বিবেক
যুদ্ধ শুরু হতেই লুইজি নামে এক ব্যক্তি এসে তাতে যোগ দিতে চাইল।
সকলেই তখন তার অনেক প্রশংসা করল । অস্ত্র বিতরণের জায়গায় গিয়ে সে একটা অস্ত্র চেয়ে নিয়ে ঘোষণা দিল “ আমি এখন অ্যালবার্তো নামে এক লোক গিয়ে কে খুন করব”
সবাই জানতে চাইল অ্যালবার্তো টা কে?
সে উত্তরে বলল “ আমার শত্রু”
প্রশ্ন
সূচির ছোটো ভাইটার জন্ম নেয়ার পর থেকেই , সে তার বাবা মায়ের কাছে অনবরত আবদার করছে বাবুটার সাথে সে কিছুক্ষণ একা থাকতে চায়। তার বাবা মা ধরে নিলো অন্য আর সব চার বছরের বাচ্চাদের মতই সেও ছোটো ভাইটাকে নিয়ে ঈর্ষান্বিত এবং একা পেলেই সে হয়ত উল্টাপাল্টা কিছু করবে। তাই তারা প্রথমে রাজি হল না।
মিউনিখ গিয়ে আমার প্রধান আগ্রহ ছিল ডাখাউ কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পটা দেখা। জানি আমার বন্ধুরা বরাবরের মত নাক কুঁচকে বলবে বর নিয়ে বেড়াতে বের হয়ে কোথায় রোমান্টিক সব যায়গায় ঘুরবে তা না, শেষ পর্যন্ত কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প?
হ্যালো ।
ইমন ভাইয়া? আমি কল্পনা দিদি।
আরে, সিস্টার আপনি? আপনার আজকে নাইট?
হ্যাঁ।
কিন্তু এতক্ষণ দেখলাম না যে?
ওটি তে ছিলাম, একজন রোগী এসেছে , একটু নিচে আসেন ।
আমি জন্ম নেয়ার পর থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত হতে চেয়েছি অনেক কিছুই তবে ছোটবেলাতে সবচেয়ে বেশী যেটা মনে মনে হতে চেয়েছি তা হল সিন্ডারেলা। সেটা কি সিন্ডারেলার গুনে নাকি তার রাজপুত্রের রূপের গুনে সেটা এখন আর মনে নেই। সিন্ডারেলা হওয়ার জন্য আমি কি না করতাম !
মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই দেখি সিনিয়ররা খালি ভয় দেখায় যে মেডিকেল ভাইভা মানে নাকি পুলসিরাত পাড়,পার্থক্য একটাই এক্ষেত্রে পুলসিরাতের ওই পাড়ে কোন জান্নাত নাই, খালি পুলসিরাত আর পুলসিরাত । আমি ভেবেছি হুদাই, ভাইভা আর এমন কি, পড়ব, প্রশ্ন করবে, উত্তর দিব, ঝামেলা শেষ, লিখতে হবে না ,কষ্ট কম। তাই ভয় টয় পাই নি ( বলদের নাকি কলিজা বড় থাকে ,আমার কলিজা হাতির সমান!
প্রেমে পোড়ো সেই মেয়েটির যার জীবনের প্রথম প্রেম ছিল বই। ভালোবাসো সেই মেয়েটিকে যে দামি জামা জুতো কিনে টাকা নষ্ট না করে বই কিনে ঘর ভরিয়ে ফেলে , টাকার মূল্য বাড়ায় সাথে ঘরেরও । যার আলমারিতে বই রাখতে গিয়ে কাপড় রাখবার জায়গা হয় না। যার কাছে সবসময় একটা পড়তে চাওয়া বইয়ের তালিকা থাকে, এবং প্রতিনিয়ত সে তালিকা বড় হতে থাকে। যার ১২ বছর বয়স থেকেই একটা লাইব্রেরী কার্ড করা আছে।
চায়ের সাথে আমার বন্ধুত্ব আমার ২ বছর বয়স থেকে। আব্বু আম্মু অফিসে থাকার কারণে এবং বাসায় আর কোন বাচ্চা না থাকার কারণে আমাকে দিনের বেশীরভাগ সময় চাচাদের সাথে থাকতে হত, সঠিক করে বললে বলতে হয় চাচাদেরকে আমার সাথে থাকতে হত। তাই আমার অনেক বদভ্যাসের মত চা খাওয়ার বদভ্যাসটাও আমি তাদের কাছ থেকেই পেয়েছি। কেন যেন আমার ধারনা ছিল চা বড়দের খাবার তাই ওটা আমাকে খেতেই হবে। বড় হওয়াটা কত কষ্টের , বড় মানুষেরা কতটা হ
বিচ্ছিন্ন থাকাটা আমার জন্মগত অসুখ । ছোটবেলা থেকেই আমি প্রায়ই বাইরে খেলা বাদ দিয়ে ঘরে বসে একা একা কথা বলতাম, একা একা খেলতাম। আমার বাবা মা আত্মীয়স্বজন বন্ধুদের অনেক প্রচেষ্টার পরও এই রোগ থেকে আমি মুক্ত হইনি, এখন আর কেউ চেষ্টাও করে না আমাকে ঠিক করার। শুধুমাত্র বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে আমি অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত হই, অনেক বন্ধুদের হারিয়ে ফেলি,অনেক প্রিয় মানুষদের কষ্ট দেই, অনেক সুন্দর সুন্দর দিন একা একা