না আঁকা অনেক স্কেচ, অনেক ইজেলে ছিটানো রঙ
চিন্তায় দৃশ্যমান হয়ে ওঠে
অনেক গোপনীয়তার মতো, দিনের শুরুতে
তোমায় যা বলা হয়নি, এখন এই মধ্যাহ্নের সূর্য
মেঘ ও মৃত্তিকার ঘ্রাণ
আমাকে সাহসী করে তোলে
কিংবা বেপরোয়া।
অথচ বাইরে ভীষণ রোদ্দুর
এবং
আমার কোথাও যেতে ইচ্ছে করছে না এই গরমে
অগত্যা ইচ্ছা ও অনিচ্ছার দোলনায়
তোমায় চড়িয়ে দিলাম...
এখন দেখি জানালায় মন্থর দিন কাঁপছে নির্বিকার।
মিষ্টি হাসি
কী অপূর্ব!
আড়ালে এতো ব্যথা কেনো?
নিলাম তুলে
ভালোবাসা আগলে রেখে
এ দয়া নয়।
... ...
দেখি
আমার আকাশ
আমার মতো করে;
তুমিও দেখো
যেভাবে তুমি চাও
যা কিছু ইচ্ছে
... ...
বড্ড টানে
ঘরের শেকল
ডানা নেই, তাতে কীর নেই পরোয়া
বেপরোয়া মন, অন্দরে মম বসবাস
তুমি কোথা যাও, প্রাণ যেখানে টানে
যাও- হোক স্বপনে, হোক তা বাস্তবতায়
... ...
প্রার্থনা
আসুক অরূপ জীবন।।
ধারালো নখরে গেঁথে নিয়ে যাচ্ছে
তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি
আপন উঠোন।
দেখা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই যেন
যাকে বলে পরিতৃপ্ত-ভোজন,
তা-ই সারলো প্রকাণ্ড এক শ্যেন।
যজ্ঞেশ্বর জানেন না জীবনের মহিমা,
বিষ্ঠার মধ্য থেকে আমি বেরোলাম :
'চির-উন্নত শির'!
দু:খ
বেদনা
প্রেম
ব্যর্থতা
ভালোবাসা
আর বৃদ্ধের শেষ লাঠিটা ...
অই-সবকিছুর ছায়ারা
আমার সাথে সাথেই ছিল :
একদিন প্রকাণ্ডবাড়িটা ভেঙে
আমি নেমে এলাম পথ...
ডেকো না
বেরোতে পারবো না
অসুস্থ
যন্ত্রণায় বিদ্ধ ;
শ্বাসকষ্ট হচ্ছে,
আমাকে ডেকো না!
আমি সত্যি আজ বেরোতে পারবো না :
তোমার ডাক শোনার আগেই তো,
জানালা দিয়ে পথে
পা-দুটো বের করে রাখি,
হাত দুটোয় আকাশ ছুঁয়ে।
তুমি আমার কথা শুনলে না :
জানালাটা ভেঙে গুঁড়ো করে ফেললে
দরজার কপাট খুলে ছুঁড়ে দিলে দূরে,
ঘরে ঢুকে এলো সন্ধ্যা : গোধূলির রঙ
পোকা-মাকড়, বনফুল আর বুনোগন্ধ ;
বিশাল আকাশ, নির্জনবিল, মশামা...
প্রথম ব্লগিং, তাও আবার বাংলায়। নিজেকে বীর মনে
হচ্ছে কিছুটা। বেশ ছোটোবেলার একটা অপরিপক্ক লেখা তুলে দিলাম পরীক্ষামূলক ভাবে।
তুমি না এসেছিলে না আসবে কোনোদিন
শেষ বেলায় তবু আমি কম্পমান হাতে
দ্রুত লিখে যাচ্ছি প্রথম জবানবন্দী এবং
হয়তো বা শেষ । পরিবর্তনের সুযোগ হয়তো
পাবনা , কাজেই সম্বোধনে তোমার নাম ।
এখন তো স্মৃতির সাহচর্য শুধু , কে দেখেছিল
হৃদয়ের ভাঙ্গন , এখন তো ক্ষীয়মান মৃদু
মো...
সবুজ পাতার উপর শুয়ে, মিশে গিয়ে সঙ্গে
সে কোন্ অমৃতের স্বপ্ন দেখে?
জিজ্ঞেস করেছিলাম : এসব নিবিষ্টচিঠি,
কাকে লেখা হচ্ছে শুনি?
ফড়িংয়ের কর্ণকুহরে প্রবেশ করেনি।
নির্জনতার প্রভাব ছাড়া কেউ কী কখনো
নিসর্গে প্রবেশ করতে পারে?
অথচ মরিয়া হয়ে আমি নির্জনতা দেখছি :
এতোঘাস-ঘাসফুল, প্রজাপতি,-পালের বাহার ;
অজস্রকীট, পতঙ্গের গন্ধ-গুঞ্জন
পাখি আর তাদের বিক্ষিপ্ত কাকলি :
মহাসংগীত না বলে পারিনি!...
শুরু তুমি নাকি ছুটো শূন্য থেকে অসীমে
সময় নাকি অন্তজ তোমার
বুদবুদিয়ে বেড়াও নাকি তুমি নিযুত কোটি জগতে ?
শেষ সে দুঃস্বপ্ন ভীষন
খুঁজে ফেরে নাকি তোমায় ..সে বিভ্রান্ত কালব্যাধ
ধ্রুব বিভক্ত এক বর্শা হাতে
হয়ত
হয়ত নয়
তবু দেখি থামবে বলে বসে কেউ নয়
ছুটে চলে তবু সব দেখি 'মৃত্যোর্মামৃতম' মুখে
অনন্ত বিস্ফোরণের চির আশ্বাস বুকে
..চেয়ে ..শুনে ..চেটে ..ছুঁয়ে ..শুঁকে
এইস...
১.
হা ঈশ্বর! কেন তুমি আমায় মানুষ বানালে?
আমি তো পাখি জনম চেয়েছিলাম...
সেই সোনালি ডানার চিলের মতো ঘুম ঘুম চোখে
পালকে ভেজা মেঘের স্বপ্ন দেখেছিলাম...
২.
অনন্ত অম্বরে সম্মোহিত কালের পথিক,
বৃষ্টিছায়া খুঁজে ফেরে গোপন-গহীনে নি:স্ব কাপালিক।
৩.
ঘুম ঘুম রাত,
জল-জোছনায় তবুও স্বপ্ন বোনা।
হাত বাড়ালেই মেঘের ভেলা,
আকাশ ছুঁতে চাই, ছুঁতে পারি না।
৪.
পুঞ্জীভূত ক্ষোভ
যেন বেদনারও অধিক,
তারা কি পেয়...
লাইনটা সোজা করে
দাঁড়ান। বিদায়ের ঝড়বিন্দু
কুড়াতে কুড়াতে এই দক্ষিণ
সমুদ্র করে যাবো ভ্রমন।আর
ঋতুর শাদাত্বকে রেখে যাবো
কালের আঁচড়। শিশুরা খেলতে
এসে পেয়ে যাবে চৈত্রের পুষ্পভগ্নাংশ
আর অমিত বৈশাখি ভোরের লালছটা ।
ছবি - শান্তা কেবরোনা
দশম শ্রেণীতে পড়াকালে-
বার্ষিক পরীক্ষায় রচনা আসে ‘একটি বর্ষণমুখর সন্ধ্যা’
শুরুটা যেমনই হোক, শেষের দিকের কোথাও হয়তো লিখেছিলাম
‘পাড় ভাঙ্গার জন্য ঢেউই দায়ী।’
কিন্তু না! শিক্ষকমশাই খুবই অসন্তুষ্ট
সোজা-সাপ্টা লাল অক্ষরে লিখে দিলেন ‘অপ্রাসঙ্গিক’।
কুড়ি নম্বরের মধ্যে পেলাম সাত!
আমি জানি, আমার চাওয়ায় সর্বদা রয়েছে জলের সম্মতি
সম্মতি না ছাঁই! মা বললেন, “কিরে! বাংলার পন্ডিত, কম নম্বর ...