আমার দু:খসুখের গানে সুর দিয়েছ তুমি

আহির ভৈরব এর ছবি
লিখেছেন আহির ভৈরব [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০২/১১/২০০৯ - ১২:৩৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার যখন দেড় বছর বয়স তখন একজন ভদ্রমহিলা তার ছ'বছরের মেয়ের হাত ধরে আমাদের মফস্বল শহরের টিনের-চালা বাংলো বাড়িতে কাজ করতে এলেন। গ্রামের গৃহস্থ বাড়ির বউ ছিলেন, বাচ্চা হবার সময় শহরে বাবার কাছে এসেছিলেন, তার স্বামী নিচ্ছি-নেব করে আর বাড়ি ফিরিয়ে নিলেন না। ছোটো মেয়েটাকে নিয়ে কাজ খুঁজতে খুঁজতে আমাদের জীবনে চলে এলেন। রাতারাতি 'আদরে বাঁদর' করার মতো দু'টা মানুষ পেয়ে গেলাম আমি! আমার যত আব্দার সব পিসির কাছে - রান্নাবাটি খেলার জন্য একটুখানি চালের, অথবা সন্ধ্যাবেলা বারান্দায় বসে একশ'বার শোনা চিকমপাখীর কেচ্ছার পুনোরোদ্ধারের, কিংবা বৃষ্টির দিনে ট্যালট্যালে খিঁচুড়ি আর ইলিশমাছ ভাজার।

আর দিদি? দিদি একাধারে আমার দিদি, আমার খেলার সাথী, আমার সবচে' কাছের বন্ধু, আমার সবচে' প্রিয় মানুষ। মা-বাবার সাথে ছুটিতে কোথাও বেড়াতে গেলে দিদির জন্য মন-কেমন করে। সুযোগ পেলেই ফোনে রাজ্যের কথা দিদিকে বলা চাই। আবছা মনে পড়ে (মায়ের কাছে এই গল্পের সত্যতার প্রমাণ পাওয়া গেছে), ৪-৫ বছর বয়সে কোনো এক দোকানে গিয়ে দিদির জন্য একটা শাঁখের আংটি কেনার প্রচন্ড বায়না ধরেছিলাম। কোনো কারণে মা-বাবা সেই আংটি কিনে না দেয়ায় বুঝলাম যা করার নিজেকেই করতে হবে। আংটিটাকে জামার পকেটে পুরে নিয়ে বেশ ভালো মানুষের মতো মুখ করে মা-বাবার সাথে বাড়ি-মুখো রিক্সায় চেপে বসলাম ঠিকই, কিন্তু চুরির লাইনে আনকোরা নতুন হওয়ায় মাঝপথেই ধরা পড়ে গেলাম। রিক্সা ঘুরিয়ে দোকানে ফিরে গিয়ে আংটির দাম মেটানো হলো। বেশ বড়সড় একটা চড় খেয়ে (চড়ের অংশটা অবশ্য মা-বাবা বহুদিন ধরে অস্বীকার করে আসছে) আংটি সমেত বাড়ি ফিরেছিলাম। চড়ের ঘায়ে ব্যাথা-ব্যাথা দাঁতে হলেও শেষ হাসিটা কিন্তু আমিই হেসেছিলাম সেদিন। অবশ্য সেদিনের পরে চুরি-টুরি আর জীবনে করা হয়নি, সবাইকে দিয়ে সব কিছু হয় না।

আমাদের গলায়-গলায় ভাব। আর হবে নাই বা কেন? দিদি মাত্র কয়েক বছরের বড় হয়েও মাতৃস্নেহে আগলে রাখে আমাকে। আমার কোনো আব্দারই দিদি ফেলে না, দিদির কাছে আমি রাজা। তবে একটা ব্যাপারে দিদির সাথে একটা হালকা রেশারেশি হয়ে যেত বছরে একবার। আনন্দমেলা পূজা সংখ্যায় কাকাবাবু সন্তু-জোজোকে সাথে নিয়ে কোন্‌ রহস্যের কী সমাধান করলেন? অথবা মনোজদের অদ্ভূত বাড়িতে বা পটাসগড়ের জংগলেই বা কী রোমহর্ষক ঘটনা ঘটে গেল? এই সমস্ত অত্যন্ত জটিল এবং রোমান্চ্ঞকর ঘটনার জট কে আগে খুলবে? দিদি, না আমি? বাড়ির বেড়ালের চেয়ে ভারী পূজাসংখ্যা তো কেনা হয়েছে একটাই! অন্য সব ব্যাপারের মতোই এব্যাপারেও আমিই জিতে যেতাম প্রতিবছরই। কিন্তু তাতে লাভই বা কী হতো? দিদির পড়া না হওয়া পর্যন্ত মজা কিসের? দিদির পড়া হবে, দু'জনে মিলে পড়া বাদ দিয়ে চোখ বড়-বড় করে সব গল্পগুলি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বিশ্লেষন করবো, তবেই না মজা!

আরেকটু বড় হলাম যখন তখন দিদির সাথে বাংলা পড়ে কুলিয়ে উঠতে পারতাম না। সেই সময়, প্রথম আলো, পূর্ব-পশ্চিম, সমরেশের সমস্ত বই, বুদ্ধদেব বসুর অতি চমত্‌কার তিথিডোর, এ সবই আমার দিদির রেকমেন্ডেশনে পড়া। রবীন্দ্র রচনাবলি ঘাটতে ঘাটতে একটা গল্প, কবিতা, বা নাটক মনে লেগে গেলে একে অপরকে না পড়ানো পর্যন্ত শান্তি পেতাম না। গানের বেলায়ও একই ব্যাপার - একটা ভালো গান শুনলে দিদির আমাকে, বা আমার দিদিকে শুনাতেই হবে সে গান। তারপর দু'জনে মিলে সেই গান তুলতে হবে, তারপর তা বাতি চলে গেলে বারান্দায় বসে মোমের আলোয় গাইতে হবে, তবেই না! মনে আছে এক ঝমঝমে বর্ষার রাতে বৃষ্টির সাথে পাল্লা দিয়ে সদ্য তোলা নজরুলগীতি "আজি এ শ্রাবননিশি কাটে কেমনে" গাইতে গাইতে গলা ভেঙে দু'একদিন কথা বলা বন্ধ ছিল।

দু'জনে একসাথে গান করি, নাটক করি, তুমুল আড্ডা মেরে বেড়াই। শিবির হুমকি দিয়েছে, মফস্বল শহরের শহীদ মিনারে বুদ্ধিজীবী দিবস/একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করতে দেবে না। শীতের রাতেও রক্ত-গরম করা প্রচন্ড উত্তেজনায় সংগঠক মা-বাবার সাথে ছুটতাম শহীদ মিনারে মোমবাতি জ্বালাতে, গান গাইতে, আমি, দিদি, আমদের শ্রদ্ধেয় প্রশিক্ষক ও আরো দু'তিনজন নাট্যকর্মী। প্রতি বছরই এরকম হুমকির মুখেই অনুষ্ঠান করে যেতাম আমরা বিপুল উদ্দ্যমে।

এভাবে বেশ চলছিলো আমাদের জীবন। হঠাত্ একদিন দিদির বিয়ের বয়স হয়ে গেল। নিজের পছন্দেই বিয়ে করলো দিদি, কাজেই সব দিক দিয়েই অত্যন্ত সুখকর হলো ঘটনাটা, শুধু আমাদের বাড়িটা একেবারেই খালি হয়ে গেল আমার কাছে। এর ক'মাসের মধ্যেই আমার স্কুলের পাট চুকে গেল। আমিও যেন দুম করে বড় হয়ে গেলাম, পড়তে চলে এলাম প্রায়-অচেনা একটি দেশে। আমার একটা জগত্‌ হল, নতুন বন্ধু হল, নতুন পরিবেশে পড়া-নাটক-গান এসমস্ত নিয়ে মেতে গেলাম, প্রচন্ড ব্যাস্ত হয়ে গেলাম। দিদিরও দুই ছেলে, স্বামী-সংসার, ইত্যাদি নিয়ে একই অবস্থা।

তাহলে কি ভুলে গেলাম দিদিকে? হারিয়েই গেলাম একে অপরের জীবন থেকে? এত হাসি, এত গান, এত কথা, সব মিলিয়ে গেল? দেশে গেলে অবশ্যই দেখা হয় দিদির সাথে, সংসারের হাজারো কাজ ফেলে ছুটে আসে আমাকে একটুখানি সময় দিতে দিদি। দিদিকে দেখে এখনো প্রচন্ড খুশি হই, ঠিক যেমন খুশি হয়েছিলো সেই ৪-৫ বছরের বাচ্চাটা, দিদির হাতে আংটিটা তুলে দিয়ে। কিন্তু ছন্দপতন কি একটুও ঘটে নি? ঘটেছে, নিশ্চয়ই ঘটেছে। দু'জনের জীবন একেবারেই ভিন্ন এখন। দু'জনের আশা-আকাঙ্খা, চাওয়া-পাওয়া, চিন্তা-ভাবনা, সবই মেরুর দূরত্বে মাপা যায়। একসময় হয়ত কথা ফুরিয়ে আসে। ছেলেবেলার বন্ধুত্ব হেরে যায় দিদির সংসারের শতকাজের পিছুটানের কাছে। তবে সব হারিয়েও আমার মধ্যে দিদির প্রভাব এমন প্রচন্ডভাবে রয়ে গেছে যে আমার প্রতিটি ভাবনা, প্রতিটি সুখ-দু:খ, প্রতিটি ছোটো ছোটো সাফল্য অথবা বিরাট সব ব্যার্থতা, সব, সব কিছুর মধ্যে ভীষণভাবে প্রত্যক্ষ আমার দিদি। আমার সত্তায়, আমার আমিত্বে আমার দিদির বসবাস।


মন্তব্য

বালক এর ছবি

আমার দুঃখ-সুখের গানে সুর দিয়েছ তুমি
_____________________________________________
তুমি হতে পারো একটি স্বার্থক বিষাদের সংজ্ঞা। স্বার্থক নদী, স্বার্থক ক্লান্তি অথবা স্বার্থক স্বপ্ন।

____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"

আহির ভৈরব এর ছবি

ধন্যবাদ পড়ার জন্য ভাই।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

মূলত পাঠক এর ছবি

আপনার লেখার গুণে তরতরিয়ে পড়লাম, তবে প্লটটার সমাপ্তির ভাবটা ঠিক জোরদার হলো না, সার্কিট কমপ্লিট হওয়া যাকে বলে। আত্মকথা হলেও সেটা দরকারি পাঠকের জন্য। তবে পড়তে ভালোই লাগলো। আরো লিখুন।

ধূগো আবার পাকড়াও করার আগেই বলি, 'দরকারি'তে হ্রস্ব ই কার চলে, নতুনতর বানানে। আগের বার মনে হয়েছিলো চলে না, কিন্তু সেটা বোধ'য় ঠিক না। তাও যদি কেউ একটু অভিধান দেখে জানান তো বাধিত হই।

আহির ভৈরব এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ মূলোদা, পড়ার জন্য, সুচিন্তিত মতামতের জন্য।

সেদিন দিদির কথা খুব মনে পড়ছিলো, তাকে কখনও কিছুই দেয়া হয়নি আমার, তার কত বড় প্রভাব আছে আমার জীবনে সেকথাও কখনও বলা হয় নি। তাই ভাবলাম কাগজে-কলমে এই কথাগুলি লিখে একটু হালকা হই, অন্যকিছুই ভাবিনি। পাঠকের প্রয়োজন মেটাতে পারলাম না বলে ক্ষমা করবেন মূলোদা।

আঙুরলতায় খবর পেলাম বন্ধু-হ্যালোঈন পার্টি, ইত্যাদি নিয়ে ব্যাস্ত আছেন। তা'বলে লেখা-টেখা কী একদমই পাবো না আমরা?
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

মূলত পাঠক এর ছবি

দুচ্ছাই, এইরকম ক্ষমাটমা চাইলে আর মন খুলে বলতে সাহস পাবো না যে। ব্লগে ফিডব্যাকের ব্যাপারটা আছে বলেই আমরা লেখার মান বাড়াতে পারি ধীরে ধীরে। আপনি লিখতে থাকুন।

আহির ভৈরব এর ছবি

মূলোদা, আপনি আমার প্রথম লেখা থেকে শুরু করে প্রতিটি লেখায় (সে সংখ্যা যদিও মাত্রই ৪!) আপনার মতামত দিয়েছেন, আপনার মতামতের বিরাট মূল্য আমার কাছে। এখন যদি এমন নির্দয়ের মত মন খুলে বলতে সাহস পাবো না-টাবো না বলেন, তাহলে কি আর খেলতে ইচ্ছা করে? আচ্ছা, ক্ষমা নয়তো নাই চাইলাম, লেখক হিসেবে পাঠকের কাছে দু:খ প্রকাশও কি করতে পারবো না?

আর লেখার ব্যাপারটা কি হলো ভাই? এ লেখা-থামানো বন্ধুটি বিদায় হচ্ছেন কবে? হাসি
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

অতিথি লেখক এর ছবি

"ছেলেবেলার সেই বেহালা বাজানো লোকটা , চলে গেছে বেহালা নিয়ে /চলে গেছে গান শুনিয়ে..." দারুন লাগলো ! *তিথীডোর

আহির ভৈরব এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ তিথীডোর, পড়া-মন্তব্যের জন্য। সত্যি, বেহালা-বাজানো লোকটা বড় নচ্ছার।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

দিদিও নিশ্চয়ই ভোলেনি। সংসারের চাপেও মাঝে মাঝে নিশ্চয়ই মনে করে তার পুরোনো ভাইটিকে।


‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

আহির ভৈরব এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

অবাঞ্ছিত এর ছবি

মন খারাপ করা লেখা।

তবু পড়ে ভালো লাগলো।

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

আহির ভৈরব এর ছবি

ভাই পড়া/মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

পুতুল এর ছবি

"আজি এ শ্রাবননিশি কাটে কেমনে"

গানটা শুনতে চাই।
লেখা আরাম করে পড়তে পারলাম। আরো লিখুন।
@ পাঠকদা, বাংলা একাডেমীর অভিধানে দরকারি-ই দেখলাম।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

মূলত পাঠক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, পুতুল।

কই, ধূগো গেলেন কই?

আহির ভৈরব এর ছবি

অনেক খঁজেও কিছুতেই গানটা ইন্টারনেটে কোথাও পেলাম না ভাই, খুবই দু:খিত। গানটা খুব মিষ্টি, এবার দেশে গেলে খুঁজে দেখব ভালো করে, পেলে অবশ্যই পোস্ট করব।

অসংখ্য ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

ভ্রম এর ছবি

চমৎকার লেখা!

আহির ভৈরব এর ছবি

অশেষ ধন্যবাদ ভাই, খুব ভালো লাগলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

জীবনসংসারের সব গল্প বুঝি এমন!
..........................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

আহির ভৈরব এর ছবি

সত্যিই। অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

জীবনের গল্পটা পড়ে খুব ভালো লাগলো........ আরও লিখুন.......

@ পাঠকদা.. SAMSAD Dictionary তে "দরকারী" লেখা আছে.......

মূলত পাঠক এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ, রেনেসাঁ। এটা আদি বানান, বাংলা আকাদেমিতে 'দরকারি' আছে। অর্থাৎ দুটোই ঠিক।

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

আসেন এপারের একাডেমী আর ওপারের একাডেমী নিয়ে আমারা একটা "দুকাডেমী" তৈরী করি.........হা হা হা...

আহির ভৈরব এর ছবি

ভালো লাগলো জেনে খুব খুশি হলাম, ধন্যবাদ রেনেসাঁ।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

ভুতুম এর ছবি

খুব সুন্দর লাগলো লেখাটা। এরকম কিছু সম্পর্ক আছে বলেই জীবনটা বেঁচে থাকার যোগ্য মনে হয়।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

আহির ভৈরব এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ ভুতুম, ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুণ লেখা। একটানে পড়েছি।

মহসীন রেজা

আহির ভৈরব এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, পড়ার জন্য, মন্তব্যের জন্য।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

দময়ন্তী এর ছবি

বড় ভাল লাগল পড়তে৷ এই আপাত-সম্পর্কহীন সম্পর্কগুলো খুব দামী৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

আহির ভৈরব এর ছবি

অশেষ ধন্যবাদ দময়ন্তী, খুব খুশি হলাম।

এই আপাত-সম্পর্কহীন সম্পর্কগুলো খুব দামী৷

সত্যিই তাই।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

ওডিন এর ছবি

পড়ে খুব ভালো লাগলো- আমার কোনধরনের কোন বোন নেই, ছিলো শুধু দুষ্টু ছেলেদের সাথে সবসময় দাঙ্গাহাঙ্গামায় ভরা একটা শৈশব। এখন ভালমতই বুঝি একটা বোনের কত দরকার ছিলো।
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা। চিন্তিত

আহির ভৈরব এর ছবি

আমার আবার কোনো ভাই-ও নাই, আর পরিবারের দু'দিক থেকেই সবচে' ছোটো হওয়ায় সব-তুতো ভাইবোনরাই বয়সে অনেক অনেক বড়, তাই তাদেরকেও খুব একটা পাইনি সেভাবে। ভাই-বোন না থাকার অভাবটা এই দিদির কারণেই পুরণ হয়েছিল।

অনেক ধন্যবাদ, পড়া এবং মন্তব্যের জন্য। ভালো লাগলো জেনে খুব ভালো লাগলো।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

আহির ভৈরব এর ছবি

দু'বার হয়ে গেছে, তাই ঘ্যাচাং।

-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।