বেহুদা পোস্ট: দমকল ঘন্টিতে ভাঙলো শীতনিদ্রা

অমিত আহমেদ এর ছবি
লিখেছেন অমিত আহমেদ (তারিখ: বুধ, ০৩/১০/২০০৭ - ৬:০১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

auto

এক

মাঝে মাঝেই শীতনিদ্রা দেবার অভ্যেস আছে আমার। কারন হতে পারে নানাবিধ, তবে বেশির ভাগ সময়েই আমার নিজেরই অজানা। কিন্তু হঠাৎ কোন সময়ে আমার কিচ্ছু ভাল্লাগে না। না ভাল্লাগে পড়তে, না লিখতে, না টিভি দেখতে, না খেলতে, না ঘুরতে, না আড্ডা পিটাতে, না সিনেমা দেখতে, না টাঙ্কি মারতে, না শেভ করতে, না চুল কাটাতে... এমনকি খেতেও ইচ্ছে করে না। এই গত দুই হপ্তা এমনই গেছে।

Summer শেষ, তাই পুরোদমে কাজ শুরু হয়ে গেছে। সপ্তাহে পাঁচ দিন আমার অফিসে বসতে হয়। ধরা-বাঁধা "office hour" দেয়া আছে, সে সময়টা আমি অফিসে বসে ঝিমাই।

মাঝে মাঝে কোন আন্ডারগ্রাড স্টুডেন্ট কোন শিশুতোষ সমস্যা নিয়ে আসে। আমি সেটার সমাধান করি আর মনে মনে বলি, "এই বুদ্ধি নিয়া কি লেখাপড়া করবা? ম্যাকডোনাল্ডসে গিয়া কাম করগা যাও!" পরে আবার নিজের কাছেই খারাপ লাগে, আহারে বাচ্চা পোলাপাইন। লেখাপড়াতে কত কষ্ট! সমস্যার সমাধান হবার পরে আবার যখন কৃতজ্ঞতায় নুয়ে পড়ে "থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু" করতে থাকে, তখন আবার একটু ভালোও লাগে, নিজেকে সুপারম্যান মনে হয়, বলি, "থ্যাঙ্কুর কিছু নাইরে বাচ্চা, এইটাই তো আমার কাজ!"

ল্যাবে বসেও ঝিমাই। মাঝে মাঝে ডিপার্টমেন্টের দোস্তরা হুট করে চলে আসে... "আমেদ! কি বসে বসে ঝিমাচ্ছো! চল একদান ফুসবল হয়ে যাক।"
আমি বলি, "ভাল্লাগতেছে না... পরে!"
কানাডায় আমার দোস্ত গুলোও খুব ভাল। আমার জন্য একটা টান আছে। বাংলাদেশীদের মতই। আসলে রক্ত-চামড়ার নিচে সাদা-কালো সবাই সেই একই মানুষ। এইতো সেদিন, আমার এ অবস্থা দেখে না বলেই বাসায় চলে এসেছে কয়েকজন। আমার অ্যাপার্টমেন্টের দরজা কখনো লক করা থাকে না। তারা হুট করে ঢুকে দেখে ভর দুপুরেও আমি কম্বল জড়িয়ে শুয়ে আছি। ঘুমাচ্ছি যে তাও না, জাস্ট শুয়ে আছি। তারা পাকড়াও করে বাইরে নিয়ে গেল। বাইরের সময়টাও ঝিমুনিতেই কাটলো।

বাংলা বলাটাও মিস করছি কয়েকদিন থেকে। GTalk, MSN-এ বাংলায় প্যাটর প্যাটর করা হয়, কিন্তু তাতে মন ভরে না। মা-বাবার সাথে কথা হয় একদিন পর পর, সেখানেও আমি কথা বলি কম, বাবা-মাই যা বলার বলেন - দেশের খবর, আত্মিয়-স্বজন, মামাতো-খালাতো-ফুপাতো-চাচাতো ভাই বোনদের খবর।

এর মাঝে ছিল PhD সুপারভাইসরের সাথে মিটিং।
সে বলে, "কি? একটা মডেল ধরায় দিয়ে গায়েব হয়ে গেছ? কাহিনী কি? এটা সাইজ করতে হবে তো? নাকি?"
আমি বলি, "ভাল্লাগে না! ঝিমাইতে মনে চায়।"
সে বলে, "হয় এমন। একটা কাজ করো, প্রতিদিন অল্প করে কাজ করো। একটা পেপার, একটা আর্টিকেল পড়। দেখবা দিন শেষে সঞ্চয় কম না! আর হঠাৎ এমন লাগছে আবার হঠাৎ করেই চলে যাবে!"
আমি বলি, "তোমায় দিয়ে কাম হবে না! কই আমি ভাবলাম ঝাড়ি মারবা - সেই ঝাড়ি খেয়ে আমি দৌড়ায় কাজ শুরু করবো, তা - না!"
সে বলে, "আরে আগে বলবা তো! মারবো ঝাড়ি?"
আমি বলি, "না ঠিকাছে! বুঝছি!"
দুই জনে মিলে চা-নাশতা খেয়ে আবার ঝিমাতে ঝিমাতে বাসায় চলে আসি।

সেই ঝিমুনিটা আজ কেটে গেল। ভোরে ঘুম থেকে উঠে ভাবছি, কফি খাবো, নাকি উপাস যাবো। ভাবতে ভাবতেই কফি বানানো শেষ। চুমুক দিতে দিতে "ব্রেকফাস্ট টেলিভিশন" খুলি - অঝিমুনি অবস্থায় এটা আমার রুটিন বলা যায়। প্রতি সকালে কানাডার রাজনীতি, আবহাওয়া আর বিনোদনে নিজেকে আপডেট করা। ল্যাপটপটা বিছানাতেই ছিল এ'কয়টা দিন। সেটা টেবিলে এনে রাখি। দুপুরে ফোন - "আহমেদ, লাঞ্চ করতেছি আমরা সবাই, আসবা? নাকি ঝিমাবা?" "আমরা" মানে থিওরি প্রফ জেফ, ডেটাবেস প্রফ পার্ক আর তাঁদের তিন স্টুডেন্ট আর আমার দোস্ত নাস, রোমিল, জেমস। আমি নিজে কাজ করি HCI আর AI ফিল্ডে। কিন্তু আমার খাতির পুরো ডিপার্টমেন্ট জুড়েই।
আমি উল্লাস নিয়ে বলি, "আবার জিগস! এক্ষুনি আসতেছি!"
এই যে বললাম, বলার ধরনেই বুঝে গেলাম, ঝিমুনি স্টেজ শেষ।

সেখানে আড্ডায় জেমস এর সাথে হেভী ফাইটও হয়ে গেল একটা অহেতুক বিষয় নিয়ে। তখন আর সন্দেহ থাকলো না যে আই অ্যাম ব্যাক! এবার কাজ যা জমা ছিল এখন শেষ হবে একে একে! It's time to rock n' roll!

দুই

আরিফুর রহমান নামের বাচ্চা কার্টুনিস্টকে নিয়ে দেশে যা ঘটে গেল তা আমাকে ক্রমাগত অস্থির করে তুলছে। দেশে নানান ফ্যাকড়া সব সময়ই লেগে আছে, কিন্তু এ ব্যাপারটা একদমই অন্য রকম।

সেনা পরিচালিত সরকার আসার পর অনেকেই জলপাই-হিংসার শিকার হয়েছেন, কিন্তু তাঁরা কিন্তু আক্রমন আসতে পারে এমনটা শঙ্কা মনে নিয়েই নিজেদের কাজ করেছেন।

হিংস্রতার বিরুদ্ধে যে কাজ সে কাজে হিংসায় আক্রান্ত হবার ভয়টা একটু বেশীই থাকেই। কিন্তু আরিফ নামের যে ছেলেটা এখন জেল হাজতে তার কিন্তু কোন দিক থেকেই আক্রান্ত হবার ভয় ছিল না!

সে না কথা বলেছে সরকারের বিরুদ্ধে, না সেনার বিরুদ্ধে, না ধর্মের বিরুদ্ধে। বিশ বছরের বাচ্চা একটা ছেলে, যার কিনা কৌতুক বোধটাও ঠিক মত গড়ে ওঠেনি, কৌতুকের বই থেকে একটা এমন কৌতুক বেছে নিয়ে কার্টুন এঁকেছে যেটা আগে এতবার শুনেছি যে এখন শুনলে আর হাসি আসে না, সে ছেলেটা এখন, এই মুহুর্তে না জানি কিরকম নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।

একটা সময় ১৭-২০ বছরের প্রদায়কদের দলে আমিও ছিলাম, নিজেকে আর সে সময়ের প্রদায়ক বন্ধুদের দিয়েই জানি এ বয়সের প্রদায়কদের “লিখে-এঁকে বদলে দেব দেশ ও সমাজ” ভাবটা বেশী থাকে না। বেশির ভাগই ছাপার অক্ষরে নিজের নামটা দেখে খুশী হয়, টাকা-পয়সার পরোয়াটাও করে না। সেখানে পরিকল্পিত ভাবে ধর্ম অবমাননার (কোন দিক থেকে অবমাননা হয়েছে সেটাই অবশ্য আমার স্বল্প বুদ্ধি নিয়ে বুঝতে পারিনি) অভিযোগটা যে কি প্রচন্ড হাস্যকর সেটা কে কাকে বোঝাবে!

এটা সবাই জানে ও বোঝে ছেলেটাকে একটা বড় পরিকল্পনার অংশ বানানো হয়েছে মাত্র। যে পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় ঘটেছে সাপ্তাহিক ২০০০রের বিশেষ সংখ্যা বাজেয়াপ্তর কাহিনী। যে পরিকল্পনা খুব সূচারু ভাবে সম্পন্ন করে দেশ ও সরকারকে দেখানো গেছে ধর্মবিক্রেতাদের হাতটা কত লম্বা!

যে জিনিসটা আমার হিসাবের বাইরে হয়েছে সেটা হচ্ছে আমাদের সম্পাদক মন্ডলীর আলখাল্লার সামনে নতজানু আত্মসমর্পণ। সত্যি কথা বলি, আমার দেশের সম্পাদকদেরকে নিয়ে আমার যতই অবিশ্বাস আর সন্দেহ থাকুক না কেন, আমি এমনটা হতে পারে কক্ষনো কল্পনাও করিনি! নির্বোধ আমি ভেবেছিলাম এমন একটা ধাক্কা খেলে সে ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রতিঘাত করার সাহসটা তাদের আছে!

যেদিন সংবাদপত্রে মতি সম্পাদকের সাথে খতিবের ছবিটা দেখলাম আমার মনে হলো আমার ফুসফুস বরাবর কেউ একটা প্রচন্ড ঘুষি মেরেছে! যে ঘুষি সামলাতে শীতনিদ্রায় যাওয়া ছাড়া আমার হাতে আর কোন উপায় থাকে না।

আরিফ জেবতিক, শোহেইল মতাহির চৌধুরী, অভিজিৎ, সৌরভ, নজরুল ইসলাম, রাহা, ধ্রুব হাসান, হিমু, রাসেল, সুমন রহমান, সুবিনয় মুস্তফী, বিপ্লব রহমান, অছ্যুৎ বলাই সহ আরো অনেকের দেশ নিয়ে লেখা পড়ি আর নিজেকে খুব অসহায় লাগে। এই বাচ্চা ছেলেটার পাশে কেউ যে দাঁড়াচ্ছে না তা শুধু নয়, আমার মনে হচ্ছে আস্তে আস্তে দু'চারজন বাদে ব্যাপারটা সবাই ভুলেই যাবে! তবে আমি এখনো বিশ্বাস করি, আমার শীতনিদ্রা যেমন ভেঙেছে ঠিক তেমনি হুট করে আমার দেশেরও ভাঙবে। সেটা কখন, আর কিভাবে, সে কল্পনাতেই এই কল্পনাবিলাসীর দিন কাটে।

তিন

একটা গল্পের প্লট ঘুরছে মাথায়। গল্পটা লিখতে সাহায্য চাই সবার।

গল্পের মূল চরিত্র বাংলাদেশ দমকল বাহিনীর একজন সদস্য। যিনি আগুন লাগলে ঘন্টা বাজিয়ে পুরানো লাল fire engine (অনেকে বলেন dagger) নিয়ে আগুন নেভাতে ছুটে যায়।

গল্পটা লেখার জন্য বাংলাদেশ দমকল বাহিনী সম্পর্কে আমার জানতে হবে। ওদের কি ধরনের fire engine আছে, কোন মডেলের, ওদের র‌্যাঙ্কিংটা কিরকম (চেইন অব কমান্ড কি), পেস্কেল কতো, কি কি সুবিধা পায়, যে পোশাক ওরা পরে সেটা কতদিন আগের (এবং কোন সরকারের আমলে সেটা নির্ধারণ করা হয়েছে, পাকি আমন থেকেই কি এমন?) / কতদিন পর পর নতুন পোষাক দেয়া হয়, ট্রেনিং পিরিয়ড কত দিনের, শিক্ষাগত যোগ্যতা কেমন লাগে, একটা স্টেশনে কয়জন সদস্য থাকেন, শিফট পরিবর্তন হয় কিভাবে-কতক্ষণ পর পর, কেউ জখম (বা মৃত্যু) হলে কি রকম ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়, বোনাস-বেনিফিট (ঈদের বোনাস?) আছে নাকি, পেনশন পায় কিনা, অবসরের বয়স কত, যাঁরা স্টেশনে থাকেন তাঁদের খাবারের ব্যাবস্থা কি, পরিবারের জন্য কি কোন স্পেশাল কোটা আছে (যেমন স্কুল, কলেজে), আরো যা কিছু জানা সম্ভব, সব!

আমি অনেক খুঁজে কেবল তাঁদের দায়িত্বর সংক্ষিপ্ত বিবরণ পেয়েছি, যেখানে বলা আছে, "দমকল বাহিনী বেসামরিক প্রতিরক্ষামূলক কর্তব্যকর্ম সমপন্ন করবে, বন্যা প্রতিরোধ করবে, দুর্ভিক্ষ কবলিত এলাকায় ত্রাণের ব্যবস্থা করবে, বিপদজনক ও ক্ষতিকর বস্তুর ব্যবস্থা বানিজ্য নিষিদ্ধ করবে, গোরস্থান ও শ্মশান স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে"

মন্তব্য কিংবা ইমেইলে সাহায্য কৃতজ্ঞচিত্তে গ্রহন করা হবে। ধন্যবাদ!

© অমিত আহমেদ


মন্তব্য

কেমিকেল আলী এর ছবি

শীত নিদ্রা যেহেতু ভেঙ্গেই গেছে সেহেতু এই লং উইকেন্ডে আমার কাছে চলে আয়!!
একসাথে সেহেরী ইফতারী খাই।
আর আগামীকাল থেকে আমিও ফ্রি হয়ে যাচ্ছি।।

??? এর ছবি

হুম। দমকল বাহিনীর পে স্কেল সরকারী স্ট্রাকচারে। পুলিশের মতই অলমোস্ট। পার্থক্য হচ্ছে, পুলিশ বেতন তোলার প্রয়োজন বোধ করে না (ব্যতিক্রম আছে) আর দমকলের এটাই দম চালায়া যাওনের আখেরি উপায়। কিছু ইনসেনটিভ আছে, অপারেশনের আগে পরে। আর ইনসুরেন্সটা মনে হয় অন্যদের চেয়ে একটু কড়া। স্কুল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো কোটা মনে হয় নাই।

গল্প আগাবে এতে?
........................................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

দিনলিপি, আরিফের জন্য অসহায় অনুভূতি, গল্পের প্লট সব মিলিয়ে ছুঁয়ে গেলো।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

গল্পটা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

অমিত আহমেদ এর ছবি

আসতেও পারি সেমিল ভাই। কি খাওয়াবেন বলেন দেখি? অনেকদিন বাঙালি ভাল-মন্দ খাই না!

ধন্যবাদ সুমন ভাই। অনেক বড় উপকার করলেন! দেখি আরো কিছু তথ্য আসে নাকি। গল্পটা খুব শীঘ্রই লেখার সম্ভাবনা নেই, প্লট পুরো সাজাতে পারিনি এখনো।

ধন্যবাদ শিমুল! দেখি গল্পটা নিয়ে কি করা যায়!


ব্লগস্পট | অর্কুট | ফেসবুক | ইমেইল

কনফুসিয়াস এর ছবি

ফায়ার ব্রিগেডের র‌্যাংকিং কি আর্মিদের মত?
আমার আত্মীয় ছিলেন ওখানে, ওনার র‌্যাংক, যতদূর মনে পড়ে, মেজর- ছিলো হয়তো।
নিশ্চিত করার উপায় নেই এখন আর।

লেখা ভালো লাগলো।
তবু তো ভাল যে আপনার শীতনিদ্রা কেটেছে। আমাদের তো ইহজীবনে কাটবে বলে মনে হয় না!

-যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অমিত আহমেদ এর ছবি

আমার অবস্থা পাগলা ঘোড়ার মত। কালকেই হয়তো আবার নিদ্রা শুরু হয়ে যাবে। নিজেকে নিজে বুঝি না আসলে!


ব্লগস্পট | অর্কুট | ফেসবুক | ইমেইল

আরিফ জেবতিক এর ছবি

যতোদূর জানি ফায়ার বিভাগের রেন্কিংটা আর্মিদের মতো না ।আপনার আত্মীয় সম্ভবত: আর্মি মেজর থেকেই ওখানে গিয়েছেন।

বাংলাদেশের আর্মিদের এবং আমাদের অমেরুদন্ডী সরকারের একটা ধারনা হলো আর্মি ছাড়া এখানে অনেক কিছু চলে না।
তাই আনসার বাহিনীর প্রধান আসে আর্মি থেকে,ফায়ারব্রিগেডেও অনেক গুলা আর্মি থাকে।
এমনকি সরকারী মেডিক্যাল কলেজগুলোর প্রিন্সিপালও বোধ হয় সবগুলো আর্মি থেকেই আসে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে আর্মি এখনও কেন আসে নি ,সেটা অবশ্য আমার জানা নেই।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

বিষয় সাধারন হইলেও ভাল্লাগছে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

বিপ্লব রহমান এর ছবি

একটানে পড়লাম! গল্প চাই।...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

মাহবুব সুমন এর ছবি

ফায়ার ব্রিগেডের বেতন স্কেল সরকারী ( বেসরকারী ) স্কেলের মতোই।
স্বরাস্ট্র মন্ত্রালয়ের অধীনে ফায়ার ব্রিগেড ( পুলিশ, আনসার, বিডিআর, কোস্ট গার্ডের মতোই)।
এন্ট্রি লেভেল হোলো স্টেশন অফিসার ও সহকারী পরিচালক ( নট সিউর)।
বিসিএস ক্যাডার নেই।
আর্মি থেকে মেজর রেংকের লোক নেয়া হয় যারা উপ পরিচালক হিসেবে কাজ করে। মহা পরিচালক আর্মির মেজর জেনারেল ( এটা অনেক দিন থেকেই চলে আসছে )।
ডিপার্টমেন্টাল প্রোমোশন আছে যা দ্বারা বড়ো জোর পরিচালক হওয়া যায়।
--------
দুদকে ৪ জন মেজর নেয়া হয়েছে যারা পরিচালক হিসেবে কাজ করছে, পরিচালক পদটি যুগ্নসচিব/উপসচিব পদের সমান হলেও তার চাইতে নিম্ন রেংকের মেজর কাজ করছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদে আর্মি থেকে লোক নেবার জোর দাবী করছি।

রিয়াদ এর ছবি

হুম্ম...ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদে আর্মি থেকে লোক নেবার জোর দাবী করছি।
~

কেমিকেল আলী এর ছবি

চলে আস বস, টাকিলা খাওয়ামু
সাথে গরুর "গুচ" আর সুমন চৌধুরীর মেনু অনুসারে ল্যাটকা খিচুড়ি।
কি চলবে তো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।