অতিথি লেখক এর ব্লগ

কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদন্ড---হতাশা আর আশার কথা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০৫/০২/২০১৩ - ৪:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলার মাটিতে যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দেখে যেতে চান, তাদের জন্য আজ এক বিশেষ খুশির দিন। জামায়াতে ইসলামীর এক উচ্চপদস্থ নেতা কাদের মোল্লার ৭১এর অপরাধ আজ আদালতে প্রমাণিত। আইসিটির রায়ে তার যাবজ্জীবন কারাদন্ড ঘোষিত হয়েছে। কিন্তু ফাঁসির রায় না হওয়ায় আমাদের অনেকেই বিক্ষুব্ধ ও হতাশ। সেই হতাশা থেকে কি আমাদের আজকের দিনের বিশাল অর্জনকে কিছুটা হলেও আমরা ভুলতে বসেছি?


ব্রেমেন কার্নিভাল

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৩/০২/২০১৩ - ৫:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দুইদিন আগে এক লাফানোতে ওস্তাদ মানুষ খবর দিল, "জানিস নাকি ২ তারিখে সকালে কার্নিভাল আছে। যাবি?"
চিন্তা করলাম সারা সেমিস্টার পড়ি নাই, ছুটির দিনে একটু পড়লে পরের সপ্তাহের পরীক্ষাটা উৎরানো যাবে।তাছাড়া ছুটির দিনে সকাল ১০টায় ঘুম থেকে উঠলে লোকে কি বলবে? বলে দিলাম, "না!!"
জবাব আসল, "সাম্বা কিন্তু!!"
উত্তর দিলাম,"সেটা আগে বলতে হবে তো, ঘুম থেকে ডাইকা তুইলো।"


আমরা ভালই আছি, স্বভাবিক আছি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০১/০২/২০১৩ - ৩:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমরা কোন দিকে যাচ্ছি, এ প্রশ্ন করাই যেতে পারে। তবে তা বহুল ব্যাবহারে এত বেশি জীর্ন আর সেকেলে হয়ে উঠেছে যে,একে আর প্রশ্ন মনে হয় না ইদানিং। বরং এটি আক্ষেপ বা এরকম আর কিছু যা অনুদ্দিষ্ট ছুড়ে দিয়ে আমরা নিজের মত করে যাপন করতে পারব আমাদের তথাকথিত জীবন। মানে এক ধরনের পলায়ন আর কি। তথাকথিত মানে সেই নটা- পাঁচটা,খবরের কাগজ, চায়ের দোকানে দেশোদ্ধার, খাতা-কলম, জলছাপ মারা ময়লা অথবা নতুন নোট, গোনা- গুনতি, সন্ধ্যায় অথবা রাতে রিমোটের ভ্রমন, টক শো দেখে দ্বয়িত্ব পালন, একান্তে ক্ষরণ ইত্যাদি।

মহামূল্যবান এইসব কাজ আর তার চলমানতার ফাঁকে কখনো কখনো আমরা হাসি, গান গাই, নাচিও কেউ কেউ, ফুঁশেও উঠি মাঝে মাঝে যখন এড়ানো যায় না আর কিছুতেই। ফুঁশে ওঠাটা অস্বাভাবিকতা। তাই আমরা খুব তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক হয়ে যাই আবার। নিজস্ব বৃত্তায়নে নিজেকে দেখি আর তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলি মাঝে মাঝে। এই ফাঁকে কারা কারা বিপন্ন হলো তার দায়তো আমাদের নয়। কাজ সেরে ফেরার পথে কে অপহৃত হয়ে শোধ করলো একা একা লৈঙ্গিক দায় আমরা জানার প্রয়োজন বোধ করি না। হ্যাঁ লৈঙ্গিক দায়, মানে প্রচলিত অর্থে যাকে ধর্ষণ হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে। যদিও বাংলা একাডেমির অভিধান ঘেঁটে অর্থ পাওয়া গেল, অত্যাচার বা নিপিড়ন। একমাত্র নারীর ক্ষেত্রেই এই শব্দটি দিয়ে লৈঙ্গিক অত্যাচার বিষয়টিকে বোঝায়। শব্দার্থ পর্যালোচনা এই লেখার দায় নয়।


পটভূমি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২৮/০১/২০১৩ - ৭:৩৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এমিরেটস এয়ারওয়েজের দুবাই-লন্ডন ফ্লাইটের বিজনেস শ্রেণী। দিলদার হাসান জাঈদী বসে আছেন, পাশেই বসে এ.বজরুল।

বজরুল দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান। তবে তার বিজনেস ক্লাসে চড়ার মুরোদ ছাত্র ঠেঙিয়ে হয়নি; হযেছে কথা সওদা করে। তর্ক কথায় বজরুলের কোনো জুড়ি নেই। ছোটবেলায় দাউদ খুজলির মলম বিক্রির ক্যানভাস করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতেন তিনি। ক্লাস ফাইভে থাকতে সহপাঠী শিউলিকে বিশ্বাস করিয়ে ফেলেছিলেন যে শিউলি একটানা সাত দিন 'হাম্বা' করে ডাকলেই তার স্তন ছাঁপিয়ে দুধ আসবে। তার স্কুল এর কলা শিক্ষক নন্দবাবু বজরুলের ভবিষ্যত দেখেছিলেন নাট্যকলায়। পড়ালেখায় মাথা থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিটা হয়ে যায় ঠিকই কিন্তু নন্দবাবুর কথাও বৃথা যায়নি পুরোপুরি। বজরুল এখন নানান টিভি চ্যানেলের জনপ্রিয় আলোচক।এখনো সেই ছোটবেলার মতই যেকোনো বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাস নিয়ে কথা বলতে পারেন। শিউলির মতই দেশের মানুষ তাঁর কথা বিশ্বাস করে।


ফ্রম সদরঘাট টু মামাবাড়ি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২৫/০১/২০১৩ - ৩:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


দিন-রাত-দিন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৪/০১/২০১৩ - ১:৪৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দিন-রাত-দিন


আমরা কি শুধুই আল্লাহর মাল???

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৩/০১/২০১৩ - ৫:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]মাঝে মাঝেই বাড়ীতে আব্বার কাছে ফোন করে ঘ্যান ঘ্যান করি,ডাক্তার হবনা। আসলে এই আক্ষেপটা এমনি এমনি তো আর আসেনা,সারাক্ষন পরীক্ষা, ক্লাস, ওয়ার্ড সবকিছু নিয়ে ত্যাক্ত-বিরক্ত এই আমি। তার উপর মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে মনের ভিতর সারাক্ষন একটা আশংকা ,এই বুঝি কোন অপরাধ করে ফেললাম, কোন স্যারের চোখে পড়ে গেলাম-তাহলে তো সাড়ে সর্বনাশ ,আর পাস করা লাগবেনা কোন প্রফে।


সাওনা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২২/০১/২০১৩ - ১০:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

'সাওনা তে যাবে নাকি কাল?'
শনিবার সকালের 'ব্রাঞ্চ' খাচ্ছিলাম। তাকিয়ে দেখি হাসি হাসি মুখে মার্ক্কু দাড়িয়ে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে মার্ক্কু-র সাথে আমার 'দ্বৈতাবাস' (দেশে থাকতে একবার এক দরখাস্তে 'দ্বৈতাবাস'-এর অনুমতি নিতে যেয়ে, 'দ্বৈতাবাস' এর জায়গায় 'সহবাস' লিখে ফেলেছিলাম, কি বিব্রতকর পরিস্থিতি!)। ফিনল্যান্ডে আমার এই বিশ্ববিদ্যালয়ে 'হোস্টেল' বলতে ছোট ছোট দুইতলা কাঠের বাড়ি। এক বাড়িতে চারটা করে এপার্টমেন্ট, প্রতি এপার্টমেন্টে দুইজন বাসিন্দা। আমার সাথে থাকে মার্ক্কু। তাগড়া জোয়ান ছেলে, স্থানীয়। যে কোনো 'আজাইরা' জিনিসে আমার অযাচিত আগ্রহ দেখেই বোধ করি প্রস্তাবটা দিল। তাছাড়া মার্ক্কুকে সেদিন নারকেল দুধ আর ডিমের সালুন করে খাওয়ানোর পর থেকে ছেলেটা আমাকে বেশ তোয়াজ করে চলছে।