স্মৃতিবিপর্যয়-৩: আবারও স্মৃতিচারণ!!

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি
লিখেছেন লুৎফুল আরেফীন (তারিখ: মঙ্গল, ২২/০১/২০০৮ - ৭:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

auto
আমার এক বন্ধু ছিল সাজ্জাদ। আমরা ডাকতাম কেল্টু বলে! বন্ধুমহলে এরকম ছদ্মনাম বোধকরি সবারই দুই-একটা থাকে। ঐ বন্ধুটির বড় শখ ছিল অভিনয় করার। তারকা হবার। কিন্তু বিধাতা না চাইলে কি সেটা হবার যো আছে?! আমি অনেক বড় বড় শিল্পী কলাকুশলীদের সাক্ষাৎকার শুনেছি বা দেখেছি। তাদের সবার এক কথা, এইটা হতে চেয়েছিলাম, ঐটা হতে চেয়েছিলাম। যেটা হয়েছেন সেটা বাদে দেখা যায় তারা সবই হতে চেয়েছিলেন। বিধাতা সবাইকে সব গুণ দেন না; ওনার গুণ আর আগ্রহ বন্টনের নীতিমালা একটু বিচিত্র বলতে হবে! যাকে যেটার প্রতি আগ্রহ দেন, তাকে সেটার ব্যাপারে গুণ দেন না; আর গুণ দিলে সেটার প্রতি আগ্রহ কমিয়ে দেন। কেল্টুকে উনি অভিনয়ের অপরিসীম আগ্রহ দিলেন। কার্পণ্য করলেন গুণ দিতে। তবে, ওকে অভিনয়ের গুণটা খোদা যে দেন নাই সেটা বুঝতে কিছু দেরী হয় আমাদের। পরীক্ষা ছাড়া বোঝা যাবেই বা কিভাবে?! যাহোক, সেই পরীক্ষাটা একবার হয়েই গেল। সেকথাটাই বলছি।

অনেক বলে কয়ে স্থানীয় এক পাড়াতো ভাইকে রাজী করানো হলো কেল্টুকে ওনাদের নাট্যদলে একটা স্থান করে দেবার জন্য। কেল্টু তার প্রতিভা দেখানোর জন্য ১ টা চান্স চাইলো। বড় ভাই ওকে চান্স দিলেন। প্রথম নাটকে ওর চরিত্র হলো ‘বাবা’র। মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে বুলিয়ে কিছু সান্ত্বনামূলক ডায়লগ দিতে হবে কেল্টুকে। কেল্টু হাত বুলানো এবং সান্ত্বনা দেওয়া - এদুটো ফিল্ডেই হতাশাজনক পারফরমেন্স দেখালো!

কিন্তু এতে দমবার পাত্র নয় আমাদের কেল্টু। এটা যে, খোদাপ্রদত্ত সেই আগ্রহের ফসল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না! পরের নাটকে কেল্টুর পীড়াপীড়িতে পরিচালক সাহেব ওর চরিত্রের ওপর থেকে চাপ কমানোর ব্যবস্থা করলেন। ডায়ালোগে কেল্টুর দুর্বলতা বেশী উপলব্ধি করেই ‘বোবা-ফকির’ এর একটা চরিত্র দেওয়া হলো ওকে। সুতরাং, এবার কেল্টু শুধু মুভমেন্টের ওপর concentrate করার সুযোগ পেল। কিন্তু বিধি বাম! কেল্টুর ফকিরী হালতও পছন্দ হলো না পরিচালকের! এরপরেও কেল্টু অনেক জোড়াজোড়ি করে একটা রোল পেল -- কিচ্ছু না, একটা মারামারির দৃশ্যে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে স্টেজের এক মাথা থেকে আরেক মাথা অবধি দৌড়ে পার হতে হবে তাকে। ঐ দৌড়ের দৃশ্য দেখার সৌভাগ্য অবশ্য আমার হয়নাই; তবে আমি পরে শুনেছি যে, ঐ দৌড়ে কেল্টু একেবারে বাড়ি পর্যন্ত চলে গিয়েছিল!! দৌড় দেখেই ডিরেক্টর বলে দিয়েছেন যে, আর আসতে হবে না!

কেল্টুর অভিনয় ক্যারিয়ারের এহেন পরিসমাপ্তি দেখে আমরা ভাবলাম অভিনয় নিশ্চই খুবই কঠিন কিছু হবে, নইলে কেল্টু এতো এতো আগ্রহ নিয়েও কেন সেটা আয়ত্ব করতে পারছে না! তখনও আমরা বিধাতার সেই সূত্রটার কথা জানতাম না বলেই এমন অনুসিদ্ধান্তে পৌছাই। সবার সব গুণ থাকে না -- এই বাস্তবতা মেনে নিতে আমাদের অনেক সময়ই দেরী হয়ে যায়। আমার অবশ্য অভিনয় লাইনে নিজের ঘাটতি বুঝতে খুব দেরী হয়নাই। সপ্তম শ্রেনীতে থাকতেই জীবনে অভিনয়ের ১ম সুযোগ লাভ এবং সেটাকে চিরতরে জীবন থেকে বিদায় জানানো আমার হয়ে যায়।

smallআমাদের স্কুলটা ছিল পার্শ্ববর্তি টিচার্স-ট্রেনীং কলেজের গবেষণাগার, অর্থাৎ ল্যাবোরেটরী। আর তাইই এর নাম ছিল, ‘গবর্ণমেন্ট ল্যাবোরেটরী হাই স্কুল’। টিচার্স ট্রেনীং কলেজে প্রশিক্ষণরত শিক্ষকদের প্র্যাকটিক্যাল হতো আমাদের স্কুলে। এই প্র্যাকটিক্যালের কোনওটা হতো আমাদের স্কুলে মডেল ক্লাস স্থাপনের মাধ্যমে, আবার কোনোওটা হতো টিচার্স ট্রেনীং এর বিল্ডিং এ। আমি তখন সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। টিচার্স ট্রেনীং থেকে ডাক আসলো, আমাদের ৭ম শ্রেনীর ৯ জন ছাত্রকে যেতে হবে ওদের ওখানে “শিক্ষাঙ্গন” নামক এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। সেটা আবার বিটিভি’তে অন-এয়ার হবে।
ক্লাসে ঢোল পড়ে গেল। যেহেতূ মেধাতালিকা অনুসারে ডাকা হয় নাই সুতরাং হেজিপেজি অনেকেই হাত তুললো। কিন্তু ৩ জনের রেস্ট্রিকশন বেঁধে দেওয়া। আমিও হাত তুললাম, কারণ ঐদিন ইংলিশ পিরিয়ডে দেলোয়ার স্যার “সামিরা’স ডাইরী” থেকে নাদিয়া কোমেনিচির ইতিবৃত্য জিজ্ঞেস করবেন। আমি পড়াটা মুখস্ত করে আসি নি। পড়া ধরলে নির্ঘাৎ নীলডাউন হয়ে থাকতে হবে। দেলোয়ার স্যারের নীলডাউন মানেই হচ্ছে, ২ হাটুর নীচ দিয়ে হাত গলিয়ে কান ছুঁতে হবে, তারপর বসা লাগবে হাটু মুড়ে। স্বাস্থ্য কিঞ্চিৎ ভালো থাকায় এই বিশেষ কায়দায় যতোবারই নীলডাউন হয়েছি, কোনও না কোনোও সমস্যা হয়েছে। এর মধ্যে প্যান্ট ছিঁড়ে যাওয়া অন্যতম। সুতরাং ক্লাস থেকে বেরুনোর একটা পথ করা দরকার। ভাগ্যক্রমে, আমাদের সি সেকশনের ক্যাপ্টেন তোকিউল্লাহ নিজে গেল, সাথে আমাকে আর আরেকজনকে সিলেক্ট করলো। বি আর এ সেকশন থেকে আরোও ৬জন নিয়ে মোটমাট ৯জন চললাম টিচার্স ট্রেনীং এর উদ্দেশ্যে – টিভিতে “শিক্ষাঙ্গন” অনুষ্ঠান করতে।

চরম কৌতূহল আর উৎকন্ঠা নিয়ে টিচার্স ট্রেনীং এর নিজস্ব স্টুডিওতে হাজির হলাম। কালো কাপড়ে মেঝে থেকে ছাদ অবধি ঢাকা। মাঝখানে কয়েকটা বেঞ্চ আর চেয়ার-টেবিল পেতে ক্লাসরুমের সেট সাজানো হয়েছে। পুরো রুমে আমার কাছে সবচেয়ে ভীতিকর অংশটুকু মনে হলো ঘরের চারপাশ জুড়ে সেট করে রাখা কয়েকটা বিশালাকার বাতি আর গোটাচারেক ক্যামেরা। আমার ক্যামেরা-ভীতি নতুন কিছু না। অনেকদিন পর্যন্ত পারিবারিক এলবামে আমার হাসি হাসি মুখের কোনও ছবি ছিল না। কারণ, কেউ আমার ছবি তুলছে – এটা টের পাওয়া মাত্র আমার কান খাঁড়া হয়ে উঠতো। শিড়দাঁড়া জমে শক্ত হয়ে উঠতো। চোয়াল ২টা বোবায় ধরার মতোন শক্ত হয়ে যেত। কোনওরকমে শ্বাস-প্রশ্বাসটা চলতো! আমাকে যতোই ‘ইজি’, ‘চিজ’, ‘স্মাইল’ ইত্যাকার কথাবার্তা বলা হোক না কেন, ক্যামেরা না সরানো অবধি ঐ তড়িতাহত ভাবটা যেত না! এগুলো সবই হলো স্টিল ক্যামেরার ক্ষেত্রে। ভিডিও ক্যামেরাতে কি হতে পারে সেটা সম্পর্কে নিজেরও ধারণা তেমন পরিস্কার ছিল না তখন।

তবে স্টুডিওতে ঢুকেই মনে হলো এর চে ক্লাসে নীল ডাউন হয়ে থাকা বোধহয় ভালোই ছিল! যেই “ক্যামেরা রোলিং” কথাটা কানে আসলো আমার তলপেটে গুড়গুড় শুরু হলো। ক্যামেরা যতোক্ষণ রোল করে, গুড়গুড় ততোক্ষণ থাকে। উচ্চতা কম হবার কারণে কি না জানি না, আমাকে একরকম জোড় করেই বসানো হলো সবার সামনের বেঞ্চে। একজন মহিলা দেখলাম সারা মুখে চালকুমড়ার মতোন পাউডার মেখে টিচারের টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন হাতে মাউথপিস নিয়ে। উনিই উপস্থাপিকা। তাঁর বক্তব্য থেকে জানলাম, সেদিনের শিক্ষাঙ্গন অনুষ্ঠানে ইন্টারেকটিভ ক্লাসের একটা মডেল দেখানো হবে, কিভাবে শ্রেনীতে ছাত্র-শিক্ষক যুগপৎ অংশ নিতে পারে। আরোও জানলাম, আজকের বিষয় উদ্ভিদবিদ্যা -- আমাদেরকে পড়ানো হবে গাছের বিভিন্ন অংশ সম্পর্কে।

autoআমাদের একটা করে দৃশ্য বুঝিয়ে দেয়া হয় আর তারপর সেটার দৃশ্যায়ন করা হয়। এক দৃশ্যে আমাকে বলা হলো টিচার যখন গাছের কান্ড সম্পর্কে পড়াবেন, তখন উঠে দাঁড়িয়ে বলতে হবে, “কান্ড’র বর্ণনাটা আমি বুঝি নাই, আমাকে আরেকবার বিষয়টা ব্যাক্ষা করতে পারলে ভালো হয়”। তখন টিচার সেটি আরেকবার বুঝাবেন। আমি দৃশ্যটি “বুঝেছি” বলে মাথা ঝাঁকানোর পরেই ২টা ক্যামেরা দেখলাম আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য তৈরি হলো। কাঁচের বিকারে ডুবানো একটা অচেনা গাছের চারা হাতে শিক্ষক রেডি হলেন। শট নেওয়া শুরু হলো।

টিচার কান্ড সম্পর্কে বলতে শুরু করলেন। আমি মনে মনে “রাব্বি জিদনি এলমা” পড়তে লাগলাম। বাবা শিখিয়েছিলেন, এটা পড়লে পরীক্ষার সময় কিছুই ভুলবো না। আমি অবশ্য শুধু পড়া মুখস্ত না, যেকোনও কারণে ভয় পেলেই এটা পড়তাম! এখানেও দোয়াটা অনবরত আউড়াতে থাকলাম মূলতঃ ভয়ের কারণেই। তবে ডায়লোগ ভুলে যাবার ভয়ের চেয়েও আরোও বেশী বেগতিক অবস্থায় পড়লাম পা দুইটাকে নিয়ে। ২ হাঁটুর মধ্যে ঠোকাঠুকি থামার কোনও লক্ষণ দেখতে পাচ্ছিলাম না। সময় আসলো টিচারকে ইন্টারাপ্ট করার। আমি কোনওরকমে উঠে দাঁড়ালাম। এতোক্ষণ যাবৎ টিচারের মাথার ওপরে একটা মাইক্রোফোন ঝুলে ছিল। আমি দাঁড়ানো মাত্র সেটা আমার মাথার দিকে তেঁড়ে এলো। সেটা চাক্ষুষ করা মাত্র আমার পদযুগল এবারে গীটারের তারের মতোন কাঁপতে শুরু করলো। গলা-কান সবকিছু ধরে এলো। আমি ডায়লোগ যথারীতি গুলিয়ে ফেললাম!
কিছুই বলতে না পারায় শটটা কাট হয়ে গেল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য শটটা ওকে করা হলো দৃশ্যটাকে ২ভাগে বিভক্ত করে। অর্থাৎ টিচার আমাকে বলবেন, তোমরা সবাই বুঝেছো? আমাকে বলতে হবে, অনেকটাই, তবে কান্ডের বর্ণনাটা আরেকবার বললে ভালো হতো। অবশেষে যখন সবগুলো শট নেওয়া হয়ে গেল, তখন দুপুর গড়িয়ে বিকেল। ছোট্ট একটা অনুষ্ঠান রেকর্ডিং করতে যে এতো সময় দরকার সেটা সেদিনই প্রথম অনুধাবন করলাম।

যদ্দূর মনে পড়ে, এই অনুষ্ঠান টিভিতে প্রচারিত হবে শুনে আমার বাবা তার এক শ্যালককে হুকুম দিলেন নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠানটি যেন রেকর্ড করে রাখার সব ব্যবস্থা করা হয়। কারণ আমাদের বাসায় ভি.সি.পি. থাকলেও ভি.সি.আর. ছিল না। সেই সাথে ঢাকায় বসবাসরত আমাদের “নীহারিকা” সাইজের ফ্যামিলির প্রায় সবাইকে টেলিফোনে জানানো হলো, যেন কেউ সেটা মিস না করে! আমি রাতারাতি ফ্যামিলিতে একটা তারকা খ্যাতি পেয়ে গেলাম ৫ সেকেন্ডের সেই টিভি এপিয়ারেন্স দিয়ে। কিন্তু সেদিনের ঐ তারকা খ্যাতি আমাকে পুণরায় ক্যামেরামুখী করতে পারে নাই। ঐ ক্যামেরাতো বটেই, এমনকি বিয়ে বাড়ির ক্যামেরাও আমি অনেকদিন এড়িয়ে চলেছি।


মন্তব্য

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

তারপর তো আমি সচলায়তনে মানুষ হাসানোর ঠিকাদারী নিলাম হাসি

____________________________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আমি তো আপনার ফ্যান হয়ে যাচ্ছি ।
দারুন চলছে সিরিজটা ।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

এরকম দু:সাহসীক কথা শুনলে তো আমি আবার নার্ভাস হয়ে যাই।
শেষে তো লেখালেখির ক্যারীয়ারটাও যাবে!

_____________________________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

অজানা এর ছবি

বিটিভি'র সব বস্তাপচা জিনিস বসে বসে গিলতে পারতাম শুধুমাত্র বাংলা সিনেমা আর শিক্ষাঙ্গন অনুষ্টান ছাড়া। শিক্ষাঙ্গন দেখতাম না বলে অনেক বকা খেয়েছি। ভালো ছাত্ররা নাকি ঐসব অনুষ্টান দেখে।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

ঐটার আগে পরে একটা কার্টুন হতো (সম্ভবত:)। আমি নিজেও কখনো ঐ জিনিস দেখতাম না, বসে থাকতাম কার্টনের জন্য। তবে ঐদিন কার্টুনের চেয়েও অনেক বেশী আগ্রহ নিয়ে দেখা হয় শিক্ষাঙ্গন।

____________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

রাবাব এর ছবি

আরে! মেয়েমহলেও কেল্টু নামটা সমান ভাবে চালু। আমাদের এক ক্লাসমেট শুকনা লিকলিকে হওয়ায় ওর নাম কেল্টু করে দেই। আপনার সিরিজ দুরদান্ত হচ্ছে। চলুক।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

আমাদের কেল্টুর ব্যুৎপত্তি নিয়ে নানারকমের থিওরী প্রচলিত ছিল (বা আছে)।
যার মধ্যে একটা ছিল নন্টে ফন্টের কেল্টু দা -- সাজ্জাদ একবার কিভাবে যেন চুল কাটানোর ফলে দেখতে ঠিক কেল্টু দা'র মতোন লাগছিল। সেই থেকে নাম হয় কেল্টু।

দ্বিতীয় থিওরীটা ছিল, বোকাসোকা'র একটা
প্রতিশব্দ খুঁজতে খুঁজতে এই নাম পর্যন্ত গিয়ে সন্তষ্ট হয় 'এ' সেকশনের কতিপয় বন্ধু। তবে আমার জানা মতে ১ম ভার্শনটা ছিল 'জাপানীজ কেল্টু'; সেটাই পরে কেল্টু'তে এসে ঠেকে।
____________________________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

তানভীর এর ছবি

ভাগ্যিস আপনার সাথে আমার দেখা হয় নি। হলে হয়তো মোটা বা কেল্টুর মত আমিও এখন নিজের ইজ্জত নিয়ে চিন্তায় পড়ে যেতাম। কখন আবার স্মৃতি-বিপর্যয় ঘটে!

তবে অন্যের দুর্ভোগের কাহিনী পড়তে কিন্তু মজাই লাগে দেঁতো হাসি

চলুক আরো।

========
"চলো, খেয়েই নেই... খাইছে "

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

হু বেঁচে গেছেন। অন্যের দুর্ভোগের কাহিনী পড়তে যতোটা মজা, লিখতে আরোও বেশী মজা!

____________________________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

বিপ্লব রহমান এর ছবি

হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো

লেখা দৌড়াক!


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

দোড়েই যাচ্ছি ভায়া...

বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এই সিরিজটা একটু সময় নিয়ে পড়তে হবে। ততক্ষণে লিখা দৌড়াক!

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

এখনো পড়েন নাই!!! খাড়ান!!

বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।