ডিএসএলআরের জন্য লেন্স কিনবেন কিভাবে...

অরূপ এর ছবি
লিখেছেন অরূপ (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/০১/২০০৯ - ১:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

auto(হপ্তাদুয়েক আগে শোহেইল ভাই পরামর্শ দিলেন লেন্স নিয়ে লিখতে, দুদিন আগে মুর্শেদ জানালো একটা সিরিজ শুরু করলে কেমন হয়। সে সম্ভবত একটা পুরো ই-বুক নামিয়ে ফেলবে। লেন্স নিয়ে ইদানিং এতো ঘাঁটাঘাটি করছি যে সেই বিষয়ে কিছু লিখলে মন্দ হয় না। মুস্কিল হল এই লেখা কিছুটা ক্যানন ব্র্যান্ডের দিকে ঝুকে যেতে পারে, আশা করছি বাকি ডাইসাইটে ফটুরে সচলরা (আনিস মাহমুদ, প্রকৃতিপ্রেমিক, সিরাজ, মুস্তাফিজ, আহমেদ শরীফ) যেসব বিষয় বাদ পড়ে যাবে সেগুলো মন্তব্যে জুড়ে দেবেন )

আগে লোকে ক্যামেরা কিনলে পয়েন্ট অ্যান্ড শুট ক্যামেরা কিনত। খুব শখ আর মালপানি না থাকলে এসএলআর কিনবার আগ্রহ দেখা যেত না। ইদানিং এসএলআর কেমন যেন কনজিউমার প্রডাক্ট হয়ে গেছে। যাকেই জিজ্ঞাসা করি সেই দাবী করে তার একটা ডিএসএলআর আছে। গভীর ঈর্ষায় আমিও একদিন একটা কিনে ফেললাম। তারপর শুরু হইল কাহিনী...

ক্যামেরাটা ভালো, সাথে মাগনা জুম লেন্স। লেন্সের নাম Canon EF-S 17-85mm IS USM । এই দীর্ঘ নামের মানে বুঝতে আমার পুরা একটা সপ্তাহ লেগে গেল। ভাবলাম "ইহাতেই হইবে"। মাস দুয়েক পর টের পেলাম ক্যামেরার চেয়ে লেন্স জিনিসটার ভূমিকা অনেক বেশী। অনেকে সাধারন লেন্সেই অসাধারন ছবি তোলেন, কিন্তু লেন্সের কারিগরী ঠিকমতো ধরতে পারলে ভালো ছবি তৈরিতে অনেক সাহায্যে পাওয়া সম্ভব। মুস্কিল হল এই কারিগরীর বিষয়টা খানিক ঘোলাটে। এবং বিষয়গুলো পরিস্কার হতে আরো মাস চারেক লেগে গেল। আমার মতো অনেকেই এই ঝঞ্ঝাটে পড়েন, তাই এই লেখা কিছু ফান্ডামেন্টাল বিষয় আলোচনা করা যাক। বেশী কারিগরী বিষয় টানলে লোকে পালাতে পারে। তাই খানিকটা সরলীকৃত ধারায় আলোচনাটাকে রাখাই সঙ্গত মনে হল।

লেন্স হল ক্যামেরার চোখ। তার প্রধান কাজ হল আলোছায়ার ছবিটাকে ক্যামেরার সেন্সরে ঠিকমতো ফুটিয়ে তোলা যেন ছবির স্পষ্টতা (শার্পনেস), রং (স্যাচুরেশন) আর উজ্জ্বলতা (কনট্রাস্ট) অবিকৃত থাকে ।

ভালো লেন্সে এই কাজটা ভালো ভাবে হয়, খারাপ লেন্সে ছবি মার খেয়ে যায়। এর কারন হিসেবে ব্যবহৃত কাঁচের উপাদান ও লেন্সের গড়ন দায়ী। ভালো লেন্স ক্রোমাটিক অ্যাবারেশন, ডিফ্র্যাকশন এবং আরো কিছু বিষয় নিয়ন্ত্রন করে বলে ছবি হয় ঝকঝকে, সুস্পষ্ট। সস্তা লেন্স খুব নির্দিষ্ট একটা ছোট্ট সীমার (বিশেষ অ্যাপারচার ও ফোকাল লেন্থে) মধ্যে ভালো কাজ করে, তার বাইরে গেলেই ছবি খারাপ হতে থাকে।

নীচের ছবি দুটো দেখলেই বোঝা যায় পার্থক্য। ১ম ছবিটা সস্তা (১৮,০০০টাকা) Canon EF-S 50-250 লেন্সে তোলা । ২য় ছবিটা দামী (১,১০,০০০টাকা) Canon EF 70-200 f/2.8 L লেন্সে তোলা।

Canon EF-S 50-250 f/5.6
Canon EF-S 50-250 f/5.6

Canon EF 70-200 f/5.6
Canon EF 70-200 f/5.6

কোন লেন্স কতোটা শার্প সেটা জানার জন্য তার MTF চার্ট দেখা যেতে পারে। তবে আমাদের মতো লোকজন MTF দেখার চেয়ে রিভিউ পড়তে পছন্দ করে। ইন্টারনেটে রিভিউ এর দুটো সাইট হলঃ
১. http://www.the-digital-picture.com
২. http://www.wlcastleman.com/equip/reviews

ছবিকে ঠিকঠাক ফুটিয়ে তোলার কাজ কতোটা ভালোভাবে করতে পারছে সেটা দেখা ছাড়াও লেন্সের আরো কিছু বিষয় দেখে নিতে হয়। সেগুলো হলঃ

১. ফোকাল লেন্থ কতো মিলিমিটার?
২. জুম না প্রাইম?
৩. ম্যাক্সিমাম অ্যাপারচার কতো?
৪. ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন বা ভাইব্রেশন রিডাকশন আছে কিনা?
৫. বিল্ড কোয়ালিটি কেমন?

এবার দেখা যাক এই বিষয়গুলোর মানে কি..

১. ফোকাল লেন্থ



ফোকাল লেন্থ হল লেন্সের কেন্দ্রবিন্দু থেকে ক্যামেরা সেন্সরের দুরত্ব (যখন সাবজেক্ট ফোকাসে থাকে)। ফোকাল লেন্থ মাপা হয় মিলিমিটারে।

এই মাপ যতো ছোট হবে লেন্স ততো বেশী এলাকা দেখতে পায়, কিন্তু তাতে সব ছোট ছোট দেখায়। এই মাপ যতো বেশী হবে লেন্স ততো কম এলাকা দেখতে পায়, কিন্তু এতে করে সাবজেক্ট অনেক বড় দেখায় (দূরবীনের মতো)।

কম মিলিমিটারের লেন্সকে বলে ওয়াইড অ্যাংগেল আর বেশী হলে বলে টেলিফোটো।

টেলিফোটো কাজ করে দূরবীনের মতো, পাখির ছবি তোলার জন্য ৬০০ থেকে ৮০০ মিলিমিটারের সুপার টেলিফোটো ব্যবহৃত হয়।

দালানকোঠা কিংবা দৃশ্য তোলার জন্য টেলিফোটো কাজের নয়। এই জন্য ওয়াইড অ্যাংগেল প্রয়োজন যা (দূরবীনের ঠিক উল্টো) সব কিছুকে ছোট করে এক ফ্রেমে আটিয়ে ফেলে।

নীচের ছবিগুলোতে ওয়াইড আর টেলির ব্যবহার দেখুন।

২৪মিমি ওয়াইড অ্যাংগেল লেন্সে পুরো পাহাড় দৃশ্যামন
24mm

৪৭মিমি নর্মাল লেন্সে পাহাড় আংশিক দৃশ্যমান
47mm

১০৫মিমি টেলিতে পাহাড়চুড়া দেখা যাচ্ছে শুধু
105mm

ফোকাল লেন্থের সাথে পারস্পেক্টিভেরও সম্পর্ক আছে। নীচের ছবিতে দেখুন ব্যাকগ্রাউন্ড কেমন বদলে যাচ্ছে ফোকাল লেন্থের সাথে সাথে

১৮ মিলিমিটার ওয়াইড অ্যাংগেল লেন্সে তোলা ছবি (দূরের বাড়িঘর সব ছোট)

৫০ মিলিমিটার নর্মাল লেন্সে তোলা একই ছবি (পেছনের বাড়িঘর একটু কাছে চলে এসেছে)

৩০০ মিলিমিটার টেলিফোটো লেন্সে তোলা সেই ছবি (বাড়িঘর একদম কাছে)

২. জুম না প্রাইম?



যে লেন্সের ফোকাল লেন্থ অপরিবর্তনশীল তাকে বলে প্রাইম লেন্স। আর যেটা ফোকাল লেন্থ নির্দিষ্ট সীমায় বদলানো যায় তাকে বলে জুম। শুনে মনে হতে পারে জুম থাকলে প্রাইমের কি দরকাররে ভাই? একটা বিশাল সীমার জুম লেন্স কিনলেই তো হয়। হু, একই প্রশ্ন ছিল আমারো। ঘটনা হল জুম লেন্সে ভালো কোয়ালিটি দেওয়া খুব কঠিন হয়ে যায়। এই ধরুন ম্যাকসিমাম অ্যাপারচারের কথা (এটা খায় না মাথায় দেয় জানবো একটু পরে)। প্রাইমে যেখানে ১.২ থেকে ১.৮ পাওয়া যায় সেখানে জুমে হয় সচরাচর ৪ থেকে ৫.৬। খুব ভালো দামী জুমে ২.৮ পাওয়া যায়, কিন্তু সেরকম জুম লেন্স বেশী নেই, সুলভও নয়।

যারা ট্রাভেল করেন তারা জুম পছন্দ করেন, কারন একটা লেন্সেই সব হয়। কিন্তু যারা স্পেশালাইজড কাজ করেন, তারা অনেক সময় প্রাইম ব্যবহার করেন। পোর্ট্রেটের কথাই ধরা যাক, ৫০মিমি-f/১.২ এবং ৮৫মিমি-f/১.২, এই দুটি প্রাইম লেন্সটা পোর্ট্রেট তুলিয়েদের খুব পছন্দের। খুব জনপ্রিয় ও উন্নত জুম লেন্সের একটা হল ৭০-২০০মিমি f/২.৮।

ভালো জুমে ম্যাক্সিমাম অ্যাপারচার অপরিবর্তনশীল থাকে, সস্তাগুলোয় ফোকাল লেন্থ বদলের সাথে ম্যাক্সিমাম অ্যাপারচার বদলায়।

৩. ম্যাক্সিমাম অ্যাপারচার কতো?



ম্যাক্সিমাম অ্যাপার্চার হল সর্বোচ্চ কি পরিমান আলো লেন্সে ঢুকতে পারে। একে প্রকাশ করা হয় f/x স্টাইলে (উদাহরন: f/1.4)

x এর মান যতো কম হবে ম্যাক্সিমাম অ্যাপারচারও ততো বেশী হবে।

ম্যাক্সিমাম অ্যাপারচার বেশী হলে বুঝলাম আলো বেশী ঢুকে। কিন্তু তাতে কি ফায়দা? ফায়দা অনেক। সেগুলো হলঃ

**** অনেক বেশী শাটার স্পীড ব্যবহার করা যাবে। বেশী শাটার স্পীড মানে রাতে হাত কাঁপলেও ছবি ঝাপসা হবে না, সাবজেক্ট বেশী দৌড়ঝাপ করলেও ঘোলা দেখাবে না। যারা ফ্ল্যাশ ছাড়া, রাতে বা কম আলোতে ছবি তুলতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটা একটা জরুরী ফিচার।

**** ডেপথ অফ ফীল্ড কম হবে। ডেপথ অফ ফীল্ড কম হলে সাবজেক্ট বাদে বাকি সব ঘোলা হয়ে যায়। এতে ছবিতে চমৎকার ইফেক্ট তৈরি হয়। একে বোকে বলে। ফটুরেরা বোকে ইফেক্ট আনার জন্য খুব আগ্রহী হয়ে থাকেন।

বর-বধু বোকে হয়ে গেলেন, ফোকাসে শুধু আঙুল!
Giving the (ring) finger

**** বেশী আলো ঢোকায় আরো কিছু কারনে ছবির কোয়ালিটিও উন্নত হয়

যে লেন্সের ম্যাক্সিমাম অ্যাপারচার ২.৮ থেকে ১.০ এর মধ্যে থাকে তাদের ফাস্ট লেন্স বলা হয় (সরলীকৃত বক্তব্য)। অ্যাকশন বা লো লাইট ফোটোগ্রাফির জন্য এদের বড়ই কদর, দামও সেরকম।

৪. ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন



লেন্স ফাস্ট হলে ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন (ক্যাননের টার্ম, বা নিকনের টার্ম হল ভাইব্রেশন রিডাকশন) এর প্রয়োজন কমে যায়। কিন্তু ফোকাল লেন্থ ২০০মিমি বা তদুর্ধ হলে ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন অত্যাবশ্যক হয়ে পড়ে। সনি, পেনট্যাক্স ও অলিম্পাসে ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন ক্যামেরার বডিতে তৈরি থাকে বলে লেন্সে এর প্রয়োজন হয় না। ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন থাকলে হাতে ধরে ছবি তোলার কাজটা খানিকটা সোজা হয়।

৫. বিল্ড কোয়ালিটি কেমন



দামী প্রোফেশনাল লেন্স গুলো এমন ভাবে বানানো হয় যেন বহুব্যবহারেও এরা নষ্ট না হয়। আপনি পেশাদার হলে এটাও বিবেচ্য বিষয়। কনজুমার লেন্সগুলো সস্তা প্লাস্টিকে তৈরি হয়, প্রোফেশনাল লেন্স শক্তপোক্ত, ডাস্টপ্রুফ, ওয়াটারপ্রুফ হয়ে থাকে। অনেক জায়গা পড়েছি যে, ভালো লেন্স হাত থেকে লেন্স পড়ে গেছে, তারপরও বছরের পর বছর ঠিকঠাক কাজ করেছে সমস্যা ছাড়াই।

৬. ডিসর্টশন



বাজে লেন্সের ছবি এক্সট্রিম ওয়াইড বা টেলিতে বেঁকে যায় অনেক সময়। কেউ কেউ সেটা নিয়ে খুশী থাকেন, কেউ থাকেন না। খুশী-অখুশী যাই হোন না কেন, দেখে নিন ঠিক কোন ক্ষেত্রে ডিসটর্শন ঘটে। ছবি গোলচে হয়ে গেলে বলে ব্যারেল ডিসটর্শন, আর এর উল্টো হলে বলে পিনকুশন ডিসটর্শন।

তবে ফিশআই লেন্স বলে একটি লেন্স তৈরি-ই করা হয় ব্যারেল ডিসটর্শনের নাটকীয়তা ব্যবহার করার জন্য। নীচে ফিশআই লেন্সে তোলা ছবি দেখুন..

৭. EF না EF-S (ক্যানেনর জন্য প্রযোজ্য শুধু)



EF-S লেন্স শুধু ২০ডি, ৩০ডি, ৪০ডি, ৩৫০ডি, ৪০০ডি, ৪৫০ডি, ১০০০ডি তে চলবে। অন্যদিকে EF লেন্স প্রায় সব ক্যামেরাতেই চলে।
প্রোফেশনাল L লেন্সগুলো হয় EF টাইপ। অন্যদিকে EF-S টাইপে খুব বেশী ভালো লেন্স চোখে পড়ে না..

...........................................

তাহলে দাঁড়ালটা কি?

যা বোঝা গেল তাহল ভালো লেন্স হতে হলে

১. লেন্সের শার্পনেস, কন্ট্রাস্টের মতো বিষয়গুলো ভালো হতে হবে। এজন্য MTF চার্ট বা রিভিউ ফলো করা যেতে পারে।

২. ম্যাক্সিমাম অ্যাপারচার ২.৮ বা তার চেয়ে ছোট কোন সংখ্যা হতে হবে (সরলীকৃত বক্তব্য)।

৩. জুম লেন্সের ক্ষেত্রে ম্যাক্সিমাম অ্যাপারচার যেন সব লেন্থেই এক থাকে অর্থাৎ কনস্ট্যান্ট ম্যাক্সিমাম অ্যাপারচার থাকলে ভালো।

৪. ক্যাননে ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন / নিকনে ভাইব্রেশন রিডাকশন সুবিধা থাকলে ভালো। কিন্তু ফোকাল লেন্থ ১০০ বা তার বেশী হয়ে গেলে এটা থাকাটা জরুরী!

৫. পেশাদারী কাজের জন্য হলে গঠনগাঠন বেশ মজবুত ও ভালো হতে হবে (ওয়াটারপ্রুফ, ডাস্টপ্রুফ)।

৬. ডিসটর্শন গ্রহনযোগ্য হতে হবে।

উপরে যে বিষয়গুলো বলা হল, সেই গুলো সাধারনত ক্যাননের L সিরিজের লেন্সের বৈশিষ্ট্য। L সিরিজ হল ক্যাননে শ্রেষ্ঠ লেন্সের শ্রেণী। L এসেছে লাক্সারী থেকে, কারন এসব লেন্সের কোনটাই হাজার ডলারের নীচে পাওয়া যায় না। আর ছবি? অসাধারন!
(খেলার মাঠে ফোটুরেরা যে সাদা সাদা লেন্স নিয়ে ছবি তোলে উহাই এই বস্তু। L লেন্স চেনার সোজা পদ্ধতি হল মাথায় লাল একটা ব্যান্ড থাকা, গায়ের রং সাদাই হোক আর কালোই হোক)

কিন্তু দুনিয়ার সবাই L লেন্সে ছবি তোলেন না। এর বাইরেও ভালো লেন্স আছে। হয়তো একদম L এর মতো না, কিন্তু সাধারন চোখে দেখে হয়তো পার্থক্য টের পাওয়া যাবে না। ধরুন ক্যাননের EF-S 10-22mm f/4.5-5.6 আল্ট্রাওয়াইড লেন্সের কথা। এটা L নয়, কিন্তু তৈরি একই মানের কাঁচে। ছবিও চমৎকার। ট্যামরন, সিগমা, টোকিনা এরাও ভালো লেন্স বানায়। মুস্কিল হল L সিরিজে কোয়ালিটি যেরকম গ্যারান্টিড থাকে, অন্যগুলোতে তেমনটা হয় না। এসব ক্ষেত্রে রিভিউ ও স্যাম্পল ছবি দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সবশেষে ক্যামেরায় লাগিয়ে টেস্ট শট নেওয়া জরুরী। ক্যাননের ৫০মিমি ১.৪ কিনতে গিয়ে দুই দোকানে দুরকম মানের ছবি পেয়েছি গেলবার।

এবার আসা যাক, কেন আমরা একাধিক লেন্স কিনি সেই প্রসঙ্গে। ক্যামেরার সাথে আসা ১৭-৮৫ তো ভালোই ছিল। তাহলে পাখির ছবি তোলার জন্য ৭০-৩০০মিমি কিনলাম কেন? কারন পাখি ছোট সাবজেক্ট, এর ছবি তুলতে দূরবীনের মতো লেন্স দরকার। ৪০০মিমি কেনার টাকা না থাকায় সস্তা ৭০-৩০০মিমি কিনতে হল। ৭০-৩০০ এর সমস্যা হল এটা ফাস্ট লেন্স না, ম্যাক্সিমাম অ্যাপারচার ৫.৬ এর মতো, ফলে পাখির ডানা ঝাপটানো ছবি তুলতে গেলে ঘাম বের হয়ে যায়।

Nikon D300 1.7TC AF-S Nikkor 600mm f/4D IF-ED II
নিকনের ৬০০মিমি সুপারটেলিফোটো

৭০-৩০০ কেনার আগে ৫০মিমি ১.৮ কিনেছে বোকে নিয়ে খেলার জন্য। সাবজেক্ট বাদে বাকি সব ঘোলা হয়ে গিয়ে যে বোকে তৈরি হয়, তা পোর্ট্রেট তোলার জন্য খুব কাজের। যারা পোর্ট্রেট বা বোকে নিয়ে আগ্রহী, তারা ৫০মিমি ১.৪ কিনে ফেলতে পারেন নির্দ্বিধায়। পোর্ট্রেট তোলার জন্য টেলিফোটো লেন্সও খুব কাজের। টেলিতে বোকে হয় সহজে, আবার পারস্পেকটিভের কারনে দেখতেও ভালো লাগে। ওয়াইড দিয়ে কখনও পোর্ট্রেট তুলতে হয়না, সাবজেক্টের মাথা কিংবা নাক বেশী মোটা লাগতে পারে এতে।

~green is my favorite color~
৫০মিমি ১.৪ এ তোলা পোর্ট্রেট, খেয়াল করুন ঘোলা ব্যাকগ্রাউন্ড

Pie de foto
আল্ট্রওয়াইডে তোলা ছবি, খেয়াল করুন বেঁকে যাওয়া

যারা স্থাপত্যের ছবি তোলেন তারা 10-22mm/12-24mm/16-35mm মানের আল্ট্রাওয়াইড জুম ব্যবহার করতে পারেন। বিশদ জানতে হিমু বা মুস্তাফিজ ভাইকে খোঁচা দিতে পারেন।

এই ছবিটা মুস্তাফিজ ভাই এর তোলা, ১০-২২দিয়ে। আল্ট্রা ওয়াইড নাটকীয়তা খেয়াল করুন পারস্পেক্টিভে..
Ruins of bara Sardar bari

আমি ১৭-৮৫টা বিক্রি করে দিয়েছি, কারন একদম ওয়াইড অ্যাঙ্গেলে গেলে ছবি বেশ খারাপ আসতো। আর এর ম্যাক্সিমাম অ্যাপারচার ছিল ৪.৫ থেকে ৫.৬ এর মতো। তাই কম আলোতে ছবি তোলার জন্য খুব কাজের না এটা। মুস্কিল হল এখন আমার অলপারপাস ট্রাভেল লেন্স বলে কিছু নাই!

কেউ কেউ ম্যাক্রো ছবি তোলেন। ম্যাক্রো ছবিতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তুর ছবি অনেক বড় করে তোলা হয়। এর জন্য আলাদা লেন্স লাগে। ম্যাক্রোতে অনেক নাটকীয় ছবি তোলা সম্ভব।

FACE 2 FACE
ম্যাক্রো লেন্সে তোলা মাছির মাথা

আরেক ধরনের লেন্স আছে, যাকে বলে টিল্ট শিফ্ট লেন্স। অনেকটা স্পেশাল ইফেক্ট তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়। আবার ডিসটর্শন ঠিক করতেও এর ব্যবহার আছে।

সব কথার শেষ কথা হল, আপনি ছবি নিয়ে খুশি কিনা। ছবি যদি ভালো লাগে তাহলে লেন্স কোন ফ্যাক্টর না। আর ভুলে গেলে চলবে না যে ভালো ছবির জন্য লেন্সের আগে সাবজেক্ট, কমপোজিশন, আলোকবিন্যাস অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ!!


মন্তব্য

মুস্তাফিজ এর ছবি

ধন্যবাদ বিস্তারিত লেখার জন্য। আমি হয়তো আরো কিছু যোগ করবো, কিন্তু সময় লাগবে (ইদানীং একটু ব্যস্ত)।
ভালো কথা লেন্স আর ক্যামেরার বিষয়/ ছবি তোলার টিপস্‌ নিয়ে ফেব্রুয়ারীরর ১ তারিখ ধানমন্ডিতে একটা সেমিনার আছে সকাল দশটা থেকে, দুপুরের খাবার খেয়ে শেষ হবে, ফ্রী। আগ্রহীরা আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। কাজে লাগবে।

...........................
Every Picture Tells a Story

হিমু এর ছবি

এরকম টিউটোরিয়াল আরো চাই। থাম্লে খবরাছে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

হ, DSLR তো হাল আমলের ফ্যাশন। আগে ছবি তুলতে মুন্সিয়ানা লাগতো। এখন ক্যামেরার DSP চিপই অনেক কিছু করে দেয়। কোন রকমে মাথাটুকু ফ্রেমে রাখলেই দারুণ পোর্ট্রেট হয়ে যায়। গাছ-পাহাড় নির্বিশেষে শাটার চাপলেই ঝকঝকে ছবি হয়ে যায়। DSLR-ও এক রকম আইপড হয়ে গেছে।

এই দুঃখে এখন আর ছবিই তুলি না। শরম লাগে। কষ্ট করে ছবি তোলার দিন শেষ। এখন সব ফ্রি!

লেন্স নিয়ে বিস্তারিত লেখার জন্য ধন্যবাদ। সুপাঠ্য, প্রয়োজনীয়। ফটোগ্রাফারকূলের কাছে আবদার, কম্পোজিশন নিয়েও এমন কিছু লেখেন। কাজে দেবে।

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

সুপার্ব!!!চলুক
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

যুবরাজ এর ছবি

আমি কয়দিন ধরে ক্যামেরার পিছনে লাগসি, আপনার এই লেখাটা অনেক কাজে দেবে আমার।অনেক অনেক ধন্যবাদ।আর ও লেখেন।
-------------------------------------------------------------------------------------
হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা

হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------

রাগিব এর ছবি

(ফটোগ্রাফারেরা মাফ করে দেবেন ... )

DSLR আসার পরে আমারও মনের অবস্থা ইশতিয়াকের মতোই। আগে একটা ছবির কেরামতি দেখে ফটোগ্রাফারের মুন্সিয়ানা বোঝা যেতো, ক্যামেরার উপরে পুরোপুরি দখল আনতে পারতেন ১০০ জনে হয়তো ১ জন। তাই একটা ছবিতে শার্প ফোকাস, কিংবা ম্যাক্রো লেন্স দেখলেই সবাই অবাক বিষ্ময়ে দেখতাম।

কিন্তু এখন DSLR এর কল্যাণে প্রায় সবাই ম্যাক্রো/ফোকাসীয় ছবি তুলে, তাই ১০০ জনে ১০ থেকে ৫০ জনই ওরকম ছবি তুলছে। আম-জনতা DSLR এর ম্যাজিকে এহেন ছবি তুলে তুলে সেসব ছবিকে আম-ছবি বানিয়ে ফেলেছে ... "ভালো ছবি"র মানদণ্ডটা তাই অনেক বেড়ে যাচ্ছে আমাদের চোখে।

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

আরিফ জেবতিক এর ছবি

জরুরী জনগুরুত্ব সিরিজের জন্য অরূপকে ধন্যবাদ । আমাদের দেশে এখন ফটোগ্রাফিটা খুব জনপ্রিয় হচ্ছে , নতুন অনেক মানুষ যোগ দিচ্ছেন , তাই এই সময়ে এসে এই ধরনের তথ্যবহুল লেখাগুলো উপকারে আসবে ।

কম্পোজিশন ও ফটোগ্রাফির অন্যান্য শিল্পমান নিয়ে যদি মুস্তাফিজ ও অন্যরা লেখালেখি করেন , সেগুলোও খুব কাজে আসবে আশা করি ।
----------------------

ইশিতিয়াক রউফ ও রাগিবের কমেন্ট দুটো ভাবার বিষয় । আসলেই প্রযুক্তি আমাদেরকে কেমন যেন বেরাছেরা করে দিচ্ছে । আগে একটা গান গাইতে অনেক কষ্ট করতে হতো , গান রেকর্ড করতে হলে ডজন দুয়েক শিল্পীকে স্টুডিওতে বসিয়ে রাখতে হতো । এখন সেদিন দেখি আমার এক ভাগিনা কম্পিউটারে পুরো মিউজিক করে গান গেয়ে ফেলেছে , সেই ক্যাসেট আবার ২৫ হাজার টাকায় বিক্রীও করে ফেলেছে !!! কম্পুকানা আমার জন্য সেটা ছিল এক বিরাট বিষ্ময় । একই মেশিন দিয়ে ঢোল তবলা হারমোনিয়াম বাঁশি এজ্রাস সব বাঁজিয়ে ফেলা যায় , তখন আর ব্যক্তিগত নৈপুন্যের দাম কোথায় থাকে ?

আজকাল হাতে হাতে এসএলআর , সুতরাং প্রত্যেকটা ছবিই ঝকঝকে তকতকে ।
তবে এর একটা ভালো দিকও আছে মনে হয় । এখন যেহেতু সব ছবিই ঝকঝকে , তাই আর ঐসব টেকনিক্যাল খুটিনাটির ব্যক্তিগত দক্ষতার পেছনে একজন ফটোগ্রাফারের সময় কম দিলেও চলবে ।
এই সময়টা তিনি কম্পোজিশনে দিতে পারবেন । এখন শুধু ঝকঝকে ছবি দিয়েই বাজার মাত করা যাবে না , কম্পোজিশন ও অন্যান্য বিষয়ে অনেক বেশি নিখুঁত কাজ দেখাতে হবে ।

এতে করে হয়তো শেষ বিচারে শিল্পেরই উপকার হবে ।
দেখা যাক , সময় কী বলে ।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

মানতে খারাপ লাগে, কিন্তু অন্য ভাবে দেখলে এটাই তো ডেমোক্রেটাইজেশন। অধিকার, গণতন্ত্র, এগুলো ছাড়তে কারোই ভাল লাগে না। প্রযুক্তি কীভাবে পৃথিবীকে উন্মুক্ত করে দেয়, তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ।

হয়তো একটা সময় ছিল, যখন কাঠি ঘষে আগুন জ্বালাতে পারাটাই বিশাল কৃতিত্বের ব্যাপার ছিল। হয়তো বারুদ আবিষ্কারের পর এমন অনুভূতিই হয়েছিল সেই কাঠিওয়ালার!

আপনার ভাগ্নের কথা শুনে মনে হচ্ছিল, আসলেই এখন একজন "ব্রাত্য" অনেক কিছু করে ফেলতে পারে প্রযুক্তির কল্যাণে। আমাদের ভেতর যদি আসলেই মাল-মশলা কিছু থেকে থাকে, তাহলে সেটার প্রমাণের সময়ও এখনই।

ভাল ক্যামেরা না থাকলে চেনা-জানা অনেকেরই ছবি তোলার শৈলি নিয়ে জানতাম না। ঠিক যেমন ব্লগ না থাকলে অনেক স্বাদ ও মাত্রার লেখা থেকে বঞ্চিত থাকতাম।

দিনশেষে তাই প্রযুক্তিতে মেনে না নিয়ে উপায় নেই। তবে হ্যাঁ, ভিত্তিটুকু পোক্ত না হলে, পুরনোর প্রতি অন্য রকম একটা নস্টালজিয়া না থাকলে সেই কাজ কখনই লঘু থেকে গুরু হতে পারবে না বলে আমার বিশ্বাস। বিশুদ্ধবাদিতা বিরল, কিন্তু অপ্রয়োজনীয় না।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

ঘন্টায় ১১০০ পাউন্ড দিয়ে কপ্টার ভাড়া করতে পারলে এইগুলি তোলা যেতে পারে।

http://www.boston.com/bigpicture/2009/01/more_of_london_from_above_at_n.html

আর ক্যামেরাই যে সব না, আবেগ আর কম্পোজিশনের কারুকাজ বোঝা যায় এখানে -

http://www.cgap.org/s/photo2008/
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

দারুন একটা পোস্ট দিয়েছেন ভাইয়া। অনেক কিছু জানতে পারলাম।

-----------------------

--------------------------------------------------------

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

জোস!!!

সচলায়তনের ফটুকবাজদের পোস্ট পড়ে ফটোবাজী শেখার পুরোনো ইচ্ছাটা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। টুকটাক করে শিখতে শিখতে ভাবী এইগুলা নিয়ে পোস্টাইলে ভালো হয়। কোলাবোরেটিভ লার্নিংয়ের মতো হবে ব্যাপারটা। ই-বুক একটা শুরু করেছি। শিঘ্রী প্রকাশ করা শুরু করব।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

দারাশিকো এর ছবি

খুব ভালো লাগল পড়ে। ক্যামেরা নিয়ে আগ্রহ অনেক দিনের । কিন্তু নিজের পয়সায় একটা ভালো ক্যামেরা কিনবো সেই সামর্থ হয় নাই এখনো, তাই বলে স্বপ্ন মরে যায় নি। খুব ভালো হয় যদি, প্রাইমারি কাজের জন্য কি ধরনের ক্যামেরা ভালো এবং তার মূল্য ... ইত্যাদি নিয়ে একটা পোস্ট দেন।
ধন্যবাদ!

দারাশিকো এর ছবি

প্রাইমারি কাজ বলতে বোঝাচ্ছি, ক্যামেরায় হাত নিয়ে আসা, মানে অ্যাপারেচার, লেন্স, শাটার স্পিড নিয়ে আইডিয়াটা ততটুকু ক্লিয়ার হওয়া দরকার যখন বুঝতে পারবো এই ক্যামেরা দিয়া আমার চলবে না, আরও ভালো জিনিস কিনতে হবে।

সব কিছু সামলে ঠিক কত টাকা জমাতে পারলে এই কাজটা করা যাবে সেটা জানার জন্য দাম সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম। আপনারা যারা ছবি তুলতে অভিগ্গ হয়েছেন তাদের নিশ্চয়ই এই সম্পর্কে নিজস্ব একটা মতামত আছে, স্টার্টিং পয়েন্টের জন্য কোন ক্যামেরা ভালো? সেটাই জানান, আপনার উপর ভরসা করে আছি

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

দারূণ পোস্ট, খুবই কাজে লাগবে যখন ডিএসএলআর কিনে সারবো [সেই দিন খুব তাড়াতাড়ি আসবে বলে মনে হয় না দেঁতো হাসি ]

এমেচার পোলাপানও আজকাল ডিএসএলআর নিয়ে এমন সব ছবি তুলে যে দেখলে নিজের পয়েন্ট এণ্ড শুটের [সেটাও আবার একেবারেই লো-এন্ড] কথা ভেবে লজ্জাই লাগে মন খারাপ
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

আরিফ জেবতিক এর ছবি

সমস্যা হইলো গিয়া ধরেন এই যে ফ্রি চা খাওয়ানি শিক্ষা এইটা কি মডুদের সয্য করা উচিত ?
এই যে সচলায়তনের একপাশে ফ্লিকার রাখছে , আমি কয়দিন ধইরা এটা ঘাটাঘাটি করে কিছুটা আউলাইতেছি । এইরকম বাটারফ্লাইয়ের ছবি তুলতে ইচ্ছা হইতেছে ।

যা বুঝতে পারছি , এরকম চলতে থাকলে একটা ডিএসএলআর কিনার পোকা আমার মাথায় কিলবিল করে উঠবে , তাইলে কিন্তু আজীবনের জন্য একটা বেরাছেরা হয়ে যাবে। এতো টাকা পাই কোথায় ?

রণদীপম বসু এর ছবি

কমদামী নিম্নমানের ক্যামেরা দিয়া উন্নতমানের ছবি তোলার উপায় কিন্তু কন নাই এখনো ! সেইটার অপেক্ষায় রইলাম।
চলুক

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মুস্তাফিজ এর ছবি

দাদা এইটা নিম্ন মানের ক্যামেরা দিয়া তোলা
IMG_4473
আমার মতে ক্যামেরা ব্যাপারনা। যে তুলতেছে তার জ্ঞান এসম্পর্কে কতটুকু সেটাই আসল।

...........................
Every Picture Tells a Story

প্রকৃতিপ্রেমিক [অতিথি] এর ছবি

ক্রোম্যাটিক আবেরেশন বাদ গেলো যে?

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনার লেখা ভালো হয়। আপনিই লেখেন।

s-s এর ছবি

এই পোস্টটা একেবারে ব্যক্তিগত আগ্রহের কারণে খুবই কাজের পোস্ট হচ্ছে।
ধন্যবাদ অরূপ।
মুর্শেদের সাথে গলা মিলিয়ে আমিও বলতে চাই জোস! চলুক
ই-বুক কবে হবে?

জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা

মেহদী হাসান খান এর ছবি

চালায় যান অরূপ ভাই!
ফাটাফাটি!

বিমূঢ় [অতিথি] এর ছবি

অরুপদা কে ধন্যবাদ দিয়ে কোন কিছু বলব না। অনেক দিন ধরে এই রকম একটা জিনিস মনের মধ্যে আটকে ছিল, কিন্তু জানার উপায় ছিল না। আজ একেটানে শিখে ফেল্লাম মনে হচ্ছে।
?????

রুশাফি [অতিথি] এর ছবি

অরূপদাকে অনেক ধন্যবাদ আলোকচিত্র বিষয়ক পোস্টগুলোর জন্য। এতদিন ফ্লিকারে দেখা ছবিগুলোকে মনে হত অন্য গ্রহের অপার্থিব কিছু। কিন্তু পোস্টগুলো পড়ার পড় বিষয়গুলো কিছুটা হলেও বুঝতে পারছি বলে মনে হচ্ছে।

লেখাগুলো দেখে আরও একটা জিনিস মাথায় আসলো। সচলের যারা ফটোগ্রাফার আছেন তারা সবাই মিলে এই বিষয়গুলোকে কি বাংলা উইকিতে একটা স্থায়ী ঠিকানা দিতে পারেন না? সেক্ষেত্রে আর্টিকেলগুলোর একটা স্থায়ী নিবাস হত, আমাদের ভাষার উইকিটা আরও সমৃদ্ধ হত আর আলোকচিত্রে উৎসাহী নভিস এবং অ্যামেচাররাও সহজে বিষয়গুলো বুঝতে পারতেন।

এখানে অবশ্য রাগীব ভাই নিজেই আছেন। তিনি মনে হয় আমার চিন্তাটার আরও পরিপূর্ণ একটা রূপ তুলে ধরতে পারবেন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।