দুবাই ভ্রমণ: ছবি ব্লগ-৪

মরুদ্যান এর ছবি
লিখেছেন মরুদ্যান [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২২/০৫/২০১২ - ১২:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভূমিকা: দুবাই ভ্রমণের ছবি নিয়ে এটা দ্বিতীয় লেখা, ছবি বিষয়ক পোস্ট হিসেবে চার নম্বর। দুবাই ভ্রমণের প্রথম ছবি নিয়ে যে পোস্ট দিলাম কয়েকদিন আগে, সেখানে কোন এক অজানা কারণে ৫ টা ছবি ছাড়া কিছুই দেখা গেলনা। যদিও দেয়ার আগে অনেক অনেক বার চেক করে দেখেছিলাম। অচল হবার কারণে পরে পোস্টটা এডিটও করতে পারলাম না। কোনদিন অচলত্ব কাটলে ঠিক করব পোস্ট টা। আগের লেখাগুলোর লিংক:

ভূমিকা: দুবাই ভ্রমণের ছবি নিয়ে এটা দ্বিতীয় লেখা, ছবি বিষয়ক পোস্ট হিসেবে চার নম্বর। দুবাই ভ্রমণের প্রথম ছবি নিয়ে যে পোস্ট দিলাম কয়েকদিন আগে, সেখানে কোন এক অজানা কারণে ৫ টা ছবি ছাড়া কিছুই দেখা গেলনা। যদিও দেয়ার আগে অনেক অনেক বার চেক করে দেখেছিলাম। অচল হবার কারণে পরে পোস্টটা এডিটও করতে পারলাম না। কোনদিন অচলত্ব কাটলে ঠিক করব পোস্ট টা। আগের লেখাগুলোর লিংক:

'কাতার' থেকে: ছবি ব্লগ-১

'কাতার' থেকে: ছবি ব্লগ-২

ক্যামেরাবাজি: আসুন 'প্যানিং' শিখি

দুবাই ভ্রমণ: ছবি ব্লগ-৩

সতর্কীকরণ: ট্যুর ছিল মোটামুটি দৌড়ের উপর, সময় নিয়ে পারফেক্ট ছবি তুলার উপায় ছিলনা। ছবি বেশিরভাগই ধর তক্তা মার পেরেক স্টাইলে তোলা। তাই ছবির গুণাগুণে হতাশ হতে পারেন, হলেও অসুবিধা নাই, যা হওয়ার তা হয়ে গেছে।

গত পোস্ট ছিল মেট্রো দিয়ে জেবেল আলি স্টেশনে নামা পর্যন্ত, গন্তব‌্য ছিল ইবনে বতুতা মল। আজকের পোস্ট হবে ইবনে বতুতা মলে ঘুরাঘুরি নিয়ে।

প্রথমে ইবনে বতুতা মল নিয়ে সংক্ষেপে একটু বলি। এটা অনেক বড় একটা শপিং মল, শেখ জায়েদ রোডের উপর জেবেল আলি ভিলেজের কাছেই অবস্হিত, নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০০৫ সালে। মলের নামকরণ করা হয়েছে বিখ্যাত পরিব্রাজক ইবনে বতুতার নামানুসারে এবং এর গঠনশৈলীও ইবনে বতুতার জীবন ও ভ্রমণের সাথে সম্পর্কযুক্ত। বতুতা সাহেব তার জীবদ্দশায় পৃথিবীর অসংখ্য স্হানে ভ্রমণ করেছিলেন। তার মধ্য থেকে ৬ টি উল্লেখযোগ্য দেশের উপর ভিত্তি করে এই মলে নির্মাণ করা হয়েছে ছয়টি কোর্ট বা এলাকা:

১) চীন

২) ভারত

৩) পারস্য

৪) মিশর

৫) তিউনিশিয়া

৬) আন্দালুসিয়া

প্রত‌্যেকটি কোর্টের স্হাপত্য বা গঠনশৈলীতেই সংশ্লিষ্ট দেশের স্পষ্ট ছাপ দেখা যায়, তাই অনেক বৈচিত্র্য, অনেক নতুনত্ব। মলে হাঁটতে যেই আমার ব্যাপক এ্যালার্জি, সেই আমিও অনেক উৎসাহ নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করেছি।

জেবেল আলি স্টেশনে নামার পর চোখে পড়ল বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা সারি সারি বাস আর ট্যাক্সি। দুবাইয়ে চারটা কোম্পানির ট্যাক্সি আছে, সবগুলার উপরেই অবশ্য সরকারের কড়া নজরদারি। চার কোম্পানির ট্যাক্সির ছাদের রং চার রকম: সবুজ, হলুদ, লাল আর নীল। ট‌্যাক্সি ভাড়া অনেক, তাই বেদম ঠ‌্যাকায় না পড়লে ট্যাক্সিতে না চড়াই উত্তম। সেই তুলনায় বাস বেশ সস্তা কিন্তু তারও অনেক হ্যাপা! বাসের রুট জটিল আর সেটা জানা না থাকলে খবর হয়ে যায়! বাস সব জায়গায় যায়ও না তবে মজার জিনিস হচ্ছে বাস আর মেট্রোতে একই স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে চড়া যায়, কার্ডটা প্রিপেইড আর মেশিন রিডেবল।

স্টেশনের উল্টা দিকে ইবনে বতুতার যে অংশ সেটা হচ্ছে মিশর কোর্ট। বাইরে থেকেই দেখা যায় এর নির্মাণশৈলী পুরোপুরি মিশরীয় স্টাইলে করা।

একজন হাসিখুশি ট্যুরিস্ট

ভিতরে প্রবেশ করতেই মুগ্ধ হয়ে গেলাম, চারদিকে মাথার উপরে যেদিকেই তাকাই মিশরীয় স্হাপত্য আর দেয়ালচিত্রের নিদর্শন। মুখ ফুটে আনমনেই বের হয়ে গেল 'ওয়াও'!

একটু আগালেই বিরাট হলওয়ের মাঝে একটা বিশালাকৃতির ভাস্কর্য দেখতে পেলাম। থিম হল জ‌্যোতির্বিদ্যায় প্রাচীন মিশরীয়দের গবেষণা।

সেদিন সকাল থেকে আমরা ঘুরাঘুরি করছিলাম, তেমন কিছুই খাওয়া হয়নি। তাই মিশরীয় কোর্টের পরে যখন দেখলাম মলের সবচেয়ে সুন্দর জায়গাটায় এসেছি, তখন আর নিজেকে সামলাতে পারলাম না,ক্ষুধা ভুলে মনের খুশিতে আবার দিলাম দৌড়। জায়গাটা ছিল 'ফুড কোর্ট'। খুঁজে বের করলাম একটা থাই খাবারের দোকান, ব্যাপক মজার সব খানাদানা দিয়ে ভর্তি।

আমি একটা প্যাকেজ নিলাম, খাবারের পরিমাণ খুব বেশি না কিন্তু দাম ভালই, ৩৫ দিরহাম। যাই হোক, খাওয়ার সময় এত ইতং বিতং ভাবলে চলে? তাই অবিলম্বে গাপুস গুপুস শুরু। সাদা ভাত, সুইট 'ন স্পাইসি চিকেন কারি, স্প্রিং রোল, প্রন বল আর ৩ রকমের সস, আহা!!!

খাওয়া দাওয়ার পর সোজা এগিয়ে দেখলাম এবার তিউনিশিয়ান কোর্ট। তেমন কোন উল্লেখযোগ্য আলাদা বৈশিষ্ট্য চোখে পড়ল না, বা আমি হয়তো মিস করেছি, কিন্তু এমনিতে সুন্দর।

তিউনিশিয়ার পর আসল আন্দালুসিয়া, অনেক বেশি সমৃদ্ধ, অনেক বেশি সুন্দর। দেখার মতন অনেক কিছু ছিল, তোরণের পরপরই উপর থেকে ঝুলানো একটা ভাস্কর্য চোখে পড়ল। দেখে মনে হল ইবনে বতুতা আন্দালুসিয়াতে সেখানকার গবেষকদের আকাশে উড়ার যে প্রচেষ্টা সম্পর্কে লিপিবদ্ধ করেছেন, ভাস্কর্যটা সেই থিমের উপর ভিত্তি করে বানানো হয়েছে।

এরপর হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছলাম আন্দালুসিয়া কোর্টের কেন্দ্রীয় হলরুমে। এককথায় রাজকীয়!

এসব দেখার ফাঁকে ফাঁকে দু-একটা দোকানেও ঢুকেছিলাম, দোকান বা দোকানের পণ্য সবই মোটামুটি কাতারেও আছে, শুধু দামটা একটু কম। আর বউকে আগেই বলে এনেছি এই ট্যুরে নো শপিং! শুধু ঘুরব, খাব আর ঘুমাব! এরপরও বাসার জন্য ছোট ছোট কয়েকটা স্যুভেনির কিনলাম, বুর্জ খলিফা, বুর্জাল আরব এসবের মিনিয়েচার আর ফ্রিজে লাগানোর ম্যাগনেট।

আন্দালুসিয়ার পর এবার পারস্য!! পারস্য সবসময়ই আমার কাছে রহস্য আর রোমাঞ্চে ভরা। এখানেও দেখলাম লাইটিংয়ে আর সাজসজ্জায় সেটা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা। ক্যামেরায় তার তেমন কিছুই ধরতে পারিনি, আসলে তখন দুচোখ ভরে দেখা নেয়াটাকেই বেশি দরকারি মনে হচ্ছিল।

এবার চলেন যাই ভারত উপমহাদেশে। ভেবেছিলাম তাজমহল টাইপের কিছু নিশ্চয়ই থাকবে, কিন্তু না সেরকম কিছু ছিলনা। তার বদলে ছিল ভারতে রাজাদের গৌরবময় সওয়ার, আলেকজান্ডার বাহিনীর বিস্ময়: হাতি!

আর পা চলছিলনা!! ইচ্ছা করছিল হাত পা ছড়িয়ে কোথাও একটু শুয়ে পড়ি।যাই হোক ভারতের পর মলের শেষ অংশ চীনা কোর্ট। চীনা ঐতিহাসিক চলচ্চিত্রগুলো দেখলেই বুঝা যায় তখনকার চীনা সাম্রাজ্যে লাল রঙের আধিক্য, এখানেও তার ব্যতিক্রম না।

চীনা কোর্টের একটা বিশাল জায়গা জুড়ে প্রাচীন চৈনিক নৌযানের মডেল সাজানো আছে। আরো দেখলাম একটা বিরাট বইয়ের মডেল, আরবী ভাষায় লেখা দেখে ঠিক বুঝতে পারিনি কি লেখা ছিল। একটা জাহাজের ভাস্কর্য খুব ভাল লাগল, অনেক জীবন্ত, চলতে চলতে যেন একটা জাহাজ হঠাৎ একটা বড় পাথরের চাঙড়ে আটকে গ্যাছে।

একজন বেজার (আসলে ক্লান্ত) পরিব্রাজককে খুঁজে পাওয়া গেল

ঘড়িতে ততক্ষণে দুপুর দেড়টা। আমাদের তাড়াতাড়ি ডেরায় ফিরতে হবে,কারণ সাড়ে তিনটায় গাড়ি আসবে 'মরুভূমি (ডেজার্ট) সাফারি' তে নিয়ে যাবার জন্য। তাই বের হলাম, ট্যাক্সিতে উঠার আগে শেষ একটা ছবি বাইরে থেকে।

এখানে পরে আর যাওয়া হয়নি। এরকম সুন্দর মল আমি জীবনে আর দেখিনি, কিন্তু কে জানে হয়তো সামনের দিন গুলোতে কোন একটা জায়গা আবার হয়তো আমাকে চমকে দেবে! সেই আশায়ই এই নিরন্তর ছুটে চলা! সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দেড় মাস পরেই কাতার জীবনের আপাত সমাপ্তি, তারপর আবার একটা নতুন দেশ, নতুন অনুভূতি, নতুন অভিজ্ঞতার ঝুলি।

আজ এই পর্যন্তই, পরের পর্ব শুরু হবে এরপর থেকে।

--মরুদ্যান।


মন্তব্য

সাইদ এর ছবি

টেকা দেন দুবাই যামু

মরুদ্যান এর ছবি

আমি?? চিন্তিত

শ্বশুর আছে কি করতে?? চোখ টিপি

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

ও ধুগোদাগো, এট্টু উনার ফ্লিকারে উঁকি দিয়েন গো দাদা। নাচুনে পেটের যা ছবি আছে না দুইখান। শয়তানী হাসি

মরুদ্যান ভাই, ওই ছবিগুলা নাই কেন পোস্টে? সুশীল সমাজের কাছে আমার বিচার রইল।

লেখা আর ছবি ভাল লেগেছে। পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

মরুদ্যান এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- দেঁতো হাসি

ওই ছবি পরে আসবে, ক্রমানুসারে।

শাফি এর ছবি

চলুক

মরুদ্যান এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

রামগরুড় এর ছবি

দুবাই যামু, ট্যাকা দ্যান।

মরুদ্যান এর ছবি

মন্তব্য নম্বর ১ এর জবাব দ্রষ্টব্য।

সাফি এর ছবি

হেলায় ফেলায় পড়তেসিলাম, হঠাত এই লাইন পড়ে লাফ দিয়া উঠসি -

প্রথমে ইবনে বতুতার মল নিয়ে সংক্ষেপে একটু বলি।

পরে দেখি একটা "র" বেশী দেখ্সি।

মরুদ্যান এর ছবি

ওঁয়া ওঁয়া হেলায় ফেলায়!!!

সাফি এর ছবি

কান্দিস না, ছবি ব্লগে আগে ছবি দেখি পরে লেখা পড়ি খাইছে

মরুদ্যান এর ছবি

তোর মত সবাই হইলে আমার মতন আইলসার হেব্বি আরাম হইত দেঁতো হাসি সমানে ছবি আপলোডাইয়া হাওয়া! শয়তানী হাসি

তানজিম এর ছবি

আপনার ছবি তোলার হাত বেশ ভাল চলুক

মরুদ্যান এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

কালো কাক এর ছবি

চলুক

মরুদ্যান এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মুস্তাফিজ এর ছবি

আপনার ছবি তোলার হাত ভালো। ছবিব্লগে শুধুমাত্র ছবি দেখানোই উদ্দেশ্য হলে আমার কোন কথা নেই। আপনি যা করতে পারেন সেটা হলো ছবির সাথে সাথে বিষয়বস্তুর কিঞ্চিত বিবরণ আর ইতিহাস জুড়ে দেয়া। আর যতটুকুই দেবেন খেয়াল রাখবেন তাতে যেন সত্যতা থাকে।
আমার উদ্দেশ্য আপনার ব্লগের সমালোচলা নয়। আপনি চাইলে এটাকে আরো আকর্ষনীয় করতে পারেন। যেমন ধরেন এই ব্লগ নিয়েই বলি
১। মল ছয়টা বিভিন্ন নাম বা কোর্টে ভাগ করা জানলাম, সেই সাথে কোন কোর্টে কি জিনিষ পাওয়া যায় জানা থাকলে ভালো হতো (যেমন চায়না কোর্ট এন্টারটেইন্মেন্ট, ইন্ডিয়ান কোর্ট ফ্যাশন ...)।
২। জোন গুলোর ডিজাইনে সেই অঞ্চলের স্থাপত্যের নিদর্শন আছে। বিশেষ করে ইবনে বতুতা যখন সেই অঞ্চল ভ্রমণ করেছিলেন তখনকার। আপনার লেখায় পাই “খাওয়া দাওয়ার পর সোজা এগিয়ে দেখলাম এবার তিউনিশিয়ান কোর্ট। তেমন কোন উল্লেখযোগ্য আলাদা বৈশিষ্ট্য চোখে পড়ল না, বা আমি হয়তো মিস করেছি, কিন্তু এমনিতে সুন্দর।“ অথচ এই মলের অন্যতম সুন্দর অংশ এই তিউনিসিয়া বা নর্থ আফ্রিকান কোর্ট। আপনার ছবিতেই ছাদে আঁকা যে আকাশটা দেখা যায় এটার কথাই ধরুন, কিংবা সেসময়ের উত্তর আফ্রিকার বাড়ি ঘরের গ্লেজড টাইলস, রট আইরনের জানালা কিংবা দেয়াল (crenellations or battlement) বা আফ্রিকান কাঠের কাজ যা এখানে বসানো হয়েছে সেসব দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে বলাটা আমি অন্ততঃ ক্ষমা করতে পারছিনা।
৩। আন্দালুসিয়ান অংশে কর্ডোবার মসজিদ আর গ্রানাডার রাজপ্রাসাদের স্থাপত্যের ছাপ আপনার ছবিতেই দেখা যায়। যেহেতু ভ্রমণব্লগ/ছবি ব্লগ দিচ্ছেন তাই এদিকেও একটু খোঁজখবর নিয়ে বিস্তারিত দিলে জানার পরিধি বাড়ে।
৪। ভারতীয় অংশের কথা বলি। বতুতা সম্ভবত সম্রাট তুঘলগের সময়ে ভারতে আসেন, উনি কিছুদিন তুঘলগের অধীনে বিচারকের কাজও করেন। কিন্তু এই অংশের ডিজাইনে আরো অনেক পরের সময়ের স্থাপত্যের ছাপ আছে। হুমায়ুনের কবরের লাল রঙ, তাজমহলের সাদা মার্বেল আর একই ছাদে চারটা ডোম আর ফুল্পাতার নকশা, এম্বার ফোর্টের পদ্মপাতার ডিজাইনের থাম, হাওয়া মহলের জানালা এই সব কোন কিছুর বিবরণ কিন্তু এখানে নেই।
৫। চায়নার অংশটুকুও আগের মতনই, আপনার তোলা ছবি দেখে প্রথমে চমকে উঠে আবারো শিরোনাম দেখলাম, না দুবাই ঠিক আছে। এখানে টেমপল অব হেভেন আর ফরবিডেন সিটির স্থাপত্যের হুবহু অনুকরণ দেখা যায়। এই ব্যাপার গুলো একটু খোঁজ খবর নিয়ে লেখাতে দিলে ভালো হতো। যে নৌকার ছবি দিয়েছেন এটারও বিশেষত্ব আছে।

আমি আগেই বলেছি আমি সমালোচনা করছিনা।
আবারো বলছি আপনার ছবি তোলার হাত ভালো, শুধু ছবির বিবরণ আরেকটু বিস্তারিত চাই। আশাকরি আমরা পরবর্তি পর্বে বিমুখ হবোনা।

...........................
Every Picture Tells a Story

মরুদ্যান এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আপনি সময় নিয়ে এত বড় মন্তব্য করেছেন এবং পোস্ট দেখেছেন এই জন্য।

আমার এই পোস্টে বিবরণের রুগ্ন দশার কারণ বলতে আমার লজ্জা নেই, সেটা আমার অজ্ঞতা বা জ্ঞানের অভাব। স্হাপত্যবিদ্যায় আমার দখল শূণ্যেরও নিচে মনে হয়, ইতিহাসও ভাল জানিনা। পড়লেও মনে রাখতে পারিনা ঠিকমতন। শুধু ছবি দেখে আপনি যা যা বললেন আমাকে হয়তো অনেক সময় দিলেও আমি বুঝতে পারতাম না যে কোন নকশাটা কোথা থেকে উঠে এসেছে।

তিউনিশিয়ার ব্যাপারটা এরকম বলেছি কারণ ওখানে আমি অন্যান‌্য কোর্টের মতন গ্র্যান্ড কিছু দেখিনি, আছে সম্ভবত: আমিই হয়তো সেদিকে যাইনি। দোষটা আমার, সময়ের অভাব কেও খানিকটা দায়ী করা যেতে পারে। চেষ্টা করছিলাম সরলরৈখিক ভাবে হেঁটে পুরোটাকে কভার করতে।

সাথে বউ থাকায় অনেক জায়গায় অযথা দাঁড়াতে হচ্ছিল বা আমি যা দেখতে চাচ্ছিলাম সেখানে সে তাড়া দিচ্ছিল, কি আর করা!

আপনার সাজেশন অনুসরণ করার চেষ্টা করব। শুধু একটাই অনুরোধ এরকম বড় বড় মন্তব্য করা বন্ধ করবেন না প্লিজ! হাসি

সাফি এর ছবি

অসাধারন একটা মন্তব্য

মির্জা এর ছবি

বহুদিন পর একটা বড় মন্তব্য পড়লাম যা উদ্ধত না কিন্তু ইনফরমেটিভ। মুস্তাফিজ আপনাকে ধন্যবাদ।
মরুদ্যানঃ ধন্যবাদ আপনাকেও। আপনার ছবিগুলো ভাল লাগে। আরো বেশি ভাল লেগেছে আপনার প্যানিং-এর লেখাটা পড়ে। জানতে পারিকি আপনার ক্যামেরা আর ল্যান্স কি?
বিনয়ের সাথে কিছু ব্যাপার যোগ করছি। যেহেতু আপনি লিখছেন তাই যে তথ্যগুলো দিবেন সেটা যথাসম্ভব যেন সঠিক হয় সে দায়িত্ব কিন্তু আপনার। ইবন বতুতা মলের ব্যাপারে পড়ে আমিও খানিকটা চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম! আপনি যা লিখেছেন আর যে ছবি তুলেছেন সেটা ঠিক মেলে না। স্থাপত্যবিদ হওয়া ছাড়াও ইউকি আর গুগুল আছে না? আপনার ক্যামেরায় আমরা শুধু কিন্তু দেখছি না, জানছিও।
দুবাই মেট্রো শুরু হয়েছে ২০০৯ সালে আর আপনি লিখেছেন কয়েক মাস আগে!এমনকি কারামা ষ্টেশন ওপেন হয়েছে ৩০ এপ্রিল ২০১০-এ!
মধ্যপ্রাচ্যের যেকোন তেলওয়ালা দেশের তুলনায় আরব আমিরাতে তেলের দাম ৬৪% বেশি। সেই তুলনায় পুরো অঞ্চলে সবচেয়ে সস্তা ট্যাক্সির শহরের মধ্যে দুবাই-আবু ধাবি শারজাহ এরা সবাই কিন্তু আছে।
আপনি ট্যুর বাসের কথা লিখেছেন। একটু না বললেই নয়, আপনার ধারনা সম্পুর্ন ভুল। এই বাসের টিকেটগুলো ২৪ কিংবা ৪৮ ঘন্টা মেয়াদি। আপনার ইচ্ছা হলে একটা স্পটেই ২৪ ঘন্টা কাটিয়ে দিন কেউ কিছু বলবেনা, যতবার ইচ্ছা বাসে উঠুন নামুন-আপনার ইচ্ছা! (“নিজেরা জেনে নিয়ে ভাল করে দেখলে অনেক ভাল” এই বিষয়ে সম্পুর্ন একমত)

মরুদ্যান এর ছবি

আপনি মনে হয় আগের পোস্টের কথা বলছেন,

দুবাই মেট্রো শুরু হয়েছে ২০০৯ সালে আর আপনি লিখেছেন কয়েক মাস আগে!এমনকি কারামা ষ্টেশন ওপেন হয়েছে ৩০ এপ্রিল ২০১০-এ
// হুমম রেড লাইন শুরু হয়েছে ২০০৯ এ, আমি আসলে যাওয়ার কয়েকদিন আগেই গ্রীন লাইনের নতুন এক্সটেনশনের উদ্বোধনের প্রোগ্রাম টিভিতে দেখেছিলাম, ভেবেছি পুরোটাই নতুন করে হয়েছে। জানার ভুল, বুঝার ভুল।

মধ্যপ্রাচ্যের যেকোন তেলওয়ালা দেশের তুলনায় আরব আমিরাতে তেলের দাম ৬৪% বেশি। সেই তুলনায় পুরো অঞ্চলে সবচেয়ে সস্তা ট্যাক্সির শহরের মধ্যে দুবাই-আবু ধাবি শারজাহ এরা সবাই কিন্তু আছে।
// আমার কাছে বেশি মনে হয়েছে, ট্যাক্সি ব্যবহার করলে পুরোটা সময় আমার ট্যাঁকে টান পড়ে যেত।

আপনি ট্যুর বাসের কথা লিখেছেন। একটু না বললেই নয়, আপনার ধারনা সম্পুর্ন ভুল। এই বাসের টিকেটগুলো ২৪ কিংবা ৪৮ ঘন্টা মেয়াদি। আপনার ইচ্ছা হলে একটা স্পটেই ২৪ ঘন্টা কাটিয়ে দিন কেউ কিছু বলবেনা, যতবার ইচ্ছা বাসে উঠুন নামুন-আপনার ইচ্ছা!
// জানিনা, কিন্তু আমি যাদের সাথে কথা বলেছিলাম তারা আমাকে এমন ধারণাই দিয়েছিল, এই বাস কি নরমাল বাস রুটের মত? একটু পর পর আসে? এরকম তো কেউ বলেনাই!

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

ছবিগুলো দারুণ। লেখাটা আরেকটু বিস্তারিত হলে অতিশয় চমৎকার হতো।
ধন্যবাদ, পোস্টাতে থাকুন।

মরুদ্যান এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- পড়ার জন্য। চেষ্টা করব অবশ্যই।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চলুক ছবিব্লগ। সবার দাবীর সাথে তাল মিলিয়ে আমিও আরও ডিটেইলস দাবী করে গেলাম।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

মরুদ্যান এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- ঠিক আছে হাসি

বন্দনা এর ছবি

ছবিগুলা বেশ তুলছেন।

মরুদ্যান এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- দেখার জন্য।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
মরুদ্যান এর ছবি

আসিবে আসিবে ধৈর্য্য ধৈর্য্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।