এনাফ ইজ এনাফ

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি
লিখেছেন জোহরা ফেরদৌসী (তারিখ: রবি, ০৫/০৫/২০১৩ - ১০:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অবিন্যস্ত দৃশ্যগুলো

বাড়ির গিন্নি প্রতিদিন দু’বেলা সবার খাওয়ার পরে গৃহপরিচারিকাকে খাবার বেড়ে দেন। মেলামাইনের প্লেটের ওপর ভাত। নিজেরা যে চালের ভাত খান, সে চালের না। আলাদা করে কেনা হয় মোটা চাল। কাঁকড়-টাকড় বাছা হয় না। উঁচু ঢিবি করা ভাত। এক পাশে গতকালকের বাসি মাছের তরকারির উচ্ছিষ্ট, একটু ডাল। আর বড়জোর আজকের ভাজি।

“এরা খেতেও পারে” বিড়বিড় করেন গিন্নি। বাড়ির সবার দুপুরের খাওয়া হয়ে গিয়েছে। মর্জিনার তখনও ঘর-মোছা, এক বালতি কাপড় ধোয়া বাকী। আরো দু’ঘন্টা যাবে সে সব করতে। তারপর গোসল করে খেতে আসবে। গিন্নি তাই খাবারের বাসনটা ঢেকে রাখেন। নইলে আবার পাশের বাড়ির বিড়ালটা এসে মুখ দেবে। এইটুকু দয়া তিনি করেন।
...

খোকা-খুকু তৈরী হচ্ছে সকাল বেলায়। ভীষন ব্যস্ততা। গিন্নি একবারে নাস্তানাবুদ। ক’দিক সামলাবেন তিনি? কর্তার দুপুরের লাঞ্চ, ছেলে-মেয়ের স্কুলের টিফিন। বাচ্চারা প্রতিদিনই একঘেয়ে টিফিনের নিন্দা করে। এদিকে আমেনার মাকে দিয়ে যদি নতুন কিছু হ’ত। ঘুম চোখের বাচ্চাদের জামা-কাপড় বদলে চুল আঁচড়ে দিচ্ছেন, “এই যাহ্‌, জুতার ফিতেটাইতো বাঁধা হয়নি, আমেনা ভাইয়া আর আপুর জুতার ফিতাটা বেঁধে দে তো চট করে।”

স্কুলের এত্তো এত্তো বই খাতা ভরা ব্যাগ কি এই কচি শিশুরা বয়ে নিতে পারে? “এই আমেনা, যা তো ভাইয়া আর আপুর ব্যাগ দুটো গাড়িতে তুলে দিয়ে আয়। পানির ফ্লাস্ক দু’টো নিতে যেন ভুলিস না। গাড়ি থেকে না হয় ড্রাইভারই স্কুলের গেট পর্যন্ত এগিয়ে দেবে।”

আট বছরের আমেনা অপুষ্ট বাঁকানো পিঠে দুই ব্যাগ নিয়ে চারতলা থেকে সিড়ি দিয়ে নামতে থাকে...

...

ছুটির দিনের দুপুর গড়িয়ে বিকেল। বাড়ির সবাই খাওয়ার পরে যার যার ঘরে আরাম করছে। বারান্দায় কাপড় ভাঁজ করতে করতে গ্রিল পেরিয়ে সামনের আকাশের দিকে তাকায় সখিনা। পুবের আসমান জোড়া কালো মেঘের দল। কলমাকান্দা গেরামের আসমানেও কি এমন মেঘ? জরিনা কি করতাছে? যা পাড়া বেড়ানি হইছে মাইয়া। মায় কি ডাক দিয়া বাড়ি আনছে জরিনারে? জরিনার বাপে নতুন বিয়া কইরা তালাক দেয়ার পর থাইকা মাইয়ারে মায়ের কাছে রাইখ্যা ঢাকায় কামে লাগা...কতদিন কলমাকান্দা গেরামের আসমান জোড়া আন্ধাইর করা এইরাম মেঘ দেখা হয় না। বাড়ির পুকুরের পানিতে মেঘের ছায়াডা কি আগের লাহান...উঠানের মাটিতে সোঁদা গন্ধ...ভারী বাতাসে পানির ঘ্রান?

“বুয়া, ফ্রিজ থেকে আমাকে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি দিয়ে যাও তো”, রিনি আপার ডাকে সখিনার চিন্তার জাল ছিড়ে যায়।

“বুয়া, তুমি এতক্ষণ ধরে কি কাপড় ভাঁজ কর? তাড়াতাড়ি কর। আমার ঘরতো আজকে এখনো মুছোই নাই”, এবারে বিবি সাহেবের গলা।

সবশেষে ভেসে এলো সাহেবের ভারী গলা, “বুয়া, এক কাপ চা দিয়ে যাও।”

সখিনার আজকাল আর মনেই থাকে না তারও একটা নাম কোন কালে ছিল। সবার “বুয়া” ডাক শুনতে শুনতে এটাই তার নাম হয়ে গিয়েছে। মাও ডাকে বুয়া, মেয়েও ডাকে বুয়া, বাবাও ডাকে বুয়া। আইচ্ছা, এরা এই “বুয়া” নামটা পাইলো কুনখানে?

...

“শায়লা ভাবী, কেমন আছেন?”

“আর বলবেন না সীমা ভাবী। কেমন আর থাকবো। জানেনইতো ঈদের ঠিক দু’দিন আগে কাজের মেয়েটা চলে গেল। কী বিপত্তিতেই না পড়েছিলাম।”

“হ্যা, শুনেছি। আপনি মাসের পুরো বেতন একবারে দিয়ে দেন নাকি? তা নইলেতো এরকম হওয়ার কথা না।”

“ঠিকই বলেছেন, আমি মাসের শেষে একবারেই বেতন দিয়ে দেই। কিন্তু না দিয়েইবা উপায় কি বলুন? এই গার্মেন্টস আসার পর থেকে ছোটলোকদের যা বাড় বেড়েছে। কাজের মেয়েতো পাওয়াই যায় না। শুধু আমার ড্রাইভারের বাড়ি রংপুরের মঙ্গা এলাকায় তাই এখনো কাজের মেয়ে পাচ্ছি।”

“তো পেয়েছেন নতুন কোন কাজের লোক?”

“হ্যা, পেয়েছি। এইতো দু’দিন হ’ল। তাকে আবার নতুন করে সব ট্রেনিং দিতে হচ্ছে। কাজ শেখানো কি চাট্টিখানি কথা?”

“ঠিকই বলেছেন শায়লা ভাবী। তবে এবারে যেন আর আগের মতো ভুল করবেন না। মনে আছে তো? ভিটামিনের টেবলেট প্রথম থেকেই ধরিয়ে দেবেন। ঘরে আপনার ইয়াং ড্রাইভার, দারোয়ান...”

“হ্যা, হ্যা, ঠিক বলেছেন ভাবী। ভালো কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। সেবারে দারোয়ানটার কারনে কি ঝামেলাতেই পড়েছিলাম! আচ্ছা এখন রাখি।” বলেই তাড়াতাড়ি করে ফোন নামিয়ে রাখেন শায়লা ভাবী। কে জানে সীমা ভাবী আরো কোন কথায় চলে যান। সেই ঘটনার কথা মনে হতেই যেন শিড়দাড়া দিয়ে হিমশীতল একটা সরীসৃপ নেমে গেল। ভাগ্যিস সীমা ভাবী তার ছোট বোনের ক্লিনিকে...দারোয়ানের কথা বলেই চাপা দিয়েছিলেন। নিজেও তাই বিশ্বাস করেছিলেন (শাহেদই কেন কে জানে আচমকা অফিসের কাজে ঢাকার বাইরে চলে গিয়েছিল), বেশি ঘাটান নি। কে জানে, শেষে কি বের হয়ে আসে?

এনাফ ইজ এনাফ

এই রকম অজস্র আমেনা, রেহানা, জরিনা, শাহিনারা গার্মেন্টসে কাজ নেয়। দিনের দু’বেলা তাদের সঙ্গে আমাদের দেখা হয়ে যায়। খুব সকালে একবার। সন্ধ্যায় আরেকবার। ফুটপাথের ওপর লাইন ধরে হাঁটে ওরা। পরনে রংচটা শালোয়ার-কামিজ, শাড়ি-ব্লাউজ। বহু ব্যবহারে জরাজীর্ন। পায়ের স্যান্ডেল জোড়া হতশ্রী। হাতে প্লাস্টিকের টিফিন বাক্স, তাতে মোটা চালের ভাত, আলু ভর্তা আর ডালের পানি। তারপরেও এদের মুখ উজ্জ্বল। গার্মেন্টসে কাজ করে ওরা এখন। বাসা বাড়ির ইনফর্মাল সেক্টরে নয়। রীতিমত দেশের ফর্মাল ইন্ডাস্টিয়াল সেক্টর। এদের অবদানেই বাড়ে দেশের জিডিপি, বাড়ে এক্সপোর্ট রেভিনিউ।

বাসা বাড়ির চার দেয়ালের ভেতরের জীবন থেকে বের হতে চেয়েছিল এই আমেনা, সখিনা, রেহানা, শাহিনারা...একটু প্রাণ খুলে বাঁচতে চেয়েছিল। সেই চাওয়ার দাম দিতে চার মিলিয়ন নারী কাজ করছে বাংলাদেশের গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে। শুধুমাত্র ২০১১-২০১২তেই দেশের রপ্তানী আয়ে যোগ করেছে ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশ পেয়েছে সারা বিশ্বে গার্মেন্টস শিল্পে প্রথম সারির মর্যাদা। সামগ্রিক অর্থনীতির হিসেবে বাংলাদেশকে আগামী-১১টি (N-11) সম্ভাবনাময় দেশের একটি বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।

চার মিলিয়ন সখিনা, রেহানা, আমেনা, শাহিনারা কী পেয়েছে? এরা কি একবারে পায় মাসের শেষে পুরো বেতন? দেশের দ্রব্যমুল্যের সাথে কি কোন সম্পর্ক আছে এদের মজুরীর? এরা কি পায় মেটারনিটি লিভ? এদের কি স্বাস্থ্য সেবার আছে কোন নিশ্চয়তা? এদের কর্মস্থলের আছে কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা? ঝুঁকিপুর্ণ কর্মস্থলের দূর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপুরণের আছে কোন ব্যবস্থা? এদের মালিক, সুপারভাইজারদের সাথে দাবী-দাওয়া নিয়ে কথা বলার আছে কোন ব্যবস্থা? কর্মস্থলে শারীরিক, মানসিক ও যৌন নিরাপত্তাহীনতা রোধের আছে কোন ব্যবস্থা?

জানি না। আমরা তার কিছুই জানি না। আমরা কোন খবরই রাখি না। এভাবেই ঘটে চলে স্প্যাকট্রা, তাজরীন, রানা প্লাজা...কে জানে এর পর কোন শাহিনা মরতে মরতেও দুধের শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য বেঁচে থাকতে চাইবে, তারপর খবরের কাগজের শিরোনাম হয়ে বিদায় নেবে এই পৃথিবী থেকে?

এবার কি জেগে উঠতে পারি আমরা? দেয়ালের ওপারে দৃশ্যের পরে দৃশ্য পার হয়েছে...আমরা চোখ বুজে কিংবা চোখ উল্টে থেকেছি। এবার কি বলে উঠতে পারি, এনাফ ইজ এনাফ?

এ আমার ভাইয়ের রক্ত, বোনের লাশ

এমন অমানিশার মধ্যেও যে আলোর রেখাটি দেখা গিয়েছে, তা সাধারণ মানুষের মানবতাবোধ। রামুর বৌদ্ধ বিহার ভাঙ্গার পরে যে শিপ্রা’দি আহত গলায় বলেছিলেন, “এই দেশের কিচ্ছু হবে না, কিচ্ছু হবে না”, তিনিই মন ভাঙ্গা গলায় বলেন, “কী হবে এই অসহায় মানুষগুলোর?” এই সেদিন হিন্দু মন্দির ভাঙ্গার ঘটনায় আহত তিথী বলেছিল, “দেশে মামাতো, মাসতুতো, পিসতুতো বোনগুলোকে নিয়ে যে কী দুশ্চিন্তায় আছি! বাংলাদেশটা কি আমাদের দেশ না?” সেই তিথীই ফেসবুকে চেনা অচেনা মানুষের কাছ থেকে হাত পেতে সাহায্য নিচ্ছে। একবারও ভাবছে না, গার্মেন্টসের মেয়েগুলোর মধ্যে ক’টা হিন্দু আর ক’টা মুসলমান। শাহিনার মৃত্যুর খবর পড়ে রাতভর জেগে থেকে রিজওয়ানা জানতে চায় বাচ্চাটাকে ও এডপ্ট করতে পারবে কী না। দেশের জান বাজী রাখা ছেলে-মেয়েদের কথা আর নাই বা বলি। রানা প্লাজার ধ্বংসস্তুপ থেকে এক একটি প্রাণ বাঁচাতে যার যা সাধ্য ছিল তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে প্রত্যেকে।

এক জন অতি সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি আশা করে আছি দেশের বিবেকবান মানুষদের প্রতি। অর্থনীতিবিদ রাহমান সোবহান, আনু মোহাম্মদ, এম এম আকাশ, ওয়াহিদউদ্দীন মাহমুদ, আবুল বারকাত, দেবপ্রিয় ভটাচার্য্যরা হিসেব করে বলে দিন গার্মেন্টস শ্রমিকদের জীবনের ও জখমের কী ক্ষতিপুরণ হওয়া উচিত। বুয়েটের পুরকৌশল ও স্থাপত্য বিভাগের ছাত্র-শিক্ষকরা এগিয়ে এসে বলুন এই সব কারখানায় শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কী কী পদক্ষেপ নেয়া উচিত। সেই সঙ্গে সেই ব্যবস্থাকে মনিটর করার কাজের পুর্ণাঙ্গ রূপরেখা নির্ধারণে সক্রিয় ভূমিকা রাখুন। আইন ও সালিশ কেন্দ্র, সুলতানা কামাল, ব্যারিস্টার রফিকুল হক, রিজওয়ানা হাসানদের মত মানুষরা এগিয়ে আসুন চিরতরে এইসব শ্রমিকের জীবনের নিশ্চয়তা বিধানে। আসুন সবাই মিলে নিশ্চিত করি এভাবে আমাদের ভাইয়ের রক্ত ঝরবে না, বোনের লাশ কাঁধে কাঁদতে হবে না, ক্রন্দনরত শিশুর সামনে অপরাধী হতে হবে না।

প্রিয় প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেত্রী ও জাতীয় সংসদের স্পিকার,

বহির্বিশ্বে আমরা মুখ উজ্জ্বল করে বলি আমাদের দেশের নারীদের ক্রমাগত উন্নয়ন ও দেশের উন্নয়নে তাঁদের অনন্য অবদানের কথা। আপনারা তিনজন আমাদের সেই গর্বের মুর্ত প্রমাণ।

দেশের ভাবমুর্তি বাঁচাতে এবারে আপনারা সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে এগিয়ে আসুন। বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের সমস্যার সমাধান বাংলাদেশের মানুষকেই করতে হবে। ল’ব্লজ আর প্রাইমার্ক বারবার আসবে না বাংলাদেশের শিল্প মালিকদের অবহেলা জনিত ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের ক্ষতিপুরণ দিতে। বাংলাদেশ যখন নিশ্চিত করবে কর্মস্থলে শ্রমিকের নিরাপত্তা, ন্যায্য মজুরী, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য সুবিধা, তখন আন্তর্জাতিক স্ট্যাকহোল্ডারদের সাথে ন্যায় সংগত নেগোসিয়েশনও সম্ভব হবে।

আপনাদেরকে সবিনয়ে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশটা এখন আর ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের মধ্যে সীমিত নেই। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক দেশের ভাবমুর্তি সমুন্নত রাখতে দেশের দূত-এর কাজ করবে। শুধু প্রয়োজন আপনাদের সৎ ও আন্তরিক নেতৃত্বের। দেশের বিবেকবান মানুষদের নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ুন রানা প্লাজার ধ্বংসস্তুপ থেকে এক নতুন মানবিক বাংলাদেশ নির্মাণে। সমগ্র বিশ্বকে দেখিয়ে দিন বাংলাদেশের নারীদের শক্তি। বাংলাদেশ আপনাদের সঙ্গেই আছে।


মন্তব্য

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

ব্যারিস্টার রফিকুল হক? আপনি কি নিশ্চিত যে এই লোকটার নামও রাখতে চান এঁদের সারিতে?
ঐ রকম লোক জন্মালে কারু কোন উপকার হয় বলে মনে হয় না। শুধু মায়েদের জরায়ূর অসম্মান হয়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

মরিচঝাঁপি গণহত্যা নিয়ে লেখা সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ঠাকুরমার ঝুলি কবিতাটা মনে পড়ে গেলো

এ দুয়োরে যায়: দূর-দূর!
ও দূয়োরে যায়: ছেই-ছেই!
সুয়োরানী লো সুয়োরানী তোর
রাজ্যে দিল হানা
পাথরচাপা কপাল যার সেই
ঘুঁটেকুড়ুনির ছানা
ঘেন্নায় মরি, ছি!

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নীলকমলিনী এর ছবি

ভাল লিখেছ। বুয়া বলে ডাকাটা আমারও অসহ্য লাগে। অনেকে বলেন বুয়া মানে বুবু। সে কি সবার বুবু? বাবা মা ছেলে মেয়ের?
আমরা ছোট বেলায় আপা আর ভাই ডেকেছি, মা আমাদের তাই শিখিয়েছেন। দেশে গিয়ে যখন দেখি বাসার ছোট ছোট বাচ্চারা গৃহ কর্মী কে বুয়া ডেকে হুকুম করে, তখন খুবই খারাপ লাগে। আমি কয়েকজন মাকে বলেছি সে কথা। ওদের ধারনা বিদেশে থাকি বলে আমি জানিনা কি করে বুয়া দের চালাতে হয়।

মইনুল আজিজ এর ছবি

অসাধারণ একটি লেখা পড়লাম। কেইসস্টোরি গুলো দারুন! আপনার সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে বলতে চাই:
দেশের জন্য আর জনগণের জন্য রাজনীতি করলে ফিরে আসুন জনগণের কাছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

বারে বারে পড়া দরকার।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।