গল্প: শনিবারে নাজ ম্যারেজ মিডিয়ায় (শেষ)

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: সোম, ০৯/০৩/২০০৯ - ১:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চা পানের দীর্ঘ বিরতির আগে...
আমরা জেনেছিলাম, ফারজানা নাজনীন লিপস্টিক না মাখা ঠোঁট চায়ের কাপে ডুবাতো। রাজন জিজ্ঞেস করতো ফারজানা লিপস্টিক দেয় না কেনো। ফারজানা এ প্রশ্নের উত্তরে কী বলতো তা আমাদের জানা নেই। তবে তারা চা খেতো। চিনি কম, দুধ বেশি, কিংবা রঙ চা'য়ে লেবু চিপে। তারা চা খেতো ক্যান্টিনে, রুস্তম চাচার দোকানে, মেরিনা কুলিং কর্ণারে। মাঝে মাঝে রাজন জিজ্ঞেস করতো - 'তুমি কখনো লিপস্টিক দাও না কেনো?'

____

ফারজানার মনে হয়েছিলো এমন প্রশ্ন করার জন্য সাহস লাগে। রাজনের সেই সাহস আছে। এরপর তারা ক্রমশঃ ঘনিষ্ঠ হয়। তাদের একসাথে দেখা যায় ক্যান্টিনে, লাইব্রেরিতে, ছাত্র সংসদের অফিসে অথবা আরেকটু দূরে পুকুর পাড়ের নির্জনে। কেউ কেউ বলতো, ফারজানা নাজনীনের এ সাহসের পেছনে আসল লোক রাজন। কারণ, সে উপজেলা ভূমি কমিশনারের ছেলে, মোটর সাইকেল চাপিয়ে কলেজে আসে। যখন ইচ্ছা ক্লাস করে, যখন ইচ্ছা করে না, কিন্তু পাশ করে সব পরীক্ষায়। এলাকার ছেলেপেলে ফারজানাকে ঘাঁটানোর সাহস পেতো না এই রাজন এবং তার বাবার ভয়ে। সরকারী অফিসারের ক্ষমতা নিয়ে কম বেশি জানা ছিলো সবারই। অথচ ফারজানা কখনো রাজনের নাম ভাঙায়নি কোথাও। কলেজের বাইরে টং দোকানে চা খাওয়ার সময় কোনো এক ছেলে খারাপ কিছু একটা বলেছিলো, যেটা দোকানের মালিক রুস্তমচাচাও শোনেনি। শুনেছে ফারজানা, আর সাথে সাথে গরম চায়ের কাপ ছুড়ে মেরেছে ঐ ছেলের মুখে। রাজনকে ডাকা লাগেনি। ভয়ে ছেলেটি দৌড়ে পালিয়েছিলো, দেখে কেউ বলেছিলো – ‘খুব ভালো করেছে চায়ের কাপ মেরে’, কেউ বলেছে – ‘এমন দস্যি মেয়ে কোন বাবা জন্ম দিলো’। ফারজানার বাবা বেঁচে ছিলো না তখন। ভাইদের প্রশ্রয়ে নানান কাহিনীর নায়িকা ফারজানাকে এরপর একদিন দেখা যায় উপজেলা ভূমি কমিশনারের ছেলে রাজনের মোটরবাইকের পেছনে বসে কুসুমিয়া কলেজের সামনে দিয়ে কোথাও চলে যাচ্ছে। তার ডান হাত রাজনের কোমর ছুঁয়ে ছিলো। অনেকদিন পর ফারজানার তাই রাজনকে মনে পড়ে সে বিকেলে। ইচ্ছে করে, রাজনের মোটর বাইকে চড়ে কুসুমিয়া থানা কমপ্লেক্সের সামনে গিয়ে থামতে। রাজন মোটরবাইকে বসে থাকবে, ওসি রওশন আরাকে ইচ্ছেমতো শাসিয়ে ফারজানা। এ কাজ সে এখনো ইচ্ছে করলে করতে পারে, ফারজানা জানে, সাহসের কমতি হবে না। কিন্তু এতদিন পরে ঝামেলায় জড়াতে ইচ্ছে করে না। তাই পুরনো রোমান্টিসিজম ভর করে মনে, যেখানে রাজন আর তার মোটরবাইক সঙ্গী হয়ে উঠে। রাজনের উপর পুরনো অভিমান আবার জেগে উঠে – একটা মানুষ চলে যাওয়ার পর একবারও খবর নিলো না! রাজন এখন কোথায় আছে কী করছে কিছুই জানা নেই। কেবল জেনেছিলো পাঁচ বছর আগে, ‘আব্বা বদলী হয়ে যাচ্ছে। আমরা চলে যাবো ত্রিশ তারিখে।’ এসব ভেবে ভেবে ফারজানা দীর্ঘশ্বাস ফেলে।

সেই শনিবারের পরে আরো দুই শনিবার চলে যায়। রওশন আরার জন্য পাত্র পাওয়া যায় না। নাজ ম্যারেজ মিডিয়া চালু হওয়ার আগে যেসব বেকার বৃদ্ধ ঘটকালী ব্যবসায় ছাতা হাতে ছুটতো তাদের কাছে ধর্না দেয় মাসুদ চাচা, বলে - যদি তেমন পাত্র থাকে। কিন্তু পাত্রীর নাম পরিচয় গোপন রাখে ফারজানার পরামর্শে। সেসব পুরনো ঘটকদের কেউ কেউ অবাক হয়, নাজ ম্যারেজ মিডিয়ার ম্যানেজার এসে তাদের কাছে পাত্র খুঁজছে। অথচ গত দু’বছরে তাদের সব ব্যবসা কেড়ে নিয়েছে এই ফারজানা নাজনীন। মুখে না বললেও সবাই বুঝে, এখানে ধমক ছিলো না একেবারে, যা ছিলো তার পুরোটাই নিছক চমক। উদ্যমী, সাহসী, স্পষ্টভাষী ফারজানার কথায় প্যাঁচ নেই। পাত্র কিংবা পাত্রী পক্ষের তথ্য গোপনের চেষ্টা নেই। আর মানুষ যখন ক্রমশঃ আধুনিক হচ্ছে, মোবাইল ফোনে কথা বলছে, ঘরে চৌদ্দ ইঞ্চি কংকা রঙিণ টিভি দেখছে, তখন জীর্ণ শীর্ণ বুড়ো পানখেকো বুড়ো ঘটক নয়, ফি দিয়ে ফাইলে নাম লেখানো সিস্টেমে নাজ ম্যারেজ মিডিয়ায় গিয়ে ফারজানার সাথে আলাপ করা যায়, ঠান্ডা ফ্যানের বাতাসে বসে স্প্রাইটের বোতলে মুখ লাগিয়ে এলবামে রাখা পাত্র-পাত্রীর রঙিণ ছবি দেখা যায়। এতোসব হাঁকডাকের মধ্যে ফারজানা মোবাইলে নানান নম্বর টিপে, কিন্তু কোথাও ত্রিশোর্ধ্ব অবিবাহিত সরকারী চাকুরীজীবি অথবা ব্যবসায়ী পাত্র পাওয়া যায় না। শেষে ফারজানা নিজেই ফোন করে ওসি রওশন আরাকে। মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় রওশন আরা ফারজানাকে পরে ফোন করবে জানায়, কিন্তু ফোন করে না। আরো তিন চারদিন পর এক দুপুরে রওশন আরা হাজির হয় নাজ ম্যারেজ মিডিয়ার অফিসে। তখন সেখানে পাত্র পাত্রীর সন্ধানে আসা জনা চারেক লোক ছিলো, মাসুদ চাচা ছিলো। ওসির আচমকা আগমনে উপস্থিত লোকেরা খানিক সংকোচিত হলে তাদের ভীত হওয়ার সুযোগ না দিয়ে রওশন আরা বলে,
‘আপনারা সবাই একটু বাইরে যান, ফারজানা ম্যাডামের সাথে আমার প্রাইভেট আলাপ আছে।’
শুরুতেই ‘ঠান্ডা কিছু খাবেন’ প্রশ্ন করে আলাপ জমাতে চাইলেও ফারজানার অস্বস্তি কমে না, বরং বাড়তে থাকে যখন রওশন আরা বলে – ‘কিছু খাবো না, আমার ব্যাপারটার কদ্দুর কী করলেন?’ ফারজানা সহজ হওয়ার চেষ্টা করে, হাসিমুখে বলে – ‘আসলে বুঝেন তো আমাদের ছোট মফস্বল। আপনার মতো উঁচু মানুষের জন্য পাত্র পাওয়া সহজ না মোটেও...।’ এরপর ফারজানা আরো কিছু বলতে চায়, পারেনা। কারণ, রওশন আরা ফারজানাকে ইশারায় থামিয়ে বলে, ‘আপনাদের এই ম্যারেজ মিডিয়ার নামে তো থানায় অনেক কমপ্লেইন।’
ফারজানা থতমত খায়, ‘কী রকম?’
রওশন আরা টেবিলে আঙুলের টোকা মারে। ঠুক ঠুক করে বলে, ‘অভিযোগ আর কি? প্রতারণা...। বিয়ে শাদীর নাম করে আপনারা লোক ঠকান। টাকা দাবী করেন। এইসব।’
ফারজানা এবার সাহসী হয়, ‘অভিযোগের বিবরণ কি আমি জানতে পারি? প্রয়োজন হলে আপনার অফিসেও যেতে পারি।’
রওশন আরা চেয়ার ছেড়ে উঠে, বলে - ‘থানায় যেতে হবে না। একটু সতর্ক থাকেন কাজে কর্মে, তাতেই চলবে।’
নাজ ম্যারেজ মিডিয়ার অফিসে ওসি রওশন আরা আসার এবং চলে যাওয়ার এ দৃশ্য দেখে অনেকেই। কেউ কেউ এর কারণ খুঁজে। সেরকমই একজন পঞ্চাশোর্ধ্ব বিগত বাম বিপ্লবী চিরকুমার বিল্টুকাকা আসে ফারজানার অফিসে, ‘কি ফারজানা! পুলিশ আসলো তোমার অফিসে? বিয়েশাদী করতে চায় নাকি?’
ফারজানা হাসি দেয়, ‘হ্যাঁ বিল্টু্কাকা – ঠিক ধরেছেন, ঐ ওসিকে আপনি বিয়ে করবেন?’
বিল্টুকাকা টেবিলে মাথা ঝোঁকায়, ‘তুমি আমার জন্য ঘুষখোর পাত্রী পছন্দ করলা?’
এরপর দুজনেই শব্দ করে হাসে। সামনের টেবিলে বসা মাসুদ চাচা হাসে। ফারজানা বলে, ‘বিল্টুকাকার জন্য চা নিয়ে আসেন চাচা’।

এ ঘটনার পরে আরো মাস চলে যায়। নাজ ম্যারেজ মিডিয়া আগের মতোই সরগরম থাকে। ওসি রওশন আরা আর আসেনি, ফোনও করেনি। একদিন খবর আসে ওসি রওশন আরা বদলী হয়ে গেছে জেলা পুলিশ সদর দপ্তরে। উপজেলা অডিটোরিয়ামে তাকে বিদায় সম্বর্ধনা দেয়া হয়েছে, এমন খবরও ফারজানার কানে আসে।

এরপর অন্য এক শনিবারে দুপুর এবং বিকেলের মাঝামাঝি সময়ে নাজ ম্যারেজ মিডিয়ার অফিসে কাজে মগ্ন ফারজানার মনোযোগ ভাঙে ‘নাজ, আপনার হাতে ভালো পাত্রী আছে’ প্রশ্নে। ফারজানা চোখ তুলে তাকায়।
সামনে চেয়ারে বসা ইউনিফর্ম পরা রাজন আহমেদ, কুসুমিয়া থানার নতুন ওসি।
__

(সমাপ্ত)

এরপরে আরও কিছু ঘটনা আছে। আবার চা-বিরতির শংকায় সেসবে আর যাওয়া হলো না।


মন্তব্য

এলোমেলো ভাবনা এর ছবি

শেষটা বেশী ভাল লাগলো।
চলুক


এমন শহরে আমি ঘুরি , নাকি শহরটাই ভবঘুরে?


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

শুকরিয়া...

রণদীপম বসু এর ছবি

হুমমম..! ম্যারেজ মিডিয়া ব্যবসাটা আজকাল মন্দ নয় দেখছি !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

সচলে বিবাহোন্মুখদের সংখ্যা কেমন মনে হয়!

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

একমাত্র আপনাকেই ফিরতে দেখলাম চা-বিরতির পর হাসি
অভিনন্দন!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

হা হা। এই কাজের জন্যও অভিনন্দন? দেঁতো হাসি

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

এই কাজের জন্যও অভিনন্দন?

অবশ্যই! এতোদিন ধরে দেখে আসছি, সচলায়তনে চা-বিরতিতে যে যায়, সে আর ফেরে না।
আপনি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত রাখলেন হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

যতটা ভেবেছিলাম ততটা মজা লাগেনি। লেখকের মনে হয় অন্য কোন প্ল্যান ছিল শুরুতে। পরে কিছু একটা ভেবে অন্যভাবে শেষ করলেন। অর্থাৎ শুরুরটা পড়ে যেভাবে গল্প আগাতে পারে ভাবছিলাম, সেদিকে যায় নি গল্পটা। এটা পাঠক হিসেবে আমার মনের অতি কল্পনাও হতে পারে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

হা হা! পুরো ঠিক ধরেছেন। ৭০% পর্যন্ত ঠিক ছিলো। এর পরে তাড়াহুড়ায় পড়ে চিন্তার কাটছাট...। শেষে এই হাল ঃ)

থ্যাঙ্ক্যু...থ্যাঙ্ক্যু...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- পিছনে কি লাঠি নিয়া কেউ তাড়া করছিলো? এতো সুন্দর একটা শিমুলীয় গল্পকে ধ্বংস করে দেয়া ঠিক হলো শিমুল?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

গৌতম এর ছবি

নাজ ম্যারেজ মিডিয়া দিয়াও ধুগোদার জন্য একটা কিনারা করা যাইলো না!!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

মাল্যবান এর ছবি

প্রথমে ভাবা যাচ্ছিলো রওশনের সাথে রাজনের বিয়ে হয়েছে এরকম একটি খবর ফারজানা পাবে। কিন্তু সেটা বড্ড গতানুগতিক হোতো। তাই তা না হয়ে ভালো হয়েছে। ফলে গল্পটা শেষ হয়নি, "চলবে"। এখন একটা অতৃপ্তি রয়ে থাকল। শেষ হইয়াও হইলো না শেষ।
এর পরেরটুকু লিখবেন নাকি ?

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হুমম! আমি বইয়ে আগেই পড়েছি। হো হো হো

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

লেখক মনে হল দৌড়ের উপর তাড়াহুড়া করে লিখেছেন। (সরাসরি বললাম, কিছু মনে করবেন না কিন্তু চোখ টিপি )

বাউলিআনা [অতিথি] এর ছবি

শেষটা একটু তাড়াহুড়া করে হলেও আমার কাছে ভাল লেগেছে।
হাসি
অফ টপিক: সচলে যারা উদ্ভিন্ন যৌবন পার করছেন এবং অবিবাহিত তাদের জন্য কি "সচল ম্যারেজ মিডিয়া" খোলার কোনো পরিকল্পনা আছে?

ফারুক হাসান এর ছবি

ফাঁকি দিয়া গেলেন!

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

উঁহু গল্পটা কিন্তু শেষ করলেন না।
বাকী অংশ শেষ করেন।
আবার চা বিরতি থেকে ফিরলে একবারে ধন্যবাদ দেব।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

শেষটা ভালো লাগলো।
তবে আপনার মতো হয়নি।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

কীর্তিনাশা এর ছবি

শেষটা পড়ছিলাম সেই প্রাগৈতিহাসিক আমলে। তাই এখন আর খেই ধরতে পারছি না। আবার প্রথম থেকে পড়ে এসে তারপর কমেন্ট করুমনে.... হাসি

অনন্ত কাল ধরে চা না খাওয়ার জন্য শিমুল ভাইকে ধইন্যবাদ............ হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বইতে আগেই পড়ছি...

যা বলতে চাইছিলাম তা বললাম না... পীরের নিধেষ আছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

লীনা ফেরদৌস এর ছবি

Lina Fardows

সচলে ম্যারেজ মিডিয়া ব্যবসাটা আমি শুরু করব ভাবছি । গল্পটা খুব মনপুত হল না।

Lina Fardows

হিমু এর ছবি

জাকাজা ভায়রাভাই পরিষদকে কর্পোরেট ক্লায়েন্ট হিসাবে পেতে হলে এদিকে যোগাযোগ করেন। ঘুষটুষ রেডি করেন।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

লীনা'পু, ম্যারেজ মিডিয়ার ব্যবসা শুরু করবেন ভালো কথা। তবে আমার কথা ভুলে যাইয়েন না আবার। আপনার সিঙ্গেল সেই ননদ... না থাক, লোকসম্মুখে না বলি আর। দেঁতো হাসি

ঝরাপাতা এর ছবি

হ, আমিও এইটার মডিফাইড শিমুলীয় ভার্সন চাই।


নিজের ফুলদানীতে যারা পৃথিবীর সব ফুলকে আঁটাতে চায় তারা মুদি; কবি নয়। কবির কাজ ফুল ফুটিয়ে যাওয়া তার চলার পথে পথে। সে ফুল কাকে গন্ধ দিলো, কার খোঁপায় বা ফুলদানীতে উঠলো তা দেখা তার কাজ নয়।
___________________________ [বুদ্ধদেব গুহ]


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

দময়ন্তী এর ছবি

যা: গল্পটা কেমন যেন হয়ে গেল৷ রওশন আরা এসে শাসিয়ে যাওয়া অবধি বেশ চলছিল, তারপরই কিরকম গোলে হরিবোল হয়ে গেল ৷
গল্পটার প্রতি একেবারেই সুবিচার করলেন না কিন্তু মন খারাপ
----------------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

তানবীরা এর ছবি

শিমূলকে আগেই বলেছিলাম ফারজানার সাথে রাজনের প্রেম দিও না, পোলাপাইন খাইবো না। সচলরা বড্ডই ত্যাদর। আমিও মুর্শেদ ভাইয়ের সাথে একমত। তবে আমি খুবই একটা অন্যরকম শেষ চেয়েছিলাম।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

রানা মেহের এর ছবি

শিমুল ফাঁকিবাজি করলো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

s-s এর ছবি

ঝুলে গেলো।
আদৌ কি পরিপাটি হয় কোনো ক্লেদ?ঋণ শুধু শরীরেরই, মন ঋণহীন??

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

সবাইকে মন খোলা - স্বতস্ফুর্ত মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা। এমনই কাটকাট মন্তব্যই চাই সচলে... ঃ) সবাইকে আবারও ধন্যবাদ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।