প্রতিক্রিয়াসমূহ

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: বুধ, ০১/০৪/২০১৫ - ১২:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

০.
বিংশ শতাব্দীতে মানুষের শোকের আয়ু বড়জোর এক বছর। নাজিম হিকমতের কথা। হয়তোবা মানুষ ভুলে যায় এক বছরের মাথায় তার শোকার্ত সময়কে। কিন্তু একুশ শতকে শোকের আয়ু কত বছর, কত দিন? এই ফেসবুক জামানায়, যখন মিনিটে মিনিটে বদলে যায় হোম পেইজ, নিজের দেয়াল!

১.
আমাদের দেশে মানুষের জীবন কচু পাতার পানির মতো। টুপ করে ঝরে যায়। ক্ষমতার জন্য, শুধুমাত্র রাষ্ট্রযন্ত্র দখলের জন্য রাজনীতির সাথে যোগাযোগহীন মানুষকে পুড়ে মরতে হয়। বিষয়টা এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, মানুষ সেটা মেনে নিয়েছে যেনবা।

২.
দল বেঁধে মানুষ যখন পুড়ে মরে। কিংবা আস্ত একটা ভবন যখন মানুষকে নিয়ে মাটিতে মিশে যায়, ডুবে যায় আস্ত একটা লঞ্চ। আমরা বেদনাহত হই। মানুষ হিসাবে মানুষের জন্য কেঁদে ওঠে আমাদের মন। কিংবা অজানা কোনো কারণে যখন খুন হয়ে যান সাগর-রুনি তাতেও মানুষের ভেতর প্রশ্ন তৈরি হয়, প্রতিবাদ তৈরি হয়।

৩.
দল বেঁধে এই মৃত্যুর মিছিলের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে ব্লগারের মৃত্যু। সাধারণ মানুষের সাথে বুঝিবা এর কোনো সম্পর্কই নেই। যেনবা এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মানুষ। এরা হঠাৎ করে মরতে শুরু করেছে। এদের কেউ প্রকৌশলী, কেউ ছাত্র, কেউ বেকার। এরা মরছে, আহত হচ্ছে খবর হচ্ছে। খবর হচ্ছে সে ব্লগার, তাই সে মরেছে, মরবে। ব্লগাররা মানুষ না।

৪.
৫৭ ধারার বলে আমি যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারি। আমার বন্ধুকে যেকোনো সময় আটক করা হতে পারে। এটি হয়েছে, হবেও। হত্যার হুমকি ফৌজদারি আইনে অপরাধ। ৫৭ ধারার প্রয়োগ আছে কিন্তু হত্যার হুমকি দিলে কিছুই হয় না। তাই আহমদ শফী ঘোষণা দেয় নাস্তিকদের মেরে ফেলা যাবে। নাস্তিকরা খুন হতে থাকে। এর আগে এই শফী মাওলানাই বলে দিয়েছে ব্লগাররাই হচ্ছে নাস্তিক। আমাদের দেশে তাই ব্লগার ও নাস্তিক এখন একটি সমার্থক শব্দ। মরতে থাকো।

৫.
রাষ্ট্রকে তার নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু মন্ত্রী অনেক আগেই বলে দিয়েছেন শোবার ঘরে গিয়ে কাউকে নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। এর আগে অন্য মন্ত্রী বলেছিলেন, আল্লার মাল আল্লায় নিয়া গেছে... যদিও রাস্তায় কোপ খেয়ে মরে যাবার বিষয়ে কিছু বলা হয় নাই, তবু সমীকরণ মিলিয়ে ঝিম মারতে হবে। মানুষ মরুক। মরতে থাকুক।

৬.
আওয়ামীলীগ আমার ভোটে সরকার গঠন করেছে। প্রগতিশীল মানুষ এই দলকে সমর্থন দেন। দলটি এবং এর নেতৃত্বাধীন সরকার সেই ভোটের অবমাননা করেছে। বিশ্বাসকে নষ্ট করেছে। মুক্তচিন্তা এবং প্রগতিশীলতার বিরুদ্ধে তাদের নানা পদক্ষেপের দায়ভার দলটিকে নিতে হবে। এবং সবচে বেদনার হলো, মুক্তবুদ্ধির মানুষদেরকেই এই দলটির অপ-রাজনীতির খেসারত দিতে হবে।

৭.
মানুষ মরবেই। কোপ খাবেই। এর বাইরে যাওয়া যাবে না। বাবু নামের স্বল্প পরিচিত ব্লগারটি মরে এই সত্য প্রমাণ করে দিয়ে গেলেন। আপনি চলমান প্রক্রিয়ার বাইরে চিন্তা করেন। আপনার বলবার অনেক কথা আছে, মাঝে মাঝে সেটি বলেও ফেলেন তাহলেই হলো। মৃত্যুর জন্য, খুন হবার জন্য আপনি যোগ্যতম ভেবে নিন নিজেকে। তাই বলি, মরতেই যখন হবে, ভালো করে মরি। যা বলার, যেটুকু বলতেই হবে, বলে যাই। এই সময়ে হয়তো এর কোনো প্রতিক্রিয়া হবে না। কে বলবে, আগামী পৃথিবীতে হয়তো এই বলে যাওয়া কথাটা মূল্য পেলেও পেতে পারে। আর নাইবা যদি পায়, তাতেই কী? বল্লাম তো...

৮.
আপনি মানুষ হলে আর কখনো হিজড়াদের নিয়ে ফাইজলামি করবেন না আশা করি।


মন্তব্য

আয়নামতি এর ছবি

শাহবাগ আন্দোলনের সময় ব্লগার শব্দ'টা যতটা শক্তি ধরেছিল, রাজিব(থাবা বাবা)
কে খুন করার মধ্য দিয়ে সে শব্দটাকে বিজাতীয় মানুষ কিংবা মানুষ হবার যোগ্যতাই রাখে না এমন শব্দে পরিণত করা হলো। আজব লাগে পেছন হটার এই কায়দায়।
মানুষ হতে না পারার ক্ষোভ আমার ভিন্ন কারণে আছে। কিন্তু ঐসব ফাউলদের দেগে দেয়া মতামত মানতে চাইনা বলে আবজাব যা'ই লিখি লিখেই যাবো। আমার এক পৃথিবী লিখে যাওয়ায় কারো কিছু যাবে আসবে না হয়ত। আপনার মত করে ভেবে আরাম পাবো বললাম তো!

অতিথি লেখক এর ছবি

আজ শুনছিলাম একজনের কাছে-ঘটনাস্থল থেকে নয়, পুলিশ নাকি ছেলে দুইটাকে পরে কোথাও থেকে ধরে এনেছে। কী জানেন তো, ঘটনা বদলায় একটার পর একটা, আমরা আমাদের এমন কিছু চিন্তা-ভাবনায় স্থির থেকে যাই। তাই ‘ব্লগার’ মারবে বলে যারা স্থির করেছে, তারা নিজেদের লিস্টটা বড় করতেই থাকবে; ‘ব্লগার’ মারার বিচার চাইলে আগে সবগুলো হত্যার বিচার চাই, এমন যারা বলবে বলে স্থির করেছে-তারাও এমনই বলে যাবে। ব্যস। আমিও লিখব বলে স্থির করলাম-নিতান্তই ভোঁতা ভোঁতা কথা (অন্য কিছু পারি না) লিখেই যাব...

দেবদ্যুতি

হাসিব এর ছবি

আজ শুনছিলাম একজনের কাছে-ঘটনাস্থল থেকে নয়, পুলিশ নাকি ছেলে দুইটাকে পরে কোথাও থেকে ধরে এনেছে।

এইরকম কানকথা ছড়ানো কি ঠিক?

অতিথি লেখক এর ছবি

ছড়াতে চাইনি বোধহয় কথাটা। লেখাটা যদি তেমন বোঝায় তার জন্য দুঃখিত।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

........................................................

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

রানা মেহের এর ছবি

দেবদ্যুতি, কোন বিশ্বস্ত জাতীয় দৈনিকে না আসলে এসব কথা বিশ্বাস করা এবং ছড়ানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।

একজন স্বল্প বেতনের ড্রাইভার ডাকাত ডাকাত বলে এই খুনিদের পেছনে ছুটেছেন।
সমাজের চোখে অচ্ছুৎ তৃতীয় লিংগের দুজন মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হন্তারকদের জাপটে ধরে আটকান। বাকি আরো মানুষজন এসে তাদের ধরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

এরকম একটা বীরত্বের ঘটনা সাধারণ মানুষের মনোবল দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়। আর কেউ এরকম সাহস দেখানোর অনুপ্রেরনা পান।

যথেষ্ট প্রমান ছাড়া এরকম সাহসিকতার ঘটনা অন্যদিকে ঘোরানো কাজের কথা না।

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অতিথি লেখক এর ছবি

কথাটা লিখতে কি কোনো ঝামেলা করলাম? আমি কিন্তু কানকথা ছড়াতে চাইনি বরং লোকে এমনও বলে বেড়ায় এবং তাদের সংখ্যা নেহাৎ কম নয়-এটাই বলতে চেয়েছি। ছড়াতে চাইলে বোধহয় যারা বলেছে তাদের কাছে সংবাদের লিংক পাঠিয়ে তর্কও করতাম না। যাহোক, দুঃখিত।

এক লহমা এর ছবি

"আপনার বলবার অনেক কথা আছে, মাঝে মাঝে সেটি বলেও ফেলেন তাহলেই হলো। মৃত্যুর জন্য, খুন হবার জন্য আপনি যোগ্যতম ভেবে নিন নিজেকে। তাই বলি, মরতেই যখন হবে, ভালো করে মরি। যা বলার, যেটুকু বলতেই হবে, বলে যাই। এই সময়ে হয়তো এর কোন প্রতিক্রিয়া হবে না। কে বলবে, আগামী পৃথিবীতে হয়তো এই বলে যাওয়া কথাটা মূল্য পেলেও পেতে পারে। আর নাইবা যদি পায়, তাতেই কি? বল্লামতো..." চলুক

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

নাশতারান এর ছবি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

০.
ক্রমাগত শোক করে যাবার দরকার নেই। তবে আঘাতটার কথা ভোলা যাবে না। ক্ষতিটা মেনে নেয়া যাবে না। বিচারের দাবীটাও ছাড়া যাবে না।

১.
সব কিছু মেনে নেয়া বা সহ্য করে যাওয়া নৈতিক অধঃপতনের লক্ষণ। আত্মকেন্দ্রিকতা আর আত্মরতিতে মগ্ন মানুষের হুঁশ নিজে গাড্ডায় না পড়া পর্যন্ত ফেরে না। সব সময়ই সে ভাবে, কোনক্রমে এবারও আমি বেঁচে যাবো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর বাঁচতে পারে না।

২.
সবাই সব কিছু যে মেনে নিতে পারে তা না। বিভিন্ন ঘটনা বিভিন্ন জনের মনে নানা ভাবে ছাপ ফেলে, প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। ঐ সমস্ত প্রতিক্রিয়া ঘুমন্ত অবস্থায় থাকে। উপযুক্ত নেতৃত্ব আর সংঘ ঐ ঘুমন্ত প্রতিক্রিয়াকে আগুনে রূপান্তরিত করতে পারে।

৩.
একজন মানুষ গল্প/কবিতা/উপন্যাস/নাটক/প্রবন্ধ লেখে কিন্তু সে গল্পকার/কবি/ঔপন্যাসিক/নাট্যকার/প্রাবন্ধিক নয়, সে নাকি সাহিত্যিক/কথাশিল্পী নয়, এমনকি সে নাকি লেখকও নয় – ব্লগার। লেখককে যেদিন থেকে ব্লগার বানানো হয়েছে সেদিন থেকে তাকে সাধারণ মানুষ থেকেএকটু একটু করে দূরে ঠেলা শুরু হয়েছে। আজ ৯/১০ বছরে ব্লগাররা ভীন গ্রহের জীব হয়ে গেছে।

যে দিন থেকে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি অনলাইনে লেখালেখির শক্তিটা বুঝেছে সেদিন থেকে ‘ব্লগার’ = ‘নাস্তিক’ = ‘কতলযোগ্য’ = ‘মারা হয়েছে, ঠিক হয়েছে’ একটু একটু করে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। প্রিন্টেড মিডিয়া, টিভি/রেডিও জানে অনলাইন মিডিয়া একইসাথে টেক্সট, অডিও, ভিডিও ও গ্রাফিকসকে ধারণ করতে পারে বলে তাদের থেকে এগিয়ে থাকে। তাই অনলাইনের লেখকদের যখন কতলযোগ্য বানানো হচ্ছে তখন তারা তাতে বাতাস দিয়ে গেছে।

৪.
ইতিহাসের পরিহাসটা এই যে, যারা কালাকানুন বানায় দিনশেষে ঐ কালাকানুনের ফলটা তাদেরকেই বেশি ভোগ করতে হয়। কালাকানুনের প্রণেতারা এটা দিয়ে নিজেদের ব্যক্তিপর্যায়ে কিছু লাভ করে। আর তাদের সময়ে এর ছত্রছায়ায় যে দানব বেড়ে ওঠে, সেই দানব একদিন তাকেই ছিন্নভিন্ন করে দেয়।

আর ইতিহাসের শিক্ষা হলো এই যে, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা গ্রহন করে না।

৫.
শুধু রাষ্ট্র কেন, কারো পক্ষেই ১০০% নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব না। কিন্তু চাইলে নিরাপত্তা অবস্থার উন্নতি ঘটানো যায়। বছরে কম করে হলেও ৪ হাজার মানুষ খুন হয়, কিন্তু ৪ হাজার খুনের বিচার সম্পন্ন হয়ে খুনীর সাজা হয় না। খুনের মতো সর্বোচ্চ পর্যায়ের অপরাধের বিচারের অবস্থা যেখানে এমন সেখানে অন্যান্য অপরাধের ক্ষেত্রে চিত্রটা কেমন সেটা বোধগম্য। যারা বিচারহীনতার সংস্কৃতির সমালোচনা করে তাদের মধ্যেও সিলেকটিভ ঘটনা নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়। কারণ, তারা নিজেরাও জানে কিছু অপরাধী তাদের পাশেও বসে আছে।

ঘটনা নির্বিশেষে অন্তত সকল খুনের বিচার ও খুনীর শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে নিরাপত্তা অবস্থার উন্নতি ঘটতো। মানুষ যখন নিশ্চিতভাবে জানে শেষ পর্যন্ত খুনের বিচার হবে না, তখন সে আপনা থেকেই ঝিম মেরে যাবে।

৬.
নৌকার ভোটারদের বিপদ অনেক। সেই বিপদ নৌকার কাণ্ডারীদের চেয়ে কম নয়। সেটা এক ভিন্ন হতাশার গল্প। সেই গল্পের দুই আনা লিখে রেখেছি আরও দুই বছর আগে। কোনদিন শেষ করতে পারলে আপনাদের পাতে দেবো।

৭.
চুপ করে থাকলে কি আপনি বেঁচে যাবেন? যদি অমনটা ভেবে থাকেন তাহলে তাহলে আপনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন। আপনি কেন চুপ করে থাকলেন, কেন আপনি তাদের পক্ষে জোর সওয়াল করলেন না – এই অপরাধে একদিন আপনাকেও কোপ খেতে হবে।

সুতরাং যা বলার তা আজই বলুন – যা কিছু সত্য, যা কিছু সুন্দর, যা কিছু ন্যায়সঙ্গত, যা কিছু মানবিক, যা কিছু যৌক্তিক।

৮.
হিজড়াদের মধ্য থেকে হিজড়া সেজে থাকা পুরুষদের চিহ্নিত করে তাদের অন্যায়ের বিচার করতে হবে। যারা মানুষকে হিজড়া বানিয়ে ব্যবসা করে তাদেরকেও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তবে সবার আগে হিজড়াদের সকল মানবিক ও নাগরিক অধিকার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।

আপাত ব্যতিক্রমী জিনিসটাও প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মের অংশ। এই স্বাভাবিক ব্যাপারটাকে গ্রহন করতে শিখুন। ঘৃণা, ভয়কে কাটিয়ে উঠুন। তাহলে দেখতে পাবেন ওরা আপনার-আমার মতোই মানুষ।

পুনশ্চঃ বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড় – এই বাগধারাটার একটা উদাহরণ তৈরি করে ফেললাম।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নজমুল আলবাব এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ পাণ্ডবদা। বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড় হবে বলেইতো ব্লগ। যেটুকু বলেছিলাম, বলা হয়নি তারও বেশি। আপনি সেই না বলা কথাগুলো পুরণ করে দিলেন।

আমি নিজে ঠিক করেছি ব্লগের মানুষ, ব্লগেই থাকবো। সেজন্যই এই প্রতিক্রিয়াসমূহ। দুই কথায় সব বলে ফেলার যে বদভ্যাস তৈরি হয়েছে তার একটা প্রদর্শনীও এটা। পুরনো সবার এই ভাবনাটাই প্রয়োজন এখন। নতুনরা আসবেন তাদের নিজের মতো করে। আপনিও আসুন।

সুবোধ অবোধ এর ছবি
স্যাম এর ছবি

চলুক

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

সব মিলায়ে মন্ডা খারাপ হয় খালি!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সুবোধ অবোধ এর ছবি
ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চুপ থাকার চেষ্টা করি। লিখতে ভালো লাগে না, অনেক কিছু বলতে ইচ্ছা হয়, কিন্তু আসলেই ভয় পাচ্ছি এখন।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তানিম এহসান এর ছবি

চলুক আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ফেসবুক থেকে দূরে আছি, খবরের কাগজ পড়ি না, টিভি দেখি না...
অনেক হতাশার মধ্যেও এইসব লেখা (সাথে কিছু মন্তব্য) পড়লে আশা জাগে ভেতরে, যে না, এখনও মানুষ আছে, যারা ভাবছে, প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে, চেষ্টা করছে...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।