ফরেস্ট বাংলোয় থেকে বৃষ্টি
দেখিনি কখনো,শুনেছি শুধু
এই টিনশেড ঘরে
অবিরাম বৃষ্টি পড়ে
শিশুর কান্নার সুর যেন
থেমে থেমে
শুরু হয় ফের
তারপর সুর থামে...
বৃষ্টি থামে...
কামড়ে থাকে কেবল না দেখার বোধ
আসমা বীথি
বৃষ্টি পড়ছে শহরে
ভেসে যাচ্ছে রাস্তা মাঠ পথ ঘাট ঘুপচি লেন
রিকশাওয়ালা ভিজে ঝড়ো কাক
খালি রাস্তায় বেল দেয় পাগলের মত
চিৎকার করে উল্লাসে
কলেজের মোড়ে ছেলে মেয়ে কিছু বেরিয়ে,
তাদের হুল্লোড়ে কানপাতা দায়
ঠোটের কোনে ঝুলিয়ে হাসি
দেখছে পৌঢ়, কোন বাসস্ট্যান্ডে বসে
বৃষ্টি পড়ছে শহরতলীর গাছপালা নুইয়ে
নিচে ছাড়া ছাড়া মিষ্টির দোকানে ভিড় অনেক
চায়ের কদর বেড়ে গেছে আজ বেশী
টিং টিং সাইকেল
পিছে পাট...
ভ্রমণে যাওয়ার পূর্বে কেউ-কেউ লিখে ফেলে সর্বনাম
ক্রিয়াবোধ লুপ্ত হলে এইসব কথাসর্বস্ব ভ্রমণকাহিনী
রহস্য করে ঢুকে যাচ্ছে অরণ্যরাত্রির দিকে--
এক-একটি ভ্রমণ তাই বার-বার গাঢ় কুয়াশা ভেদ করে
মোড় নিচ্ছে রহস্যকাহিনীর দিকে--
অফুরন্ত জ্বর আজ
দৃশ্যত কিছু মেঘখণ্ড ঝুকে আছে শিয়রের দিকে--
আড়ালে কাব্যজিজ্ঞাসা
এত স্পষ্ট কথায় কবিতা হয়না।
তবে চাইনা বলেই পারব না।
আভাস ইঙ্গিত আড়ালের জল্পনা –
ছানি পড়া চোখের ভাষায় ন্যাকামি চলেনা,করুণা তবু –
আমার হাতে সময়ের ভরসা আর
ভরসার সময় সীমিত খুব।
তোমায় সম্ভোগ শেষে চুমু খেতে চাই
তোমার পঞ্চম প্রজন্মের স্তনে।
সুদীপ্ত...নামটাই থাক
হাঁটছিলাম
খেলছিলাম ধুলা টেনে টেনে
বোবা ধরা শহর
বিকেলের ঘুমন্ত রাজপুরী যেন
হা করা এক দুঃস্বপ্ন চুপ চিৎকার-
হাতড়ে ফেরে আশ্বস্ত হাত
ঘর্মাক্ত কলেবরে
কান পাতি,
শুনি হিসহিসিয়ে উঠে ব্যধি-
'আহ! এসো এখন!..
দেখোনা দেই চিন্তায় বেড়িবাঁধ
হবে কল্পনার বৈদ্যুতিক আবাদ
বিকোবে সে দানব
কিনবে তুমি?
গাড়ল কোথাকার!..
দূর দূর!..
চুপ তাই আমি
হাঁটি মাথা হেঁট
ম্যাগিলান পৃথিবীর কোনে কোনে
পেরোই, মাড়াই
কব...
আজকে আমাকে, দ্বিধাকে লেখাবে
ঘাটের কবি। তার রেখার চিঠি এসে
দরোজা বাজিয়েছে। ডানার দূরালাপ
শুনেছে শ্যাওলা।ভাবুক নেশা জমে
দুলেছে চৌকাঠে। পালক ছাড়িয়েছে
ডানাকে উড়তে। ডানারা উড়ে যায়
ভাসানটেক, যশোর রোড তাকে
পাঠায় দেবদূত। কে বলে মেলাঘর,
দিল্লী বহুদূর? দেহাতী বিদ্রোহে
চাষারা কূচ গাঁথে। রক্ত জমে থাকে
মাতাল চৌচালে।রক্তে মরচে ধরে না
টাটকা অথবা তা যতই করুণ, বাসী হোক
এমত চিঠে এসে বাতাস...
তোমার ওই নুপূর ভিজুক,
সমুদ্রের লোনা জলে।
কিংবা তা ভিজুক লোনা,
আমার এই অশ্রুজলে।
আমি এই জলের ঋণ আজ শোধ নেব না।।
পাড় ভাঙ্গা এক নদীর জলে,
কোনো এক সন্ধ্যাকালে,
স্মৃতিগুলো বোতল ভরে।
ছুঁড়ে আমি ফেলেছিলাম।
আমি আজ হারিয়া যাওয়া স্মৃতি আজ ফেরত চাই না।।
চাই না তোমায় আমার করে, বলো শুধু...
তুমি কি একটি বারও আমার কোনো ডাক শোন নি?
আমি তো রাত্রি হলে ঠিকই তোমার কান্না শুনি।।
মানুষের ভাঙ্গা হৃদয় এ...
যদি নিশ্চিত জানি জন্মাবো আবার এই অধরা ধরিত্রীর পরে
তবে সহজ সরলতর হাসিমুখখানি
তোমাদের দিকে বাড়িয়ে এখনি বলতাম :
এ জন্মে আমার সম্মিতি নেই -
হে জীবন-জন্ম, এখনই স্তব্ধ হওয়!
এস্টেশন কাঁপিয়ে ভেপু বাজিয়ে
সাদা সর্পিলীসর্পের মতো দানবীয়
ট্রেনটি এস্টেশন অতিক্রম করলে
মানুষটি উঠে দাঁড়ায় ধীরপায়ে
কল্পনার আত্মহত্যার বীভৎস রক্তমাংস থেকে
যাত্রীছাউনিতে, জীবনের পাশে।
চলতে চলতে পথ না হয় ...
এই যে আমার হাতে ধরা
দিগন্ত প্রসার ক'রে ছুটে যায় সাতরঙা ঘোড়া,
এই যে আমার নিঃশ্বাসে
মন্দার বিচূর্ণ হয়, বাসুকীর আর্তনাদ ভাসে,
নিরুদ্বেগ প্রশান্ত ইথার
আমার দৃষ্টিতে জ্বলে দাবানল, হয় ছারখার
পাখির কাকলি, গাছ, শিশুরা নিষ্পাপকন্ঠে হাসে,
মধুর হাওয়ায় ভাসে ফুলের সুবাস মধুমাসে,
অগণ্য বেকারকুল, বিধবার কর্মফলগাথা,
মর্মরমূর্তিতে বিষ্ঠা, বিস্মরণ, ঝরে যাওয়া পাতা।
চিতার উত্তাপে হাত সঁ...
নারী ও ঘোড়ায় সমান সক্ষম আমি এক সবুজ গম্বুজ
গাঙ্গচিল সফরের সোনামুখী বাঁকে আঁকা ঐশী আয়াত
যেন হেঁটে আসা সময়ের অনির্বাণ ঔজ্জ্বল্যের রেশমী সীলমোহর;
এখানে ঠোঁট রেখে সমুদ্র তটে, প্রার্থনার পাঠ শিখে কাঠঠোকরা
জেনে নেয় কর্ষিত খামারের বীজ ও বাসনার দ্রৌপদি-স্নাণ
যেমন আমি জানি
কর্ষণ ও শৃঙ্গারের পদ্ধতি ও ভাষা,পাললিক সৌরভের মগ্ন-মহাস্থান।
আগুনের দাগে পুড়ে হাজার বছর ধরে অনন্ত অনাদি এ আগ...