ছালা থিকা বাইর হইতাছে মামারা

সাধক শঙ্কু এর ছবি
লিখেছেন সাধক শঙ্কু (তারিখ: মঙ্গল, ২১/০৮/২০০৭ - ১:২৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেই জলপাইকূলশিরোমনি আইয়ূবের সময় থিকাই জলপাইগো কাছে বিগ পেইন অন অ্যাস। শুধু আইয়ুব-জিয়া-এরশাদ না দুনিয়ায় যত ঢঙ্গের সেনা শাসক আছে সবার চোক্ষের বিষ হইলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। হালারা লাখ লাখ টেকা দিতারে না আবার উচ্চ শিক্ষা চায়! আর জলপাই আইলেই সেই ফকিন্নির ঘরের দশটাকা বেতন দেওইয়ারা জলপাই মামার বিচি বরাবর গুলতি তাক কইরা ধরে।ফলাফল হইলো এক পর্যায়ে সেইটা গিয়া যেই মহৎ উদ্দেশ্য লইয়া মামাগো আগমন তাতে বাগড়া দিতে থাকে।

এই বিষয়টারে বিবেচনা কইরাই আইয়ুব খান ১৯৬২ তে হামদুর রহমান শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট দেয়। উচ্চ শিক্ষায় নিম্ন মধ্যবিত্তরে ঠেকানোর জলপাই কায়দা সেইখানেই শুরু। এরপর শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধের পরের সাড়ে তিন বছর বাদ দিয়া পুরা ৩৩ বছর ধইরা দৃশ্যত-অদৃশ্যত জলপাই শাসন চলতাছে। ভোটের গণতন্ত্রের মুখোশ পড়া থাকলে দল-লীগ-শিবির দিয়া খুন-ধর্ষণ-ডাকাতি চালাইয়া কর্পোরেট করে, আর সরাসরি জলপাই শাসন থাকলে প্রথমে নিজেগো এজেন্টের করা সেইসব লুঠপাটের বিজ্ঞাপন দিয়া ছাত্রগো বাপ-মা'র ছিমপেথি ডোরো করে তারপর না পাইরা লাশ ফালানো শুরু করে।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেহারা অভিভাবকগো কাছে পচানোর কাজে সবচাইতে সফল হইলো আমাগো চাচ্চু। কিন্তু তারপরেও হ্যার শেষ রক্ষা হয় নাই। ক্যাম্পাস থিকাই তারে শেষ পর্যন্ত জুতার মালা পইড়া বিদায় হইতে হইছে। গত ১৭ বছরে পেরাইভেট ইউনিভার্সিটি কইরাও উচ্চ শিক্ষার্থীগো মেইনস্ট্রীমরে এখনো বাগাইতে পারে নাই। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ফি লাফাইয়া লাফাইয়া বাড়লেও এখনো কোনরকমে ঘটিবাটি বেইচা হইলেও নিম্ন-মধ্যবিত্তের পোলামাইয়ারা মেধার জোরে আইতে পারে। তো তারা যেই কয়দিন পুরা বিলুপ্ত না হইতাছে ততদিন তো মামার আসলে শান্তি পাওনের কথা না।

এইবারো হইবো না মনে হয় মামা। জুতা এইবারো খাইবেন। আইজ হোক কাইল হোক দশ বছর পরে হোক। ইন দ্য মীন টাইম যা কামাইবেন তাই দিয়া পেরাইভেট ইউনি খুলতে থাকেন সমানে। যেইখানে সমাজ বিজ্ঞান আর কলাভবন নাই। শুধু কম্পু আর বিবিএ-এম্বিএ পড়ানো হয়। দেখবেন খুশী হওয়ার মতো অনেক লোক তখন পাইবেন। সাউথ-ইস্ট এশিয়াতে দেখেন না কি অবস্থা! লোকে কত ভালোবাইসা মেজিক শাট দ্যাহে।

ঐ রকম ম্যাজিক শার্ট দেখতে যেই পরিমাণ রামছাগল দরকার তার প্রজনন ক্ষেত্র বানান তারপর শান্তি খুইজেন। তবে এইটাও মাথায় রাইখেন গণপিটানিতে পড়া রামছাগলের বিরিয়ানি খাওনের লোকও লগে লগে বাড়বো। তাগো সংখ্যা আপনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

জলপাই নিপাত যাক।


মন্তব্য

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

জল্পাই তো নিপাত যাইবো বুঝলাম। মাগার বিকল্পটা কি দিবেন হেইডা তো কইলেন না। নাকি পারমানেন্ট লুটতরাজের রাজনীতি আর লাগামসারা দুন্নীতি বেশি বালা আসিলো?

উপরওয়ালা আসলে বাঙ্গাল জাতটারে নিয়া খেলতাসে। rock and hard place-এর মইদ্যে গিয়া ঠেকসে এহন।

সাধক শঙ্কু এর ছবি

স্টেরিও টাইপ মন্তব্য করলেন একটা।

একটা বিষয় খেয়াল করেন, আপনি যেই লুম্পেনাইজড রাজনীতির কথা কইতাছেন তখনকার মেকানিজম আর জলপাই মামাগো মেকানিজম কি আলাদা? এই যে মামারা যূগে যূগে পার্টিগুলা বানাইছে তার সদস্যরা আইছে কৈত্থিকা? যারা ভোটের রাজনীতির সময় লুঠপাট করছে তাদের মধ্যে থিকাই ঘুরাইয়া ফিরাইয়া জলপাইগো সময় বেনিফিশিয়ারী বাইর হয়। জলপাই মামার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যর লগে নির্বাচিত দলের দূর্নীতির পার্থক্য হইলো নির্বাচিত দলের লগে বার্গেনিং করা যায়,খোলাখুলি আঙ্গুল তুইলা কওয়া যায় তুই চুতমারানি। এই পার্থক্যটুকের দাম অনেক। রাষ্ট্ররে চ্যালেঞ্জ করার অভ্যাসটুকের মধ্যেই এই পোড়ার দেশের ন্যুনতম সম্ভাবনাটুক আছে।

কি করবেন কন? জোর কইরা তো একটা জাতিরে ঠোসা বানানো যায় না? জনগনের প্রতিরোধগুলা এই দেশে খুবই র্যাডিক্যাল, ক্রাইসিসটা হৈল সেই ক্ষোভ রাজনৈতিকভাবে ধারণের উদ্দেশ্য পলিটিক্যাল হেজিমনিতে নাই। উল্টাটা আছে। সেইখানে জনগণ কি করবে? জনগন কি হোগা খাউজাইতে মাঠে নামে? নাকি নামতে বাধ্য হয়? জলপাই মামাগো আগমনে ট্রাফিক জ্যামমুক্ত রাস্তা দেইখা খুশী হওয়া সুশীলের সুশীল বোধ সে পাইবো কই? জনগণের বিক্ষোভগুলার বেসিক হইলো রাষ্ট্রের লগে কনফ্লিক্ট। জলপাইগো বিরুদ্ধে প্রতিরোধে তীব্রতা আসে সেইখানে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের চেহারা স্পষ্ট থাকে বৈলা।

আপনে ইতিহাসটারে খেয়াল কৈরা দেখেন। প্রত্যেকটা বড় গণ আন্দোলনের পরে (১৯৬৯,১৯৯০)যেইসব উন্নয়ন ভাবনা গুলা হৈছে সেগুলার সবই কিন্তু বাজে প্যাচাল ছিল না। বেশ কয়েকটা মডেল রীতিমতো সম্ভাবনাপূর্ণ ছিল। ১৯৯১ এর টাস্কফোর্স রিপোর্ট হাতে পাইলে দেইখেন। কথা হৈল ক্যান ঐ চিন্তাগুলা আসে? আসে ঐ প্রতিরোধের চেতনা থিকা। পরে ঐ চেতনা ম্যানিপুলেট হইছে। কিন্তু তাতে কৈরা কি মাইনসের ফাইট করা বন্ধ হৈছে? আপনি রাষ্ট্রের ম্যানিপুলেশনের বিরুদ্ধে কৈতেপারেন। সেইখানে কোন সমস্যা নাই। কিন্তু পরে ম্যানিপুলেট হইতে পারে বইলা তো আর আজকের ফাইট বন্ধ করা যাইবো না।


গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

১৯৯১ এর টাস্কফোর্স রিপোর্ট তিন খন্ড নাড়াচাড়া করছি বেশ কিছুদিন।এখনও সম্ভবত: অনেক ক্ষেত্রে রিপোর্টটা প্রাসঙ্গিক।
রাজনৈতিক কারণে বিএনপি পাতা উল্টায়া দেখলো না।
১৯৯০-এ একটা বড় সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেলো।
তখন একটা জাতীয় সরকার দরকার ছিল অন্তত: পাঁচ বছরের জন্য।
একটা সিস্টেম দাঁড় করানোর পর দলীয় সরকারের জন্য নির্বাচনের পথে গেলে ভালো হইতো।

-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হক কথা।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

হাসান মোরশেদ এর ছবি

বিকল্পের ভাবনায় জলপাই মেনে নেয়ার যুক্তি কি?

শুঁয়োপোকা থেকে শুয়োর দ্রুত বের হয়ে আসাই ভালো । প্রজাপতির জন্য অপেক্ষা করে লাভ নাই ।

-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

রাজনীতিবিদরা ভালো না, সব শুয়োরের বাচ্চা। ঠিকাছে। কিন্তু সেজন্য জলপাই-ই সমাধান এরকমটা যে সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ ভাবতে পারে, সেটা ভেবে কষ্ট লাগে। আমরা এমনই অভাগা দেশের মানুষ। ভুগে ভুগে অতিষ্ট হয়ে আমরা খড়কুটো আঁকড়ে ধরতে চাই। কিন্তু সেই খঁড়কুটোয় যে বিষের পরিমাণ আরো বেশি, সেটা ভাবি না। আমরা শুধু 'চেইঞ্জ' চাই, 'চেইঞ্জ'টা কি হবে সে পর্যন্ত ভাবার ধৈর্যও হারিয়েছি। দোষটা আমাদের নয় পুরোপুরি, দোষটা বারবার বিশ্বাস করে ঠকার।

কিন্তু নিজেদের ভাগ্য অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার আগে, আমরা ভাবি না কেন, ওই লোকগুলো কেন দেবদূত হবেন? কেন জলপাইরা আমাদের দুঃখ-সুখ, হাসিকান্না বুঝবেন? রাজনীতিবিদদের চাইতে তারা উৎকৃষ্ট প্রজাতির কেন হবেন?

হোন তারা উৎকৃষ্ট প্রজাতির - সেটা নিয়ে বিতর্ক চলুক; যে বিতর্কের অবশ্য শেষ হবে না হয়তো কখনো। কিন্তু একটা জিনিস তো আমরা চাই, নাকি? তা হলো, আমাদের ভাগ্য আমাদের হাতে থাকবে। ভাগ্য আমাদের সাথে বিট্রে করবে; ভাগ্যকে আমরা ঝেটিয়ে বিদায় করবো। অন্তত চেষ্টাতো করতে পারবো। কিন্তু সেই ঝেটিয়ে বিদায় করার পরিস্থিতিই যে থাকে না জলপাইয়ের হাতে আমাদের ভাগ্যকে তুলে দিলে। আমরা মরে যাবো; কিন্তু মরার সময় টুশব্দটিও যে করতে পারবো না। সেই টুশব্দ করার অধিকারটাও কি আমরা অন্ধের মত কোনো কাল্পনিক ত্রাতাকে দিয়ে দেবো?

আমাদের এখন খারাপ সময়। সে সময়কে আমরা জয় করতে চেষ্টা করবো, নাকি কোন উপায় এ মুহূর্তে চোখে না পড়াতেই সময়ের কাছে পরাজিত হয়ে আত্মহত্যা করবো? কেউ আত্মহত্যাকে আমন্ত্রণ জানাতে পারে। তার জন্য করুণার বেশি কি করতে পারি?

---
জলপাই ভুল করলো। বড় ভুল। বাংলাদেশের মানুষের জন্য এটা অনেক বড় সুখবর। এটা হতেই হত। এখনই শুরু হোক না কেন!

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

আমি ঘটনার ডিটেইলস জানিনা কিন্তু এমনো হইতে পারে এইটা একটা random ঘটনা। এবং আর হোপফুলি রিপিট হবে না। দেশ যখন বলাৎকার হইতেসিলো গত ১০-১২ বছর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পোলাপান কই আসিলো? মধুতে গিয়া চা খাইসে, টিএসসি-তে বইসা প্রেম খেলছে আর আল্পনা আঁকছে। যারা রাস্তায় মিছিলবাজি করে, তাদের চায়ের পয়সা কইত্থেকা আসে, তাও সবাইর জানা। ঢাবির এককালের স্টুডেন্ট আমরাও। তাদের টেকা বসের কাছে থেকে আসে, নাইলে নীলক্ষেত বাবুপুরার ছোট ব্যবসায়ী থেকে চান্দা, গাওসিয়া নিউ মারকেট থেকে চান্দা হিসাবে।

আমার কথা এইটাই যে স্টুডেন্ট হইলেই সে কোন এক দৈব উপায়ে ফেরেশতা হইয়া যায় না। ৯০তে যে আমান আন্দোলন করসে, এক যুগ পরে সেই মন্ত্রী হইয়া পুকুর চুরি করসে। তার আদি সূত্রপাত ঢাবিতেই। ক্যাডারবাজি আর চাঁদাবাজি ভিত্তিক স্টুডেন্ট রাজনীতির প্লাস থাকতে পারে, কিন্তু মাইনাসও অনেক।

*

শঙ্কু, আপনার অরিজিনাল রিপ্লাইটা ভাল লাগসে, তাই ধন্যবাদ।

বলাই, উৎকৃষ্ট-নিকৃষ্ট কোন value judgment আমি যাইতেসিনা। সেইটা আগেই বলে রাখি। দেশে যা হইতেছে, সেইটা একটা phase। এবং রাজনীতি আর রাজনীতিকদের বোধোদয় যদি এই যাত্রায়ও না হয়, রাজনীতিটা যদি টাকামুখির বদলে দেশমুখি না হয়, তাইলে আগামী ১৫-২০ বছরের হাজারো চ্যালেঞ্জে দেশ সিরিয়াস ধরা খাইয়া যাবে। Environment বলেন, এনারজি ক্রাইসিস বলেন, এইসব সামলাইতে পশ্চিমও হিমসিম খাইতেসে, তাদের নানা থিঙ্কট্যাঙ্ক, রকমারী পলিসি ফোকাস থাকা সত্ত্বেও। এদেরও ইনফ্লেশান আপ, এবং স্টক মারকেট ডাউন। কোনমতে ঠেক দিয়া রাখতেসে জোরাতালি দিয়া, অনেক বুদ্ধি কইরা, অনেক পিএইচডি মগজ ঘাটাইয়া। সেই তুলনায় আমাদের রাজনীতিকরা যে কি করতেসে বা কি করতে চায়, বিধাতাই মালুম।

সাধক শঙ্কু এর ছবি

একটা পয়েন্ট না কৈলেই না। আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেইসব পোলাপানরে চান্দাবাজ কৈতাছেন গত ১৬ বছরে কিন্তু তারা কোন একটা ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল না। ছাত্র রাজনীতি করাপ্ট হইছে,হইয়া সাধারণ ছাত্রদের থিকা বিচ্ছিন্নও হইছে। গত ১৬ বছরে দেখা গেছে স্বত:স্ফুর্তভাবে পোলাপান কোন ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রাস্তায় নাইমা গেছে। এই আন্দোলনগুলার প্রতিটাই খুব র্যাডিক্যাল চরিত্রের ছিল। আর এইগুলাতে দেখা গেছে আপনে যাগো কথা কইলেন তারা আন্দোলনকারীগো বিরুদ্ধে ছিল। এই প্রবণতাটা যারা এরশাদের পতন পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলনের অভিজ্ঞতা থিকা জেনারেলাইজ করতে চায় তাদের পক্ষে বোঝা কঠিণ। আপডেট তো শুধু টেকনোলজিতে হইতেছে না। সমাজের ভিতরের অবিরাম পরিবর্তনগুলা বোঝাও জরুরি। আমার পুরা পোস্টে আমি কইতে চাইছি ঐ কথাই। ব্যক্তিগত জীবনে নেতাগো লগে সম্পর্ক কমই ছিল আমার। তাই সাধারণ ছাত্রগো ইমোশনটা বুঝি। নেতৃত্বের অভাবে এই আন্দোলনগুলা বেশীদূর না গেলেও প্রতিরোধ ব্যাপারটা কিন্তু এগুলাই টিকাইয়া রাখছে। পরবর্তী বড় আন্দোলনে হয়তো এইগুলার প্রভাবেই সাধারণ ছাত্রদের মধ্য থিকা নেতৃত্ব বাইর হইবো। হয়তো তারা আরো বড় চোর হইবো কিন্তু সময়ের ফাইটটা তো তারা করতাছে। তাই না?


গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

সুবিনয় মুস্তফী, একটা আপত্তি। যে ছাত্রদের কথা বললেন তারা শতকরা কতোজন? আমান-অভি-নীরুরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব করে না, যেমন করেনি আওরঙ্গরা বা পাকিস্তান আমলের খোকা-পাঁচপাত্তুরা।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

ভাস্কর এর ছবি

আমি জানি না মাপকাঠিটা কি হইতেছে!? কিন্তু ঢা.বি.'র ছাত্রগো ফেরেশতা ইমেজ দূর করনের লেইগা যেইটা কইলেন সেইটাও খুব উপাদেয় ঠেকলো না। আপনের মতোন আমিও বিশ্বাস করি ঢা.বি'র ছাত্র হইলেই তারা অনেক উচু দরের মানুষ হইবেন তা ঠিক না...কিন্তু তাই বইলা তাগো চান্দাবাজ হিসাবে গড় ধারণাতেও বিশ্বাসী না।

আমান কিম্বা হাবিবরা যা করছে তাতে এই সমাজের আর ৫টা মানুষের মুফতে টাকা কামানের মানসিকতাটা স্পষ্ট হইছে। পুঁজিবাদের বেসিক ধর্মমাফিকই ঘটছে এইসব, ক্ষমতার নিজস্ব গন্ধ বহন করতে করতেই তার পঁচছে...কিন্তু তাই বইলা ৯০'এর অর্জন পঁচে না।

একটা অন্যায় দূর করলে আরেকটা অন্যায় আইসা হাজির হইবো এই যুক্তিতে প্রতিবাদ করন যাইবো না, সেইটা মনে হয় না খুব ভালো চিন্তা হয়। এই আন্দোলন নিশ্চিত আগের জমানার দুর্নীতিবাজগো জাস্টিফাই করার আন্দোলন হইবো না...কিন্তু তাই বইলা আর্মিগো জাস্টিফাই করনেও তো ফায়দা নাই। আপনেরাতো বিদেশে থাইকা ভালোই ভাবতে পারেন...আমরা যারা দেশে থাকি তারা দেখি চাইলের কেজি সর্বনিম্ন ২৫ টাকা...সয়াবিন তেল ৯৫ টাকা লিটার। রাস্তাঘাটে সামরিক নিয়মকানুন আছে...কিন্তু তার মেরামতে কোন উদ্যোগ নাই, একটার পর একটা কল-কারখানা বন্ধ হইতেছে...ফসল উৎপাদন খরচ বাড়তেছে প্রতিমাসে...সরকারী কোন সেবা নাই অথচ সেবামূলক কাজের লেইগা নতুন নতুন কর হাজির হইতেছে...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

অতিথি এর ছবি

সবই বুঝলাম। কিন্তু জলপাই কর্তৃক ছাত্র পিটানোর বিচার হতে হবে। ক্ষমায় হবে না। এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি হবে, সন্দেহ নাই। কিন্তু তারচেয়েও বড় কথা, ক্ষমতা নিয়ে ছড়ি ঘোরানোর মানসিকতা- যেটা জলপাই হোক, আর কাঁঠালই হোক, গ্রহণযোগ্য নয়।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সুবিনয় ভাই, আপনি যে উদাহরণটা দিলেন, ওটা দিয়েই সুশীল সমাজ স্টুডেন্ট পলিটিক্সের ব্যান চায়। কিন্তু সমস্যাটা কিন্তু স্টুডেন্ট পলিটিক্সে না, সমস্যা পলিটিক্যাল পার্টিবেইজড স্টুডেন্ট পলিটিক্সে। নীলক্ষেত-পলাশিতে চাঁদা তোলার ঘটনাও সেকারণেই ঘটে। যে চাঁদা শুধু স্টুডেন্টরা না, বহিরাগত সন্ত্রাসীরাও ভোগ করে। স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন উন্নত বিশ্বেও আছে, যেখানে ছাত্রদেরকেই সব দাবি আদায় করতে সোচ্চার না হলেও চলে। তারপরেও আছে।

রাজনীতিবিদরা খারাপ - এইটা আপনি বলার আগেই মাইনা নিছি, যদিও পক্ষেবিপক্ষে অনেকে অনেক কিছুই বলতে পারে। কিন্তু আর্মিই কি আপনার ভাষায় বিকল্প সমাধান?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

বলাই ভাই, আর্মি পারমানেন্ট সমাধান কখনোই না, বেশিদিন বইসা থাকলে লাত্থি খাইয়া চইলা যাইতে হবে, সেইটা তারাও জানে। আফটার অল, এইটা ২০০৭ সাল, ১৯৮৭ও না, ১৯৭৭ও না। আর দেশের সমাধান দেওয়ার ধৃষ্টতা আমার নাই! স্বয়ং উপরওয়ালা পারবে কিনা, সন্দেহ!

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রে ধাওয়া,তার দেহরক্ষী মাথা দিছে ফাটাইয়া হাসি
আলহামদুলিল্লাহ । পড়েন সর্বশেষ আপডেট

-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সাধক শঙ্কু এর ছবি

পইড়া মজা লাগতাছে ঠিকই,তবে এখন একটা চান্স আছে পোলাপানরে ধইরা কঠিন মাইর দেওনের। এইটা বহুত দুর যাইবো। কিছু পোলাপান বহিস্কারও হইতে পারে। এগুলা অবশ্য সবই আশঙ্কার কথা। যদি আন্দোলনের চাপে মামারা ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হয় তাইলে বুঝতে হইবো মামাগো যাওনের দিন কাছাইয়া আইছে। অন্য সম্ভাবনাটা মারাত্মক।


গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা

আছহাবুল ইয়ামিন এর ছবি

ঘটনা বেশিদূর যাইব না। জলপাই মামগো বুদ্ধি কিছুটা হইলেও আছে। ঘটনার শুরুটা ছাড়া আর কোথাও হাত দিয়া হাত নোংরা করে নাই। একবার হয়ত ছাত্রদের কাছে ছোট কইরা ক্ষমা চাইব, বাকিটা পুলিশের উপর চাপাইয়া দিব।

কুকুরের সাথে আমাদের দেশের পুলিশের তেমন কোন পার্থক্য নাই। কারো কোন কাজ হয়ত গদিতে বসা কারো কিছু পছন্দ হইল না, দেও তার পেছনে পুলিশ লেলিয়ে...

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এমনি এমনি যাবে না। লাথিটা কাউকে না কাউকে দিতে হবে। ডিউর পোলাপাইনের এইদিক দিয়া বিকল্প নাই। হাসি

আমি অবশ্য উপরওয়ালারে বিরক্ত করার আগে আরেকটু আশাবাদী হয়ে চিন্তা করতে চাই নিজেরা কি করা যায়। হাল ছেড়ে দেয়াটা সমাধান না। হাসি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

র্যাডিক্যাল

শঙ্কু, এই শব্দটা একটু বুঝাইয়া কন! দুইবার লেখলেন, কিন্তু ঠিক বুঝলাম না।।

সাধক শঙ্কু এর ছবি

র এ য ফলা হইতেছে না। radical কইছি বিবদমান অবস্থানগুলা পরিস্কার হওয়ার জায়গা থিকা। স্বতস্ফুর্ত আন্দোলনগুলা কোন রকম ম্যানিপুলেশন ছাড়া সরাসরি স্পষ্ট প্রতিপক্ষরে চিহ্নিত করতে পারে।


গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা

হাসান মোরশেদ এর ছবি

অন্য সম্ভাবনার সম্ভাবিলিটিই বেশী কিন্তু সাধক ।
আইনশৃংখলা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি, ছাত্র ও শ্রমিক আন্দোলনের নামে বিদেশীচরদের অনুপ্রবেশ- এমতাবস্থায় দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী আর হিজাব পড়ে থাকতে পারছেনা; হটযাও সিভিল ক্যামোফ্লেজ ।

-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সাধক শঙ্কু এর ছবি

বক্তৃতার ড্রাফটতো এখনই করা যায়।

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মাথায় মাল উইঠা গেছেগা আর ধৈর্য্য ধরতারুম না। ফকরুদ্দিন তুমি ডিক্লিয়ার দ্যাও এখন আমরা খেলুম!


গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা

ঝরাপাতা এর ছবি

মামুগো ছত্রছায়ায় তো মনে লয় পিডিপি জন্মাইলো। কপালে আরো দৌড়ানি আছে।


রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

এরশাদ মামা কথা মনে পড়ে যায় ।
কেমনে কেমনে মিলে যায় হাসি

আহারে রবীন্দ্রনাথের লাইন আওড়ানো ফাকরুদ্দীন শেষে- ডিস্কো জুতা ডিস্কো পেন্ট,আব্দুস সাত্তার প্রেসিডেন্ট'

-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সাধক শঙ্কু এর ছবি

আরো মর্মান্তিক শ্লোগান ছিল ১৯৮১র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়

শুনলে মোদের হাসি পায়
আটকুইড়ায় ভোট চায়


গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

হক কথা। একদম খাপে খাপে মিলে যায়।
শুধু পাকিস্তানের কেইস-স্টাডিটা এখন নতুন মোড় নিছে।
এইটুকু আমাদের ভরসা।
আমাদের সেনাবাহিনী খালেদা-নিজামীরে হাতে রাইখাই যা করার করবো।
হান্নান শাহ কিন্তু এ্যাসাইনমেন্টে ছাড়া পাইছে, কইলাম কিন্তু।

আহা ফখরুদ্দীন। প্রমিত উচ্চারণের সরকার-প্রধান আমাদের!!!
তোমার জন্য এপিটাফ লেখার সময় চলে এলো মনে হয়।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

সাধক শঙ্কু এর ছবি

কিন্তু কথা হইলো এইবার কয়দিন? এর আগের ফেইজগুলা ছিল ১০,৬ আর ৯। এইবার?


গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা

আরিফ জেবতিক এর ছবি

পুরো বিষয়টিকে কেন যেন সন্দেহের চোখে দেখছি আমি।আমার কাছে মনে হচ্ছে এটি সরাসরি মার্শাল ল আনার একটা প্রচেষ্টা।

-----------------------------------
কিস্তিমাতের যুদ্ধ শেষে,সাদাকালো ঘুটিগুলো এক বাক্সেই ফেরত যাবে...

সুমন চৌধুরী এর ছবি

হুম
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

ভাস্কর এর ছবি

আমার কাছে বিষয়টারে এতো পরিকল্পিত মনে হইতাছে না। মার্শাল ল আসনের সম্ভাবনাও খুব জোরালো মনে হইতাছে না। আমার কাছে এইটারে সেনাবাহিনীর চরিত্রের একটা বহিঃপ্রকাশই মনে হয় বিষয়টারে। তয় এই আন্দোলনে ফায়দা লুটনের পক্ষ-বিপক্ষ তৈরী হওনের সম্ভাবনায় একটু সংশয়ী হইতেছি এর ভবিষ্যত নিয়া।


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

ভাস্কর এর ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেইকা সেনাক্যাম্প প্রত্যাহার শুরু হইতাছে...আন্দোলনের দাবী আর কদ্দূর যাইবো? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসাবে ফখরুদ্দিন, স্বরাষ্ট্র সচিব আর সেনাপ্রধানের পদত্যাগ দাবী করা হইছে বইলা জানি। ক্যাম্প সরাইলেই আন্দোলনে ভাটা পরবো এই নন পার্টিজান ম্যুভমেন্টে সেইটা নিশ্চিত। তয় এই আন্দোলনের লার্নিংটা কাজে দিবো...সেনাশাসন বিরোধী আন্দোলনের সম্ভাবনাটা যে দেশের আনাচে কানাচে বেশ ভালোমতোই আছে সেইটা বোঝা গেছে।

আর যুথবদ্ধ আন্দোলন হইলে সেনাবাহিনীর অস্তিত্ব খুব ভালো থাকবো না নিশ্চিত হইলাম। তবুও দেখা যাক আগামী কয় দিনে কি হয়...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সরকার তাহলে বেশ কৌশলে খেলছে

-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

হযবরল এর ছবি

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মারামারি হয়, খারাপ জায়গা বলবার আরো একটা বন্দোবস্ত করতে চায় খাকীর পুলারা। নাইট শিফট,ফি বাড়ানো এরমধ্যেই,ওরা কয় সাফল্য নিহিত। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ চাপা দেয়া গেলে আইয়ুব, ইয়াহিয়া সব হালাল করা সম্ভব এই দেশে। এখন সেই প্রচেষ্টাই শুরু হইতেয়াছে মনে অয়।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

তা আর হবে না। এই আন্দোলনটা কনফিডেন্স আরো বাড়ালো।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অয়ন এর ছবি

আন্দোলনে সবচেয়ে বড় লাভ হইলো পাবলিক সেন্টিমেন্টটা বোঝা গেছে। 'হাতে আর কোন উপায় নাই' এই যুক্তিতে সরকার যা ইচ্ছা তা করবো আর পাবলিক বইসা বইসা দেখবো অনেকের এই চিন্তাটা থিকা মুক্তি পাওয়া গেছে।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ঐ রকম ম্যাজিক শার্ট দেখতে যেই পরিমাণ রামছাগল দরকার তার প্রজনন ক্ষেত্র বানান তারপর শান্তি খুইজেন। তবে এইটাও মাথায় রাইখেন গণপিটানিতে পড়া রামছাগলের বিরিয়ানি খাওনের লোকও লগে লগে বাড়বো। তাগো সংখ্যা আপনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।


ঠিকাছে
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

সাধক শঙ্কু এর ছবি

আগস্টের এই দিনগুলা কি আমরা ভুইলা গেছি?


গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা


গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।