আদম বিড়বিড় করে, "এই স্বর্গটা শালা পুরা দুই নাম্বার হয়ে গেছে!"
ঈভ বলে, "বিড়বিড় করে কী বলো? গালি দাও নাকি?"
আদম উষ্ণ হয়ে ওঠে, বলে, "ঐ, তোমারে বিড়বিড় কইরা গালি দিমু ক্যান? জোরে গাইল দিতে পারি না? আমার নাম আদম, কোন হালারে আমি পুইছা চলি না, বোঝলা? আর গাইল তোমারে দিমু না ক্যান, বাপের বাড়ি থিকা কিছু আনছো যে সোহাগ কইরা কথা কমু?"
ঈভ ক্ষেপে ওঠে, বলে, "অ্যাদ্দিন চিল্লাচিলি্ল করলা, আমার লাইগা তোমার সিনার হাড্ডি একটা শর্ট পড়ছে, বুকটা খালি খালি লাগে, শ্বাস ফালাইতে কষ্ট হয়, আর আইজকা কও বাপের বাড়ির কথা? আর খবরদার, বাপের বাড়ির খোঁটা দিবা না!"
আদম ঝাড়ি খেয়ে চুপ করে থাকে, আবার বিড়বিড় করেবলে, "দুই নাম্বার, সব দুই নাম্বার!"
আদমের রাগ
[বুয়েটের মেক্যানিকাল ডিপার্টমেন্টে যখন পড়তাম তখন অজস্র ক্লাস, ক্লাসটেস্ট, সেশনাল (ল্যাব), কুইজ, PL আর ফাইনাল পরীক্ষার সাথে সাথে পেয়েছিলাম কিছু অসাধারণ বন্ধু। তাদের মধ্যে দু'জন সৌরভ আর সুবর্ণা। এককালে আমার লেখা একটা নবীনবরণের ছড়া ওরা প্রতি নবীনবরণে আবৃত্তি করত। এ বছর 'মেক্যানিকাল ফেস্টিভাল' এর জন্য ওদের কথা ভেবে জুনিয়রদের ('01 ব্যাচের প্রতনু আর সাগরের) অনুরোধে লিখেছিলাম এ ছড়াটা। বিশেষ কারণে ওদের এটা পড়া হয়নি, পড়েছে 4র্থ বর্ষের রাসেল ও টিনা। এখান
কেয়ামত নিয়ে কেয়ামত হয়ে গেলো গতকাল ব্লগে, যাই হোক কেয়ামত বা মহাপ্রলয়ের ভিন্ন ভিন্ন সংজ্ঞা নিয়ে বিভিন্ন মানুষ হাজির হচ্ছেন, ভালোই লাগছে দেখে, সাদিক প্রথম থেকেই বুখারির হাদিস সংকলনের বিরোধী সুতরাং সাদিকের জন্য বুখারি বা অন্য কোনো সাদিস সংকলন থেকে হাদিস তুলে দিলে সাদিক পছন্দ করবে না, বুখারির পূনরুত্থানের বয়ান নিয়ে সন্দেহ আছে এমন মানুষও কম নয় ,যারা ধর্মপ্রাণ তাদের যদি বলা হয় তারা যেই যুক্তিগুলো দিচ্ছে সেই যুক্তিগুলো ভ্রান্ত তাহলে তাদের আঁতে ঘা লাগে, ওয়ালি এই মাত্র কেয়ামত বা মহাপ্রলয়ের আবশ্যকতা নিয়ে একটা পোষ্ট দিলো, সাদিক কেয়ামত সম্পর্কিত আয়াতের একটা লিংক দিয়েছে ওটাও পড়তে হবে এর আগে ঘরবাড়ী কিছু কথা বলেছে সেই বিষয়ে কিছু কথা বলা ভালো, তবে এই একটা ম
বেশ কিছু বিষয় চোখে পড়ছে, নতুন একজন বিজ্ঞানমনস্ক!!! ব্লগার এসে আমাদের বিজ্ঞানের নতুন কিছু ধারনা শিখাচ্ছেন। হকিং সাহেবকে নিয়ে বিস্তর টানাটানি হচ্ছে তাও দেখা গেলো, কথা হলো হকিংএর ব্রিফ হিস্টোরি ওফ টাইম বইটার কিয়দংশ জনাব ত্রিভূজ পড়েছেন কি পড়েন নি? তার রেফারেন্সে তিনি হকিংএর নাম নিলেন বলেই প্রশ্নটা সামনে এলো,
কোরানের 4টা আয়াত এসেছে সহায়ক হিসাবে
81ঃ15 "তারারা পিছে হটিয়া যায়," জনাব ত্রিভুজকে এবার কিছু বলাটা উচিত হবে না তিনি বলেছেন সকল নক্ষত্রই পৃথিবী থেকে দুরে সরে যাচ্ছে কিন্তু ঘটনা সেরকম নয় মোটেও, এনড্রোমিন্ডা বলে একটা গ্যালাক্সি মিল্কি ওয়ের দিকে এগিয়ে আসছে, মিল্কি ওয়ে হচ্ছে সেই গ্যালাযি যেটার একটা দূরবর্তি কোণে সূর্য্য সহ আমাদের সৌর জগতের
নতুন একটা দেশে বেড়াতে এলে কত শত যে নতুন অভিজ্ঞতা হয়। স্লোভেনিয়ার রাজধানী লুবিয়ানার ছোট্ট এয়ারপোর্টটার বাইরে এসে দেশটির চাকচিক্য দেখে অবাক হয়ে গেলাম। একসময় কমু্যনিস্ট যুগোশ্লাভিয়ান ফেডারেশনের একটি সদস্য দেশ ছিলো এটি। অথচ বিরাট বিরাট গাড়ি থেকে নামতে দেখলাম মাখন মাখন চেহারার সুখী সুখী মানুষদেরকে। এত চাকচিক্য লন্ডনেও দেখি না। তবে যা দেখে মনটা ভরে গেলো তা হলো শিশুসন্তানদের প্রতি এদের কোমল ব্যবহার। মানুষগুলোকেও মনে হলো খুবই সুখী সুখী। বহু বিচিত্র জাতি
নতুন একটা দেশে বেড়াতে এলে কত শত যে নতুন অভিজ্ঞতা হয়। স্লোভেনিয়ার রাজধানী লুবিয়ানার ছোট্ট এয়ারপোর্টটার বাইরে এসে দেশটির চাকচিক্য দেখে অবাক হয়ে গেলাম। একসময় কমু্যনিস্ট যুগোশ্লাভিয়ান ফেডারেশনের একটি সদস্য দেশ ছিলো এটি। অথচ বিরাট বিরাট গাড়ি থেকে নামতে দেখলাম মাখন মাখন চেহারার সুখী সুখী মানুষদেরকে। এত চাকচিক্য লন্ডনেও দেখি না। তবে যা দেখে মনটা ভরে গেলো তা হলো শিশুসন্তানদের প্রতি এদের কোমল ব্যবহার। মানুষগুলোকেও মনে হলো খুবই সুখী সুখী। বহু বিচিত্র জাতি
দারুবীণ বড় দুষ্টু ছেলে। ওর বাপটা ছিলো মদখোর। গলা পর্যন্ত মদ খেয়ে এসে সাপুড়েদের বীণ বাজাতে বাজাতে একদিন ঘরে ঢুকে শুনলো, পুত্র সন্তান হয়েছে। বীণটা মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে ছেলেকে কোলে তুলে নিয়ে সে বললো, "য়্যাঁ? জমজ নাকি?" নেশার ঘোরে সে প্রায়ই একটা জিনিসকে দুটা দেখতো।
যাই হোক, যারা মানিকের "জননী" পড়েন নাই তারা হেসে নেন একটু, মুখফোড়ের মান রাখেন এট্টু।
দারুবীণ, এটাই ছেলের নাম রাখলো মাতালটা। যেমন বাপ, ছেলেও তেমন। উড়নচন্ডী। পোকামাকড় ধরে, লতাপাতা শোঁকে। গাঁয়ের পুরুত দেখে হাসে। বলে ওরে তুই দেখি জন্মেছিসই মাতাল হয়ে রে। তোর মজ্জায় মজ্জায় দারুস্রোত জাগ্রত। চাঁদের সাথে তাল ঠুকে জোয়ারভাটা হয়, তাই এইসব করিস।
দারুবীণ শোনে, কিন্তু কিছু বলে ন
মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো জানেন তারা এটা স্ব ীকার করবেন যে এই মৌলিক অধিকারগুলো পুরনের দায়িত্ব সম্মিলিত মানুষের সংগঠন হিসেবে রাষ্ট্রের পালন করা উচিত। মানুষের আহার-বস্ত্র-বাসস্থান- চিকিৎসা-শিক্ষা এবং কাজের পরিবেশ তৈরি করা এবং পরিবেশ রক্ষা করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্রের সম্পন্ন নাগরিকদের সামর্থ্য আছে, তারা বাজার থেকেই জীবনের প্রয়োজনীয় রসদ সংগ্রহ করতে পারে, এদের ছেলেমেয়েরা প্রয়োজনে শিক্ষা এবং ডিগ্রিও কিনতে পারে আজকাল, চিকিৎসা সেবার জন্য অনেকেই বিদেশ ভ্রমনের সামর্থ্য রাখে, বাসস্থানের বা আহারের চিন্তা এদের নেই, এমন কি প্রান্তিক মধ্যবিত্ত মানুষেরও মোটামুটি জোড়াতালি দিয়ে জীবনযাপনের উপকরন সংগ্রহ করে ফেলানোর ক্ষমতা আছে, কিন্তু বাংলাদেশের বার্ষিক
ইসলামিক মৌলবাদ:
আলাদা আলাদা ধর্মগুলোর মৌলবাদী আন্দোলন নিয়ে কথা বলতে হলে প্রথমে বলতে হয় খ্রিস্টান ধর্মের মৌলবাদী আন্দোলনগুলোর কথা। কিন্তু সে বিষয়ে পাঠকরা খুব একটা আগ্রহী হবেন না মনে করে ইসলাম ধর্ম দিয়েই আলোচনা শুরু করছি। তবে এর মাঝেই খ্রিস্টান ধর্মের মৌলবাদের প্রয়োজনীয় প্রসঙ্গগুলো চলে আসবে। খ্রিস্টান ধর্মের সাথে ইসলাম ধর্মের যতটুকু মিল, খ্রিস্টান ধর্মের মৌলবাদের সাথেও ইসলাম ধর্মের মৌলবাদের ততটুকুই মিল। প্রথমত: খ্রিস্টানদের মত ইসলামিক মৌল
ইসলামিক মৌলবাদ:
আলাদা আলাদা ধর্মগুলোর মৌলবাদী আন্দোলন নিয়ে কথা বলতে হলে প্রথমে বলতে হয় খ্রিস্টান ধর্মের মৌলবাদী আন্দোলনগুলোর কথা। কিন্তু সে বিষয়ে পাঠকরা খুব একটা আগ্রহী হবেন না মনে করে ইসলাম ধর্ম দিয়েই আলোচনা শুরু করছি। তবে এর মাঝেই খ্রিস্টান ধর্মের মৌলবাদের প্রয়োজনীয় প্রসঙ্গগুলো চলে আসবে। খ্রিস্টান ধর্মের সাথে ইসলাম ধর্মের যতটুকু মিল, খ্রিস্টান ধর্মের মৌলবাদের সাথেও ইসলাম ধর্মের মৌলবাদের ততটুকুই মিল। প্রথমত: খ্রিস্টানদের মত ইসলামিক মৌল