পাখির পালক হাসে

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি
লিখেছেন আনন্দী কল্যাণ (তারিখ: রবি, ২৭/০৬/২০১০ - ৮:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হানিফ মোহাম্মদ আবারো সেই একই ভুল করেন। রাত বারটা। আকাশে থমথমে মেঘ। বাতাস দিচ্ছে। কিচকিচে ধুলা চোখে এসে লাগে। এরকম সময়ে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে যেতে হয়। কিন্তু হানিফ মোহাম্মদ আবারো সেই একই ভুল করেন। বাড়ি ফেরার বাস ধরার জন্য রাস্তার যেদিকে দাঁড়ানোর কথা সেদিকে না দাঁড়িয়ে রাস্তার উল্টাপাশে গিয়ে দাঁড়ান। আর ঠিক তখনি বাসটা এসে দাঁড়ায়। প্যাসেঞ্জার নেই দেখে ছেড়ে চলে যায়। হানিফ মোহাম্মদ হাত নেড়ে উল্টাদিক থেকে নিজের উপস্থিতি জানান দেন। কিন্তু খুব স্বাভাবিকভাবেই তাকে কেউ দেখে না। রাস্তায় হাঁটলে বহু মানুষ পায়ে পাড়া দিয়ে চলে যায়, হোটেলে খেতে গিয়ে বয়কে ডাকলে অন্তত পাঁচবার ডাকার পর তাকায়, রিকশা ডাকতে হাত তুললে রিকশাও খুব কমই থামে, হানিফ মোহাম্মদ গুটিসুটি টিকে থাকেন নিজের নগন্য অস্তিত্ব নিয়ে। আর প্রতি সপ্তাহে দুই-তিনবার ভুল করে রাস্তার উল্টাদিকে গিয়ে দাঁড়ান বাড়ি ফেরার বাসের জন্য। আর রাতের শেষ বাসটা হানিফ মোহাম্মদ কে বোকা দাঁড় করিয়ে চলে যায়। অতঃপর, রিকশা, বাসা, তালা খুলে ঢোকা, ঝিমানো হলুদ আলো, ভাত ফোটানো, খাওয়া, ঘুম। স্বপ্নে দেখেন রাশিদাকে বলছেন, ও বউ লেবুপাতা দিয়ে কাঁচকি মাছ রাইন্ধো তো কাল। তারপর মনে পড়ে, রাশিদা তিন বছর হলো মারা গেছে, স্বপ্নেই বেভুলা হানিফ মোহাম্মদ জিভ কাটেন।

সকাল হলেই বড় খুশি খুশি লাগে হানিফ মোহাম্মদের। রান্না সেরে, গোসল সেরে, টিফিনবাটি নিয়ে চলে আসেন দোকানে। নানা কোম্পানির টুথপেস্ট, সাবান, চিপস, চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ মিলেমিশে দোকানের ভেতরে এক বিচিত্র গন্ধ বিপন্ন বিস্ময়ে খেলা করে। একটা নষ্ট ঘড়ি, কিছু টিকটিকি তেলাপোকা, আর একটা চৌদ্দ ইঞ্চি সাদাকালো টিভি সাথে যোগ দেয়। খারাপ বাংলায় মুদি দোকান, ভালো বাংলায় মনোহারি দোকান, আর ইংরেজিতে এই দোকানকে বলব ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। হানিফ মোহাম্মদ-ই এর মালিক এবং প্রধান বিক্রেতা। আর একটি বারো বছরের ছেলে রেখেছেন, নাম কমল। প্রথম দুই মাস ঠিকমতোই কাজ করেছে, এখন চুরি করা শুরু করেছে। হানিফ মোহাম্মদ বুঝতে পারছেন, কিছু বলছেন না। মায়ায় পড়ে গেছেন, ছেলেটার চোখ দুটো সোহাগীর মত।

দোকানে চলে আসার পর থেকে দিনটা গড়গড়িয়ে চলে যেতে থাকে হানিফ মোহাম্মদের। পাশাপাশি কয়েকটা দোকান মিলে ডিসের লাইন আর দুইটা খবরের কাগজ রাখেন। বলা বাহুল্য, টিভি আর খবরের কাগজ হানিফ মোহাম্মদের তুচ্ছ দিনগুলোকে দারুণ উত্তেজনায় পালটে দেয়। আর কতো বিশিষ্ট মানুষ আসেন প্রতিদিন। সে তুমি সচিবই হও আর জুতার দোকানের সেলস্‌ম্যানই হও, ভাত তো খেতেই হবে, দাঁতও মাজতে হবে। তাই ব্যবসা ভালোই চলে প্রগতি স্টোরের। এলাকার বিচিত্র পেশার মানুষদের বাকির খাতার হিসাব রেখেও বড়ো আনন্দ পান হানিফ মোহাম্মদ। সবচে বড় গাড়ি হাঁকানো সাহেবের সবচে লম্বা বাকির খাতা। ম্যাডামরাও আসেন, তবে তাদের সাথে সামাজিক রাজনৈতিক আলাপটা ঠিক জমে না। চাল ডাল চিনির দামের নিত্য ওঠানামার সাথে সাথে ম্যাডামদের মেজাজও ওঠানামা করে। সে মেজাজের তল পাননা হানিফ। দীর্ঘদিনের দোকান দেখে, কোন স্যারের কোন ম্যাডাম, সেটা হানিফ মোহাম্মদ জেনে গেছেন বা আন্দাজ করেন। আবার মাঝে মাঝে কারো ম্যাডাম পালটে যায়, কিংবা স্যার। পেঁয়াজ, রসুন, চাল একই থাকে, ডাইনিং টেবিলের মানুষটা পালটে যায়। আঁচ করতে পারেন তিনি এইসব। স্যার ম্যাডামদের গাড়ির ড্রাইভারের সাথেও এক অদ্ভুত অসোয়াস্তির সম্পর্ক। যখন ড্রাইভার স্যারদের পিছু পিছু আসেন, হানিফ মোহাম্মদ নিজেকে ড্রাইভারদের চেয়ে উঁচু পদমর্যাদার ভেবে তৃপ্তি পান। ড্রাইভারের কাজ তখন প্রগতি স্টোরের মাল টেনে গাড়িতে তোলা। সেই একই ড্রাইভার যখন বাজার করতে আসেন, মানিব্যাগ থেকে পাঁচশো টাকার নোট বের করে হানিফ মোহাম্মদের দিকে বাড়িয়ে বলে, ভাংতি নাই।ভাংতির হিসাব মেলাতে গিয়ে হানিফ বুঝতে পারেন, এবার তিনি নেমে গেলেন।

তবে সবচেয়ে খুশি হন হানিফ মোহাম্মদ, খবর পড়া স্যারকে দেখলে। টিভিতে খবর পড়া মানুষটা যে প্রগতি স্টোরের চাল খায় সে কথা ভাবতেই সুখ। আমানুল হক একটা বেসরকারি চ্যানেলে নিয়মিত খবর পড়েন। হানিফ মোহাম্মদের কাছে তিনি বিশাল স্টার ব্যক্তিত্ত্ব। প্রায়ই জিনিসের দাম কম রাখেন। এটার সাথে সেটার ফ্রি-র অফারগুলো উনাকে ঠিক সময়ে জানাতে কখনো ভুলে যান না তিনি। ভোটের সময় আমানুল হক একে একে সরাসরি বিভিন্ন কেন্দ্রের ফলাফলগুলো বলছিলেন, সেই উত্তেজনায় হানিফ মোহাম্মদ গোটা কয়েকদিন পাঁচের ঘরের নামতা ভুলে ছিলেন। আর এই মানুষটার সাথে কথা বলেও আরাম। এই যে নৌকা এসেই দেশের সব মেয়েদের মন্ত্রী বানিয়ে দিল, কাজটা কী ঠিক হলো। দেশ চালানো তো আর লেবু পাতা দিয়ে ছোটো মাছ রান্না না, অনেক কঠিন কাজ। দুইদিন পর পর আগুন লাগে, বাড়ি ধ্বসে পড়ে, সরকার একটা সুষ্ঠু নীতিমালা করুক। তারপর দেখছেন স্যার, দেশে কিরকম খুনখারাপি বাইড়া গেছে।
আমানুল হক এসব আলোচনায় বেশির ভাগ সময়েই বিরক্ত হন। তারপরেও তাকে সামনাসামনি দেখতে পাওয়ায় হানিফ মোহাম্মদের উচ্ছ্বাসটা বুঝতে পারেন। নিজেকে বেশ ক্ষমতাধর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি মনে হয়। বিএনপি’র সংসদে না যাওয়া বা ইতালির বিশ্বকাপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় তাঁর কিছুই করার নেই-ভুলে যান আমানুল হক। হানিফ মোহাম্মদের সামনে দাঁড়ালে ভুলে যান তিনি শুধু পাঠকমাত্র, স্ক্রিপ্টে যা লেখা তাই শুধু আউড়ে যান। এই নাম না জানা আদার ব্যাপারির সামনে পড়লে বিশ্বাস করতে ভালোবাসেন, সেদিনে সেই অগ্নিকাণ্ডের খবর যা পড়লেন রাতের খবরে, তা যদি তিনি না পড়তেন, তাহলে তা ঘটতো না। এমন কী হয়, স্ক্রিপ্ট থেকে সমস্ত হত্যা, ধর্ষণ, যুদ্ধ, দুর্ঘটনা আমানুল হক সরিয়ে দিলেই পৃথিবীতে আর কোনো অপমৃত্যু হতো না।

নিউজরুমের কড়া আলো, এসির বাতাস, সহকর্মীদের ব্যস্ততা এসবের মাঝে একশো সতেরজনের মৃত্যু বা তিনশো উনপঞ্চাশ জনের মৃত্যু একেকটা সসীম সংখ্যা ছাড়া আর কিছু মনে হয় না আমানুল হকের। নিমতলীতে আগুন লাগার দিন চ্যানেল এক্সক্লুসিভ কাভারেজ ঠিকঠাক দিতে পারায় নিউজরুমে কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ানো হয়। বিরিয়ানির মাংসটা একটু পোড়া পোড়া ছিল, তবে খেতে দারুণ টেস্টি। কিন্তু এই ব্যাটা মুদির দোকানদারের সামনে এসে দাঁড়ালে মৃতের সংখ্যা কেমন অসীম হয়ে যায়। হানিফ মোহাম্মদের গুণতে ভুল করা আর বিমর্ষ মুখ দেখে আমানুল হকের মনে পড়ে শহরের একদিকের আকাশ গনগনে লাল, আগুন, আগুন। মুহূর্তের জন্য গুলিয়ে ফেলেন অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যত। যা ঘটছে তাই তিনি পড়ছেন নাকি তিনি পড়ছেন বলে ঘটছে। ডিলেমা।

দোকান বন্ধ করার সময় হলে হানিফ মোহাম্মদের কেমন খালি খালি লাগে। কেমন যেন নির্বাসন নির্বাসন। এই যে সারাদিনের চাল ডাল আলু বেচার মাধ্যমে শহরটার সাথে যোগাযোগ, কথাবার্তা, দামাদামি, পাশের ওষুধের দোকানের বকরের চোখ উঠেছে, ব্যাটা সানগ্লাস পরে এসেছে, অথবা দোকানের সামনের তরমুজওয়ালা যে চড়টা খেল, তরমুজ মিষ্টি মনে করে কিনে নিয়েছিল এক সাহেব, মিষ্টি না দেখে ফিরিয়ে দিল পনের মিনিট পরে, আর সাথে একটা চড়। এইসব, এই যে আর কী দুনিয়ার সাথে আলাপ-প্রলাপ, আদান-প্রদান, এইসব ইশারা, এইগুলো ছেড়ে একা বাসাটায় ফিরতে মন চায় না হানিফ মোহাম্মদের। বাসায় ফিরলে মরা বৌটাকে মনে হয়, মেয়ে সোহাগীর কথা মনে হয়। মেয়েটা বিয়ের সময় বলেছিল, আব্বার দোকানের স্নো-পাউডার না, ভালো দোকানের স্নো-পাউডার দিও, তাও মেয়েটাকে দেখতে ইচ্ছে করে। আর এইসব কারণে হানিফ মোহাম্মদের হয়ত বাসায় ফিরতে ইচ্ছা করে না। ভুল করে দাঁড়ান উলটো দিকের রাস্তায়, যে রাস্তায় বাড়ি ফেরার বাস আসে না। পরক্ষণেই ভুল বুঝতে পেরে রাস্তা পার হতে পা বাড়ান, আর ট্রাকের চাপায় মারা পড়েন। পরদিনের খবরে আমানুল হকের স্ক্রিপ্টে থাকেন হানিফ মোহাম্মদ। কিন্তু বিরোধী দলের জনসভার গুরুত্বপূর্ণ আপডেট চলে আসায় শেষ মুহূর্তে বাদ পড়ে যান তিনি।

দোহাইঃ শিরোনাম প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের একটি গানের লাইন থেকে, “ ওরে সেই মরণের ভার দেখে ভাই পাখির পালক হাসে”।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

কল্যাণ হোক!

জহিরুল ইসলাম নাদিম

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

উদ্ধৃতি

সেই একই ড্রাইভার যখন বাজার করতে আসেন, মানিব্যাগ থেকে পাঁচশো টাকার নোট বের করে হানিফ মোহাম্মদের দিকে বাড়িয়ে বলে, ভাংতি নাই। ভাংতির হিসাব মেলাতে গিয়ে হানিফ বুঝতে পারেন, এবার তিনি নেমে গেলেন।

জীবনের হিসাব মেলাতে না পেরে কত হানিফ মোহাম্মদ অসময়ে চলে যান দুনিয়া থেকে- সে হিসাব কে রাখে! এ কী অভিমান, না শুধুই আত্মসমর্পণ? নিয়তির খাতায় এদের পাওনা কেন বাকিই পড়ে থাকে সারা জীবন? কে দেবে এর উত্তর?

খুব ভালো লিখেছেন আনন্দী কল্যাণ ভাই। আপনার কাছ থেকে এমনই হৃদয়ছোঁয়া গল্প চাই আরও।

-----------------------------
কুটুমবাড়ি

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

ধন্যবাদ কুটুমবাড়ি।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

মানুষ যে কীভাবে এতো ভালো লেখে মন খারাপ
খুব ভালো লাগলো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

ধন্যবাদ নজরুল ভাই।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

দমটা আটকে এল শেষটায়। মনটা খারাপ করে দিলেন। অসাধারণ লিখেছেন।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

ধন্যবাদ পড়বার জন্য।

সুরঞ্জনা এর ছবি

চলুক
খুব ভাল।
............................................................................................
স্বপ্ন শুধু সত্য আর সত্য কিছু নয়

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

হাসি

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

অনেক পুরনো কথা মনে পড়ল।

আর লেখাটা খুব ভালো।
__________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

হুম আপনার মনে পড়ার কথা।

ধন্যবাদ।

ওডিন এর ছবি

মুগ্ধ করে দেবার মতো একটা গল্প।
_____________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

দ্রোহী এর ছবি

মুগ্ধ হলাম।


কি মাঝি, ডরাইলা?

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

ধন্যবাদ দ্রোহীদা।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালোই চলছিল ; শেষে ব্যাটা কে মারলেন কেন ?
ওলি

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

মৃত্যুটা নির্ধারিত ছিল।

দময়ন্তী এর ছবি

কি ভাল একটা গল্প!
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

আপনার লেখা অনেকদিন পড়ি না। সাথে আপনার পদিপিসি কে ও একটু বলেন লিখতে।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

চলুক

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

যা ঘটছে তাই তিনি পড়ছেন নাকি তিনি পড়ছেন বলে ঘটছে। ডিলেমা।

চমৎকার লেখা!

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

হাসি

তিথীডোর এর ছবি

চলুক

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

১. হানিফ মোহাম্মদের ভাষ্য থেকে আমানুল হকের ভাষ্যে চলে যাওয়াটা আমার কাছে একটু কেমন কেমন লেগেছে।

২. আমার কাছে হানিফ মোহাম্মদের মৃত্যুটা অদরকারী মনে হয়েছে। এটা ছাড়াই গল্পটা নিজগুণে সার্থক।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

১। হুম, ভাষ্যের পরিবর্তনটা হোঁচট খেয়েছে। একমত।

২। হানিফ মোহাম্মদ যে মারা যাবেন তার ইশারা গল্পের শুরুতে দিয়েছিলাম, মৃত্যুটা মাথায় রেখে পুরো গল্পটা লেখা। ধন্যবাদ পাণ্ডবদা, পাঠ ও মন্তব্যর জন্য হাসি

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

বাহ !!!

খুব ভালো লাগ্লো। তবে বর্ণনাকারী পরিবর্তন করে ফেলাটা একটু বেশি আকষ্মিক...

_________________________________________

সেরিওজা

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

তৃতীয় বাক্যের সাথে একমত হাসি

মুশফিকা মুমু এর ছবি

দারুন লাগল লেখা গল্পটা, খুব মন খারাপ লাগল পড়ে যে এমন আসলেই হয়।

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

ধন্যবাদ পড়বার জন্য হাসি

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

সুখপাঠ্য
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

দাদা, আপনি দেখি ডুমুরের ফুল হয়ে উঠলেন! কিছু পোস্ট দেন এবার।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।