বকেয়া পোস্ট - ২ : ঢাকা টু চট্টগ্রাম

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: মঙ্গল, ১১/০৩/২০০৮ - ৫:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেই বিকেলে মাথা হাল্কা লাগলে ঘর থেকে বের হতে মন চায়। দুই নম্বর স্টেডিয়ামের উল্টোদিকের এক্সপ্লোরার সাইবার ক্যাফে বন্ধ হয়ে গেছে। হেঁটে হেঁটে সোজা মীরপুর দশ নম্বর। আগে একটা সাইবার ক্যাফে ছিল নতুন মার্কেটের আন্ডারগ্রাউন্ডে। সেটাও নেই। সিরাজী সাইবার ক্যাফে বেশ বড়সড় ছিল, এবার খুঁজে পেলাম না। আবার সিঁড়ি বেয়ে তিনতলার নতুন এক্সপ্লোর ক্যাফে। উদ্দেশ্য মেইল চেক করা। পাঁচ ছ'টা মেইল জমে আছে। জরুরীগুলোর জবাব দিয়ে শেষ করতেই বিদ্যুৎ চলে গেলো। ইউপিএস আছে, পাঁচ মিনিটের ব্যাক আপ। সব অ্যাকাউন্ট সাইন আউট করে বেরিয়ে আসি। সিঁড়ি অন্ধকার, মোবাইলের টিমটিমে আলোয় নিচে নামি। বাইরে সন্ধ্যা নেমেছে।

চিরায়ত মিরপুর দশ। হকার বসেছে এখানে ওখানে। টুথব্রাশ - শার্ট প্যান্ট - শাল - চাদর। চশমা, মোবাইল কভার। পাশে পঁচিশ টাকার উপন্যাস; মোহাম্মদ খায়রুল বাশারের "তোমাকে ভালাবাসা আমার ভুল ছিল"।
সুইট এসএমএস গাইডও বিক্রি হচ্ছে। কেউ কেউ পাতা উল্টে দেখে নিচ্ছে।
বামে ফুলের দোকান। রজনীগন্ধার স্টিকগুলোকে সাজানো হচ্ছে। বাসের হর্ণের শব্দে মিষ্টি ঘ্রাণ নাকে আসে।
পনেরো নম্বর রুটের বাস সায়েদাবাদ-মতিঝিল-ভাষানটেক; আমার এক সময়কার নিত্যযাত্রা। এক নম্বর রুট মীরপুর-গুলিস্তান বাসের পেছনে গেইট লক সার্ভিসও চোখে পড়লো। রাস্তা পার হতে গিয়ে নামটি ভুলে গেলাম। আর মনেই পড়লো না।

রাস্তার ওপাশে ক্যাফে মীরপুর। সাতানব্বই-আটানব্বই সালে এককাপ চা'য়ের দাম চার টাকা ছিল। খুব আয়েশী হলে ঢুঁ মারতাম, সাথে হালিম অথবা মোগলাই পরোটা পনেরো টাকা। এবার যাওয়া হলো না। ক্যাফে মীরপুরের সামনে পত্রিকা স্টল। সাপ্তাহিক যায়যায়দিনের ভালোবাসা সংখ্যা নতুন মোড়কে বেরিয়েছে - 'মৌচাকে ঢিল'। এক সময়কার বন্ধ হওয়া রম্য সাপ্তাহিকটি কি আবার চালু হয়েছে?
পাশে সাপ্তাহিক ক্রীড়া জগত, সাপ্তাহিক২০০০, আনন্দভূবন, মনোজগত, তারকাছবি। প্রচ্ছদে - "পূর্ণিমা ইন, শাবনুর আউট"। এখানেও এসএমএস গাইড। বইয়ের প্রচ্ছদে বাংলা ছবির নায়িকা।
এক সময়কার হাতছানি দেয়া সানন্দসম্ভার কিংবা রোগজিজ্ঞাসা চোখে পড়লো না।

চৌরঙ্গী মার্কেটের পাশে বাসায় ফেরার রিক্সা দরদাম করি। গতবারও ভাড়া ছিল ছয় টাকা, রিক্সাঅলা চাইলো দশ টাকা। ভাবলাম - দুর্মূল্যের বাজারে ভাড়া বাড়তেই পারে। আমি, পুঁজিবাদের ছাত্র, ভারসাম্য বিন্দুর প্রত্যাশায় আট টাকা বলি। রিক্সাঅলা বললো - চলেন। রিক্সায় চলতে চলতে পুরনো সব ঘ্রাণ নাকে আসে। মনে হচ্ছে, এই তো ওয়ারদা ক্লিনিক বামে রেখে ভিলা ম্যাগনোলিয়া পেরিয়ে বাদাম খেতে খেতে দোস্ত পরাগের বাসা থেকে বাসায় ফিরছি। কাল কী কী ক্লাশ আছে ভাবছি। পথে মীরপুর দু'নম্বর বাজারে বিশাল ব্যানার। "বার্ড ফ্লু'তে আতঙ্ক নয়, চাই সচেতনতা। সঠিকভাবে রান্না করা মুরগীর মাংশ এবং সেদ্ধ করা ডিম খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ। প্রচারে ঢাকা সিটি করপোরেশন"।

বাসার মোড়ের রাস্তায় রিক্সা থেকে নেমে দোকানে সাজানো সেভেনআপে চোখ যায়। দুপুরে গরুর গোশত খেয়ে স্প্রাইট খেতে ইচ্ছে করছিলো। দু'লিটার সেভেন আপ সত্তর টাকা। দেড় বছর আগেও পঁয়তাল্লিশ-পঞ্চাশ টাকা ছিলো। বোতলের উপরে কোথাও দাম লেখা নেই। পুঁজিবাদের ছাত্র, শিখছি নিত্য।

-

পরদিন সকাল সকাল বাসা থেকে বের হই। সায়েদাবাদ থেকে চট্রগ্রামগামী ইউনিক সার্ভিস। সকাল ন'টা পনেরো। বসেছি ডানের সারিতে জানালার পাশে। আমার সামনে এক তরুণ-তরুণী। স্বামী স্ত্রী কিংবা ভাই বোন কিংবা অন্য কিছুও হতে পারে। বাম পাশের সারিতে অপেক্ষাকৃত সুদর্শন তরুণ-তরুণী। এবং আমি নিশ্চিত তারা স্বামী স্ত্রী কিংবা আরও ঘনিষ্ঠ কেউ। কারণ পুরুষটি তরুণীটির কাঁধে হাত রেখে বসেছে। তরুণীটির হাত পুরুষের উরুতে। এবং মিনিট খানের পরপর তাদের দু'জনের হাতের স্থান পরিবর্তন হচ্ছে। পারষ্পরিক স্পর্শে ঘনিষ্ঠতা প্রকাশ পাচ্ছে। (প্রিয় ধুসর গোধুলী, আপনি ভাববেন না - আমি চোখ ছানাবড় করে সেদিকে তাকিয়ে ছিলাম। মন্দ লোকেরা বলে - এমন দৃশ্য আমি অনায়াসে নব্বই থেকে পঁচানব্বই ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে পর্যবেক্ষণ করতে পারি। কেবল বিবরণটুকু আপনার মতো করে দিতে পারি না।)
কাঁচপুর ব্রিজ পার হতে না হতেই সামনের সীটের মহিলাটি বমি শুরু করেছে।
টাই পরা পরিপাটি সুপারভাইজর দৌড়ে এলো পলিব্যাগ নিয়ে। নিয়মিত বিরতিতে বমি চলছেই চলছে, থামে না। চান্দিনা পেরিয়েও বমি থামে না। পাশের স্বামী-অথবা ভাই-অথবা অন্য কেউ মানুষটির বিকার নেই। একবার বোধ হয় কথা বললো কিছু। তারপর চুপচাপ। হয়তো এমন বমির ঘটনায় অভ্যস্ত হয়ে গেছে। তাই অনায়াসে বামে দেখছে - সেই সুদর্শন তরুণীটি তরুণের কোলে মাথা রেখে সীটের উপর পা দুটি গুটিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়েছে। তরুণটি পরম মমতায় কপালে চুলে হাত বুলিয়ে যাচ্ছে।

মহাসড়কের পাশে বিজ্ঞাপনের বহর।
বাংলালিংক, গ্রামীণ ফোনের চোখ ধাঁধানো সাইনবোর্ড।
ফেয়ার অ্যান্ড লাভলীরগুলো মলিন হয়ে এসেছে। অনেক বছর বোধ হয় রঙের প্রলেপ নেই। পরিবার পরিকল্পনা ও জনসংখ্যা কার্যক্রমের দুটো বিজ্ঞাপন মনে রাখার মতো - "বিয়ের পরে দু'জন মিলে সেবা কেন্দ্রে যাও/ আলাপ আলোচনা করে সঠিক পদ্ধতি নাও।"
আরেকটি "মহিলাদের জন্য টিউবেক্টোমি হলো সর্বাধুনিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। কোনও প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।"

চৌদ্দগ্রামে রয়েল হোস্টে বিরতির পর সামনের বমি এবং পাশের ঘুম দুটোই ভাঙে। এবং তারা ক্রমাগত সজোরে কথা বলে। জানতে পারি - বামের মানুষগুলোর গন্তব্য কক্সবাজার-রাঙামাটি। মোবাইলে লাউড স্পীকারে গান শুনছে - আসিফের গান।

ফেনী পার হলে আরেকটি বিশাল বিজ্ঞাপন : "হিরো থাকলে রিস্ক নাই। হিরো।"

এভাবে নানান মুখ-পথ-দৃশ্য পেরিয়ে আমি ছিয়াশি বছরের দাদীর পাশে আসি। স্মৃতি হারানো মানুষটি অনেক কথা শুরু করে। মনে হলো, এই চিনলো আবার চিনলো না। তবুও স্নেহের কতো প্রশ্ন, মমতার ছোঁয়া। এ শেঁকড় ছেড়ে আমি কীভাবে উঠি?

বিয়ের দাওয়াত দাঁত ফসকে গেছে। আজ রাতে বৌভাত। লোকজনের সংগী সাথী হলাম রাত আটটায়। অনেকের সাথে দেখা আট দশ বছর পরে। বরের বাবা সাবেক নৌ বাহিনীর কর্মকর্তা। তাই পতেঙ্গায় তাদের কী একটা সেন্টারে খাওয়ার আয়োজন। বিভিন্ন নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে খেতে যাই। হল রূমে সাবেক প্রধানদের ছবি। বড় স্ক্রীনে বিটিভি। রাত তখন দশটা। মনে হলো অনেকেই খেয়ে চলে গেছে। আশেপাশে কেবল চেনা কিছু মুখ। খাবারে মেনুতে মুরগী নেই। বার্ড ফ্লু আতঙ্ক। তবে গরুর পাশাপাশি খাসী আছে। বরের বাবা বিশেষ কৌশলে রান্না করা ডাল টেস্ট করার বিনীত অনুরোধ করলেন। মিষ্টি এবং টক মেশানো এ ডাল নাকি নেভী স্পেশাল। আহামারী কিছু মনে হলো না। বরং শেষে বুরহানীর জগ না দেখে কিছুটা হতাশ হলাম।

চট্রগ্রাম শহরের জন্য আমার আলাদা রকম টান আছে। কোনও রাস্তা ঘাট চিনি না। তবুও ভালো লাগে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য। ঢাকার তুলনার বাগান মনে হতো। এবার আর সেরকম মনে হলো না। রাত সাড়ে এগারোটায়ও রাস্তায় ধুলো। সংস্কার নেই। বড়চাচার বাসায় যখন পৌঁছলাম তখন রাত বারোটা বেজে পাঁচ মিনিট। মোবাইলে হঠাৎ এসএমএস, গ্রামীণ ফোন পাঠিয়েছে - "রান্না করা মুরগীর মাংশ ও সেদ্ধ করা ডিম খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ।"


মন্তব্য

নিঝুম এর ছবি

এমন অসাধারন লেখা বুঝি শিমুল ভাই-ই লিখতে পারেন!!!চমতকার।

হারিয়ে গেলাম।আরেকবার।
---------------------------------------------------------
শেষ কথা যা হোলো না...বুঝে নিও নিছক কল্পনা...

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

বিপ্লব রহমান এর ছবি

আমি নিশ্চিত তারা স্বামী স্ত্রী কিংবা আরও ঘনিষ্ঠ কেউ। কারণ পুরুষটি তরুণীটির কাঁধে হাত রেখে বসেছে। তরুণীটির হাত পুরুষের উরুতে। এবং মিনিট খানের পরপর তাদের দু'জনের হাতের স্থান পরিবর্তন হচ্ছে। পারষ্পরিক স্পর্শে ঘনিষ্ঠতা প্রকাশ পাচ্ছে। (প্রিয় ধুসর গোধুলী, আপনি ভাববেন না - আমি চোখ ছানাবড় করে সেদিকে তাকিয়ে ছিলাম। মন্দ লোকেরা বলে - এমন দৃশ্য আমি অনায়াসে নব্বই থেকে পঁচানব্বই ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে পর্যবেক্ষণ করতে পারি। কেবল বিবরণটুকু আপনার মতো করে দিতে পারি না।)

হো হো হো হো হো হো হো হো হো

আরে শ্রদ্ধা এর আড়ালের মানুষটি তো বেশ সুদর্শন! @ নিঝুম। চোখ টিপি
তো ঢাকার সফর নিয়ে লিখছেন কবে?


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

সুদর্শন তরুণ তরুণীর দহরম-মহরম দেখিয়া জনাবের কোথাও বাজিল কি?

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

কিছুই বাজিলো না জনাবা। মন খারাপ

গৌতম এর ছবি

চট্টগ্রামে আমি একবার গিয়েছিলাম ২০০৫ সালে। পরেরবার যাই ২০০৭-এর নভেম্বরে। কী যে হতাশ হয়েছি! এমন ঝকঝকে-তকতকে সুন্দর শহরটাতে ময়লা-আবর্জনা ভর্তি, যানজট কোথাও কোথাও ঢাকার চেয়ে অনেক বেশি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নিঝুম এর ছবি

বিপ্লব ভাই যে কি বলেন...ঢাকা সফর নিয়ে কত কি যে লেখার আছে রে ভাই...এই শুরু করব বলে...
--------------------------------------------------------
শেষ কথা যা হোলো না...বুঝে নিও নিছক কল্পনা...

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

সুমন চৌধুরী এর ছবি

মুরগীর না হয় ফুলু...তাই বইলা বোরহানীও দিবো না???এইটা এক্টা কথা????



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আর্কৈয়েন্না। খানাপিনারায়োজঞ্জুইতোয়নাই।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হাসি

ঈমানে কই, আমি জায়গামতো এসে ঠিক এমনটাই ভাবছিলাম মন্তব্যে লিখবো। লাইনটা শেষ হওয়া মাত্রই দেখি শিমুল ব্র্যাকেটে কনফেস করে দিছে। হাসি

আস্তে আস্তে, একটার পর একটা শব্দ খুব যত্নের সাথে গেঁথে তবে লেখাটা তৈরী হয়েছে। অন্তত পড়তে গিয়ে তো আমার এমনটাই মনে হলো। শালার কবে যে এরকম করে গাঁথুনী শিখতে পারবো! মন খারাপ
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আমিও ঈমানে কই, আপনার ডরে লিখতেই পারি না। থাকসিনের নাকালোচনা অতো দ্রুত ঢাকা থেকে জার্মানী চলে যায়, তাই শংকা বাড়ে। কোন জায়গায় কোন এন্টেনা বসাইছেন আবার !

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- নাকালোচনাতে ঢাকারে টানেন ক্যা? পাতায়া থেকে নদীতে একটা ঝাপ দেন, তারপর কিছুক্ষণ উলটা সাঁতার দিয়া, সামান্য একটু ভাও সাঁতার দিয়া একটা ডুব দিলেই তো হামবুর্গ। আর সেখানকার দূর্গের দুয়ারটা খুললেই আমার উঠান দেখা যায়। তাইলে এইবার কন, নাকালোচনা শুনতে হইলে কি এ্যন্টেনা লাগে নাকি দুইটা নাক আর একটা কান থাকলেই হয়!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আমার পকেটে নাই দুই আধুলি/
জার্মান ডাকে ধুসর গোধুলী ।

কনফুসিয়াস এর ছবি

হুম। তাপ্পর?
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

নিঘাত তিথি এর ছবি

দু'লিটার সেভেন আপ সত্তর টাকা
? বলে কি? আমি তো সেদিন এলাম, তখনও এতো ছিলো না।

পুরা লেখা ঝাক্কাস। যেই সুরে লেখা হয়েছে শেষটাও সেই সুরেই, শেষ লাইন পড়ে ফিক করে হেসে ফেললাম।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

হুম, জিনিসপত্রের দাম বাড়তি। ৩৬-৪০ টাকার সয়াবিন ১০৫-১১০ টাকা লিটার ।

অয়ন এর ছবি

চট্টগ্রাম মিস করি মন খারাপ

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

আপ্নার্লেখা = আমার্ভার্চুয়াল দেশভ্রমণ! হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

শেখ জলিল এর ছবি

আরে! লেখাটা পড়ে মন্তব্য করি নাই কেন?
..তো শিমুলের সাথে থাকসিনও শ্যামদেশে ফিরেছে মনে হয়!

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

হাসি
তিনি যখন ফিরেছেন, তখন আমি দেশে ছিলাম ।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

দুর্দান্ত গুরু

---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

অয়ন, সন্ন্যাসীজি, নিঝুম, গৌতম, পরিবর্তনশীলসহ সবাইকে ধন্যবাদ ।

নজমুল আলবাব এর ছবি

কমেন্টাইনাই বইলা তুমি লেখা বন্ধ কইরা দিবা এইটা কেমন কথা? পরের পর্ব কখন দিবা জলদি বল.... আরে বলবা কি? জলদি পর্ব নামাও

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

অমিত আহমেদ এর ছবি

সেরম একটা লেখা হয়েছে শিমুল।

আহারে মিরপুর দশ! মিরপুরের রাস্তায় রাস্তায় কৈশোর কেটেছে। মিরপুর দশ ছিল আমার প্রিয় জায়গা। আর যখন প্রথম বিড়ি টানা শিখেছি তখন রিক্সা কিংবা টেম্পো নিয়ে দৈনিক দশে যেতাম, টানতে। ছোটবেলা থেকে এলাকার সবাই চিনে। দশে যাওয়া ছাড়া গতি ছিল না। সেখানকার জমজমাট পরিবেশটাও ভাল্লাগতো। ওখানে চৌধুরি আছে এখনো? আমার বেশির ভাগ অডিও ক্যাসেট ওখান থেকে কেনা। আর স্টেডিয়ামের ওখানে কত যে আড্ডা মেরেছি বন্ধুদের সাথে। আর অ্যাপটেকের সামনে চায়ের দোকানটা। বন্ধুদের সাথে বাজী হতো ক্যাফে মিরপুরে খাওয়াতে হবে। বিআরটিসি-র এক্সপ্রেস ৪১ এ ঝুলে ঝুলে ফার্মগেট। আর মিরপুর দুইয়ের সেই রেস্তোরা গুলো কাবাব নান।

বনানিতে আসার পর আর যাওয়াই হয়নি দশে। তোমার লেখা পড়ে এখন খুব মিস করছি।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

বড় মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।
চৌধুরী উদ্যোগ এখনো আছে। কোন এক পোস্টে চৌধুরী উদ্যোগের কথা লিখেছিলাম, খুঁজে পাচ্ছি না। ভেতরে পুরনো একটা ছেলেও আছে এখনো। সামনের ভাজা বাদামঅলা কালো লম্বা ছেলেটাকে মনে আছে? ১৯৯৭-২০০৪ পর্যন্ত একই জায়গায় বসতো। ওকে দেখলাম না এবার।

অ্যাপটেক মনে হয় নাই। ঐ সারিতে পুরোটাই পোশাকের দোকান। নকশী, ডিঙি, বাংলার মেলা, গ্রামীন সম্ভার - সংখ্যায় ডজনের উপরে। একটা হসপিটালও হয়েছে। ড্রাইভিং স্কুল আর মোটর মেকানিকের অল্প দুয়েকটা দোকান এখনো টিকে আছে। পুরনো রাস্তায় হেঁটে চেনাজানা ঘ্রাণ নাকে আসে, ভালোলাগাটা আসে না সেরকম; কারণ আড্ডার বন্ধুরা নেই, সেই উচ্ছ্বলতাও নেই।

_____

@ আলবাব ভাই/ আপনার কমেন্টের অপেক্ষাতেই ছিলাম হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

গত সপ্তাহে বড়ভাইয়ের বাড়িতে দাওয়াত ছিলো। দুপুরে খাওয়া দাওয়া কইরা বউ পোলাপান রাইখা বাইর হইলাম একটু মিরপুর চক্কর দিতে। দশ নম্বর গোল চক্কর... আহা... ছোটবেলার কত কত স্মৃতি। ফুটপাথে পুরনো বইয়ের দোকান এখনো দুএকটা অক্ষত আছে দেখে ভাল্লাগলো। চৌধুরী উদ্যোগের দিকে যাওয়া হয় নাই। তবে একসময় সেখান থেকে প্রচুর ক্যাসেট কিনছি। ওদের কালেকশন দূর্দান্ত ছিলো।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তারেক এর ছবি

বকেয়া মন্তব্য - ২ : পড়লাম হাসি
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

ঝরাপাতা এর ছবি

শিমুলের লেখায় ঢাকা শহরটা এক মুহুর্তে ভেসে উঠলো চোখের সামনে। চট্টগ্রামের জন্য সেই একই আক্ষেপ, সংস্কার নেই, নেই সেই আগের শহর।

লেখার জন্য শিমুলীয় তারকা।


রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।