প্রেমে পোড়ো সেই মেয়েটির যার জীবনের প্রথম প্রেম ছিল বই। ভালোবাসো সেই মেয়েটিকে যে দামি জামা জুতো কিনে টাকা নষ্ট না করে বই কিনে ঘর ভরিয়ে ফেলে , টাকার মূল্য বাড়ায় সাথে ঘরেরও । যার আলমারিতে বই রাখতে গিয়ে কাপড় রাখবার জায়গা হয় না। যার কাছে সবসময় একটা পড়তে চাওয়া বইয়ের তালিকা থাকে, এবং প্রতিনিয়ত সে তালিকা বড় হতে থাকে। যার ১২ বছর বয়স থেকেই একটা লাইব্রেরী কার্ড করা আছে।
এমন একটা মেয়ে খুঁজে বের কর যে পড়তে ভালবাসে। তুমি তাকে দেখেই চিনতে পারবে, কারণ তার ব্যাগে সমসময়ই একটা পড়ে শেষ না করা বই থাকে । রাস্তায় বইয়ের দোকান দেখলেই সে আটকে যায়, পরম মমতায় চোখ বুলায় তাকে সাজানো বইগুলোর উপর,আর পছন্দের বইটা দেখতে পেলেই নিঃশব্দে চিৎকার করে উঠে। কখনও কোন অদ্ভুত মেয়েকে দেখেছ কোন পুরনো বইয়ের দোকানে দাড়িয়ে বই হাতে গন্ধ শুঁকতে ? এই সেই পড়ুয়া। এরা কখনও বইয়ের পাতার গন্ধ না নিয়ে থাকতে পারে না, পাতাগুলো যদি হয় হলদেটে ,তাহলে তো আরও না।
তাকে দেখবে রাস্তার ধারে কফির দোকানে অপেক্ষা করছে বই পড়তে পড়তে। যদি তার কফির মগে একটু উকি দাও,দেখবে সেখানে এখনও ক্রিম ভাসছে কারণ সে এরইমধ্যে ডুবে গেছে তার বইয়ে, লেখকের তৈরি পৃথিবীতে হারিয়ে ফেলেছে নিজেকে। বসে পড়তে পার সেখানে, হয়ত তোমার দিকে একটু কঠিন চোখেই তাকাবে সে, জান তো, পড়ার মাঝে বাঁধা পড়লে সেটা মোটেই পছন্দ করে না ওরা। তাকে প্রশ্ন করো বইটা তার কেমন লাগছে।
তাকে বরং আর এক কাপ কফি কিনে দিও।
তাকে জানাও মুরাকামিকে নিয়ে তুমি আসলেই কি ভাব। জানতে চাও ফেলোশিপের প্রথম অধ্যায়টা সে শেষ করতে পেরেছে কিনা। বুঝে নিও সে নিজেকে বুদ্ধিমান প্রমাণ করতে চাইছে যখন সে তোমাকে বলবে যে সে জেমস জয়েসের ইউলিসিস বুঝতে পেরেছে। জিজ্ঞেস কর- সে কি আসলে এলিসকে ভালবাসে নাকি এলিসের মত হতে চায়।
পড়ুয়া মেয়ের সাথে প্রেম করাই সবচেয়ে সহজ। জন্মদিন, বার্ষিকী,বড়দিন –যে কোন উপলক্ষেই তাকে বই উপহার দিও । গানে, কবিতায় অথবা চিঠি লিখে কথার মালা উপহার দিও । তাকে দাও নেরুদা,পাউন্ড, সেক্সটন, কামিংসের বই। তাকে জানাও, কথা মানেই যে ভালবাসা এটা তুমি ঠিকই বুঝ । তোমাকে বুঝতে হবে যে সে বই আর বাস্তবের জগতের পার্থক্য জানে। তবে এটাও সত্যি, সে তার জীবনটাকে কিছুটা হলেও তার প্রিয় বইটার মত করে গড়ে নিতে চাইবে। চাইতেই পারে, সেখানে তোমার দোষ নেই একটুও।
অন্তত কোন না কোন ভাবে তাকে চেষ্টাটা তো করে দেখতে হবে।
তাকে মিথ্যে বোলো। যদি সে ব্যাকরণ বুঝে তাহলে সে তোমার মিথ্যে বলার প্রয়োজনটুকুও বুঝবে। কথার বাইরেও থাকে আরও অনেক কিছু ; প্রেরণা, নৈতিকতা, বিরোধ, কথোপকথন। তুমি একটা মিথ্যে বললেই পৃথিবী শেষ হয়ে যাবে না।
মাঝে মাঝে তাকে ব্যর্থতার স্বাদ দিও । কারণ পড়ুয়া মেয়েটা জানবে ব্যর্থতা থেকেই সবসময় চরম পাওয়া গুলো আসে। এটাও জানবে যে সবকিছুরই একটা শেষ আছে। সে জানে তুমি যে কোন সময়ই আবার নতুন করে শুরু করতে পার সবকিছু। এবং যতবারই শুরু কর না কেন প্রতিবারই তুমি জয়ী হবে। জীবনে চলার পথে ২/১ জন খলনায়কও থাকবে, এটাও সে জানে।
তুমি যা যা হতে পারনি তার জন্য ভয় কেন ? পড়ুয়া মেয়েরা বুঝে যে, মানুষও বইয়ের চরিত্রগুলোর মতই, আস্তে আস্তে গড়ে উঠে। টোয়াইলাইট সিরিজের চরিত্রদের কথা অবশ্য আলাদা।
যদি একটা পড়ুয়া মেয়ে খুঁজে পাও, তাকে আপন করে নিও। রাত দুটোয় ঘুম ভেঙ্গে যদি হটাৎ দেখ সে একটা বই বুকে জড়িয়ে ধরে অঝরে কাঁদছে, এক কাপ চা দিও তাকে তারপর শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রেখ। কিছুক্ষণের জন্য সে হয়ত হারিয়ে যাবে, তোমার হয়ত মনে হবে তোমার বুকে মাথা রেখেও সে আসলে হেঁটে বেড়াচ্ছে অন্য কোন জগতে, ভয় পেও না, শেষ পর্যন্ত সে তোমার কাছেই ফিরে আসবে। সে এমনভাবে কথা বলবে যেন বইয়ের সব চরিত্রগুলোই বাস্তব, কারণ কিছুক্ষণের জন্য তারা আসলেই তাই।
উড়ন্ত কোন বেলুনে বসে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিও, অথবা কোন রক কনসার্টে , একশোটা বেলুন হাতে কোন নদীর পাড়ে দাড়িয়ে অথবা এর পরের বার যখন সে অসুস্থ হয়ে পড়বে তখন সাদামাটা ভাবেই তাকে বোলো ফোনে বা স্কাই-পি তে।
তোমরা তখন এত জোরে হাসতে থাকবে যে , এরপরও কেন হৃৎপিণ্ডটা ফেটে সমগ্র বুক রক্তে ভেসে যাচ্ছে না সেটা ভেবে তুমি অবাক হবে। তোমরা তোমাদের জীবনের গল্প লিখবে। অদ্ভুত নামের সব বাচ্চা থাকবে তোমাদের, নামের চেয়েও অদ্ভুত হবে তাদের রুচি-বোধ, ভালোলাগা মন্দলাগা। সে তোমাদের বাচ্চাগুলোকে “ ক্যাট ইন দা হ্যাট” এবং “আসলান” কে চিনিয়ে দিবে , সম্ভবত একই দিনে। বুড়ো বয়সে শীতকালে যখন একসাথে হাটতে বের হবে তোমরা, তার নিচু গলায় কিটসের কবিতা আবৃত্তি শুনতে শুনতে তোমার বুটের গায়ে লেগে থাকা তুষার ঝাড়বে তুমি।
পড়ুয়া মেয়েটির সাথে প্রেম করো কারণ তুমি তারই যোগ্য। কল্পনায় যত রঙ ধরা দেয় তার সবটুকু দিয়ে যে মেয়ে রাঙিয়ে দিতে পারবে তোমার জীবন এমন মেয়েই তোমার পাওয়া উচিৎ। তবে একঘেয়েমি, সস্তা সময়, বোধহীন ভালবাসা অথবা আনাড়ি প্রস্তাব ছাড়া যদি আর কিছু দেয়ার না থাকে তাকে তোমার, তবে তোমার একা থাকাই ভাল। তুমি যদি পৃথিবী এবং এর বাইরের অন্য সব পৃথিবীকে পেতে চাও, একই সাথে বাঁচতে চাও অনেকগুলো জগতে , উপভোগ করতে চাও অনেক রঙের সময়কে , তাহলে সেই মেয়েটিকে ভালোবাসো যে পড়তে ভালবাসে।
অথবা সবচেয়ে ভাল হয় যদি সেই মেয়েটিকে ভালবাসতে পারো যে লিখতে ভালবাসে।
মূল লেখা- “Date A Girl Who Reads” by Rosemarie Urquico ( লেখাটা পড়ে অনুবাদ না করে থাকতে পারলাম না, আমার করা প্রথম অনুবাদ, তাই আদৌ কিছু হয়েছে কিনা বুঝতে পারছি না )
মন্তব্য
"অনুবাদ প্রচেষ্টা" ট্যাগটি সরিয়ে দিন। অসম্ভব চমৎকার হয়েছে।
..................................................................
#Banshibir.
আপনি যখন বললেন দিলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ
লেখাটা পড়ে মনটা ুদাস হয়ে গেল। আরো অনেক অনুভূতি উঠলো, কিন্তু শেষ পর্যন্ত, মনটা উদাস'ই হয়ে গেল।
মাঝে মাঝে উদাস হওয়া ভাল।
বড়োই দেরীতে পোস্টটা দিলেন। এটা প্রয়োজন ছিলো আরো একযুগ আগে, বেলুন হাতে নিয়ে তাকে বলতাম, ইয়ে মানে শোনো; আসলে কথা হচ্ছে ঠিক কথা তা না; না মনে যা বলতে চেয়েছিলাম; ধুত্তোরি ছাই মনে আসছে না; না মানে সেই কথাটা হচ্ছে; মানে ঠিক কিভাবে যে তোমাকে বলি; ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি!
লেখায়
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
বড়ই অন্যায় হইছে বুঝতে পারছি
ধন্যবাদ ।
চমৎকার হয়েছে
অসম্ভব ভাল লেখা হয়েছে। অনুবাদটা যেন বেশি ভাল লাগলো।
অনুবাদ ভালো হয়েছে।
বই পড়তে ভালোবাসে এমন মেয়ে পাব কই? তার চাইতে বরং স্টার প্লাস, জি বাংলা দেখতে ভালোবাসে এমন মেয়ে পাওয়া সহজ !
কিন্তু এই লেখাটা পড়ে মনে হল, বই পড়ুয়া একটা মেয়ে পাশে থাকলে খারাপ হতো না !
ধন্যবাদ। খুঁজতে হবে। ভালও কোন কিছুই খুব সহজে হাতের কাছে থাকে না, খুঁজে দেখতে হয়। আপনার মনের ইচ্ছে পূর্ণ হোক
একেবারে মনের কথাই বলেছেন।
১২ বছর বয়স থেকে লাইব্রেরি কার্ড না থাকলেও ওই বয়স থেকেই শাহরুখ খানের ফ্যান এরকম মেয়েও দুর্ভাগ্যজনকভাবে সহজেই পাওয়া যায় এদেশে
একটা বাস্তবতা হল আমাদের দেশে কেন যেন বই পড়ুয়া মানুষের সংখ্যা কম। এখানে পড়ার বইয়ের বাইরে অন্য বই পড়াটাকে কেউ উৎসাহিত করে না। আমার বাবা মা অবশ্য পড়ুয়া। কিন্তু আমি আমার আসে পাশেই এমন অনেক বাবা মা দেখি যারা আউট বই পড়াটাকে রীতিমত অপরাধ মনে করে। এমন মানুষও দেখেছি যারা বই কিনে টাকা নষ্ট করাটাকে বোকামি মনে করে ।
প্রেমে পড়ার সুযোগ বোধহয় আর নেই। তারপরও আপনার লেখাটা পড়ে সত্যিই একটা পড়ুয়া মেয়ের প্রেমে পড়ার আগ্রহ বোধ করছি।
অসাধারন হয়েছে লেখাটি। সার্থক অনুবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার অনুপ্রেরণার জন্য ।
অসাধারণ! পড়ুয়া মেয়েটার ফেসবুকে চুপিসারে রেখে এলাম।
তার ঘুম ভাঙ্গা ফোলা চোখে নিশ্চয়ই মুগ্ধতা খেলা করবে। একটু হলেও আমাকে মনে পড়বে।
শুভকামনা আনার জন্য এবং আপনার সেই পড়ুয়া মেয়েটির জন্য।
চমৎকার
ধন্যবাদ উদাসদা
পড়ুয়া মেয়েকে ভালোবেসে কেউ কখনো দেউলিয়া হয়নি
এক্কেবারে খাটি কথা।
লেখাটা আসলেই দারুণ। তেমনই দারুণ আপনার অনুবাদ।
আর হ্যাঁ, পড়তে ভালোবাসে (আরো ভালো হয় যদি লিখতে ভালোবাসে) এমন একান্ত একজন হোক (হয়ে গেলে থাকুক) আপনার
ধন্যবাদ ।
সেদিন সরবে পড়েছিলাম এই লেখাটা--- পড়ুয়ার প্রেম, পড়ুয়ার প্রেমিকা (অনুবাদ)।
আপনার অনুবাদও ভাল্লেগেছে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ। অনুবাদ টা আগে পড়লে আর করতে যেতাম না।
অসাধারন ।
ধন্যবাদ ।
অসাধারন !! ইসসস ! ভাই আক্ষেপ টা আরও বেড়ে গেল !! যাই হোক অনেক অনেক !
চমৎকার অনুবাদ! মনে হয়েছে লেখাটি কোন পড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে হলেও ঠিক এই রকমই হতো। পড়ুয়ারা যখন সংখ্যালঘুতে পরিণত হচ্ছে, সেই সময়ে এরকম একটা লেখা খুবই অনুপ্রেরণার।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ধন্যবাদ। আসলেই চারপাশে পড়ুয়ার সংখ্যা খুব কমে যাচ্ছে দিন কে দিন ।
অসাধারণ।
অসাধারন লাগলো। ভাল থাকুন আর আরও ভাল ভাল লেখা উপহার দিন, এই প্রত্যাশা।
অসংখ্য ধন্যবাদ
খুব ভালো হয়েছে।
দাদা আপনার লেখা যেন কোথাও আমাকে বলছে যে ওই যে দূরে বাস স্ট্যান্ডের এক কোনে শরত্চন্দ্রের 'দেবদাস' হাতে নিয়ে দাড়িয়ে থাকা মেয়েটাকে ভালোবাসতে। রোজই বাড়ি ফেরার পথে ওকে বাস স্ট্যান্ডের সামনে কিংবা পাশের বইয়ের দোকানে বই দেখতে। রোজই তাকে দেখি কিন্তু কখনো নোটিস করিনি, কিন্তু আপনার লেখা থেকে এত অনুপ্রানিত হয়েছি যে এখন ভাবছি যে ওর সাথে কথা বলার চেস্টা করব।
তাড়াতাড়ি কথা শুরু করুন ।
অসাধারণ লেগেছে। আহ! কী সুন্দর।
এই লেখাটি আমি আমার "তার" মেইলে দিব, যেন সে পরামর্শগুলো প্রয়োগ করে
আশা করি শীঘ্রই সে বেলুন হাতে আপনার সামনে এসে দাঁড়াবে ।
লেখাটি অদ্ভুত সুন্দর হয়েছে। আসলেই এরকম মেয়ে আমাদের দেশে পাওয়া দুষ্কর। যদিও একজন কে পেয়েছিলাম, কিন্তু সে নিজেকে সাতকাহন এর দীপাবলি আর গর্ভধারিণীর মেয়ে চরিত্রটি (এ মুহূর্তে নামটি মনে করতে পারছি না) মনে করতো। অন্য কিছু (আপনি যে বই গুলোর কথা বললেন, সেরকম ভাবে) ভাবতেই পারতো না।
ও হ্যা, শেয়ার করতে দ্বিধা করিনি ফেসবুক এ।
গর্ভধারিণীর জয়িতা
ধন্যবাদ
চমৎকার!মন্তব্য না করে পারলাম না ।
দারুন
ধন্যবাদ
চমৎকার
আহা দারুণ লেখা!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
অসংখ্য ধন্যবাদ
আজকাল লোকে শুধু একটা বই-ই পড়ে, ফেসবুক!!!
লেখাটা এত ভাল লেগেছে যে, মন্তব্যই করতে পারছি না।
স্তব্ধ হয়ে বসে রইলাম লেখাটা পড়ে।
কে, কবে, কোন দিন অপেক্ষা করেছিল তার ভাল লাগা মানুষটি একদিন অসুস্থ হয়ে পড়বে বলে?
মেয়েটির অসুস্থ বিবর্ণ দিনগুলি হঠাৎ রঙিন হয়ে উঠবে জানালা দিয়ে আসা এক ঝলক আতসবাজীর আলোয়!
লেখাটা এত ভাল লেগেছে যে ঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারছি না।
আপনি যতটুকু প্রকাশ করেছেন আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য যথেষ্ট। ধন্যবাদ।
গত কিছুদিন সচলে লগইন করতাম না পাস ওয়ার্ড জটিলতার জন্য। আর আজ! পাস ওয়ার্ড বদলে লগইন করলাম শুধু এই লেখাটায় কমেন্ট করতে
প্রথমে কবিতা মনে হচ্ছিল। তার পর দেখি অনুবাদ! সিম্পলি অসাধারণ
আপনার এই একটা মন্তব্যেই অনেকখানি সাহস পেলাম লেখার । অসংখ্য ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
খুব ভালো লাগলো। আরও অনুবাদ করুন, আমরা আরও কিছু পড়ি।
ধন্যবাদ।
ভালোবাসো সেই মেয়েটিকে যে পড়তে ভালোবাসে এবং যে তোমাকেও পড়তে পারে। যদি তোমার ভেতরে এমন কিছু লেখা থাকে যা কাউকে পড়তে দিতে চাও না, তবে ওই পড়ুয়া মেয়েটিকে ডিস্টার্ব কোরো না, বরং একাই থাকো তুমি।
হা হা হা !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
পড়ুয়া মেয়েরা জানে সবার মধ্যেই একটা আলাদা আমি থাকে যাকে পড়তে চাওয়াটা বোকামি, তাতে সবকিছু খুব তাড়াতাড়ি ধূসর হয়ে যায়। সেরকম একটা আমি আছে তার নিজের মধ্যেও । যে পড়ে সে ঠিকই বুঝবে ঠিক কতোটুকু পড়তে হবে আর কতোটুকু সাজাতে হবে কল্পনার রঙে । তাই তোমার ভিতরে যদি এমন কেউ থাকে যাকে আড়ালে রাখতে চাও তুমি, চাও যে কেউ না জানুক , কিন্তু জানার জন্য ভাবুক, তাহলে তোমার অবশ্যই একটা পড়ুয়া মেয়ের সাথেই প্রেম করা উচিৎ।
অদ্ভুত রকমের একটা সতেজতা আছে লেখাটায়। ভাল্লাগো খুব। অনুবাদকর্ম অতি উত্তম ঝাঝা।
যাই হোক, এইবার হৈল আসল কথা, নাহ, একটা পেম কত্তেই হচ্ছে তাইলে। হুম।
ডাকঘর | ছবিঘর
কইরা ফেলেন , কি আছে জীবনে
অনেক ধন্যবাদ
আরে, শুরু থেকে পড়তে গিয়ে তো মনেই হয়নি এটা অনুবাদ পড়ছি! উল্টা, আপনাকে কিঞ্চিৎ গালিগালাজ করবো ভাবতেছিলাম ছোট্ট একটা প্যারা পড়তে গিয়ে। আমার নিজের আইডিয়া চুরি করে ফেলার অপরাধে। পরে অবশ্য শেষের লাইনে অনুবাদের ডিসক্লেইমার দেখে ফিক করে হেসে ফেলছি। গালাগালি দিয়ে ফেললে কী কেলেঙ্কারিটাই না হয়ে যেতো!
মজার ব্যাপার হলো, আমি এই গানটা শুনতে শুনতে লেখাটা পড়ছিলাম। গানের কারণে লেখাটা নাকি লেখাটার কারণেই গান-টা বেশ অর্থবহ হয়ে গেলো।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এই রকম কিছু একটা লিখব ভেবে রেখেছিলাম, পড়ুয়া কাউকে ভালবাসতে উৎসাহ জানাব লোকজনকে। হটাতই এই লেখাটা চোখে পড়ল। লেখিকার উপর রাগ হল আমি যা যা লিখতে চেয়েছি আগে লিখে ফেলেছে দেখে , তারপর ভালাম কি আর করা, অনুবাদই করে ফেলি। লিখতে গিয়ে নিজের অনেক বাড়তি লাইন লিখে ফেলেছিলাম। পরে কেটে দিয়েছি সবাই আবার কি বলে ভেবে, তবে এরপরও এই লেখায় আমার বাড়তি কয়েকটা লাইন আছে যেটা মুল লেখায় নেই, ভেবেছি কেউ খেয়াল করবে না। এখন যখন সবাই ভাল বলছে তাই বলেই দিলাম।
গান এবং মন্তব্য দুটোর জন্যই
অন্য একজনের অনুবাদে পড়েছিলাম, ভালো লেগেছিলো।
আপনার অনুবাদটাও ভালো লাগলো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ ।
চমৎকার ! আপনার অনুবাদ হৃদয়টাকে নাড়া দিয়ে গেল
নিজের ব্লগে হিট বাড়ানোর জন্য অন্যের পোস্ট নকল করলে আপনার জীবনে কী উন্নতি হবে একটু বলবেন প্লীজ? জানতে ইচ্ছা করছে।
অনুবাদটা আমার করা ছিল, তাই আশা করি বোঝাতে আসবেন না যে আপনি নিজে থেকে এই অনুবাদ করেছেন।
এটা খুবই সিরিয়াস একটা দাবী। সচলায়তন কপিরাইটের ব্যাপারে সবসময় খুব সোচ্চার। অনুগ্রহ করে আপনার অনুবাদ কোথায়, কবে প্রকাশিত হয়েছিল জানাবেন? প্রিন্ট মাধ্যমে প্রকাশিত হলে সেটার কপি পাওয়া যাবে? অনলাইনে হলে লিংক দিতে পারবেন?
সামিরা, আপনি সম্ভবত সরবে আপনার এই লেখাটির কথা বলেছেন -
পড়ুয়ার প্রেম, পড়ুয়ার প্রেমিকা
কিন্তু কোন যুক্তিতে আপনি লেখা নকল করা বলে তেড়ে এলেন বোধগম্য হলনা। আপনার লেখাতির কথা কিন্তু উপরে আলোচনাতেই এসেছে। লেখিকা নিজেই বলেছেন, আপনার লেখাটি তিনি পড়েননি। পড়লে হয়তো অনুবাদ করার কষ্টে যেতেন না। আর যদি পড়েও থাকেন এবং তারপর নিজের মতো করে অনুবাদ করেন, তাহলেও সমস্যার কিছু দেখি না। আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে ধুসর জলছবির করা অনুবাদটি অনেক মোলায়েম ও আবেগ দিয়ে লেখা মনে হয়েছে, আপনার করা অনুবাদটি আক্ষরিক অনুবাদ মনে হয়েছে। আপনার ব্যাবহার করা প্রেম করা আর ধুসর জলছবি ব্যাবহার করা ভালোবাসা শব্দটি দেখেই অনুবাদের ভিন্নতাটুকু ধরা যায়।
কিন্তু সেটা প্রসঙ্গ না। প্রসঙ্গ হচ্ছে আপনি নকল করার একটি গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। আসুন দুজনের প্রথম দুটি প্যারা পড়ে দেখি -
আপনার লেখা -
তুমি কোন পড়ুয়া মেয়ের সাথেই প্রেম কোরো। এমন মেয়ের প্রেমে পোড়ো, যে কাপড়ের বদলে বই কিনে টাকা শেষ করে ফেলে। অতিরিক্ত বই রাখতে গিয়ে যার আলনার জায়গা শেষ হয়ে যায়। এমন মেয়ের সাথে প্রেম কোরো, যার কাছে সবসময়েই পড়তে-চাওয়া বইয়ের তালিকা থাকে, বারো বছর বয়স থেকেই যার একটা লাইব্রেরি কার্ড আছে।
এমন এক মেয়েকে খুঁজে বের কোরো যে পড়ে। কীভাবে বুঝবে? – তার ব্যাগে সবসময়েই একটা না-পড়া বই থাকবে। বইয়ের দোকানের তাকগুলোর ওপর দিয়ে মুগ্ধ চোখ বুলিয়ে নিয়ে যাবে যে, আর পছন্দের বই দেখলে নিঃশব্দে চিৎকার করে উঠবে। পুরনো বইয়ের দোকানে একটা বই হাতে নিয়ে তার পাতা শুঁকতে দেখছো যেই অদ্ভুত মেয়েটাকে – ওই হচ্ছে পড়ুয়া। ওরা কখনোই বইয়ের পাতার গন্ধ না শুঁকে থাকতে পারে না – পাতাগুলো হলদেটে হলে তো কথাই নেই।
ধুসর জলছবির লেখা
প্রেমে পোড়ো সেই মেয়েটির যার জীবনের প্রথম প্রেম ছিল বই। ভালোবাসো সেই মেয়েটিকে যে দামি জামা জুতো কিনে টাকা নষ্ট না করে বই কিনে ঘর ভরিয়ে ফেলে , টাকার মূল্য বাড়ায় সাথে ঘরেরও । যার আলমারিতে বই রাখতে গিয়ে কাপড় রাখবার যায়গা হয় না। যার কাছে সবসময় একটা পড়তে চাওয়া বইয়ের তালিকা থাকে, এবং প্রতিনিয়ত সে তালিকা বড় হতে থাকে। যার ১২ বছর বয়স থেকেই একটা লাইব্রেরী কার্ড করা আছে।
এমন একটা মেয়ে খুঁজে বের কর যে পড়তে ভালবাসে। তুমি তাকে দেখেই চিনতে পারবে, কারণ তার ব্যাগে সমসময়ই একটা পড়ে শেষ না করা বই থাকে । রাস্তায় বইয়ের দোকান দেখলেই সে আটকে যায়, পরম মমতায় চোখ বুলায় তাকে সাজানো বইগুলোর উপর,আর পছন্দের বইটা দেখতে পেলেই নিঃশব্দে চিৎকার করে উঠে। কখনও কোন অদ্ভুত মেয়েকে দেখেছ কোন পুরনো বইয়ের দোকানে দাড়িয়ে বই হাতে গন্ধ শুঁকতে ? এই সেই পড়ুয়া। এরা কখনও বইয়ের পাতার গন্ধ না নিয়ে থাকতে পারে না, পাতাগুলো যদি হয় হলদেটে ,তাহলে তো আরও না।
একই লেখা থেকে অনুবাদ করা দুটি লেখার মধ্যে যতটুকু মিল থাকার কথা আমি তারচেয়ে বেশী কিছু দেখছিনা। দেখা যাক বাকি পাঠকরা কি বলেন।
আপনি মনে হয় আপনার এই লেখাটার কথা বলছেন? আপনারা দু'জনই একই ইংরেজী লেখার অনুবাদ করেছেন, মিল তো থাকবেই। এখানে নকল এলো কিভাবে? অবশ্য যদি মূল লেখকের থেকে আপনি বাংলায় অনুবাদের একচ্ছত্র অনুমতি নিয়ে এসে থাকেন, তাহলে ভিন্ন কথা। আপনার বিস্তারিত উত্তর আশা করছি।
সামিরা,
দুটো লেখাই পড়েছি। আপনার এ মন্তব্যের আগেই।আমার কিন্তু একটুও মনে হয়নি ইনি আপনার অনুবাদ টুকেছেন।
মূল যেহেতু এক তাই দুটো অনুবাদের মধ্যে প্রচুর সাদৃশ্য থাকলেও স্বাতন্ত্র্যও ভালোভাবে দৃশ্যমান। এবং তা থেকেই আমি মনে করছি এই লেখককে মূলপাঠটি পঠন ও অনুধাবনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তার নির্যাসটুকু পাঠকের কাছে উপস্থাপন করতে (যেমনটা আপনাকেও করতে হয়েছে)।
বলবেন কি, কেন মনে করছেন এটি আপনারই করা অনুবাদের কপি, কোন কোন বৈশিষ্ট্যের কারণে?
সামিরা, আমি খুবি অবাক হলাম আপনার আচরনে, এরকম একটা লেখা যে অনুবাদ করতে পারে তার কাছ থেকে আর একটু বিস্তারিত এবং ভদ্রোচিত আচরনই আশা করেছিলাম।
আমার ব্লগে হিট বাড়ানোর জন্য আপনার লেখার নকল করার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় নি, আপনার কেন মনে হল একটু বিস্তারিত জানাবেন আশা করি।
আমি আপনার লেখা পড়িনি , যেহেতু সরবে আমি কখনও ঢুকেও দেখিনি। এটা অবশ্য আপনাকে বলে খুব একটা লাভ হবে না। আপনি বিশ্বাস করবেন না। এখানে তিথিডোর এর মন্তব্যে আপনার লেখার লিঙ্ক টা পেয়ে পড়েছি প্রথমবারের মত এবং সেটা আজকেই, এবং সত্যি বলতে গেলে বলতে হয় আমার খারাপই লেগেছে কেন আমি অনুবাদটা করতে গেলাম ভেবে। তবে একটা ব্যাপার আমি নিশ্চিত যারা ভাল পাঠক এবং যারা অনুবাদ পড়ে অভ্যস্ত তারা এ দুটা লেখার ভিতর পার্থক্য বুঝবেন। আমার লেখা , আর আপনার লেখা যেহেতু একই লেখার অনুবাদ,তাই মিল আছে নিশ্চিত। কিন্তু আপনি আপনার লেখার কয়টা লাইনের সাথে আমার লেখার হুবুহু সামঞ্জস্য দেখাতে পারবেন? আমি আপনার লেখাটা আরও একবার পড়ে দেখলাম এই মাত্র। আমার তো মনে হয় যে কেউ পড়লে বুঝতে পারবে যে এটা দুজন আলাদা মানুষের করা।
এরপরও বাকিটা আমি পাঠকের উপর ছেড়ে দিলাম। যদি সচল পাঠক দের মনে হয় কাজটা ঠিক হয়নি সেক্ষেত্রে আমি খুবি দুঃখিত। এরপর থেকে কোন কিছু অনুবাদ করলে আগে ভাল করে খোঁজ নিয়ে দেখব সেটা আগে কেউ করেছে কিনা। কারন অনুবাদ করার মত লেখার পৃথিবীতে অভাব নেই। মডারেটরদের কাছে আমার অনুরধ আপনারা দুটা লেখা পড়ে যদি মনে করেন কাজটা অন্যায় হয়েছে ,এবং আমি কপি করেছি আমার লেখাটা সরিয়ে দিবেন প্লিজ। আরও যা যা নিয়ম করবেন।
সামিরা, আমার জীবনে উন্নতি হবে না এটা আমি জানি, কারন উন্নতির ইচ্ছেই আমার নেই। আর উন্নতির জন্য ঝগড়া করতে আমার ভালও লাগে না। আর আপনাকে আমি এটা বোঝাতে যাচ্ছি না যে আমি নিজে থেকে এই অনুবাদ করেছি। সেটা পাঠক এবং সচল মডুদের উপর ছেড়ে দিলাম। তবে আপনাকে একটা ছোট অনুরধ করি, যে লেখাটা আপনি অনুবাদ করেছেন তার সম্মান রাখবেন প্লিজ। একজন বই পড়ুয়া মানুষের কাছ থেকে আপনি যেভাবে কথা বললেন এভাবে কথা আশা করিনা। হতাশ হলাম। আপনি অবশ্যই আপত্তি জানাতে পারেন যেহেতু আপনার লেখাটা আগের কিন্তু সেটা আর একটু যুক্তিসঙ্গত, উদাহরণসহ , এবং ভদ্র ভাবে করলেই খুশি হতাম।
আপনার এত রাগ কেন হল আমি তাও বুঝলাম না, আপনার লেখাটাই বেশী সুন্দর হয়েছে(আমার মতে ) এবং বেশী জনপ্রিয় হয়েছে (যেহেতু আগে লিখেছেন ) । তারপরও যদি আমি আপনার লেখা কপি পেস্ট করতাম একটা কথা ছিল। আপনি কি আমার লেখাটা পড়ে এই কথাগুলো লিখলেন?
প্রিয় ধূসর জলছবি,
হাচলত্বের হিসেবে আপনি আমি মোটামুটি সমসাময়িকই বলা চলে। একই সময়ে লিখা শুরু করি আমরা। অযাচিত একটা পরামর্শ দিয়ে যাই কানে কানে। সচলের মত চমৎকার প্ল্যাটফর্মেও মাঝেমধ্যে কিছু আবর্জনা এসে আপনার লিখায় গন্ধ ছড়িয়ে যাবে। কিছু করার নেই। আপনি যেন তাতে একদম কান দিবেন না। আমি উপরেও বলেছি আবারও বলছি, আপনার অনুবাদ অসম্ভব চমৎকার হয়েছে। আরো পড়ার জন্য লাইনে দাঁড়ালো সত্যপীর।
..................................................................
#Banshibir.
আপনার মূল্যবান পরামর্শ এবং সেই সাথে চমৎকার অনুপ্রেরণার জন্য
আপনার সাথে দ্বিমত পোষণ করছি।
একঃ তুলনামূলক ভাবে সামিরা'র অনুবাদের থেকে আপনারটাই ভালো লেগেছে।
দুইঃ ব্লগে বা লেখালেখি করলেই মানুষ অনেক পড়ে এমন নাও হতে পারে। সুতরাং সবার কাছে ওই সেন্স আশা করা মনে হয় ঠিক হবে না। এই সেন্স জিনিসটা কিন্তু বেশ ঘোরালো, এইটা অনেক পড়েও না আসলে কিছু করার নাই, আবার অল্প স্বল্প পড়েও এসে যেতে পারে। বড়ই বিচিত্র।
যেমন ধরেন এক ভদ্রলোক একটা বই লিখেছেন, আর সুযোগ পেলেই সেটার বিষয়ে দু-এক লাইন তিনি এখানে সেখানে ঠুসে দেন। তা এটা কি আপনার সেইরকম লেখকোচিত আচরণ মনে হয় বলুন?
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
কল্যাণদা, আসলে এটা আমার করা প্রথম অনুবাদ, আমি কখনই এর আগে কিছু অনুবাদ করিনি। এটা করেছিও খুব ভয়ে ভয়ে, সবাই ভাল বলেছে, উৎসাহ পেয়েছি অনেক। হয়ত ঝড়ে বক মারার মতই হয়ত এটা এত ভাল হয়ে গেছে, জানিনা। ভবিষ্যতে যদি এরকম ভাল অনুবাদ করতে পারি তাহলেই বুঝব যে আমার ভিতরে গুণটা আছে।
আর আমি নিজে প্রচুর পড়ি। পড়াটাকে সম্মান করি। সচলের পরিবেশটা এ কারনেই ভাল লেগেছিল যে এখানে পড়ুয়া মানুষের সংখ্যা অনেক অনেক বেশী। অন্য কোন ব্লগে একদিন দুদিন ঢুকেই আর ঢুকা হয়নি। আর এখন তো ঢুকিও না। এজন্যই আমার অভিজ্ঞতা খুব কম। আমি বিশ্বাস করি কেউ যদি লেখক হতে চায় তাহলে তার আগে ভাল পাঠক হতে হবে। এক হাজার ভাল বই পড়ে তারপর একটা ভাল বই লিখতে হবে। কিন্তু চারপাশে আমার বিশ্বাসের মত মানুষ কমই পাই। ইদানীং তাই দেখছি। আপনার সাথে আমি একমত। আসলেই আশা করাটা উচিৎ হয় নি। তার আচরন দেখে খারাপ লেগেছিল তাই বলে ফেলেছিলাম।
আপনি আমাকে যে উৎসাহ দিলেন তার জন্য আসলেই অনেক ধন্যবাদ।
আরে ভাইরে, উৎসাহ দেই কি আর সাধে? নিজে তো পিসিতে ওয়ার্ড খুলে বসে থাকি, দুই এক লাইন লিখি, কিন্তু যেই সেটা পড়ে দেখি অমনি সব সিলেক্ট করে ডিলিট করি। লেখা আর আগায় না। তাই যারা লেখে তাদের পোস্টগুলো মন দিয়া পড়ার চেষ্টা করি, মন্তব্য করি, ঘুরাঘুরি করি।
ডিস্ক্লেইমারঃ আমার আগের মন্তব্যের উদাহরণ যদি কারো সাথে মিলে যায় তাতে কিন্তু আমার কোনো হাত নাই, এইটা পুরাপুরি যে পড়তেছে তার কৃতিত্ব। আর এই উদাহরণ দেওয়ার সময় আনিসুল হক সাহেবের কথা মোটেও চিন্তা করি নাই।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
কি যে বলেন ঠিক নাই, আপনার মন্তব্য পড়ে আমার মনে ভুলেও আনিসুল হকের নাম আসে নায়
আপনি কি মূল লেখকের কাছ থেকে কপিরাইট নিয়েছিলেন?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বিদেশী লেখা লেখকের বিনা অনুমতিতে অনুবাদ এবং প্রকাশ করে আপনিই অপকর্মের সূচনা করেছেন। যাহোক, এতোটা আক্রমনাত্মক হওয়ার প্রয়োজন ছিলোনা আপনার এবং এর সাথে জীবনে উন্নতির বা অবনতির কোনও সম্পৃক্ততা নেই। তা'ই যদি থাকতো তবে জব্বার কাগু হতো বিল গেটস আর মেহেদী হতো টাইপিস্ট। ধন্যবাদ।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
উৎস একই হওয়ার মিল্টুকু পাওয়া গেলো। সাথে এটাও পরিস্কার হল আপনার অনুবাদের থেকে এই অনুবাদ মানে অনেক উন্নত, ঝরঝরে।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
পাঠক হিসাবে মনে করি ধুসর জলছবির করা অনুবাদটি পড়তে অনেক আরাম হয়েছে।
আর সামিরা, আপনাকে বলছি, ধুসর জলছবির জীবনের উন্নতির উপায় না বাৎলে শুধু অভিযোগ উত্থাপন করাই কি শ্রেয়তর ছিলনা?
খুব ভালো লাগলো লেখাটি।
আমার প্রেমিকের ( যিনি আমার বর এখন) আমাকে দেয়া প্রথম উপহার জাফর ইকবালের কপত্রঅনিক সুখ দুহ্খ ( বানানের ঝামেলা হচ্চে, correct করতে পারচি না , সরি) , আর আমি দিলাম সুরাইয়া খানমের নাচের শব্ধ। বিয়ের বয়স বত্ত্রিশ, এখনউ আমার প্রিয় উপহার বই।
একজন কে জানি যে বই পরা ( correct করতে পারিনি) মেয়ে চায়, তাকে আমি সন্মান জানাই।
ভুল বানান নিয়ে comment দিতে খারাপ লাগ্চে। কিন্তু লেখা এত ভাল লাগল, যে না জানিয়ে পারলাম না।
Thanks.
আপনাকে এবং আপনার বর কে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। বাকিটা জীবনও এমনি থাকুন আপনারা।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল লাগা জানানোর জন্য।
ভীষণ মায়া মায়া একটা লেখা হয়েছে।
লেখাটা পড়ার সময় মাঝেমাঝেই আমার তিথীডোরের কথা মনে হয়েছে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ধন্যবাদ শিমুলাপু,
লেখার সময় মনে হয় তিথীডোরের আত্মা ভর করেছিল আমার উপর , অথবা আমি তিথীডোরে আক্রান্ত
দুটো লেখা তুলনা করে দেখলাম। আপনারটাই ভালো লেগেছে।
সামিরার অনুবাদটা আক্ষরিক মনে হলো, ঐ ব্লগেও এই অভিযোগ পেলাম।
তবে আপনার লেখায় বানান বিভ্রাট চোখে লাগল।
কিছু মনে না করলে উল্লেখ করতে চাই-
যায়গা, এরিমধ্যে, হটাত, হেটে, আবৃতি ইত্যাদি।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বানান ভুলের ব্যাপারটা নিয়ে আমার আসলেই ঝামেলা হচ্ছে। কিছু হয় টাইপো ভুল নিজের অজান্তে, আর কিছু বানান নিজেই ভুলে গেছি। এরপর আরও সচেতন থাকার চেষ্টা করব। আর ভুল হলে এভাবে যদি ধরিয়ে দেন তাহলে খুব ভাল হয়, শুধরে নিতে পারি নিজেকে। এখানকার গুলোও ঠিক করে দিলাম।
(গুড়)
facebook
কয়দিন ধরেই দেখছি, আর ভাবছি, মনে হয় বুক রিভিউ (কেন এরকম মনে হলো ঠিক জানি না, মনে হয় দৌড়ের উপরে থাকার কারণে)। আমি সিনেমার আর বই রিভিউ সহজে পড়িনা, তাই ঢোকা হয়ে ওঠেনি। কিন্তু ঢোকার পরে লগ-ইন করতে বাধ্য হলাম।
এত চমৎকার একটা লেখা আপনার কল্যাণে পড়া হলো, ধন্যবাদ সেই জন্যেই। অনুবাদও ভালো হয়েছে, অন্য কারও লেখা মনে হয়নি, (যেহেতু আমি ট্যাগ সেভাবে খেয়াল করি না, হা হা হা)।
আবারও ধন্যবাদ।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ
খুবই ভাল লেগেছে অনুবাদটা।
ভালো লেগেছে। পড়ুয়া বালিকাদের ফোন নাম্বার ইমেইল অ্যাড্রেস দিয়ে দিলে আরো ভালো লাগত।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ।
উহু , ওটা আমি দিব না, আমি উপদেশ দিয়েই খালাস, বাকিটা যার টা তারই জোগাড় করে নিতে হবে ।। ঘটকালি বড়ই বিপদজনক কাজ।
অদ্ভুত দারুণ অসাধারণ অনুবাদ হয়েছে। মন্তব্য না করে থাকা গেলনা!
পড়ুয়া কোন মেয়ের প্রেমে পড়ার সুযোগটা সম্ভবত আর নেই, তাও লেখাটা পড়ে কিছুক্ষণের জন্য মনে ইচ্ছাটা উঁকি দিয়ে গেল!
অসংখ্য ধন্যবাদ
দূর্দান্ত!!!!!!
অনেক ধন্যবাদ।
চমৎকার অনুবাদ। আর এসব আজিরা পাব্লিকের ক্যাকু-ক্যাকুতে টেনশান নিয়েন না। লেখা চালায়ে যান।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ উৎসাহ দেয়ার জন্য।
অনুবাদ ভালো হইছে। আসলে এইটা যে অনুবাদ সেটাই টের পেলাম শেষে এসে। (গুড়)
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
অসাধারণ একটা লেখা পড়লাম। এই সময়ের ছেলেদের জন্য উপযুক্ত একটি লেখা। পড়ুয়া মেয়েটিরই প্রেমে পড়তে হবে। আমার স্ত্রীর প্রথম যে বিষয়টি আমার খুব ভাল লেগেছিল তা হল সে প্রচুর বই পড়তো। আমরা প্রেম করার সময়ও একে অপরকে অনেক বই উপহার দিয়েছি। সে উপহার হিসেবে বই পেলেই বেশি খুশি হত অন্য যে কোন কিছুর চেয়ে। 'ধুসর জলছবি' আপনাকে ধন্যবাদ লেখাটির জন্যে।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের দুজনকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা, অদ্ভুত নামের সব বাচ্চা হোক আপনাদের আরও অদ্ভুত হোক তাদের রুচি
লেখাটি আর কাউকে নাহোক আমার মাকে পড়ানোর জন্য নিয়ে যাচ্ছি - " যিনি প্রায়শ মেয়েরা কি এমন হয়? শাড়ি চাইবে গয়নার ডিজাইন এর জন্য ম্যাগাজিন খুঁজবে, স্যান্ডেল আর ব্যাগের দোকান দেখলেই ছোক ছোক করবে তা না !!!!!!! এই জাতীয় মন্তব্যের মাঝে গজর গজর করেন।
সেই সাথে বইয়ের আলমিরা মুভির কালেকশান গুলোকে কি শেষ বিদায়ের সময় নিয়ে যেতে পারবো কিনা বলে নানান ভাবে ঝাড় ঝাপটা রেডি করে রাখেন।
যদিও এসবের থোড়াই কেয়ার করতে পেরেছি ___ কিছু ভাইরাস মনে হয় জন্মগত বিল্ট ইন
এই লেখাটি আমি প্রিন্ট করে আজ তার জন্য নিয়ে যাবোই যাবো
আপনাকে কৃতজ্ঞতা এমন একটি পোষ্ট এর জন্য।
আপনার লেখাটি পড়ে আগে যা যা ভুল করেছি সত্যিই তা আর করবো না। অবশ্যই তার পড়ার সময় বিরক্ত করবো না। বই পড়ে মন খারাপের মূহুর্তে আগলে রাখবো এমনভাবে সে বুঝতেই পারবে না কিভাবে/কখন যে তার মন ভালো হয়ে গিয়েছে!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।
প্রখর-রোদ্দুর , আপনি আপনার মাকে দেখাবেন, আমার মাকে কে দেখাবে । বলবে নিজে তো গেছই এখন অন্যদেরও মাথা নষ্টের চেষ্টা চালাচ্ছ । আমার মা যদিও বই পড়তে ভালবাসে , কিন্তু আমার বই আর মুভি ফ্রিক আচরণ দেখে দেখে সে অতিষ্ঠ ( তার ভাষায়) । রেসাল্ট খারাপ তো বইয়ের দোষ, চোখের নিছে কালি তো মুভির দোষ, বেখেয়ালি থাকি তো বই পড়েই এই অবস্থা, ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার মায়ের অভিযোগ নিয়ে লিখলে একটা মহাগদ্য হয়ে যাবে।
আমিও অবশ্য থোরাই কেয়ার করি, জন্মগত ভাইরাস বলে কথা।
আপনার মাকে দেখান, দেখি আমার মাকে কিভাবে দেখান যায়। অন্য কেউ লিখেছে বলে চালিয়ে দিব ভাবছি ।
অপূর্ব হয়েছে লেখাটা।আমার ছেলের জন্য এমন একটা বউ চাই।
ধন্যবাদ। আপনার ছেলের বউটা অনেক ভাগ্যবতী হবে। শুভকামনা রইল।
চমৎকার লাগলো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ।
আপনার অনুবাদটা যদি বাস্তবে ধরা দিত!!!!!!
ভালো লেগেছে।
ওরে বাসরে। অনুবাদে যে মার মার কাট কাট লেগে গেছে দেখি।
সে যাকগে, আমার তো এই ভার্শনটাই দারুন লাগলো। চুরি চামারি মনে হয়নাই। এত মমতা দিয়ে লিখতে কম মানুষই পারে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কেন জানি যেটাই করতে যাই, মার মার কাট কাট লেগে যায় মারামারির একটা ট্রেইনিং নিয়ে রাখা দরকার
মনে মমতার অভাব নেই, কিন্তু হাতে সেটা আনতে পারিনা। আপনি বলেছেন , অনেক ধন্যবাদ।
যেটা আছে সেটা আছেই। আমার বলা না বলায় আটকায় না।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হুম, কিন্তু কারও কারও উৎসাহের মূল্য আমার কাছে অনেক কিছু।
একটা ভালো ছবি দেখলে যেমন চোখের আরাম লাগে, একটা ফুল দেখলে যেমন চোখের আরাম লাগে, আপনার লেখাগুলো পড়লে আমার তেমন আরাম লাগে। কিছু কিছু মানুষের হাতে যাদু আছে, লেখাগুলো মন ছুঁয়ে যায়। আপনার আগের লেখাগুলো আমাকে বারবার ছুঁয়ে গিয়েছিল, এই লেখাটিও। আপনার একটা ছবিও মনের মধ্যে আঁকা হয়ে গেছে। আপনি একটুও মন খারাপ করবেননা, যে যাই বলুক। ফুলের সুরভীতে যদি কারো মাথা ধরে সেটা তার সমস্যা, ফুলের নয় । সচলের বাগানে আপনি তেমন ফুল যে ফুলের সুবাসে আমরা আমোদিত। আপনি আরো লিখুন, আরো লিখুন। একটু মন খারাপ করবেন না যাদের মাথাব্যাথা করে তাদের কথায়।
ভালো থাকবেন।
হায় হায় আপনিতো আমাকে বিশাল লজ্জার মধ্যে ফেলে দিলেন । আমি জীবনেও ভাবিনি আমার লেখাতে কেউ এমন করে বলতে পারে। আমি পাঠক মানুষ, মাঝে মাঝে ভাব আসলে আবোল তাবোল লিখি। কথা বলে মানুষকে প্রেরনা দেয়ার যে ক্ষমতা আপনার আছে , আপনার আশে পাশের মানুষেরা নিশ্চিত ভাবেই সবাই অনেক সার্থক হবেন জীবনে। আপনারও সার্থকতা কামনা করছি। অনেক অনেক ভাল থাকুন নিজের মত করে ।
ভালই লাগলো।
এক পড়ুয়া মেয়ে আমার প্রেমে পড়েছিল।।।।।
ধন্যবাদ।
প্রেমে পড়েছিল , তারপর?
চমৎকার কাজ হয়েছে। অন্যের কথায় কান দেবেন না। দুটি অনুবাদ প্রায় কাছাকাছি সময়ে প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশে ১৫ কোটি মানুষ, দুজন মানুষ একই সময়ে একই বিষয়ের উপর কাজ করলে সেটা কেবল সমসাময়িক ট্যাগই পেতে পারে, নকলের নয়। আর যদি তর্কের খাতিরে ধরে নেই আপনি লেখাটি অনুবাদের খবর জানতেন, সে ক্ষেত্রে ছয় দিন সময় আপনি পেয়েছেন একটি আক্ষরিক অনুবাদকে ভাষান্তরে বদলে দিতে, আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনাকে অভিনন্দন জানাতাম অধিক উন্নততর কাজের জন্য। আশা করি আমার হাইপোথিসিসে কিছু মনে করেননি, ওটা শুধু তুলনা করার জন্য বলা।
আপনাকে ধন্যবাদ। কারও কথাতেই কান দিচ্ছি না এখন আর । হুট করে একটা অনুবাদ করেছি ,মুল লেখাটা পড়ে খুব বেশী ভালও লেগেছিল বলে , ঝড়ে বক মারার মতই সেটা সবাই পছন্দ করে ফেলেছে, আবার সেটা নিয়ে বিতর্কও হয়ে গেছে, আগেই আর একজন করেছে বলে। এসব কোন কিছুই আমার ধারনার মধ্যে ছিল না। ভাল হবে এটাও বুঝিনি, বিতর্ক হবে এটাও বুঝিনি। তবে আপনারা সবাই সাহস দিয়েছেন সেজন্য অনেক ধন্যবাদ। ভবিষ্যতে যদি ভাল কোন অনুবাদ করতে পারি তাহলে নিজেকে সার্থক ভাবব । ভাল থাকবেন।
দারুউউউউউন ।
লেখাটা পড়েই মন্তব্য করেছিলাম তারপর আর পরের মন্তব্যগুলো দেখা হয়নি।আজ আমার বন্ধুর কাছে শুনে আপনার লেখাটা আবার পড়লাম।এবং সামিরার দাবি দেখে একটু অবাক হলাম।যেদিন তিথীডোর লিঙ্কটা দিয়েছেন সেদিনই ওই অনুবাদটা পড়েছি।কিন্তু ওই অনুবাদটা তো বটেই মূল লেখাটার চেয়েও আপনার অনুবাদটা বেশি ভাললেগেছে।কেন সামিরা এরকম দাবি করলেন এবং কেনইবা আপনার দেয়া ব্যাখার পর কোনো প্রতিউত্তর দিলেন না খুব জানতে ইচ্ছে করছে।আশা করি সামিরা তার দিকের ব্যাখাটা দিবেন।আপনার লেখাটা ফেসবুকে শেয়ার করেছিলাম।সেখানে এক বড় ভাই বল্লেন পড়ুয়া মেয়ে তো ঠিক আছে কিন্তু এরা তো অনেক বোরিং হয়।আমার মনে হয় পড়ুয়া মেয়েদের কদর সবাই করতে জানে না।প্রথমে প্রথমে ভাল লাগ্লেও পরে অনেকেরই হয়তো 'বোরিং' লাগে।তাই একজন অলমোস্ট পড়ুয়া মেয়ে হিসেবে বলতে চাই "If you can only give her monotony, and stale hours and half-baked proposals, then you’re better off alone." আপনার আরও অনুবাদ পড়তে চাই।:)
আমিও মনে প্রানে এটা বিশ্বাস করি।
ধন্যবাদ। আর বোরিং এর ব্যাখ্যা এক একজনের কাছে এক এক রকম। যারা নিজেদের খুব ইন্টারেস্টিং ভাবে আমার কাছে তো অধিকাংশ সময় তাদেরকেই বোরিং লাগে। আমার মনে হয় মাথায় সমস্যা।
হাহাহা আমারও প্রায়ই এরকম হয়। মাথায় মনে হয় আপনার একার সমস্যা না।
চমৎকার লাগলো...কী অনবদ্য সুন্দর আপ্নার লেখার গতি!
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ধন্যবাদ। আপনার উচ্ছল প্রানবন্ত লেখাগুলোও আমার অনেক পছন্দ।
আমি বোধ হয় এমন এক মেয়েকেই ভালোবাসি___
তাকে বোঝা আরো একটু সহজ হল :)
অসাধারন অনুবাদ____
খুব স্নিগ্ধ একটা অনুভূতি হল লেখাটি পরে। সত্যি তাই, পড়ুয়া মেয়ে যে সে তো এমনি যে চরিত্রের দুঃখে রাত জেগে কাঁদে, সিরিয়াল দেখে নয়। যার হৃদয়ে বিরাজ করে সমুদ্রের ভালোবাসা। সে মানুষকে ভালবাসে, না কোন স্বার্থের জন্য নয়, বই যে তাকে সত্যিকার অর্থেই ভালবাসতে শিখিয়েছে।।। ।।।সত্যি খুব ভালো লাগলো। সে স্বপ্ন দেখে, আবার বাস্তবতাকেও ধারন করে। বই যে তাকে বানিয়েছে নানা চরিত্রের মিশ্রনে। ।।
আহারে, এত ভালো একটা লেখা এত পরে পড়লাম!!!
একটানে নিয়ে গেলো কৈশোরের মেঘমেদুর দিনগুলিতে - যখন একজন বই পড়ুয়ার সাথে পরিচয় হলে মনে হতো নতুন একটা পৃথিবী আবিষ্কার করলাম! বইপড়ুয়াদের আসরে যোগ দিতে সাইকেল চালিয়ে চলে যেতাম পদ্মাপাড়ের শহরটার এ মাথা থেকে ও মাথা! আর এভাবেই আমার পৃথিবীর সবচেয়ে মিস্টি মেয়েটির সাথে পরিচয়।
তবে শুধু পড়ুয়া মেয়ের প্রেমে পড়াই নয়, পড়ুয়ার সাথে বন্ধুত্ব করা নিয়েও একই কথা। সে জন্যেই বোধহয় সচলায়তন এত আপন!
অনেকেই সামিরার বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন। আমার একটা কথা জানাতে খুব ইচ্ছে করছে সামিরাকে - আপনার ঐ অনুবাদটা আপনারই করা তো? যেভাবে গায়ে পড়ে ঝগড়া করার মত করে এসে মন্তব্য করলেন, সেই মন্তব্যকারির মানসিকতা আর ঐ অনুবাদকের মানসিকতা এক রকম বলে মনে হচ্ছে না!!
আমিও অনেকদিন পর এই কিউট মন্তব্যটা দেখলাম। অনেক ধন্যবাদ।
মিষ্টি মেয়েটির সাথে পরিচয়ের গল্পটা লিখে ফেলুন না। জানতে ইচ্ছে হচ্ছে।
একদম মনের কথা।
অসাধারণ অনুবাদ হয়েছে। মন ভরে গিয়ে জল উপচে এল। পড়ুয়া মেয়েটিকেই ভালবেসেছি, ঘরে এনেছি। আজন্ম মূর্খ আমি ঐ একটি অসাধারণ বুদ্ধিমানের কাজ করে নিয়েছি। আপনাকে
এ লেখা যখন আলো দেখেছিল আমি তখনো সচলায়তন-এর সন্ধান পাইনি। সচলায়তন-এর আলো তখনো আমার উপর পড়েনি। ধন্যবাদ তাঁদের সবাইকে যাঁরা এই অসামান্য লেখাটি পড়তে সুপারিশ করেছেন।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
অসাধারণ অনুবাদ।
কয়েকবার পড়েছি। আরো কয়েকবার পড়তে হবে।
তবে শুধু পড়ুয়া মেয়ে না, পড়ুয়া ছেলেও দরকার। নিজে পড়ুয়া না হলে অন্যের পড়ার মূল্য বুঝতে পারবে না।
অসাধারণ অনুবাদ হয়েছে বন্ধু।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
সচলে বারবার পড়া হয়, এমন লেখাগুলোর এটা একটা।
এই ভাবগম্ভীর অনুবাদিকা আর লেখেন না কেন? হুয়াই?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন