকল করে বইছে।

............
....................
..................................................


মন্তব্য

ফারুক হাসান এর ছবি

একটানে পড়ে গেলাম। এইরকম লেখেন ক্যামনে? বড়ই আচানক!!

-----------------------
এই বেশ ভাল আছি

??? এর ছবি

প্রথমে বলপয়েন্ট কলম দিয়া লেখছি। তারপর বিজয় কী বোর্ডে টাইপ করছি। তারপর মাহবুব মুর্শেদ উদ্ভাবিত প্রণালীতে ইউনিকোডিত করছি। এইতো! সো সিম্পল! হাসি

জিকো এর ছবি

ভালোলাগা গল্প। অনেক আগে পড়েছিলাম, গদ্য সঞ্চালন উদ্‍যোগ মারফত। এবার এই গল্পের শানে নজুল শুনতে আগ্রহী।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এই মন্তব্যের কথা বলছিলাম

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

??? এর ছবি

বিপদের কথা! মন খারাপ শানে নযুল কৈয়া শেষে বাড়িছাড়া হই আর কি!

হাসিব এর ছবি

ব্যাপার নাহ । আমরা আমরাই তো । শুধু কয়া দিয়েন ঠিক কুথায় চাইপা যাইতে হইবো ।


আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে

নিঘাত তিথি এর ছবি

ওরেব্বাবা! কঠিন গল্প! ভাল্লাগসে, অনেক পরিণত।

--তিথি

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

দারুন লাগছে। হ শানে নজুলটা কয়া ফালান।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

রেজওয়ান এর ছবি

জোস হইছে। ভুতের গলি পইরাই বাড়ির কথা মনে হইল। যামুগা মায়ের কাছে। জার্মানির ক্ষ্যাতা পুরি। হ্যাগো মশা কামড়ায়, জ্বলে কিন্তু দাগ হয়না ডেঙুতো দুরে থাক।

××××××××××××××××××××××××××××××××××××
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

??? এর ছবি

একটু শানে নযুল কই: গল্পটা লেখা হওয়ার পর যথারীতি বউকেই প্রথম শোনাই। তিনি মনোযোগ দিয়া সবটা শুনলেন, তারপর কৈলেন: এইসব মিছা কথা লেইখ্যা তুমি কি প্রমাণ করবার চাও? লেখক হইছো বৈলা মানুষরে তোমার সব আজগুবি কল্পনার গ্রাহক বানাইতে চাও নাকি?

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হো হো। ভাবী ভাল কইছে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

পুরুজিত এর ছবি

মশার ঝাঁক এর সাথে কালিদাসের মেঘ!! কল্পনায় তো অরেও ছাড়ায়ে গেলেন... আপনার বউ ঠিকই কইসে।

তারেক এর ছবি

খাইছে, পুরা ধাধা লাগাইয়া দিলেন দিলে। বড়ই আচানক!

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

??? এর ছবি

আরেকটা শানে নযুল। গল্পটা প্রথম বের হোয়ার পর আমার এক বন্ধু আমাকে একান্তে জানালেন আমি যাতে ভুতের গলি বদলায়া গল্পের স্থান অন্য জায়গায় নিয়া যাই। তিনি ভুতের গলিতে থাকতেন তবে স্বামীর সঙ্গে কোনোরকম ডেঙ্গুচর্চার সম্পর্কে ছিলেন কিনা এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত ছিলাম না। এই গল্প নিয়া তাদের বিদ্যমান দাম্পত্যসম্পর্ক অন্য কোনো মোড় নিছিল কিনা তাও জানি না। হাসি

ফারুক হাসান এর ছবি

কন কি, এত সহজকর্ম গল্প লেখা, হায় হায় আগে কইবেন না! তবে মুশকিল হয়েছে কি, বল পয়েন্ট কিংবা কী বোর্ড যা দিয়াই শুরু করি না কেন, হাত আটকে যাচ্ছে। সবই ঠিক আছে, কিন্তু হাতের বিট্রামির কারণে গল্প আগাইতেছে না। কি করা যায় বলেন তো?
আর, শানে নূযুল-১ পছন্দ হইছে। ভাবী এক কথায় আপনেরে ছক্কা পিটাইয়া ছাড়ছে।

আর আপনার আরো অনেক অনেক গল্প পড়ে মুগ্ধ হবার বাসনা দিন দিন এক্সপোনেনশিয়াল হারে বাইড়া যাচ্ছে। নেক্সট ছাড়েন তাড়াতাড়ি।

-----------------------
এই বেশ ভাল আছি

??? এর ছবি

হাত আটকে যাচ্ছে কোথায়, আমি তো দেখছি স্রোতের মত ভাল ভাল লেখা আসছে! আর মাঝে মাঝে আটকে যাওয়াও ভাল, পার্ট অব দ্য গেইম।
গল্পের স্টক আমার বেশি নাই ফাহা। অচিরেই ফুরায়া যাইবে। তখন নতুন গল্প লিখতে বসব।

কনফুসিয়াস এর ছবি

আপনার গল্পগুলোর বিষয়বৈচিত্রে ভরসা পেলাম। বিশ্ব-সাহিত্যগুলো পড়বার পরে প্রায়শই মনে হয়, বাংগালী সাহিত্যিকরা বড্ড বেশী বিষয়াভাবে ভুগেন। সেই একই গৎবাধা কাহিনি নিয়ে অনেক বেশি লিখে ফেলেছি আমরা!
আপনার লেখা পড়ে আশা হচ্ছে, সেই দুঃখবোধ হয়তো অচিরেই কাটবে।
-যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

??? এর ছবি

ইয়েটস কোথায় লিখছিলেন, একই সঙ্গে বিচিত্র জীবন আর বিচিত্র লেখা হয় না। সেই বাণীর শিরোপা পরে আছি বহুদিন। লেখায় বৈচিত্র্য আনতে গিয়ে নিজের জীবনকে বৈচিত্র্যহীন করে ফেলেছি। অথচ একদা জীবন কত বিচিত্র ছিল, কত রোমাঞ্চকর আর ঢেউয়ের আগায়-আগায় বয়ে চলা জীবন আছিল! মনে পড়ে সেফেরিস এর কবিতা:

"কী আবেগ, কী যে বিশ্বাসে
বেঁচেছি, আজকে দেখি ভুল
তাই বদলে ফেলেছি জীবন"

ধন্যবাদ কনফুসিয়াস। আমি সুদূরের পিয়াসী।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।