পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ সাক্ষী ছিল শিরস্ত্রাণ

ধুসর জলছবি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর জলছবি [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১১/০৩/২০১৫ - ৯:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার সবচেয়ে প্রিয় জিনিস বই আর পড়ার বিষয়বস্তুর মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় হল গল্প আর ইতিহাস আরও নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে বলতে হবে ইতিহাসের গল্প। আর বাংলাদেশের ইতিহাসের গল্প নিজের বলেই সেটা অনুভূতিতে ভাসায় সবচেয়ে বেশি। “সাক্ষী ছিল শিরস্ত্রাণ” ঠিক তাই, বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বর্ণিল, উত্তাল, গর্বের সময়ের গল্প, হতাশা আর আশা পাশাপাশি হাত ধরাধরি করে হাটার সময়ের গল্প। এদেশ ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময়ের সংগ্রাম , নতুন দেশটাকে হাজার বাধা ঠেলে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যুদ্ধ, আবার সদ্য জন্ম নেয়া দেশটাকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টা এই সবই আছে উপন্যাসটার ৪৪০ পৃষ্ঠার পাতায় পাতায়।

অজস্র মানুষের ভালবাসা আর প্রাণের বিনিময়ে যেই দেশটার জন্ম সেই দেশেরই কিছু মানুষ আবার প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে গেছে তার জন্মের স্বপ্নটাকে পর্যন্ত ধূলিসাৎ করে দিতে। সে প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিবে বলে পরবর্তীতে নিঃশেষ করে দিয়েছে জাতীর পিতাকে যার এক তর্জনীতে ভর করে জেগে উঠেছিল বাংলা নামক অঞ্চলটির সবচেয়ে নির্লিপ্ত মানুষটিও, ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতা, যার জাদুকরী ব্যক্তিত্বের ছোঁয়ায় মুগ্ধ হয়েছে পৃথিবীর সব রথী মহারথীরা । ব্রাস্ফায়ার আর বেয়োনেটের খোঁচায় মেরেছে বাংলাদেশের চার মাস্কেটিয়ার্স, একটা ভঙ্গুর দেশের নিরস্ত্র মানুষদের নিয়ে যারা লড়াই করে হটিয়ে দিয়েছিল পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী সামরিক শক্তিটাকে ভিতরে বাহিরে অসংখ্য বাধা আর ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে, দেশ আর বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিশ্বস্ততায় যারা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত থেকে গেছেন one for all, all for one এই মন্ত্র জপে, মেরেছে খালেদ, হায়দারদের মত দেশপ্রেমিক নির্ভীক যোদ্ধাদেরও। তাদের অপরাধ তারা বাংলাদেশকে ভালবেসেছিল। সে এক অন্যরকম সময়, যার আখ্যান হার মানায় পৃথিবীর সবচেয়ে জটিল উপন্যাসটাকেও। সেই জটিল কঠিন সময়টাকে নিয়ে নিষ্ঠা, একাগ্রতা আর পরম মমতা দিয়ে সুহান রিজওয়ানের লেখা বই “সাক্ষী ছিল শিরস্ত্রাণ”। বইটা সফল না অসফল সেই প্রশ্নের চেয়ে এই একাগ্রতা আর মমতাটুকুই (যেটা বইটার পাঠকমাত্রই চোখে পড়বে) আমাকে মুগ্ধ করেছে সবচেয়ে বেশি।

গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তাজউদ্দীন আহমেদ । বঙ্গবন্ধুর প্রবল ব্যক্তিত্বের আড়ালে থাকা ফাইল হাতের দ্যাট লিটল নটরিয়াস ম্যান যে ভুট্টোর আশংকা সত্যি করে হয়ে উঠেছিলেন পাকিস্তানিদের জন্য সবচেয়ে দুশ্চিন্তার কারণ। ২৫শে মার্চের নৃশংসতায় যখন পুরো পৃথিবী স্তব্ধ, বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে দেশের মানুষ যখন দিশেহারা সেই সময় স্বাধীনতার শত্রুদের হতাশ করে নেতৃত্বের বোঝা নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন একাত্তরের এই নিঃসঙ্গ সেনাপতি। যিনি ছিলেন সৎ, মেধাবী, নির্ভীক, বিনয়ী, অভিমানী, নীতির প্রশ্নে অটল, অসম্ভব মমতাবান, মহৎ, উদার, অন্তর্মুখী এবং তার চরিত্রের এই সবগুলো দিকের কথাই সুহান ফুটিয়ে তুলেছে তার বইতে দারুণ নিষ্ঠার সাথে।

তাজউদ্দীন নামের মানুষটা সামলেছেন মুক্তিযুদ্ধের ভিতরের বাহিরের সকল শত্রুদের অদ্ভুত দক্ষতায় আর কাঠিন্যে, আবার সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশটাকে তুলে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর হাতে কোনরকম প্রত্যাশা বা প্রাপ্তির আশা ছাড়াই বঙ্গবন্ধুর প্রতি পরম নির্ভরতায়, আবার সেই মানুষই বঙ্গবন্ধুর ভুল স্বিধান্তের সময় আদর্শ আর যুক্তিতে অটল থেকে জাতীর পিতাকে মুখের উপর জানিয়েছেন তার অবস্থানের কথা। যে মানুষটি নতুন বিধ্বস্ত দেশটির অর্থমন্ত্রী হয়ে সংগ্রাম করে গেছেন দেশটিকে দাড় করানোর জন্য, সাইকেল নিয়ে বাজারে ঘুরে ঘুরে দেশের অবস্থা দেখে হার মানিয়েছেন গল্পকেও, সাড়া পৃথিবী ঘুরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির জন্য সাহায্য চেয়েছেন মাথা উঁচু করে, দেখিয়েছেন বিশ্বকে ভিক্ষুকেরও থাকতে পারে আত্মসম্মানবোধ, যুধবিধস্ত দেশে সবাই যখন ব্যস্ত নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থ নিয়ে একা লড়ে গেছেন তিনি আদর্শের জন্য, সেই মানুষই আবার রাক্ষুসে সেই সময়টাতে হাটি হাটি পা করে পিছিয়ে গেছেন খাদের কিনারে। সুহানের ভাষায়
“হতাশ হওয়া তাজউদ্দীনের ধাতে নেই, কিন্তু রথে চড়া সিংহাসন যদি ছুটে যায় অশান্ত যুদ্ধক্ষেত্রের বাড়িয়ে রাখা ধারালো সব তলোয়ারের মাঝ দিয়ে, রাজমুকুট কি তখন থাকতে পারে আঁচড়হীন? যুক্তি বলে মুকুটেও এত দিনে জমে গেছে অজস্র আঘাতের দাগ। কিন্তু রথের চারপাশের নিশ্চল মানুষেরা সে দাগ চোখে দেখে না”

ইতিহাসের সবচেয়ে বর্ণিল, স্বপ্নিল সময়ের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অথচ আড়ালে থাকা মানুষটি, হাজার পলিটিসিয়ানের ভিড়ে স্টেটসম্যান তাজউদ্দীন আহমেদ যিনি বলেছেন “ ইতিহাস লিখতে হবে এমনভাবে যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সেখানে আমাদের আলাদা করে খুঁজে না পায়” । এই তাজউদ্দীন আহমেদকে নিয়ে গল্প লেখাটাই একটা বিশাল দুঃসাহসী কাজ, তাই হয়ত এতকালের বাংলাদেশ এড়িয়ে চলেছে, তাকে নিয়ে লিখতে গেলেই যে চলে আসবে সেই সর্পিল সময়ের কথা যার আঁকাবাঁকা পথে তাল রাখা বড় কঠিন। জীবদ্দশায় প্রচার-বিমুখ মানুষটা তাই এখনও রয়ে গেছেন প্রচারের আড়ালে। ইতিহাসের সেই দায় মিটিয়েছে “সাক্ষী ছিল শিরস্ত্রাণ” পরম ভালবাসায়।

বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম ভিলেন খন্দকার মোস্তাকের কথা ঘুরেফিরে এসেছে বইটাতে কারণ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেই তো ছিল বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর প্রধান শত্রু। দেশের জন্মলগ্ন থেকেই পলিটিক্স করে চলা এই মানুষটির লোভ, ধূর্তামি, প্রতিহিংসা, কুটিলতা, আচরণের ছ্যাবলামি বেশ ভাল ভাবেই লিপিবদ্ধ হয়েছে বইটিতে বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনায়। অথচ তবুও কেন বঙ্গবন্ধু তাজউদ্দীনকে দূরে ঠেলে মোস্তাককে কাছে টেনে নিয়েছিলেন এই দুঃখবোধে আবার নতুন করে তাড়িত হলাম সুহানের বইটা পড়ে।

বইটি লেখার ধরনে সুপাঠ্য, গল্প সাজানোর দক্ষতায় পাঠককে ধরে রাখবে শেষতক। হাসাবে, কাঁদাবে, ভাবাবে, শেষমেশ বিষণ্ণ করে রেখে যাবে। ইতিহাসের গল্প বলাটা খুব কঠিন কাজ নিঃসন্দেহে , নিজের কল্পনার লাগাম টেনে ধরতে হয়, সত্যি গল্পগুলোকে না বদলে গেঁথে দিতে হয় একটার সাথে আরেকটাকে কল্পনার সাহায্য নিয়ে, সাথে থাকে ইতিহাসের প্রতি দায়বদ্ধতা, বিকৃতির ব্যাপারে সচেতনতা এই সবগুলো ক্ষেত্রে “সাক্ষী ছিল শিরস্ত্রাণ” সার্থক।

পড়তে গিয়ে যে ব্যাপারটা প্রথমেই খুব বেশি চমৎকার লেগেছে সেটা হল অধ্যায়গুলোর নামকরণ। প্রতিটা অধ্যায়ই যেন একটা ছোট গল্প। আর নামকরণটা করা হয়েছে ঘটনা, বা চরিত্রের উপর নির্ভর করে না বরং চ্যাপ্টারটা পড়ার পর পাঠকের অনুভূতির উপর নির্ভর করে। যে কারণে বইটা পড়ে আমার মনে হয়েছে সুহান রিজওয়ান শুধু লেখক না সে খুব ভাল পাঠকও।

বইটির কিছু কিছু জায়গায় বিশেষ করে ঐতিহাসিক কিছু ঘটনায় একদম খুঁটিনাটি ব্যাপার-গুলোসহ বর্ণনা লেখা হয়েছে। উদাহরণ দিতে গেলে বলা যায়, “রাজা গেলেন কারাগারে” চ্যাপ্টারে ২৫ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত স্বাধীনতার ঘোষণার পুরো ধাপটা অল্প কিছু লাইনেই খুব বিস্তারিত বলা হয়েছে। যদিও ইতিহাস নিয়ে লেখা উপন্যাসে ইতিহাসের পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা থাকার কথা না কিন্তু ইতিহাস বিমুখতা আর বিকৃতি চর্চার এই দেশে এরকম কিছু বই থাকা উচিত বলে মনে হয়েছে। এবং এই কাজটা করতে গিয়েই বইটার প্রথম খণ্ডে কিছু কিছু জায়গায় পাঠক তাজউদ্দীনকে হারিয়ে ফেলতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের বিশাল ক্যানভাসটাকে ধরতে গিয়ে কিছু কিছু জায়গায় গল্পগুলো যেন একটু লেখকের হাতছাড়া হয়ে গেছে। উত্তরখণ্ডে অবশ্য লেখক সে দায় পুষিয়ে দিয়েছে তবুও কিছু কিছু যায়গায় মুকুট নামের মানুষটাকে জানার আগ্রহের পিপাসা কেন যেন আমার পুরোপুরি মিটেনি।

আর একটা কথা না বললেই না, জোহরা তাজউদ্দীন এর ক্ষেত্রে এই বোধটা আরও বেশি হয়েছে আমার, আর একটু কি বলা যেত না তার গল্প, মুকুটের পাশে থেকে নিরন্তর ভালবাসা, আস্থা, আশা যুগিয়ে যাওয়া মানুষটার উপস্থিতি আর একটু বেশি তো হতেই পারত! এই হতাশাটা আমার থেকে যাবে।

ইতিহাসের অনেক চরিত্রের ভিড়ে বইটিতে কিছু কিছু চরিত্র বিস্তারিত এসেছে আবার কেউ কেউ সেভাবে আসেনি। যেমন মেজর খালেদ মোশারফ বা মেজর হায়দারের কথা যেভাবে এসেছে কর্নেল তাহের বা জিয়াউর রহমান সহ অনেকেই সেভাবে আসেনি। এটিকে লেখকের নিজস্ব স্বাধীনতা ভেবে নিয়েছি। কেউ কেউ হয়ত এটাকে লেখকের ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের সীমাবদ্ধতাও ভাবতে পারেন।

হয়ত সুহান রিজওয়ান বলেই এই সমালোচনাটা আপনা থেকেই চলে আসল নয়ত একজন লেখকের প্রথম উপন্যাস হিসেবে বইটা শুধু সফল তাই না আমি নিশ্চিত ইতিহাস নিয়ে লেখা উপন্যাসের ভিড়ে এই বইটা টিকে থাকবে সগৌরবে। সাক্ষী ছিল শিরস্ত্রাণ আমাদের চেনায় প্রচারণার আড়ালে থাকা এক মহীরুহকে যাকে ছাড়া বাংলাদেশের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। যাকে না জানলে অসম্পূর্ণ থেকে যাবে ইতিহাসের শিক্ষা। যার আদর্শের, কোমল্যের, মহত্বের গল্প পড়ে বড় হওয়া উচিত আমাদের জেনারেশন পর জেনারেশনদের তবেই হয়ত একদিন দেশকে সবার উপরে স্থান দেয়া সেই মানুষগুলোর স্বপ্ন দেখা বাংলাদেশটাকে সত্যি সত্যি পৃথিবীর মানচিত্রে ফুটিয়ে তুলতে পারব আমরা।

বইটা শেষ করার পর থেকে তাজউদ্দীনের নিজ হাতে লেখা ডাইরিটার জন্য বুকের মধ্যে হাহাকার নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। তাকে নিয়ে লেখা গল্পই যদি এত অসাধারণ হয়, তার নিজের উপলব্ধির দিনলিপি না জানি কেমন হত। যেই দিকনির্দেশনা তিনি রেখে যেতে চেয়েছিলেন পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আশা করি পরবর্তী প্রজন্মের সুহান রিজওয়ানরা তাজউদ্দীনের জন্য বুক ভরা ভালবাসা নিয়ে সেটা আপনা থেকেই খুঁজে বের করবে। সেই খুঁজে নেয়ারই এক প্রচেষ্টার নাম “ সাক্ষী ছিল শিরস্ত্রাণ” ।

সুহান রিজওয়ানকে তাই ধন্যবাদ সাহস করে বইটা লিখে ফেলার জন্য আর সচলায়তন পরিবারের অংশ হিসেবে তাকে নিয়ে গর্ব আমরা করতেই পারি।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

কাল রাতে পড়তে শুরু করেছি। দারুণ সুখপাঠ্য বই।

দেবদ্যুতি

ধুসর জলছবি এর ছবি

আসলেই হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

সুহান রিজওয়ানকে তাই ধন্যবাদ সাহস করে বইটা লিখে ফেলার জন্য আর সচলায়তন পরিবারের অংশ হিসেবে তাকে নিয়ে গর্ব আমরা করতেই পারি।

চলুক

বইটা কিনে রেখে দিয়েছি, পড়ার সাহস হচ্ছে না। পড়লেই তো শেষ হয়ে যাবে। মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

ধুসর জলছবি এর ছবি

এই অনুভূতিটা আমার হয় কোন বই পড়তে পড়তে খুব ভাল লেগে গেলে। তখন শেষের দিকে এসে কয়েকদিন রেখে দেই, খুব আস্তে আস্তে পড়ি। মনে হয় পড়লেই তো শেষ হয়ে যাবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

পড়ার টার্গেটে আছে। নিজে পড়ার আগেই পাঠ প্রতিক্রিয়া জেনে এই ই্চ্ছেটা আরো বেড়ে গেল।

স্বয়ম

ধুসর জলছবি এর ছবি

পড়ে ফেলুন হাসি

আয়নামতি এর ছবি

চলুক
পাঠ প্রতিক্রিয়া পড়ে ভালো লাগলো জলছবি! আহারে আমার বইগুলু যে কবে হাতে পাবো চিন্তিত

ধুসর জলছবি এর ছবি

ধন্যবাদ আয়না হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লিখাটিতে সে বইয়ের "ধার " খুব ভালো করে ফুটে উঠেছে । বইটি পডার তাগিদ সৃষ্টি হয়েছে নিজের ভেতর। ধন্যবাদ আপনাকে । বইটি নিয়ে লিখার জন্য।
এ্যনি মাসুদ

অতিথি লেখক এর ছবি

একটি বই কি শুধুই অক্ষরের কারখানা? না মোটেও তা নয় , জীবন্ত কণিকা হলো একটি বই । আর ইতিহাসের একখন্ড জীবন্ত কণিকা হলো সাক্ষী ছিল শিরস্ত্রান!
----------------
রাধাকান্ত

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।