পথে যেতে যেতে
যতবার শোন তুমি
রিকশার টুং টাং বেল
যতবার পাশ দিয়ে হুশ-হাশ
ছোট-বড় গাড়ি চলে যায়
জেনো—
আমি তোমার প্রতীক্ষায়।
আনমনা কোন বিকেল বেলায়
ফুটছে চায়ের পানি ফোঁস ফোঁস
সাদা সাদা ফোঁটা জমে কেতলীর গায়
তারপর, চিনি দিতে ভুলে গেছ বলে
তেতো স্বাদ যদি ভরে ওঠে মুখটায়
জেনো—
আমি তোমার প্রতীক্ষায়।
শান্ত দীঘির জলে
জাগে যদি হঠাৎ কাঁপন
দমকা বাতাসে
জানালার কপাটগুলো
দুমদাম বাড়ি খায়
এলোম...
পৃথিবী ঘুমাক.........
তুমিও ঘুমাও প্রিয়া......
আমার প্রেম ছোবে না তোমারে.........
ও থাকবে নির্বাক আজ......
আজ খরা পরেছে ভীষন.........
পৃথিবী পুড়ছে আজ......
পথচারীর কপালে পরছে ভাঁজ
আজকে তুমি বরষন হউ প্রিয়া.........
Nam:Protivas Roy
Email:protivashroy@gmail.com
কেমন করে হারিয়ে যায় পথ
বারান্দার চড়ুই?
বৃষ্টিতে ভিজে ঘরে ফেরার স্বপ্ন কি লুকিয়ে থাকে বইয়ের ভাজে
হাসির কোণে?
(দুঃস্বপ্নের রাত ভুলে এখনো তোমার অবোধ শিশুর মতো অভিমান।)
আজ নগরের অলিতে গলিতে বসন্তের মেলা
দীর্ঘ শীত শেষে সবাই স্নাত হবে আলোর বন্যায়।
আজ তুমি বন্ধ রেখোনা দুয়ার
লুটোপুটি করো ধূলোয়
ফুটে থাকা সব ফুল জাপটে ধরো প্রিয়জনের মতো।
কেননা অনেক অনেক দিন হারিয়ে গেছে
হা...
১.
আমার দুই ছেলে, দুই মেয়ে, তারা আমার কল্পনার জগতে বাস করে।
বড় মেয়ের নাম রূপকথা।
তারপর দুই পিঠাপিঠি ভাই, যাফি আর ওয়াফি।
আরেক মেয়ে সবার ছোট, নাম তার শুকতারা।
এ চারজনকে নিয়ে কল্পনায় আমার বোকার সংসার।
২.
ক্লাস এইটে পড়ি তখন। একদিন হটাৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম, বিয়ের পর আমার প্রথম সন্তানটি হবে মেয়ে, তার নাম রাখব রূপকথা।
কিভাবে যেন ব্যাপারটা মাথায় গেঁথে গেল। ছোট মেয়ে দেখলেই খুঁটি...
সুখের মুহুর্ত গুলো ক্ষণস্থায়ী। ঠিক যেন রংধনুর মত। একটু সময় পরেই হারিয়ে যায় সুদূর নীলমায়, দৃষ্টির সীমানায়, বহুদূর দিগন্তের শেষে কোন গাঁয়ে।
সুখের মুহুর্ত গুলো যেন হঠাৎ বৃষ্টি। প্রচন্ড গরমে এক পশলা ঝিরিঝিরি বৃষ্টির আবেশ। মেঘের ভেলার ফাঁকে এক ফালি চাঁদ।
সুখের স্পর্শ যেন প্রেমিকার মোলায়েম পরশ, বৃষ্টিস্নাত জানালায় হিমেল বাতাস। সুখের ক্ষণিক আবির্ভাব যেন কিশোরীর হাতের রাঙ্গা ম...
জব্বর সাহেব একসাথে ৪ টা দৈনিকে লিখা পাঠিয়েছে ২৩ ই এপ্রিল বিজয়ের ওয়েবসাইটে দেখলাম তথ্যটা, সবগুলোই আস্তে আস্তে পড়তে ছিলাম আর হাসতে ছিলাম কি বলতে চাচ্ছেন এই লোকটা ।
তবে প্রথমেই একটি কথা বলে নেই উনার সাইটের লেখাগুলো সব আসকিতে লেখা ,একজন মানুষ এখনো কি করে আসকিতে নেটে লিখে আমার বোধগম্য নয় । আমাকে কষ্ট করে এগুলো কনভার্ট করতে হয়েছে।
চলুন ওনার লেখার কিছু মজার অংশ দেখি
৭২ সালে দ...
আসলে সমুদ্রের কাছে অনেককিছু হলো
রাশি রাশি খাবার-দাবার রোস্ট-কারি ফুরলো।
ঢেউয়ের উপর লাফালাফি শোয়া ছাতার নীচে
হরেক খেলায় মন মেতে যায় ভেজা বালুর বিচে।
যখন তখন উঠছে ছবি জ্বলছে ফ্লাশের আলো
শুয়ে বসে নানান পোজে গ্রুপ এবং সলো।
রোজ দুবেলা লাগছে গায়ে সাগর পারের হাওয়া
সেই হাওয়াতে ইচ্ছে ভাসে স্বপ্ন দিয়ে ছাওয়া।
ক্লান্ত চোখে ক্যামেরাটা ছাড়ে দীর্ঘশ্বাস
সে যে পারে না উঠাতে উদাসী বাতাস।
...
ঐ দিন তোমার সাথে হঠাৎ দেখা হবার পর;
ঈশ্বরকে জিজ্ঞেস করলাম,
এতদিন পরে দেখা করিয়ে কী লাভ হল তোমার?
আমার ভুলটা কি আঙ্গুল তুলে দেখালে?
নাকি তোমারও যে মাঝে মাঝে ভুল হয় -
সেটার জন্য ক্ষমা চাইলে?
যথাবিধি ঈশ্বর নিরব।
হে ঈশ্বর, অত্যন্ত বিনয়ের সাথে জানাচ্ছি যে
তোমার উদ্দেশ্য সফল হয়নি।
আমি তাকে দেখেছি, আর
সেও দেখেছে আমায়।
আমরা আগের মতই আছি,
আগের মতই ভালো - এবং
আগের মতই ভালোবাসাবাসির সীমারে...
কল্লোল লাহিড়ী 'কাকমানুষের চকখড়ি' গল্পের বইটি নিয়ে একটি পাঠ প্রতিক্রিয়া লিখেছেন। বইটির লেখক কুলদা রায়। তিনি আট/ দশ মাস গল্প লিখছেন। সাহিত্যের লোকও না। নিতান্তই কৃষিকর্মী। মাঠেঘাটে বেড়ানো লোক। শুদ্রবংশজাত। এবং কোন সাহিত্য পত্রিকায় লেখেন নি--লেখার ইচ্ছেও করেন না। ইচ্ছে হলে লিখবেন--ইচ্ছে হলে প্রকাশ করবেন। কোনো তেলাতেলির মধ্যে নাই। অন্তর্জাল এই সুযোগটি অনেকাংশে করে দিয়েছে। সুত...