অসুখ

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি
লিখেছেন জোহরা ফেরদৌসী (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৭/০২/২০১৪ - ৭:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

...এক...

এ জন্মের জন্য ওপরওয়ালার প্রতি আমার নিদারুণ অনুযোগ আছে। দুর্বল স্বাস্থ্য ও ততোধিক দুর্বল চিত্ত সহকারে এই ধরাধামে আমাকে পাঠানোর জন্য। কেন তার কারখানায় কি এর চেয়ে ভালো কিছু ছিল না? নিশ্চয়ই ছিল। আমার বদ্ধমূল ধারনা, ব্রান্ড নিউ তো দূরের কথা আমাকে সেকেন্ড হ্যান্ড জিনিসও দেয়া হয়নি। নির্ঘাত কারখানার কোনায় অন্ধকারে মরচে পড়া বহু ব্যবহারে (কয়েকবার এই পৃথিবী পরিভ্রমণ করে ফেরত যাওয়া) জরাজীর্ণ পুরানো জিনিস আমার দেহ ঘড়িতে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে।

তা নইলে এখন নাহয় বুড়ো হয়েছি, গিঁটে গিঁটে ব্যথা, বাতের ব্যথা, অম্বল, অনিদ্রা নিত্য সঙ্গী হবে...অনুযোগ করে লাভ নেই। কিন্তু এক সময়ে তো দুই বেণী ঝুলিয়ে ইশকুলে গিয়েছি। সেই সময়েও কেন একটু সাধ করে বৃষ্টিতে ভিজলে, কিংবা শীতের সন্ধ্যায় একটু হিমের নীচে থাকলেই...খবর হয়ে যেত? খবর আর কী? আবার জ্বর, টনসিল, বিচ্ছিরি কাশি...আবার মোজা পরে ঘুরে বেড়াও সপ্তাহ দুয়েক...পটাস পারম্যাঙ্গানেট সহকারে গরম পানিতে সকাল বিকাল গার্গল কর...গলায় চুলকানি উদ্রেককারী মাফলার নামক পদার্থটি পেঁচাও...বিকালের হাওয়া খেতে ছাদে/খোলা মাঠে যাওয়া বন্ধ...গামলার মত কাপে করে সারাদিন আদা সহযোগে লেবুর চা খাও (এটি ছিল বিশেষভাবে পিতৃদেবের নির্দেশ। আদা যে সর্বরোগের মহৌষধ এই ধ্রুব সত্যটা আমি আমার নিভৃতচারী বাবার কাছ থেকেই জেনেছি। তাঁর তালিকায় আরও ছিল সরিষার তেল, গরম দুধ ও রশুন)। গলা দিয়ে কিছু নামছে না? আইসক্রিম, ফুচকা কিংবা চানাচুরও খেতে ইচ্ছে করছে না? জাউয়ের মতো নরোম খিচুড়ি, শিং মাছের পাতলা ঝোল, শীতের দিনের জল পাই, নতুন আলু, টমেটোর ঝোল ফুড়ুৎ ফুড়ুৎ করে খাও আর গৃহবন্দী থাকো...

এই সব করে টরে অনার্স পাস করার পরে একবার হ’ল জন্ডিস। ঠিক আমার ইমিডিয়েট বড় ভাইটার গায়ে হলুদের দু’দিন আগে ঘটলো ঘটনাটা। সে এক বিশাল ব্যাপার। বিয়ের চেয়েও বিশাল আয়োজন। বিয়ে টিয়ে রইলো পড়ে, সবাই জন্ডিস রোগী নিয়েই ব্যস্ত। একাধারে তিন মাস শয্যাশায়ী। কিসের ক্লাস কিসের কী! দু’দিনের মধ্যে গায়ের চামড়া, হাত-পায়ের নখ, চোখের সাদা অংশ সরিষা খেতের রং ধারণ করলো। আমি বেশ হলুদিয়া পাখি হয়ে গেলাম। এমনকি বিছানার ধবধবে সাদা চাদর গেরুয়া ধারী হয়ে গেল। রক্তে ঘাপটি মেরে থাকা বিলিরুবিন নামক অচিন পাখি ধাই ধাই করে উঠে যেতে লাগলো। হাতের চামড়া ফুঁড়ে স্যালাইন চলতে থাকলো। আমি চিঁহি চিঁহি করে (গলায় তখন স্বর ফুটছিল না যে!) এ জন্মের সকল পাপ (চারতলার মেয়েদের কমন রুমের চা, সিঙ্গারা, নীরব হোটেলের শুটকির ভর্তা, শামসুন্নাহার হলের সামনের চটপটি, ফুচকা, কাসুন্দি দিয়ে রাস্তার পাশের কাঁচা আমের ভর্তা, বাড়ি থেকে ফুটানো পানির বোতল নিতে ভুলে যাওয়া, রাত জেগে কড়া চা সহযোগে হেমন্ত মুখার্জীর গান শোনা, ইত্যাদি) স্বীকার করে মৃত্যুমুখে পতিত হওয়ার জন্য তৈরি হতে লাগলাম। আমার মূলত: “আয়রন লেডি” মাতৃদেবী আকুল হয়ে ভেঙে পড়লেন। তাঁর দিবারাত্রির কাজ হয়ে দাঁড়ালো নিজের হাতে বাজার করা, নিজের হাতে রান্না করা, নিজের হাতে আমাকে প্রতিটা বেলা খাওয়ানো, আর সারা রাত নামাজ পড়ে মুনাজাতে কাঁদা, “আল্লাহ, যত অসুখ আছে আমাকে দাও। আমার বাচ্চাকে ভালো করে দাও।” আরও একটা কাজ তিনি খুব ভালো করতেন। সেটা হ’ল গায়ে হাত বুলানো। জ্বরের ঘোরে কোন অতলে তলিয়ে যেতে যেতে কিংবা মধ্যরাতে ঘুম ভাঙা চোখ মেলে কত অসংখ্যবার যে দেখেছি এক জোড়া নরোম, ভেজা চোখ জেগে আছে আর একটা হাত আলগোছে আমাকে ছুঁয়ে যাচ্ছে। খুব সম্ভব, আমার মায়ের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল হাত বুলিয়েই সব অসুখ ভালো করে দেবেন তিনি। হায়, অবোধ জননী!

আয়রন লেডির আরেকটা ব্যাপার ছিল। দিনের মধ্যে হাজারবার করে জানতে চাইতেন কেমন লাগছে। আগেরবারের চেয়ে একটু ভাল লাগছে কি না (মূলত: তুখোড় মেধাবী এই মানুষটা কেন যে বুঝত না,মানুষের শরীর এত দ্রুত ভাল হয়ে যায় না! এমনকি মাতৃদেবী ঘন ঘন জিজ্ঞেস করলেও না। )। আর পিতৃদেব? তিনি কম কথার মানুষ, বিছানার পাশে এসে দাঁড়াতেন, কপালে হাত রেখে জ্বর দেখতেন, দরকার হলে মাথায় পানি ঢেলে দিতেন, কপালের জল পট্টি ভিজিয়ে দিতেন, পায়ের তলায় গরম সরিষার তেল ডলে দিতেন, জ্বরের প্রকোপ বেশী দেখলে পাড়ার ওহাব ডাক্তারের বাড়িতে ছুটতেন। কিন্তু সবকিছু করতেন নিঃশব্দে। তিনিও জায়নামাজে দীর্ঘ সময় পার করতেন। তাঁর প্রার্থনা ছিল শব্দহীন, শুধু দু’চোখের জলের ধারারা ছিল দৃশ্যমান।

...দুই...

সেদিন ম্যালা দিন পরে আমার ছেলেবেলার বন্ধুটি ফিরে এলো। শুরুটা ছেলেকে দিয়ে। প্রথমে ইশকুল ফেরত ছেলে ফোনে জানালো, “মা, আমার গলা ব্যথা করছে। তুমি তাড়াতাড়ি বাড়ি এসো।” এক দিন বাড়িতে রেখে গরম স্যুপ আর আদা জলের পথ্যতেই সেরে উঠল। কিন্তু উইকএন্ডের শুরু থেকেই আমার ছেলেবেলার বন্ধু জানান দিচ্ছিল সে ভুলে নাই আমাকে! তার পর এক রাতে শেষতক চলেই এলো অনেকটা “যে রাতে মোর দুয়ার গুলি ভাঙল ঝড়ে...”র মতো করে। দুই ব্লাঙ্কেটের নীচে আমার ঠকঠকানো কাঁপুনিতে ছেলে জেগে গেলো, “মা, কী হয়েছে? হোয়াই আর ইউ শেকিং? তুমি কি পানি খেতে চাও?”

“না, বাবা, পানি লাগবে না। ব্ল্যাঙ্কেটের ওপর দিয়ে আমাকে জাপটে ধরে থাকো। তা’হলেই হবে। ইট উইল বি অল রাইট ইন ফিউ মিনিটস। ডোন্ট ওরি।”

দু’দিন পাত্তা না দিয়ে দেখতে চাইলাম কী হয়। কিন্তু গলার ব্যথা, মাথার ভেতরে ব্যথা, গায়ের গিঁটে গিঁটে ব্যথারা জানিয়ে দিল তারা বেশ প্রস্তুতি নিয়েই এসেছে। পিতৃদেবের কথামত প্রচুর আদা সহযোগে জল জ্বাল দিয়ে মগ ভর্তি চা খেলাম। নিজের হাতে বানানো টমেটোর বিস্বাদ ঝোল খেলাম (ঘরে আলু ছিল বাড়ন্ত। ম্যালা দিন ফ্রোজেন জলপাইও কেনা হয়নি)। আয়রন লেডির হাতের কী জাদু ছিল, জেনে রাখা হয়নি। ছ্যাঁচা রশুনের ফোড়ন দিতো, এটা জানি। আমিতো তাই দিলাম, তা’হলে আমারটা কেন সেরকম হ’ল না! নির্ঘাত কিছু একটা আমাকে বলে যায়নি। এখন যে ফোন করে জেনে নেবো, তাওতো সম্ভব না।

যাকগে, রাখে হরি মারে কে? বেশ করে দু’খানা এডভিল খেয়ে ছেলেকে নিয়ে রওনা দিলাম বদ্যি বাড়ির উদ্দেশ্যে (ছেলেকেও দেখানো দরকার)। সেদিন রোদ উঠেছে ফকফকা, সাথে মৃদুমন্দ ঝোড়ো হাওয়া। এই দেশে রোদেলা দিন মানেই হ’ল ভয়াবহ ঠাণ্ডা দিন। রোদ + ঝোড়ো হাওয়া = শৈত্য প্রবাহ (তাপমাত্রা এক নিমিষে ১০- ১৫ ডিগ্রি তলিয়ে যাবে)।

গাড়ির পেছনের সিট থেকে ছেলের জিজ্ঞাসা, “মা, আর ইউ ওকে?”

“ডোন্ট ওরি, দ্য ইয়াংগেস্ট ডটার অফ দ্য আয়রন লেডি ইজ ফাইন লাইক রকি মাউন্টেন। তুমি সিট বেল্ট পরেছ, বাবা?”

“আমি সিট বেল্ট পরেছি, মা। বাট, ইউ ওয়ের শ্যাকিং লাস্ট নাইট এগেইন।”

“দ্যাটস ওকে। রকি মাউন্টেন শ্যাকস সামটাইমস। আই অ্যাম অ্যাবসল্যুটলি ফাইন নাউ।”

বলতে বলতে উড্রফের কর্নার ছাড়িয়ে যাই। একটু দূরেই ফ্যালোফিল্ড ট্রেন স্টেশন। স্টেশনের লাল ছাউনিটা দেখলেই কোথাও খুব যেতে ইচ্ছে করে। কবে একটু ছুটি হবে, কোথাও যাওয়া যাবে... ছুটি গল্পের ফটিকের মতো ছুটি আর হয় না...

...তিন...

ওয়াকিং ক্লিনিক। আগে কখনো আসিনি। ডাক্তারের অ্যাসিস্টেন্ট সব বৃত্তান্ত নোট নিয়ে গেল। ডাক্তার ব্যাটা এসে প্রথমেই সেই নোটে চোখ বুলাতে বুলাতে শুধায়, “এসব কী তোমার নিজের হিস্ট্রি না কী তোমার ফ্যামিলি হিস্ট্রি?”

আমি পরিষ্কার হতে জানতে চাই, “তুমি ঠিক কিসের কথা বলছ?”

“এই যে সার্জারি, কেমো...এসব?”

“বালাই ষাট, ফ্যামিলির হতে যাবে কেন? এগুলো সব আমার নিজের।”

ডাক্তার এবারে আমার বর্তমান অসুখের বৃত্তান্তে মন দিলো। বিড়বিড় করে বলল, “মনেতো হচ্ছে ভাইরাল। কিন্তু তোমার যা হিস্ট্রি! কাজেই টেস্ট করাটাই ভাল।” (সারভাইভার হওয়ার সম্মানই আলাদা!)।

তারপর, গলা থেকে সরু কাঠি দিয়ে সযত্নে সোয়াব নিলো। তারপর খসখস করে ওয়ার্ক নোট আর টেস্টের রিক্যুজিশন লিখতে লিখতে বলল,

“কালকের মধ্যে রিপোর্ট পাব। আমার অ্যাসিস্টেন্ট তোমাকে কল করলে চলে এসো।”

আমিও গুড গার্লের মত মাথা দুলিয়ে সায় দিলাম। এর মধ্যে ছেলেকেও দেখে দিলো ডাক্তার। ওরটা ভাইরাল, কাজেই কিচ্ছু করার দরকার নেই। শুধু মায়ের যত্নই একমাত্র পথ্য।

...চার...

ছেলেটার কী যে বাজে অভ্যাস। গায়ে হাত বুলিয়ে না দিলে ঘুম আসে না তার। সেদিন রাতে প্রাত্যহিক রুটিন শেষ করে তার দিকে পেছন ফিরে শুয়েছি। তখনই ছেলে বলে উঠল, “মা, আমি কি তোমাকে একটু হাত বুলিয়ে দেব?”

“কেন বাবা?”

“তুমি বলেছ আয়রন লেডি তোমাকে হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়াতো। স্পেশালি হোয়েন ইউ ওয়ের সিক...”

“না, বাবা ইটস ওকে। আই অ্যাম ফাইন। তুমি ঘুমাও।”

ম্যালা দিন পরে আমি ওপর ওয়ালাকে একটা ধন্যবাদ দেই। অন্তত: চোখের জলের ধারাকে শব্দহীন করার জন্য...

_______________________

কৃতজ্ঞতাঃ বানানবিদ তিথীডোর


মন্তব্য

এক লহমা এর ছবি

সার্জারি, কেমো, সারভাইভার - কিচ্ছু জানতাম না জোহরা দিদি। এইমাত্র, তোমার জানুয়ারী ১২, ২০১৩-এর লেখা পড়ে আসলাম। কি লড়াই লড়েছরে দিদি! এবং লড়ছ এখন, এই মুহূর্তে! আজকাল কিছুদিন ধরে বারে বারে তোমার কথা মনে হচ্ছিল। তখন কি জানি কি বিপদের মধ্যে রয়েছ তুমি! এখন কি সেরে উঠেছো? কেমন আছো এখন?

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

এই যাহ্‌ অমিত’দা, তোমাকেও দেখছি ঈশ্বর বুড়ো একটা দূর্বল চিত্ত দিয়ে পাঠিয়েছে! এত সহজে মন খারাপ করলে হয়?

শোনো, দিব্বি ভাল আছি আমি। এই একটু খানি টনসিলাইটিস হয়েছে আমার। ছেলেবেলায় এই ব্যাটা ব্যাক্টেরিয়ায় অনেক জ্বালিয়েছে। তবে এই শীতের দেশে আসার পর থেকে অনেক ভাল আছি। তাই পুরানো বন্ধু ফিরে আসাতে একটু স্মৃতিকাতর হয়েছি, এই যা।

আর মাঝে মাঝে যদি একটু অসুখ বিসুখ না হয় শরীর থাকার মানে কি? একটু অসুখ বিসুখ হবে...সবাই এরাম আদর যত্ন করে খোঁজ খবর করবে তবে না এই জীবন সার্থক, না কি বল লইজ্জা লাগে ?

মোদ্দা কথা, কিচ্ছু ভেবো নাকো দাদা। রকি মাউন্টেন ইজ ১০০% অল রাইট দেঁতো হাসি

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

এক লহমা এর ছবি

"এই একটু খানি টনসিলাইটিস হয়েছে" - এখন অনেক ভালো লাগছে। জানি, সেটারও যন্ত্রণা আছে, তবু হাসি
"রকি মাউন্টেন ইজ ১০০% অল রাইট" - চমৎকার। এটাই চাই। এখন আমার মন ভালো হয়ে গেছে দেঁতো হাসি
সেরে ওঠো এবার, ভালো থাকো, বাড়ির সব্বাইকে ভালো রাখো। চলুক

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

তাসনীম এর ছবি

আপনার আগের লেখাগুলো পড়ে কিছুটা জানতাম।

কেমন আছেন এখন? উৎকন্ঠায় রইলাম।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

লজ্জায় ফেলে দিলেন, তাসনীম। উৎকন্ঠার কিচ্ছু নেই। বদ্যি ব্যাটা দিন দশেকের জন্য এন্টিবায়োটিক দিয়েছে। শুরু করে দিয়েছে অলরেডি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

অতিথি লেখক এর ছবি

এখন কেমন আছেন?
শেষ লাইনটা চোখে জলের ধারা আনার মতই...

সুবোধ অবোধ

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

ভালো আছি, সুবোধ, ভাল আছি। আপনিও ভালো থাকুন।

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

তিথীডোর এর ছবি

তিথীকে বানানবিদ বললে লোকে হাসবে!

কেমন আছো এখন? আমার এখানকার নাম্বার দিয়েছি ফেসবুকে, সময় মিলিয়ে অবশ্যই জানিও কখন কথা বলা যাবে।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

জো হুকুম, মহারানী। শিগগীর কল করছি আপনাকে দেঁতো হাসি

অটঃ লোকে খুকীকে নিয়ে একটু হাসলে কী হয়?

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

ইস কি সব দুখজাগানিয়া লেখার ঝাঁপি খুলে বসে!
আপুনি তাড়াতাড়ি জানাও দেখি কেমন আছো এখন???
চিন্তা হচ্ছে ............

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

যাক্‌ বাবা বাঁচা গেল আর কখনো বলবে নাতো, “ ম্যালা দিন কিছু (ছাই ভস্ম) লিখছো না কিন্তু” দেঁতো হাসি ?

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

অতিথি লেখক এর ছবি

ক্যান্সার এর সাথে যুদ্ধ টা আমার বাবাও করেছিলেন। খুব কাছে থেকে দেখেছিলাম তার যুদ্ধটা। শেষ পর্যন্ত চলে যেতে হয়েছিল তাকে। খুব কাছে থেকে তার সেই যুদ্ধের একজন হাতিয়ার হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কষ্টটা কমাতে পারিনি। আজ এগার বছর পার হতে চলল। যন্ত্রনা কাতর চেহারাটা এখনো চোখ বন্ধ করলেই দেখতে পাই।

গবেষক

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

আপনার বাবার কথা শুনে খারাপ লাগলো। প্রার্থনা করি, যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন তিনি।

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

নিভৃত যতনে যে কষ্টগাঁথাটি লিখেছেন, তা মনকে ভরে দিল বিষাদে। তবুও কামনা করি, সদা সবদিক থেকে ভাল থাকুন।

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। ভাল আছি আমি। আপনারও মঙল কামনা করছি।

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

তাপস শর্মা এর ছবি

অনেক সময় বাদে ব্লগে ঢুকে এই লেখাটা পড়লাম। কিছু বলতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু বলার মতো কোনো শব্দ জানা নেই

সুস্থ হোন এইটা শুধু চেয়ে গেলাম। ভাল থাকবেন, প্লীজ....

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, তাপস আপনার শুভ কামনার জন্য। আপনারও শুভ কামনা করছি।

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

সত্যপীর এর ছবি

ঠিক মন্তব্য করা বা রেটিং দেবার মত লেখা নয়।

আচ্ছা গান শুনি আসেন জোহরা আপাঃ

..................................................................
#Banshibir.

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

“ইচ্ছে করে চলে যাই অনেক দূর...ঝলমলে রোদ্দুর...”
সত্যপীর, যান আমার সাথে এ যাবত যত ঝগড়া ফ্যাসাদ করেছেন সচলের পাতায় সব ক্ষমা করে দিলাম এই গানটা শোনানোর জন্য। গানটা খুবই ভালু পাইলাম হাসি

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

আয়নামতি এর ছবি

ইশশ সত্যপীর ভাইয়ার(হিহিহি পীর কে ভাইয়া ডাকলে কেমন আজব শোনায় শয়তানী হাসি ) গান পচা রে আপু খাইছে
তুমি বরংএইটা শোনো
এই গান শুনে তোমার চনমনিয়ে নাচতে মন করবেই করবে। আই বেট!
নাচতে ইচ্ছে হলে আমাকে ডেকে নিও। দুই বোনেতে তিড়িংবিড়িং হিড়িম্বা নাচবো। ভালো হবে না বলো?
ভাইয়ার পিচ্চিটা আমার দারুণ ফেন শুধু মাত্র এই নাচের জন্যই। হু হু বাবা যা তা ভেবো না কিন্তু!

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

আয়না বিবি, গানটাতো দিব্বি। হিড়িম্বা নাচের জন্য দারুন চোখ টিপি

এটাও শুনে দেখতে পারো...

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

কৌস্তুভ এর ছবি

হিড়িম্বা যুবরাণী নৃত্য করতেন, এমনই তাঁর নামে নৃত্যের একটি শাখারও নামকরণ হয়েছে, এ তো কিছুই জানতেম না আমরা! এখন একটু হিড়িম্বা নৃত্যকলা দেখাতেই হবে যে বায়নামতি দেবী!

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চোখের জলের ধারা আসলেই শব্দহীন। কিচু বলা গেল না।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

ভালো থাকুন, ত্রিমাত্রিক কবি।

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

আশালতা এর ছবি

লেখা বরাবরের মত ভালো লাগলো। ভালো থাকো।

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

আশা’দি, খুব ভাল লাগল তোমার সাথে দেখা হয়ে। মনে আছে, একবার বলেছিলে, “লিখে কী হয়?” কিচ্ছু হয় না, শুধু তোমার মত ভাল লেগে যাওয়া মানুষের সাথে দেখা হয়ে যায়।

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

কৌস্তুভ এর ছবি

রকি মাউন্টেনসে ও একটু ভূমিকম্প হয়েই থাকে, ও নিয়ে চিন্তার কিছু নেই, তাই না?

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

এক দম ১০০% নির্ভেজাল কথা হাসি

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

নীলকমলিনী এর ছবি

তুমি সবসময় আমার মনে আছ. ভালো থেকো .

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

নীলু’দি, আহ্‌ মনটাই ভাল হয়ে গেল। তুমিও ভালো থেকো।

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

"শিয়রে বসিয়া জননী তাহার শরীরে বুলায় হাত
যদি পারে তবে যত স্নেহ আছে ঢেলে দেয় তারি সাথ"

- কেমন আছেন এখন? সুস্থ হয়ে উঠেন তাড়াতাড়ি আর "অসুখের পরে" লেখা দেন।

____________________________

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

প্রফেসর হিজিবিজবিজ, অনেক ধন্যবাদ আপনার শুভ কামনার জন্য। ভালো আছি এখন। আপনিও ভালো থাকুন।

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।