একটি ক্যারিয়ারশূন্য মেয়ের গল্প এবং একটি বেকারের ৩০ তম সার্টিফিকেট জন্মদিন

কর্ণজয় এর ছবি
লিখেছেন কর্ণজয় (তারিখ: রবি, ১৫/০৬/২০০৮ - ৫:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটি ক্যারিয়ারশূন্য মেয়ের গল্প
------------------------------
একটি মেইল ..
পুরনো বন্ধুর দু এক টুকরো কথার সাথে একটা এটাচমেন্ট ..
মোবাইলে তোলা একটা মেয়ের নগ্ন ভিডিও ..
মেয়েটা মুখ ঢেকে আছে ... সে তার মুখ দেখাতে চায় না ... ক্যামেরা তার শরীরের নিখাদ গোপনীয় অংশগুলো ছুয়ে আসে .. মেয়েটা মুখ ঢেকে আছে এখনও..
একটা ছেলের গলা শোনা যাচ্ছে .. ভল্যূম বাড়িয়ে শুনি ছেলেটার কন্ঠে শুনি
প্লিজ..
- না না.. (মেয়েটা মাথা নাড়ে)
- (নাম বলে) ..সত্যি বলছি আমি অনেকের ছবি তুলেছি .. এই ধরো তিন্নি, সুমাইয়া শিমু মোনালিসা কারো ছবি এক্সপোজ করিনি ..
আচ্ছা এই তোমাকে বলছি নেক্সটবার দেখা হলে তোমার সামনে ডিলিট করে দেবো .. কথা দিচ্ছি
- আমার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে। (মেয়েটা অষ্ফুট স্বরে বলে)
- ক্যারিয়ার.. তোমার ক্যারিয়ারতো আমার হাতে .. আমিই তোমার ক্যরিয়ার গড়ে দিবো .. এটা আমার দায়িত্ব ৃ
মেয়েটা আর চেষ্টা করে না . .হাতটা ছেড়ে দেয় .. আমি মেয়েটাকে দেখি ..

ছবি শেষ হয়ে গেলেও মেয়েটা আমার মাথা থেকে যায় না।
মেয়েটা যখন মুখের হাত সরিয়ে নিল .. ঠিক কি মনে হয়েছিল .. ঠিক কোন মূহূর্তে সে তার এই অবস্থাটি মেনে নিলো ..
সে কি বুঝতে পেরেছিল সে ধরা পগে গেছে আর লাভ নেই.. সেকি ক্লান্ত আর হতাশ হয়ে উঠেছিল নিজের উপর ..
আসলে এক থা দুই থা কথা ভাবলেও ক্যারিয়ার শব্দটা মাথার উপরে হাতুড়ির ঘাই মারে।
মেয়েটা বললো আমার ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যাবে
সে বললো না আমার জীবন নষ্ট হয়ে যাবে ...
আমাদের কালের মেয়েরা কি বলতো না .. জীবন নষ্ট হয়ে যাবে ..
এসব ভাবতে গিয়ে কয়েকটা মিনিটতো গেলই। এর মধ্যেই ঢুকে গেল পুরনো একটা পাতা।
একবার একটা ডায়েরী আমার হাতে এসে পড়েছিল। ৯০-৯১ এর দিকের কোন এক অষুধ কোম্পানীর বুলটানা পৃষ্ঠায় প্যাচানো হাতের শব্দগুলো খুব বেশি ভুলিনি মনে হচ্ছে।।

এক বেকারের ৩০ তম সার্টিফিকেট জন্মদিনের কথা

রাতভর বৃষ্টি নেমেছিল দুরে..
অথবা নামে নি কোথাও ...
আমি জানালার বারান্দায় দাড়িয়ে বৃষ্টির স্বপ্ন দেখছিলাম ..
পায়ের উপর দিয়ে তেলাপোকাটা হেটে গেলে আমি টের পাই
তেল চিটচিটে দৃপুরটা কেবল জেকে বসতে শুরু করেছে।
সূর্য গড়িয়ে পড়তে পড়তে এটা একটা বিশাল পাথর হয়ে উঠবে।
আমি প্রত্যেকদিনের মতোই তাকিয়ে থাকবো ..
ছেলেরা ব্যাট হাতে হেটে যাবে আবার ফিরে আসবে
মায়ের বকুনী এড়াতে রাতের অন্ধকার ভরে উঠবে
গুনগুন শব্দের শব্দে ..
বুকের ভেতরে একটু কেমন যেন লাগে
একটা হারিকেনের আলোয় একটা ছেলের মুখ ভেসে ওঠে
বন্ধুরা একে একে ফিরতে শূরু করলে বুকের খামচিটা কমে
একটা আয়াতের বাংলা মানে মনে পড়ে
আল্লাহ রাতকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের বিশ্রামের জন্য
একটা হাওয়া বইতে শুরু করলো
আজকে রাতে আমি সবার মতোই ..
এই রাতটা বুঝি কখনও ফুরোবে না ..
সবার মতোই আমারও রাত গভীর হতে থাকে ..
ফ্যাকাসে অন্ধকারে হিমুর মুখ ও একটা আলাদা বাসা করবে ভাবছে।
সবুজের বাসায় টাকা পাঠাতে হয় বেতনের প্রায় পুরোটা
সহসা তার তল্লাটে পাততাড়ি দেবার সূযোগ নেই।
রায়হানের এ জীবনে কোনদিনই বুঝি ছুটির হিসেব মিলবে না।
বাবলু সকালে দৌড়াবে এ্যামবেসী কিংবা এ সংক্রান্ত কাজে
আর যখনই দেখা হবে একটা অকৃত্রিম হাসি জড়িয়ে বলবে .. হ্যা রে।
বিপুল এখনি সেকেন্ড চাকরীটার অফার নিয়ে হিসেব কষছে।
হিসেবের বাইরে কোন কিছুই হয় না।
এখন গণিত উৎসব হয় অনেক আয়োজন করে। আমাদের সময় এগুলো কোনকিছুই ছিল না।
সবুজ প্রায় পাখির মতো .. বিছানা ছেড়ে উঠলেই সূর্য উঠবে তার পিছে পিছে।
মনে ঘা দেয়
আবার একটা দিন হবে এখন।
ওরা সবাই কাজে বেরিয়ে যাবে।
আমি আবার দমবন্ধ ঘরে ... বৃষ্টির স্বপ্ন দেখতে দেখতে ভুলে যাবো
আজ সার্টিফিকেটে আমার বয়স ৩০ পূর্ণ হলো।।
====================================================
এটা কি সময়ের আবর্তনে স্রোতের যে টান পাল্টে যায় তারই ছবি ..
কিংবা ঠিক কামসূত্রের দেশেই সতীত্ব যে পূজো পায় - তার যুগল চিহ্ন
ভাবনার থৈ ঠিক থাকে না কেবল একটা পোকা কেবল খোচাতে তাকে ...
সবকিছু ক্যারিয়ার না হলেই ভাল হতো ...


মন্তব্য

স্বপ্নাহত এর ছবি

প্রথম অংশটুকু নিয়ে কিছু বলার নেই। জীবন আর ক্যারিয়ার- সাময়িক মোহে পড়ে আমরা মাঝে মাঝে দুটোর গুরুত্ব নিরুপণে না শোধরানোর মত ভুল করে বসি।

কবিতাটা খুব ভাল লাগলো।

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

কিছু মনে নেবেন না দয়া করে। ঐ মেয়েটা যে ফাঁদে পড়েছে তা তো বোঝাই যাচ্ছে। জীবনের ফাঁদ থেকে আরো ছোটো কিন্তু আরো দুর্ভেদ্য ক্যারিয়ারের ফাঁদ। কিন্তু তাকে দুষছেন কেন? যারা এসব ফাঁদ বানিয়ে রাখে, যারা সেই ফাঁদে পড়ার দৃশ্য উপভোগ করে, সেই পুরুষদের ঘৃণা জানাচ্ছেন না কেন? থুতু দিচ্ছেন না কেন এই বিউটি ইন্ডাস্ট্রি ও তার সর্দারদের মুখে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!?

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

কী লিখবো বুঝতে পারছি না। আপনার লেখার আবেশ এখনো ছুঁয়ে আছে।

আলমগীর এর ছবি

ক্লিপটার শুরুতেই আপনি জানছেন যে এটা ধর্ষণের একটা ভিডিও কোন পর্ন মুভি না; সেটা যেনেও আপনি কীভাবে দেখলেন?

হাসান মোরশেদ এর ছবি

কর্ণজয় কে করা আলমগীরের প্রশ্নটা বেশ ইয়ে ।
উত্তর হয়তো কর্ণজয় নিজেই দেবেন ।
তবে এরকম প্রশ্ন শুনে পুরনোদিনের মাষ্টারমশাইদের কথা মনে পড়লো ।
-------------------------------------
বালক জেনেছে কতোটা পথ গেলে ফেরার পথ নেই,
-ছিলো না কোন কালে;

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

শব্দ রাইন এর ছবি

প্রশ্নটা বেশ ইয়ে

ইয়ে মানে ! প্রাচীন মূঢ়তায় ঢাকা মনে হলো !! কর্ণজয়ের লেখাটা তো একটা লেখাই ছিলো, না কি ? রিপোর্ট অথবা ফিচার তো নয় যে, লেখককে ( তথ্যবিষয়ক ) জবাব দেয়াটা তাঁর দায়িত্বের মধ্যেই পড়বে !!

এই রকম পাঠ-প্রতিক্রিয়া পড়লে এটা বলা ও তো দোষের নয় যে , কেবল লেখককে উত্ রে গেলে হবে কেন , গন্ডি তো ভাঙতে হবে সনাতনি কোন কোন পাঠক কে ও ।

অতিথি লেখক এর ছবি

আলমগীর ভাইর প্রশ্নটা মনে হয় বিবেকের এবং রুচির। গত দশকে একবার ধর্ষন-মহামারি ঘটল। কিছু পত্রপত্রিকা একটি সভ্য উদ্যোগ নিল যে ধর্ষিতার প্রকৃত নাম ছাপানো হবেনা। তখন দৈনিক জনকণ্ঠে "সাধু সাবধান" কলামে লিখল, "ধর্ষিতার প্রকৃত নাম ছাপানো যাবেনা কেন? তাহলে পাঠক আর কিসের আকর্ষনে পত্রিকা পড়বে!" এই আকর্ষন থেকে আমরা এখনো আমাদের রুচিকে মুক্ত করতে পারি নাই। ট্যাক্স পরিশোধ করে বৈধভাবে নির্মিত পর্নোগ্রাফি দেখা আর ব্ল্যাকমেইলড ধর্ষন দেখার মধ্যে পার্থক্য বুঝার মত পরিনত মানসিকতা সবার থাকা দরকার।

মামুন

সুমন চৌধুরী এর ছবি

পাবলিক যা কয় তার জবাব তুমিই দিও।

আমার প্রশ্ন হৈল এতোদিন কোঞ্চিপায় ছিলা?



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

স্পর্শ এর ছবি

ভাল লিখেছেন! মনটা বিষন্ন হয়ে গেল।
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

কর্ণজয় এর ছবি

প্রথমেই স্বীকার করে নেয়া ভালো আমি একজন সীমাবদ্ধ মানুষ .. যে একসাথে পাপে গা ভাসায় এবং পাপকে ঘৃণা করে। ফারুক ওয়াসিফ যেই কারনে মেয়েটার বদলে সমাজে যারা এইসব ফাদ তৈরী করেন তাদের ঘৃণা করতে বলেছেন তেমনি আমিও মিন মিন স্বরে সেই আর্জি আমার জন্যই দাবী করছি। .. দেখুন সভ্যবৃন্দ আমি আমার কৌত’হলকে দমাতে পারি না .. ক্ষিধে পেলে উপবাস করতে শিখি নি .. কাচের দেয়ালের আড়ালে সুস্বাদু খাবারটা পারলে ছিনিয়ে নেবার লোভ জাগে .. আমি এপাটাইটের মানে প্রবৃত্তির কাছে বন্দী .. কিন্তু সীমানাটা জানি যার ভেতরে দিব্যি সুস্থ মানুষের পরিচয়ে বেচে থাকা যাবে। ভদ্দরনোক আর কি...
আর আমি এখানে একজন নৈতিক শ্রেষ্ঠ মানুষ হিসেবে আসি নি .. এবং সেটার প্রমান দেবার কোন দায়িত্ব আমি অনুভব করি না .. এর জন্য আপনার আমাকে নীতিভ্রষ্ট মানুষ হিসেবে অভিসম্পাত করলেও আমার এটুকুই বলা আমি যে দেয়ালের ভেতরে বাস করি আমি শুধু সেই দেয়ালের আকিবুকির কথাই আকার চেষ্টা করি এর বেশি কিছু নয়..

সুমন চৌধুরী এর ছবি
ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

আমি যে দেয়ালের ভেতরে বাস করি আমি শুধু সেই দেয়ালের আকিবুকির কথাই আকার চেষ্টা করি এর বেশি কিছু নয়..

ভাইরে! আমি নিজেও কি সেই দেয়ালের ওপারে যাওয়ার সাহস বা সামর্থ্য অর্জন করেছি!
আমি এদিকে যেতেই চাইনি। আমার প্রশ্নটাও নৈতিক ছিল না। প্রশ্নটা ছিল শিকার আর শিকারির মধ্যে শিকারের প্রতি সমবেদনা (সহানুভূতি নয়) আরি শিকারির প্রতি ঘৃণা এবং বিষয়টার একটা যথাবিহিত বিশ্লেষণ। এর বেশি কিছু যদি ভাবিয়ে থাকি, আন্তরিকভাবেই দুঃখিত।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

দুর্দান্ত এর ছবি

ঐ মেয়েটির জন্য সমবেদনা। তার অসহায়ত্বকে ঐ ক্যামেরাওয়ালা যেমন ব্যাবহার করেছে, ই-মেইলে ছড়িয়ে দিয়ে পরের সবাই একই দোষে দোষী।
মেয়েটা বললো আমার ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যাবে
সে বললো না আমার জীবন নষ্ট হয়ে যাবে ...
আমাদের কালের মেয়েরা কি বলতো না .. জীবন নষ্ট হয়ে যাবে ..

ঐ মেয়েটিকে বাহবা দেই - অন্তত জীবন আর ক্যারিয়ারের পার্থক্য সে আলাদা করে বুঝতে পেরেছে।

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

ঐ মেয়েটিকে বাহবা দেই - অন্তত জীবন আর ক্যারিয়ারের পার্থক্য সে আলাদা করে বুঝতে পেরেছে।

দুর্দান্তের মন্তব্য দুর্দান্ত!

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

কর্ণজয় এর ছবি

durdanto ... sotti-e

স্নিগ্ধা এর ছবি

দূর্দান্তের সাথে একমত !

কর্ণজয় এর ছবি

ফারুক ওয়াসিফের মন্তব্যের জবাবে আমি ওটা লিখিনি। এটা ছিল আলমগীরের একটি প্রশ্নের প্রতিউত্তর।
বালজাকের উপন্যাস পড়েছেন নিশ্চয়। বালজাক এর লেখায় ফরাসী উচ্চ সমাজের ভেতরের চিত্রটা উঠে এসেছিল। ওতে ঐ জীবনের প্রতি ঘৃণা কিংবা কালো এমন কিছু ছিল না। লেনিনের একটা লেখায় বালজাকের লেখা সম্পর্কে একটা বিশ্লেষণ আছে। ফারুক ওয়াসিফ নিশ্চয়ই সেটা জানেন।

সুমন সুপান্থ এর ছবি

ইতালিয় কথাশিল্পী জিয়োভানি বোকাচ্চে ( J. BOCCACCE )'র লেখা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে প্রমথ চৌধুরী তাঁর ' ছোটগল্প ' নামের নাতিদীর্ঘ প্রবন্ধে লিখেছিলেন - ' তাঁর ( বোকাচ্চে'র ) গল্পের ভেতর কোনও সুরুচি নেই,সুনীতিও নেই -- এবং তিনি কোনও রূপ ধর্ম প্রচারের উপকরণস্বরূপ এই সব গল্প লিখেন নি । কিন্তু, তাঁর লেখার ভেতর ধর্ম ও নীতি না থাক, আর্ট আছে । '
লেখালখির অযুত নিযুত বছরের ইতিহাস আর তার ক্রমবিকাশে এই আর্ট কথাটি ই সবচেয়ে গুরুত্ববাহী, বোধকরি । কোন ও লেখা কে লেখা হিসেবে দেখা, এবং তার ভেতরের নির্মাণ কৌশল,বাক-ভঙ্গিমা কি লেখকের উপস্থাপনাই আলোচ্য হওয়া উচিত; লেখকের অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা না করে । দুনিয়ার কোন ও লেখকই মনে হয় অভিজ্ঞতায় যা দেখেন, লেখায় সেটা সরাসরি নিয়ে আসেন না । আনলে সেটা লেখা না হয়ে উত্কৃষ্ট রিপোর্ট হতো বড়জোর ।
কর্ণজয়ের লেখাটা আমার লেখা হিসেবে পড়তেই ভালো লাগলো । মনেও হলো না এটা প্রত্যক্ষ একটা অভিজ্ঞতা থেকে নেয়া । সেখানে এই নীতি-অনীতির ট্যাবুটা কে দাঁড় করিয়ে দেয়া পাঠক হিসেবে আমাদের সীমাবদ্ধতা কে আরেকটু উন্মুক্তই করে দেয় বৈ কি ।

---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

সুজন চৌধুরী এর ছবি
নুশেরা তাজরীন এর ছবি

লেখাটা খুব ভাল লাগল। তবে লেখার ক্যাটাগরি দিনপঞ্জি; গল্প নয়- শুধু এ কারণেই বিনোদনজগৎ/মিডিয়ায় কাজ করেন, এমন কয়েকজনের নাম ঐ প্রসঙ্গে উল্লেখ করাটা ভাল লাগেনি। ক্যাটাগরি গল্প হলে অস্বস্তিটা থাকতো না।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

লেখাটা পড়ে মনে হলো বুঝতে পেরেছি আপনি কার কথা বলছেন। কিছুদিন আগে এক সহকর্মীর কাছে গল্প শুনেছিলাম "আমি তোমার ক্যারিয়ার গড়ে দেব" এমন একটা ভিডিওর। নিজেকে সাধু দাবী করব না, তবে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন যেন রুচি হয়নি দেখার। তবে এরপর থেকে ওই মেয়ের করা বিজ্ঞাপন দেখলে খারাপই লাগে। কার জন্য, কেন, তা জানি না!

কর্ণজয় এর ছবি

আমার একটি কৈফিয়ত এবার দেবার আছে... এই লেখাটা লেখার সাথে একটি যুগলক্ষনের যোগ আছে .. সেটি হলো এমন একমূহূর্তে ঘটেছিলো ঠিক যেই মূহূর্তে একটি রেখায় একটি তথ্য বান্তবতা জ্ঞান অর্থাৎ মৃত্তিকা এবং কল্পনার গল্প পর্বের উন্মোচন এর শূন্যতা অর্থাৎ আকাশ গলাগলি করছিল। যার অনিবার্য ফসল দিনপঞ্জির গল্প হয়ে যাওয়া, তথ্যের চরিত্র গল্পের বারান্দায় নেচে উধাও, ...
বিভ্রান্তির মোড়ক লাগতেই পারে। আসলে ঘটনার জন্মই একটা দুই বাস্তবতার বিভ্রান্তির মধ্যে। একটা কথা বলতে পারি এটি গল্প হয় নি .. কেন হয় নি যদি বলি তাহলে এটি বলবো.. মূলত এই গল্পে ক্যারিয়ার শব্দটি মূল থিম ছিল .. আর ছিল দুটি সামাজিক তুলাদন্ড - মেয়েদের সতীত্ব আর ছেলেদের বয়স বিপরীতে জীবন। ছিল অবচেতনে সময়ের জন্য দীর্ঘশ্বাস। যেগুলো ঠিকঠাক গাথা হলো না।

আমি স্বীকার করি এটি গল্প হয় নি এবং ভ্রমদোষে দুষ্ট একটি লেখা। এ লেখাটি সম্পর্কে নুশেরা তাজরীন যা বলেছেন তা আমার পূর্ণ বিবেচনা বোধ থেকে বলছি .. এটা শিরোধার্য।।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।